একজন ৫০কেজি ওজনের মানুষের শরীরে কেজি প্রতি রক্তের পরিমান ৭৬মি.লি। শরীরের প্রতি কেজিতে এর ব্যবহার হয় মাত্র ৫০মি.লি। বাকী ২৬মি.লি রক্ত থাকে উদ্বৃত্ত হিসেবে। একই সময়ে দেহের সবটুকু রক্ত ব্যবহার হয় না। তাহলে আসুন হিসেব করি একজন ৫০ কেজি ওজনের মানুষের দেহে কতটুকু রক্ত থাকে। আর এর কতটুকু থাকে উদ্বৃত্ত হিসেবে।
একজন ৫০ কেজি ওজনের মানুষের দেহে রক্তের অবস্থা:
মোট রক্তের পরিমান (৫০ *৭৬) =৩৮০০ মি.লি
উদ্বৃত্ত থাকে (৭৬-৫০)=২৬*৫০=১৩০০মি.লি
একব্যাগ রক্তে মাত্র ৩৫০মি.লি। যেটুকু দান করলে দেহে কোন ক্ষতি হয় না। এরপরও দেহে অনেক উদ্বৃত্ত রক্ত থাকে। তবু আমরা কেন কার্পন্য করি? একজন মানুষকে আমরা কোটি টাকা দিয়ে বাঁচাতে পারবো না। শুধুমাত্র ১ ব্যাগ রক্ত দিয়ে আমরা বাঁচাতে পারি কমপক্ষে ৪টি মুমূর্ষু মানুষের জীবন।
রক্ত দানের যোগ্যতা :
ধরুন, একজন খ্যাতনামা শিল্পপতির জীবন বাঁচাতে রক্তের দরকার। তার জীবন বাঁচাতে রক্তদাতা হতে হলে কি অনার্স বা মাস্টার্স পাশ হতে হবে? উত্তর হবে না। শুধু আপনার ইচ্ছা থাকলেই যথেষ্ট। ওজন হতে হবে সর্বনিম্ন ৪৫ আর ইচ্ছা থাকতে হবে যে একজন মানুষকে আমি রক্তদান করে জীবন বাঁচাবো।
একজন ১৯বছর বয়স্ক শ্রমজীবী ও এ পূণ্যের কাজ করতে পারেন। বা একজন শিক্ষার্থী ও এ কাজটি করতে পারে।
রক্তদিলে পুণ্য বাড়ে। একজন মানুষ নতুন জীবন পায়। একটি পরিবারে ফিরে আসে স্বস্তি। তাই আসুন আমরা নিজেরা রক্ত দিই। এ মহামানবিক কাজে অন্যদেরকেও উদ্বুদ্ধ করি।
যাদেরই রক্ত দেয়ার সময় হয়েছে তারাই রক্ত দিন। কারণ পৃথিবী সাহসী মানুষের জন্য। তাদের দিকেই চেয়ে আছে বহু অসহায় জীবন।
যে কোন তথ্য বা সহযোগিতার জন্যে ভিজিট করুন
http://quantummethod.org.bd/blood-donation
কোন খরচ ছাড়াই আপনিও হতে পারেন তাদেরই একজন
সহযোগীতায় যারা থাকছে:
*বাঁধন
*রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
*কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন (স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম)