বৈশাখের অপ সংস্কৃতি হিসেবে পান্তা ও ইলিশের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালনা উচিৎ , গ্রামীণ জীবনে ফ্রিজের ব্যবহার না থাকায় পান্তা ভাত রাত্রে খাবার শেষে পানি দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা হতো । সেই সংরক্ষিত ভাতের সাথে পূর্ব ও উত্তরবঙ্গের মানুষ দুস্প্রাপ্য ইলিশ ভাজা দিয়ে খাওয়ার কোন ইতিহাস জানা নেই । এমনকি দক্ষিন বঙ্গে এই ইলিশ সহজ লভ্য হলেও পান্তা ভাতের সাথে খাওয়ার কোন প্রচলন পূর্বের সাহিত্যে বা উপন্যাসে বা সংস্কৃতিতে কোথাও পাওয়া যায় না । এই পান্তা ইলিশের একটা ছোট সংস্করন প্রচলিত ছিল সাগরের বা বড় নদীর জেলেদের মাঝে । জেলেরা রাতের পান্তা ভাতের সাথে নৌকার সংরক্ষিত ইলিশ মাছ ভাজা উপায়ন্তর না পেয়ে খেতে বাধ্য হতো । পান্তা ভাত দিয়ে ভাজা ইলিশ মাছ মোটেও কোন সুস্বাদু খাবার নয় । পান্তা ভাত শহুরের মানুষদের খবার নয় । আসল পান্তা ভাত খেলে শহুরের মানুষদের পেটের পীড়ার সম্ভাবনা আছে । তারপরও প্রথম আলোর রেসিপিতে দেখলাম লিখেছে গরম ভাতে পানি দিয়ে রেখে তারপর ইলিশ ভাজা দিয়ে খেতে । পান্তা ইলিশ বাঙ্গালী হেরিটেজ বা ঐতিহ্যগত খাবার নয় ।
বাঙ্গালী ঐতিহ্যগত বৈশাখী খাবার হচ্ছে পান্তা ভাতের সাথে চেপা শুটকি ভর্তা , কাচা মরিচ ও পেয়াজ এবং গরম ভাতের সাথে শিম, ঢেঁড়স, ডাল , আলু ইত্যাদি ভর্তা । পহেলা বৈশাখ কৃষকের অভাবের চরম অভাবের দিন ।
তাই লুটেরা কালো পুজির অর্থনীতির অপ সংস্কৃতি এই পান্তা ইলিশের বিরুদ্ধে একটি জোরাল সাংস্কৃতিক আন্দোলন চালানো উচিৎ ।
আমি এই বৈশাখে ইলিশ মাছ বর্জন করে দেশি রিটা মাছ দিয়ে দুপুরের খাবার ও রাত্রে পাইন্না খিচুরি দিয়ে ঝোল মাংসের আয়োজন করেছি । সকলকে আমন্ত্রণ ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৭