অকারন প্রেম
রচনায়ঃ- গফুর শাহ
ফেসবুকঃ- [email protected]
--স্বরূপ--
"মায়াবী সুখানুভুতি" অঝর ধারায় ঝরে পরে, পাথরে ফুল ফুটাবে বলে।
--সার্বোজনিন--
অখন্ড মায়াবী দৃষ্টি- পুন্য। খন্ড স্বার্থ দৃষ্টি- পাপ।
--আত্মপরিচয়--
যিনি নিজের অস্তিত্বকে রাজকীয় করে সে সফল, আর নিজেকে যিনি ফকির করে সে ব্যার্থ।
-- সম্পদ--
মানুষ আত্মক্রেন্দিক হলে দরিদ্র হয়। মানুষ বহির্মুখী হলে ধনী হয়।
--জয় মানুষ--
মানুষের কোলে জন্ম আমার, মানুষের কোলে মরন। মানুষের জন্য বাচা আমার , মানুষের জন্য মরা।
--আত্মমর্যাদা--
যে তোমাকে রাজকীয় মনে করে সে তোমার বন্ধু আর যে নিম্নস্তর মনে করে তোমাকে বিরক্ত করে, সেই তোমার প্রধান শত্রু, সে তোমার নিজের মনও হতে পারে! শত্রুকে বশে আনাতেই মুক্তি।
--অদম্য--
ভেড়া তো অনেক আছে , কিন্তু বনের রাজা তো একজন , নাম তার সিংহ ।
নিরীহ ভেড়াকে সবাই ভালোবাসে , পেলে পুষে বড় করে , ভেড়াকে ভোগ করবে বলে । সিংহকে কেউ ভালোবাসে না , কারন সে কারও কাছে মাথা নত করে না , সে শুধু নিজের মত রাজকীয় ঢঙে চলে মুক্ত স্বাধীন ।
--দক্ষতা--
এ জগত খেলার এক নাট্য মঞ্চ । এ খেলায় সে তত সফল যে যত উপর থেকে খেলে ।
--ক্ষুদ্রতা--
নিজেকে প্রকান্ড গাছ মনে করলে- সকলে তোমার পাতা হবে, আর নিজেকে পাতা মনে করলে- সকলে তোমারে ছিড়ে খাবে।
--ভাল মন্দ--
যে সিদ্ধান্ত নেয় সে ব্যক্তি, যাকে উদ্দেশ্য করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সে দেহধারী। যে দেহধারীরে কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসে সে ভালো ব্যাক্তি, আর যিনি কারন অন্বেষণ করে সে মন্দ ব্যাক্তি।
--পরম দর্শন--
প্রত্যেক পলে পলে, প্রত্যেক দমে দমে, প্রত্যেক পদে পদে, প্রত্যেক কোনে কোনে, প্রত্যেক প্রানে প্রানে- প্রেম শুধু প্রেম।
--প্রভাব--
নেগেটিভ কথা যে পজিটিভ ভাবে বলে, তার সে কথায় পজিটিভ ফল আসতে বাধ্য।
--আশ্রয়--
যে প্রেমে- সে আনন্দে, যে প্রেমের বাহিরে- সে দুঃখে।
--পরম দর্শন--
শিশুসুলভ সারল্যে- দেখো যাও শুধু দেখে যাও- প্রেমকে সবেতে সব খানেতে।
--দাতা--
বিশালতা যার মর্মমুল, আনন্দে তার নিত্য কুল।
--সময়--
অতীতে যে পরে থাকে সে ব্যার্থ। ভবিষ্যতকে যে বর্তমানে নিয়ে আসে সে সফল।
--প্রতিফল--
ভেতরে যার প্রেম, বাহিরে তার শুধু আনন্দ আর আনন্দ।
--জয় পরাজয়--
এ জগত এক খেলার মাঠ। এখানে যে দিতে চায় সে জিতে আর যে নিতে চায় সে হারে।
--আত্মপ্রেম--
"মন"কে যে মাবুদ মেনেছে, সে ধ্বংস হয়েছে। আত্মপ্রেমে যে আনন্দে রয়েছে, সে ধন্য হয়েছে।
--ছোয়া--
প্রকৃত সাধকের আরেক নাম পরিপুর্নতা, সে যাই করে তাই পরিপুর্নতা পায়, প্রেম, কাম, ভোগ, ত্যাগ, ধর্ম, কর্ম সব তার ছোয়ায় পরিপুর্ন।
--পছন্দ--
যে নিজেকে পছন্দ করে, সে সকলকে পছন্দ করে, সকলেও তাকে পছন্দ করে।
--জাদু--
এ জগত কোন সাধারন বিষয় নয়, এর প্রতিটা দৃশ্যপট বিস্ময়কর, স্বর্গীয় জাদুতে উদ্ভাসিত।
--ব্যাক্তিত্ব--
সে ব্যাক্তিত্ব সকলের পছন্দ, যে শক্ত করে ধরে আছে- শিশুসুলোভ মায়াচ্ছন্ন সুখানুভুতি।
--স্বর্গ--
এ জগতের রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শের মাদকতায়- উবে যায় সব চিন্তা ভাবনা, থাকে শুধু আনন্দ আর আনন্দ।
--মর্ম--
"প্রেম" যার মর্মমুলে, "জ্ঞান" তার রাঙা চরনে।
--আশাবাদী--
নেগেটিভ কে পাত্তা না দিলে, পজিটিভ তোমার বন্ধু হবে।
--নিঃস্বার্থ--
প্রকৃত নেতা নিজেকে দেহশুন্য জ্ঞান করেন বলে তার কোন স্বার্থ নেই, তিনি সদা সর্বদা অন্যের স্বার্থে কাজ করে চলেন।
--অবস্তুবাদ--
কবিতার বর্নমালায় মনোযোগী হয়ে লাভ নাই, বরং কবিতার সৌন্দর্য্য হৃদয়াঙ্গম করতে হয়। ঠিক তেমনি ভাবে দেহজগত নিয়ে ব্যাস্ত হয়ো না বরং এর উপরে ভাসমান অখন্ড শিশুসুলভ সৌন্দর্য হৃদয়াঙ্গম করো।
--প্রেম কামনা--
ও প্রানেশ্বরী!
তোমার প্রতি কামনার টান- হৃদয়ে আমার বইয়ে দেয়- প্রেমানন্দের ঢেউ।
--সত্তা--
প্রেমিক যেন সূর্য, সে দেহমনো জগতের উর্ধে থেকে সকলকে আলোকিত করে চলে, অথচ নিজে থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে।
--দলভুক্তি--
তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো, তবে তার ভুল বিশ্বাসকেও সম্মান জানাবে এবং সে মতে তোমার বিশ্বাসের প্রতি তার আস্থা জন্মাবে।
--তুলনা--
সত্যের চেয়ে শক্তিশালী কোন হাতিয়ার নেই, মিথ্যার চেয়ে দুর্বলতর কিছু নেই।
--প্রভাব--
সিসি ক্যামেরা কত ক্ষমতাবান! সকলের উর্ধে থেকেও যে সকলের ওপর প্রভাব বিস্তার করে চলে!
--প্রভাব--
ঈগলের মত বুক ফুলিয়ে উড়বে? নাকি মুরগির মত অন্যকে তোয়াজ করে মরবে, সিদ্ধান্ত তোমার।
--বীর--
সিংহ বাচলেও রাজা, মরলেও রাজা, কারন সে সামনে থেকে বুক চেতিয়ে মরে। হরিনের মৃত্যুতে সম্মানের কিছু নেই, কারন সে ভয় পেয়ে মরে।
--প্রতিফল--
যেখানে প্রেম নেই, মায়া নেই, দয়া নেই- সেখানে হতাশা, সেখানেই যন্ত্রনা।
--জয়--
নিজেকে "নীরব নিস্তব্ধ অস্তিত্বহীন জ্ঞান" করলে এমন কিছু নেই, যে তুমি করাতে পারো না, মন থাকবে তোমার নিয়ন্ত্রনে এবং তাকে দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারবে।
--বিস্ময়--
হে অখন্ড জগতেশ্বরী! তোমার বহু কোটি বিচিত্র রূপের ঝলকে- আমি পাগলপারা আত্মহারা।
--সম্পর্ক--
হৃদয় আমি প্রেম। এ জগত আমার প্রেমাসম্পদ, এ জগত আমার আনন্দ।
--আবেগ--
এ জীবনে এত প্রেম পেয়ে তুমি যদি মায়ের মত কাদতে না পারো, তবে তুমি শিশুর মত হাসবে কি করে?
--নেতৃত্ব--
প্রকৃত নেতা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বন্দী নন, তিনি মহাসমুদ্রের মত অখন্ড অসীমে উন্মুক্ত।
--রহস্য--
ভালোবাসার ছলে যে ঘৃনা করে, তার চেয়ে সে উত্তম, যে রূড়তার সাথে ভালোবাসে।
--অস্ত্র--
"মন" এমন এক অস্ত্র, যা দিয়ে অসাধ্যকে সাধন, অবাধ্যকে বাধ্য করা যায়।
--মায়াবি শাসক--
প্রিয় নেতা, প্রকাশ্যে কঠিন পিতা, অথচ গোপনে কোমল শিশু।
--স্বরূপ--
আমি এক অসীম বেষ্টনি, সবার নিরাপত্তা- যেমন সাগরের বুকে মাছেরা।
আমিই দিলখোলা এ বাহির- সবাই আমার ভেতরে।
আমি এক আশ্রয়, সবাই আমাতে নিরাপদ- যেমন মায়ের কোলে সন্তানেরা।
--উজাড়--
আমার প্রেমের মাতাল হাওয়ায়- "মন" তুমি উড়ে যাও, উবে যাও, শুন্যে মিলাও।
--স্বরুপ--
আমি অনন্ত অসীম কল্যান, আমি যেখানে কল্যান সেখানে।
--আমি--
মন আর প্রানের মিলনমেলায় আমি যে মুক্তানন্দ।
--ব্যাক্তিত্ব--
প্রকৃত নেতা- মাতৃ চৈতন্যে তার শিশুসুলভ প্রকাশ।p
--এক--
একটাই লক্ষ্য, একটাই গন্তব্য, একটাই উদ্দেশ্য, একটাই চৈতন্য- শুধু "শিশুসুলোভ সহজ সরল মায়াচ্ছন্ন সুখানুভুতি" তে ডুবে থাকা।
--দাতা--
কারো থেকে কিছু পাওয়ার আশাuvk কথা বলোনা, কেউ কিছু দিতে পারেনা, সবাই শুধু নেয়ার পার্টি, দেয়ার পার্টি কেউ নেই। শুধু প্রেম অকাতরে দিয়ে যায় আর তুমিই সেই প্রেম।
--উপসংহার--
শেষ পর্যন্ত লাভ লোকসানের খাতা শুন্য পরে রয়, থেকে যায় শুধু মায়াচ্ছন্ন সুখস্মৃতি।
--কৃতজ্ঞতা--
তার প্রতি হও কৃতজ্ঞ- যিনি প্রেমানন্দ, আরোগ্য, কল্যান, ফুরফুরে সতেজ রূপে আমাদের আলিঙ্গন করে আছেন।
--জেদ--
মনটা বদলে গেলে জীবনটা বদলে যায়, অথচ প্রচন্ড জেদ ছাড়া বদলানো যায় না।
--রহস্যময়ী--
নারী যদি বলে অভিমান করে- তোমারে ভালোবাসি না, তার মানে সে তোমারে ভালোবাসে। আর যদি হেসে হেসে বলে- আমি তোমাকে ভালবাসি, তার মানে সে তোমাকে ভালোবাসে না।
--জগত--
এ জগত এক অখন্ড অমৃত ভান্ডার, তার প্রতিটি অনুপরমানু অমৃত।
--জীবন--
জীবন কোন ধারনা দোষে দুষ্ট নয়, জীবন ধারনা শুন্য, জীবন স্বতস্ফূর্ত প্রেম ভাবে উদ্ভাসিত।
--আপন--
প্রেম আমি শুধু প্রানের আনন্দে বিলিন, যে কিনা মানুষের মুখায়বে উড়ে বেড়ায়।
-- বি পজিটিভ--
কাটা নয় ফুলকে দেখতে হয়, মানুষের মন্দ নয়, ভালোর দিকে তাকাতে হয়।
--নির্ভরতা--
কিছুইনার ডানায় ভর দিয়ে আমি উড়াল দিলাম প্রেমাকাশে।
--শ্রদ্ধ্যা--
যে যত বেশী মানুষের আস্থার পাত্র, সে তত বড় মানুষ।
--জপমালা--
প্রেম সঙ্গীত , আমার সারাদিনের প্রেরনা, আরাধনা।
--গতি--
সফলতা যেন এক বেগবান নদী, আপন আনন্দে ছুটে চলাই যার নেশা। সফলতার এ যাত্রা পথে কখনো কারো জন্যে থেমে যেয়োনা, জানো তো? যে থেমে যায়, সে মরে যায়।
--স্মরন--
স্মরনে শুধু শিশুসুলোভ মায়াচ্ছন্ন মুখাবয়ব, স্মরনে শুধু সুখানুভুতি।
--শ্রদ্ধ্যা--
কোন স্বার্থ ছাড়াই মানুষের কল্যানে যে নিবেদিত , তার চরনে সারা জাহান নিবেদিত।
--ধনী--
যে দেয় সে পায়। যে ভোগ করায়, ভোগ তৃপ্তি তার।
--১০০--
কাউকে ভালোবাসলে একশো একশো ভালোবাসবে, ঘৃনা করলে একশো একশো ঘৃনা করবে। কখনো কোন অবস্থাতেই ঘৃনার সাথে ভালোবাসবে না, এমনটি করলে শুধু যন্ত্রনাই পাবে।
--সাধক--
প্রকৃত সাধক যেন ইচ্ছাধারী নাগ। যখন যে রূপ ইচ্ছা, তাই সে ধারন করতে পারে। এই সে শিশুর মত হাসতে পারে, আবার মায়ের মত কাদতে পারে। এই সে পালকের মত কোমল, আবার এই সে বজ্রের মত সুতীব্র। এই সে ফুলের মত সুবাস ছড়ায়, আবার এই সে ঈগলের মত করে শিকার। এই সে ঝর্নাধারার মত বেগবান, আবার এই সে ঘুর্নিঝরের মত আপন আনন্দে করে সব চুড়মার।
--ভিতূ--
গরীব দেশে ভয় ভীতি দেখিয়ে, ধনীরা গরীবদের খাবার লূটে নেয়, আবার সে খাবারেরই উচ্ছিষ্ট খেতে গেলে ঐ ধনীরা গরীবদের গুলি করে মারে।
--গুরুত্ব--
কামের উপরে যে প্রেমকে গুরুত্ব দেয়- সে স্বর্গে। প্রেমকে অবহেলা করে যে কাম কে গুরুত্ব দেয়- সে নরকে।
-- প্রেমিশ্বর--
হে চীর নুতন! তোমারে যত দেখি তত অচেনা লাগে, বিস্ময়ে আমি হতবাক হয়ে যাই , ছোট্র শিশুর মত হাত তালি দেই।
--নিয়ন্ত্রিত অনিয়ন্ত্রন--
আত্মা হচ্ছে অবাধ ঝর্নাধারা, আর মন হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত পানির কল।
--হৃদয়--
"হৃদয়" আমি ক্রমশ বিকাশমান এক মহাকাশ।
--সফলতা--
সমস্যা নয়, সমাধানের দিকে মনোযোগ দাও, সফল হবে, ধন্য হবে।
--শত্রু--
তোমার সতস্ফুর্ত ভাবকে ব্যাহত করে, এমন চিন্তাই তোমার আসল শত্রু, এরে সমূলে হত্যা করো।
--সমাধান--
সব সমস্যার এক সমাধান- "শিশুসুলোভ প্রেমানন্দ"।
--রূপ--
জগতের পরতে পরতে শুধু মায়া আর মায়া, মায়া যেখানে পরিপুর্নতা সেখানে।
--টান--
আমি প্রেমানন্দের এক সমুদ্র, আমাতে যে আসে সেই ডুবে যায় আর হারায় পরমানন্দে।
--মৃত্যু--
দেহ হচ্ছে খাচা, মন হচ্ছে পাখি। খাচা ভেঙে গেলে পাখির কি? সে তো মুক্ত হয়ে গেলো।
--আত্মমর্যাদা--
কেন নিজেকে ছোট মনে করতেছো। দেখো অনন্ত অসীম এ জগত, তোমারই চোখের এক বিন্দুতে!
--ভক্ত--
মানুষকে খাবার ও যৌনতা দিয়ে পাখির মত সহজেই পোষ মানানো যায়।
--সমন্বয়--
যে প্রেমে জ্ঞান নেই, সে প্রেম দেউলিয়া, যে জ্ঞানে প্রেম নেই সে জ্ঞান যন্ত্রনা।
--স্বর্গ--
পুরোনো মাত্রেই ঝরে পরে, মরে যায়। জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে নিত্যানন্দ রূপে উপভোগ করো।
--বিপদ--
অকৃতজ্ঞের সাথে এক মুহুর্ত কাটানোর মানে হচ্ছে- নিজেকে নিজে বিপদে ফালানো।
--আন্তরিকতা--
মানুষ এমন এক সুস্বাদু খাবার, যাকে বদ না করেই উপভোগ করা যায়।
--আশ্রয়--
আমি এক ফুরফুরে বিশ্রাম, যেথায় চিন্তারা নিহত হতে আসে।
--প্রেমিশ্বরী--
মানুষ হচ্ছে ফুল, আর তার মুখায়বে ভাসে শুধু মধু। মনপাখি সে মধু পান করে আনন্দে শুধু উড়ে বেড়ায়।
--মায়া--
আমি অস্তিত্বহীন হৃদয়, আর দেহধারী সে। সে আমার প্রেম, তারে যত দেখি তত আনন্দ হই।
--গুরুত্ব--
সুখানুভুতিকে বাদ দিয়ে যখন মানুষ চিন্তাকে অধিক গুরুত্ব দেয়, তখন সে আসলে ইতর শ্রেণীর শেয়ালে পরিনত হয়।
--স্বরুপ--
স্বপ্ন নিয়ে চিন্তিত হওয়ার যেমন কিছু নেই, জগত নিয়েও চিন্তিত হবার কিছু নেই, কারন জগতও স্বপ্ন মাত্র। এ স্বপ্ন তোমারই 'মায়া বিন্দু"তে বিদ্যমান, অথচ তুমি অনন্ত অসীম বিরাট।
--শাস্তি--
সহজ সরল প্রকৃতি, সহজ সরল জীবন। যে জটিল, সে কেবল নিজেই নিজের ব্রেনকে করে চলে হ্যামারিং।
--বিশ্বাসের শক্তি--
সুন্দর বিশ্বাস থেকে সুন্দর মন, সুন্দর মন থেকে সুন্দর কল্পনা, সুন্দর কল্পনা থেকে সুন্দর জীবন, সুন্দর জীবন থেকে সুন্দর বিশ্বাস।
--বন্দনা--
হে দেহধারী!
তোমার উপস্থিতি- আমার আনন্দ, তোমার চাঞ্চল্যে আমার প্রান।
--জগত--
এ জগত- অবুঝ ভাবনাহীন এক শিশুসুলোভ স্বর্গ।
--মোহ--
অসহ্য সুন্দর আগুনের মত, যাকে ছুলে- জ্বলে পুরে যেতে হয়, তার থেকে দূরে থাকাই আরামদায়ক।
--নেতা--
জননেতার কাছে প্রতিটি মানুষ এক একটা ফুল, আর সে ফুল বাগানের মালী।
--শিকার--
পুজিবাদী বিশ্বে শাসকরা পাগলা কুকুর, আর জনগন নিরীহ মুরগী। জনগনের সম্মিলিত
--স্বরূপ--
আমার মুখায়ব রাজার, সে রাজা প্রকাশ্যে শিশু, অথচ গোপনে মা।
--দৃষ্টিপাত--
আধো আধো নয়নে তাকিয়ো না আর, হৃদয় করো না হরন আমার, তোমার নেশায় ডুবে যাই, আমি হারিয়ে যাই, কি যে মাতাল আবেশে...
--চৈতন্য--
"বাহির" বলতে কিছু নেই, সবই চৈতন্য বিন্দুতে। শীত চৈতন্যে নিজেকে হারালে শীতার্ত। কাম চৈতন্যে নিজেকে হারালে কামুক। প্রেম চৈতন্যে নিজেকে হারালে প্রেমিক। স্বপন চৈতন্যে নিজেকে হারালে ঘুমন্ত। সবকিছু থেকে নিজেকে হারালে মুক্ত।
--যুদ্ধ--
জগত যদি পাথর হয়ে তোমার দিকে তেড়ে আসে, তবে তুমি লোহা হয়ে যাও, বৈরীতা ভেঙে চুরমার হবে ।
--মুল্যবোধ--
শিশুর মত অঝরধারায় কান্না কিংবা প্রানখোলা হাসি ছাড়া জগতের আর সব অর্থহীন।
--পরম--
হৃদয়ের পরম প্রান, প্রানের পরম হৃদয়, যেখানে কোন দেহ নেই।
--টান--
হৃদয়েশ্বর যেন মহাচুম্বক, যার টানে সারা জগত প্রানোময়, প্রেমোময়, স্বর্গীয় সুন্দর।
--আস্থা--
সেই আপন, যে মানুষকে হাস্যরসে গড়ে তোলে, নিজেকে করে তোলে মানুষের ভরসার প্রতীক।
--বাস্তবতা--
দেহজগত স্বপ্ন, কেবল মায়াচ্ছন্ন সুখানুভুতি বাস্তব।
--নরক যাত্রা--
"প্রেম চৈতন্যে"র দিকে মন, মনের দিকে দেহ- এ যে স্বর্গ যাত্রা।
দেহের দিকে মন, মনের ওপর অভিশাপ- নরক যাত্রা।
--নগদ শাস্তি--
অপরাধের তালিকাঃ
নিজের মস্তিষ্ককে নিজেই চাপে রাখা গুরুতর অপরাধ। দ্বিধাগ্রস্ত বিচলিত অবস্থা, মায়াচ্ছন্ন না হয়ে সমালোচনামুলক আচরন, অনর্থক ফালতু বিষয়ে চিন্তা, নিজেকে দেহ মনে করা, প্রানকে বাদ দিয়ে দেহকে গুরুত্ব দেয়া অপরাধ। অপরাধের শাস্তি স্বরূপ মস্তিষ্ক নিজেকেই যন্ত্রনা দিতে থাকে, যার পরিনামে দেহে ভয়াবহ রোগ বাসা বাধে।
--প্রানেশ্বরী--
"এক অখন্ড প্রান চৈতন্য" দেহ না, সে দেহের উর্ধে শুন্যে ভাসোমান, প্রানের নিত্য চঞ্চলতাই সে।
--দৃষ্টি ভঙ্গি--
তুমি প্রেমের চশমায় জগতকে দেখো, দেখবে জগত কত মায়াময়, কত স্বর্গীয় সুন্দর।
--অবস্তুবাদ--
তুমি যতই দেহ কেন্দ্রিক হবে, ততই ফালতু আর সস্তা হবে, কারন দেহ হচ্ছে ডিমের খোলস। তুমি ডিমের কুসুম নিয়ে থাকো, এটি মানুষের মুখায়বে প্রানোময় সদা চঞ্চল।
-- দিল্লীশ্বর--
যেখানে চিন্তা নাই, চিন্তাশীল নাই, আমি নাই তুমি নাই, কেউ নাই কিছু নাই, সেখানেই ধ্যান, সেখানেই মনোযোগ।
--নির্দয় সমাজ--
করুনা ভেখারী ভেড়ার চিৎকারে কোন মানুষ সাড়া দিয়াছে, তা ইতিহাসে নাই। বরং একটু পরেই সে ভেড়া মানুষের খাবারে পরিনত হয়েছে এবং মানুষ মজা করে তাকে খেয়েছে। অতএব, যে করুনা প্রার্থী সে ইতর শ্রেনী, যে করুনা করে সে রাজা।
--ভক্তি--
যারা অনুসরন করে তারা সাড়া জীবন গরীবই থেকে যায়, তারাই ধনী যারা অনুসারী তৈরী করে।
--মন--
"মন" আমি মায়াচ্ছন্ন এক ফুরফুরে হাওয়া।
-- অবুঝ প্রেম--
নদী আমি শুধু বয়ে যাই, এগিয়ে যাই, কত জনপদ আমার করুনায় গড়ে ওঠে, কত জনপদ আমি গ্রাস করি, তাতে কার কি এসে যায়? আমার কিছুই জানার নেই, বোঝার নেই। আমি শুধু প্রেমানন্দে বয়ে চলি আর বয়ে চলি।
--মুক্তি--
অসীমের পানে যে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছে, তার ঢেউ নিয়ে আর ভাবনা কি?
--জীবন--
জীবন কোন পরীক্ষাগার না, জীবন উৎসব উদযাপনের ব্যাপার।
--দারিদ্রতা--
মানুষকে ভালবাসতে যে কার্পন্য করে, জীবনও তার সাথে কার্পন্য করে এবং তাকে দরিদ্র করে রাখে।
--নিরাপদ--
"মন" সে যে মা, মায়ের কোলে দেহধারী পরম শান্তিতে।
--কৃতজ্ঞতা--
হে দেহধারী!
নিজ হৃদয়ের প্রতি হও কৃতজ্ঞ, যিনি প্রতি মুহুর্তে তোমাকে আগলে রেখেছেন, পরম মমতায়।
--দরদ--
নিজ অস্তিত্বের প্রতি যে মায়াচ্ছন্ন না, দুঃখ যন্ত্রনা তার জন্য অবধারিত।
--কর্মযোগী--
নদী যেমন শুধু বয়ে যায়, শুধু করে যাওয়াই আমাদের ধর্ম, আলস্য স্থবিরতায় নেমে আসে মৃত্যু।
--দৃষ্টিভঙ্গি--
দেহের সমান্তরালে জগতকে দেখো না। তুমি আকাশ থেকে জগতকে দেখো। এ জগত এক অসীম খাচা, আর তুমি তার প্রতিপালক । আর মানুষ তো সে খাচার সুন্দরতম পাখি।
--নির্লিপ্ত--
একদা এক নীরিহ ভদ্র ভেড়াকে যখন হত্যা করা হচ্ছিলো, তখন ভদ্রতার খাতিরে সে তেমন উচ্চ বাচ্চ্য করেনি। না প্রকৃতি, না মানবতাবাদী, না ধার্মিক, না নদীর স্রোত সে দিন সোচ্চার হয়েছিল, যে যার মত বয়ে চলছিল।
--আন্তরিকতা--
মানুষ সে যেই হোক, তার চেহারায় এমন এক শিশু আছে, যাকে দেখলেই আমি গভীর মায়াবী আবেশে জড়িয়ে যাই।সে শিশুর মুখে হাসি ফোটানোই আমার সারাদিনের আরাধনা।
--চরিত্র--
প্রকৃত সাধক কারো থেকেই কিছু আশা করেনা, কারো পরোয়া করে না। বরং সে করুনা করে, মায়া করে, দয়া করে সর্বপ্রানকে।
--বিশালতা--
এক একটা প্রান এক একটা ঢেউ, আর আমি ঢেউ এর মায়ায় উত্তাল মহাসমুদ্র।
-- ফলাফল--
যতই করিবে তাড়া, ততই বলিবে দ্বারা। তাড়াহুড়োর পরিনাম ধ্বংস।
--স্বরূপ--
মানুষের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে- নিজেকে দেহ মনে করা। মানুষ দেহ নয়, দেহজগত তো স্বর্গ, মানুষ সে স্বর্গের মায়ায় আচ্ছন্ন সীমাহীন আনন্দ অনুভুতি।
--নির্বান--
অসীম বৃক্ষ থেকে এ দেহখানিও একদিন ঝরাপাতার মত ঝরে যাবে, আর আমি মিশে যাবো অসীমে।
-- হার--
যে প্রভাবিত, বশীভূত, নিরীহ, সে শেষ পর্যন্ত হেরে যায়, ভেঙে যায়, ধসে পরে। পরাজিত মাত্রেই জয়ীর ভোগ্য বস্তুতে পরিনত হয়ে, নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনে।
--অদম্য--
ভেড়া অনেক আছে , কিন্তু বনের রাজা তো একজন , নাম তার সিংহ ।
নিরীহ ভেড়াকে সবাই ভালোবাসে , পেলে পুষে বড় করে , ভেড়াকে ভোগ করবে বলে । সিংহকে কেউ ভালোবাসে না , কারন সে কারও কাছে মাথা নত করে না , সে শুধু নিজের মত রাজকীয় ঢঙে চলে মুক্ত স্বাধীন ।
--দক্ষতা--
এ জগত খেলার এক নাট্য মঞ্চ । এ খেলায় সে তত সফল যে যত উপর থেকে খেলে ।
--রিপু--
আমরা একে অপরকে ভালোবাসি, আসলে সুখ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে । যে আমাদের বিরক্তির কারন তার থেকে আমরা দূরে দূরে থাকতে পছন্দ করি ।
--ভোগ চক্র--
গরু ঘাস খায়, মানুষ গরু খায়। মানুষ মারা গেলে ঘাস হয়ে যায়, গরু ঘাস খায়।
--মানব প্রেম--
অসীম বৃক্ষের ডালে ডালে মানুষ নামের ফুল ফুটেছে, সে ফুলের সৌরভে মন মাতাল হয়েছে।
--অমর--
ভোগ কিংবা ত্যাগ যাই করো, সহজ সরল মায়াবী আবেশে করো। কেউ চীরকাল বাচে না, থেকে যায় শুধু সহজ সরল মায়া।
--নিবেদন--
হে দেহধারী!
তোমার অস্তিত্বে- আমার পুর্নতা , আমার আনন্দ ।
কারন আমি যে অনস্তিত্ব ।
--শ্রদ্ধা--
মা্নুষ হলো- অসীমের অসীম সম্ভাবনাময় অসীম প্রকাশ ।
--স্বরূপ--
তুমিই মন , আর মনই আনন্দ , আনন্দই মন । বাহিরে আর কোন “মন” নেই । বাহিরে শুধু পরি্পুর্নতা , আর তুমি সে পরিপুর্নতার আনন্দ ।
--কর্ম--
তুমি কোন ধারনার দাসত্ব আর করোনা ,তুমি শুধু মুক্ত হাওয়ার মত বয়ে চলো , মুক্ত থাকো আর স্বাধীন বয়ে চলো ।
--মহামানব--
প্রতিদিন অন্তত ১০ জন নতুন মানুষের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক যে মানুষ গড়ে তোলেন, তিনি মহামানব।
--পরিচালক--
তুমি যে দিকে নিবে "মন" সে দিকেই যাবে। "মন" এক পংখীরাজ ঘোড়া, তাকে আকাশে নিলে যাবে আকাশে, পাতালে নিলে যাবে পাতালে। তাই মনের কোন দোষ নাই, দোষ ইচ্ছাধারীর।
--আত্মবিনাশ--
এক সেকেন্ড পরিমান সময় নেগেটিব এনার্জিকে দেয়ার মানে হচ্ছে, নিজেকে নিজে হত্যা করা।
--স্বরূপ--
প্রকৃত সাধক ভেতরে রাজা, বাহিরে শিশু।
--ধনী--
কি বাহিরে, কি ভেতরে, কি জীবনে, কি জগতে! পরিপুর্নতা আর পরিপুর্নতা। পরিপুর্নতার আনন্দে এ হৃদয় উদ্ভাসিত।
--বোধ--
সীমাহীন মায়াবী সুখানুভুতিতে সমস্ত পরিপুর্ন।
--বিধান--
মনের আশ্রয়ে জগত, জগতের আশ্রয়ে মন নয়। মনের শক্তিতে জগত। জগতের শক্তিতে মন নয়। তাই তোমার মনকে তুষ্ট করতে সারা জগত নিবেদিত। জগতকে তৃপ্তি দেয়ার জন্য তোমার মন নয়।
দেহধারী মাত্রেই কারো না কারো ভোগ্য পন্য। তোমার "মন" কখনো কোন অবস্থাতেই ভোগ্য পন্য নয়, সে সদা সর্বদা মুক্ত।
পাখির দৃষ্টিতে জগতকে দেখো, দেখবে জীবন কত মায়াময়, জীবন কত সুন্দর।
--প্রতিফল--
"গরীব", চালের দানার পেছনে ছোটে বলে সে গরীব। রাইস মিলের মালিক অসীম নিয়ে খেলে বলে সে ধনী।
--হৃদয়েশ্বর--
উপচে পরা আনন্দের- বাদ ভাঙ্গা প্রকাশ।
--প্রতিফলন--
নিজের প্রতি নিজেই যে "মায়াবী সুখানুভুতি"তে আচ্ছন্ন, তার মায়ায় সমস্ত জগত আচ্ছন্ন।
--অসীমের গান--
আমার হৃদয় অসীমে। আমার দৃষ্টি অসীমে। আমার লক্ষ্য অসীমে। আমার ধর্ম অসীমে। আমার কর্ম অসীমে। আমার প্রেম অসীমে।আমার কাম অসীমে। আমার ধ্যান অসীমে। আমার আনন্দ অসীমে।
--নেতৃত্ব--
প্রকৃত নেতার কাছে জনগন প্রিয় পায়রা। জনগনকে পেলে পুষে সুখে রাখাই তার পেশা ও নেশা।
--অসীমে জয়--
ঈগল যেমন নিজেকে অসীমের বুকে ছেড়ে দেয়, "অসীম" তাকে ভাসিয়ে নেয়। সেভাবেই সে "জীবন নামের পাহাড়" থেকে ঝাপ দিয়েছিলো আর "অসীম" তাকে ভাসিয়ে নিয়েছিলো, তার অনিঃশেষ বিশালতায়।
--শাসন--
মন হচ্ছে পাগলা ঘোড়া। মনের দিকে মনোযোগ দিলে সে তোমাকে লাথি মারবে এবং তোমার ঘাড়ে চড়ে বসবে। বরং তুমি মনের অলক্ষ্যে তার পিঠে চড়ে বসো এবং তাকে শাসন করো।
--অনুসরন--
"সীমাহীন মায়াবী সুখানুভুতি"র অনুসারী যে, তার অনুসারী সকলে।
--শ্রদ্ধ্যা--
জগতের সকল দেহধারী কে সত্যি সত্যি নিজের সন্তান জ্ঞান করা চাট্টিখানি কথা না, যে মাতৃভাবে পুর্ন, সে সকলের মান্যগন্য।
--স্বরুপ--
"আমি" কোন দেহ নই, আমি প্রেমানন্দময় এক অসীম।
--জেদ--
জেদি ব্যাক্তিই জীবনে সফল হয়। তার নৈতিক আদর্শ থেকে তাকে এক চুলো নড়ানো যায় না বলে সে সফল।
--সরলতা--
অবুঝ শিশুর মত সহজ সরল হাস্যোজ্জ্বল থাকা সর্বোত্তম। যে বেশি বোঝে, সে বেশি কস্ট পায়।
--দৃষ্টি--
মানুষকে দেখলে আমার হাসি পেয়ে যায়, শিশুকে দেখলে যেমন মায়ের হাসি পেয়ে যায়।
--দরদ--
ও বিরাট শিশু, তোমার হাজারো কোটি রূপের ঝলকে, ডুবে যাই আমি, হারিয়ে যাই। তুমি মোর জীবনের সাধনা, কামনা, বাসনা, সারা বেলার আরাধনা।
--অদম্য--
সিংহ অদম্য মাংসাশী বলেই তো সে সিংহীর হৃদয়ের রাজা।
পাঠা নীরিহ বলে ছাগল কে রক্ষা করতে পারেনা।
--দর্শন--
মানুষের মনের দিকে তাকালে কষ্ট পাবে। শিশুসুলভ প্রানের দিকে তাকালে আনন্দিত হবে।
--প্রতিচ্ছবি--
"মায়াবী সুখানুভুতি"তে যে ডুবে গেছে, সে নিজেই নিজের প্রেমে পরেছে, যে নিজের প্রেমে পরেছে, সে সবার প্রেমে পরেছে।
--নারী পুরুষ--
পুরুষের সৌন্দর্য্য- নৈতিক দৃঢ়তায়, নারীর সৌন্দর্য্য- কোমনীয় নান্দনিকতায়।
--আত্মঘাতি--
নিজেকে যে করুনা করে, সে নিজের প্রতি নিজে অবিচার করে, নিজেকেই অপমান করে। আর যে নিজেকে অপমান করে, সে সবার তুচ্ছ তাচ্ছিল্য আর অবজ্ঞার পাত্র হয়।
--কৃতজ্ঞতা--
ধন্যবাদ জানাই পরম করুনাময়কে, অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই সেই মহিমান্বিত সত্তাকে, যিনি আমাকে দান করেছেন এ হাজার কোটি টাকা মুল্যের এ দেহ।
--পরিপুর্নতা--
জীবন জগত পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত, এখানে অতৃপ্তির কিছু নাই।
--মিলন--
মস্তিষ্ক আর হৃদয়ের প্রেম থেকে জন্ম নেয় জ্ঞান, আর জ্ঞান থেকে আসে- কল্যান।
--লক্ষ্য--
আধ্যাত্মিকতা মানে ক্ষমতাশালী হওয়া না, আধ্যাত্মিকতা মানে শিশুর মত সহজ সরল নিশ্চিন্ত নির্ভার থাকা।
--আচরন--
"মা" যেমন সন্তানকে কোলে নিয়ে হাস্যরসে মেতে থাকে, সাধকও তেমনি মানুষকে তার হৃদয়ের কোলে নিয়ে মানুষের সাথে হাস্যরসে মেতে থাকে, যেন মানুষ তার আদরের শিশু সন্তান।
--আবেগ--
এক একটা প্রান, একেকটা ঢেউ। আর সে প্রানের টানে- হৃদয় সমুদ্র আমার অসীমে উত্তাল।
--মুল্যবোধ
প্রত্যেকটা মানুষ জীবন্ত স্বর্ন, এমন কিছুই নেই যা মানুষের চেয়ে মূল্যবান, মানুষের চেয়ে মর্যাদাবান।
--স্বরুপ--
"মা" আমি ভেতর, "শিশু" সে শুধু বাহির।
--সে--
আমি কিছু না, সেই সব। সে দেহ সে মন সে জীবন সে জগত। সে আমার প্রেম, সে আমার গর্ব, আমি তার আশ্রয়, আমি তার আনন্দ।
--প্রতিফল--
"লোভী কামুক ব্যাক্তি" দুনিয়ার গোলাম। আর "সহজ সরল মাতৃভাব" এ যে থাকে- দুনিয়া তার গোলাম।
--হৃদয়েশ্বর--
আমরা যদি নিজের দেহের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো তার অবদান, বাহিরে তাকালে শুধু আমাদের তরে- তার অফুরন্ত কল্যানই দেখতে পাবো। তার প্রতি সামান্য কৃতজ্ঞতা বোধ কি আমাদের জাগবে না?আমরা কি নির্বোধ অপদার্থই থেকে যাবো?
--চেতনা--
ফুরফুরে ফ্রেশ, টাটকা সতেজ। মখমলে মোলায়েম মায়াবী পরশ।
--পরিচয়--
দেহধারী সে শিশু। "হৃদয়" আমি মা, তার শক্তি, তার আনন্দ।
--মহাশক্তি--
আমি বস নই, আমি তো শিশু। বস তো একজনই "মায়াবী সুখানুভুতি" যার নাম।
--ঠিকানা--
আমার হাত তোমার হাত, তোমার হাত আমার হাত, এই মায়াই আমাদের আপন ঠিকানা।
--উন্নয়ন--
দ্রুততার সাথে সর্বাধিক প্রানের কল্যানে যে ছড়িয়ে পরে, সেই সবচে উন্নত।
--ফলাফল--
ব্যার্থ মানুষ নেগেটিভ বিষয়ে আকর্ষিত হয়, সফল মানুষ পজিটিভ বিষয়ে আকর্ষিত হয়।
--আত্মঘাতি--
যে আত্মবিশ্বাসী সেই সাচ্চা প্রেমিক। আত্মঘাতি ব্যাক্তি কখনো প্রেম করতে পারে না, প্রেম করবে কি করে? সে নিজেই তো নিজেকে ভালোবাসেনা।
--আসক্তি--
লোভী অবস্তুতে নয় , বস্তুতে আসক্ত । প্রেমিক বস্তুতে নয় , অবস্তুতে আসক্ত ।
--নিমগ্ন--
"মায়াবী সুখানুভুতি"ই জীবনের মূল। যত পারো "মায়াবী সুখানুভুতি"তে আচ্ছন্ন থাকো, ধন্য হবে, পরিপুর্ন হবে।
-সৌন্দর্য--
যার ভেতরে প্রেমাবেগ যত গভীর তার আনন্দ তত বিস্তৃত, সে আনন্দকে আরো ব্যাপকভাবে দেখতে পায়।
--অনুভুতি--
প্রেমের নাই কোন দিক বিদিক, "প্রেম" বোঝে না- আমি, তুমি কিংবা সে। সে শুধু বয়ে যায় আর বয়ে যায়, উড়ে যায় উড়ে যায়।
--প্রেম তরঙ্গ--
প্রত্যেক দমে দমে হৃদয় আর প্রানের মিলনানন্দে "মন" তুমি উড়ে যাও, হারিয়ে যাও।
--ভাব--
সর্বাবস্থায় মাতৃ ভাবএ থাকবে, হৃদয় দিয়ে প্রানের সেবা করবে, যেন সর্বপ্রান তোমার শিশু। শুধু রমনে ও ভজনে ছাড়া, সে সময় তুমিই হয়ে যাবে অবুঝ শিশু, প্রানভরে জগতকে ভোগ করবে।
--সঙ্গী--
গোলাপের সঙ্গ বাদ দিয়ে কাটাকে আপন করতে চেয়ো না, আঘাতে আঘাতে শুধু রক্তাতই হবে।
--আত্মা--
"প্রেম" শুধু দিয়ে যায়, কিছুই নেয় না সে, কি নেবে? সে নিজেই যে "কিছু না, ফাকা"।
--ন্যায়--
মিথ্যার ধোয়াসায় অন্যের কাছে ভাল হতে যেওনা, বরং সত্যের আলোয় তেজোদীপ্ত হও, দেখবে অন্যে তোমার কাছে ভালো হতে চাইবে।
--হও--
মন হয়ে যাক মহামায়া মা,
প্রান হয়ে যাক আনন্দময় শিশু।
--মায়া--
এ বাহির- শিশুসুলোভ স্বর্গীয় মায়া।
এ ভেতর- সে মায়ায় আচ্ছন্ন সুখানুভুতি ।
যে বাহিরে, “মায়া”কে যত ব্যাপকভাবে দেখতে পায়- ভেতরে তার সুখানুভুতি তত প্রবল।
--কৃতজ্ঞতা--
প্রেমের কারনে দাতের জায়গায় দাত , চোখের জায়গায় চোখ । প্রেমই আমাদের সর্বক্ষন ধরে রাখে পরম মমতায় ।“প্রেম” দূরে চলে গেলে সব নড়বরে হয়ে পরে , আমরা অসুস্থ্য হই । তাই আমাদের নিজেদের ভালো লাগার স্বার্থে- “প্রেম”কে ধরে রাখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই , প্রেমের প্রতি কৃতজ্ঞতা ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই ।
--ছুটি--
নিজের কাছ থেকে নিজের ছুটি নেয়া বড় বেশী প্রয়োজন
একটা দিনের জন্য কি ছুটি নেয়া যায়?
ফাগুনের মাতাল হাওয়ার মত হারিয়ে যাওয়া যায় কি? অফুরন্ত এ বিশালতায়
আজ , অঝর ধারায় পারবে কি কাদতে? তার স্মরনে
তবে সব, সব ছেরে ছুড়ে এসো এ হৃদয়ে , এসো এ চৈতন্যে , যেথায় এ জগত স্বর্গ রূপে সদা দীপ্তমান।
--আবেগের জয়--
আগে মাতাল প্রেমানন্দ , পরে জ্ঞান যুক্তি তর্ক ।
--আবিস্কার--
কোন কিছুর দ্বারাই তুমি আক্রান্ত হয়ো না, তুমি দেহগ্রস্ত হয়ো না, বস্তু পূজা করো না। তুমি "কিছুই না"র অন্তুহীন মহাশুন্যে ডুবে যাও, হারিয়ে যাও, দেখবে শুধু এক অখন্ড প্রানেশ্বরী, সেখানে আলাদা বা "পর" বলে কেউ নেই।
--বিশ্রাম--
ছোট্র শিশুর মত নিজেরে ফাকা করে ফেলো, তোমারে কিছুই করতে হবে না, বরং এক জগতেশ্বরী হাজারো কোটি রূপের ঝলকে তোমারে রাখবে পরিপুর্ন।
--লক্ষ্য--
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের দিকে সাধক ধাবিত না, বরং "সময়" ধাবিত তার দিকে, কারন সে প্রেমের দিকে।
--নির্ভার--
ছোট্র শিশুর মত, তুমি শুধু প্রেমের কাছে নিজেকে সমর্পন করো। তোমার সব দায় দায়িত্ব সে নিজের কাধে তুলে নেবে, এক নিমিষে করে দিবে তোমার যত কাজ।
--স্মরন--
প্রত্যেক দমের জন্য, প্রতিটা অন্নের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা হে প্রেমিশ্বেরী।
--সৃজন--
মায়ের খাচা ছিন্ন করে শিশু জন্ম নেয়, শিশু নিজ দেহ ছিন্ন করে প্রেমের জন্ম দেয়। তাই দেহের বিনাশে মন খারাপের কিছু নেই, বরং এটি সুসংবাদ।
--দৃষ্টিপাত--
কোন কিছুর দিকেই আমি তাকাই না , আমি তাকাই শুধু প্রেমের দিকে আর জগত হয়ে যায় স্বর্গ ।
--আত্মযতন--
নিজের রূপ, পরম প্রেমোময়ের রূপ। আয়নাতে যারে দেখা যায়, তারেই ভালোবাসতে হবে বেশী বেশী।
--জয় অবস্তুবাদ--
মানুষের মুখায়বে সদা চঞ্চল সে ভেসে বেড়ায় সে প্রান, অবস্তু সে প্রানের সাথেই শুধু হৃদয়ের প্রেম হয়, দেহের সাথে কোন প্রেম হয় না। দেহ তো বাহন মাত্র।
--অসীম--
সাধক কোন নির্দিষ্ট বিষয় বা ঘটনায় আবদ্ধ নন, তিনি এক প্রেমের অনন্ত সৌন্দর্যে আত্মহারা পাগলপারা।
--প্রেম--
সত্যিই যদি তুমি মানুষকে ভালোবাসতে পারো, তাহলে তার দোষত্রুটি গুলোও তোমার ভালো লাগবে।
--কান্না--
সর্ব ব্যাপিয়া প্রেমের অফুরন্ত নিবেদন দেখেও যদি তোমার নয়ন অশ্রুসজল না হয়, তার মানে তুমি এখনো মানুষ হতে পারো নি, পশুই রয়ে গেছো।
--প্রতিফলন--
সত্যি সত্যি যে প্রেমে পাগল হয়েছে, তার কাছে সমস্ত জগত স্বর্গে পরিনত হয়েছে ।
--আত্মপ্রেম--
“সত্তা” মা , আর “দেহ” তার শিশু সন্তান । “নিজ সত্তা” ছাড়া “নিজ দেহ”কে কেউ এতো মায়া করে না ।তুমি যত সহজ সরল শিশু হবে, “মহাশক্তিধর সত্তা” তত তোমার দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিবেন ।
--প্রতিচ্ছবি--
তুমি একটা ইলেক্ট্রিক লাইট। তোমার কেন্দ্রে যে তীব্র প্রেমালো জ্বলছে সে মূল সত্তা। তার আলোয় তুমি নিজে আলোকিত হলেই, সে আলো বর্ধিত হয়ে জগত আলোকিত হবে, জগত হবে স্বর্গীয় সুন্দর।
--আসল ঘর--
প্রেমালোয়- “বস্তু জগত” স্বর্গে পরিনত হয়- শুন্যে।
--নিমগ্ন--
মায়াবী সত্তা থেকে মায়ায় আচ্ছন্ন সমস্ত জগত।
--আত্মপূজা--
তোমার নিজেকে, নিজের রূপকে, নিজের কথাকে, নিজের কাজকে, নিজের আচরনকে ভালোবাসলে, সবাই তোমাকে ভালোবাসবে।
--শক্তি--
প্রেমানন্দ জীবনের জ্বালানি, যারে ছাড়া জীবনে অশেষ ক্লান্তি নেমে আসে, জীবন যন্ত্রনায় পরিনত হয়।
--আচরন--
হওয়া কাজ ভেস্তে যায়- মানুষের সাথে অবজ্ঞা অপমানমূলক আচরন করলে । অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়- মানুষের সাথে সহজ সরল মায়াবী আচরন করলে।
--দেখা--
প্রেমালোয় আলোকিত ব্যাক্তি কোন কিছুর দিকেই প্রকট দৃষ্টিতে তাকান না, তিনি প্রেমের দিকে তাকান, আর তার জগত রূপান্তরিত হয় স্বর্গে।
--বস্ত অবস্তু--
প্রেম আমি ছাড়া গোলাপ তুমি নাই, তোমার সৌন্দর্য মৃত। মোরা শুন্যের মাঝারে মেলেছি মায়ার সংসার।
--সমাধান--
বদ মেজাজী লোক তোমার কাছে আসে তার বদ মেজাজ থেকে মুক্ত পাবার জন্য , সে বদ মেজাজের মাধ্যমে তার সমস্যা তোমার কাছে তুলে ধরে যাতে তুমি তাকে সুস্থ করে তুলতে পারো ।এখন তুমি তার সমস্যার সমাধান না করে তার সমস্যার সাথে একাত্ম হয়ে পরো , তার বদ মেজাজের প্রতিবাদ করো তাহলে তো সমস্যা দ্বিগুন আকার ধারন করবে । তোমার উচিত সমস্যা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাকে সমাধানের পথে নিয়ে যাওয়া । তাকে প্রেমানন্দের পরশে সুস্থ করে তোলা ।
--দরবেশ--
মানবতাবাদী সমাজকর্মীরা আধুনিক যুগের দরবেশ ।
--শর্ত--
“মন” তুমি কোন কিছুর দ্বারাই খন্ডিত হয়ো না , তুমি শুধু ফুরফুরে ফাকা থাকো , তবেই সে ফাকাতে এক অখন্ড জগতেশ্বরী “প্রেমানন্দ” রূপে ধরা দিবেন । তখন তুমি যেদিকেই তাকাবে সেদিকেই- সে বিরাট শিশুর স্বর্গীয় প্রকাশ দেখতে পাবে ।
--মুক্ত--
হে মন!
