somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিরক্তিকর কিছু ব্যাপার থেকেই যাই,লিখতেও অস্বস্তি লাগে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

®®® রিলেশন। ®®®
আপনি আমি রিলেশনে যাব।যেতে কোন বাধা নেই।কিন্তু বিপদাপন্ন হবেন বলে বাধা।এর ফলাফল হয়ত ভালই হয়।তবে ব্যপারটা প্রায়ই এমন হয়।ইন্টারমিডিয়েট বাদ দিলাম, আপনি অনার্সে পড়েন। একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করলেন।নিশ্চয়ই অনেক ছোট কারো সাথে করবেননা। মেয়েটা কম হলেও ইন্টারে পড়বে।
আপনি থার্ড ইয়ারে উঠলেন মাত্র,মেয়েটির বিয়ের প্রস্তাব আসছে তো আসছেই।কিন্তু আপনার কিছুই করার নেই।মুখে বুলি আওড়াবেন যে,"পালিয়ে যাব"। ধরে নিচ্ছি আপনি তাকে নিয়ে পালালেন।পরিবার এমন সম্পর্ক বা বিয়ে মেনে নিবে কি? নিশ্চয়ই না! যাই হোক,পালিয়েছেন যখন বেশ কিছু টাকা সংগ্রহ করতে হয়েছে নিশ্চয়ই। ছাত্র মানুষ,খুব বেশি হলে ৫০,০০০ টাকা যোগাড় করতে পেরেছেন। কতটা দিন চলবে? সংসার জীবনের প্রথম,খরচটা ঢের বেশি হবে।বড়জোর দুমাস।তারপর? উত্তরটা আপনার কাছেই থাক।এই সময়টাতে যতগুলা ঝড় তুফান আসবে সেগুলার জন্যও কতটা প্রস্তুত আপনি? এই উত্তরটাও থাক আপনার কাছে। শুধু একটি বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই " অভাব যখন দরজা দিয়ে ঢুকে,ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়"
ছাড়ুন এই প্রসঙ!
আপনি পালালেন না।মেয়ে মানুষ কতদিন ই বা বিয়ে আটকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে? আপনার উপরই বা সে আর কতটা ভরসা রাখতে পারবে? উত্তরটা আপনার কাছেই থাক।
ফলাফল= আপনি দেবদাস,সে পার্বতী।
পার্বতী কে হারিয়ে দেবদাস কতটা দিন স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করেছিল জানা আছে নিশ্চয়ই। আর পার্বতী ই বা কতটা সুখে ছিল! দেবদাসের নিশ্চয়ই পরিবার ছিল,পরিবারের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য ও ছিল।সব পালন করেছিল নিশ্চয়ই! তার চেয়েও বড় কথা হল,তাঁর ও একটি সুন্দর জীবন ছিল।
হ্যাঁ,,,ছিল।তার পরেও ছিল?
দূর! দেবদাস সেকেলে।সে কি আপনার মত পড়ালেখা করছে নাকি! যাই হোক,ঘটনার পর আপনার পড়ালেখা কেমন চলছে? আপনি একালের প্রেমিক,তাই হয়তো শক্ত আছেন কিন্তু কতটা পিছিয়েছেন? এই ঘটনার অন্যান্য প্রতিক্রিয়া বাদই দিলাম। কতটা সময় আপনার হতাশায় কেটেছে?
আচ্ছা আপনি কতদিন আয়ু পাবেন? জানেন না। জানার কথাও নয়। ধরি আপনি দুমাস সময় হতাশা বা নেশায় মগ্ন হলেন।ভাল কথা,এই ঘটনা আপনার হাতে সিগেরেট তুলে দিতে পারে। যেগুলোর প্যাকেটের উপর লেখা থাকে "ধুমপান মৃত্যুর কারণ" ক্যান্সার বা এই জাতীয় রোগে সৃষ্ট কিছু ক্ষতের ছবিও দেয়া থাকে।আর এই সিগেরেটের নেশাটা আপনাকে তখন থেকে বয়ে বেড়াতে হয়।
কোথা থেকে কোথায় যে হারাই!
ধরি আপনি দুমাস সময় জীবন থেকে নষ্ট করে দিলেন। একটি দিন বা একটি মাসের মুল্য কতটা জানেন? এমন কাউকে জিজ্ঞেস করুন,যার জীবনের আর মাত্র দুটি দিন বাকি আছে এবং এটা সে জানে। একটি মিনিটের মুল্য তাকে জিজ্ঞেস করুন যে ট্রেন মিস করেছে।তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে একটি মিনিটের জন্য তার সোনার হরিন খ্যাত চাকুরীর ইন্টারভিউ মিস করেছে।তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি কি বা কতটা হারিয়েছেন।
