ধরুন আপনি শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে ছুটে চলেছেন; আচমকা আপনাকে বিমানের গতিপথ পরিবর্তন করতে হলে Gravity এর বিপরীতে কাজ করতে হবে। বিমানে অবস্থিত G মিটার এই রিডিং দেয়। যদি তা ৮ জি প্রদর্শন করে তবে বুঝতে হবে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে এখন ৮ গুণ হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড চাপে মাথা থেকে রক্ত নেমে আসে শরীরের নিচের ভাগে। মস্তিস্ক রক্ত শূন্য হয়; চোখের সামনে আলো নিভে আসে। এই অবস্থার নাম Black Out!
একজন বৈমানিককে তাই প্রতিদিন উড্ডয়নের পূর্বে রক্তচাপ পরীক্ষা করে যেতে হয়। একটি মানুষের জন্যে আদর্শ রক্ত চাপ (১২০/৮০) এবং সেটা ধরে রাখতে বেশ কাঠখড় পোড়ানর দরকার পড়ে বৈকি। একজন ফ্লায়িং ফিট বৈমানিক তাই তার হৃৎপিণ্ডের ব্যপারে অত্যন্ত যত্নশীল। পরিমিত জীবনযাপন, পরিমিত আহার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং জীবনের সমস্যাগুলোকে সমস্যা না ভেবে চ্যলেঞ্জ হিসেবে নিয়ে একজন জঙ্গি বৈমানিক তার হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা ধরে রাখেন।
একজন জঙ্গি বৈমানিক তাই দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমান এবং স্ট্রেস ফ্রি জীবনযাপনে বিশ্বাসী হন।
ধরে নিলাম আপনার চোখ এবং হৃদয় জঙ্গি বৈমানিক হবার উপযুক্ত। এইবার তাহলে জানা যাক কিভাবে আপনি জঙ্গি বিমানের ককপিট পর্যন্ত পৌছাবেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আপনাকে একজন জঙ্গি বৈমানিক হতে সাহায্য করবে। তবে সে স্বপ্নের আরাধ্যে পৌছাতে কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য থাকতে হবে। প্রথমত আপনাকে পড়াশোনা করতে হবে বিজ্ঞান বিভাগে। আমি ভেবেছিলাম সামরিক বাহিনীতে ঢোকার পর আমাকে আর বই খাতা নিয়ে বসতে হবে না। যারা এমন ভাবছেন তাদের বলে রাখি একজন জঙ্গি বৈমানিককে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয় এবং এই পড়াশোনা তাকে করতে হয় নিজেকে উড্ডয়নের যোগ্য রাখার জন্যেই। তবে Aerodynamics পড়ে তার প্রত্যক্ষ ফলাফল নিজের চোখে দেখা এক বিরল অভিজ্ঞতা বৈকি। জঙ্গি বিমান গুলো মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সর্বোচ্চ নিদর্শন। একজন জঙ্গি বৈমানিককেও তাই ততখানিই চৌকশ হতে হয়।
চলবে
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদানের সকল খবর জানতে নিচের এইখানে গুতা দিন।
প্রথম পর্ব