সে
সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদার টাকা না দিয়ে
লাশ হয়ে সে মর্গে গেল বউ ছেলেদের কাঁদিয়ে।
সেখানে তার লাশটা কেটে
রক্ত মাংস হাড্ডি ঘেঁটে
ডাক্তাররা অনেক খেটে
রিপোর্ট দিলেন,লোকটাকে খুন করা হয়েছে দা’ দিয়ে।
জনগনের সেবক এসে
নিশ্চয়তা দিলেন হেসে
খুনিরা যদি থাকে দেশে
লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেও লাভ হবেনা তা’ দিয়ে।
কূলখানিতে হুজুর এসে
ফতোয়া দিলেন মিলাদ শেষে
খোদার বান্দা খুন হলে সে
বেহেশতবাসি হবেই হবে হিসাব নিকাশ না দিয়ে।
তুমি
ছেলেমেয়ে নিয়ে শুরু হয়ে গেছে এবার তোমার পালা
ছেলেটিকে নাকি বখাটে বাবর বানাতে চাইছে শালা।
কলেজে যাবার পথের পাশে
বাবর এ্যানড্ গং প্রতিদিন আসে
কুৎসিত হাসি হাসে আর কাশে
ওড়নাটা ধরে টানাটানি করে বানিয়েছে ফালাফালা।
দাড়িওয়ালা ওসি বড় জ্ঞানী লোক
বললেন,এটা সামাজিক রোগ
আদিকাল থেকে আছে এই ঝোঁক
বোরখা না পরে বেড়ায় মেয়েরা,আমাদের হয় জ্বালা।
বোঝেনি মেয়েটা সময় থাকতে
নিজেকে এখন লুকিয়ে রাখতে
এসিডে পোড়ানো মুখটা ঢাকতে
বোরখা কিনেছে কালো দুই খানা একদম ঢিলেঢালা।
আমি
সবচেয়ে ভাল আমি আছি বাবা, ঝুট ঝামেলাটা নাই
যখন যা খেতে মন চায় সেটা প্রাণভরে খেতে পাই।
দু’বছর আগে বাংলা খেতাম
মাঝে মাঝে কিছু বিদেশী পেতাম
গাঁজার আসরে বিকেলে যেতাম
এখন খাচ্ছি হেরোইন, তবে ভাল লাগে ইয়াবাই।
বাবার পকেট ফাঁকা হয়ে গেছে
মায়ের গয়না হাপিশ হয়েছে
বোনের ফোনটা কোথা হারিয়েছে
কে জানেরে বাবা,নেশায় হারিয়ে নিজেরই হদিশ নাই।
কিছু খাই,কিছু বেচাকেনা করি
মামারা ধরলে হাতে পায়ে ধরি
যদি কিছু চায়,দিয়ে কেটে পড়ি
আর যদি রফা না হয় সেদিন হাজতে রাত কাটাই।
**********************************************************************************************************************
এই কবিতাটি ৮/২/১১ তারিখের দৈনিক কালের কণ্ঠে ছাপা হয়েছিল। কবিতাটি এখনও প্রাসঙ্গিক বিধায় ব্লগার বন্ধুরা যারা এটি পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম। ধন্যবাদ।
রি-পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