বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৯৭ ভাগই হচ্ছে মুসলমান। এ কারণে এদেশের সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ও উপজাতি সবমিলে রয়েছে ৩ ভাগ। ওদের যে কোনো কল্পিত ধর্মীয় উৎসবের সময় দেখা যায় সরকার স্বয়ং পৃষ্ঠপোষকতা করে। ওদের ২৫ শে ডিসেম্বর, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা ইত্যাদি উৎসবে টাকা পয়সা নিরাপত্তা সবই দিচ্ছে সরকার। আর মিডিয়াগুলো তো একেবারে কোমর বেঁধে নামে সে সমস্ত বিধর্মী বিজাতীয় উৎসবকে সার্বজনীন হিসেবে চালিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য। কিন্তু যখনই মুসলমানদের প্রামাণ্য দলীলসমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী ঈদ উৎসব বা ফযীলতপূর্ণ রাত দিন আসে, তখনই ঐ সমস্ত মিডিয়াগুলোতে কতিপয় মুসলমান নামধারী কথিত ভুয়া মানবতাবাদীর উদয় হয়। তারা মুসলমানদেরকে উপদেশের ভঙ্গিতে বলতে থাকে- জন্মদিন পালন বিদয়াত, শবে বরাতের রাতে সজাগ থেকে সময় ও স্বাস্থ্য নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, কুরবানী দেয়া জরুরী নয়, এতে টাকা অপচয় হয়, এসব খাতের টাকাগুলো হাসপাতাল, রাস্তাঘাট কিংবা ব্রিজ বানানোর জন্য দান করা হোক ইত্যাদি ইত্যাদি। এদেরকে যখন বলা হয়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের পূজা-পার্বণের সময় তোমরা কই থাকো? তোমাদের খাতা-কলম কই থাকে? তোমাদের মানবতার দরদ কোথায় রয়? তখন কেন বলো না- পূজা-পার্বণে টাকা পয়সা খরচা না করে কিংবা সরকার ওদেরকে আর্থিক সহযোগিতা না করে সে টাকা দিয়ে দেশের উন্নয়ন করুক, রাস্তা-ঘাট ব্রিজ হাসপাতাল ইত্যাদি জনকল্যাণমূলক কাজ করুক। আসলে তখন এদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ এরা নামে মুসলমান হলেও ধ্যান-ধারণায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের গোলাম হয়ে নিজেরাই তখন পূজা-পার্বণে ব্যস্ত থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৪