সিরিয়াস কিছু পাবার বা জানার ইচ্ছে থাকলে কেটে পড়ুন, ব্যক্তিগত অভিঙ্গতা থেকে নির্মল আনন্দ দেবার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস, সহজ কথায় ফান পোস্ট
আগুনের পরশমনি কি- জানতে চান? তাহলে নিচের লেখাটুকু কষ্ট করে পড়ুন-
দ্বিচক্রযানের পশ্চাতের চক্রখানিতে অনুব্যপনের কারনে বায়ুশুন্যতা অনুভুত হইতেছিল। তাই ইহাকে অর্ধচন্দ্র প্রদানের মত করিয়া ঠেলিয়া দ্বিপ্রহরের প্রভাকরের মার্তন্ড্য সমতুল্য ব্যবহারকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখাইয়া আমি ওসমানি মেডিকেল দ্বার হইতে মদিনা মার্কেটের দিকে ধীর পদক্ষেপ ফেলিয়া অগ্রসর হইতেছিলাম। ইহার মাঝে ত্রিচক্রযান(রিক্সা), স্বয়ংক্রিয়ত্রিচক্রযান(অটোরিক্সা) সহ নানাবিধ যানের যান্ত্রিক শব্দে আমার প্রান যখন ওষ্টাগত, কর্ন যখন শ্রবন অযোগ্য, এমন সময় ইহার আধিক্য সৃষ্টির লক্ষে শব্দবিবর্ধকে(মাইক) শুনিতে পাইলাম-
"এই বইটি পড়িলে আপনি আরো জানতে পারবেন-কোন দোয়া পড়িলে আশি বছরের গুনাহ মাফ হইয়া যায়, নারীর কোন গোপন কথা কারো সাথে বলিতে নাই, কোন ব্যক্তি দ্রুত জান্নাতে প্রবেশ করিবে.......অর্থহীন বাগাড়ম্বর,অর্থহীন বাগাড়ম্বর,অর্থহীন বাগাড়ম্বর(blah blah blah)"
এত কিছুর ভিড়ে যখন আমি কোথায় আমার বদন, কর্ন সহ সর্বাঙ্গ প্রভাকর হইতে লুকাইয়া একটু শান্তি পাইব এমন চিন্তা করিতেছি, তখনই আমার বাম পদে, হাটুর কিঞ্চিৎ উপরে ইষৎ ঠান্ডা অনুভুত হইতেছে অনুধাবন করিলাম। আমি ভীতির সহিত লম্ফ দিব কি, কি করিব ঠিক ঠাওর করিতে পারিলাম না। ভীতির সহিতই প্যন্টের বাম পকেটে পাণি প্রবেশ করইলাম। এবং আমার ধুম্রশলাকায় হুতাশন ধরাইবার নিমিত্তে যেই লইটারটি আমি ব্যবহার করি, তাহা উঠিয়া আসিল। এবং দৃষ্টিগোচর হইল যে ইহা ফাটিয়া চৌচির হইয়া গিয়াছে এবং তাহা হইতে গ্যসও বাহির হইয়া আসিতেছে। এই বাহির হওয়া বায়বীয় পদার্থটুকুই আমার পকেটের নীচে আমাকে শীতল একটা অনুভুতি প্রদান করিতেছিল।
তখনই বুঝিলাম- ইহাই আগুনের পরশমনি বলিয়া গন্য।
P.S: শব্দ বিবর্ধকে শুনিতে পাওয়া শব্দগুলোতে সাধু চলিত মিশ্রনই ছিল, তাই ইহা ঐরুপেই বিবৃত। এছাড়াও কিঞ্চিৎ ভুল লইয়া কোন আজাইরা সাহিত্যিক যেন বেশী লম্ফঝম্প না করে। ইহা একটি সতর্কবানী। ৫৭ ধারা মানিয়া চলুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪২