কি নিষ্ঠু্র কাঠিণ্য নিয়ে তুমি
ধারণ করে আছ আমার অস্তিত্ব!
শৃংখলে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলে
নিরব স্থবির আলিঙ্গণে।
ষোড়শী উচ্ছলতাকে ধার করে
রিনিঝিনি সরোবরে বয়ে চলি
তোমারই আলিঙ্গণ উপেক্ষা করে।
কেন হে প্রেমহীন, কঠিন পর্বত?
কি এক অদৃশ্য দাম্ভিকতায়
একবারও প্রেমময় হয়ে উঠলে না ।
পারলেনা জীবনানন্দের মত ভালবাসতে।
কঠিন দৃষ্টি দিয়ে একবার দেখে নিতে
যুগল প্রজাপতির খুনশুটি!
অসুন্দরকে পূজো করে,
শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ দেখিয়েছো
ভয়ংকর লাভার স্ফুলিংঙ্গে !
তোমার নিরবতায়,
ভালবাসার কথা বলে যায়
শুভ্র কাশফুলের স্নিগ্ধতা।
গাংচিল বন্ধুত্বের সন্ধি
করে যায় আকাশের সাথে।
শুধুই ধারণ করলে ! প্রেমিক হতে পারলে না!
অভিমানী পাহাড়ী ঝর্ণা আমি
খড়োস্রোতা হয়ে মিশে যাই
গভীর নীল সাগরে।
শুধু নামেই রয়ে গেল তোমার অস্তিত্ব
পাহাড়ী ঝর্ণা!!