আচ্ছা ধরুন,আপনি গ্রাজুয়েশন শেষ করলেন।পোস্ট গ্রাজুয়েট হলেন।চাকুরি খুজছেন।ব্যস্ততা আপনাকে কোন পর্যায়ে নেবে বলুনতো? চাকুরিও পেলেন,তখন প্রেমিকা কে বিয়ে করার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিবেন? সমাজে একটি নিয়ম প্রচলিত আছে যথাসম্ভব কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করার।আপনার পরিবার ও নিশ্চয়ই তা ভিন্ন অন্য কিছু চাইবে না।দীর্ঘদিন সম্পর্কে সম্পর্কের আকর্ষণটা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
আপনার আকর্ষন হয়তো একটু বেশিই থাকবে।তবুও আপনি সমাজ বা পরিবারকে কতটাই বা উপেক্ষা করতে পারবেন! কারন আপনি তখন নিজেকে ভদ্রলোক হিসেবে দাবি করেন এবং লোকেও তাই ভাবে।তাছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার মাঝ হতে তারুণ্যের সেই আদিম উগ্রতা অনেকটাই কমে যাবে।
ফলে ব্যাপারটা অন্যরকম হওয়াই স্বাভাবিক।
আপনার মাঝে যদি সেই ১৮ বছর বয়সের আবেগ অনুভুতি থেকে যায়,তাহলে হয়ত ব্যাপারটা অন্যরকম না ও হতে পারে।বলতে পারেন "পিরিতি এই জগতে জাতি কুলের ধার ধারেনা" হুম,কথা সত্য।কিন্তু বিয়ে,পরিবার ও সমাজ কিন্তু জাতি কুলের ধার ধারে।
তাই বলে সম্পর্ক করবেন না? এই বয়সে আবেগী মন তো তাই চায়! ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রে ফলাফল ঠিক এমন না হলেও কাছাকাছি হয়ে যায়।
কি করবেন সেটার সিদ্ধান্ত নিতান্তই আপনার।ব্যক্তিগত ব্যাপার ও বলা চলে।
আমি আমার মতটা বলতে পারি।
সম্পর্কে যাওয়ার আগে ফলাফল কি হতে পারে তা বাস্তবতার আলোকে বিশ্লেষণ করে মাথায় রাখুন। ভাল হলে তো ভালই।আর না হলে সেই ধাক্কাটা সামলাতে পারবেন কিনা দেখুন।পারলে অবশ্যই এগিয়ে যান।
(লেখাটা পড়তে পড়তে বিরক্তি ধরে যাওয়ার কথা,আরে আমি তো লিখতে লিখতেই বিরক্ত।অযথা ত্যানা প্যাঁচানো হইতে দূরে অবস্থান করে বাধিত করিবেন।)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৩
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পার্বত্য চট্টগ্রাম- মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের চক্রান্ত চলছে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১


মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাসান মাহমুদ গর্ত থেকে বের হয়েছে

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১২


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল হাসান মাহমুদের সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। আমি ভাবতেও পারি নাই উনি এতো তারাতারি গর্ত থেকে বের হয়ে আসবে। এই লোকের কথা শুনলে আমার গায়ের লোম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দারিদ্রতা দূরীকরণে যাকাতের তাৎপর্য কতটুকু?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮



দরিদ্র দূরীকরণে যাকাতের কোনো ভূমিকা নেই।
যাকাত দিয়ে দারিদ্রতা দূর করা যায় না। যাকাত বহু বছর আগের সিস্টেম। এই সিস্টেম আজকের আধুনিক যুগে কাজ করবে না। বিশ্ব অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্তান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্তান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×