ইসলামি ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত একটি বই "ইসলামের ৫ স্তম্ভ" তে কি কি কাজ করা কুফরী,এই শিরোনামে লেখায় দেখতে পেলামঃ" আবুবকর ও উমরের খিলাফতের বিরোধীতা করা কুফরী"(ফতোয়ায়ে আলমগীরী ও শামী )।
কিন্তু এই ফতোয়াকে মানা মানে কোরানকে অস্বীকার করা ও রাসুলকে(সাঃ) মিথ্যাবাদী মনে করা।দয়া করে পড়ে দেখুনঃ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম ও নুহকে এবং ইব্রাহীমের বংশধর ও ইম্রানের বংশধরদেরকে বিশ্ববাসীর উপর নির্বাচিত করেছেন।“
ইবনে আব্বাস হতে বর্নিত হয়েছে, রাসুল(সাঃ) হযরত ইব্রাহীমের(আঃ) বংশ থেকে। তাই মুহাম্মাদ(সাঃ) ও আলে মুহাম্মাদ হযরত ইব্রাহিমের(আঃ) আহলে বাইত(তাফসীরে দুররে মানসুর,২য় খন্ড,পাতা-১৭ মিশরে মুদ্রিত)।এও বর্নিত আছে যে,আলে ইব্রাহিম,আলে ইম্রান ও আলে মুহাম্মাদের(সাঃ) নবুওয়াতের কারনে শ্রেষ্টত্বের অধিকারী হয়েছেন।যেহেতু রাসুল(সাঃ) শ্রেষ্ট সেহেতু তার পবিত্র বংশধারা অন্যদের চাইতে শ্রেষ্ট।
সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ঃ “ হে বিশ্বাসীগন! আনুগত্য কর আল্লাহর এবং রাসুল ও তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর(নির্দেশের অধিকর্তা),তাদের আনুগত্য কর।
তাফসীরকারকগন এ ব্যাপারে মতভেদ করেছেন যে, ‘উলিল আমর’ বলতে কাদের বুঝান হয়েছে।অনেকের ধারনায় যুগের শাসক-ই কিন্তু সত্য হল এই যে,এর উদ্দেশ্য মাসুম ইমামগন।কেননা,আল্লাহ যেভাবে নিজের ও নিজ রাসুলের শর্তহীন আনুগত্যের নির্দেশ দান করেছেন,সে একইভাবে তাদের শর্তহীন আনুগত্যও সমুদয় বান্দার উপর ফরজ করেছেন।এভাবে তাদের মাসুম হওয়াও আবশ্যক হয়।কেননা,এ কথা বিবেক গ্রহন করতে পারে না যে, গুনাহ ও ভুল করতে পারে এমন কারও আনুগত্য করতে আল্লাহ নিঃশর্তভাবে আদেশ করবেন।আবার কোন ব্যক্তি সর্বাবশ্তায় গুনাহ থেকে মুক্ত,আল্লাহ ছাড়া তা কেউ অবগত নন।তাই স্বয়ং আল্লহই তা ষ্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবেন যাতে মানুষ তার আনুগত্য করতে পারে।এজন্যই তিনি মহানবীর(সাঃ) মাধ্যমে তার বংশের ১২ ইমামের নাম জানিয়ে দিয়েছেন।তাছাড়া এও ষ্পষ্ট যে,আনুগত্যের নির্দেশটি কোন বিশেষ যুগ বা সময় বা কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য নয়;বরং কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষ ও প্রতিটি সময়ের জন্য এবং আনুগত্যের ক্ষেত্রও সাধারন জাগতিক বিষয় বা ধর্মীয় বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ব নয়;বরং তা শর্তহীন হিসাবে সকল ক্ষেত্রে আনুগত্যকে শামিল করে।অন্যদিকে মহান আল্লাহ পাপীদের আনুগত্য করতে নিষেধ করেছেন(সুরা ইনসানঃ৪) এবং যে আল্লাহর স্মরনে গাফেল,যে তার খেয়াল খুশীর অনুসরন করে ও যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে তার আনুগত্যও নিষেধ করেছেন(সুরা কাহাফঃ২৮)।এর পাশাপাশি কয়েকটি ক্ষেত্রে আল্লাহ শর্তসাপেক্ষে আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।যেমন পিতামাতার আনুগত্যের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করা হয়েছে(সুরা আনকাবুতঃ৮ ও সুরা লুকমানঃ১৫)।লক্ষনীয় বিষয় যে, ‘উলিল আমর’ বলতে যদি জাগতিক রাজা-বাদশা হয় তবে ইসলাম ধর্মের সঠিকতা থাকবে না।কেননা,কোথাও খৃসটান বাদশা রয়েছে,কোথাও বৌদ্ব ধর্মের এবং কোথাও কাফির বাদশা রয়েছে।আর যদি মুসলমান-ই উদ্দেশ্য হয় তবে তাদের মধ্যেও আল্লাহ জানেন কত ফেরকা রয়েছে এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে কার আনুগত্য করবে?উলিল আমর অজ্ঞাত থাকলে সকল শাসক(মুমিন হোক বা ফাসেক), সকল আলেম ও ফকিহ,সকল সমরনায়ক,সকল বুদ্বিমান ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি-এভাবে অসংখ্য ব্যক্তির আনুগত্য করা আবশ্যক হয়ে পড়বে যা পালন করা অসম্ভব।আবার যদি যে কোন একজনের আনুগত্য করলেই চলবে তবে তিনি কে এবং কোন যুক্তিতে তাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।তাহলে এটা আবশ্যক হয় যে, এধরনের ব্যক্তি ছাড়া অপর কোন ব্যক্তি এর উদ্দেশ্য হবে এবং তার বিদ্যমানতাও অপরিহার্য,অন্যথায় আল্লাহ দ্বারা উলিল আমরের আনুগত্যের নির্দেশ অসার প্রতিপন্ন হবে।এজন্য মহানবী(সাঃ০ বলেছেন,যে ব্যক্তি নিজ যুগের ইমামের পরিচিতি লাভ না করবে এবং এ অবস্থায় ইন্তেকাল করবে,সে জাহেলী যুগের ন্যায় কাফির অবথায় ইন্তেকাল করবে।কিন্তু কেউ যদি রাজা-বাদশার আনুগত্য না করে তবে সে কাফির হয়ে যায় না।এছাড়া এই আয়াতের সমর্থনে রাসুলের(সাঃ) হাদিসটি নিম্নরুপঃ
‘ইকমালুদ্দিন’ গ্রন্থে একটি হাদিস জাবির আল-জু’ফির সুত্রে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্নিত হয়েছে যেঃ তিনি বললেন,”আমি বললামঃ হে রাসুলাল্লাহ(সাঃ),আমরা আল্লাহকে জেনেছি এবং তার রাসুলকে জেনেছি,তাহলে ‘উলুল আমর’(কর্তৃত্বের দায়িত্বপ্রাপ্তরা) কারা-যাদের আনুগত্য করাকে আপনার আনুগত্যের মতোই বাধ্যতামুলক বলে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন?তখন রাসুল্লালাহ(সাঃ) বললেনঃ ‘হে জাবির,তারা আমার পরে আমার প্রতিনিধিগন এবং মুসলমানদের ইমামগন;এদের মধ্যে ১ম জন হলো আলী ইবনে আবি তালিব,এরপর(ইমাম) হাসান এবং (ইমাম) হুসাইন;এরপর আলী ইবনে হুসাইন;তারপর মুহাম্মাদ ইবনে আলী- তাওরাত গ্রন্থে সে আল-বাক্কির নামে পরিচিত এবং তাকে তুমি দেখবে।