সব পাপ চেয়ার পারসন শেখ হাসিনা হাজরে আসওয়াদ এর মত চুষে নিয়ে পুর দলকে নতুন কোন নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দিতে পারেন। সাইড বেঞ্চে থাকা সোহেল তাজদের মত কেউ হাল ধরবেন। সকল চেতনাকে ফাইন টিউন করে নব প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেন তারা। গরীব আর অদক্ষ শ্রম নির্ভর দেশের সরকার গুলো ছোট বড় ঝামেলায় পরবেই। তাই একটা কি দুই টা নির্বাচন বিরতিতেই আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারবে নতুন রক্তের বিশুদ্ধ দল নিয়ে। যারা বুঝাবে যে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক না। আওয়ামী লীগ অনেক পুরাতন আর পরিবারতন্ত্রের বাইরে অনেক বড় একটা দল।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথ নিতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের সমাবেশ। প্রথম আলো, ১০ আগস্ট ২০২৪।
আবার খুব সরল পথে ফিরতে পারে। গন হত্যা থেকে শুরু করে সকল পাপ অস্বীকার করে প্রায় হুবুহু একই নেতৃত্বই চোরা গুপ্তা হামলা করতে করতে ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা চালাতে পারে। এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু হবে বড় ঘুটি যেটা তারা তড়িৎ গতিতে চেলে ফেলেছে। হাতে আছে দেশি আর ভারতিয় মিডিয়া। সাথে এক পাল অনুগত অনলাইন প্রপাগান্ডা যোদ্ধা। মানুষের চাঁদার টাকায় পেলেপুষে রাখা বিরাট রামদা চা-পাতি বাহিনীও অসম্ভব দ্রুততার সাথে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মধ্যরাতের ডাকাতির মাধ্যমে। বলাহয়, এই মিলিশিয়াদেরই একটা বড় অংশের নিয়োগ ছিলো পুলিশে। ওরাও যদি কোন শুদ্ধিকরন ছাড়াই হুবুহু একই ভাবে ফেরত আসে তাহলে ফিল্ড রেডিই থাকবে।
আইন-শৃঙ্খলার এই ট্রানজিশানে বড় দুর্ভাগ্যে যদি ঘটে বসে কোন জঙ্গি হামলা, মুসলিমদের অজস্র উপদলের মাঝে কিলাকিলি, চান্দা খোর মিলিশিয়াদের চুরি ডাকাতি, সাথে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ! তাহলেই তাদের পোয়াবারো। এমন যে কোন ক্রান্তিকালেই বিতাড়িত সরকারের খুনি আর চাটুকারের বহর রাস্তা দখল করে বসতে পারে। আর সামনের নির্বাচনে যদি তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি জিতে বসে সেটা আওয়ামী লীগকে আরো কনফিডেন্স দিবে নিজেদের প্রায় একই নেতৃত্ব ধরে রাখতে।
১৯৯৬ এর এক তরফা নির্বচনের পর ব্যাপক আন্দোলনে ক্ষমতা ছাড়তে হয় বেগম জিয়াকে। ২০০১ এ তবু একই নেতৃত্বে বিপুল ভোটে আবার ক্ষমতায় বসে খালেদা জীয়ার বিএনপি। কারন মাঝের পাঁচ বছর ছিলো আওয়ামী লীগের বিপুল ডাকাতি আর সন্ত্রাসের বছর। তাই মানুষের হাতে বিকল্প ছিলো শুধুই বিএনপি। ২০০৭ এ তারা আবারও ১৯৯৬ এর পথে হাঁটতে যায়। আবারো তীব্র আন্দোলনে সরতে হয় তাদের। ঐ সময়ের বিপুল দুর্নীতি আর একুশে আগষ্টের দায় কাঁধে নিয়ে পালাতে হয় তাদের নব্য নেতা তারেক জিয়াকে। এর কোন কিছুরই দায় স্বীকার বা দলীয় কোন সংস্কার ছাড়াই প্রায় একই নেতৃত্বে সামনের নির্বাচনের ক্যাম্পেইনে আসছে ঐ একই বিএনপি। যথারীতি, তাদের এক মাত্র পুঁজি সেটাই যেটা শেখ হাসিনা আর তার অনুচরদের মুখে মুখে ছিলো- "বিকল্প কি? বিকল্প দেখান!" ষোল বছরের আওয়ামী খুন, গুম, চুরি, চান্দা, ডাকাতি, আর স্বাধীন দেশে প্রথম বারের মত এমন নৃশংস গনহত্যা করার পরে পলাতক শেখ হাসিনার বিকল্প হিসেবে বিএনপি তাদের ২০০৭ এর পলাতক তারেক জিয়াকেই সামনে এনেছে। বিএনপি এর এই ক্যাম্পেইন সফল হলে, এরই পরম্পরায় আওয়ামী লীগও তাদের চোর চোট্টা আর খুনে নেতৃত্বের বিকল্প খুঁজার গরজ না ও দেখাতে পারে। কোন অপারাধেরই দায় না নিয়েই আবার সরকার গঠনের আশা করতেই পারে। দেশ বিদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকে তাদের বিপুল সংখ্যক গোলাম আর চাটুকারের দল তখনও তুলনা মূলক চিত্র দিয়ে বলে বেড়াবে বিকল্প কি দেখান?
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩৪