somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আহমদ হাসান
জন্ম: ১০ ই শ্রাবন (২৭ জুলাই), ১৯৮৩ । B. A. & M. A ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কাজের মধ্যে একটাই ভাল পারি- পড়া। যেকোনো সূখপাঠ্য বই। জীবন দর্শন: সত্য সন্ধান। I AM A TRUTH-SEEKER. খুঁজতেছি। পেলে জানাবো।

চরমপত্র (পাঠ অনুভুতি)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চরমপত্র।

“চরমপত্র” কি বই এর নাম?

যদি বলি হাঁ এটা বই, তাহলে মুশকিলে পড়বো।

যাদের বয়স ৬০ বা তার বেশী তারা টুটি চেপে ধরবেন।
কারণ চরমপত্র তাঁদের কাছে কোনো পুস্তকের নাম নয়।
চরমপত্র তাদের কাছে অন্য কিছু। যার সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস।
আরো আরো অনেক কিছু।

২৫ মে ১৯৭১।
এদিন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরূল ইসলামের জন্মবার্ষিকী।
আর এদিন চরমপত্রের জন্ম।
জন্ম নিয়েই এই শিশুটি কথা বলা শুরু করেছে।
থেমেছে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ।
কথা বলতো অন্চলিক ভাষায়।
দেশের প্রায় সব অন্চলের ভাষা সে বলত, বেশী বলত পুরাণ ঢাকার ভাষা।

খোলাসা করি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” থেকে প্রতিদিন যুদ্ধের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণাদায়ক যে ’রচনামূলক-শ্রুত্য’ অনুষ্ঠান প্রচারিত হত তা “চরমপত্র” নামে খ্যাত।
এর চরয়িতা, কন্ঠদাতা এবং পরিচালকের নাম এম. আর. আখতার মুকুল (১৯৩০-২০০৪) ।

২৫ মে থেকে ১৬ ডিসেম্বর কমবেশী ২০০ দিন।
১১৭ দিন চরমপত্র রচনা এবং পাঠ করেণ তিনি।
এ কাজ করতে তার ভাষায়-অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছে।

২০০০ সালে এই অসামান্য রচনাটি পুস্তক আকারে বের হয়েছে।
পড়ার পরে আমারও মনে হয়েছে- তাইতো কিভাবে সম্ভব !!! কি অমানুষিক পরিশ্রমইনা করেছেন !!!
ভোর ৪ টায় প্রতিদিন ঘুম থেকে জাগতেন।
চরমপত্র লিখতে বসতেন, লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার স্ত্রী সকালের খাবার দিতেননা।
স্ত্রীর এক কথা - রনাঙ্গনে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা বসে আছে তোমার কন্ঠ শোনার জন্য।

চরমপত্র শুনে মুক্তিযোদ্ধারা নবোদ্যমে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়তেন।
গৃহবন্দি সাধারণ মানুষ রেডিওটা ঘিরে গোল হয়ে বসত চরমপত্রের আশার বানী শোনার জন্যে।

আখতার মুকুল চরমপত্র অনুষ্ঠান মাঝে মধ্যে বিরতি দিয়েছেন দু-চারদিনের জন্যে।
এসময় তিনি সরেজমিনে গিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে।
মুক্তিযোদ্ধা আর সাধারণ মানুষের ভালবাসা তাকে পাগল করে দিয়েছে।
পাগল না হলে এমন কাজ করা যায়না !!

Youtube এ অডিওগুলি শুনলে আমার কথা বাহুল্য মনে হবেনা।
যারা ১৯৭১ এ ট্রানজিস্টারে শুনেছেন তারা আবার হারিয়ে যাবেন ৪৬ বছর দূরের কোনো এক মাতাল দিনে।
আর আমাদের জেনারেশন জানবেন- আমাদের পূর্বপুরুষদের মহিমাময় সোনালী স্মৃতিগুলি।
সর্বশেষ পর্ব অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর দিনের পর্বটা ছবি তুলে দিচ্ছি।
এবং youtube এর লিংক youtube

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বৈপ্লবিক ছন্দ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৫ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:১২




বছর তিনেক আগে রাজু ভাস্কর্যের সামনে উড়ন্ত ভঙ্গিতে ছবি তুলেছিলো একটা মেয়ে। তার নাম ইরা।

ইরার ওই ছবিটাই হওয়া উচিত বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতীক। আমাদের মেয়েদের মেধা আছে, অদম্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম ও তার আসল বাস্তবতা

লিখেছেন নীল আকাশ, ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭







বাংলাদেশের ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার নামে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো দেশের মানুষের সাথে ভন্ডামি করে বেড়াচ্ছে তাদের জন্য উপরের ছবিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‌এই সমস্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমি সমস্যার সমাধান কি?

লিখেছেন প্রফেসর সাহেব, ০৫ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪

দেশে বিশ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা কত জানেন? অসংখ্য। এর নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা কেউ দিতে পারেনাই, নামে বেনামে নিবন্ধিত অনিবন্ধিত মাদ্রাসার সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি, মার্কিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শূন্যতার বিরম্বনা

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৫৯

"শূন্যতার বিরম্বনা "

তুমি আমার ভিতরে থাকা গভীর কষ্ট,
অনেক টা আলমারীতে তুলে রাখা পরতে না পারা
কাপড়ের মতো।
তুমি আমার বুকের ভিতর লুকিয়ে থাকা গভীর
এক ভালোবাসা,
যেখানে নেই কোনো প্রাকৃতিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্রীয় মনোবিকৃতি ও জাতিসত্তার লোপ: নিৎসে, ফুকো, ফ্রয়েড ও মার্ক্সের দর্শনে বাংলাদেশের অন্তর্গত বিপর্যয় !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:২৩


আমরা কোথায় যাচ্ছি ? না, এই প্রশ্নটিই ভুল। আমরা আদৌ কোথাও যাচ্ছি কিনা, সেই নিশ্চয়তাই আজ খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা যে সমাজে বাস করি, সেটিকে আর সমাজবিজ্ঞান দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×