somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুঠোফোনের বাস্তবতা

৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক টুকরো কনভার্সেসন.…

-আমাকে কি মাফ করা যায় না?
-না,সব শেষ।তোমার কাছে আর ফিরতে চাই না আমি।
-একটা লাস্ট রিকুয়েস্ট রাখবা?
-চেষ্টা করবো,বল।
-আমি লাস্ট একটাবার দেখতে চাই,তোমাকে।
-সম্ভব না
-কেনো সম্ভব না।আমি কোনো কথা বলবো না,জাস্ট একটাবার দেইখাই চইলা যাবো।
-পারবো না
-তোমার ভয় নেই,আমাদের মধ্যে নতুন করে আর কিচ্ছু হবে না।আমি বলতেছি।আমি শুধু একবার দেখবো তোমাকে,এই শেষবার।
-পারবো না
-আমি আজকে ঢাকা থেকে আসতেছি।কালকে সকাল ১১ টায়,আমি আসবো তোমাকে দেখতে।
-আমি পারবো না দেখা করতে…
-সেইটা তোমার ব্যাপার
..…..…..…..…..…..…..…..…।

দশ দিন আগের কথা।

-নিলয় কই তুমি?
-এইতো বাসায়…
-সকাল থেকে একবারো মেসেজ দিলা না।কি হইছে তোমার ইদানীং…!
-কি হইছে মানে?কি হবে আবার?
-আচ্ছা তুমি কি আমায় ইগনোর করতেছো?
-আবার শুরু করলা তুমি…?রোজ রোজ এক কথা আর ভাল্লাগে না।
-হুম করলাম,তুমি সেই আগের নিলয় নেই…
-উফ জারা আমি নিতে পারতেছি না আর এইসব।
-কি চাইতেছো তুমি?
-আমি ব্রেক-আপ চাইতেছি।
-তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
-হুম,আমার মাথা ঠিক আছে।
-আচ্ছা বেশ।আর জোর করবো না।অনেক বার করছি।এইবার হয়তো তুমি চাইলেও আর ফিরতে পারবো না আমি।তোমার চাওয়া পাওয়ার সাথে আমার চাওয়া কখনোই মিলে নাই,তবুও আকড়ে ধরে ছিলাম,শুধু তোমার ভালোবাসি বলে।তবে আর না।
-হুম,বাই…ভালো থাকো তুমি।

এরপরে নিলয় যতবারই জারাকে নতুন করে সব শুরু করার অনুরোধ করে,প্রতিবারই জারা অসম্মতি জানায়।সে তার সিধান্তে অটল

সকাল ১১ টা

নিলয় দাড়িয়ে আছে।তার বিশ্বাস জারা আসবেই।হুম সে আসবেই।
জারা তা বিশ্বাস রেখেছে।শুধু দেখা করতে এসেই না,সে আজকে নিলয়ের দেয়া ড্রেসটা পড়ে এসেছে।এই কথাই তো ছিলো,যখন নিলয় ঢাকা চলে যায়।

-কেমন আছো জারা?

একটা প্রশ্ন,তবে উত্তরটা দুইরকম।একটা উত্তর জারা নিজে দেয়,যে সে খুব ভালো আছে।আরেকটা দেয় তার চোখের জলের সাথে একাত্ব ঘোষনা করা কালো কাজল,যে সে ভালো নেই।
-জারা আই এ্যাম সরি।প্লিজ মাফ করো আমাকে।আর কখনো হবে না এমন।কথা দিচ্ছি।
জারা কিছুই বলে নে,শুধু নিলয়কে গিয়ে জাপটে ধরে,আর কান্না করে।হাজার বছরের জমানো সে কান্না।এ কান্না শেষ হবার নয়।

বাস্তবতা দুই প্রকার।এক মুঠোফোনের বাস্তবতা অন্যটা বাস্তব বাস্তবতা।বেশীর ভাগ মুঠোফোনের বাস্তববাদীরাই বাস্তব বাস্তবতা মেনে নিতে পারে।আর ভালোবাসা চিরদিন ভালো থাকে,এইসব মুঠোফোনের বাস্তববাদীদের জন্য..…..…

লিখা-আহমেদ সোহান
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইহাকেই বলে আগবাড়িয়ে মাড়া খাওয়া

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯


শিক্ষিত জঙ্গি মোদী ভোটের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই হাসিনার মতো জঙ্গি নাটক সাজায়; দুজনের পার্থক্য হলো হাসিনা নিজদেশের জনগন হত্যা করে নিজদেশের জনগনকেই দোষ দেয় অপর দিকে মোদী নিজদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=চায়ের আসরে গল্প বলার দিনগুলো সেই= (চায়ের কাপে টুংটাং সুর-৮)

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১



হারিয়ে গেল কালের অতলে বিকেলের চায়ের আয়োজন
গোল বৈঠক উঠোনে, চারপাশে কত প্রিয়জন
উষ্ণ চা সাথে মুড়ি
ঠোঁটে উড়তো কত কথার ফুলঝুরি।

টিভি সিরিয়াল আর ইন্টারনেট
ইনবক্স আর চ্যাট
কেড়ে নিল সুন্দর সময়গুলো
আন্তরিক সম্পর্কগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণহত্যাকারী দল জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হোক!

লিখেছেন সৈয়দ তাজুল ইসলাম, ১৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:৫০



জামাত শিবির সুযোগ পেলে আবারও প্রকাশ্যে বাঙালী গণহত্যায় যুক্ত হবে, আওয়ামিলীগের পূনর্বহালের কথা ভাবতে গেলেই এই বিশ্বাসটা দৃঢ় হয়। এই হিসেব মিলাইতে গেলে আপনার রকেট সাইন্স... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাসুদ(শাহবাজ ) তোমরা কি আর ভালো হবা না ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৯


বাংলাদেশপন্থীরা ভারত ও পাকিস্তানপন্থীদের হাউকাউতে অতিষ্ঠ। ভারত ও ভাদা রা মনে করে ১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। অন্যথা বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্বশুর বাড়ীর ভূতের যাতনা: সত্য ঘটনা অবলম্বনে

লিখেছেন অপলক , ১৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৪১

নিচের ঘটনাটা দিনাজপুর, উপশহরের। ঘটনাগুলো জেনেছি আমার স্ত্রীর কাছে।



আমার শ্বশুর শহরের পাশে একটি পুরাতন টিনের বাড়ি কেনেন। বাড়ির প্রথম মালিক ছিলেন একটি হিন্দু পরিবার। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×