somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

থ্রি জিরো | কেমন চলছে ডক্টর ইউনূসের সরকার

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেমন চলছে ডক্টর ইউনূসের সরকার। এ সরকার কত বছর থাকবে। ১৮ মাস নাকি ১৮ বছর নাকি ডঃ মোঃ ইউনুসকে যতদিন আল্লাহ হায়াত দান করেন ততদিন থেকে থাকবেন বাংলাদেশের মানুষের মাথার তাজ হয়ে। এখন যারা উপদেষ্টা পরিষদে আছেন তাদের ভবিষ্যৎ কি। বিএনপি'র ভবিষ্যৎ কি। আওয়ামীলীগের ভবিষ্যৎ কি। নির্বাচন কি আদৌ হবে নাকি হবে না? এখন যারা সমন্বয়ক রয়েছেন, তারা কি করছেন। আমরা কি তাদের জন্য অপেক্ষা করবো। ধরুন এখন তাদের গড় বয়স ৩০ বছর। আমরা যদি পাঁচ-সাত বছর তাদের কে সময় দেই। তারা এই ৫-৭ বছরের নানাভাবে নানাকিছু শিখে এই দেশ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত হবেন। যেহেতু তারা এত বড় একটা বিপ্লব ঘটিয়েছেন। কাজেই সেই বিপ্লব পরবর্তী সরকারের তারাই প্রধানমন্ত্রী হবেন। তারা এই মন্ত্রী হবেন এবং আমরা তখন তাদের নেতৃত্বে চমৎকার একটি দেশ পাব এবং সুন্দরভাবে আমরা তসবি-তালিম করে, নামাজ কালাম পড়ে, জীবন অতিবাহিত করে, মৃত্যুর পর জান্নাতে গিয়ে আমরা সুন্দর একটা জীবন যাপন করতে পারব। এরকম একটা সু-স্বপ্ন নিয়ে আপনি আমি কি অপেক্ষা করতে পারি? সেরকম কি একটি অবস্থা চলছে নাকি আমরা শঙ্কা অনুভব করব? অস্থিরতায় ভুগবো কিংবা আমরা চিন্তা করবো কি ছিলাম, কি পেলাম, কি হারালাম এবং কি হারাতে বসেছি।

ডক্টর ইউনুস ক্ষমতা নিয়েছিলেন আগস্ট মাসের ৮ তারিখে। সেই দিক থেকে আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে তার দুই মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যেই আমাদের অনেকের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যেভাবে ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। আমরা সেরকম ভয় পাচ্ছি। আমরা অতীতকালে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মিষ্টি কথা শুনেছি। এরশাদ সাহেবকে দেখেছি সততার পরকাষ্ঠা হিসাবে। সাইকেলে করে রাষ্ট্রীয় অর্থ বাঁচানোর জন্য তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছেন। আহ কি দেবতার মত মানুষ! তিনি রোজ রাতে স্বপ্ন দেখছেন যে, আজ রাতে আমি নামাজ পড়বো বাইতুল মোকাররমে। আজ রাতে নামাজ পড়বো আমি সিলেটে। এবং সেখানে গিয়ে তিনি হাউমাউ করে কান্নাকাটি করে বলেছেন যে, আমি আপনাদের এখানে এসেছি, আমি স্বপ্ন দেখেছি এই মসজিদে আমি নামাজ পড়বো। এরচেয়ে দেবতা এরচেযে সত্যবাদী মানুষ আর হতে পারে না। আমরা আনন্দ উদ্বেলিত হয়েছিলাম কিন্তু সে এরশাদ আমাদেরকে কিভাবে কাঁদিয়েছেন। আমরা সেটা দেখেছি। শেখ হাসিনাও বারবার কেঁদেছেন, আমার বাপ মারা গিয়েছে, ভাই মারা গিয়েছে, এ জীবনে আমার আর কিছু পাওয়ার নেই। আমি আমার এই জীবনটি আপনাদের জন্য উৎসর্গ করব। তিনি এমন ভাবে তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যে আমরা সবাই তাকে সবকিছু দিয়েছি। মান সম্মান মর্যাদা প্রেম ভালোবাসা সমর্থন সব দিয়েছি। এরপর আমরা তাকে ভয় পেয়েছি। এতটা ভয় পেয়েছি যে ভয় আমরা এই জমিনে কোন বিষধর প্রাণীকেও পাই না। তাকে আমরা সেই ভয় পেয়েছি। আমরা তাকে এভোয়েড করেছি। দূরে রেখেছি। সবকিছু করেছি কিন্তু তারও শেষ রক্ষা হয়নি, আমাদেরও শেষ রক্ষা হয়নি। এভাবে আরো অনেক মানুষের কথা বলা যাবে। যাদের দ্বারা আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন বিশ্ববরেণ্য নোবেল লরিয়েট ডঃ মোঃ ইউনুস এসেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই আমরা তার ব্যাপারে আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। তাকে নিয়ে ট্রল হচ্ছে। ছোট শিশুর মুখের উপর তার ছবি দিয়ে বিভিন্ন রকম কার্টুন তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে হিন্দিতে বাংলাতে যে সকল ডায়লগ জুড়ে দিয়ে যে সকল টিকটক ভিডিও ডক্টর মোঃ ইউনুসকে নিয়ে করা হচ্ছে। এ দৃশ্য দেখা যায় না। আপনি না পারবেন হাসতে, না পারবেন কাঁদতে। ডক্টর ইউনুস সাহেব এটা দেখেছেন কিনা আমি বলতে পারব না।

