দুর্নীতি আজ আমাদের সমাজের একটা প্রথা । মানুষ কোন না কোন উপায়ে অর্থ সম্পৎ অর্জন করবে আর তা ভোগ করবে পুঁজিবাদী দেখানো পথে । পুঁজিবাদী সমাজ এর সাথে দোস্তি বাঁধে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো । সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারবে না যে সে জন্মের পর খাটনি , কবর আবদি সাম্রাজ্যবাদীদের তার অর্থ , সম্পদ জীবন দিয়ে সাহায্য করছে । সে নিজেই সাম্রাজ্যবাদীদের এক অংশ হয়ে উটেছে ।সাম্রাজ্যবাদী মানুষিকটা বাস আমাদের মনের গহীনে । তার প্রভাব পড়ে সমাজে । যে সমাজ টা আবার তার চেয়া বড় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে বন্দী । আমরা তাদের সিস্টেম এর হাতে বন্দী । বাক্তি মানুষ তার ভোগ লালসার হাতে বন্দী ।আর সমাজ বন্দী পুঁজিবাদীদের তৈরি ভোগের লালসার হাতে ।মানুষ তার বাক্তি ভোগের সাথে খাপ খাওয়ে চলতে পারলেও পুঁজিবাদী সমাজ তৈরি ভোগ কে সে খাপ খাওতে পারে না । যে টা চরম প্রসারমান । যার হাতে রয়েছে সমাজের সকল মিডিয়া । সব সমায়ে মিডিয়া গুলো ভোগ পণের কবিতা পাত করতে থাকে । আর মানুষ তের নিজের ভোগ কে তখন বৈশ্বিক করে তোলে ।আর ভোগের পণ্য তাকে সাহস যোগায় দুর্নীতি করতে ।ভোগ আর দুর্নীতি পাশাপাশি শক্তি হিসাবে কাজ করে । একতা বাড়লে আর একটা বারতে থাকে ।অথচ মানুষের প্রতি এই সমাজ ,রাষ্ট্র এর সাথে ক্যামন অবস্থান বজায়ে রাখবে ? কিভাবে মানুষ তার অর্থনৈতিক , সামাজিক জীবন কে নিয়োজিত রাখবে ।আমরা কোন কিছু আত্মসাৎ করাকে দুর্নীতি বলি ।আমি যখন আমার দায়িেত্ব উদাসীন তাকে দুর্নীতি বলি না । আমাদের সামনে উত্তম আদর্শে , শান্তিপূর্ণ ভাবে চলার বাবস্থা আছে তা উদাসীনতা আর ভোগবাদীতার কারণে প্রত্যাখ্যান করছি তাকে দুর্নীতি কিম্বা বিচ্যুতি বলছি না ।আমাদের সমাজে যখন দুর্নীতি , অসমতা বেড়েই চলছে তখন কি আমরা অন্য কোন অপশন গ্রহণ করব না ?নিচে অর্থনৈতিক সাম্য , ইনসাফ এর জন্য আল্লাহ -নবীর কিছু নমুনা আছে । যারা সারা জীবন কমিক্স পড়ে বড় হয়েছেন তারা দূরে থাকুন ।আর যারা আকল খাটাতে সামান ইচ্ছুক তাদের জন্য কিছু নমুনা । আর এটিই হবে আল্লাহর পথ ।
“আল্লাহ্ তা‘আলার নেক বান্দা হলো ঐ সকল লোক যারা ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপব্যয়কে প্রশ্রয় দেয় না আর কৃপণতাও করে না। বরং এই দু’টি পথের মধ্যে অবস্থান করে ব্যয় করে থাকে।” –সূরা আল ফুরকান: ৬৭
“তারা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে যে, তারা কি ব্যয় করবে? তাদেরকে বলে দাও, যা তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত (তাই ব্যয় করো)”–(সূরা আল বাকারাঃ ২১৯)
“লোকেরা জিজ্ঞেস করছে, আমরা কি ব্যয় করবো? বলে দাও, যে উত্তম বস্তুই তোমরা ব্যয় কর না কেন তা হবে- পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকিন ও মুসাফিরদের জন্য আর তোমরা যে সৎকাজই করবে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবগত”।(সূরা বাকারাঃ ২১৫)
