বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বলতে অবিভক্ত বঙ্গ (১৯৪৭ থেকে শুরু করে পূর্ব পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে বোঝায়।
প্রচারের জন্য এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক এবং ইউটিউব। কিন্তু তার পরও রাস্তার প্রতিটি মোড়ে দেখা যায় হরেক রকম পোস্টার।
বিশেষ করে চলচ্চিত্রের পোস্টারে ছেয়ে আছে রাস্তার পাশের দেয়ালগুলো। কারণ চলচ্চিত্র প্রচারের প্রধান আকর্ষণের একটি হচ্ছে পোস্টার।
কিন্তু আমাদের দেশের ছবির পোস্টারগুলোর বেশির ভাগই অশ্লীল! গল্পের মতো পোস্টারও হচ্ছে নকল। এসব নিয়ে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ও দর্শকের নানা অভিযোগ রয়েছে। তাদের মতে, বর্তমানে বেশির ভাগ ছবির পোস্টারই কোনো না কোনো বিদেশি ছবির নকল।
যদিও এটাকে নকল বলা যায় না, বিদেশি শিল্পীদের শরীরে আমাদের শিল্পীদের গলা-মুখ জুড়ে দেওয়া হয়। সেটা অবশ্য বেশির ভাগই নায়িকাদের ক্ষেত্রে করা হয়। এটা অপরাধ। সাধারণ মানুষের মতে, আগে পোস্টার দেখে তারা সিনেমা হলে যেত। আর এখন পোস্টারের সামনে দাঁড়ালে আশপাশের মানুষ ভিন্ন দৃষ্টিতে তাকায়। বেশির ভাগ পোস্টারের মান খারাপ এবং অশ্লীল।
বর্তমানে বাংলাদেশের ছবির দৃশ্য গুলো ভাল হলেও পোস্টারের মান অতি খারাপ পোস্টার গুলোর মধ্যে ভারতিয় নায়িকাদের শরীর কেটে আমাদের নায়িকার চেহারা লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে যা ছবির ভিতরের অংশে যার কোন অসিÍত্য নাই। কিছু বছর আগে বাংলাদেশের ছবির মান অতি খারাপ ছিল নায়িকাদের নগ্ন করে ছবি শুট করা হত। সে সব নায়ক নায়িকাদের একেবারে নিষীদ্ধ করে দেয়া হলেও সরকার পোস্টারের দিকে কঠোর প্রদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেএে ব্যার্থ হচ্ছে।
মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং মাননীয় প্রধাণ মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমাদের সময়ে সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান বিকাশ সাধিত হয়েছে। হ্যাঁ হয়েছে বলা যায় কিন্তুু নৈতিকতার খুব খারাপ পরির্বতন হয়েছে।
মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং মাননীয় প্রধাণ মন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, এই ছবি গুলো সেন্সর বোর্ড থেকে অনুমোদন হত্তয়ার আগে পোস্টারের মান গুলো যেন ভাল হয় সে দিকে সেন্সর বোর্ড এর কমিটির সদস্যরা যেন লক্ষ রেখে অনুমোদন দেয় আর তা না হলে আমাদের দেশ ও পশ্চিমা বিশ্ব হতে সময় লাগবে না। তাই এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অনুরোধ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫২