বরিশাল ১
তখন কিশোর মজলিস স্কুলে ক্লাশ ২ এ পড়ি। স্কুল থেকে আসার পথে স্কুলেরই এক ছাত্রী আমাকে জোর করে চিঠি গছিয়ে দিতে চেষ্ঠা করে। চিঠি ফেলে এক দৌড়ে নিকটবর্তী বন্ধুর বাসায়। সব খুলে বলতেই বন্ধু বললো কি চিঠি দিছে দেখতে। সে আর আমি সেখানে গিয়ে অনেক খুঁজেও পাই নাই চিঠিটা। ঘটনা আর এন্ড এইচ অফিস কাম রেসিডেন্স এর প্রধান গেইট এর সামনের। বেশ বিব্রতকর অব্স্থা। কারণ সেখানের কলোনীতে থাকি। পরদিন স্কুলে গেলাম। ক্লাশ করার মাঝে রেসট রুমে যাওয়ার পথে দেখলাম সেই মেয়েসহ কয়েক জন বারান্দার কর্ণারে রাখা বিনে কি যেন খুঁজছে। ক্লাশে আসার কিছুক্ষণ পর একজন শিক্ষিকা আমাকে ডেকে নিয়ে যান মেয়েদের সেকশনে। এরপর আমাকে ক্ষমা চাইতে হয় চিঠির জন্য। আমার মাথা কাজ করছিল না। শিক্ষিকা যা বলতে বলেন তাই বলি। বন্ধুকে পরে সব বলি। সে আফসোস করে কেন আমি বিস্তারি সব বলি নাই। যাই হোক ঐ দিন ক্লাশ ছুটির পর বাসায় যাওয়ার সময় তার সাথে দেখা।আমাকে বিব্রত করে কি তার সুখ। টের পাইছো মনু! সাথের বন্ধুটি বলে ওকে বেজি বলে ডাক।একটু জোরে বেজি বলে ডাকতেই তার অগ্নিমূর্তি। কোন মতে ছুটতে ছুটতে বাসায় আসি। ওমা এই মাইয়া ঠিকই বাসা চিনে মার কাছে বিচার দিল। "আন্টি আপনার ছেলে আমাকে বেজি বলে ডাকে"। সেদিন আম্মার চক্ষু গরম করেছিলেন মাত্র। মারধর কিছুই করেন নাই। এর পর এই মাইয়া আমাকে দেখেই ছড়া কাটা শুরু করে। "আকনের মা.... কলা খাইও না.................." এ যেন শনির দশা আমার। আমি বেজি বলে ডাকতাম। সে চক্ষু গরম করে তাকাতো। অল্প পরে রণ ভঙ্গ করে তার পথে চলে যেত। ঐ বছরই আমরা পটুয়াখালী চলে যাই।
অনেক বছর পর বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যা্ই সেই কলোনীতে। মেয়েটির নাম জিজ্ঞাসা করি তাকে। মেয়েটির নাম বললো "লাবনি"।
চট্টগ্রাম ১
তখন থাকি চট্টগ্রাম। স্কুলের বন্ধুদের সাথে বহুতল কলোনীতে স্কুল ছুটিতে ক্রিকেট, ফুটবল খেলি নিয়মিত। একদিন বন্ধুদের সখ হলো জাম্বুরী মাঠে ক্রিকেট খেলবে। খেলার পর জাম্বুরী মাঠের পুকুরে গোসল করবে।গেলাম খেলতে।ঘন্টাখানে খেলে দুই একজন ছাড়া সবা্ই নামলো সেই পুকুরে। আমি নামি নাই ঘোলা পানি দেখে। সবসময় সাঁতার কেটেছি স্বচ্ছ জলে। এই ছাতার ঘোলা জলে ভক্তি হয় নাই। এই কোমর সমান গভীর পুকুরে নামার আগ্রহ হয় নাই । এর উপর কিছুদিন পূর্বেই এখানে বস্তি ছিল। যাই হোক বন্ধুরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কোমর সমান পানিতে দাপাদাপি করলো। কিছুক্ষণ পর তাদের এই দাপাদাপিতে একটি মৃত কুকুর ভেসে উঠলো। ওয়াক থুথু বলে যে যেদিক পারলো পারে উঠলো। আর তওবা করলো এখানে আর গোসল করবে না।
ঢাকা ১
এবার কোরবানির আগে আগে ফ্রীজে সমস্যা। ঠান্ডা হয় না ঠিক মত। মেরামতের জন্য দুই দিন বন্ধ থাকবে ফ্রীজ। ফ্রীজ খালি করা হলো। শুধু আব্বা আম্মার ইনসুলিন রাখতে নিচের বাসার আন্টিদের বাসা গেলো আাম্মা। আন্টির ছেলে খুব নেগেটিভ, তাদের বাসার ফ্রীজে রাখা যাবে না। কিন্তু আন্টি তার পরও রাখেন ।
বছরখানেক পূর্বেও এই বিষয়টা ছিল কমন। ছোট ফ্রীজ সবার বাসায় ছিল, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হলে, প্রতিবেশীর বাসায় রিকোয়েস্ট করলে রাখতো, কোন জটিলতা ছিল না। আর এখন ইনসুলিনের মত প্রয়োজনী ওষুধ রাখাও সমস্যা।
ঢাকা ২
ঘটনা বড়বোনের কাছে শুনা। বিহারী মেয়ে, সুন্দরী, শিক্ষিত, মার্জিত। পরিবার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজে কিন্তু পায় নাই।যখনই বিহারী শুনে, সবাই না করে দেয়। শেষে বিয়ে দিল এক পীরে ছেলের কাছে, এখন সব মুরিদ আম্মা বলে ডাকে।
ঢাকা ৩
২০১৩ সালে আমি গার্মেন্টস এ জব করি। একদিন প্রোডাকশন ম্যানেজার, এক সুপাভাইজারকে ডাকলো। আসার পর বিভিন্ন সমস্যা ধরার পর বললো "তুই একটা চু**র ভাই" (গার্মেন্টস এর জবে স্লং একটি ল্যাগুয়েজ, এটা না জানলে কেউ পাত্তা দেয় না)।
সুপাভাইজার সোলজারদের মত এটেনশন হয়ে বললো " স্যার, আমারে একটু বলেন আমি ক্যামনে চু**র ভাই হই"
প্রোডাকশন ম্যানেজার তার দিক কটমট করে তাকিয়ে বলে " তুই ফ্লোরে যা, চু**র ভাই ক্যামনে হস বুঝাইয়া বলমু তোকে।"