হযরত আবদুল্লাহ (আঃ) যিনি রাসুল (সাঃ) এর সম্মানীত পিতা ---যখন আবদুল্লাহ (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন তখন নাসারা , ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের বড় বড় পন্ডিতেরা বুঝতে পারে যে , রাসুল (সাঃ) এর আগমনের সময় ঘনিয়ে এসেছে ।নবীজী (সাঃ) এর সম্মানীয় পিতা আবদুল্লাহ (আঃ) এর জন্মের সাথে সাথে হজরত ইয়াহিয়া (আঃ) এর পশমী রক্ত মাখা শুস্ক জামাটি আবার রক্তাক্ত হয়ে উঠে ।তখন শত্রুরা বুঝতে পারে যে , রাসুল (সাঃ) এর আগমনের সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে ।সূত্র - ইসবাতুল ওয়াসী , পৃষ্ঠা ৯০ / বিহারুল আনওয়ার , খন্ড ১৫ , পৃষ্ঠা - ১৪-১৫ , ৯১ / সিলসিলাতুল আবাউন নাবী ।রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র নূর তাঁর মধ্যে থাকার কারণে হজরত আবদুল্লাহ (আঃ) এতটাই সুন্দর ছিলেন যে , তাকে ক্বামার বা চাঁদ বলা হত , কেননা তাঁর কপাল ছিল নূরান্বিত ।হযরত আবদুল্লাহ (আঃ) শুকনা গাছের নীচেবসলে গাছটি পূণরায় সবুজ সতেজ হয়ে উঠত আবার যখন তিনি সেই গাছের নীচ থেকে চলে আসতেন তখন আবার গাছটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেত ।তিনি ফেরেশতাগনের সালামের শব্দ শুনতে পারতেন ।ফেরেশতাগন তাঁকে এই বলে সালাম জানাত যে , হে রাসুল (সাঃ) এর নূরের বাহক , আপনাকে সালাম ।মহানবী (সাঃ) এর সম্মানীত পিতা হযরত আবদুল্লাহ (আঃ) মাত্র ২৫ বছর বয়সে মারা যান এবং মারা যাওয়ার পূর্বে তিনি রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র নূর হজরত আমিনা (সাঃআঃ) এর গর্ভে স্থানন্তরিত হয়ে যায় ।তিনি আমিনাকে রাসুল (সাঃ) এর সম্পর্কেকিছু ওসিয়ত করেন ।সূত্র - ইসবাতুল ওয়াসী , পৃষ্ঠা - ৯৫ ।একবার হযরত আবদুল্লাহ (আঃ) তাঁর বাবাকে বলেন , হে বাবা , যখন আমি পাহাড়ের উপরে যাই তখন আমার মধ্যে থেকে এক নূর আকাশের দিকে চলে যায় আবার তা আমার মধ্যে ফিরে আসে ।তথন তাঁর বাবা তাকে বলেন যে , তোমার মধ্যে শেষ নবী (সাঃ) এর নূর রয়েছে ।যেহেতু শত্রুরা রাসুল (সাঃ) এর পূর্বপুরুষদেরকেচিনত তাই আবদুল মোত্তালিব (আঃ) আবু তালিব (আঃ) কে বলেন যে , তোমরা উক্ত সন্তানটিকে ইয়াহুদিদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করবে ।সূত্র - ইসবাতুল ওয়াসী , পৃষ্ঠা - ৯১ ।একজন বুঝতে পারে যে , রাসুল (সাঃ) এর নূর আবদুল্লাহর মধ্যে রয়েছে তাই সে আবদুল্লাহকে বিবাহ করতে চায় ।কিন্ত হযরত আবদুল্লাহ (আঃ) আমিনা (সাঃআঃ) কে বিবাহ করেন ।এবং এইভাবে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসুল (সাঃ) এর নূরকে বিভিন্ন যুগে রক্ষা করেন এবং দুনিয়ার বুকে নিয়ে আসেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০৯