হে জাবির, যখন তোমার সাথে তার দেখা হবে,তাকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে।এরপর আস-সাদিক্ক-জাফর ইবনে মুহাম্মাদ,এরপর মুসা ইবনে জাফর,এরপর আলী ইবনে মুসা,এরপর মুহাম্মাদ ইবনে আলী,এরপর আলী ইবনে মুহাম্মাদ,এরপর হাসান ইবনে আলী এবং তারপর আল-ক্কায়েম-যার নাম ও উপনাম আমারই নাম।সে পৃথিবীতে আল্লাহর প্রমান(দলীল) এবং তার দাসদের মধ্যে যে বাকী আছে।সে(ইমাম) হাসান ইবনে আলী(আল-আসকারী)-এর সন্তান।এ হলো সেই বুক্তি যার হাতে সুমহান ও চিরস্মরনীয় আল্লাহ পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিমগুলোর বিজয় আনবেন এবং এ হলো সেই ব্যক্তি যে তার অনুসারী(শিয়া) ও যারা তাকে ভালবাসবে তাদের নিকট থেকে অদৃশ্যে থাকবে।এ সময় তার ইমামতের(কর্তৃত্বের) বিষয়টি কারো কথা দিয়ে প্রমানিত হবে না,যতক্ষন না আল্লাহ তার ঈমানকে যাচাই করে নিয়েছেন’।
জাবির বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ‘হে রাসুলাল্লাহ(সাঃ),তার অদৃশ্যকালে কি তার অনুসারিরা তার থেকে উপকৃত হতে পারবে?’তিনি(সাঃ) বললেনঃ ‘হ্যা,যিনি আমাকে নবী করে পাঠিয়েছেন তার শপথ,তারা তার নুর থেকে আলোকিত হবে এবং নিশ্চয়ই তার অদৃশ্যকালে তার বেলায়াত(কর্তৃত্ব) থেকে তারা উপকৃত হবে,ঠিক যেভাবে সুর্য মেঘে ঢাকা থাকলেও মানুষ তার কিরন থেকে উপকৃত হয়......’।“(ইকমালুদ্দিন,খন্ড-১,পৃষ্টা-২৫৩ এবং প্রায় একই অর্থে ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাহ,পৃষ্টা-১১৭)।
“নিশ্চয়ই আল্লাহ আদম ও নুহকে এবং ইব্রাহীমের বংশধর ও ইম্রানের বংশধরদেরকে বিশ্ববাসীর উপর নির্বাচিত করেছেন।“
ইবনে আব্বাস হতে বর্নিত হয়েছে, রাসুল(সাঃ) হযরত ইব্রাহীমের(আঃ) বংশ থেকে। তাই মুহাম্মাদ(সাঃ) ও আলে মুহাম্মাদ হযরত ইব্রাহিমের(আঃ) আহলে বাইত(তাফসীরে দুররে মানসুর,২য় খন্ড,পাতা-১৭ মিশরে মুদ্রিত)।এও বর্নিত আছে যে,আলে ইব্রাহিম,আলে ইম্রান ও আলে মুহাম্মাদের(সাঃ) নবুওয়াতের কারনে শ্রেষ্টত্বের অধিকারী হয়েছেন।যেহেতু রাসুল(সাঃ) শ্রেষ্ট সেহেতু তার পবিত্র বংশধারা অন্যদের চাইতে শ্রেষ্ট।
সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ঃ “ হে বিশ্বাসীগন! আনুগত্য কর আল্লাহর এবং রাসুল ও তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর(নির্দেশের অধিকর্তা),তাদের আনুগত্য কর।