তোমার মুখায়বে যে “শিশুসুলোভ প্রান” সে তোমার রাজা , সব শক্তিত মূল শক্তি , তারে ভক্তি দাও , তবেই মুক্তি পাবে ।
--স্বাধীনতা--
মনের সুখ দুঃখ আবার কি? “মন” নিজেকে শুন্য করুক- আপন সুরতের রাঙা চরনে, তবেই মুক্তি।
--মানুষ--
একেকটা মানুষ একেকটা স্বর্গ। টেলিভিশন, স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট ফেসবুকের কাল্পনিক জীবন বাদ দিয়ে মানুষে ভ্রমন করো, মানুষের সাথে প্রেমোময় আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোল, তবেই ধন্য হবে, পুর্ন হবে।
--জনপ্রিয়তা--
আপন সুরতকে পরমগুরু মানবে, তারে ভক্তি করলে, সারা জাহানের ভক্তি পাবে।
--don’t mind--
"মন' তুমি তোমার অস্তিত্বের হলে সবকিছু মায়াচ্ছন্ন লাগবে, সব তোমার টানে আবর্তিত হবে।
--আত্মসমর্পন--
একটি পতাকার মত ভাগ্যবান আর কে আছে? সে নিজেকে শুন্য জ্ঞান করে প্রভুর চরনে নিবেদিত হয় বলেই, প্রভুর তার প্রেমের হাওয়ায় তাকে ওড়ায় শুধু ওড়ায়।
--নাস্তিকতা--
যতই আমি নাস্তিক দেখি ততই আমি আস্তিক হয়ে যাই, প্রভুর প্রতি আমার বিশ্বাস ভক্তি বেড়ে যায়। প্রভু কত মহান! তাকে অস্বীকারকারীকেও তিনি পরম মমতায় লালন পালন করে চলেছেন, কি বিস্ময়কর মহানুভবতা! প্রভু তুমি সত্যি মহান।
--শ্রদ্ধ্যা--
মানুষ সে যেই হোক, তাকে অসম্মান করা মানে স্বয়ং প্রভুকে অসম্মান করা, কারন বহুরূপে সেই একরেই প্রকাশ সবত্র।
--অর্থ--
জীবন জগতের সবকিছু ফালতু অর্থহীন, শুধু "সহজ সরল প্রেম" ছাড়া।
--বেহিসেব--
“প্রেম” যেমন অঝর ধারায় ঝরে পরে জীবনেরে লালন করে চলে, তুমিও তেমনি জীবনের যতনে হও বেহিসেবি।
--কাম যাতনা--
"কাম" কে বিছানা ছাড়া আর কোথাও স্থান দিলে, "কাম" বিশাক্ত সাপ হয়ে তোমায় ক্ষত বিক্ষত করতে থাকবে।
--স্বাধীনতা--
"মোহ"- প্রতিদান বা চাওয়া পাওয়ার শর্তাধীন বলে পরাধীন। " প্রেম"- বিনিময় আশা না করে শুধু দিয়ে যায়, তাই প্রেমিক মুক্ত।
--বাহুল্য বর্জন--
প্রেমের মধুতে যে ডুবে গেছে, তার কাছে দুনিয়াদারী তেমন গুরুত্বহীন , ভ্রমরার কাছে চিনি যেমন গুরুত্বহীন ।
--নির্দেশ--
“মন” তুমি কিছুই না । এক “মুক্তানন্দ”ই সব । হাজারো কোটি মায়াময় রূপে তার নিত্য প্রকাশ । সেই প্রকৃত সত্তা । সবকিছুকে তারই অখন্ড প্রকাশ রূপে দেখো , কোন কিছুকে আলাদা বিচ্ছিন্ন রূপে দেখো না , এ যেন এক বিরাট ক্যানভাসে আকা জগত সংসার, এখানে বিচ্ছিন্ন বলে কিছু নেই । “মন” তুমি কিছুই হতে যেয়োনা , কিছু করতে যেয়োনা । তুমি শুধু তার মায়ায় আচ্ছন্ন থাকো , তার মুক্তানন্দে বিলিন হও ।
--বিনয়--
প্রেম ভালোবাসা তো বিরাট ব্যাপার , তা সবার ভাগ্যে জোটেনা । তাই অন্তত সম্মানটুকু করো মানুষকে , সে যেই হোক। এতটুকু করলেই দুনিয়া থেকে অশান্তি বিদায় নিবে ।
--ধ্যান--
বন্ধ কর চোখ। পরম ভক্তিতে মনে মনে তাকাও দুই ভুরুর মাঝখানে। এখানে আলো থেকে আলোয় বিলিন হও,হারিয়ে যাও।
--সমপর্ন--
প্রত্যেকটা মানবদেহ প্রেমের জন্যে প্রস্তুতকৃত এবং প্রেমালোয় নিবেদিত।
--বিনয়--
দেব দেবীগন করে আরাধন, পাইতে সাধের মানব জীবন। মানুষের তুলনা নাই, মানুষ অনন্য। সমস্ত বিশ্বপ্রকৃতি মানুষের প্রেমে নিজেকে নিবেদন করে চলেছে। অথচ আমি হয়তো মানুষকে মন ভরে ভালবাসতে পারিনি, এজন্য সমগ্র মানবজাতিরর কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী ।
--আসল--
যে ভালোবাসায় শাসন নাই। সেটি ভালোবাসা নয়, সেটি চামচামি।
--আত্মহারা--
ও প্রানেশ্বরী!
তোমারে দেখলে আমি জগত ভুলে যাই, জীবন ভুলে যাই। তুমিই যে আমার জগত , আমার জীবন ।
--প্রেমিক--
প্রেমিক ঝর্নাধারার মত । কে ধনী কে গরীব , কে ভালো কে মন্দ , এসব তার দেখার বিষয় না । সে যে প্রেমানন্দে নিত্য উজাড় ।
--প্রেম--
প্রেমে বোঝাবুঝি নাই, হিসেব নিকেষ নাই , যাচাই বাছাই , চিন্তা ভাবনা কিছু নাই । “প্রেম” আকাশের মত ক্রমশ উজার , ঝর্নাধারার মত অগাধ অবাধ , সমুদ্রের মত আনন্দ উত্তাল ।
--মানুষ--
মানুষ সে যেই হোক , তাকে কখনো কোন অবস্থাতে অসম্মান করো না । মানুষ স্বয়ং ঈশ্বরের রাধেশ্বরী , প্রানপ্রিয় প্রেমাসম্পদ ।
--গুরুত্ব--
যদিও "প্রেমানন্দ" বাস্তব, "চিন্তা জগত" অবাস্তব, তবুও মানুষ বাস্তব ছেড়ে অবাস্তবে বাস করে, তাই তো মানুষ জগতের সবচেয়ে অসুখী প্রানী।
--অস্তিত্বহীনতা--
মায়ার চশমা পরে জগতকে দেখলে, দেখবে জগত কত সুন্দর, অখন্ড এ জগত শুন্যে ভাসমান।
--আহবান--
এসো এক অখন্ড প্রেম চৈতন্যে বিলিন হই
--স্মরন--
সে তোমার প্রেমাসম্পদ, তোমার নিজ মুখায়বে ভেসে থাকেন যে নিষ্পাপ শিশুসুলোভ মায়াবী মুখ। তারে আগলে রেখো দিবা নিশি, ধন্য হবে পরিপুর্ন হবে, হে প্রেম চৈতন্য!
--টান--
চৈতন্যের সামনে যে আসে সেই তার জনম জনমের আপন, জনম জনমের বান্ধব।
--বিরহ--
প্রেম আশীর্বাদ ঝরো ঝরো
সখি তোমরা ধরো ধরো
প্রানটা আমার গেলোরে গেলো
প্রান বন্ধুয়ার বিহনে।
--ঈশ্বর--
প্রেমানন্দে যে নিজেকে ভুলে গেছে, সে স্বয়ং ঈশ্বর হয়ে গেছে, ধন্য ধন্য সে এ সংসারে।
--রূপ--
চৈতন্য- মৃত্যু না, স্থবির না । চৈতন্য- এক মহা জীবন । “চৈতন্য সাগর” প্রেমানন্দে সদা উত্তাল ।
--সম্পর্ক--
বস্তু জগত হলো রাস্তা স্বরূপ । রাস্তা ছাড়া চৈতন্যের বাগানে প্রবেশ করা যায় না । আবার রাস্তার মোহে যে পরে আছে , তার জন্য বাগানের দরজা বন্ধ ।
--দেহের উর্ধে--
চৈতন্য প্রাপ্ত সাধক স্বয়ং গুরু । আর জগতের অখন্ডতা তার ভক্ত স্বরূপ। তার ভক্ত তার স্বর্গ , তার প্রেমাসম্পদ । ফুলের পাপড়ীর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই , তার সম্পর্ক ফুলের অখন্ডতার সাথে , যার সৌন্দর্য শুন্যে ভাসমান । মানুষের হাত পা মুখের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই , তার সম্পর্ক মানুষের অখন্ডতার সাথে , যা শুন্যে ভাসমান ।
--পরিনাম--
যা কিছু করার প্রেমের সাথে করো , ভোগ করলে প্রেমের সাথে করো , আদর করলে প্রেমের সাথে করো । কখনো কোন অবস্থাতেই অবজ্ঞা অবহেলা তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে কিছু করিয়ো না , এর পরিনতি কখনো ভাল হয় না ।
--জয় অখন্ড--
প্রশ্নের উত্তরের জন্য ব্যস্ত হয়ো না , আসলে শেষ উত্তর বলে কিছু নাই , উপসংহার বলে কিছু নাই । তাই “মন” তুমি চৈতন্যের বহু বিচিত্র রূপের সাগরে বিলিন হও ।
--দৃষ্টি--
"প্রেম চৈতন্যে"র দিকে যার মনোযোগ, দৃষ্টিতে তার মায়াময় অখন্ডতা, সামগ্রিকতা।
--প্রার্থনা--
হে মহাশক্তিধর প্রেম চৈতন্য!
তোমাতেই আমায় ঠাই দিও। তোমার থেকে দূরে সরে গেলে আমি একা হয়ে যাই, দুর্বল হয়ে যাই, হতাশ হয়ে যাই।
--দারিদ্র্যতা--
মানুষকে ভালবাসতে কৃপনতা করলে, প্রভুও তোমার সাথে কৃপনতা করবেন এবং তোমাকে দরিদ্র রাখবেন।
--স্তর--
চৈতন্যের শক্তিতে মন চলে, মনের শক্তিতে দেহ চলে, দেহের শক্তিতে জগত চলে।
--ঠিকানা--
"চৈতন্য" অনন্ত অসীম বিরাট। যেখানে সমস্ত ক্ষুদ্র, ফিরে পায় তাদের আশ্রয়।
--সত্তা--
না আমি মন, না আমি দেহ। আমি তো অনন্ত অনাবিল প্রেম চৈতন্য।
--নিবেদন--
হে "প্রেম চৈতন্য"!
সুখ দু:খ যাই দাও, সদা সর্বদা মন আমি তোমাতে বিনীত, কৃতজ্ঞ।
--বেহিসেব--
যত বেশী দিবে- দয়াল তত বেশী তোমাকে ফেরত দিবেন । যত হিসেব করে দিবে- তত সব হারাবে ।
--জয় অস্তিত্বহীনতা--
খন্ড অস্তিত্বের ফাদে যে পরেছে সে ব্যার্থ। চৈতন্যে যার অখন্ডতা, জয় তার অনিবার্য্য।
--রূপ--
খন্ড খণ্ড পাপড়ির অস্তিত্বেই এক অখন্ড ফুল। ফুলের নিজের আসলে কোন অস্তিত্ব নেই, অখন্ডতা অস্তিত্বহীন, তার অস্তিত্ব শুধু চৈতন্যে বিদ্যমান। প্রেম- পাপড়ি বা অস্তিত্বের সাথে হয় না, প্রেম হয় অস্তিত্বহীন অখন্ডতা বা ফুলের সাথে।
--ভেতর বাহির--
ভেতরের মানুষটারে ভক্তি দিলে, বাহিরের মানুষটা তোমার ভক্ত হবে।
--প্রেম চৈতন্য--
কৃতজ্ঞতায় বিলিন হও, সেই “প্রেম চৈতন্যে”র প্রতি , যিনি প্রতি ক্ষনে ক্ষনে তোমায় গড়ে তুলছেন ।
--টান--
"অখন্ড প্রেম চৈতন্য" তোমার মুল লক্ষ্য হলে, খন্ড খন্ড জগত অলক্ষ্যে উবে যাবে, চৈতন্যের টানে খন্ড এ জগত অখন্ড হবে, মায়াচ্ছন্ন হবে।
--জীবন্ত ঈশ্বর--
মানুষের অস্তিত্বের উর্ধে- যে প্রানবন্ত মানবীয় সত্তা শুন্যে ভাসোমান থাকে, সেই ঈশ্বর। শুধু তাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসো। ধন্য হবে, পরিপুর্ন হবে।
--স্বরূপ--
"প্রেম" পানির মত, তার কাছে যে আসে শুধু সেই পরিপুর্ন হয়ে যায়, আর সব শুন্যে মিলায় অথচ সে নিজের গুণাবলী হারায় না, যেমন বরফ তারে পেয়ে কঠিন থাকলেও, পানি বরফে "প্রেম" রূপে সুপ্ত থাকে। তার কাছে- "ত্যাগ" আসলে হয় সর্বোচ্চ ত্যাগী, "ভোগ" আসলে হয় সর্বোচ্চ ভোগী, "রূপ" আসলে তা স্বর্গীয় ঝলকে ফেটে পরে, "জ্ঞান" আসলে হয় সার্বিক জ্ঞানী, "শ্রম" আসলে হয় পরিশ্রমী। "সাহস" আসলে হয় অদম্য চিতা। "কাম" আসলে হয় ব্যাঘ্র কামুক, "রাগ" আসলে বজ্রের মতো ফেটে পরে। "সেবা" আসলে ঝর্নাধারার মত অকাতরে বিলায়। "মানুষ" আসলে হয় স্বর্গীয় শিশু। বীজ আসলে বৃক্ষ হয়, তার কাছে "ফুল" আসলে সৌরভ ছড়ায়।
--বিস্ময়--
"প্রেম"- সে প্রানের প্রতিটি চঞ্চলা রূপ।
--পাগলামি--
"এক প্রেম" জগতের পরতে পরতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন- স্বর্গীয় প্রেম। আমি সেই প্রেমের প্রেমে পরেছি, পাগল হয়েছি।
--নির্দেশ--
ও মন! তুমি প্রেমের অস্থির তরঙ্গে বিলিন হও, যেমন এক ফোটা বৃষ্টি, উত্তাল আনন্দ সাগরে বিলিন হয়।
--সমালোচনা--
প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার দোষত্রুটি গুলো মধুর মনে হয়, শিশুসুলোভ হাস্যকর মনে হয়।
--হারানো--
মানব প্রেম, সমাজ প্রেম, প্রকৃতি প্রেম, জগত জুড়ে শুধু প্রেম আর প্রেম, "মন" তুমি সে প্রেমে ডুবে যাও, হারিয়ে যাও।
--প্রশ্ন উত্তর--
*দেহজগত কি?
-দেহজগত আমার স্বর্গ ।
* “মন” কি?
-“মন” কিছুই না ।
*ঈশ্বর কে?
“মানুষ” ঈশ্বরের সর্বোচ্চ প্রকাশ ।
* ঈশ্বর অনুভুতি কি?
-“কিছুই না” আর “দেহ জগত” এর প্রেম থেকে যে বাধনহারা ,পাগলপারা আনন্দের উদয় হয় , তাই ঈশ্বর অনুভুতি।
*শয়তানী কি?
-মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অবজ্ঞা অবহেলা করা- শয়তানী ।
--প্রকাশ--
“মন” আমি কিছুই না, দেহধারী তুমিই স্বর্গ । তোমার আমার মিলন মেলায় ঈশ্বর “আনন্দ” রূপে নিজের প্রকাশ ঘটান । যেখানে “আমি” “তুমি” যাই হারিয়ে , থাকেন শুধু আনন্দ আর আনন্দ ।
--মায়াচ্ছন্ন মুক্তপ্রান--
তুমি যদি "মায়াচ্ছন্ন মুক্তপ্রান" না হও, তাহলে শয়তান তার লালসার জালে তোমাকে বন্দী করবে।
--জপমালা--
দিবা নিশি সেই বিরাটের প্রতি কৃতজ্ঞ হও, যিনি তোমারে অতি আদরে সৃজন করেছেন, অতি যতনে গড়ে চলেছেন।
--জীবন জগত--
এ জগত এক মহান শিল্পীর আশ্চর্য চিত্রকর্ম, যার পরতে পরতে কেবল প্রেম আর প্রেম।
--শ্বাস প্রশ্বাস--
প্রত্যেক দমে দমে প্রেম আর মনের মিলন মেলায়- এ জগত সমুদ্র আনন্দ উত্তাল।
--উজার--
ভেতর বলতে আমার কিছু নেই । এ বাহির আমার স্বর্গ , এ বাহির আমার জীবন , এ বাহির আমার প্রেম । বাহিরের মাতাল হাওয়ায় আমি বিলিন ।
--সহজীয়া--
প্রেমে পরলে জীবন হয়ে আসে- শিশুসুলোভ সহজ ।
--প্রতিফলন--
মানুষকে তুমি বেহিসেবে দিলে- জগত তোমার প্রতি বেহিসেবে নিবেদিত হবে ।
--মানুষ--
মানুষ আমার পরম বিস্ময় । মানুষ আমার সাত রাজার ধন । মানুষ আমার আপনের আপন । মানুষ- বান্ধব আমার জনম জনম ।
--টান--
মানুষ সে যেই হোক তার কষ্টে তোমার “মন” যদি না কাদে, বুঝতে হবে তুমি এখনও মানুষ হতে পারোনি , জানোয়ার রয়ে গেছো ।
--নির্দেশ--
মানুষের চেয়ে পরম কিছু নেই। "মন" তুমি মানুষকে অকারনে ভালোবাসতে না পারলে- "কারন" এর যন্ত্রনা ভোগ করতে হবে।
--লক্ষ্য--
“মানব সেবা” ব্যতিত , ধর্ম কর্ম যজ্ঞ অনুষ্ঠান সব বৃথা ।
--প্রার্থনা--
একবিন্দু জল যেমন সাগরে হারায় , সে রূপে আমি যেন তোমার বিশালতায় হারিয়ে যাই , হে বিরাট! এহি মোর প্রার্থনা ।
--স্বর্গ--
মানুষ স্বর্গীয় , মানুষ বিরাট , মানুষ প্রেমিশ্বর , মানুষ চীর সবুজ , চীর শিশু ।
“মন” তুমি মানুষের কল্যানে মানুষের মায়ায় হারিয়ে গেলেই স্বর্গ প্রাপ্ত হবে ।
--সম্পর্ক--
যেখানেই আমি যাই- সেখানে সবাই আমার শিশু তুল্য স্বর্গ হয়ে যায় আর আমি হয়ে যাই তাদের আনন্দ ঝর্নাধারা, যে ধারায় স্নান সেরে- তারা চিন্তা মুক্ত স্বাধীন হয়ে যায়।
--আবেগ--
Lovely fun emotion is the best emotion.
হাস্যরস প্রেমাবেগ সর্বসেরা।
--দেখা--
দৃষ্টিতে- যার "সহজ সরল প্রেম", তার দৃষ্টি- স্বয়ং ঈশ্বরের দৃষ্টি।
--আচরন--
এমন কিছুই নাই, যেখানে "প্রেমালো" নেই, অতএব কাউকে অসম্মান করা মানে স্বয়ং 'প্রেমিশ্বর"কে অপমান করা।
--সাধক--
প্রকৃত সাধকের মাঝে পণ্ডিতি বা গুরুগিরি নাই, সে শিশুর মত, যেখানে যায়- সেখানেই সবার আপন হয়ে যায়।
--সাধনা--
সাধন জগতে কিছু পেতে যেওনা, বরং নিজেকে শুন্য ফাকা জ্ঞান করো , আর তার রূপের সাগরে ছোট্র একটা শিশুর মত হারিয়ে যাও।
--ভক্তি--
যে নিজের মুখায়বের ভক্ত হয়েছে, সে স্বয়ং পরমশক্তির ভক্ত হয়েছে।
--শর্ত--
যেখানে কোন চাওয়া পাওয়া নেই- সেখানেই স্বাধীনতা। স্বাধীন হতে পারলেই প্রেমিক হতে পারবে।
--গুরুত্ব--
যখন তুমি কাউকে সিরিয়াসলি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কথা বলো, তার মানে তুমি আসলে তার "মন"কে গুরুত্ব দিচ্ছো, "মন" হচ্ছে ঘোড়া স্বরূপ, সে গুরুত্ব পাওয়ার সাথে সাথে ঘাড়ে চড়ে বসে লাথি মারতে থাকে। গুরুত্ব দিবে "প্রেম"কে, যিনি সর্বত্র। প্রেমে বিলিন হলে- শিশুসুলোভ আনন্দে উচ্ছাসিত হবে।
--ধ্যান--
"মন' তোমাকে কিছুই করতে হবে না, তুমি শুধু নিজেরে ছেড়ে দাও, হৃদয়ের গহীনে ডুবে যাও, হারিয়ে যাও। যা করার "প্রেম" করবে।
--ডাক--
ও প্রেম! তুমি এক, অথচ কত হাজারো কোটি রূপে তুমি প্রকাশিত। ছোট্র একটা শিশুর মত- "তুই তুমি আপনি রনি জনি জোসনা হাসনা" কত নামেই না তোমারে ডাকি।
--মনোযোগ--
হৃদয়ের গহীন তলদেশে- “অসীম নিস্ততবদ্ধতা”র প্রেমে পরে গেলে- “আমি” হারিয়ে যাই ,
“আমি” হারিয়ে গেলে- সব শুন্যে ভাসে , সব মায়াচ্ছন্ন স্বর্গীয় মনে হয় , সব শিশুসুলোভ আনন্দে ছেয়ে যায় ।
--অর্জন--
প্রেমের কাছে যদি অঝর ধারায় কাদতে না পারো, কখনোই তুমি শিশুর মতো হাসতে পারো না ।
--সে--
“মন” আমি কিছুই না , আমি শুন্য স্বরূপ অস্তিত্বহীন , আমার “আমি” বা “আমার” বলতে কিছু নেই । সেই সব, সবই তার- তার মাথা , তারই ব্যাথা । তার ভেতর তারই বাহির । ভেতরে সে শক্তি- বাহিরে তার বিরাট প্রকাশ । ভেতরে সে প্রেম- বাহিরে তার আদর সোহাগ । ভেতরে সে কাম- বাহিরে তার ভোগ তৃপ্তি । ভেতরে সে কৃষ্ণ- বাহিরে রাধা তার মানবীয় রূপে । ভেতরে সে টান- বাহিরে তার প্রেমালিঙ্গন । ভেতরে সে শিশু- বাহিরে সহজ সরল হাস্য উল্লাস । ভেতরে সে মা- বাহিরে কড়া শাসন । ভেতরে সে বীজ , বাহিরে তার বট বৃক্ষ ।ভেতরে সে- এক সমুদ্র- বাহিরে তার অজস্র ঢেউ ।ভেতরে সে আকাশ- বাহিরে তার হাজারো মেঘের ভেলা । ভেতরে সে “এক”, বাহিরে তার বহু বিচিত্র প্রকাশ ।
--বাধন--
মানুষের অভিব্যক্তি- এক চীর সবুজ , চীর শিশুর প্রানবন্ত প্রকাশ- তার হাজারো কোটি রূপে- বিস্ময়ে আমি হতবাক হয়ে যাই , তার মায়ার বাধনে বিলিন হয়ে যাই ।
--ধর্মকর্ম--
মানুষ তো প্রানের এক অনন্ত সমুদ্র । “প্রেম আমি” , তারে রাখি আনন্দ উত্তাল ।
--প্রেমাবেগ--
প্রেমানলে যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ,তার আর বাচা মরা কি? তার চাওয়া পাওয়া কিংবা হারাবার কি আছে ? সে নীরব নিস্তবদ্ধ হয়ে গেছে । সেখানে প্রেমালো ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই , সে আলোয় জগত জীবন নিশ্চিন্তে পথ চলেছে ।
--দৃষ্টিকোণ--
জগতকে দেখতে যেওনা, বরং জগত ব্যাপিয়া প্রেমের বিশালতা দেখো, শুধু সে বিশালতায় বিলিন হও।
--রাধেশ্বরী--
আমারই মুখায়বে- আমার ঐশ্বর্য্য আমার গর্ব ভাসমান, যারে আমি গেছিলাম ভুলে, সে কিনা আমারই সাথে সাথে থাকে সর্বক্ষোন।
--ভাসমান--
প্রেমের কোন কেন্দ্র নাই, নাই কোন মুল। সে যে সর্ব্ব্যাপিয়া মহাপ্রেমের মহাতরঙ্গে উদ্ভাসিত।
--মানোসিকতা--
মহাপ্রেমের এ জগত সমুদ্রে- "মন" তো এক টুকড়ো পাথরের মত ডুবে যায়, হারিয়ে যায়।
--অনুভুতি--
সুখানুভুতি- প্রেম, চিন্তানুভুতি- ঘৃনা।
--অভিভাবক--
হে মানুষ!
তুমি আমারে মারো কাটো, করো শত কোটি অপমান। তবু তোমারে ভালোবাসি, তুমিই যে আমার প্রান প্রিয় শিশু সন্তান।
--বুমেরাং--
এ সমাজ যত অবজ্ঞা অবহেলা অপমান করবে, ততই আমাদের প্রেম- তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
--ঈশ্বর দর্শন--
প্রেম দেখা শোনা কিংবা বোঝার বিষয় নয়, প্রেম নেশাতুর হারিয়ে যাওয়ার বিষয়।
--অধরা--
"প্রেম" যেন চাঁদ এর আলো- মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকে, যারে ধরা যায় না, শুধু হৃদয়াঙ্গম করা যায়।
--বিশ্রাম--
ও প্রেম ! যেদিকে তাকাই শুধু তোমারেই দেখি । আমি তো কিছু না । রক্ত , মাংস , হাড় , চামড়া এ দেহ সবই যে তুমি ।সর্বদা তোমার মায়ার চাদরেই থাকি আবৃত ।
--দক্ষতা--
“মন” যেদিন থেকে আমি নিশ্চিহ্ন হলাম , সেদিন থেকে “প্রেম” তুমি সব কাজ- কত সহজেই করে দাও !
--পুর্নতা--
সত্যি যেদিন আমি আমার ভালোবাসার মানুষ হলাম, সেদিন আমি ধন্য হলাম, পুর্ন হলাম।
--আচরন--
প্রকৃত প্রেমিক শিশুর মত- মুখে যা আসে তাই বলে ফেলে , কে কি মনে করলো , কে কি বললো- কোন কিছুকেই সে পাত্তা দেয় না । তার পাগলামীতে তুমি মন খারাপ করো না , বরং তার এ সরলতারে সম্মান করো ।
--শক্তি--
মানুষ সে যেই হোক , তার প্রেমে ডুবে গেলে- মহাশক্তির উদয় ঘটে ।
--স্বরূপ--
আমি যেন শুন্যের এক ঝর্নাধারা- অনাবিল ফাকা । শুধু দিয়ে যাই , মানুষকে দিয়ে যাওয়াই আমার আনন্দ ।
--প্রেমিশ্বর--
আমি অস্তিত্বহীন বলে- তোমার অস্তিত্বে- আমার আনন্দ ।
--গুনাবলী--
মানুষ যেভাবে আসে- সেভাবেই সুন্দর । সে রাগ , ক্ষোভ , জিদ , বিস্ময়, অহংকার , অভিমান, অভিব্যাক্তি, যুদ্ধ , কাম যাই করুক না কেন , তাই মনোমুগদ্ধকর , অতুলনীয় । কিন্তু যখন সে সহজ সরল আবেগে প্রেম করে- তা তাকে ঈশ্বর তুল্য সম্মান দেয় ।
--সম্পর্ক--
“প্রেম” ঈশ্বর হলে- মানুষ তো তার প্রান প্রিয় শিশু ।
--পরিনতি--
যেখানে প্রেম আছে- সেখানে জীবন আছে । যেখানে “চিন্তা” আছে সেখানে প্রেম নাই , সেখানে জীবনও নাই, সেখানে শুধু মরন আর মরন ।
--আরাধনা--
মানব রূপেই পরমেশ্বরের সর্বোচ্চ প্রকাশ , তাই ধনী গরীব যে রূপেই তিনি আসুন না কেন- কোন কারন ছাড়াই তারে ভালোবাসা- সর্বশ্রেষ্ঠ আরাধনা । তারে স্পর্শ করলে- স্বর্গ স্পর্শ করা হয় ।
--সম্মান সম্প্রীতি--
নদী জল দেয় , গাভী দুধ দেয় , গাছ ফল দেয়- অথচ তারা কোন লাভ ক্ষতির আসা করে না । যে লাভ ক্ষতির আশা করে , যদিও সে লাভ করে , আসলে সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো , সে নিজেকে নিজে ছোট করলো । সুসম্পর্ক যার মূল লক্ষ , সে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আসলে সেই লাভবান- সে মর্যাদাবান ।
--কথা বার্তা—
কারো সাথে কথা বললে সহজ সরল প্রেমের কন্ঠে কথা বলবে- যেন তুমি নিষ্পাপ শিশুর সাথে কথা বলছো ,শুধু এ কথার মাধ্যমেই ঐ শ্রোতার মন তুমি জয় করতে পারবে ।
--মূল--
যে প্রেমিক হৃদয়ের শেকড় আকাশ পানে প্রসারিত , তার বিকাশ- আনন্দময়, তার প্রকাশ- শিশুসুলোভ ।
--ধ্যান--
ভুলে যাও সব , শুধু শুন্য ফাকাকে তোমার মূল সত্তা জ্ঞান করো , নিজেকে মনে করো একটা ফাকা জানালা , এ জানালা দিয়ে যা আসার আসতে দাও , যার যাবার যেতে দাও , আর শেষ পর্যন্ত তুমি এ ফাকায় হারিয়ে যাও ।
--স্বরূপ--
না ধরে থাকি , না ছেড়ে দেই । আমি কিছুই না , আমি তো একটা খোলা জানালা ।আমি খোলা মেলা বলে- “প্রেম” বয়ে যায় আমাতে বাধাহীন সীমাহীন ।
--জয় অখন্ড--
যেখানে প্রেম- সেখানে অখন্ডতা- সেখানেই জীবন ।
যেখানে চিন্তা ভাবনা- সেখানে খন্ড চেতনা- সেখানে মরন ।
--হৃদয়ের স্তর--
উর্ধ স্তর - মহাশুন্য অবস্থা
মধ্যম স্তর- সজাগ অবস্থায় মাতৃ প্রেম ভাব বিকিরন
নিম্ন স্তর- শিশুময় জগত প্রকাশ ।
--Don’t Mind--
যেখানে মনে করা করি নাই , সেখানেই প্রেম । যেখানে “মন” নাই , সেখানে- মুক্তি ।
--শ্রদ্ধা--
“প্রেম” এ বিশ্ব ব্রণ্মান্ডের মূল চালিকা শক্তি , সব শক্তির মূল শক্তি । তাই প্রেমিকের রাঙা চরনে সমস্ত জগত ।
--পাপ--
মানুষ স্বয়ং পরমেশ্বর । তারে অবহেলা অবজ্ঞা করা মানে স্বয়ং পরমেশ্বরকে অবজ্ঞা অবহেলা করা , এর চেয়ে বড় কোন অপরাধ নেই , পাপ নেই ।
--প্রকৃত প্রেম--
মায়ের প্রেমে কখনো কোন অবস্থাতেই তুমি আস্কারা পাবেনা , মায়ের শাসন কড়া মনে হলেও আসলে তার ফল মিঠা ।
--দ্বৈত স্বরূপ--
আমি বাহিরে- শিশু সরল , ভেতরে- মাতৃ প্রেম ভাব
আমি প্রতিক্রিয়ায়- শিশু সরল , ক্রিয়ায়- মাতৃ প্রেম ভাব
আমি উচ্ছাসে- শিশু সরল , আবেগে- মাতৃ প্রেম ভাব ।
--স্বর্গ--
"শিশুর সরলতা আর মাতৃপ্রেম ভাব" মিলনেই জন্ম নেয় আনন্দ।
--ফলাফল--
অন্যকে তোমার প্রেমের অধীন করলে রাজা হবে ,অন্যকে তোমার ভোগ্য বস্তু মনে করলে হয়ে যাবে তার গোলাম।
--অর্জন--
যতদিন না তুমি মস্তিষ্ক ছেড়ে হৃদয়ের পথে চলছো, ততদিন তুমি সহজ সরল স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের দেখা পাবেনা ।
--দায়--
হয়তো আমিই মায়াচ্ছন্ন হতে পারিনি , সহজ সরল প্রেমানন্দে ডুবে যেতে পারিনি ! আমার ব্যার্থতার জন্য আর কেউ নয় , শুধু আমিই দায়ী ।
--স্বরূপ--
যখন আমি শিশু, তখন আমি ভোগী , আর যখন আমি মাতৃ প্রেম ভাবে , তখন আমি ত্যাগী । আমি ভোগ আর ত্যাগের এক চমৎকার ভারসাম্য ।
--বিসর্জন--
“মন” সহজ সরল প্রেমের কাছে নিজেকে হারিয়ে ফেললেই- সব জটিল পানির মত সহজ হয়ে যায় ।
--সাধকের খাদ্য--
নিজ দেহের প্রানকে , যে মন ভোগ করে , তার বাহিরের কোন ভোগ্যবস্তুর দরকার পরে না । সে স্বয়ং মুক্তানন্দ ।
--আমার ঘর--
ভেতর বলতে আমার কিছু নাই ।
এ বাহির আমার প্রান , এ বাহির আমার শিশু আনন্দ , এ বাহির আমার প্রেম , এ বাহির আমার স্বর্গ , এ বাহির আমার সব , এ বাহির আমার পরিপুর্নতা , এ বাহির- আমার চৈতন্যে ।
--প্রার্থনা--
মানুষের মনের মতোন নয় । হে বিরাট! তোমার প্রেমের মুক্ত হাওয়ায় আমায় ভাসিয়ে নাও, তোমার করে নাও ।
--বাহন--
কোন কিছু না , “শুন্য” এ জগতের ভিত্তি মূল । “শুন্য” নামের বাহনে চড়েই জগত বিকশিতো , প্রস্ফুষ্টিতো । অতএব তুমি যাই করো- শুন্যে ভর দিয়ে তা করো- তবেই আসবে সে কাজে পরিপুর্নতা ।
--দৃড়তা--
কাউকে ভালোবাসলে একশো একশো ভালোবাসবে , বিশ্বাস করলে একশো একশো বিশ্বাস করবে , কাউকে ত্যাগ করলে একশো একশো ত্যাগ করবে । কখনো কোন অবস্থাতেই মধ্যপন্থায় থাকবে না , কারন মধ্যপন্থা ব্যক্তি- “দই খাবো না খই খাবো” টাইপের হয় । তাদের ললাটে ব্যার্থতা অবধারিতো ।
--দেখা--
এমনভাবে জগতকে দেখো- যেনো তুমি টেলিভিশন স্ক্রিনে বিখ্যাত কোন সিনেমা দেখছো ।
--শক্তিমান--
প্রেম শক্তি , কাম শক্তি কিংবা নেতৃত্ব শক্তি দিয়ে- তুমি যদি অপর প্রানের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারো- তাহলে সেই প্রানটি ক্ষুদ্র হলেও তোমার ওপর প্রভাব বিস্তার করবে এবং সে তোমাকে গ্রাস করে টিকে থাকতে চাইবে ।
--একমাত্রা--
হাস্যরস আর শিশুসুলোভ প্রেমাবেগ ছাড়া আর সব অর্থহীন ফালতু
--সরলতা--
যতই সহজ হবে- ততই শান্তি পাবে ।
Be simple- Get Happiness
--সাধক হৃদয়--
প্রকৃত সাধকের মাঝে প্রতিযোগিতা , পরীক্ষা , যাচাই , বাচাই কিছুই নেই- সে যে দিল খোলা আকাশের মত উদার ।
--প্রতিফলন--
“শিশুসুলোভ প্রেম” হয় যদি তোমার কেন্দ্র মূল- তাহলে সারা জগত তোমার অনুগামি । আর যদি তুমি হও- “দেহমন” কেন্দ্রিক তাহলে- হয়ে যাবে জগতের দাস ।
--সফলতা--
রুল নাম্বার ওয়ান- নিজেকে বিশ্বাস ভক্তি করো, সবার আগে ।
--পরমেশ্বর--
আমার মুখায়বে ভেসে থাকে যে স্বর্গীয় শিশু, সে সবার আনন্দ, সবার আশ্রয়।
--জীবন--
যদিও এ জীবন, স্বপনের জীবন । তবু তুমিই এ স্বপ্নের নির্মাতা- হোক সেটি সুস্বপ্ন কিংবা দু:স্বপ্ন ।
--নেতৃত্ব--
প্রকৃত নেতা প্রথমে কৃতজ্ঞ হন , তারপর তিনি তার আলোয় সকলকে করেন আলোকিতো ।
--মায়া--
তুমি যত মায়াচ্ছন্ন হবে, তোমার স্বপ্ন তত সুন্দর হবে ।
--মুক্তানন্দ--
মানুষের মুখায়বে যে প্রান উড়ে বেড়ায়, মন তুমিও তার সাথে পারবে উড়তে- যদি শিশুর মত ফাকা হও।
--অস্তিত্ব--
ঢেউই সমুদ্র, সমুদ্রই ঢেউ। সমস্ত অস্তিত্ব মিলেই এক অখন্ড প্রানেশ্বরীর অস্তিত্ব। তাই কাউকেই করোনা- অবজ্ঞা অবহেলা, এমনটি করা জঘন্যতম অপরাধ। যেকোন অস্তিত্বকে সম্মান করা সুন্দর কাজ। আর অস্তিত্বকে আপন করে নিলে- স্বর্গ লাভ হয়।
--দৃষ্টিপাত--
এ জগত এক অখন্ড মোমবাতি। জগতের দিকে তাকিয়ো না, চোখ ঝলসে যাবে, বরং তাকাও তার প্রেমোময় আলোর দিকে- তাতে দৃষ্টি হবে প্রশান্তিময়।
--গুরুত্ব--
মন কিছুনা, মনকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই, বরং "শিশুসুলোভ প্রেম"কে গুরুত্ব দাও, যে কিনা সবকিছু।
--বিনাশ--
প্রেমের উত্তাল ঝরে- স্বার্থের ফানুশ গুলো দপ করে নিভে যায় নিভে যায়।
--রূপ--
এ জগত এক অখন্ড হীরা, যার প্রতিটা শেপ- ১০০% পারফেক্ট, ১০০% স্বর্গীয়, ১০০% প্রানোজ্বোল।
--যন্ত্রনা--
আমার 'আমিত্ব'টারে নিয়ে আর ঝুলে থাকতে ভাল লাগেনা, হাত পা ছুড়ে হারিয়ে যেতে মন চায় অতল গহীনে ।
--একাত্মতা--
যেভাবে সহজ সরল সাবলীলতায় বৃষ্টি ঝরে, মেঘ বয়ে যায়- সেই সরলতায় এ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাও। মানুষের মন নয় বরং শিশুসুলোভ এ প্রকৃতির সাথে একাত্ম হও ।
--নারী--
নারী যদি তোমায় বলে ভালোবাসি- তার মানে তোমাকে সে ভালোবাসেনা । আর যদি বলে ভালোবাসিনা- তার মানে তোমাকে সে ভালোবাসে । নারীর চেয়ে রহস্যময়ী নেই কেউ ত্রিভুবনে ।
--প্রিয় নেতা--
প্রকৃত নেতার নেশা শুধু ফুলের মালা গাথা ।
প্রতিটি অস্তিত্ব বিচ্ছিন্ন ফুলের মতো এলোমেলো , এদের প্রেমের সাথে একত্রিত করে , তিনি গেথে চলেছেন ফুলের মালা ।
--আত্মবিশ্বাস--
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। বিশ্বাসের বলে মানুষ মাটির ঘরে স্বর্গ লাভ করে, আবার ঐ বিশ্বাসের অভাবেই মানুষ রাজপ্রাসাদে নরক যন্ত্রনা ভোগ করে । বিশ্বাসের বলে মানুষ রাজা হয়, আবার ঐ মানুষই বিশ্বাসের অভাবে পথের ভিখারিতে পরিনত হয়।
--অভিনন্দন--
আমি তো তার শিশু তার মুক্তানন্দ। প্রেমই সব, সব কৃতত্ব তার, সেই আমার হয়ে সব করে দেয় । আর আমি থাকি নিশ্চিন্ত নির্ভার ।
--আত্মসমর্পন--
যে ধরতে যায়- সে ডুবে যায়, যে ছেরে দেয়- সে ভাসে। মন তুমি নিজেকে এ জগত সমুদ্রে ছেড়ে দাও, প্রেমই তোমাকে ভাসিয়ে নিবে, মুক্তানন্দে ছড়িয়ে দিবে ।
--সমাধান--
আর কিছু না- প্রেমে শুরু, প্রেমেই শেষ। প্রেমে ক্রিয়া,বিক্রিয়া,প্রতিক্রিয়া। প্রেমেই পরিপুর্নতা।
--বিস্ময়--
ও প্রেম! তোমাকে দেখলে আমি নিজেকে ভুলে যাই, কত বিচিত্র রঙেই না তুমি খেলতে পারো! খেলা দেখতে দেখতে আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই, পাগল হয়ে যাই।
--আরাধনা--
হে "সহজ সরল শিশুসুলোভ প্রেমাবেগ"!
প্রত্যেক দমে দমে আমায় রেখো তোমার স্মরনে, এহি মোর প্রার্থনা।
--প্রতিক্রিয়া--
অন্যের কারনে আহত হয়েছো, ভেঙে পরেছো? সবকিছু "শিশুসুলোভ হাস্যকর" মনে করো, এখানে ভেঙে পরাপরির কিছু নাই।
--মুল্যবোধ--
ও মন!
তোমার ধারনার চেয়েও এ জগত- হাজার কোটি গুন স্বর্গীয় অমৃত, শিশুসুলোভ, মায়াময়, রাজকীয়, প্রানোবন্ত।
--পুজিবাদ--
তিমি মাছ যেমন ছোট ছোট মাছেদের গ্রাস করে, তেমনি করে সামাজিক ব্যাক্তিত্ব, আত্মকেন্দ্রিক ব্যাক্তিদের গ্রাস করে আরো শক্তিশালী হয়।
--সুন্দরী--
নারীত্ব কোন দেহজ প্রকাশ না। নারীত্ব নারীর কোমনীয় নান্দনিক ব্যক্তিত্ব ।
--অবস্থান--
বাস্তবতা হচ্ছে- আমার চেতনা সমুদ্রের বিশালতায় উড়ে চলেছে, যেন ডলফিন মাছ । যদিও চোখ আমার টেলিভিশন স্ক্রীন, যেখানে নগরের কাল্পনিক সব নাটক প্রদর্শিত হচ্ছে ।
--নিবেদন--
হে পরম প্রকৃতি!
প্রতিদিন প্রতিক্ষনে, কত হাজারো কোটি ভাষাতে, তুমি আমায় নিবেদন করো- তোমার ভালোবাসা, কত বিচিত্র রূপে তুমি আমায় মাতিয়ে রাখো! বিস্ময়ে আমি নির্বাক, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নাই।
--কামদেব--
নারীত্ব পিপাশু, হিংসায় কাতর, অজ্ঞান, ভাবনাহীন, এক হিংস্র জানোয়ার।
--বেদনা--
পারতাম যদি সকলের অশ্রু মুছে দিতে, তবে আমিই সবচাইতে খুশি হতাম। কিন্তু কপালে যে আমার সুখ নাই, তাই তো, আমিও ডুবে যাই আর ডুবে যাই, হারিয়ে যাই- তোমাদের অশ্রু জলে ।
--পরিচয়--
পরমেশ্বর তো প্রেম । এ জগত তার প্রানপ্রিয় স্বর্গ । তার স্বর্গ তার আনন্দ ।
--বাস্তবতা--
এ জগত শিশুসুলোভ ঘোড়া আর তুমি তাতে মহাপরাক্রমশালী সাওয়ারী । তুমি প্রেমের সাথে জগতকে বশীভূত করতে পারলে- এ জগত তোমার ভক্ত হবে । বশীভূত করতে না পারলে- জগতের লাথি খেয়ে জীবন যাবে ।
--সৌন্দর্য্য--
ও জগত! তুমি আমার বিরাট শিশু। তোমার হাজারো কোটি রূপের নিত্য ঝলকে- সব স্বর্গীয় মায়াচ্ছন্ন ।
--প্রেম শক্তি--
ভালোবাসায় সব এমনি এমনি হয়ে যায়- চিন্তা ভাবনা , বিচার বিবেচনার কোন দরকার নাই ।
--নির্ভার--
ও মন!
যে “প্রেম” এ বিশ্বব্রণ্মান্ড পরিচালনা করছেন, সেই একই “প্রেম” এ দেহ পরিচালনা করছেন।তবে তুমি কেন নিজেকে দুর্বল মনে করছো? ছেড়ে দাও প্রেমের ওপর সবকিছু আর নিজে থাকো নিশ্চিন্ত নির্ভার ।
--বন্দিত্ব--
মন তুমি প্রেমাবেগে নিজেকে হারাতে না পারলে, চিন্তা কারাগারে বন্দী হবে ।
--বস্তু অবস্তু--
সাদা ক্যানভাসে বস্তুতে- চিত্র শিল্পের সৌন্দর্য সুপ্ত থাকে, সৌন্দর্য জিবিত হয়- শিল্পির বা দর্শকের চেতনায় অবস্তু অবস্থায়।
--প্রার্থনা--
নিজেকে নিজে দোয়া করেন, মায়া করেন, সুস্থ্য রাখেন,
নিজেকে নিজে ধন্যবাদ দিন, নিজেকে নিজে উপরে তুলুন।
--আত্মপ্রেরনা--
তুমি নিজেকে যা মনে করো তুমি তাই। নিজেকে রাজকীয় মনে করলে রাজা হবে। নিজেকে পিতা মনে করলে, হবে সবার আশ্রয়। নিজেকে শিশু মনে করলে, হবে সহজ সরল হাসি খুশি। নিজেকে পরিপুর্ন মনে করলে, হবে ফুরফুরে প্রানবন্ত।
--টান--
বস্তু-অবস্তু, মন-প্রান, খন্ড-অখন্ড, সব একে অপরের টানে হারিয়ে গেছে। কিছু নাই আর কিছু নাই, শুধু আনন্দ আর আনন্দ।
--জয়--
বর্তমানে বসে যে ভবিষ্যতকে নিয়ন্ত্রন করে, সেই জয়ী হয়। আর অতীত নিয়ে যে পরে থাকে, সে নিশ্চিত ব্যার্থ।
--জীবন উৎসব--
মা তার শিশুর সাথে যেমন আনন্দে মাতে , ঠিক সেভাবে হাস্যরস আর প্রেমাবেগে তুমি এ জগতের সাথে মেতে থাকো ।
--জয় অবস্তুবাদ--
প্রেম ১০০% অবস্তুবাদ চেতনা । প্রেমে যদি ১% দেহকেন্দ্রিক বস্তুবাদীতা থাকে তবে তুমি প্রেমের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে এবং নরক যন্ত্রনা ভোগ করবে ।
--বাস্তবতা--
এ জগত একটা শিশুপার্ক । এখানে সবাই শিশু । প্রত্যেকে কোন না কোন খেলনা নিয়ে খেলছে । এখানে সিরিয়াসের কিছু নাই, বোঝাপরারও কিছু নাই ।
--পরম--
প্রেমাবেগে হারিয়ে গেলেই, মুক্তানন্দ লাভ হয় । মুক্তানন্দ সত্তার পরম অবস্থা ।
--স্বরূপ--
আমি বাহিরে অদম্য শিশু আর ভেতরে মমতাময়ী মা ।
--ঘর--
হৃদয় আর প্রান , শুন্যের মাঝারে মেলেছে- মায়ার সংসার ।
--আহবান--
এসো এসো প্রান এসো হে।
মহাপ্রেমের মহা উতসবে মাতো হে ।
--আত্মশক্তি--
সমুদ্র দেখে বিস্মিত হয়ো না । বরং বিস্মিত হও- সেই সাতারুকে দেখে- সমুদ্রের সমস্ত প্রতিকুলতাকে বশীভূত করে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে ।
--নীচতা--
মৃত্যু যখন আমাদের গ্রাস করতে থাকে, তখন আমাদের ক্ষুদ্রতা গুলো- মৃত্যু যন্ত্রনাকে আরো তীব্রতর করে মাত্র ।
--গতি--
বয়ে যাওয়াই জীবন- যেমন নদী । ধরে থাকা মানে মরে যাওয়া- যেমন ডোবা পুকুর ।
--আত্মসম্মান--
যে প্রেমের কারনে এ জগত সুন্দর , সেই একই প্রেমের কারনে তুমি এতো সুন্দর । শুধু শুধু কেন নিজেকে ছোট করো ।
--মা প্রকৃতি ও শিশু প্রান--
ফাগুনের যে প্রেম সারা জাহান মাতাল রাখে, ফুরফুরে রাখে । সেই একই প্রেম , যে এ হৃদয় ।
-পরিচয়--
মন হচ্ছে মাতৃ স্বরূপ। দেহজগত হচ্ছে শিশু সন্তান স্বরূপ। আর আমি তাদের "আনন্দ আকাশ"- আমাতেই তারা উড়ে বেড়ায়- মুক্ত স্বাধীন ।
--প্রেমানুভুতি--
ও প্রানেশ্বরী !