মানুষ যে নেতিবাচক কথাবার্তা বলছে এর মূল কারণটা হলো, মানুষ আশা জাগা নিয়ে কোন সফলতা এখনো পর্যন্ত এই বর্তমান সরকারের কাছ থেকে পায়নি। যেহেতু গত দুটা মাস পার হয়ে গেল এবং এই দু মাসের মধ্যে আপনি দুটো আনন্দদায়ক খবর দিতে পারেননি। দুটো আশা জাগা নিয়ে কর্মকাণ্ড করতে পারেনি। মানুষের সঙ্গে এমন কোনো সম্পর্ক করতে পারেননি যার কারণে আপনাকে বিশ্বাস করা যায়। আশা করা যায় যে আপনি আরো পাঁচ বছর দেশ চালালে আমরা শান্তিতে থাকবো। এর কারণ হলো মর্নিং সোজ দ্যা ডে। যখন একটা মানুষের শুরুটা হয় চমৎকার ভাবে। যেমন হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত দেয়াল উপন্যাস, আপনি সেখানে পড়ে দেখবেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে সময়টিতে ক্ষমতা এলেন। ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি অবারিত ভাবে তাকে সহযোগিতা করা শুরু করলো। তার জামাতে অতিবৃষ্টি হয়নি। বন্যা হয়নি। মারাত্মক কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেয়নি। কৃষকের গোয়াল ভরা গরু ছিল। গোলা ভরা ধান ছিল। পুকুর ভরা মাছ ছিল। মানুষ যে কাজে হাত দিয়েছে প্রকৃতি সেখানেই সাহায্য করেছে। আর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস আসার সঙ্গে সঙ্গে একটার পর একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ঢাকা শহর বারবার ডুবে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ডুবে যাচ্ছে। ফেনী ডুবে যাচ্ছে। কক্সবাজার ডুবে যাচ্ছে। বরিশাল পটুয়াখালী থেকে শুরু করে সাতক্ষীরা তারপর খুলনা কয়রা এসকল এলাকা ডুবে যাচ্ছে। ফসলহানি হচ্ছে। বন্যা থেকে শুরু করে নানান রকম দৈব দূর্বিপাক মানুষের জীবনকে তছনছ করে ছেড়ে দিচ্ছি। এই যে সিগন্যাল প্রকৃতির সিগনাল, ইট মিনস আগামী দিনগুলো ভালো যাবে না। এটা বোঝার জন্য খুব বেশি পান্ডিত্য দরকার হয় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যখন কোন জাতিকে, কোন ব্যক্তিকে সম্মানিত করতে চান এবং কোন একটি সুসংবাদ দিতে চান। সকালবেলাই সেই লোকের মনের মধ্যে সেই ধরনের একটা শুভ লক্ষণ ফুটে ওঠে। মন ফুরফুরে হয়ে যায়। আমরা জনগণ হিসেবে আমাদের মন ফুরফুরে অবস্থায় দেখতে পাচ্ছিনা। আর যারা আমাদেরকে এই মুহূর্তে শাসন করছেন তাদের মধ্যেও এরকমের ফুরফুরে মেজাজ দেখতে পাচ্ছিনা। বরং কথা কথায় তারা মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। চোখ গোল গোল করে ফেলছেন। মুখের হাসি চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন সাংবাদিকদের প্রশ্ন এবং তারা জীবনে যে কাজটি করেননি সেই কাজ করছেন। এখন উলট-পালট বা উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আমি নাম বলবো না। প্রথমদিকে তারা টেলিভিশনে এসে বা টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখলে বেশি চমৎকার করে কথা বলতেন। নিজের কর্মের যে অধিক্ষেত্র সেগুলো অতিক্রম করে তারা অনেক কথা বলতেন। ইদানিংকালে তাদের প্রায় সবাই খামোশ হয়ে গিয়েছেন। কথা বলছেন না। তাদের মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। এবং তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না যে তারা কি করছেন এবং তারা কি করবেন এবং আগামীতে তাদের পরিণতি কি হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না। ফলে তাদের কর্মের আমি এখন পর্যন্ত কোন গতি দেখছি না।

