শীতের মাঝপথে
রাস্তার কোণে বুড়ো
ষোড়োশী বারান্দায়
#আহসানের_হাইকু
হাইকুর সাথে পরিচিত আমি দু হাজার সাত থেকে ।
হাইকু পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো কাব্য ।
হাইকু শব্দ টি মূলত জাপানি ,
আর এই হাইকুর উতপত্তি জাপান থেকেই ।
হাইকু গঠিত হয় তিনটি লাইনে ,
এখানে কোনো দাড়ি কমা ব্যাবহার হয়না ।
তাই বলা যায় এটি এক লাইনেই গঠিত হয় ।
হাইকুর উদ্দেশ্য লেখক তিনটি লাইনে পাঠকের মনে একটি কল্পচিত্র তুলে ধরেন এবং পাঠক কে কল্পনার রাজ্যে ডুবিয়ে রাখেন ।
দু'হাজার সাতে আমি বিশ থেকে ত্রিশ টা পুরোনো বই ফুটপাত থেকে কিনি ।
সেখানে শ্রদ্ধেয় হাসনাত আব্দুল হাই এর একটা বই খুঁজে পাই যার নাম কিওতো হাইকু ।
এই বইটাতে জাপানি কবিদের কিছু বাংলা অনুদিত হাইকু পাওয়া যায় ।
তারপর থেকেই আমার হাইকু নিয়ে মাথা ব্যথা ।
হাইকুর সব চেয়ে বেশী চর্চা জাপনিদের মাঝেই দেখা যায় ।
এবং তা ধির ধিরে ইউরোপ এবং মার্কিন কবিদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে ।
জাপনি হাইকু মূলত সতেরটি দলে গঠিত হয় ।
প্রথম লাইনে পাঁচ দ্বিতীয় লাইনে সাত এবং শেষ লাইনে পাঁচ ।
৫ x ৭ x ৫ = ১৭ মোরাস/দল
কিন্তু বাংলা এবং ইংরেজী ভাষা জাপানি ভাষার উচ্চারণের সাথে অবশ্যই খাপ খায় না আর তাই এই সতেরটি মোরাস বা দল ছাড়াই হাইকুর লেখার প্রচলন হয় ।
তবে একটি আদর্শ হাইকু তে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষো ভাবে ঋতু বৈচিত্রের উল্লেখ থাকতে হবে ।
যেমনটা আমার লেখা হাইকু তে আমি প্রথম লাইনে ঋতু হিসেবে প্রত্যক্ষ শীতকে উল্লেখ করেছি ।
ঠিক সেভাবে আপনি পরোক্ষ ভাবেও উল্লেখ করতে পারেন বিভিন্ন ঋতুতে ফোটা ফুল অথবা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট দিয়ে ।
দেখুন মানুষ ভুলের উর্ধে নয় ।
আমি যতটুকু বই পত্র ঘেটে জেনেছি তাই তুলে ধরলাম ।
আপনি আরও কিছু জেনে থাকলে উপকৃত হব যদি আমাকেও জানান ।
পরিশেষে আপনিও একটু চর্চা করুন তো দেখি ।
কমেন্ট বক্স তো খোলাই আছে ।
দেখি কে কেমন লিখেন ।
©নাসিমুল আহসান