তাফসীরকারকগন এ ব্যাপারে মতভেদ করেছেন যে, ‘উলিল আমর’ বলতে কাদের বুঝান হয়েছে।অনেকের ধারনায় যুগের শাসক-ই কিন্তু সত্য হল এই যে,এর উদ্দেশ্য মাসুম ইমামগন।কেননা,আল্লাহ যেভাবে নিজের ও নিজ রাসুলের শর্তহীন আনুগত্যের নির্দেশ দান করেছেন,সে একইভাবে তাদের শর্তহীন আনুগত্যও সমুদয় বান্দার উপর ফরজ করেছেন।এভাবে তাদের মাসুম হওয়াও আবশ্যক হয়।কেননা,এ কথা বিবেক গ্রহন করতে পারে না যে, গুনাহ ও ভুল করতে পারে এমন কারও আনুগত্য করতে আল্লাহ নিঃশর্তভাবে আদেশ করবেন।আবার কোন ব্যক্তি সর্বাবশ্তায় গুনাহ থেকে মুক্ত,আল্লাহ ছাড়া তা কেউ অবগত নন।তাই স্বয়ং আল্লহই তা ষ্পষ্টভাবে জানিয়ে দেবেন যাতে মানুষ তার আনুগত্য করতে পারে।এজন্যই তিনি মহানবীর(সাঃ) মাধ্যমে তার বংশের ১২ ইমামের নাম জানিয়ে দিয়েছেন।তাছাড়া এও ষ্পষ্ট যে,আনুগত্যের নির্দেশটি কোন বিশেষ যুগ বা সময় বা কোন বিশেষ ব্যক্তির জন্য নয়;বরং কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক মানুষ ও প্রতিটি সময়ের জন্য এবং আনুগত্যের ক্ষেত্রও সাধারন জাগতিক বিষয় বা ধর্মীয় বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ব নয়;বরং তা শর্তহীন হিসাবে সকল ক্ষেত্রে আনুগত্যকে শামিল করে।অন্যদিকে মহান আল্লাহ পাপীদের আনুগত্য করতে নিষেধ করেছেন(সুরা ইনসানঃ৪) এবং যে আল্লাহর স্মরনে গাফেল,যে তার খেয়াল খুশীর অনুসরন করে ও যার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে তার আনুগত্যও নিষেধ করেছেন(সুরা কাহাফঃ২৮)।এর পাশাপাশি কয়েকটি ক্ষেত্রে আল্লাহ শর্তসাপেক্ষে আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।যেমন পিতামাতার আনুগত্যের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করা হয়েছে(সুরা আনকাবুতঃ৮ ও সুরা লুকমানঃ১৫)।লক্ষনীয় বিষয় যে, ‘উলিল আমর’ বলতে যদি জাগতিক রাজা-বাদশা হয় তবে ইসলাম ধর্মের সঠিকতা থাকবে না।কেননা,কোথাও খৃসটান বাদশা রয়েছে,কোথাও বৌদ্ব ধর্মের এবং কোথাও কাফির বাদশা রয়েছে।আর যদি মুসলমান-ই উদ্দেশ্য হয় তবে তাদের মধ্যেও আল্লাহ জানেন কত ফেরকা রয়েছে এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে কার আনুগত্য করবে?উলিল আমর অজ্ঞাত থাকলে সকল শাসক(মুমিন হোক বা ফাসেক), সকল আলেম ও ফকিহ,সকল সমরনায়ক,সকল বুদ্বিমান ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি-এভাবে অসংখ্য ব্যক্তির আনুগত্য করা আবশ্যক হয়ে পড়বে যা পালন করা অসম্ভব।আবার যদি যে কোন একজনের আনুগত্য করলেই চলবে তবে তিনি কে এবং কোন যুক্তিতে তাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।তাহলে এটা আবশ্যক হয় যে, এধরনের ব্যক্তি ছাড়া অপর কোন ব্যক্তি এর উদ্দেশ্য হবে এবং তার বিদ্যমানতাও অপরিহার্য,অন্যথায় আল্লাহ দ্বারা উলিল আমরের আনুগত্যের নির্দেশ অসার প্রতিপন্ন হবে।এজন্য মহানবী(সাঃ০ বলেছেন,যে ব্যক্তি নিজ যুগের ইমামের পরিচিতি লাভ না করবে এবং এ অবস্থায় ইন্তেকাল করবে,সে জাহেলী যুগের ন্যায় কাফির অবথায় ইন্তেকাল করবে।কিন্তু কেউ যদি রাজা-বাদশার আনুগত্য না করে তবে সে কাফির হয়ে যায় না।এছাড়া এই আয়াতের সমর্থনে রাসুলের(সাঃ) হাদিসটি নিম্নরুপঃ
‘ইকমালুদ্দিন’ গ্রন্থে একটি হাদিস জাবির আল-জু’ফির সুত্রে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্নিত হয়েছে যেঃ তিনি বললেন,”আমি বললামঃ হে রাসুলাল্লাহ(সাঃ),আমরা আল্লাহকে জেনেছি এবং তার রাসুলকে জেনেছি,তাহলে ‘উলুল আমর’(কর্তৃত্বের দায়িত্বপ্রাপ্তরা) কারা-যাদের আনুগত্য করাকে আপনার আনুগত্যের মতোই বাধ্যতামুলক বলে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন?তখন রাসুল্লালাহ(সাঃ) বললেনঃ ‘হে জাবির,তারা আমার পরে আমার প্রতিনিধিগন এবং মুসলমানদের ইমামগন;এদের মধ্যে ১ম জন হলো আলী ইবনে আবি তালিব,এরপর(ইমাম) হাসান এবং (ইমাম) হুসাইন;এরপর আলী ইবনে হুসাইন;তারপর মুহাম্মাদ ইবনে আলী- তাওরাত গ্রন্থে সে আল-বাক্কির নামে পরিচিত এবং তাকে তুমি দেখবে।হে জাবির, যখন তোমার সাথে তার দেখা হবে,তাকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে।এরপর আস-সাদিক্ক-জাফর ইবনে মুহাম্মাদ,এরপর মুসা ইবনে জাফর,এরপর আলী ইবনে মুসা,এরপর মুহাম্মাদ ইবনে আলী,এরপর আলী ইবনে মুহাম্মাদ,এরপর হাসান ইবনে আলী এবং তারপর আল-ক্কায়েম-যার নাম ও উপনাম আমারই নাম।সে পৃথিবীতে আল্লাহর প্রমান(দলীল) এবং তার দাসদের মধ্যে যে বাকী আছে।সে(ইমাম) হাসান ইবনে আলী(আল-আসকারী)-এর সন্তান।এ হলো সেই বুক্তি যার হাতে সুমহান ও চিরস্মরনীয় আল্লাহ পৃথিবীর পুর্ব ও পশ্চিমগুলোর বিজয় আনবেন এবং এ হলো সেই ব্যক্তি যে তার অনুসারী(শিয়া) ও যারা তাকে ভালবাসবে তাদের নিকট থেকে অদৃশ্যে থাকবে।এ সময় তার ইমামতের(কর্তৃত্বের) বিষয়টি কারো কথা দিয়ে প্রমানিত হবে না,যতক্ষন না আল্লাহ তার ঈমানকে যাচাই করে নিয়েছেন’।
জাবির বলেনঃ আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ‘হে রাসুলাল্লাহ(সাঃ),তার অদৃশ্যকালে কি তার অনুসারিরা তার থেকে উপকৃত হতে পারবে?’তিনি(সাঃ) বললেনঃ ‘হ্যা,যিনি আমাকে নবী করে পাঠিয়েছেন তার শপথ,তারা তার নুর থেকে আলোকিত হবে এবং নিশ্চয়ই তার অদৃশ্যকালে তার বেলায়াত(কর্তৃত্ব) থেকে তারা উপকৃত হবে,ঠিক যেভাবে সুর্য মেঘে ঢাকা থাকলেও মানুষ তার কিরন থেকে উপকৃত হয়......’।“(ইকমালুদ্দিন,খন্ড-১,পৃষ্টা-২৫৩ এবং প্রায় একই অর্থে ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাহ,পৃষ্টা-১১৭)।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪১