বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৭ জন সদস্য সমর্থন জানিয়েছেন। সোমবার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার শওকত আলীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করে বাংলাদেশে সফররত ব্রিটেনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসব কথা জানান।
‘অরগানাইজেশন ফর দ্য রিকোজনিশন অব ‘বাংলা’ এজ এন অফিসিয়াল লেঙ্গুয়েজ অব দ্য ইউনাইটেড নেশনস, ইউকে’-এর প্রতিনিধি দল আরও জানিয়েছেন, বহিবিশ্বে সমর্থন আদায়ের ল্েযও তারা ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডেপুটি স্পীকারের সঙ্গে সাাতকালে তারা বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা করার দাবি সংশিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা বাংলা ভাষাকে কিভাবে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে, ডেপুটি স্পীকার শওকত আলী বলেন, বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন ও তা সর্বসম্মতি ক্রমে পাশ হওয়ার বিষয়টি প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন।
তিনি জানান, জাতীয় সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল ১৪৭ বিধিতে জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে তা সর্বসম্মতি ক্রমে পাশ হয়।
তিনি সংগঠনটির কর্মতৎপরতায় আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন পদপেকে সমর্থন করেন।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদেেপর বিষয়ে জানতে চান এবং জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রতিনিধি দল তাদের কর্মতৎপরতার কথা ডেপুটি স্পীকারের কাছে তুলে ধরেন।
প্রতিনিধি দল জানান, ২০০৬ সালে থেকে সংগঠনটি ক্যাম্পেইন শুরু করে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের ক্যাম্পেইনে একমত পোষণ করেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের ক্যাম্পেইনে সমর্থন জানিয়ে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন ও পাশ করে।
ডেপুটি স্পীকার প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতে তাদের কর্মতৎপরতা আরও বাড়বে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধি দলে সংগঠনের প্রেস ও পাবলিকেশন সেক্রেটারি শেখ মফিজুর রহমান, আরজু মিয়া এমবিই, সৈয়দ আমিনুল হক এবং মশিউর রহমান মসনু ছিলেন ।
Click This Link