পয়গম্বর যা করে তা তার ইশ্বরের আদেশেই করে বলে সে মানুষকে জানায়।
.
আমাদের পলাতক সম্রাজ্ঞী প্রত্যেকটা মুহূর্তেই বলে গেছেন তিনি তার পিতার আদর্শই বাস্তবায়ন করতেছেন। না হলে মরার পরে বাবার কাছে মুখ দেখাতে পারবেন না। গত ১৬ বছর টানা পিতার জীবন এবং আদর্শই পড়িয়েছেন প্রি স্কুল থেকে পি এই ডি পর্যন্ত। এই আদর্শ ভরা পিতার স্টাচু গুলো পিঠে নিয়েই চুরি চামারী, পাচার, গুম, খুন, গনহত্যা করে গেছে উনার বাহিনী। পয়গম্বরের কাজ কর্ম দিয়েই মূলত তার প্রচারিত ইশ্বরের আদর্শ চেনে মানুষ।
ছবির এই মূর্তিটা সম্ভবত বিজয় স্মরণীর। বেশ সুন্দর একটা স্টাচু ছিলো ঢাকার অনেক আজে বাজে স্টাচুর তুলনায়। ঐতিহাসিক মানুষদের স্টাচু আমার বেশ পছন্দের জিনিস। এত সুন্দর স্টাচু ভাঙ্গাটা মন খারাপ করার মত।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের মতই বৃদ্ধ। এই স্টাচু ভাঙ্গাভাঙ্গীতে মেতেছে গত ষোল বছরে নতুন করে তরুন হওয়া মানুষ গুলোই। যারা এই ইশ্বরকে চিনেছে তার পয়গম্বর সম্রাজ্ঞীর মাধ্যমেই। যিনি নিজের করা প্রত্যেকটা খুনের রক্ত নিজ হাতে নিজের বাবার মুখে মাখিয়ে গেছেন। এভাবে নিজের অপরাধের সাথে নিজের বাবাকে এমন ভাবে মিশিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত যারা আছেন তাদের জন্যে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে দুজন এর আদর্শ আর কর্মকে আলাদা করে কোন ন্যারেটিভ দেয়া। কারন তারাও কেউ এই ষোল বছর এই খুনে সম্রাজ্ঞীর নিজের পিতাকে ইশ্বরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া, নিজেকে তার পয়গম্বর বানিয়ে দেয়া ন্যারেটিভ গুলোর কোন বিরোধীতা করেন নি।
আশার কথা হলো বঙ্গবন্ধুর মুর্তি কথা না বললেও ওনার ভিডিও ফুটেজ গুলো কথা বলে। যেগুলো দেখে বুঝা যায় উনি যাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন ৭১ পর্যন্ত, উনার কন্যা হুবুহু তাদেরই একজন বা তাদের থেকেও ভয়ঙ্কর।কন্যা থেকে উনাকে আলাদা করতে মুর্তির স্তুপ নয়, এই অডিও-ভিডিও ফুটেজ গুলোই কাজে দিবে।
যত টুকু বুঝি এইসব কারনেই ইসলামে পৌত্যলিকতা বা মুর্তি পূজা (শিরক্) কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। এটা সুযোগ করে করে দেয় একটা ইট কাঠের মূর্তিকে সামনে ইশ্বর বানিয়ে বসিয়ে রেখে নিজের মত আর কাজকে ঐ ইশ্বরের মত আর কাজ বলে প্রচার করার। এমন পয়গম্বর তার কাজ আর কর্মের কারনে পতন দেখলে তার বানানো ইশ্বরও পতনই দেখে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