প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি একটি জগা খিচুড়ির সরকার চালাচ্ছেন। না বৈপ্লবিক সরকার না গণঅভ্যুত্থানের সরকার। না গণবিশ্ফোরণের সরকার। না সাংবিধানিক সরকার, না অসাংবিধানিক সরকার। না মার্শাল ল গভমেন্ট, না মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের মতো সামরিক ব্যাকড গভারমেন্ট। কিছুই না। একটি হ য ব র ল

তিনি আমেরিকার অমুক সার্টিফিকেট পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের অমুক সার্টিফিকেট পেয়েছেন। আজ "ম"তে মুহাম্মদের দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম-এর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব রয়েছে তিনি ফোন দিয়েছেন। এ সকল খাজুরিয়া আলাপ শুনে আমাদের কোন লাভ হচ্ছে না। আমরা দেখতে চাচ্ছি যে তিনি আসলে সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে কতটুকু সফলতা দেখাতে পারছেন। সেটি বলতে গেলে খুবই হতাশাজনক। তিনি বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এবং সব সাক্ষাৎকার গুলোতেই তিনি প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি আ্যাসোসিয়েট প্রেস ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে ইন্ডিয়া বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে, আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিয়ে, যে সকল কথাবার্তা বলেছেন খুবই আপত্তিকর, অরাজনৈতিক, উস্কানিমূলক। আবার সেই কথার উপর তিনি স্ট্যান্ড না নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে গতি পরিবর্তন করে তিনি আবার চেষ্টা করেছেন ভারতে ইলিশ পাঠাতে। নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করার জন্য ভারতের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য। ফলে তার আগের যে বক্তব্য সেটা তার জন্য বুমেরাং হয়ে পড়েছে আর পরে যেটি বলেছেন সেটাও তার জন্য বুমেরাং হয়ে পড়েছে। এর কারণ হলো আপনি রাবারের মত। আপনি যত বেশি টানাটানি করবেন এটার ইলাস্টিসিটি তত বেশি কমতে থাকবে। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের ইলাস্টিসিটিও ঠিক সেভাবে কমে যাচ্ছে।

