বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া হলেও কয়েকটি আইপি থেকে মহানবী, আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরেমুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্রতম শান মুবারকে কটাক্ষ করে তৈরি করা মার্কিন চলচ্চিত্রটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। গ্রামীণফোন (জিপি), সিটিসেল জুম, বাংলালায়ন ও কিউবি মডেম এবং বিজয় সার্ভার থেকে ইউটিউব দেখা যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এসব মডেম এবং সার্ভার ব্যবহারকারীরা ‘ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ নামক জঘন্য চলচ্চিত্রটি এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরেমুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্রতম শান মুবারকে অবমাননা করে সম্প্রতি এক মার্কিন মাদক সন্ত্রাসী কুচক্রী ইহুদীদের অর্থায়নে এ জঘন্য ছবিটি নির্মাণ করেছে। পরে তা ইউটিউবে ছাড়া হয়। এরপর বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তথা নিন্দা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রথমে ইউটিউব বরাবর চিঠি দিয়ে চলচ্চিত্রটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছিল। এতে কাজ না হওয়ায় বিটিআরসি সোমবার দিবাগত রাতে দেশে ইউটিউব বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু গ্রামীণফোন (জিপি), সিটিসেল জুম, বাংলালায়ন ও কিউবি মডেম এবং বিজয় সার্ভার থেকে ইউটিউবের লিংক পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। গতকাল দুপুরে বিষয়টি যাচাই করে সত্যতা পাওয়া গেছে। গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি বা মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মিরপুর থেকে শাহাজীর জানান, তিনি বাংলালায়ন মডেম থেকে ইউটিউবে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন। যোবায়ের নামের অপর একজন গাজীপুর থেকে জানান, তিনি বিজয় সার্ভারে সকাল ১১টায় চলচ্চিত্রটি দেখেছেন। বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে রাজধানীর মালিবাগ থেকে একজন জানান, তিনি মোবাইলফোনের এয়ারটেল সংযোগ থেকে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন। প্রায় ১২টার সময় চট্টগ্রাম থেকে ফারুক হোসেন নামের এক ছাত্র জানান, তিনি বেসরকারি ব্রডব্যান্ড সংযোগ থেকেও ছবিটি দেখেছেন। তারা অবিলম্বে এ জঘন্য চলচ্চিত্রটি বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
Click This Link
Click This Link