সাধারণত হরতাল,অবোরধে অফিসের গাড়ি দেয় না (গাড়ির দাম মানুষের চেয়ে বেশি মে বি )l তখন সাধারণত লোকাল বাস,লেগুনায় অফিস যাই।লেগুনায় উঠতে গেলে ভয় হয়,মনে হয় যে ছোট সাইজের লেগুনায় যদি আগুন দেয় তাহলে ত সেটার ভিতরেই ইন্সট্যান্ট কাবাব হয়ে যাব।নিজের মনকে বুঝ দেয়ার জন্য বড় বাস খুজি।সাধারণত বাসেই উঠি।উঠে আসে পাশে তাকাই,ভেবে রাখি যে কোন জানালা দিয়ে লাফদেয়া যাইতে পারে।কিন্তু এত ভেবে কি আর হবে। যেখানে খোদ রাজধানীতেই শেরাটনের সামনে,শাহবাগে বাসে আগুন দিয়ে কাবাবের গন্ধ পাইতে চায় কিছু স্বজাতিভক্ষিরা এবং সেই সময় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনিও মধ্য আঙ্গুল চুষে তামাশা দেখে,সেখানে বেরিবাধের মত নির্জন এলাকায় অথবা সাভারের হাইওয়েতে যদি হিউম্যান গ্রিল,বারবিকিউ কেউ করতে চায় তাহলে কে ই বা বাধা দিতে পারবে।
আমি এটা ভেবে পাইনা যারা এভাবে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়ায়,কোপায় ( বিনপি না লিগ না জামাত কারো সাপোর্ট এ আইসেন না,সব রসুনের গোড়া এক) তারা দিন শেষে খায় কিভাবে,কিভাবে তাদের প্রিয়জনদের হাত ধরে কিভাবে তাদের বাসার শিশুদের কোলে নেয়, কিভাবে রাতের বেলায় শান্তির ঘুম দিতে পারে।ছোট বেলায় পড়েছিলাম মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব,কিন্তু এখন মনে হয় মানুষ মোটেও সেরা না,এরা ক্যনিবালিজমের ফরম্যাটটা শুধু পরিবরতন করছে।খাওয়ার বদলে ঘ্রাণ নিয়ে মজা পায়।
অধিকাংশ সময় যারা আগুন দেয়,কক্টেল ফুটায় অথবা কোপাকোপি করে তাদের চেহারা ঠিক-ই ক্যমেরা বন্দি হয়,কিভাবে যেন সাংঘাতিকরা সে সময়ই উপস্থিত থাকে।তাদের ধারণকৃত ছবি দেখে কয়জনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে?এখজনকেও মনে হয় না।
জানি যে সবাই বলে আর্মি খারাপ,পাছায় কষায়া লাত্থি দেয় ,গনতন্ত্রের গলা চিপে ধরে,বিরোধীমতদের গুম করে হেন তেন,ব্লা ব্লা ব্লা। কিন্তু আমি মনে করি,এই গুপ্তকেশ টাইপের জঘণ্যতন্ত্রের চেয়ে,জীবন্ত কাবাব হওয়ার চেয়ে, জলপাই রঙের পোষাকধারীদের কাছ থেকে তিনবেলায় তিন দুগনে ৬ টা পাছায় লাত্থি খাওয়া অনেক শ্রেয়।