তিনি আমেরিকাতে গিয়েছেন। আমেরিকাতে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি পশ্চিমা গণমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমস থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কোন কিছু সেখানে পয়েন্টিভ ছিল না। টু দ্যা পয়েন্ট ছিল না। পয়েন্টিভ ছিলনা এবং প্রসপেক্টিভ ছিল না। বরং সবকিছুর মধ্যে কিরকম যেন একটা এলোমেলো কথাবার্তা। "লডোর ভডোর" কথাবার্তা। এটা করবো, ওটা করবো, এটা হবে, এটা হবে। এরপর তিনি অহেতুক কতগুলো কাজকর্ম করেছেন। সমন্বয়কদের নিয়ে সেখানে গিয়েছেন। ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে একটা বৈঠক করেছেন। সেখানে থ্রি জিরো নিয়ে কথা বলেছেন। ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে বৈঠক করা। বিল ক্লিনটনের সঙ্গে অনুষ্ঠান করা৷ সমন্বয়দেরকে মঞ্চে উঠিয়ে আমেরিকার মাটিতে কথা বলা। বলেন তো এতে কি বাংলাদেশের দু'পয়সার উপকার হবে? আমাদের ফেনীর বন্যার কোন উপকার হবে? সাভারের আশুলিয়ার গার্মেন্টসগুলো যে বন্ধ হয়ে আছে। শ্রমিক অসন্তোষ চলছে, কোন শ্রমিকের ঘরে যে চুলা জ্বলছে না এবং এই শ্রমিক যারা বেতন পাচ্ছেনা, অনেক শ্রমিক একজন দুজন নয়। এমন একটা অবস্থার আমি জাস্ট একটা উদাহরণ দেই। আমার একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি আছে তার পিছনেই বার্স বাংলাদেশ নামক একটি গার্মেন্টস আছে বেশ বড়, প্রায় ২০ হাজার লোক চাকরি করে। অনেক পুরনো, না হলেও ৩০ বছরের পুরনো একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। এখন ধরুন সেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গত তিন মাস ধরে তারা বেতন দিতে পারছে না। এত পুরনো একটা গার্মেন্টস তিন মাস ধরে বেতন দিতে পারছে না, কেন?

শেখ হাসিনার জন্য, ডক্টর ইউনূসের জন্য, আমাদের জন্য অর্থনীতির জন্য। ৩০ বছর যাবত তারা চালিয়ে আসছে এখন তারা পারছেনা। শ্রমিকেরা সব রাস্তায়, এই ২০ হাজার শ্রমিক তারা খাবে কি বলেন। এই তিন দিন চার দিন পাঁচ দিন পুরো রাস্তা তারা অবরোধ করে রাখলো কিন্তু তাদের তো বেতন হলো না, বিকল্প চাকরি হলো না। এই লোকগুলো করবে কি? আপনি কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছেন, তারপরে ক্ষমতায় বসেছেন। আপনার তো খাবারের কোন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু এই শ্রমিকদের জন্য যদি আপনি দশ হাজার মেট্রিক টন, পঞ্চাশ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করতেন। যে ঠিক আছে বাবা আমি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই গার্মেন্টসের যারা বেতন পাচ্ছেন না তিন মাস ধরে আমি তোদেরকে এক বস্তা করে চাল দিলাম। ৫০ কেজি করে চাল দিলাম। আপনি তো সেই কাজ করছেন না। সেই কাজ না করে কি করলেন। বার্সের মালিককে গ্রেপ্তার করেছেন। মালিককে গ্রেফতার করার পর তো মালিক বেঁচে গেল। ব্যাংকের গুতানি খাচ্ছেন তিনি, শ্রমিকদের গুতানি খাচ্ছেন তারপর বিদ্যুৎ বিভাগের। কেননা তিনি শুধু শ্রমিকদের যে বেতন দিতে পারছে না সেটা তো না। গিয়ে দেখেন গ্যাসের বিল দিতে পারেননি। বিদ্যুতের বিল দিতে পারেন নি আরো অনেক বিল বাকি আছে তার। এই যে ব্যবসা-বাণিজ্যের অচল অবস্থা, আশুলিয়া গাজীপুর হেমায়েতপুর এ সকল এলাকার বড় বড় ফ্যাক্টরি। এক একটাতে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার লোক চাকরি করে। এই ফ্যাক্টরিগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ। এইগুলি নিয়ে আপনার কোন মাথাব্যথা নাই। আপনি থ্রী জিরো নিয়ে কাজ করছেন। থ্রি জিরোর এক নাম্বার জিরো কি? কোন বেকার লোক থাকবে না। আরে বাবা আপনি ক্ষমতায় ঢোকার সাথে সাথে বেকারের সংখ্যা বাংলাদেশের না হলেও ৫% বেড়ে গেল। আপনি বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা বাড়িয়ে দিলেন ৫% আর সারা দুনিয়াতে গিয়ে আপনি লেকচার দিচ্ছেন যে আপনি বেকার সমস্যার সমাধান করবেন। এটা জিরোতে নিয়ে আসবেন। থ্রি জিরো। কোন কর্মহীন লোক থাকবে না। এর মত ঠাট্টা এর মত মশকরা। এর মত চুলকানি। এর মত খাউজানি আর কি আছে বলেন? এসমস্ত কি হচ্ছে?

এই সমস্যাগুলো আপনাকে সমাধান করতে হবে। সমাধান করতে পারলে করেন আর না হলে আসসালামুয়ালাইকুম। তাড়াতাড়ি চলে যান। এক মিনিট দেরি করবেন না। এর কারণ হলো যে যত বেশি দেরি করবেন আপনার এই অযোগ্যতা তত বাড়তে থাকবে। আমরা তত বিপদে পড়বো। মুসিবতে পড়বো। যার যে কাজ তাকে সেই কাজ করা উচিত। কোকিলের কাজ কোকিল করবে। কাকের কাজ কাক করবে। তারপর গন্ডারের কাজে গন্ডার করবে। বাঘের কাজ বাঘ করবে। শিয়ালের কাজ শিয়াল করবে। আপনার কাজ হলো মাইক্রো ক্রেডিট নিয়ে কাজ করা। আপনার কাজ হলো সারা দুনিয়াতে মানুষকে স্বপ্ন দেখানো। থ্রি জিরো নিয়ে গল্প করা। আপনার কাজ হল অলিম্পিকে মশাল নিয়ে দৌড় দেওয়া। আপনার কাজ হলো নিকোলা সারকোজির সঙ্গে বসে কি করে অলিম্পিক খেলা হবে, সেই অলিম্পিক খেলার মধ্যে কি করে সোশ্যাল বিজনেস ঢুকিয়ে দেওয়া যায় এই সমস্ত কথাবার্তা বলা। বক্তব্য দিয়ে টাকা উপার্জন করা। এগুলো হলো আপনার কাজ। আর এই রাজনীতি করা, মিছিল করা, মিটিং করা, ঝাড়ু মিছিল ফেস করা, দুর্নীতিবাজ, অন্যায়কারী, জুলুমবাজ এদের সাথে লড়াই করা, সংগ্রাম করা এগুলো যদি না পারেন, দেরি করবেন না প্লিজ। প্লিজ দেরি করবেন না।

আর অনুরোধ আমরা আপনাকে সব সময় হাসিমুখে দেখতে চাই। স্মাইলিং ফেস। রাগ করবেন না। রাগ করলে মানুষকে ভালো দেখায় না। আপনি বঙ্গবন্ধুর নাম শুনে, ৭১'রের মুক্তিযুদ্ধের নাম শুনে ভয়েজ অফ আমেরিকার যে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছে, সেই প্রশ্ন শুনে যেভাবে আপনি চোখ গোল গোল করে ফেলেছেন। আমরা এই অবস্থায় আপনাকে দেখিনি কখনো। আপনার এই দৃশ্য দেখে আমাদের ভয় হচ্ছে। এর কারণ হলো যারা নরম মানুষ তারা যদি রাগ হয়ে যায়। যারা দুর্বল মানুষ তারা যদি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাই সেটা খুবই ভয়ংকর হয়। মারাত্মক ভয়ংকর হয়। কাজেই আপনি দয়া করে চোখ গোল গোল করবেন না। মুখের মাংসপেশি এটিকে দয়া করে শক্ত করবেন না। আমরা আপনাকে ভালোবেসে সম্মান দিয়ে মর্যাদা দিয়ে লালন করছি পালন করছি। আমাদের এই অসংখ্য দরিদ্র মানুষ, যারা আপনার গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ছিল। যারা আপনার টাকা দিতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যা করেছে কিন্তু আপনার বদনাম করেনি। আপনার বিরুদ্ধে একটা মামলা দেয়নি। আপনার ম্যানেজাররা, জার্মান ব্যাংকের কর্মকর্তারা, কিস্তি না পেয়ে অনেকের বাড়িঘর তছনছ করে ছেড়ে দিয়েছে। অনেকের পরিবার তছনছ করে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু কোন পরিবেশবিদ কোন আইনজীবী কেউ কখনো আপনার বিরুদ্ধে একটা মামলা করেনি। কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে শুধুমাত্র হুজুর যারা আছে তারা। আপনার সুদ গ্রহণ করা বা আপনি মেয়েদেরকে একটু বে-পর্দা করেছেন এগুলো নিয়ে একটু ওয়াজ নসিয়ত করেছে। এতটুকু পর্যন্ত কিন্তু আমরা এর বাইরে সব সময় আপনাকে সম্মান করেছি। এই কর্মকান্ড সারা দুনিয়ায় দেখিয়েই কিন্তু আপনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। আর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর আপনারও মনে হয়েছে যে আপনি পৃথিবী চালাতে পারেন। সারা দুনিয়া থেকে আপনি এই থ্রি জিরো থিওরি অনুযায়ী সবকিছু দূর করতে পারেন। আপনি সামাজিক ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন। মানুষের মধ্যে দেবত্ব ছড়িয়ে দিতে পারেন। কেউ লাভের জন্য কোন কাজ করবে না। বিনা স্বার্থে কেবল সোশ্যাল বিজনেস করবে। আপনি এই যে প্রচার করছেন সে প্রচারের প্রেক্ষিতে আমাদের মনে হয়েছে আপনি দেবতা। দেবতা কখনো রাগ করে না। দেবতা কখনো মেজাজ হারিয়ে ফেলে না। দেবতা হাসে এবং দেবতা স্থির ভাবে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন এবং হেফাজত করুন।

উক্ত আলোচনাটি ৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে "মেজাজ হারাচ্ছেন ডঃ ইউনুস" শিরোনাম রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনি তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন। ভিডিওটির আলোচনা আর্টিকেল রূপে প্রকাশ করেন ব্লগার আজব লিংকন।

কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ? আলোচনার প্রয়োজন। সমালোচনার প্রয়োজন। কিছু লজিক্যাল কিছু ইললজিক্যাল। কিছু ভালোলাগা প্রশ্নের কিছু মন্দলাগা উত্তর। যতদিন খোলামেলা আলোচনা হচ্ছে ততদিন কোথাও যাচ্ছে না বাংলাদেশ। এখানে খোলামেলা আলোচনার প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:০৭
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি জাতির কান্না......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

একটি জাতির কান্না......

স্বাধীন সিকিম রাষ্ট্রের ভারত ভুক্তির নেপথ্য!
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান ব্রিটিশদের কাছে থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ওই সময় উপমহাদেশে ৫৬৫ টি "Princely States" বা "সতন্ত্র দেশিয় রাজ্য" ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব কিসের ইঙ্গিত?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৯


ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার দাবিতে হঠাৎ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ নেতাদের বিক্ষোভ মিছিল! সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্দেশ আছে তোকে ক্রস ফায়ারে মেরে ফেলার’ - হুমায়ুন কবির

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

(মানব জমিনে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের গুম নির্যাতনের কথা পড়ে মনোকষ্ট নিয়ে বসে আছি। আপনার জন্য দোয়া করি, আপনাদের আত্মত্যাগেই এই জাতি স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, এখন কাজ হচ্ছে তাদের বিচার করা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার জন্য কোটার দরকার আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬



**** চাকুরী সৃষ্টি করতে জানে না বাংগালী জাতি, কিন্তু চাকুরী থেকে তাড়াতে জানে; কিছু কিছু ব্লগার মানুষকে তাদের কাজের যায়গা থেকে বিতাড়িত করার জন্য ব্লগে চীৎকার করছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ফিরে যেতে ইচ্ছে করে কৈশোরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫


এখানে কী আছে বলো তো, এখানে কী আছে আর
কেন যে সময়ের পিঠে হলাম সওয়ার;
সময় আমায় নিয়ে এ কোথায় এলো
স্বপ্ন সব হয়ে গেল এলোমেলো।

সেই প্রাথমিকের গন্ডি, পা রাখি ইচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×