পৌত্তলিকতা শুধু ধর্ম নয়, সব আদর্শতেই ভর করে। এর সুবিধা হলো ভগবানকে একটা নিরেট জড় বস্তুতে বন্ধী করে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মনের খায়েশগুলোকে ধর্ম বাণী বলে প্রচার করা যায়। পৌত্তলিকতায় যাজকই হন ঈশ্বর। যুগে যুগে নিপিড়ন মুলক শাসনের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে আসছে এই পৌত্তলিকতা।
.
"আমি যাহা বলিবো তাহাই ভগবানের বাণী" - নিজের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটা বেশ কার্যকরি কৌশল। কেউ কেউ সরাসরি খোদার সাথে কানেকশান নিয়ে সকাল বিকাল হাই হ্যালো হয় এমন দাবী করে। ঋষি মোদীজী যেমন নিজেকে ঈশ্বর মনোনীত বলেন। কেউ আবার ধর্মীয় কিতাব বুঝাতো দূর, পড়াও বাদ দিয়ে সেটাকে ঠোঙ্গায় ভরে মানুষের মাজায় বেঁধে দেয়। আর হাদিয়া তুলে সর্ব রোগের ঐষধ হিসেবে।
.
সব শাসন ব্যবস্থা দাঁড়ায় কিছু আদর্শের উপর ভর করে। যার জন্যে দেশের মানুষের যুদ্ধ সংগ্রামের ইতিহাস থাকে। থাকে প্রচন্ড ইমোশান। তাই যে আদর্শের জন্যে যুদ্ধ সংগ্রাম হলো সেটাই সামনে থাকতে হয়। চতুর শাসক দল সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনের ইশতেহার গায়েব করে দিয়ে সামনে নিয়ে আসে যোদ্ধাদের মূর্তি আর ছবি। মৃত যোদ্ধার বোবা মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে যুগে যুগে তারা নিজের মর্জিকেই চেতনা বলে চালাতে থাকে। তার বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই চেতনার বিরুদ্ধে যাওয়া। এমন শাসন এর তরতাজা স্বাক্ষী আমরা বাংলাদেশীরা।
.
সব ধর্মে পৌত্তলিকতার শুরু হয় ধর্ম গুরুর মূর্তি তৈরী করে উপাসনার মাধ্যমে। কোন ধর্মপ্রচারকই নিজের মূর্তি বানিয়ে উপাসনা করেন নি। করতে বলেছেন এমনও শুনা যায়না। ধর্ম গুলোর সবচেয়ে বড় উপাসনাটাই শুরু হয় সেই ধর্মের প্রবর্তকের অনুমতি ছাড়া। সব ধর্মেরই উৎসবের দিন ধর্মগুরুর জন্মদিন, না হয় মৃত্যুদিন উপলক্ষে হয়। পুরো ব্যাতিক্রম ইসলাম। এখানে নবী মোহম্মদের (স জন্ম মৃত্যু নিয়ে কোন ব্যাক্তি কেন্দ্রিক উৎযাপন তিনি করতে বলেন নি। আর যা তিনি বলেননি তা এই ধর্মে নেই।
.
ইসলাম পূর্ব যুগে মক্কার শাসনের ভিত্তি ছিলো ধর্ম। শ তিনেক বোবা মূর্তি সামনে রেখে আবু লাহাব আর আবু জাহেলরা বলে বেড়াতো তারা এই ঈশ্বরদের মনোনিত উত্তম পুরুষ, কাবার রক্ষক। সকল ব্যবসা বানিজ্য তাই তারাই করবে। যারা দাস, যারা দরিদ্র তাদেরকে দেবতারাই দরিদ্র হিসেবে নির্ধারন করেছেন। তাই তারা ব্যবসা করবে না, সম্পদের মালিক হবে না। গৌত্র প্রধানদের ভয়াবহ বৈষম্য আর জুলুম মানিয়ে নেয়ার জন্যে মানুষের মনের গভীরে গেঁড়ে দেয়া হতো হুবাত, আল লাত, আজ উজ্জার মত পাথুরে দেবতাদের আজাবের ভয়। ইসলাম কায়েমের পর নবী মোহম্মদ (স এই সব ভয়ের বীজ, পৌত্তলিক শাসনের স্তম্ভ, সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে চুরে মাটি চাপা দিয়ে দেন। তাঁর ধর্মে খোদার সাথে করা সবচেয়ে বড় পাপ হলো শীরক। এখানে ধর্মীয় বিধি- বিধান, আনন্দ-উৎযাপন সব কিছুই চুড়ান্ত হয়ে আছে চৌদ্দশ বছর আগেই। যা কিছু আছে তা তখনো ছিলো। যা কিছু নাই তা তখনো ছিলো না।
.
তার পরও এই ধর্মেও পৌত্তলিকতা আসে বিভিন্ন রুপে। বিভিন্ন ঢঙে। হীন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ কিংবা ধর্ম অন্য যাই হোক, পৌত্তলিকতা মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরবেই। নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে জাহির করার আদি আর অব্যার্থ কৌশল হলো শীরক।পৌত্তলিকতা শুধু ধর্ম নয়, সব আদর্শতেই ভর করে। এর সুবিধা হলো ভগবানকে একটা নিরেট জড় বস্তুতে বন্ধী করে, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মনের খায়েশগুলোকে ধর্ম বাণী বলে প্রচার করা যায়। পৌত্তলিকতায় যাজকই হন ঈশ্বর। যুগে যুগে নিপিড়ন মুলক শাসনের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে আসছে এই পৌত্তলিকতা।
.
"আমি যাহা বলিবো তাহাই ভগবানের বাণী" - নিজের শাসন প্রতিষ্ঠায় এটা বেশ কার্যকরি কৌশল। কেউ কেউ সরাসরি খোদার সাথে কানেকশান নিয়ে সকাল বিকাল হাই হ্যালো হয় এমন দাবী করে। ঋষি মোদীজী যেমন নিজেকে ঈশ্বর মনোনীত বলেন। কেউ আবার ধর্মীয় কিতাব বুঝাতো দূর, পড়াও বাদ দিয়ে সেটাকে ঠোঙ্গায় ভরে মানুষের মাজায় বেঁধে দেয়। আর হাদিয়া তুলে সর্ব রোগের ঐষধ হিসেবে।
.
সব শাসন ব্যবস্থা দাঁড়ায় কিছু আদর্শের উপর ভর করে। যার জন্যে দেশের মানুষের যুদ্ধ সংগ্রামের ইতিহাস থাকে। থাকে প্রচন্ড ইমোশান। তাই যে আদর্শের জন্যে যুদ্ধ সংগ্রাম হলো সেটাই সামনে থাকতে হয়। চতুর শাসক দল সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনের ইশতেহার গায়েব করে দিয়ে সামনে নিয়ে আসে যোদ্ধাদের মূর্তি আর ছবি। মৃত যোদ্ধার বোবা মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে যুগে যুগে তারা নিজের মর্জিকেই চেতনা বলে চালাতে থাকে। তার বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই চেতনার বিরুদ্ধে যাওয়া। এমন শাসন এর তরতাজা স্বাক্ষী আমরা বাংলাদেশীরা।
.
সব ধর্মে পৌত্তলিকতার শুরু হয় ধর্ম গুরুর মূর্তি তৈরী করে উপাসনার মাধ্যমে। কোন ধর্মপ্রচারকই নিজের মূর্তি বানিয়ে উপাসনা করেন নি। করতে বলেছেন এমনও শুনা যায়না। ধর্ম গুলোর সবচেয়ে বড় উপাসনাটাই শুরু হয় সেই ধর্মের প্রবর্তকের অনুমতি ছাড়া। সব ধর্মেরই উৎসবের দিন ধর্মগুরুর জন্মদিন, না হয় মৃত্যুদিন উপলক্ষে হয়। পুরো ব্যাতিক্রম ইসলাম। এখানে নবী মোহম্মদের (স জন্ম মৃত্যু নিয়ে কোন ব্যাক্তি কেন্দ্রিক উৎযাপন তিনি করতে বলেন নি। আর যা তিনি বলেননি তা এই ধর্মে নেই।
.
ইসলাম পূর্ব যুগে মক্কার শাসনের ভিত্তি ছিলো ধর্ম। শ তিনেক বোবা মূর্তি সামনে রেখে আবু লাহাব আর আবু জাহেলরা বলে বেড়াতো তারা এই ঈশ্বরদের মনোনিত উত্তম পুরুষ, কাবার রক্ষক। সকল ব্যবসা বানিজ্য তাই তারাই করবে। যারা দাস, যারা দরিদ্র তাদেরকে দেবতারাই দরিদ্র হিসেবে নির্ধারন করেছেন। তাই তারা ব্যবসা করবে না, সম্পদের মালিক হবে না। গৌত্র প্রধানদের ভয়াবহ বৈষম্য আর জুলুম মানিয়ে নেয়ার জন্যে মানুষের মনের গভীরে গেঁড়ে দেয়া হতো হুবাত, আল লাত, আজ উজ্জার মত পাথুরে দেবতাদের আজাবের ভয়। ইসলাম কায়েমের পর নবী মোহম্মদ (স এই সব ভয়ের বীজ, পৌত্তলিক শাসনের স্তম্ভ, সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে চুরে মাটি চাপা দিয়ে দেন। তাঁর ধর্মে খোদার সাথে করা সবচেয়ে বড় পাপ হলো শীরক। এখানে ধর্মীয় বিধি- বিধান, আনন্দ-উৎযাপন সব কিছুই চুড়ান্ত হয়ে আছে চৌদ্দশ বছর আগেই। যা কিছু আছে তা তখনো ছিলো। যা কিছু নাই তা তখনো ছিলো না।
.
তার পরও এই ধর্মেও পৌত্তলিকতা আসে বিভিন্ন রুপে। বিভিন্ন ঢঙে। হীন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ কিংবা ধর্ম অন্য যাই হোক, পৌত্তলিকতা মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরবেই। নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে জাহির করার আদি আর অব্যার্থ কৌশল হলো শীরক।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২