ফেনী যাওয়ার পথে সার বাঁধা ত্রাণের ট্রাক গুলো দেখছিলাম। সেগুলোতে বস্তার উপর ছেলে মেয়ে গুলো জুবুথুবু মেরে বসে ছিলো। তারা বৃষ্টিতে ভিজছিলো। একটু পরেই কয়েক কিলো কড়া রোদ। সেই রোদে পুড়ছিলো। আবার ভিজতেছিলো। দুলতেছিলো, ঝিমাচ্ছিলো। কি মায়া গো! কি মায়া!
.
এই ভাবে পাঁচ ছয় ঘন্টা পর ওরা জায়গায় পৌঁছাবে। বুক সমান পানিতে নেমে, ভারী বস্তাগুলো ঘাঁড়ে নিয়ে ত্রাণ বিতরন করবে। ওদের প্রজেক্ট শুর হয় টাকা তোলা দিয়ে। এর পর কেনাকাটা, প্যাকেজিঙ। তার পর ট্রান্সপোর্ট, বিতরন আর ফেরত আসা। যাত্রা পথের খাবার দাবার সাধারনত নিজেদের টাকায় হয়। এই ত্রাণ কার্যক্রম এর প্রত্যেকটা স্টেপ এর কাজই খুব কষ্টকর। কষ্টসাধ্য যে কোন কাজ শেষ করতে পারা আনন্দের। এই ছেলেমেয়েদের যাওয়ার পথের, আসার পথের ছবি-ভিডিও, হাসি আনন্দ, ভি চিহ্ন দেখিয়ে উদযাপন সবই সঠিক এবং পবিত্র। ওরা বন্যা উদযাপন করেনি, দুর্যোগ মোকাবেলা করার যুদ্ধ জয় উদযাপন করছিলো। উদ্ধারকারী নৌকায় আঠার জন উঠে যাওয়া বোকামি ছিলো। অপরাধ না।
.
ওদের হাসি খুশি ছবি আর সেলিব্রেশন নিয়ে সমালোচনা করা, গালি দেয়া ছিলো মুর্খতা। অপবিত্র আর কুৎসিত কাজ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪২