যদি আমার জানা ভুল না হয়ে থাকে তবে,ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররা গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরী নিবন্ধন পেয়ে জান। তাদের কোন অতিরিক্ত পরীক্ষা দেয়ার প্রয়োজন হয়না।
এবার আসা যাক ফার্মাসিস্টদের কথায়। ফার্মেসি অ্যাক্ট-১৯৭৬’ অনুযায়ী নবীন ফার্মাসিস্টদের নিবন্ধন প্রয়জন।কিন্তু এও নিবন্ধন ঝুলে আছে চার বছর ধরে।পরীক্ষা নিয়ে নিবন্ধন দিবে নাকি পরীক্ষা ছাড়া সেটা নিয়ে হয়ে গেছে ২টা গ্রুপ।
পরীক্ষা ছাড়া নিবন্ধনের পক্ষে যারা তাদের কথা হচ্ছে যারা চার বছর পড়ে পাশ করেছে তারা নিবন্ধন পাবার যোগ্য।
অন্য গ্রুপের কথা হচ্ছে,এই পরীক্ষা না নিলে ফার্মাসিস্টদের কোয়ালিটি নিশ্চিত সম্ভবনয়।
আমার হিসেবে পরীক্ষা ছাড়াই নিবন্ধন দেয়া উচিত।কারন আমারা চার বছর ঘাস কাটি নাই,কিছু হইলেও পড়ালেখা করছি।তা না হইলে পাশ করা সম্ভব হইত না।
এই ব্যপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক আ ব ম ফারুক সুন্দর কথা বলেছেন,তিনি বলেন,“ফার্মেসির শিক্ষার্থীরা মেধার স্বাক্ষর রেখে উত্তীর্ণ হয়। তাই, এক ঘণ্টার টিক মার্কের (চিহৃ দেওয়া)পরীক্ষা নেওয়া হাস্যকর। মূলকথা হলো, এটা দুর্নীতির একটা বড় রাস্তা।” ফার্মেসি কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনাদের চেয়ে ভালো ছাত্ররা এখানে বসে আছেন।আপনাদের চেয়ে তারা পিছিয়ে নেই। আর আপনারা মান যাচাইয়ের কথা বলেন!”
আসলেই আমরা জানি না যে পরীক্ষার ফর্ম বিক্রির টাকা কাদের পকেটে যাবে।প্রশ্ন নিয়ে বাণিজ্য হবে না এর নিশ্চয়তা কি।
যারা এই পরীক্ষার জন্য এত আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা যারা হেবি ওয়েট ফার্মাসিস্ট তারা তো কোন নিবব্ধন পরীক্ষা দেন্নি,আপনাদের সময় কোন নিবব্ধন পরীক্ষাও ছিলনা,এমনি এমনি নিবন্ধন পেয়ে গিয়েছিলেন।আপনারা কিভাবে ভাবেন যে আপনাদের থেকে আমাদের যোগ্যতা কম।আপনারাও তাহলে পরীক্ষা দেন,দেখি আপনাদের মান কেমন।
যদি ফার্মাসিস্টদের মান উন্নয়ন করতে চান তাহলে সিলেবাস মডিফাই করুন,রিসার্চ এর সংখ্যা বাড়ান।আপনারা তা করবেন না,আপ্নাদের মাথায় শুধুই ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা।
{অনেকেই এখনে পাবলিক ,প্রাইভেট ক্যচাল আনতে পারেন বিশায় আমি বলে রাখছি যে আমি পাবলিক ইউনিভারসিটির}