গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা কারো কানে পৌঁছে না।গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা কারো কানে পৌঁছে না। মানুষ নামের নরপশুর নির্মমতায় একটি নিষ্পাপ শিশু মৃত মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। যেসব মা ক্ষণিকের সুখের জন্য নিজ গর্ভের সন্তানকে পাশবিকভাবে হত্যা করে তাদের জন্য হৃদয় উগড়ে দেয়া সীমাহীন ঘৃণা।অপকর্ম করে অনেকে বাচ্চা নষ্ট করে! কিন্তু যাকে এভাবে নষ্ট করা হয় সে কিভাবে বেড়ে উঠে তা দেখুনঃ
১ম-৩য় সপ্তাহঃ মায়ের গর্ভে নতুন জীবন শুরু হয়। জরায়ুর সাথে ভ্রূণ গেঁথে যায়।
৪র্থ সপ্তাহঃ ভ্রূণের কোষ ৩ স্তরে ভাগ হয়। যা থেকে পরবর্তীতে ব্রেইন, স্নায়ু, হার্ট, ফুসফুস, কিডনী, অন্ত্র ইত্যাদি গঠিত হয়।
৫ম সপ্তাহঃ হৃদস্পন্দন শুরু হয়। কিডনী, লিভার, অন্ত্র গঠন শুরু হয়। স্পাইনাল কর্ড ও ব্রেইন একত্রিত হয়। তাছাড়া হাত, পা, মুখ, গলার গঠন শুরু হয়।
৬ষ্ঠ সপ্তাহঃ শিশুর মুখের অবয়ব ও হাড্ডি-পেশী গঠিত হয়।
৭ম সপ্তাহঃ আঙ্গুল ও চামড়ার গঠিন শুরু হয়। শিশু দ্রুত বাড়তে থাকে।
৮ম সপ্তাহঃ শরীরের সব অঙ্গ কাজ করতে থাকে। চোখের পাতা গঠিত হয়।
৯ম সপ্তাহঃ হাত-পা বড় হতে থাকে। চেহারা পূর্ণতা পায়। যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।
১০ম সপ্তাহঃ হাত-পা নড়াচড়া শুরু করে। চুল গজায়। অঙ্গ গঠন সম্পূর্ণ হয়।
১১ ও ১২ তম সপ্তাহঃ শিশু অনুভূতি সম্পন্ন হয়। সব কিছু পূর্ণতা পেতে থাকে।
এভাবে ১২ সপ্তাহের ভিতর গর্ভের সন্তানের গঠন প্রায় শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুটি শুধু আকার-আকৃতিতে বাড়তে থাকে।
বাচ্চা নষ্ট করার সব পদ্ধতিতেই এক ধরণের লম্বা নল জরায়ুতে ঢুকিয়ে গর্ভের শিশুটিকে প্রথমে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। পরে ভ্যাকুয়াম সাকারের মাধ্যমে শিশুটিকে শুষে আনা হয়।গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা কারো কানে পৌঁছে না।