ইদানীং ব্লগে কিছু পোলাপাইন দেখতাসি যারা বেশি পাকনা হয়ে গেসে। আমি নিশ্চিত কইরা বলতে পারি তাদের হয়তো এখনও মোচ দাঁড়ি গজায় নাই। তারা দুই চার দিন শাহবাগের রাস্তায় বইসা নিজেরে যে কি মনে করে আল্লাহ মালুম!!!! এখন আবার অনেকেই কইতে পারেন আমি শিবির করি বিনপি করি। কিন্তু ভাই আমি কোন দল করি না আর ভোট হইলে না ভোট দিয়া আইসা পরি। তাই বলে এটা না যে আমি শাহবাগে যাই নাই। আমি গেসিলাম প্রথম সপ্তাহ। এখন আবার বইলেন না কই তোমার ছবি দেখাও যে শাহবাগে গেসিলা। না ভাই আমি ছবি দেখাইতে পারুম না কারন আমি কোন ছবি তুলি নাই।
তো সেই সব পোলাপাইন যারা বইসা বইসা পুলিশের পাহারায় হাউ কাউ করে আর কঠিন সব স্লোগান দেয় যেমন ধরেন এরে জবাই করো অরে জবাই করো রো কত কি। তারা আবার নিজেদের কয় তারা নাকি নতুন মুক্তিযোদ্ধা। (অফ টপইক ভাই আমিও গেসিলাম আমার মুক্তিযুদ্ধার সার্টিফিকেট কে দিব??)
তা যাই হোক না পাইলাম সার্টিফিকেট কিন্তু তাদের যা সাহসের গল্প শুনি টা শুইনা তো তাদের মুক্তিযোদ্ধা মনে হয় না। ১দিন শুনছিলাম শিবির আইতাসে এটা শুইনা দৌড়াই গিয়া কয়জন গরম তেলের উপর পইরা হইসে আহত। হায় হায় যুদ্ধের আগেই আহত!!!! ক্যামনে কি হইব!!!!!!
তো এই সব পোলাপাইন যারে তারে রাজাকার কয় ছাগু কয়। আমি নিশ্চিত অনেকে আজ আমারে ছাগু কইব। বাঘা কাদের রাজাকার হইলে আমি যদি রাজাকার হই আমার আফসোস নাই। ১দিন ঐ আন্দলোনে ১ পোলারে দেখি গরমের মাঝে ২ টা জামা পইরা ঘুরতাসে। পরিচিত ছোট ভাই ডাক দিয়া জিগাইলাম কাহিনী কি? ঐ পোলা যা কইল মাথা গেল আমার ঘুরায়া। পোলা কয় রোজ রোজ তো আর এইখানে আসা সম্ভব না তাই ২ টা জামা পইরা আসছে যাতে ২ জামা পইরা ২দিন আসছে সেই ভাবে ছবি তুলা যায়। এই হইসে ফেসবুক পোলাপাইনের অবস্তা।
ভাই বিশ্বাস করেন এই আন্দোলন নিয়া আমার অনেক আশা ছিল। ভাবসিলাম নতুন প্রজন্ম এরা যদি কোন ভাবে কোন দল বানাইতে পারে আর দেশের হাল ধরতে পারে তাইলে দেশের চেহারা বদলায়া যাইব। কিন্তু সেটা তো আর হইল না। রাজনীতির এমন গুটিবাজি এই দেশের লোক কম দেখসে। ভাই গালি দেন আর যাই করেন বুকে হাত দিয়া কন তো এই আন্দলনের কি আর সেই জোশ আছে নাকি??