ব্রাউজারের মধ্যে মাইক্রোসফটের Internet Explorer সবচেয়ে বেশি বাজার দখল করে আছে। বাজারের ৬৫% ই মাইক্রোসফটের, ২৫% Mozilla Firefox ও ১০% অন্যান্য (Latest Update).
আপনাদের কে এ কথা বিশ্বাস করতেই হবে যে গুগল ক্রোম মজিলা ফায়াফক্স এর চেয়ে ফাস্ট। যদিও ইন্টানেট ব্রাউজিং এর স্পিড আপনার সার্ভিস প্রোভাইডারের ওপর নির্ভর করে, তবুও আপনি দুটো সাধারণ স্পিডে কম্পেয়ার করে দেখতে পারেন। রেজাল্টে অবশ্যই গুগল ক্রোম ফাস্ট। গুগল ক্রোম পেজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ইমেজ লোড করে নিয় একসাথে ধাপে ধাপে খোলে। খেয়াল করে দেখবেন, গুগলে প্রথমে হালকা টেক্সট (রিচ টেক্সট নয়) তারপর ইমেজ খোলে। এতে মেমোরি মজিলার চেয়ে ২০% সাশ্রয় হয়।
এখন আশা যাক আসল আলোচনায়,
গুগল ক্রোম ফাস্ট, ঠিক আছে। কিন্তু এতে বাঙলীর ব্যবহার করতে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন এখানে বাংলা টেক্সট লোড করতে সমস্যা করে। আবার যাদের ডায়াল-আপ মডেম, তাদের গুগল ক্রোম একসাথে পেজকে টেনে আনে বলে বিভিন্ন ইমেজ দেখানো সম্ভব হয় না। আর গুগল ক্রোমে মজিলার কোন প্লাগ-ইনই সাপোর্ট করে না। যারা গুগল মত ফাস্ট স্পিড ব্যবহার করতে চান আবার মজিলার সব সুবিধা পেতে চান তাদের জন্য থাকছে Pale Moon Web Browser. এটি মজিলার চেয়ে বেশি সক্রিয়।
যেভাব কাজ করেঃ
এটি মজিলার কোডের ও প্রোগ্রামিং সংকেত রিকমপ্লাই করে তৈরি একটি নতুন প্রোগ্রাম। আপনি যখন এতে ব্রাউজ করবেন, দেখলে মনে হবে পুরো মজিলা ফায়ারফক্স। ফায়ার ফক্সের সাথে এর চুল/পরমাণু পরিমাণও তফাৎ নেই। দেখলে মনে হয়, শধু লোগো ও নাম ভিন্ন। এমনকি ইন্সটলারও একই। তবে তফাৎ হচ্ছে এর ভেতরের প্রোগামিং-এ। ওপেন সোর্স বলে আপনি নিজেও এটি এডিট করতে পারবেন। ফায়ারফক্সের চেয়ে এটি বেশি সক্রিয় ও ফিল্টার উন্নত ও সমৃদ্ধ। ব্রাউজিং স্পিড প্রায় ২৫% বেশি।
সুবিধা সমূহঃ
১। ফায়ারফক্সের প্রায় সব প্লাগ-ইন কাজ করে।
২। দেখতে হুবহু ফায়ারফক্সের মত
৩। ওপেন সোর্স
৪। ব্রাউজিং স্পিড বেশ ভাল
এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কেন ফায়ারফক্স বাদ দিয়ে এটি ব্যবহার করবেন। এক ঢিলে দুই পাখি মারা
আপনিও মজিলা ফায়ারফক্স এর পাশাপাশি এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ডাউনলোড ও হোম পেজ
Palemoon ORG