রাতে ফোনে কথা হচ্ছিল সাজ্জাদের সাথে। টিভি তে ব্রেকিং নিউজ দেখে চেচিয়ে উঠল,
ঃআহারে কালাম সাহেব মারা গেছেন, কত ভাল লোক ছিল। ইসস। ইন্নালিল্লাহে...
আমি বললাম,
-আলহামদুলিল্লাহ্
ঃ কি রে??!! এত বড় একজন বিজ্ঞানী মরে গেল, ভারতের একজন সফল মুসলিম রাষ্ট্রপতি, তাকে দলমত নির্বিশেষে সবাই শ্রদ্ধা করে আর তুই আলহামদুলিল্লাহ্ বললি?!!
- হিটলারকেও এক সময় জার্মানীর সকলে শ্রদ্ধা করত, তাই বলে তার মত একজন যুদ্ধবাজ, কসাইকে আমি শ্রদ্ধা করব নাকি?
ঃ কার সাথে কার তুলনা! হিটলার লক্ষ লক্ষ মানুষ মারছে আর কালাম সাহেব শান্তির পক্ষে কাজ করছে। তোর মাথা ঠিকাছে তো?
বললাম,
-মাথা ঠিকই আছে। হিটলার কি নিজ হাতে একজনকেও মারছে? সে পরিকল্পনা করছে, রসদ পাতি, অস্ত্র-বোমা যোগাইয়া দিছে। তাই দিয়ে জার্মানরা লক্ষ লক্ষ মানুষ মারছে। কালাম সাহেব আরো বড় ভিলেন। সে বানাইছে নিউক্লিয়ার বোমা। সেইটা আবার উড়ায়া নিয়া আশে পাশের দেশের জনবহুল শহরে ফালানোর দুরত্ব হিসাব কইরা মিসাইল বানাইছে, তার দেশের লোক নাম দিছে মিসাইল কালাম। কত বড় কসাই!!
ঃ কিন্তু সেই মিসাইল দিয়া কি এক জন ও মরছে??
-না মরে নাই, ভারতের বাকি মানুষেরা এই লোকের মত এত অসভ্য না হওয়ায় এখনো মিসাইল ব্যাবহার করে নাই। সেই ক্রেডিট তো আর কালামের না।
ঃ এই মিসাইল ছিল পাকিস্থান বা চিনের হুমকি বন্ধ করার জন্য।
- হ্যা, সব যুদ্ধবাজ যুদ্ধ লাগানোর অজুহাত হিসাবে এই কথাই বলে। ওমুকের হুমকি তমুকের হুমকি থেকে নিজ দেশের মানুষকে বাচানোর কথা অযুহাত হিসাবে ভাল যায়।
ঃ না দোস্ত, তোর সাথে একমত হতে পারলাম না। এত বড় মাপের একজন সাইন্টিস্টকে গালি দেওয়া ঠিক না
- আল্লাহ না করুক, কোনদিন যেন ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ আক্রমন না করে। যদি করে তাইলে দেখবি তার বানানো নিউক্লিয়ার বোমা, তার বানানো মিসাইলে চেপে যখন ঢাকার আকাশে ফাটবে, তোর স্ত্রী-কন্যা-পরিজন, শহরবাসী মুহূর্তে লক্ষ ডিগ্রী তাপের আগুনে পুড়ে কাবাব হয়ে যাবে, তোর প্রিয় শহরের প্রায় সমস্ত বিল্ডিং, স্কুল,কলেজ, হাসপাতাল, মন্দির, মসজিদ, বাগান একসাথে শ্মশান ঘাটে পরিবর্তিত হবে সেই মহা পরিকল্পনা কালাম সাহেব করে গেছেন। শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষা। তদ্দিন তার মাখু মাখু বানি গুলা ফেসবুকে শেয়ার দিতে থাক, আর লাইক কামা।
বলে ফোন রেখে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫১