আজ উপন্যাস খানা লিখতে লিখিতে একটু বেশি রাত্রি হয়ে গিয়েছে।তাই আর দেরি না করিয়া ঘুমানোর জন্য একটু হাত মুখ ধুয়ে বিচানায় গিয়ে বসিলাম।আমার আবার আরেক টা অভ্যাস রাত্রে একটা বিড়ি না টানিলে ঘুম আসে না।তাই বালিশের কাছ থেকে ম্যাচ টা তুলিব বিড়ি জ্বালানোর জন্য এমন সময় কে যেন দেখতে পেলাম আমার বিচানার এক কোনায় অগ্রহ ভরা চোখে ছেয়ে বসে আছে।
___আমি চমকিয়া বলিয়া উঠিলাম ,কে?
সঙ্গে সঙ্কে মূর্তিটা মিলাইয়া গেল।
___তার পর আবার ম্যাচে টুকা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেখিলাম,
না কাওকেই তো দেখিতে পাইতেছিনা ।মনে হয় অনেক্ষন ধরে লিখিয়াছি বলিয়া এমন হয়েছে।চোখের ভ্রান্তি।
বিড়িখানা সেবন করিয়ে শুয়ে পড়িলাম।আমার স্নায়ু দুর্বল নয়,ভূতের ভয় করি না।ভূত থাকে থাক তাতে আমার কি!
পরের দিন আবার রাত্রি বেলা উপন্যাস খানা লিখিতেছি।এখন উপন্যাস খানা বেশ জমিয়া উঠিয়াছে।উপন্যাসে এবার প্রেমের প্রগতি দেখাইতেছি।আমার হিরো একেবারে নিম্নস্সর হইতে আরম্ব করিয়াছে; এক মেথর কন্যার প্রতি অবৈদ ভাবে অকৃষ্ট হইয়া তাহাকে পৈশাচ বিবাহ করিবার চেষ্টা করিতেছে।
তারপর যথা রিতি শুয়ে পরিলাম।
হঠাত্ কে যেন বলল,ঘুমুলেন নাকি?
বুকের মধ্যে ৪২০ বোল্টে শক করিল।ঘরের মধ্যে আমি একা তাহলে....।আমি বুঝিতে পারিলাম আমার তক্তোপাশে কেহ বসিয়া আছে।অনেক্ষন পর বলিলাম...
___কে আপনি!
___কি বলে যে পরিচয় দিই।যখন বেঁচে চিলাম তখন নাম চিল কুদ্দুস আলী।
___খাসা নাম,আপনি তাহলে প্রেত।
___হ্যা তাই।কিন্তু আপনি আমাকে ভয় পাবেন না আমার কোন বদ মতলব নেই।
___আমি একটু হাই তুলিয়া বলিলাম আপনি আমার কিছুই করিতে পারিবেন না,আপনি তো হাওয়া।
মনে পড়িল দেয়াশলাই বাক্সটা হাতের কাছেই আছে।তাই সেদিকে হাত দিয়া বলিলাম..
___আমার সাথে অপনার কোন দরকার আছে কি?
___দরকার তেমন কিছু নেই।কথা কওয়ার লোক পাইতেছিন তাই আরকি।
বুঝিলাম প্রেতের আবস্তাও আমার মত,একাকী ঘুরাফেরা করিতেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৮