“তোমাদের মুখ পূর্ব দিকে বা পশ্চিম দিকে ফিরানোর মধ্যে কোন পূণ্য নেই। বরং পূণ্য হচ্ছে, মানুষ আল্লাহ, কিয়ামতের দিন, ফেরেশতা, আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব ও নবীদের প্রতি ঈমান আনবে এবং সম্পদ দান করবে আল্লাহর প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আত্মীয়-স্বজন, এতীম, মিসকীন, মুসাফির, সাহায্য প্রাথর্ীগণকে এবং দাস মুিক্তর জন্য। আর নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে, অংগীকার করলে তা পূর্ণ করবে এবং বিপদে-অনটনে ও (হক-বাতিলের) সংগ্রাম- সংকটে ধৈর্যধারণ করবে। তারাই সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী” । (সূরা বাকারাঃ ১৭৭)
“সে তো বন্ধুর গিরিপথে প্রবেশ করেনি।তুমি কী জান বন্ধুর গিরিপথ কী?তা হচ্ছে: দাসমুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে আহার্য দান ইয়াতীম আত্মীয়কে, অথবা দারিদ্র-নিষ্পেষিত নিঃস্বকে,তদুপরি সে অন্তর্ভুক্ত হয় মুমিনদের এবং তাদের, যারা পরস্পরকে উপদেশ দেয়, ধৈর্য ধারণের ও দয়া-দাক্ষিণ্যের;” (সূরা বালাদঃ ১১-১৭)
“আর সদ্ব্যবহার করো নিজের মা-বাপ, আত্নীয়-স্বজন, অভাবী-মিসকীন, আত্নীয় প্রতিবেশী, অনাত্নীয় প্রতিবেশী, নিজের মোলাকাতি বন্ধুবর্গ, মুসাফির ও মালিকানাধিন দাস-দাসীদের সাথে।” (সূরা আন নিসাঃ ৩৬)
“নিজের নিকটাত্নীয়কে তার অধিকার পৌঁছিয়ে দাও এবং মিসকিন ও মুসাফিরদেরকেও তাদের অধিকার দান করো। বাজে খরচ করোনা। যারা অযথা ও বাজে খরচ করে তারা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রব-প্রতিপালকের প্রতি অকৃতজ্ঞ না-ফরমান।”–(বনী ইসরাঈলঃ ২৬-২৭)
“আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল”। (সূরা তওবাঃ ৪১)
“পুনরায় তাকে শৃঙ্খলিত কর সত্তর হাত্ দীর্ঘ এক শিকলে', সে মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল না,এবং অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহিত করতো না”।(সূরা হাককাঃ৩২-৩৪)
“তুমি কি দেখেছ তাকে, যে দীনকে অস্বীকার করে? সে তো সে-ই, যে ইয়াতীমকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়,এবং সে অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ দেয় না”। (সুরা আল মাউন: ১-৩)
“ খাদ্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে,এবং বলে, 'কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদেরকে আহার দান করি, আমরা তোমাদের নিকট হতে প্রতিদান চাই না, কৃতজ্ঞতাও নয়” (সূরা- দাহর বা ইনসানঃ ৮-৯)
“যে স্বীয় সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধির জন্য, এবং তার প্রতি কারও অনুগ্রহের প্রতিদানে নয়, কেবল তার মহান প্রতিপালকের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়; সে তো অচিরেই সন্তোষ লাভ করবে” ( সূরা লায়লঃ১৮-২১)
“ না, কখনও না। বরং তোমরা ইয়াতীমকে সম্মান কর না, এবং তোমরা অভাবগ্রস্তদেরকে খাদ্যদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না, এবং তোমরা উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য সম্পদ সম্পূর্ণরূপে খেয়ে ফেল, এবং তোমরা ধন-সম্পদ অতিশয় ভালবাস; ইহা সংগত নয়”।(সূরা ফাজরঃ১৭-২১)
“যারা নিজেদের ধন-সম্পদ দিনরাত প্রকাশ্যে ও গোপনে ব্যয় করে, তাদের প্রতিদান রয়েছে তাদের রবের কাছে এবং তাদের কোন ভয় ও দুঃখ নেই” ।(সূরা বাকারাঃ ২৭৪)
এখানে মনে হতে পারে শুধু কিউ বানী এর সমাহার ।তবে এটা এখানে উল্লেখ করার কারণ হল সমাজে দুর্নীতি সম্পর্কে যে পুঁথিগত ধারণা তার সাথে সমাজে সঙ্গটিত দুর্নীতিয়ের সংজ্ঞাগত যে অমিল তা বুঝানোর জন্য ।আমি যদি এই কাজগুলো না করি তাহলে আমি দুর্নীতি গস্থ ।আবার মানুষ তার ভোগবাদী মানুসিকতাকে রেখে দুর্নীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। মানুষ যখন সমজের মানুষের সম্পদ যেমন - যাকাত প্রদান করে না তাকে ক্যান আমরা আধুনিক নীতির ভাষায়ে দুর্নীতি বলি না ।আবার আধুনিক সমাজে একজন মানুষ অধিক সম্মত নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রেখে ভোগবাদী জীবনে মেতে আছি তাকে দুর্নীতি , কিম্বা অপরাদের কাজ বলি না । তাহলে কিভাবে দুর্নীতি রোধ হবে ।একদিকে আমি দুর্নীতি রুখতে বলব আবার ভোগবাদী , পুঁজিবাদী সংস্কিতি এর পূর্ণ বিকাশ এর রাস্তা প্রসারিত করব তখন তা থেকে মুক্তি সম্বব না । এই কারণে ইসলাম আমি দুর্নীতি রুখতে কলচারালি ও মানসিক শক্তি নিয়ে হাজির হয় তারই একটা নমুনা উপরে কিছু তুলে ধরা হয়েছে ।আপনি বলুন একজন মানুষ ক্যান দুর্নীতি , বা অপরাধ কর্ম করে ভোগবিলাসে ঘা বাসাতে চাইবে না যে মনে করে এই দুনিয়া তার শেষ ।ভোগই তার জীবন । ইসলাম এখানে বলছে এর বাইরে আর একটা জীবনের সুখের কথা । আপনি একটা ছাড়েন আর একটা পাবার আশায় । এই যে ফ্লেক্সিবিলিটি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এটা বাক্তির মধ্যে একটা মানসিক , আত্মিক শক্তি তৈরি করে নিজেকে অপরাধ ও দুর্নীতি থেকে দূরে রাখে ।বিত্তশালী ব্যক্তির নিকট যে অর্থ সম্পদ সঞ্চিত হয় ইসলামের দৃষ্টিতে তা অপবিত্র এবং তার মালিক তা থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে একটি বিশেষ পরিমাণ আল্লাহর পথে ব্যয় না করা পর্যন্ত তা পবিত্র হতে পারেনা। আল্লাহর পথে এ শব্দটির অর্থ কী? আল্লাহ কারোর মুখাপেক্ষী নন। তাঁর পথ বলে একথাই বুঝানো হয়েছে যে, বিত্তশালীদের সম্পদ ব্যয় করে জাতির দরিদ্র ও অভাবি লোকদেরকে সচ্ছল করার চেষ্টা করতে হবে এবং এমন সব কল্যাণমূলক কাজে এ সম্পদ নিয়োগ করতে হবে যা থেকে সমগ্র জাতি লাভবান হতে পারবে।
“মূলত সাদকা-যাকাত হচ্ছে ফকির ও মিসকিনদের জন্য এবং তাদের জন্য যাদেরকে সাদকা আদায়ের কাজে নিযুক্ত করা হয়, তাদের জন্য যাদের হৃদয়কে শক্তিশালী করার প্রয়োজন হয়৩, লোকদেরকে বন্দীত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্য এবং মুসাফিরদের৪ জন্য।”–(সূরা আত তাওবাঃ ৬০)
এভাবে পথ উত্তোলনের জন্য করনিও ও ভবিষ্যতের জীবন ভাবনা বাক্তির করমকে অর্থহীন করবে । একদিকে শাস্তি ভাবনা আরও সৃজনশীল ও কর্মমুখী করে অনধিকে ভবিষ্যৎ সুখ তার মধ্যে পেরনা যোগায় । দুনীতি , অপরাধ প্রবনাতা কমতে থাকে ।বিনয়ই হয় কারণ সে মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ।