রামসাগর, দিনাজপুর। আমার জন্মস্থান তাই এইডা দিয়াই শুরু করলাম।
রামসাগরে ফুটে থাকা নাম না জানা ফুল।
রংপুর, তিস্তার চরে এনজিওর সহায়তায় হতদরিদ্র মানুষদের মিষ্টি কুমড়া চাষ।
উড়িব্বাস কত্ত কত্ত মিষ্টি কুমড়া। চাষীদের যখন জিজ্ঞেস করা হয় এত্ত মিষ্টি কুমড়া কই বিক্রি করেন তখন তাদের উত্তর ছিল এই কুমড়া জুস কোম্পানিওয়ালারা তাদের কাছ থেকে কিনে নেয়। যদ্দুর জানি বাংলাদেশে মিষ্টি কুমড়ার কোন জুস তৈরি হয় না। যাউকগা আমার কি, ছবি দেখাই।
বাড়ির পেছনে ফাকা জায়গাটায় চাষী বৌয়ের লাগানো লাউ গাছ।
তামাক চাষ পূর্বের তুলনায় এই অঞ্চলে অনেক কমে গিয়েছে। তবুও কিছু কিছু পরিবার সামান্য তামাক চাষ করে এখনো।
স্কুল ছুটি, এখন বাড়ি ফেরার পালা।
ছাগল ছানা।
মমতার জল না খসা, তিস্তা।
সাথী আর প্রিয় শৈশব।
তিস্তা ব্যারেজ, নীলফামারী।
ব্যারেজ নিয়ন্ত্রন কক্ষ এবং অফিস।
ব্যারেজের উপরে।
ব্যারেজের নদীতে জেলেদের মাছ ধরা।
ধরি মাছ না ছুই পানি, এটা এমন একটা পদ্ধতি যেখানে জালকে নিচে পানিতে ডুবানো হয়না। মাছেরা লাফ দিয়ে এসে জালের মধ্যে পড়ে। লাফানো এই মাছের নাম মনে করতে আরছি না কিন্তু অনেক সুস্বাদু এই মাছ।
জয়পুরহাটে টি এম এস এস নামক একটা এন জি ও র গেস্ট হাউসের উপর থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে।
জঙ্গলের বুক চিরে, উদ্দেশ্য আলতা দিঘি।
আলতা দিঘী, নওগাঁ।
সাঁওতাল শিশু।
সাঁওতালদের তৈরিকৃত মাটির ধান রাখার পাত্র। তাদের তৈরি মাটির দুই তলার ছবিগুলো হারিয়ে ফেলার কারনে আর দিতে আরলাম না।
ঐ সুদূরে ভারতীয় সীমান্ত, নওগাঁয়।
নো-ম্যানস ল্যান্ড, নওগাঁ সীমান্ত।
গাছে কাঠাল, গোফে তেল।
উৎসুক জনতা।
এবার খানা পিনা, বুইলছে কি মামুর ব্যাঠা? বুইল্লে তো বুইলবে বুইলছে। (রাজশাহীতে)
নির্ঘুম চোখ নিয়ে, রাতের আকশে চাঁদ দেখা।
ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ, চাপাই নবাবগঞ্জ।
মসজিদ লাগোয়া সমাধি।
ফিরতি পথের একটা ব্রিজ হতে তোলা ছবি।
বস্তুডার নাম জিনসেন। এরকম হাজারো অনুমোদনহীন যৌন বর্ধক ওষধ দিয়ে ছেয়ে আছে গ্রামে গঞ্জের হাট বাজার গুলো। ছুড়া থেকে বুড়া সবাই এর কাস্টমার।
এবার সুন্দরবন, সুন্দরবন নিয়ে আর ছবি দিব না। কারো একান্ত আগ্রহ থাকলে এই লিংক হতে ঘুরে আসতে পারেন
যশোরের কেশবপুরের কোন এক গ্রাম থেকে ফুলের ছবিটি তোলা। নাম জানি না।
চলতি পথে ধুমবৃষ্টি। ছবিতে বোঝা যায় না।
বেনাপোল স্থল বন্দর, ঐ পাড়েই পেট্রোপোল।
পন্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক ঢুকছে বাংলাদেশে, কিন্তু বাংলাদেশের ট্রাককে পন্য নিয়ে কখনোই ভারতে যেতে দেখলাম না।
একপাক্ষিক ভালবাসা। বন্দরের গেটে রবীন্দ্র আর নজরুলকে পাশাপাশি রেখে দুই দেশের মিলনকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভালু।
বন্দর হতে সস্তায় ক্রয়কৃত, চোরাই পথে আসা ভারতীয় পন্য।
চোরা দেশের আরেকটা চোরাই পন্য।
আশাশুনি, সাতক্ষীরায় এক হিন্দু পরিবারের বাড়ির বাইরে রক্ষিত রয়েছে এই কলস। কথিত আছে যে, এই পরিবারের কোন এক পুরুষ টাকা পয়সা ভর্তি এমন সাতটি কলসকে নদীতে ভেসে যেতে দেখে। যাকে তারা সাত বোন হিসেবে অভিহিত করেন। সেই পুরুষটি ভেসে যাওয়া সাত বোনের কাছে কিছু টাকা-পয়সা চেয়ে বসে। বড় বোন তথা সবার সামনের কলসটি তাকে সবার শেষের কলস থেকে দুই হাত ভর্তি করে একবারে যা উঠে তাই নিতে বলে। পুরুষটি লোভে পড়ে যায় সে দুই হাতে একবার না নিয়ে পুরো কলস টেনে ধরে। কলস উলটে নদীর জলে পড়ে যায় এবং টাকা, পয়সা, স্বর্নালংকার পুটি মাছ হয়ে বেড়িয়ে যায়। পুরুষটি সেই খালি কলস নিয়ে বাড়ি ফেরে এবং কিছুদিন পর তার মৃত্যু হয়। পরিবারটি এখনো সেই কলসকে অভিশপ্ত মনে করে। আর তাই কলসের স্থান হয়েছে ঘরের বাইরে, গাছ তলায়।প্রতিদিন প্রচুর হিন্দু লোক এসে তাদের ভক্তি জানিয়ে যায় কলসকে।
কলস দেখতে দেখতেই মিলে গেল তালের পাকা তাড়ি। নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে............
মংলা পোর্ট থেকে নৌকায় নদীতে শুশুকদের ওলটা ওলটি দেখতে এবার গন্তব্য করম জল। শুশুকের ছবি তুলতে পারি নাই। আপসুস।
ঐ দূরে সুন্দরবন আর ডানে বানিশান্তা, যৌনকর্মীদের গ্রাম।
প্রমত্ত্বা পশুর।
সুন্দরবন এলাকা শুরু।
ডাইনে সুন্দরবন আর বামে করমজল।
আজব হরিন! চকোলেট খায়। এটা হল করম জলের হরিন প্রজনন কেন্দ্র।
কয়ডা বান্দর ও আছে এখানে। একান্নবর্তি।
আমার সাথে আসেন, জঙ্গলে ঢুকি এই পথে।
ভেতরে একটা ওয়াচ টাওয়ার ও আছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সুন্দরবন। তবে সাবধান। এখানে প্রচুর জংলি বানর আছে। এদের ঘাটাতে যাবেন না। একবার ক্ষেপে গেলে দল বেধে আপনাকে আক্রমন করে বসবে।
একটা কুমির প্রজনন কেন্দ্র ও রয়েছে। গাট্টি গাট্টি কুমির ছানা পয়দা হয়।
এবার ফেরা,
ফেরার পথে বাংলাদেশ নেভীর জাহাজে গিয়ে ঘোরাঘুরি
বাংলাদেশ নেভীর এই পেট্রল যানটার দাম চার কোটি টাকা। সাধারণত টহল কাজে কোস্ট গার্ড এটা ব্যবহার করে থাকে। এতে বাইরে দুটো মেশিন গান বসানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এবং ভেতর রয়েছে অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা। এরপর ও বনদস্যুদের সাথে তারা পেরে ওঠেন না।
এই মহলটার নাম চন্দ্র মহল পিরোজপুর কিংবা বাগেরহাটে অবস্থিত। ভূইলা গেসি।
খুলনাতে আবারো হালকা খানা পিনা।
রাতের রুপসা ব্রীজ।
কয়রাতে সূর্যাস্ত।
দুঃখিত। এই ছবির কোন ক্যাপসন দিতে পারলাম না। নিজে থেকেই দিয়া লন।
এটাই হয়তোবা বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু ব্রিজ। ঝালকাঠিতে।
ব্রিজের উপর থেকে তোলা ছবি।
গন্তব্য এবার সাগর কন্যা কুয়াকাটা।
ঢেউ আইতাসে পালা, মামা।
যেদিকে চোখ যায় শুধু উত্তাল জলরাশি।
জেলেদের নৌকা।
মাছ ধরা শেষ করে ফিরছে নৌকাটি।
নৌকা ভর্তি কত্ত মাছ।
মাছ নিয়ে ঘরে ফিরছেন তারা।
গ্রামে এসে ঢেলে ফেলা হয়েছে সেই মাছ। সকলে মিলে এবার চলছে মাছ বাছাই।
চিংড়ির সাথে চলে আসে কখনো বাশপাতা মাছ।
কখনো বা কাঁকড়া। (এই কাকড়ার নাম কিন্তু বাংলালিংক কাঁকড়া)
সূর্যাস্ত দেখতে গন্তব্য এবার লেবুর বন। নাম লেবুর বন হলেও এখানে লেবুর কোন গাছ নেই। ভাটার সময়ই এখানে আসতে হবে। জোয়ারের সময় আসা যাবে না।
একটা বন আছে এবং সেই জঙ্গলে কিছু গরু ছেড়ে দেয়া হয়ে যারা বন আর সমদ্রের তীর ধরে ঘুরে বেড়ায় নিজেদের খেয়াল খুশি মত।
লেবুর বনে আমি সূর্যাস্ত দেখতে পেলাম না। মেঘ তার সর্বশক্তি দিয়ে সূর্যকে ঢেকে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। চালাক আমার কি?
সূর্যাস্ত না দেখতে পেলেও এখানের নিরিবিলি সমুদ্রটা দেখলে মন ভরে যাবেই আমি নিশ্চিত। কিছু ছোট দোকান রয়েছে এখানে। ঠিক দোকান নয়। কতকটা হোটেল মত। শুধুই ভাটার সময় এগুলো খোলা থাকে।
দোকানগুলোতে বিক্রি হয় মাছ এবং কাঁকড়া। দোকানের ঠিক পেছনেই রয়েছে রান্নাঘর।
কিনে নেয়া মাছ, কাকড়া এবং রান্না ঘরে ফ্রি ফ্রাই হচ্ছে। সেই স্বাদ এখনো যেন জিবে লেগে রয়েছে।
শেষ!!
পোস্টের সাইজ অনেক বড় হওয়ার কারনে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং অবশ্যই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এতটা পথ আমার সাথে পাড়ি দেবার জন্য যার শুরু হয়েছিল কুড়িগ্রামে আর শেষ হয়েছে কুয়াকাটা গিয়ে। দেড় মাসে টানা ১০,৪০০ কিলোমিটার পথ আমি পাড়ি দিয়েছি কোন বিশ্রাম ছাড়াই। কিছু ছবি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে অনেক জায়গার ছবি দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১