তুমি না থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা আমার, সব ক্লান্তি ক্লান্তি লাগে, নি:স্ব লাগে। তুমি আসলে যেনো স্বর্গ ফিরে পাই , যা দেখি তাই ভালো লাগে, সব ফুরফুরে ফ্রেশ ।তুমি যা করো তাই ভালো লাগে, যেভাবে আসো সেভাবেই চরম লাগে । তোমার রূপের মাতাল আবেশে আমি অবশ হয়ে যাই যেনো। তোমার হাসিতে- হৃদয় আমার যায় উড়ে যায়- ঐ নীল আকাশে ।
--স্বর্গ--
এ জগত স্বর্গেরই বহি:প্রকাশ । আর প্রেমিক হৃদয় তো সেই স্বর্গের অথিতি।
-- ৩ স্বর্গ--
মন- প্রেম করে, দেহ- ভোগ করে। আমি কিছুই করিনা। আমি আর আমি নেই, আমি তো হারিয়ে গেছি- মুক্তানন্দের মাতাল হাওয়ায় বেহুস।
--যৌনতা--
যৌনতা দেহ নির্ভর নয়, যৌনতা ব্যক্তিত্ব নির্ভর, যেখানে নারী ব্যক্তিত্বের সাথে পুরুষ ব্যক্তিত্বের মিলন ঘটে, যেখানে কমল ও কঠর চেতনা- একে ওপরকে উপভোগ করে।
--বিনিয়োগ--
নিষ্পাপ হাসি দিয়ে সহজেই মানুষের মন জয় করা যায়, যা হাজার টাকা খরচ করেও করা যায় না।
--আমার স্বরূপ--
না আমি- দেহ, মন, প্রান, জগত , চিন্তা ভাবনা , ধ্যান ধারনা , ঘটনা , অতীত বর্তমান ভবিষ্যত নই , আমি সব কিছুর উর্দ্ধে । আমি তো “প্রেমানন্দের এক ফাকা হাওয়া” , এখানে যে আসে- সেই পরিপুর্ন হয়ে যায় , স্বর্গীয় হয়ে যায় ।
--সৌন্দর্য--
ফুলে সৌরভ নাই, সৌরভ তো হৃদয়ে ভাসমান, যা পথিককে মাতাল করে।
দেহে সৌন্দর্য নাই। সৌন্দর্য তো দেহের অখন্ডতায়- যা হৃদয়ে স্বমুজ্জোল।
--আশ্রয়--
দেহ- শুন্যে, মন- শুন্যে, প্রান- শুন্যে, প্রেম- শুন্যে, জগত- শুন্যে আর "শুন্য"- আনন্দে। আমিই আনন্দ।
--ক্ষুদা--
৩ দিন খাবার না খেলেও মানুষের কিছু হয়না। মানুষ সংকটে পরে তখনই যখন খাদ্যের চিন্তায়, নিজেকে সে নিচে নামিয়ে ফেলে।
--পরিচয়--
একজন প্রকৃত সাধুর কাছে যেই আসে, সেই তার শিশু সন্তান হয়ে যায়, আর সে থেকে যায় প্রিয় পিতা।
--অখন্ডতা--
আমিই "আনন্দ আশ্রম"। আমি সর্বপ্রানের আশ্রয় । আশ্রিতা ছাড়া আশ্রম নাই, আশ্রম ছাড়া আশ্রিতা নাই, মোরা জনম জনম ধরে মায়ার বাধনে অবিচ্ছেদ্য।
--দৃষ্টি আকর্ষন--
প্রকৃত নেতা যখন ভাষন দিতে মঞ্চে ওঠেন, তখন তিনি জনগনের উদ্দেশ্যে ভাষন দেননা, তিনি ভাষন দেন- তার শিশু সন্তানদের উদ্দেশ্যে।
--আত্মস্বরূপ--
তুমিই- দেহমন, প্রান, আত্মা, প্রেম, জগত, স্বর্গ আর নিত্য ঐশ্বর্য্য। আমি কিছু না, আমি তো শুধু তোমার সারাদিনের "মুক্তানন্দ"।
--তুমি--
এ জগত আমার শিশু সন্তান , এ জগত আমার প্রেমাসম্পদ , এ জগত আমার স্বর্গ ।
--আদর যতন--
দেহকে আদর করা মানে- নিজেকে আদর করা নয় । দেহকে আদর করা মানে- শিশু সন্তানকে আদর করা ।
--নান্দনিকতা--
প্রেমের সাথে কথা বললে- সুবক্তা হবে । প্রেমের সাথে চিন্তা করলে- সুচিন্তা করবে । প্রেমের সাথে কামনা করলে- কাছে পাবে । প্রেমের সাথে খেলা খেল্লে- জয়ী হবে । প্রেমের সাথে শাসন করলে- রাজা হবে । প্রেমের সাথে কর্ম করলে- দক্ষ হবে । প্রেমের সাথে আদর করলে- সম্মান পাবে। প্রেমের সাথে শুনলে- শ্রুতি মধুর হবে । প্রেমের সাথে সরল থাকো- জটিল পালাবে । প্রেমের সাথে হৃদয়াঙ্গম করলে- সহজে বুঝবে । প্রেমের দৃষ্টিতে দেখলে- স্বর্গ দেখবে ।প্রেমের সাথে স্পর্শ করলে- অমৃত ছোবে। প্রেমের সাথে ভোগ করলে- তৃপ্ত হবে। প্রেমের সাথে রাগ করলে- বলিষ্ঠ হবে। প্রেমের সাথে বিশ্বাস করলে- ফল পাবে।
--ধ্যান--
প্রেমানন্দের উত্তাল সমুদ্রে “মন” আমার ডুবে যায় , হারিয়ে যায়- আহা কি আনন্দে! কি আনন্দে!
--কাম দৃষ্টি--
একমাত্র লক্ষ্য তুমি- মায়াবিনি, কামিনি ও প্রানেশ্বরী । অলক্ষ্যে ঝাপসা তোমার অমৃত বদনখানি ।
মন মস্তিষ্ক সীমাবদ্ধ । অথচ “আনন্দের” কোন সীমা নেই , সে যে অবাধ অগাধ অন্তহীন অনুভুতি ।
--অবুঝ মন--
গাড়ি নির্মাতাকে নিয়ে মাথা খাটিয়ে লাভ নাই, গাড়িটাকে নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানোতেই আনন্দ ।
ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে মাথা ঘামানো সৃষ্টির সাজে না , জীবনটা শিশুর মতো উপভোগ করে যেতে হয় ।
--অধীনস্ত--
জগতটা মনের অধীন আর মন আমার অধীন । কারন আমিই “মুক্তানন্দ” ।জগতকে ভোগ করছে- মন , মনকে ভোগ করছে- আনন্দ । আমিই আনন্দ । জগতকে নিয়ন্ত্রন করছে মন , মনকে নিয়ন্ত্রন করছে- আনন্দ । আমিই আনন্দ ।
--স্তর--
“জগত”, মনের চোখে পরার জন্য নিজেকে নিত্য নতুন সাজে সাজাচ্ছে । “মন”, আনন্দ পাবার জন্য আমাতে নিজেকে বিসর্জন দিচ্ছে ।কারন “আমিই” তার আনন্দ।
--ভোগী--
নিঃস্বার্থ প্রেম বলে আসলে কি কিছু আছে? মানুষ তার আদরের ধনের যত্ন নেয়- কারন সে ভালো থাকলে তার নয়ন জুড়াবে , তার নয়ন জুড়ালে তার মনও জুড়াবে ।সুতরাং এটিও ভোগবাদ , জগত জুড়ে ভোগেরই জয় জয়কার , তবে ভোগটা প্রেমের সাথে করলেই সুন্দর হয় ।
--অবস্তুবাদে ভোগ--
মন তুমি ভোগ্য বস্তুতে নয়, ভোগের আনন্দ সাগরে ডুবে যাও , হারিয়ে যাও । ভোগ্য বস্তুতো সেই আনন্দ সাগরে যাওয়ার বাহন মাত্র ।
--সরল মায়া--
চিন্তা ভাবনা , বোঝা বুঝির কিছু নাই । শিশু যেমন যা দেখে তাই তার ভালো লাগে , মায়া লাগে , সেভাবে তুমিও মায়ার সাথে জীবনটা উপভোগ করো ।
--প্রিয় নেতা--
প্রকৃত নেতার মধ্যে ব্যাক্তিগত, স্বার্থচিন্তা ধ্যান ধারনা , নিজস্বতা , আত্মকেন্দ্রিকতা , খন্ড ব্যাক্তি চেতনা- বলতে কিছু নেই ।
সে আর সে নেই , সে যে জনগনের ভালোবাসায় হারিয়ে গেছে , জনকল্যান ছাড়া সে আর কিছু বোঝেনা , বুঝতে চায় না ।
--মানবতা--
মানব রূপেই পরম সত্তার চরম প্রকাশ । মানুষকে যাচাই করা , তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা পাপ । তাকে শিশু জ্ঞান করে ভালোবাসা এবং স্বর্গীয় জ্ঞান করে শ্রদ্ধা করা পূন্য ।
--দৃষ্টিপাত--
মানুষকে দেখোনা বরং তার প্রানকে দেখো আর তাকে তোমার প্রেমের সৌরভে মাতাল রাখো ।
--আমার স্বরূপ--
স্বপ্ন সৃজন করে কে ?- আমি
স্বপ্ন জগত কার ভেতর থাকে ?- আমার ভেতর
জগত সৃজন করে কে ?- আমি
জগত কার ভেতর থাকে?- আমার ভেতর ।
--দৃষ্টিপাত--
প্রেমের দৃষ্টিতে দেখলে,
দেখবে- জগতের প্রতিটি দৃশ্য স্বর্গীয় ,মায়াবী , সমুজ্জোল , সব অমৃত ।
--গুরুর স্বরূপ--
আমার প্রেমিশ্বরী, আমারই মুখায়বে ভাসমান , তার হাজারো কোটি রূপের ঝলকে মন আমি আত্মহারা পাগলপারা । সখী তোমরা ধরো ধরো , তার রূপের আগুনে- প্রানটা যে আমার গেলো গেলো ।
--কৃতজ্ঞতা--
ও প্রানেশ্বরী!
“প্রেম” তোমার সাথে অভিমান সুরে কথা বলতেই পারে, একটু আধটু শাসন করতেই পারে, সে তোমার ভালোর জন্যেই এমনটি করে । মান অভিমান আর কার সাথে করবে বলো? তুমি ছাড়া তার আর কে আছে ? তুমিই তো তার সারাদিনের খেলার সাথী । সে শুধু তোমাকে ভালোবাসে, বিনিময়ে কিছুই নেয়না ।“তুমি ভালো থাকো”- মনে প্রানে সে শুধু এটুকুই চায়। এমন দরদীর প্রতি কৃতজ্ঞ না হয়ে, তুমি অভিযোগ করছো ? তবে শুনে রাখো- “প্রেম” কোন কিছুর পরোয়া করেনা , সে তার নিজের ইচ্ছায় চলে- মুক্ত স্বাধীন ।
--আরাধনা--
আমি হচ্ছি- "শিশু রাজা", এ জগত হচ্ছে- বিড়াল ছানা, আর আমাদের মধ্যে "প্রেমানন্দময়" সম্পর্ক হচ্ছেন- পরম সত্তা। যতই আমি প্রেমানন্দে আত্মহারা হই, ততই তাকে স্মরন করা হয়।
--প্রভাব প্রতিপত্তি--
হে সূর্যদেব!
এ শিশুসুলোভ জগতকে, তোমার আত্মশক্তির ঝলকে, করে রাখো মায়াচ্ছন্ন।
--মন্ত্র--
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ১০ বার বলি-
"আজই আমি মারা যাবো। তাই বাদশাহি শিশুর মতো জীবনের শেষ দিনটি কাটাতে চাই।"
--ভ্রমন--
ও আমার প্রানেশ্বরী!
তুমি তো স্বর্গের শিশু। দেহতরীর এ মুখায়বে তুমি ভেসে থাকো, হে সুন্দরী। মন আমি প্রেম, এ দেহতরীর সুজন মাঝি, প্রত্যেক দমে দমে, ঢেউ এর তালে তালে, তোমায় নিয়ে, যাই বয়ে যাই- পরিপুর্নতার উত্তাল সমুদ্রে।
--আত্মশক্তি--
ঝর আসলে, আমি পালাইনা, কারন আমিই ঝর।
--মায়াবী সম্পর্ক--
শিশু যেমন তার প্রিয় বিড়াল ছানাটির সাথে হাস্যরসে মেতে থাকে, তুমিও তেমনি এ জগতের সাথে হাস্যরসে মাতো । শিশু তার বিড়াল ছানাটাকে কোন কারন ছাড়াই আদর করে , খাওয়ায় , গোসল করায় , তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে, তুমিও জগতের সাথে এমনটি করো ,যা করার “মায়া”কে কেন্দ্র করে করো । তবেই জীবন হবে সহজ সরল প্রশান্তিময় ।
--অবস্তুবাদ--
মূ্র্তি পূজা করো না । বরং মূর্তির সৌন্দর্যের পূজা করো , যা তোমার চেতনাতেই বিদ্যমান ।
--মৃত্যু--
এই মুহুর্তটাই হয়তো তোমার জীবনের শেষ মুহুর্ত , তারপর তোমার কি পরিনতি হবে- কেউ বলতে পারেনা । অতএব, প্রতিটি মুহুর্ত স্বর্গীয় প্রেমাবেশে করো উদযাপন ।
--ওজন শুন্য--
প্রেমের হাওয়ায় যে হারিয়ে গেছে, সে এখন নিজেই প্রেমের হাওয়া । সে এখন মাতাল বেহুস । পুরা দুনিয়াটাই তার কাছে হাওয়ার মত হালকা মনে হয় ।
--সমালোচনা--
প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার দোষ ত্রুটি গুলোও শিশুসুলভ হাস্যকর মনে হয় ।
--হতাশাবাদী--
ব্যার্থ লোক সবকিছুর মধ্যেই নেগেটিভ বিষয়টা আগে দেখে এবং সেটি নিয়েই পরে থাকে । এ জন্যে শেষ পর্যন্ত সে ব্যার্থই থাকে ।
--জয়-পরাজয়--
ও প্রেম!
তোমার কাছে আমি ইচ্ছে করেই ঠকে যাই , হেরে যাই। কারন তোমার জয়োল্লাস- আমার আনন্দ !
--বোধ--
প্রেমের মাঝে নেই কোন “পর” বোধ । জগতের সবাই তার প্রানপ্রিয় আপন ।
--প্রশ্ন উত্তর--
ঈশ্বর কে?
-মায়াই ঈশ্বর
ঈশ্বরে স্বরন কি?
- মায়াচ্ছন্ন থাকাই ঈশ্বরে স্মরন।
স্বর্গ কিভাবে পাওয়া যায়?
-প্রেমানন্দে আত্মহারা হলেই স্বর্গ পাওয়া যায়।
নরক যন্ত্রনা কি?
- বিকর্ষন, বিদ্বেশ, আন্তরিকহীনতাই নরক যন্ত্রনার কারন।
--লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য--
প্রেম যার একমাত্র লক্ষ্য, সমস্ত জগতের লক্ষ্য সে।
--অর্জন--
প্রকৃত প্রেমিক নিষ্পাপ শিশুর মতই মুক্ত স্বাধীন।
--নেশা--
প্রেম যাচাই করেনা, বাছাই করেনা, কোন কিছু বুঝতেও চায় না। তার শুধু কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসতে ভালো লাগে।
--স্বর্গীয় সৌন্দর্য--
প্রকৃতির তুলনা করতে যেওনা, তার মত পরমা সুন্দরী আর নেই, সে যেভাবেই আসুক, সেভাবেই সর্বসেরা।
--আত্মঘাতি--
কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তুমি যদি বিষ পান করো, তোমার যন্ত্রনার জন্য আসলে তুমিই দ্বায়ী, যার কারনে তুমি বিষ পান করলে, তোমার যন্ত্রনায় তার কিছুই আসে যায় না।
--আশ্রয়--
প্রেম যেনো আলোর এক ঝর্নাধারা । তার কাছে যে আসে , সেই আলোকিত হয়ে যায় , পরিপুর্ন হয়ে যায় ।
--প্রতিফলন--
জগতের কল্যানে যে নিজের দেহমন বিসর্জন দিয়েছে , তার হৃদয় চরনে সমগ্র জগত সমর্পিতো হয়েছে ।
--শর্ত--
“মন” হারালেই প্রেমের উদয় হয় ।
--কথা বার্তা--
"প্রেম" কখনো কোন অবস্থাতেই "মন"কে উদ্দেশ্য করে কোন কথা বলেনা। সে "প্রান"কে উদ্দেশ্য করে কথা বলে, প্রানই তার শিশুসুলোভ আনন্দ।
--আচরন--
প্রকৃত প্রেমিক বাহিরে শিশু, ভেতরে রাজা।
--পরমাত্মা--
আমি প্রেম ! আমি যা বলি তাই আইন । আমি যা করি তাই জনগনের জন্য অনুকরনীয় অনুসরনীয় বিধান । আমি যেভাবে চাই সেভাবেই জগত চলে , এ জগত আমাকেই কেন্দ্র করে আবর্তিত । আমি সবার উর্ধে , আমার তুলনা কেউ নেই । আমি সর্বোত্তম , সর্বসেরা । হে মন! তুমি যেখানেই থাকোনা কেনো , আমার কাছে আত্মসমর্পন করো , নিজেকে নিশ্চিহ্ন করো প্রেমেতে।
--দেখা--
প্রেমের দৃষ্টিতে- সবকিছু মায়াচ্ছন্ন শিশুময় স্বর্গীয় সুন্দর !
--স্বর্গ--
পাগলপারা বাধনহারা মাতাল প্রেমের অনুভুতিই স্বর্গ ।
--প্রতিফলন--
যে হৃদয়ে যত প্রেম- তার কন্ঠে তত আকর্ষন ।
--কর্ম--
প্রেম “মন”কে ভক্তে পরিনত করে আর “জগত”কে অকারনে ভালোবাসে , জগত যেভাবেই আসুক , সেভাবেই সে প্রেমের স্বর্গ। ।
--রূপান্তর--
ফাগুনের মাতাল হাওয়ায় "মন" হারিয়ে গেলে- মন আর মন থাকেনা, সে প্রেম হয়ে যায় আর জগত হয়ে যায় রাধা।
--রিপু রাজ--
প্রেমানুভুতি?
সে তো বেহিসেবী , বিস্মিতো , মাতাল আকর্ষন , তীব্র কামনা , অন্ধ বিশ্বাস , শিশু সরলতা , হারানোর ভয় , হাস্যরসের সমন্বয়ে- এক পাগলপারা , আত্মহারা ঝর্নাধারা ।
--দীক্ষা--
প্রকৃত গুরু তার দুর্বল শিষ্যটার প্রতি কখোনো কোন অবস্থাতেই বিরক্ত হন না , বরং তার ভেতরের ঘুমন্ত বাঘটাকে সে টেনে সামনে নিয়ে আসে এবং সাধনার মাধ্যমে ঐ শিষ্যটাকে সেরা খেলোয়ারে পরিনত করে ।
--প্রেমের ফল--
তোমার আকর্ষনে নিজেকে নিজে আমি ভুলে গেছি । তুমিও আমার আকর্ষনে নিজেকে নিজে ভুলে গেছো । এখন আমিও নেই , তুমিও নেই , আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ ।
--লক্ষ্য--
প্রেম সমুদ্রের দিকে যে নদীর যাত্রা । খন্ড চেতনাকে সময় দেয়ার মত তার সময় কোথায় ?
--জীবনাদর্শ--
মস্তিষ্ক দিয়ে যে চলে সে বদ্ধ । হৃদয় দিয়ে যে চলে সে মুক্ত ।
--বেহুস প্রেমিক--
প্রেমিক হওয়া এতো সোজা না । বেহুস না হলে কি আর প্রেম করা যায়? জগত রূপী এ রাধাকে কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসতে হয় । তার বহুকোটি বহু বিচিত্র রূপে বিস্মিত হতে হয় । তাকে স্বর্গ জ্ঞান করতে হয় । তার অশেষ দানে কৃতজ্ঞ হতে হয় । আবেগে অশ্রু বিসর্জন দিতে হয় । তার সাথে শিশুর মতো হাস্যরসে মাততে হয় । নিজের রক্ত , মাংস দেহমন সমস্ত অস্তিত্ব তারে উতসর্গ করতে হয় । তার প্রেমে নিজেকে নিশ্চিহ্ন করতে হয় ।
--গুরুত্ব--
ভালোবাসায় মাতাল হওয়া ছাড়া জগতে গুরুত্বপুর্ন আর কিছু নেই !
--চরিত্র--
প্রকৃত প্রেমিক- আত্মহারা , পাগলপারা , অবুঝ , মাতাল , বেহিসেবী , অযৌক্তিক , আবেগী , শিশুর মতো সহজ সরল চঞ্চল ।
--দক্ষতা--
এমনভাবে কাজটি করো- যেনো তুমি শুন্যে বসে শুন্যের সব কাজ করছো । বস্তু বলে আসলে কিছু নেই, সবই অবস্তুর খেলা ।
--অসীমের স্বাদ--
যখন তুমি প্রেমানন্দে আত্মহারা পাগলপারা । তখন তুমি সীমার মধ্যে নেই , তখন তুমি স্বয়ং অসীম ।
--মৃত্যু--
মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফলগুলো যেমন শুকিয়ে ঝরে যায় । মানুষও তেমনি “প্রেম”কে হারিয়ে ফেললে চুপশে যায় , মরে যায় ।
--মায়াবি শাসক--
খন্ড চেতনা মানে- কোন অস্তিত্বকে আলাদা বিশেষভাবে দেখা । অখন্ড চেতনা মানে- সকলকেই শিশুসুলোভ এক প্রানেশ্বরী রূপে দেখা । খন্ড চেতনায় আক্রান্ত হলে পাবে গোলামী , অখন্ড চেতনায় বিলীন হলে পাবে বাদশাহী । এখন তুমি বাদশাহী নাকি গোলামির জীবন বেছে নেবে স্বিদ্ধান্ত তোমার ।
--ধ্যান--
মন তুমি পাগলপারা মাতাল প্রেমের আবেগে নিশ্চিহ্ন হও ।
--আহ্বান--
বহুকোটি বহু বিচিত্র রূপে- সহজ সরল প্রেম তরঙ্গে- এ জগত সমুদ্র আনন্দ উত্তাল। মন তুমি সব ভুলে যাও, ভাবনা চিন্তা সব বাদ দাও- ডুবে যাও আর হারিয়ে যাও- এ আনন্দ সাগরে।
--মাতাল প্রেম--
আমি প্রেমানন্দ আর তুমি পরমা প্রকৃতি এ জগত। তোমার আমার মিলন মেলায় মন আর মন নেই, সে হারিয়ে গেছে।
--অর্জন--
মানুষের সাথে এমন ভাবে মেশো যেনো তারা তোমার অনুপস্থিতিতে ভারাক্রান্ত হয়ে পরে , অশ্রু বিসর্জন দেয় ।
--লক্ষ্য--
লক্ষ্য একটাই- অখন্ড প্রানেস্বরীর সাথে হাস্যরস আর প্রেম।
--আদেশ--
কিছুই বুঝতে যেওনা, মন তুমি শিশুর মত সহজ সরল থাকো। এতে তুমি নিশ্চিন্ত নির্ভার হবে। দেখবে সবই স্বর্গীয় শিশু সুলোভ এক পরমা প্রকৃতি- সর্বদিক থেকে তোমাকে মায়াচ্ছন্ন করে রেখেছে। কোন কারন ছাড়াই তাকে ভালোবাসতে মন চাবে, কারন তুমিই যে তার পরম পতি। তাকে ভালোবাসতে যেয়ে, মন তুমি যখন হারিয়ে যাবে, তখনই লাভ করবে আনন্দ।
--মুল্যবোধ--
মিষ্টি শাসনের মুডে প্রেম- দামি প্রেম। আস্কারা মুডে প্রেম- সস্তা প্রেম।
--শ্রদ্ধা--
নিজ দেহকে যে বিসর্জন দেয় মানব কল্যানে। সমস্ত মানব জাতি অবনত তার হৃদয় চরনে।
--ভ্রমন—
মন তুমি উড়ে বেড়াও শুন্যে , ভেসে বেড়াও প্রেম তরঙ্গে ।
--বিদ্রোহী--
জন্মেই ৩ কোটি প্রতিযোগিকে হারিয়ে আমি জয়ী, আজন্ম জয়ী আমি, পরাজয় শব্দটি আমার অভিধানে নেই। সমস্ত খেলা আমার পায়ের নিচে, আমি সবকিছুর উর্ধ্বে।
--চরিত্র--
প্রকৃত নেতা বাহিরে শিশুর মতো সহজ , অথচ ভেতরে দর্দন্ড প্রতাপশালী রাজার মতোই অনমনীয় ।
--প্রশংসা--
আমাকে তুষ্ট করবে বলে প্রতি মুহুর্তে হাজারো কোটি রূপে নিজেকে হাজির করো। কি বলবো বলো, তোমার রূপের স্বর্গীয় ঝলকে- আমি এখন পাগল প্রায়।
--কন্ঠস্বর--
প্রকৃত নেতার কণ্ঠেই- সকলে ফিরে পায়- আশ্রয়, বিশ্বাস আর জীবন।
--বিশ্রাম--
কিছুই দেখতে চেয়োনা , শুনতে চেয়োনা , বুজতে চেয়োনা , এমনকি ধরতেও যেয়োনা । ছেড়ে দাও আর ডুবে যাও আর ডুবে যাও- অনন্ত আধারের অনন্ত সমুদ্রে ।
--প্রিয় নেতা--
সে আসলে- পাখিরা সব আকাশে ওড়ে, ফুলেরা ঐ দোলে আর দোলে, জনসমুদ্র আনন্দে উত্তাল।
--ভারসাম্য--
অবস্তুতেই প্রেমময় স্বর্গ। বস্তু তো সেখানে যাবার রাস্তা মাত্র।
--প্রেম সাধনা--
প্রেমিক যেন মহাবিশ্বের মতো ক্রমশ বিশাল।তার কাছে যে আসে সেও অনন্ত অগাধ অমুল্য হয়ে যায়, স্বর্গীয় হয়ে যায়।
--রোমান্টিজম--
তোমাকে পেয়ে আমি নিজেকে হারিয়েছি আর আমাকে পেয়ে তুমি নিজেকে হারিয়েছো।এখন আমিও নেই , তুমিও নেই।আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ ।
--আত্মপ্রেম--
আমি যদি রাজা হই , তবে আমার মুখায়বে যে ভেসে থাকে সে আমার রানী । সে ছাড়া আমি নেই , আমি ছাড়া সে নেই। মোরা দুটি সত্তা শুন্যের মাঝারে বেধেছি প্রেমের সংসার । আমার সুখে সে সুখী , তার সুখে আমি সুখী , তার সম্মান আমার সম্মান , আমার সম্মান তার সম্মান ।
--কৃত্তিমতা--
যে প্রেম তোমাকে শিশুর মতো কাদাতে কিংবা হাসাতে পারেনা, সেটা প্রেম নয়, সেটা অভিনয়।
--মুল্যবোধ--
কি হবে এতো ভাবনা ভেবে? যেখানে আমরাও একদিন ঝরা পাতার মতো ঝরে যাবো। এসো প্রেমের হাওয়ায় দুলি, বিশ্বাস করো- প্রেম ছাড়া আর সবই অর্থহীন।
--আত্মহত্যা--
স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নিজেকে যে নিচে নামায়, সে নিজেকে নিজে অসুস্থ্য করে মাত্র।
--দৃষ্টিভঙ্গী--
প্রেমিশ্বর যে দিকে তাকায়, তাই অখন্ড হয়ে যায়, প্রেমোময় হয়ে যায়। পাপীষ্ট তাকালে অখন্ড খন্ড বিখন্ড আর সুন্দর কুতসিত হয়ে যায়। দেহগ্রস্ততা পাপ, অখন্ডতা পুন্য।
--শর্ত--
যতই সহজ হবে- প্রেম ও কাম উভয়ই তোমাতে হবে পরিপুর্ন।
--ভারসাম্য--
বিশ্বের ১ নাম্বার গোল রক্ষক বুফোনকে সবাই বলতো- "সে ছিল পাহাড়ের মতো অটল আবার ঝরের মতো দুরন্ত"। আসলে সে এমনটি ছিলনা, সে ছিল সহজ- যার ভেতরে ছিল- পাহাড় আর ঝর।
--মাটির স্বর্গ--
আমার মুখায়বে যে স্বর্গীয় শিশু ভেসে বেড়ায়, সে আমার প্রান, সে আমার রাধা। মোরা এক দেহে দুই সত্তা, জনম জনমের বান্ধব। মন আমি যদি ভেতর হই, সে বাহির, মন আমি গোপন হলে সে প্রকাশ্য, মন আমি প্রেম হলে সে আনন্দ। সে ছাড়া আমি নাই, আমি ছাড়া সে নাই। ক্লান্তিতে অবশ হয়ে এলে তার চোখ, তাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরি।সকালে তাকে আমি জাগিয়ে তুলি। সে কাদলে চোখ মুছে দেই। সে ভেঙে পরলে, আমি দাড় করাই। সে অবহেলিত হলে তার মাথা আমি উচু রাখি। তার হাত দুটি দিয়ে নির্মান করাই তাবত মানব সভ্যতা। সবাই তাকে ছেড়ে গেলোও, আমি কখনই তাকে ছেড়ে যাই না।
--ড্যামকেয়ার--
মন তুমি আর মরা পাথরের মতো পরে থেকোনা তো । স্রোতোস্বিনী নদীর মতো- প্রেমোল্লাসে বেগোবান হও ।
--প্রতিক্রিয়া--
যা কিছু আছে, সবকিছুকেই “না” বলো , শুধু “সহজ সরল প্রেম”কে “হা” বলো ।
--দম--
তোমার প্রেম সমুদ্রে- দেহতরী দোলেরে ।আহা কি আনন্দে- মন আমার ওড়ে রে ।
--প্রতিরোধ--
"সহজ প্রেম" যদি হয় কেন্দ্র, তবে "চিন্তা" ব্যক্তিটাকে গ্রাস করতে পারেনা।
--ইন্দ্রয়ের উর্ধে--
মোমবাতিকে দেখোনা, তার আলোয় উদ্ভাসিতো হও। মানুষের "দেহমন" দেখোনা, বরং তার শিশুসুলোভ প্রানোময়তায় উত্তাল হও, যে শুন্যে ভাসোমান।
--কর্তব্য--
তোমার কাউকে ঘৃনা কিংবা ভালোবাসার দরকার নেই। তুমি শুধু "সহজ প্রেম ভাব" এ মাতাল থাকো। কারন "সহজ প্রেম"কে কেন্দ্র করেই সমগ্র জগত আবর্তিত।
--শর্ত--
তোমার প্রকাশ হলে শিশুসুলোভ। তোমার বিকাশ হবে আনন্দময়।
--প্রেমের জয়--
যাই করো সহজ সরল প্রেমের সাথে করো। ভোগ করলে প্রেমের সাথে ভোগ করো। শাসন করলে প্রেমের সাথে শাসন করো, রাগ করলে প্রেমের সাথে রাগ করো, বকা দিলে প্রেমের সাথে বকা দাও, চিন্তা করলে প্রেমের সাথে চিন্তা করো। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অবহেলাকে কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিওনা।
--জয় যাত্রা--
তুমি রাজার রাজা, স্বর্গীয় প্রেমের যাত্রা পথে- খুচড়া সস্তা বিষয়ে নিজেকে আর বিষাক্ত করোনা।
--আকর্ষন--
প্রেম যদি হয় তোমার কেন্দ্র মুল, তবে সমগ্র বিশ্বব্রণ্মান্ড তোমার দিকে।
--জনপ্রিয়তা--
কোন কারন ছাড়া যে ভালোবাসে- তার তুলনা শুধু চুম্বক । লোহা যেমন চুম্বকের দিকে , সমস্ত জগত তার দিকে ।
--বন্ধুত্ব--
জগতের সমস্ত প্রশ্ন ম্লান হয়ে যায় এই প্রশ্নের কাছে-
তুমি কত সহজে মানুষকে আপন করে নিতে পারো? কত দ্রুত তাদের প্রিয় বান্ধবে পরিনত হতো পারো? নিরাশার জীবনে তাদের আশার আলো হতে পারো?
--বসগিরি--
সেই প্রকৃত বস যার নিজের মন নিজের নিয়ন্ত্রনে। ৫ মিনিটের মধ্যে যদি তুমি ঘুমে অচেতন হতে পারো, বুঝতে হবে তোমার মন তোমার ভক্ত ।
--আমি তুমি--
আমি প্রেম হলে , তুমি আমার আনন্দ । তুমি ভেতর হলে , আমি তোমার বাহির ।আমি দাতা হলে , তুমি গ্রহিতা। আমি আত্মা হলে , তুমি দেহমন । আমি অসীম হলে- আমাতে তুমি বহু । আমি মুক্তাকাশ হলে , তুমি পাখি- আমার বুকে উড়ে বেড়াও সুন্দর ।তুমি শিশু হলে, আমি শিশুপার্ক । আমি হাওয়া হলে , তুমি ফুল- আমার পরশে দোলো আর দোলো । আমি সমুদ্র হলে , তুমি ঢেউ । আমি ঝর্না হলে , তুমি ক্লান্ত পথিক- আমার প্রেম ধারায় সেরে নাও স্নান । তুমি ছাড়া আমি নেই , আমি ছাড়া তুমি নেই- মোরা একই মুদ্রার এপিট ওপিঠ ।
--লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য—
প্রেমানন্দ বিলানই হোক একমাত্র লক্ষ্য। গ্রহীতা নয়, দাতা হতে চাই, হে গুরুদেব ।
--আয়ু--
যা হয়ে গেছে, তা তো মৃত। সামনে কি হবে তাও জানিনা। তাই নতুনের নিত্য উদ্বোধনে এই মুহুর্তেরে করো পরিপুর্ন আর পুরাতনকে ভুলে যাও।
--অভাব--
পরনির্ভরশীল আত্মবিশ্বাসহীন জাতির জন্য "দারিদ্রতা" স্বাভাবিক বিষয়।
--দেখা--
জগতকে খন্ড রূপে দেখতে যেয়োনা- বিনিময়ে নিজেই হবে খন্ড বিখন্ড। মায়াচ্ছন্ন অখন্ড শিশু রূপে জগতকে দেখো, যা শুন্যে ভাসোমান।
--প্রেমালাপ--
আমি আমার প্রানকে বললাম- জীবন জগতের সবকিছু অর্থহীন মনে হয়, ফালতু মনে হয়- শুধু তোমার মুখের শিশুসুলোভ হাসি ছাড়া।
--১ সেকেন্ডের নাই ভরসা—
এ জগত একটা শিশুপার্ক । এখানে সবাই শিশু , সবকিছু স্বর্গীয় মায়াচ্ছন্ন। শিশুর মতো- সহজ সরল আর হাস্যরস উচ্ছলতায় জগতটারে করো উপভোগ। ধ্যান ধারনা , ভান ভনিতা , চিন্তা ভাবনা সব ছুড়ে ফেলো । আনন্দ করো , আনন্দ বিলাও । যেকোন মুহুর্তে তোমার জীবনের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে । শিশুপার্কের গেট তোমার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে । যাদের জন্য তুমি নিজেকে নিজে বিরক্ত করছো- তারা কেউই তোমার জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবেনা । তাই মুক্ত পাখির মত উড়ে বেড়াও- ড্যামকেয়ার । যা কিছু করার এখনই করে নাও , যা কিছু দেখার এখনই দেখে নাও , যা কিছু বলার এখনই বলে দাও । পাবেনা সময় আর হয়তো , জীবনের গল্প- আছে বাকি অল্প ।
--আত্মশক্তি--
আমাতে সমস্ত শক্তি সুপ্ত, আমার ইচ্ছায়- প্রষ্ফুটিতো, বিকিশিতো, উদ্ভাসিতো।
--অনুভুতি--
প্রেম আসলে- বুক আমার যায় ভেসে যায়- উত্তাল তরঙ্গে। মাথা আমার যায় উড়ে যায়- আহা কি আনন্দে!
--পরিবেষ্টন--
এ জগত মায়াময়। মায়া দ্বারা পরিবেষ্টিত হতে হতে আমি নিজেই মহামায়া হয়ে গেছি।
--Say 100 Times--
I am Champion , I am Rich, I am Lovely, I am Relax, I am Free. I love my self. I am my best friend. I feel Lucky.
--জনপ্রিয়তা--
এ জগত এক অসীম গাছ, এর পাতাগুলো এক একটা “দেহমন”। আর "আমি" প্রেমের এক মাতাল হাওয়া, আমার ছোয়ায় সমস্ত গাছটি প্রেমানন্দে দোলে আর দোলে। কত পাতা ঝরে যায় আবার নতুন আসে, তাতে কিই বা যায় আসে?
--লক্ষ্য--
মানুষ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বুদ্ধিজীবী হতে চায়, আর আমি হতে চাই শিশুর মতো সহজ সরল, কারন সরলের কাছেই সমস্ত জটিল করে মাথা নতো।
--জিদ্দি--
প্রচন্ড জেদ, মানুষটাকে বদলে দেয়, মানুষ বদলে গেলে জীবনটাও বদলে যায়।
--দাসত্ব--
যে নিজের মনের নিয়ন্ত্রন অন্যের হাতে দিয়ে দেয় , সে নিজের সাথে নিজে প্রতারনা করে মাত্র।
--নেতা--
একজন প্রকৃত নেতা জীবনের ছন্দহীনতা কে ছন্দময় করে তোলেন, ঠিক কবির মতোন। কঠিন বাস্ততবতাকে তিনি কবিতার মতো সহজ করে দেন, প্রানোবন্ত করে দেন। তিনি বস্তুকেন্দ্রিক নন, তিনি শুন্যের পাতায় পাতায় "জীবন কাব্যে" তুফান তোলেন।
--শর্ত--
শুধু দিয়ে যায় বলেই ঝর্নাধারার মতো মুক্তানন্দে কেউ নেই।
--আজন্ম জয়ী--
চল্লিশ লক্ষ ছোট ভাইদের পেছনে ফেলে জীবনের প্রথম খেলায় তুমি জয়ী হয়েছিলে । হে চাম্পিয়ন ! নিজেকে আর ছোট করে রেখো না ।
--আশ্রয়--
“প্রেম” , আর কিছু না , তোমার আমার এক স্বর্গীয় মায়াময় আশ্রয় ।
--ধ্যান--
সমস্ত জগত ডুবে যাক আর ডুবে যাক- আধারের সমুদ্রে, যেথায় শুধু বিশ্রাম, বিশ্রাম আর অনন্ত বিশ্রাম।
--চুম্বক--
“প্রেম”- সে তো দিলখোলা এক মাতাল হাওয়া ,যার টানে সমস্ত জগত আবর্তীতো । প্রেম ছড়ায় শুধু পরিপুর্নতার সৌরভ- যেথায় সবাই ডুবে যায় ।
--আত্মতুষ্টি--
যে নিজেকে নিয়ে নিজে তৃপ্ত , সে এক স্বর্গীয় ফুল , যার টানে ভ্রমরা স্বরূপ সমস্ত জগত ছুটছে ।
--আমরা চীর শিশু--
শহুরে মানুষের কথার টোন টাই ভুল । তারা কথা বলে- “মন” বা ব্যক্তি অহং থেকে । মনের আসলে বাস্তবিক কোন অস্তিত্ব নেই । “মন” একটা বিভ্রান্তিকর কাল্পনিক ধারনা মাত্র । এ ধারনায় আবদ্ধ থাকা হচ্ছে এক ধরনের বন্দীত্ব । নিজের শিশু সন্তানের সাথে যেভাবে কথা বলো , সবাইকে নিজের সন্তান জ্ঞান করে মায়াচ্ছন্ন হয়ে হাস্যরসের টোনে কথা বলতে হবে । সবাই আসলে এক বিরাট শিশু- যিনি মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকেন । যার কোন দেহ কিংবা মন নেই । তিনি মোমবাতি নন , তিনি স্বয়ং আলো ।
--“আমি”র স্বরূপ--
আমি- এক ফুরফুরে প্রেম হাওয়া । সবর্দা বয়ে চলাই আমার ধর্ম । আমি কোন দেহ কিংবা মন নই । ছুটে চলা তীর , উড়ন্ত পাখি কিংবা বয়ে যাওয়া নদী আমার সাথে একাত্ম । যেখানে আমি সেখানে নেই স্থবিরতা , মৃত্যু , অযতন , অবহেলা । যেখানে আমি- সেখানেই জীবন ।যেখানে আমি- সেখানে আশ্রয় । যেখানে আমি- সেখানে পরিপুর্নতা । যেখানে আমি- সেখানে শিশুসুলোভ উদ্যামতা । যেখানে আমি- সেখানে বহুকোটি বিচিত্র রঙিন উৎসব । যেখানে আমি- সেখানে সব স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য । যেখানে আমি- সেখানে সব মায়াচ্ছন্ন । যেখানে আমি- সেখানে ঝকঝকে সতেজ ।যেখানে আমি- সেখানেই বিশ্বাস । যেখানে আমি- সেখানে নেই কোন স্বার্থ । যেখানে আমি- সেখানে মুক্ত মাতাল হাওয়া ।
--দেখা--
যে দেখে সে “শরীর”কে দেখে আর যে তাকায় সে “প্রান”কে দেখে , প্রানের কোন শরীর নেই , সে মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকে ।
--সফলতা—
যেখানে বিশ্বাস- সেখানে অসম্ভব সম্ভব । যেখানে সন্দেহ- সেখানে সম্ভব অসম্ভব ।
--সঠিক বেঠিক—
মানুষকে শোধরাতে যেয়োনা । কোন আশা না করেই তাকে শুধু ভালোবেসে যাও , দেখবে- একদিন সে নিজেই নিজেকে শুধরে নেবে ।
--মহামায়া--
ওপরে মায়া, নিচে মায়া, ভেতরে মায়া, বাহিরে মায়া- এ জগত মায়াময় স্বর্গীয়। যে যত মায়াচ্ছন্ন, সে তত প্রানোময়। যে যত মায়াহীন সে তত নি:সঙ্গ, অসুস্থ্য।
--কচুপাতা--
বৃষ্টির আঘাত থেকে বাচতে সব পাখিরা অস্থির হয়ে ছোটাছূটি করে, অথচ ঈগল থাকে প্রশান্তিতে। কারন এ সময় সে মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ঠিক এভাবেই প্রকৃত সাধক, এক প্রেমের ভরসায় মুক্ত থাকে সমাজের সব জঞ্জাল থেকে, যেখানে সাধারন মানুষ ক্ষত বিক্ষত হয় "খন্ড চিন্তা চেতনার অবিরাম বর্ষনে"।
--সত্য--
বস্তু প্রেম নয় , বরং প্রেমাবেগের প্রতি প্রেম আমাদের ধন্য করে , পরিপুর্ন করে ।
--কন্ঠ ধ্বনি--
মানুষ বড্ড দুঃখী । এমনভাবে তাদের সাথে কথা বলো- যেন তারা তোমার কন্ঠে একটা আশ্রয় খুজে পায় , বিশ্রাম খুজে পায় ।
--প্রতিক্রিয়া--
জগতের প্রতিটি প্রকাশকে সম্মান করো, সেটি যাই হোক না । সবই এক বিরাট শিশুরই প্রকাশ , কোন অস্তিত্বকে তুলনা করা তথা অসম্মান করা মানে- তাকেই অসম্মান করা ।যখন যেভাবেই আসুক না কেন , সেটিই তার চরম সৌন্দর্যের প্রকাশ ।
--নরক--
ঘৃনা বা পরবোধ হচ্ছে বিষ । যতই তোমার মধ্যে পরবোধ প্রবল হবে , ততই তুমি নিজেকে নিজে বিষাক্ত করে ফেলবে- যার ফলাফল নরক যন্ত্রনা ।
--স্বর্গ ভ্রমন--
যখন তোমার কাছে সব কিছুই মায়াচ্ছন্ন স্বর্গীয় মনে হবে- এর মানে হচ্ছে তুমি মায়ার সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে আছো । এই সমগ্রের সাথেই যখন তুমি হাস্যরসে নিজেকে হারাও- তার মানে হচ্ছে তুমি সেই মায়ার সমুদ্রে ডুবে, নিজেই মায়ার সমুদ্র হয়ে গেছো ।
--চালাকি--
পন্ডিতি আর ছোটলোকি সমার্থক। এখনো সময় আছে- পন্ডিতি ছুড়ে ফেলে শিশু হয়ে যাও, ধনী হবে, ধন্য হবে।
--সাধনা--
প্রেমই পরিপুর্নতা। এ পরিপুর্নতায় ডুবে গেলেই তুমি জ্ঞান হারাবে, জ্ঞান হারালে শিশু হবে। শিশু তুমি যা ছোঁবে তাই পরিপুর্ন হবে, স্বর্গীয় হবে।
--পরিপুর্নতা—
সত্যেই যেদিন তুমি “প্রেম”কে ভালোবাসবে, সেদিন দেখবে সবকিছুই প্রেমোময়। তার বিচিত্র অনন্ত রূপ দেখে তুমি বিস্ময়ে হবে হতবাক । জগত ব্যাপী তার অকাতরে প্রেম নিবেদন দেখে নয়ন তোমার জলে ভিজবে।তার প্রেমের হাজারো উতসবে মাতাল হবে । তার প্রেমের বাধভাঙা জোয়ারে ভেসে যাবে , নিজেকে হারাবে , পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত হবে ।
--আচরন--
যখনই তুমি কারো সাথে কথা বলো- মনে প্রানে বিশ্বাস রাখবে যে তুমি এক স্বর্গীয় শিশুর সাথে কথা বলছো, যে আসলে এই সমগ্র।
--ধার্মিকতা--
কোন শর্ত ছাড়াই বিনা স্বার্থে মানুষের সেবাতেই পরমের আরাধনা।
--নান্দনিকতা--
চর্ম দৃষ্টিতে ফুলকে দেখোনা, বরং মনের আয়নায় এক পলক দেখে নিয়ো, সব ফুল দেখা হয়ে যাবে। আর তুমি শুধু তার সৌরভে মাতাল হবে।
চর্ম দৃষ্টিতে মানুষকে দেখোনা। বরং তার মুখায়বে ভেসে থাকা এক শিশুকে দেখো, সব মানুষ দেখা হয়ে যাবে।
-মায়াবি শাসক--
প্রেমেশ্বরে পুর্ন হৃদয়, প্রতিটি প্রানে পরিপুর্নতাবোধ প্রচারে ব্যাস্ত।এই ব্যস্ততা তাকে ঐ প্রানটির মনের ওপর পুর্ন নিয়ন্ত্রন এনে দেয়, যদিও মনকে তুষ্ট করা তার কাজ নয়।
--আমার অস্তিত্ব--
--বাস্তবতা--
আকাশ যেমন পাখিদের নিয়ে খেলা করে, এ জগত নিয়ে তুমিও তেমনি হাস্যরসে উড়ে বেড়াও । মাটির মত জগতকে খামচে ধরতে যেওনা, জগতের সাথে সে সিরিয়াস বলেই জগতের পায়ের নিচে মাটির স্থান।
--দেহমন--
এ শরীর- স্বর্গীয় শিশু। এ মন- মুক্ত আকাশ। মুক্ত মনে মুক্ত শিশু উড়ে বেড়াক এই আমার একমাত্র কামনা বাসনা।
--ব্যক্তিত্ব—
যখন যেখানে যার সামনে আসি, তার প্রিয় বান্ধব হয়ে যাই, প্রিয় সৌরভ হয়ে যাই, কারন আমিই আমার প্রিয় বান্ধব, আমিই আমার প্রিয় সৌরভ।
--মন শুন্য জগতে --
বসন্তের এ মাতাল হাওয়ায়, তোমার আমার মিলন মেলায়,বালুকারাশির মত চিন্তারা সব উবে যায়, ঝরে যায়, শুন্যে মিলায়।
।
--নেতৃত্ব--
না আমি দেখি , না শুনি , না বুঝি , শুধু ধারন করি । প্রতিটি অস্তিত্ব যেন এক একটা বৃষ্টি ফোটা , ঝরে পরে সুবিশাল বুকে আমার , সমুদ্র উত্তাল ! নব নব মায়াবি বর্ষনে অথৈ উচ্ছাস !
--সম্পর্ক--
নিজের সাথে যার নিজের সম্পর্ক আনন্দময় নয়, অন্যদের সাথেও তার সম্পর্ক যন্ত্রনাদায়ক ।
--হার-জিত--
ধনীদের দৃষ্টি সদা সর্বদা বর্হিমূখী সামাজিক । ধনীরা গরীবদের নিয়ে খেলে জিতে বলেই তারা ধনী । ধনীদের মূল উদ্দেশ্য থাকে গরীবের দৃষ্টি বাহির থেকে সরিয়ে নিয়ে ভেতরমূখী-আত্মকেন্দ্রিক-ব্যক্তিগত করা । উদ্দেশ্য সাধনে তারা “কাল্পনিক আজগুবি” সব অস্র ব্যবহার করে , যেমন- ড্রাগ, ধর্ম , অশ্লীল মিডিয়া , পারিবারিক দ্বন্দ ইত্যাদি । এগুলোর প্রতি গরীবরা সহজেই আকর্ষিত হয়ে যায় , একপর্যায়ে আসক্তিতে পরিনত হয়, যা তাদের মানোসিকভাবেও দুর্বল করে ফেলে । এই দুর্বলতার সুযোগ নেয় ধনীরা , তখন তারা তাদের ইচ্চামত ব্যবহার করতে পারে ।আর গরীবরা ধনীদের উচ্ছিষ্ট খেয়ে রাস্তার কুকুরের মত মরনের দিন গুনে ।
--চিন্তার উর্দ্ধে--
ও বিরাট ! হৃদয় আমার !
তোমার ভেতরে এ জগত , তোমার প্রত্যেক দমে দমে-
“জগত সমুদ্র” আনন্দে উত্তাল !
--আত্মতৃপ্তি--
যে নিজের ওপর নিজে তুষ্ট । জগতের ওপরও সে তুষ্ট । জগতও তার ওপর তুষ্ট ।
--ফ্লাইং কিস—
ও হৃদয় ! অনন্ত আকাশ আমার !
প্রতিটি অস্তিত্ব যেন মেঘ-মালা , তোমার বুকে উড়ে যায় সুন্দর ।
--দেহ-মন--
এ দেহ আমার পায়রা , আমার হৃদয়াকাশে ওকে ওড়ানোতেই আমার আনন্দ।
--বোকামো--
হাজারো কোটি টাকা দিয়েও “এক মুহুর্ত জীবন” কেনা সম্ভব না । অথচ কি আশ্চর্য বিষয় ! সামান্য কিছু কাগজের বিনিময়ে মানুষ কিভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেয় ।
--প্রানেস্বরী--
সে আসলে- মন আমার শুন্যে উড়ে
সে আসলে- আমি নেই শুধু সে আর সে
সে আসলে- সব দেখো ঐ শুন্যে ভাসে
সে আসলে- সব স্বর্গীয় সুন্দর
সে আসলে- সব মায়াময়- জনম জনম কত যে আপন
সে আসলে- সব রেশমী মখমল
সে আসলে- সব স্বচ্ছ টলমল
সে আসলে- সব মধুময় অমৃত
সে আসলে- মরনও আনন্দময় ।
--ভাবনা মুক্ত--
বেরিয়ে আসো “চিন্তা-বাক্স” হতে আর উড়ে যাও প্রেমাকাশে ।
--বাচন ভঙ্গি--
ভাষা একটা দেয়াল , একটা পর্দা । খোলা মন নিয়ে কথা বললে- ভাষার দেয়াল ভেঙে পরে , উন্মুক্ত খোলা প্রান্তরের হু হু বাতাসের মতো সেখানে কথাবার্তা চলে, চলে হৃদয়ের লেনাদেনা ।
--ধ্যান--
আধারে শুন্য , নিশ্চিহ্ন মন
---আত্মদর্শন--
মনের চোখে যখন আমি আমাকে দেখি- তখন দেখি এক হিরোকে, One of the finest Hero on earth.
সে যে রৌদ্রজ্জোল ঝকঝকে । আকাশের মতো বিশাল । বসন্তের হাওয়ার মতো মাতাল । সমুদ্রের মত উত্তাল । ঝর্নাধারার মতো অবারিত । ফুলের মত সুরোভিত । অদম্য ঈগলের মতো মুক্ত ।
--আমিত্বহীন শিশু--
ভেতরে প্রেম , বাহিরেও সেই প্রেম । তার প্রেমানন্দে মন আমি হারিয়ে গেছি , আমি আর আমি নেই , এখন শুধু সেই আছে ।
--আদেশ--
যাচাই করোনা , শুধু ভালোবাসো , শিশু যেমন কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসে ।
--মন মহাজন--
মন আমি ঝকঝকে বলেই মার্বেল পাথর চকচকে । মন আমি সুরোভিত বলেই ফুলের বাগান মৌ মৌ । মন আমি নতুন বলেই পুরাতন হারিয়ে যায় । মন আমি উচ্ছল বলেই সমুদ্র উত্তাল । মন আমি অনন্ত বলেই এই জগত বিরাট ।
--আমরা সবাই শিশু--
পুরা দুনিয়াটাই একটা শিশুপার্ক । এখানে আমরা সবাই শিশু । হাস্যরস আর প্রেম ভালোবাসায় টাইম পাস করা ছাড়া আসলে আমাদের আর কোন কাজ নেই । কতশত খেলনা নিয়েই না আমরা ব্যাস্ত থাকি । কেউ মোবাইল ফোন , কেউ টেলিভিশন ,কেউ প্রযুক্তি , কেউ ফসলের ক্ষেত , কেউ ফুলের বাগান , কেউ কাগজ কলম , কেউ মেশিনারিজ , কেউ গাড়ী ঘোড়া , কেউ পাখ-পাখালি , কেউ রঙ তুলি ।এই আছে আবার এই নেই , এখানে এত সিরিয়াস হবার কিছু নেই । সব কিছু হাল্কার ওপর ঝাপসা ।
--চিন্তামনি--
চিন্তার সাথে তোমার সম্পর্ক এমন-
মাটির সাথে উড়ন্ত পাখির সম্পর্ক যেমন । কচু পাতার সাথে পানির সম্পর্ক যেমন ।
--মানবতা--
এক একটা মানুষ , প্রানেস্বরীর এক একটা ফোটা । প্রানেস্বরী অঝর ধারায় এ বুকেতে ঝরে আর ঝরে রে , মন আমার মিলনানন্দে ওড়ে আর ওড়ে রে ।
--বিশালতা--
এ জগত যেন এক প্রকান্ড গাছ । এর এক একটা পাতা যেন এক একটা মানুষ । মন আমি বসন্তের হাওয়া হয়ে তারে দোলা দিয়ে যাই । আমার প্রেমের পরষে সে দোলে আর দোলে ।
--জীবনের আলো--
ও প্রানেস্বরী!
তুমি মোমবাতি নও , নও দেহধারী । তুমি তো মোমের ওপর জ্বলতে থাকা মুক্ত অগ্নিশিখা আর মন আমি অক্সিজেন খোলামেলা । আমাদের মুক্তমিলন চারিদিকে মুক্তানন্দ হয়ে ছড়িয়ে পরে ।
--“আমি”র স্বরূপ--
মন আমি ব্রম্মান্ডের সূর্য , আমার আলোয় সব আলো ম্লান ।
মন আমি সমুদ্রকেও বেগবানকারী উত্তাল হাওয়া , আমার হাওয়ায় সব প্রানোবান ।
--১০০%--
প্রেম বলো , কাম বলো , ভোগ বলো , ত্যাগ বলো , শক্তি বলো , বিশ্বাস বলো-
যেই আসে আমাতে- ১০০ তে ১০০ । কারন আমিই যে পরিপূর্নতা ।
--একের খেলা--
বহু পেয়ালায় এক প্রানেস্বরীরেই দেখি , এককেই শুনি , এককেই বলি , এককেই জানি , এককেই ভালোবাসি আর একেই বিলিন হই সহজানন্দে ।
--“আমি”র স্বরূপ--
এই বিশ্ব-ব্রম্মান্ডের “আমি” সূর্য , আমার আলোয়া সবাই আলোকিত । আমার টানে সবাই আনন্দিত ।
এই জগত মঞ্চের “আমি” মধ্য মনি , আমার রোমাঞ্চে সবাই রোমাঞ্চিত ।ধন্য আমি আমাকে নিয়ে , আমি যে অনন্য ।
--পজিটিভ আচরন--
“আন্তরিকতাপূর্ন সহজ সরল প্রানোবন্ত ব্যাক্তিত্ব” দ্বারা মানুষ সহজেই প্রভাবিত হয়।
--কর্ম ফল--
মশা শুধু নিজের স্বার্থে ব্যাস্ত থাকে বলে- মশা মারতে কার মধ্যে মায়ার উদয় হয় না । অথচ যে “মন” সর্বপ্রান রূপী এক মহাপ্রানের কল্যানে নিজের আমিত্বকে বিসর্জন দিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে- তার রাঙা চরনে সারা জগত আশ্রয় নিয়েছে ।
--শাসক—
একটি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হয় আইন দ্বারা।আইন নিয়ন্ত্রিত হয় অস্ত্র দ্বারা । আর অস্ত্র নিয়ন্ত্রিত হয় এমন ব্যক্তিত্বের দ্বারা- যিনি মৃত্যুর সামনেও ড্যামকেয়ার অদম্য থাকেন।
--ধ্যান-৮--
মাথা যেন আমার ঝর্না ফোয়ারা , উড়ে যায় সব উবে যায়। ভিজে যায় সব অবাধ অগাধ আনন্দধারায়।
--গুরু—
যে নিজের ভক্ত নিজে , তার ভক্ত সর্বজনে । সবাই তারে গুরু মানে ।
--হে পুরুষ--
তোমার জীবন সঙ্গিনী হচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী আর তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ সুপুরুষ । তোমার জীবন সঙ্গিনী আর জগতের সমস্ত যৌবনাবতী আসলে একজন । অতএব বহুগামীতা আসলে অর্থহীন ফালতু একটা কাজ। তুমি একই চাষ নিজের জমিতে না করে অন্যের জমিতে বর্গাচাষী হয়ে নির্বোধের পরিচয় দিচ্ছো।বহুজনকে বহুরূপে নয় , বরং একজনকে বহুরূপে উপভোগ করো , তবেই জীবন তোমার স্বর্গে পরিনত হবে ।
--প্রভাব প্রতিপত্তি--
দাতা পুরুষ রূপে লোক সমাজে আবির্ভুত হলে তুমি বাদশা । আর গ্রহীতা রূপে তাদের সামনে আসলে তুমি তাদেরই দাসীতে পরিনিত হবে ।
--জয় গতি --
গতিশীলতাই জীবন , স্থবিরতার অপর নাম মরন। গতিশীল প্রানীকে মশা কামড়াতে পারে না । তাই গতিশীলতাই কেবল মাত্র যন্ত্রনা মুক্ত ।
--নারীর প্রেম--
নারী হচ্ছে হীরা , আর পুরুষ হচ্ছে লোহা । অথচ এই লোহাই সোনায় পরিনতি হয় যদি সে হীরার স্পর্সে নিজেকে প্রতিনিয়ত ধারালো করে নেয় ।
--ক্ষুধা--
প্রিয়া তো পরম সৌন্দর্যের এক তীব্র ঝলকানী । পুরুষের চোখ ধাদিয়ে যায় , ঝলসে যায় । আধো আধো নেশাতুর ঝাপসা নয়নে তাকাতে হয় প্রিয়ার দিকে । তারপর আস্বাদন করতে হয়- তার রূপ রস চরম বন্য অদম্যতায় , অনন্ত মাদকতায় ।
--সম্পর্ক--
যখন তুমি মানুষকে দেখো , তখন মানুষকে না “চীর নুতন পরম”কে দেখো
যখন তুমি মানুষের কথা শুনো , তখন কথা না , সুমধুর সঙ্গীত শুনো
যখন তুমি মানুষকে স্পর্শ করো , তখন মানুষ না , স্বর্গকে স্পর্শ করো
যখন তুমি মানুষকে জড়িয়ে ধরো , তখন মানুষ না , আনন্দকে জড়িয়ে ধরো
যখন তুমি মানুষের কপালে চুমু খাও , তখন মানুষ না , তোমার সৌভাগ্যের কপালে চুমু খাও
যখন তুমি মানুষের যত্ন নাও , তখন মানুষ না , তুমি তোমার ঐশ্বর্য্যের যত্ন নাও
যখন মানুষের মানোসিক প্রতিক্রিয়া তোমার দিকে আসে , তখন সেটি মানুষ না বরং শিশুর প্রতিক্রিয়া বলে জেনো ।
--ধারক--
সে ছিল এক সুনীল আকাশ , যেখানে “জীবন” মুক্ত আনন্দে উড়ে বেড়াত সুন্দর ।
--যৌনভাব--
যৌনতা মানে শুধু দুটি স্থুল দেহের মিলন নয় । মূল বিষয় হচ্ছে- নিরীহের সাথে অদম্যতার , লাঙ্গলের সাথে কোমল মাটির , লালসার সাথে প্রেমের , দৃড়তার সাথে কোমলতার , হিংস্রতার সাথে মানোবিকতার , বন্যতার সাথে নান্দনিকতার এক বিচিত্র মিলন । এ বিচিত্র উৎসব বাহিরে বেরিয়ে আসলে আয়ূ হয়ে যায় ক্ষয় । এ উৎসব শুধু সাধকের ভেতরেই খেলা করে আর ঝর্না ফোয়ারার মত সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় এক ঐশ্বরিক পুলক ।
--আত্মমর্যাদা--
এ জগত এক আয়না স্বরূপ । তুমি নিজের সাথে যেমন আচরন করো ,জীবনও ঠিক তেমন আচরনই তোমার সাথে করে ।তোমার নিজের ভেতরে আলো জ্বাললেই , সে আলোয় সবাই আলোকিত হবে । নিজেকে ভালোবাসলেই কেবল অপরের ভালোবাসা পাবে । নিজেকে শ্রদ্ধা করলে , অপরের শ্রদ্ধা পাবে ।নিজেকে বিশ্বাস করলে , তোমার ইশারায় দুনিয়া নাচবে । নিজেকে শান্তি দিলে , সর্বত্র শান্তি দেখতে পাবে । নিজেকে উজার করে দিলে , জীবনও তার ঐশ্বর্য্য তোমায় ঢেলে দেবে । নিজেকে সম্পুর্ন ফাকা করলে , জীবনও তোমাতে পূর্ন হবে ।
--ধ্যান-৫--
অমাবশ্যায় ডুবে গেলেই পূর্নিমার হয় উদয় ।
--আয়তন--
ক্ষুদ্র কল্যান (নিজের/পরিবারের স্বার্থ) নিয়ে যে পরে থাকে সে পোকা মাকরের মতই ক্ষুদ্র , তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের পাত্র
বৃহৎ কল্যান (সবার স্বার্থ) নিয়ে যে ব্যাস্ত থাকে সে আকাশের মত বিশাল , সবার শ্রদ্ধার পাত্র ।
--অরূপ প্রেম--
মুখ দেখে প্রেম হয় না , প্রেম করতে হয় আত্মা দিয়ে , যা দেখা যায় না ।
--“সময়” আমার—
“মাথা” আমার ঐ উচু মগডাল
মাতাল হাওয়ায় দোলেরে…………।
“হৃদয়” আমার ঐ সুনীল আকাশ
পাখিরা সব ওড়ে রে………।
--Funny Romantic--
এ জগত , আমার হৃদয় তালুতে দোলেরে
আহা কি আনন্দে মন আমার ওড়ে রে……।
--মহাকর্ষন--
হৃদয় আমার এক মহাশুন্য আবেগে- ধারন করে এ পৃথিবী
এ মহাশুন্যের টানে পৃথিবী , পৃথিবীর টানে মহাশুন্য ।
আকাশের টানে পাখি
পাখির টানে আকাশ ।
পথের টানে পথিক
পথিকের টানে পথ ।
ফুলের টানে ভ্রমরা
ভ্রমরার টানে ফুল ।
জলের টানে তৃষনার্ত
তৃষানার্তের টানে জল ।
মাটির টানে বৃষ্টি
বৃষ্টির টানে মাটি ।
চুম্বকের টানে লোহা
লোহার টানে চুম্বক ।
শরীরের টানে মন
মনের টানে শরীর ।
প্রেমের টানে আনন্দ
আনন্দের টানে আনন্দ ।
সাগরের টানে নদী
নদীর টানে সাগর ।
সন্তানের টানে মা
মায়ের টানে সন্তান ।
জনগনের টানে নেতা
নেতার টানে জনগন ।
যে বিচ্ছিন্ন যে অভিমানী , সে ধ্বংস
কেউ কারো সাথে নয় বিচ্ছিন্ন , সবাই মিলে মিশে একাকার
এ যে মহাপ্রেমের এক রসের খেলা
এ “রাঙা-উৎসব” , প্রান ভরে করো উদযাপন ।
--জোকার--
জোকার ! সে যে এই জগত মঞ্চের মধ্যমনি
জোকারের চেয়ে উপকারী বান্ধব আর কেউ নেই
“প্রেমিক” যেমন মাছেদের বরশী থেকে মুক্ত করে আনন্দ সমুদ্রে ছেড়ে দেয়
জোকারও তেমনি , দর্শকদের মন টা দুঃখ থেকে আলগা করে শুন্যে মিলিয়ে দেয়
আর যা পরে থাকে তা শুধুই বিশালতা আর আনন্দ ।
কখনই জোকারের আনন্দ বাহিরে মিলিয়ে যায় না ,
কারন তার বাহির বলে আসলে কিছু নেই ,
এই “জগত মঞ্চ” , এই “দর্শক” সবাইকে সে তার ভেতরের সত্তা মনে করে
তাই সে যখন আনন্দ ছড়িয়ে দেয় , সে আসলে নিজের ভেতরেই তা ছড়িয়ে দেয় ।
--অমূল্য দান--
বলেছিলে তুমি- কি দিতে পারি আমি ?
শিশুর সরলতায় তোমায় শুধু হাসাতে পারবো
হাসতে হাসতে আমরা উড়ে বেড়াব- আকাশ থেকে আকাশে আকাশে
আর ভাসবো শুধু ভালোবাসার বাতাসে ।
--ঝর্না ফোয়ারা--
আমি হচ্ছি- এক ঝর্না ফোয়ারা
যে কিনা প্রতি মুহুর্তে , প্রেমানন্দ দিয়ে এ জগতকে ভিজিয়ে দিচ্ছে ।
--আত্মমর্যাদা--
কেহ নহে কেহ আমার বাইরে
এই মহাশূন্য , এই জগত , এই “জীবন-মরন” সবাই আমারই ভেতরে
কি বিরাট আমি !
ধন্য আমি
নিজেকে নিয়ে নিজের আমার গর্বের শেষ নাই , আনন্দের সীমা নাই ।
--জনদরদী--
জননেতা যেন এক বিরাট বট বৃক্ষ
জনগন তার পাতা
সে দোলে তো পাতারাও দোলে
সে আছে তো পাতারা আছে
সে নাই তো কিছু নেই ।
--কবির অনুভুতি—
প্রকৃত রোমান্টিক কবির আসলে কোন শরীর নেই
অথচ সমগ্রের সাথে তার “অবিচ্ছেদ্য আন্তরিক সম্পর্ক”
তাকে সার্বোক্ষনিক যৌনানন্দ দেয়।
--বন্ধুত্ব --
স্ববান্ধব হাস্যজ্জোল
ফুর ফুরে হাওয়ায় স্নান সারি , চলো শুন্যে উড়ি ।
--ধনী—
দু হাত বাড়িয়ে
সে ছুটে এসেছিল- জীবনের কাছে
জীবনও অকাতরে তারে করেছিল দান- প্রান ঐশ্বর্য্য ।
উদাম হৃদয়ে সে এসেছিল জীবনের কাছে
জীবনও অঝরও ধারায় ঝরে পরেছিল তার ওপর- রিনিঝিনি রিনিঝিনি ছন্দে
তা থৈ তা থৈ নেচে ছিল সে , কি যে পরমানন্দে !! কি যে পরমানন্দে !!
--শেষ বিদায়--
এক পলকের এ জীবন
বাচতে দাও প্রান ভরে ।
এ গানই , জীবনের শেষ গান
গাইতে দাও প্রান খুলে ।
এ ভালোবাসাই , শেষ ভালোবাসা
ভুল-ত্রুটি সব ভুলতে দাও ।
এ আনন্দ , শেষ আনন্দ
প্রান আনন্দে মাততে দাও ।
এ খেলা , জীবনের শেষ খেলা
সেরা খেলাটা খেলতে দাও ।
এ বিদায়, শেষ বিদায়
আরেকটু কাছে থাকতে দাও ।
এ উচ্ছাস , জীবনের শেষ উচ্ছাস
হাসতে হাসতে অশ্রু নামে ।
এ শোক , জীবনের শেষ শোক
কান্নার জোয়ারে সব ভাসে ।
এ দেখাই শেষ দেখা
যেমন আকাশ দেখে- পাখি উৎসব ।
এ কথাই শেষ কথা
কথার মায়ায় জড়িয়ে ধরি ।
এ ভ্রমন , আমাদের শেষ ভ্রমন
ফুরফুরে হাওয়ায় উড়ি আর উড়ি ।
এ কাজই জীবনের শেষ কাজ
পরতে পরতে ছড়াই সুন্দর ।
এ বিশ্বাসই জীবনের শেষ বিশ্বাস
বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই ।
এ ঘুমই জীবনের শেষ ঘুম
নিশ্চিহ্ন আমি আধারে মিলাই ।
এই তো চায়ে শেষ চুমুক
প্রান ভরে নেই অমৃত স্বাদ ।
একটু পরেই আসবে মরন , উড়বে আমার পরান পাখি
ভাঙবে খাচা সকল বাধ ।
-জীবন মন্ত্র--
ভালোবাসি- কোন আশা না করে
খাই- প্রান ভরে
কাজটা করি- ভালোবেসে
ঘুমাই- আরামে
--আমার স্বাদ—
বসন্তের আমি এক মাতাল হাওয়া
ফুরফুরে উড়ে বেড়ানোই আমার নিয়তি
এ জগত সংসার আমার ফুলের বাগান ।
পরশে আমার , ফুলেরা ঐ দোলে আর দোলে
ওদের সুখে হৃদয় আমার , ওড়ে শুধু ওড়ে ।
--মন্ত্র--
বিশালে হাসি
এমনি ভালোবাসি....
--সুত্র--
হাসি এখন
কান্না পরে ।
--ধনী--
যে দেয় , সে পায়
যে চায় , সে হারায় ।
--সর্বোক্ষন--
শিশুর মুক্ত মনরে করো স্মরন
হাসো বিশালে অকারন
এই কথাটা মানিলে ও মন
হবে না আর তোমার মরন ।
……০……
প্রিয় সাধকদের থেকে চয়নকৃত চুম্বক অংশঃ
বুদ্ধ বুদ্ধের মত
কৃষনো কৃষনের মত
আর তুমি তোমার মত
এবং তুমি কারো চেয়ে কোন অংশে কম নও
নিজেকে ভক্তি কর !
নিজের অন্তর প্রেরনাকে ভক্তি কর ও তা অনুসরন কর !
-“অশো”
---0---
***ইরানী সুফি স্ম্রাট হাফিজ সিরাজী অমৃত সুধা চয়ন করা হয়েছে- প্রিয় বান্ধব, অরন্য আপন এর অনুবাদকৃত “বেহুলা বাংলা” প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গ্রন্থ “আই হার্ড গড লাফিং” থেকেঃ-
ভালোবাসার এমন অনেক মুহুর্ত আছে
যা দেখে স্বর্গ ঈষার্ন্বিত হয় যে
আমরা পৃথিবীতে এসব করছি।
*
যখন তুমি কাউকে হাসাবে
এই হাফিজ
তোমার জন্য ঈশ্বরের কাছে হাত তুলবে ।
*
তুমি আমার এরকম বন্ধু
যে আমাকে না জানিয়ে
আমার ঘরে রাতের বেলা শুয়ে থাকে
আমি ঘুমিয়ে গেলে
আমার সব দুঃখ বেদনা
তোমার সুন্দর হাত দিয়ে মুছে দাও ।
*
জীবন দানকারী সূর্যের মতো তোমার হৃদয়টাকে
এই মানুষের পৃথিবীর মধ্য দিয়ে
বহন করো ।
*
গান করো
কারন গান হলো খাদ্য
যা অভুক্ত পৃথিবীর জন্য খুব প্রয়োজন ।
প্রান খুলে হাসো
কারন হাসি এই পৃথিবীর একমাত্র পবিত্র শব্দ ।
*
যদি কেউ আমার পাশে এসে বসে
আমি আমার প্রিয় মানুষকে নিয়ে কথা বলি
যদি আমি তার হৃদয় নরম করতে না পারি
যদি আমি তাকে ভালো অনুভুতি না দিতে পারি
এই পৃথিবী আর তার নিজের ব্যাপারে
তাহলে এই হাফিজ
মসজিদে ছুটে যায় এবং প্রার্থনায় নিমজ্জিত হয়
তোমার কাছে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
আমি জানি, এটাই আমার একমাত্র পাপ ।
*
আমি সূর্যের আয়না তাক করে রেখেছি
তুমি যা কিছু করছো
তার সবকিছুর অত্যাশ্চর্য প্রতিফলন দেখতে পাবে ।
*
এই মুল্যবান ভালোবাসা এবং হাসি
যা তোমার হৃদয়কে আলোড়িত করে রেখেছে
এটা কি?
এটা হলো তোমার জাগ্রত আত্মার কুদরতি শব্দ ।
*
হৃদয়টা হলো হাজারটা বাদ্য যন্ত্রের তার
যা শুধু ভালোবাসার পরশ পেলেই বেজে ওঠে ।
*
মানুষের জন্য ভালোবাসাটা খুব দরকার
কারন ভালোবাসাই জীবনের আত্মা
সাধারনত ভালোবাসাই সৃষ্টির সেরা আনন্দ ।
*
তুমি নিজেই নিজের কাছে
বড় বাধা
নিজের উর্ধ্বে ওঠো ।
*
জেগে ওঠো প্রিয়
নিজের হৃদয়ের প্রতি সদয় হও
বাইরের আলোর মাঠে নিয়ে যাও
মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে দাও ।
*
একটা দিনের জন্য
শুধু একটা দিনের জন্য
সেসব কথা বলো-
যা কাউকে বিরক্ত করবে না
এবং এই সুন্দর দু’চোখ শান্তিতে ভরে তুলবে ।
*
সুখ তোমার কাছেই আছে ।
*
যে হৃদয়ে ভালোবাসা আছে
সে হৃদয় মরে না ।(সে হৃদয় ক্লান্ত হয় না )
*
চুপচাপ এখানে বসে থাকো
একটা কিছুও ভাবতে পারবে না
আরাম করো
তোমার ঈশ্বর আর তোমার ভালোবাসা থেকে
দূরে থাকা
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ ।
*
আনন্দের একটা দিনও
দুঃখ করে মাটি করো না
এই অস্থায়ী পৃথিবীর কাছ থেকে
কোন কিছুর আশা করো না ।
*
পৃথিবীটা মরে যাবে
যদি সূর্য তাকে চুমু খাওয়া বন্ধ করে দেয় ।
*
যখন তোমার সব আশা মরে গেছে
তখন দুটি ভোট কাস্ট করো
এক, বেশি ভালোবাসার জন্য
দুই, সুখি হওয়ার জন্য ।
*
একটা দুঃখ হচ্ছে প্রিয় পৃথিবী
যা আমার হওয়ার কথা ছিল না
যখন আমি এই মৃত্যুর বিছানায় শুয়ে আছি
দুঃখ হচ্ছে
আমি তোমাকে যথেষ্ট চুমু খাইনি ।
*
আমি জানতে পেরেছি যে
প্রত্যেকটা হৃদয় তা-ই পায়
যা সে সর্বস্ব দিয়ে চায় ।
*
***ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত আরো কিছু অমৃত ভান্ডার মহাকবি হাফিজ সিরাজীরঃ
এসো প্রেমে মাতাল হই , যদিও তা আমাদের ধ্বংস ডেকে আনে , আনুক। মাঝে সাঝে ধ্বংসের নীচেও কেউ না কেউ গুপ্তধন খুজে পায়।
*
তোমার হৃদয় আমার হৃদয়- অনেক অনেক দিনের পুরোনো বন্ধু ।
*
সারা জীবন নয় , একটা মুহুর্তের জন্য এখন জেগে উঠো । আকাশের পানে একটা মাত্র ঝাপই যথেষ্ট । হাফিয ! একবার জেগে উঠো , প্রেমের ছোট্র এক মুহুর্ত সমস্ত দিনটাকে রাখে সমুজ্জোল ।
*
জানি , এ দুনিয়ায় অনেক অনেক গুরুত্বপুর্ন কাজ আছে , যেখানে এখনই যাওয়া দরকার , কিন্তু কি করবো বলতো? আজ রাতে যে তুমি আছো।
*
এমন মধুর সঙ্গীত নিয়ে কোথায় চলে গিয়েছিলে? ফিরে এসো আর আমায় শোনাও- সেই সুর । জগতের কোন কিছুই আমি পাত্তা দেই না , শুধু তোমার উপস্থিতি অপরূপ সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়িয়ে , আমায় রাখে পরিপূর্ন ।
*
আমি সব সময় আমার হৃদয়ে মিশে যাবো- তোমার আত্মার কাছাকাছি, যতটা পারি ।
*
তোমার সাহচার্যে আসলেই আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভুলে যাই,যেন আমরা একে অপরের কাছে কত অপরিচিত ।
*
তুমি যা , শুধু তার জন্য তোমায় আমি ভালোবাসিনা । বরং তোমার কাছে আসলে আমি যেন কেমন হয়ে যাই , এই “কেমন হয়ে যাওয়ার” জন্যই তোমাকে এতো ভালোবাসি ।
*
প্রত্যেকদিন জেগে উঠেই আমার হৃদয়কে জিজ্ঞেস করি- “প্রেমের সব খবরাখবর আমাকে বলো তো”।
*
যে রাধেশ্বরীরে আমি ভালোবাসি, সে তোমার ভেতরে বাস করে ।
যতটা পারি, আমার শব্দের মালায় তোমার দেহে হয়ে যাই বিলিন ।
ও ভ্রমনকারী , তোমার ভাবনায় আমি যে ডুবে থাকি সর্বক্ষন ।
-হাফিয সিরাজী
---0---
হাসির মাধ্যমে শান্তির সূচনা হয়।
*
যখনই তুমি কারো দিকে হাসি মুখে তাকাও , এটি সেই মানুষটির জন্য একটা দামী উপহার ।
*
তুমি যদি মানুষকে শুধু যাচাই করতে থাকো , তবে তাকে ভালোবাসার আর সময় পাবেনা।
*
আসলেই তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো , তুমি তা থেকে যন্ত্রনা পেতে পারো না , কারন প্রকৃত প্রেম থেকে শুধু প্রেমানুভুতিই আসে আর কিছু না ।
-“মাদার তেরেসার পবিত্র বানী”
---0---
বিশ্বখ্যাত সাধক রামানা হৃদায়া্মার কিছু বানীঃ
দুনিয়া, শরীর থেকে বিচ্চিন্ন নয়
শরীর , মন থেকে বিচ্ছিন্ন নয়
সুচেতনা থেকে মন বিচ্ছিন্ন নয় , এই তো অস্তিত্ব
কাজেই এটা অনায়াসে বলা যায় যে , সবি সত্তা এবং আর কিছু নয় শুধু সত্তাই অস্তিত্বময়
-
আমি বাস করি সত্যের দুনিয়ায় , যেখানে তোমারটা কাল্পনিক। তোমার দুনিয়া নিজস্ব , ব্যক্তিগত , ভাগাভাগি অযোগ্য , একান্তই তোমার নিজের। কেঊ এটাতে ঢুকতে পারেনা ।দেখো যেমনটি – তুমিই দেখো , শুনো যেমনটি- তুমিই শুনো , তুমিই তোমার আবেগকে অনুভব কর এবং তোমার ভাবনা চিন্তা কর । তোমার পৃথিবীতে তুমি আসলেই বড্ড একা , তোমার জীবনের জন্যে যে স্বপ্ন দেখো- সেটিতেই আবদ্ধ থাকো ।
আমার দুনিয়া একটা খোলা দুনিয়া , সবার জন্যেই একরকম , সবার দ্বারা ব্যবহৃত আমার দুনিয়ায় আছে গোত্র , সংঘ , বাহির-ভেতর , প্রেম , আসল মান । এখানে স্বতন্ত্র হচ্ছে সমগ্র আর সমগ্র হচ্ছে স্ব্তন্ত্র । সবাই এক আর একেই সবাই ।
-
আত্মো-উল্লাসে কেউ নাচবে কেউ গাইবে গান , কিন্তু শেষ পর্যন্ত নীরবতাই তোমাকে প্রদান করবে স্বাধিনতা । খোলো তোমার চোখ , দেখো সেই আলো- যে তোমাকে রাখে উজ্জ্বল , সমস্ত চিন্তা চেতনাকে ছাপিয়ে যে রাখে তোমার হৃদয়কে উচ্ছল ।
-
-
~ Sri Poonjaji 'Papaji' এর পবিত্র বানীঃ-
এই মুহুর্তে “মন” বলতে আসলে কিছু নেই । এ চলতি মুহুর্তে তোমার “মন”কে দরকার নেই । তুমি মুক্ত ।
*
সবাইরে ভালবাসো- হও প্রেম আর তা ছড়িয়ে দাও
তুমি প্রেম , সবার হৃদয়ে তোমার আসন
এখানে হৃদয় থেকেই তুমি সবকিছু দেখতে পারো
কারন সবকিছু এখান থেকেই প্রতিফলিত
*
যদি এই মন্ত্র , বার বার পড় , তাহলে আমি তোমাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি , তুমি মুক্তি পাবে।
কি সেই মন্ত্র? -
“আমি মুক্ত” ।
*
*
নিশ্চিত কর যে কোন কামনার উদয় হচ্ছে না এবং তুমি হবে অনিন্দ্য সুন্দর , নিখাদ খাটি , দাগহীন
এই সবকিছু তৎক্ষনাৎ তোমার আগেই প্রস্ফুটিত হবে , তখন এই পরম সুন্দর নিজেকেই নিজে জড়িয়ে ধরবে।
*
যখন কেউ প্রান খোলা হাসি হাসে , তখন তার কোন মন থাকে না ।
*
যখন কেউ সত্তা হয়ে বাচে
তখন “পরম শক্তি” তার জীবনের দায় দায়িত্ব নিয়ে নেয়
তখন কোন মানোসিক চেষ্টা ছাড়াই- সবকিছু সতঃস্ফুর্ত ভাবে হয়ে যায় ।
*
পুকুরে যখন ঢেউ থাকে না , তখনই তুমি তোমার মুখ দেখতে পারো । এই ঢেউ গুলো আসলে চিন্তা ভাবনা । যদি তুমি তোমার মনে কোন চিন্তা ভাবনাকে নড়তে না দাও , তাহলে এখনই তুমি তোমার মুখ দেখতে পাবে। সমস্ত প্রকাশ্য বিষয় বস্তুই আসলে শুধু একটি সামান্য ঢেউ মাত্র । এর নিচে তুমি প্রশান্ত আর নীরব , এটিই তোমার আসল স্বভাব ।
*
যদি তোমার মনে শান্তি থাকে তবে সবার মধ্যেই তুমি শান্তিকে খুজে পাবে। তোমার মন উত্তেজিত থাকলে সর্বত্রই তুমি উত্তেজনা দেখতে পাবে। তাই প্রথমেই ভেতর থেকে শান্ত হও আর তাতে তুমি দেখবে তোমার ভেতরের শান্তি সর্বত্র প্রতিফলিত হচ্ছে । তুমিই সেই শান্তি !
*
যখন মন প্রশান্ত থাকে , তখন সবই সত্তা । যখন মন চঞ্চল তখন দুনিয়ার উদয় হয়। তাই স্থির হও , সব কিছু ছুড়ে ফেলো আর মুক্ত থাকো ।
*
থামাও , সবকিছু থামিও দাও , এরপর তুমি উপলব্ধি করবে যে তুমিই “মুক্তি”, যাকে তুমি এতোদিন খুজে বেড়াচ্ছিলে।
*
মুক্তির জন্যে কে দৌড়াচ্ছে? যে এরই মধ্যে মুক্ত।
*
কোন চাওয়া পাওয়া না থাকলে তুমি মুক্ত , যদি তুমি চাও ,তাহলে কারাগারে তোমাকে বদ্ধ করা হবে , এখন তুমিই বল তুমি কি চাও । চাওয়া পাওয়া কখনই পূর্ন হয় না।
*
ভেতরে এটি একবারে স্বচ্ছ। যখন তোমার কোন সন্দেহ থাকেনা , সেখানেই থাকে প্রশান্তি।
*
উৎসের কাছে ফিরে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিজের “মন”কে দেখো।“মন” যাতে বাহিরের সাথে সংযুক্ত না হতে পারে এ জন্য সচেতন থাকো আর তুমি যদি নীরব হয়ে যাও , একটি চিন্তার উদয় হবেঃ “আমার উৎস কোথায়”? বাহিরে ছু্টোনা , শুধু নীরব থাকো । এই নীরবতায়, “মন” স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার উৎসের কাছে ফেরত যাবে। সেখানে ফেরত যেয়ে, “মন” হারিয়ে যাবে আর সেখানে কোন “মন” থাকবেনা যে কিনা কোন আলো কিংবা জ্ঞান খুজছিলো। এবং সেখানে অঝর ধারায় প্রশান্তির ঝর্নাধারা বয়ে পরবে। সমস্ত সন্দেহ দূর হয়ে যাবে , সব কিছু স্বচ্ছ হয়ে যাবে আর তুমি নীরব থাকবে জ্বীহবা দিয়ে নয় , সমস্ত হৃদয় দিয়ে। তোমার ব্যক্তি অহং সম্পুর্নভাবে শেষ হয়ে যাবে। একেই বলে প্রশান্তি আর উৎসের কাছে ফিরে যাওয়া।
*
মহাঋষি সময় নীরব থাকতেন আর নীরবতার মধ্যে দিয়েই চিন্তা করতেন। এটি প্রত্যেকেরই আসল প্রকৃতি। নীরবতার কারনে তোমার মন অন্য কোন ব্যাক্তি, বস্তু বা চিন্তা ধারনার প্রতি সংযুক্ত হতে পারেনা। চরম নীরবতার চর্চা কর, এই নীরবতায় যেকেউ সুখ-শান্তি অনুভব করবে।
*
খুজে বের কর যে দেখছে সে আসলে কে? খুজে বের কর তুমি কে? এটি কখনই হারিয়ে যায় না , সেটি সময় সেখানেই থাকে , তুমি খাও , ঘুমাও , স্বপ্ন দেখো কিংবা জেগে থাকো না কেন। দ্রষ্টা সব সময় সেখানে ।
*
নিজের সত্তাকে জানো এবং তারপর জানো বিশ্রামকে , যদি প্রয়োজন মনে কর। এই যে ভ্রান্তির দৃশ্য তুমি দেখছো , এটিও একদিন দূর হয়ে যাবে যখন তুমি তোমার নিজের সত্তাকে উপলব্ধি করতে পারবে। এই ভ্রান্তি দৃশ্যকল্প আর দেখা দিবে না যখন “আসল” তোমাতে প্রকাশিত হবে। এর কোন আকার নেই , নেই কোন নাম, এর কোন ভৌগলিক অবস্থান নেই, নেই ভেতর কিংবা বাহির। এটি এক অসীম বিশ্রাম। তোমরা প্রত্যেকেই এরইমধ্যে এতে আছো। একটি মাত্র বাধা হচ্ছে- তোমার পুর্ব ধারনায় আবদ্ধ থাকা কোন কিছুর সাথে , অবাস্তব কিছুর সাথে। এটিই একমাত্র বাধা , অন্যথায় এই স্বাধীনতা, এই জ্ঞান , এই সৌন্দর্য্য , এই প্রেম সর্বদা তোমাকে আমন্ত্রন জানাচ্ছে । শুধু তোমার মনোযোগটা তোমার নিজের সত্তার দিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে এবং তুমি দেখবে যে তুমি সময়ই মুক্তই ছিলে। এটি তোমার নিজের আসল প্রকৃতি।
*
আর যখন তুমি স্বাধীনতা কামনা কর , এটি তৎক্ষনাৎ সেখানেই। তোমার এটি খোজার দরকার নেই- এটি কোন বস্তু নয় যে একে খুজতে হবে। এটি তোমার খুব ভেতরের প্রকৃতি। এটি তোমার খুব কাছে , তোমার শ্বাস প্রশ্বাসের চেয়েও কাছে। যখন কিছু তোমার শ্বাস-প্রশ্বাসের চেয়েও কাছা কাছি তাহলে তোমার কি এমন চেষ্টা করতে হবে এর সাক্ষাত পেতে। এটি খুব কাছে, খুব প্রিয় , খুব আন্তরিক তোমার প্রতি, কিন্তু তুমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছো সেই সব বস্তু আর লোকদের কামনায় যারা বন্ধুত্বের মূল্য দিতে জানে না ।
………0……..
------------0--------------
…0…
---০—
ভেতরটা ফাকা রেখে
বাহিরে শুধু প্রেম বিলাও
সে ফাকাই আনন্দে পুর্ন হবে ।
-“বাবা শামস তাবরেজ”
---০---
জন্মটারে সাঙ্গ করে
আমার মাঝে 'আমি'রে ধরে
আমার সাথেই মাতি মৈথুন লীলায়।
তোমরা যদি বুঝতে বন্ধু
এ যে কেমন সূধার সিন্দু
বিন্দু-সাধে সদানন্দময়,
মৈথুনেই 'আমি' বর্তমান ধরায়।
অন্তর গৃহের তল কুঠরে
আমি'টারে নগ্ন করে
সর্বঅঙ্গে কামের দোলা দেই।
আমার রমনি'র রুপে
আনন্দ নেই চুপে চুপে
কাম- নিশ্বাসে কর্ণ ভারী হয়।
এ মৈথুনে আমি'র বড় ভয়
কিন্তু! আমার নিত্যই হয় জয়।
--------------------------------------------------()
নিজের কথা // অহন সাঁই
গুপ্তাঙ্গ হলো সে ফুল
যেথায় অনন্ত মধু রয়,
নিস্কামী মন না হলে
বিষ অর্জনের থাকে ভয় |
____অহন সাঁই
---০---
ফূর্তির কবি ওমর খৈয়ামের নির্বাচিত কবিতা (অনুবাদঃ কাজী নজরুল ইসলাম)ঃ-
১
প্রেমের চোখে সুন্দর সেই হোক কালো কি গৌর-বরন
পরুক ওড়না রেশমি কিংবা পরুক জীর্ন দীন বসন
থাকুক শুয়ে ধুলায় সে কি থাকুক সোনার পালঙ্কে
নরকে সে গেলেও প্রেমিক করবে সেথায় অন্বেষন ।
২
নিদ্রা যেতে হবে গোরে অনন্তকাল, মদ পিও
থাকবে না কো সাথী সেথায় বন্ধু প্রিয় আত্মীয়
আবার বলতে আসবো না ভাই, বলছি যা তা রাখ শুনে-
ঝরেছে যে ফুলের মুকুল, ফুটতে পারে আর কি ও?
৩
মরুর বুকে বসাও মেলা, উপনিবেশ আনন্দের
একটি হৃদয় খুশি করা তাহার চেয়ে মহৎ ঢের
প্রেমের শিকল পরিয়ে যদি বাধতে পার একটি প্রান-
হাজার বন্দী মুক্ত করার চেয়েও অধিক পুন্য এর ।
৪
শারাব নিয়ে বসো, ইহাই মহমুদেরই সুলতানৎ
দাউদ নবীর শিরিন-স্বর ঐ বেনু বীণার মধুর গৎ
লুট করে নে আজের মধু, পূর্ন হবে মনস্কাম
আজকে পেয়ে ভুলে যা তুই অতীত আর ভবিষ্যৎ ।
৫
এক নিশ্বাস প্রশ্বাসের এই দুনিয়া, রে ভাই, মদ চালাও !
কালকে তুমি দেখবে না আর আজ যে জীবন দেখতে পাও
খাম খেয়ালির সৃষ্টি এ ভাই, কালের হাতে লুটের মাল
তুমিও তোমার আপনাকে এই মদের নামে লুটিয়ে দাও !
৬
নগদ যা পাও হাত পেতে নাও,
বাকির খাতা শূন্য থাক।
দুরের বাদ্য লাভ কি শুনে,
মাঝখানে যে বেজায় ফাঁক।
……………
বাবা জালালুদ্দিন রুমির কাব্য গ্রন্থ থেকে চয়নকৃত চুম্বক অংশঃ
প্রেমে বোকা হয়ে যাও
*
ফুলকে টেনে হিচড়ে ছিড়ে দুমড়ে মুচড়ে ফেললেও , সে সৌরভ বিলিয়ে চলে, এরেই বলে ক্ষমা ।
*
মাতাল আর পাগল না হলে তুমি প্রেমের দেখা পাবেনা, চিন্তা ভাবনায় তার নাগাল কখনোই পাবেনা।
যখনই মনে আসবে অভিযোগ, তখনই প্রকাশ করবে কৃতজ্ঞতা।
*
যখন আত্মা দিয়ে তুমি কিছু করো তখন তোমাতে বয়ে যায় এক – “আনন্দ ঢেউ” ।
*
যখন সমুদ্র গর্জে ওঠে , আমায় তা শুনতে দিয়ো না , বরং আমার বুকেও তারে আচড়ে পরতে দাও ।
*
আমি প্রেমের প্রেমে পরেছি আর প্রেম আমার প্রেমে পরেছে ।আমার শরীর , আত্মার প্রেমে পরেছে আর আত্মাও আমার শরীরের প্রেমে পরেছে ।আমি দুহাত বাড়িয়ে প্রেমকে ডাকি , প্রেমও প্রেমিকার মতো আমাকে জড়িয়ে ধরে ।
*
তুমিতো একটা পাতা , যে এক অদৃশ্য হাওয়ায় দোলে আর দোলে । তুমি কি এখনও জানোনা ? কে তোমায় সারাদিন দোলায় ?
*
হৃদয় আমার যায় উড়ে যায় , যখন চুপিসারে কাছে এসে মিষ্টি সুরে তুমি আমায় ডাকো ।
*
প্রেমের আগুন যদি না তোমার হৃদয়ে জ্বলে , জীবনের বসন্তের ছোয়া তুমি কখনো পাবেনা
*
সব কিছুই স্বর্নের মত চক চক করে , তবুও ফিরে আসা উচিত আমাদের উৎসে (প্রেমানন্দে) ।
*
প্রকৃত সাধক কখনো “কম আর বেশীর” কারাগারে বন্দি নয় ,এমনকি চিন্তিতও নয়।
*
সামান্য একটা কোষকে এমন অনন্য মানব অস্তিত্বে পরিনত করেছো , মন তুমি কি বিরাট কাজই না করেছো?- বাবা রুমী
*
দুখের সময় তুমিই আমার আত্মার আরাম , হারানোর বেদনায় তুমিই আমার ফুর্তির ঐশ্বর্য্য ।
*
হৃদয়ের কৃষক আমি
বুনে যাই “প্রেম বীজ” , আর তুলে নেই “আনন্দের ফসল”
*
যেখানেই তুমি থাকো , আর যাই করো না কেন , প্রেমেই থেকো ।
খুলে গেলাম আমি আর হলাম প্রেমে পূর্ন
*
জিজ্ঞেস করো না – প্রেম কি করতে পারে ?
বরং তাকাও এই দুনিয়ার রঙে
*
যখন আত্মা জেগে ওঠবে- ঠোটে
তুমি সেই চুম্বন করবে অনুভব
যা তুমি চেয়েছিলে
*
যদি সারা জাহানো কাটায় ভরে যায় , তখনো প্রেমিকের হৃদয় গোলাপের বিছানা
*
আমি চাই সেই প্রেম যে পাহাড় নাড়িয়ে দেয়
আমি চাই সেই প্রেম যে সমুদ্রকে পর্যন্ত আলাদা করে দেয়
আমি চাই সেই প্রেম যে হাওয়ায় ধরায় কাপন
আমি চাই সেই প্রেম যে বজ্রের মতো গর্জন করে ওঠে
আমি চাই সেই প্রেম যে মৃত্যুকেও জাগিয়ে তোলে
আমি চাই সেই প্রেম যে পরমানন্দে আমাদের উঠিয়ে নেয়
আমি চাই সেই প্রেম যে অসীমের স্তব্ধতা
*
এটা প্রেমঃ
গোপন আকাশে যায় উড়ে
*
জটিল সব ভাবনাকে ছাড়িয়ে যাও
আর খুজে পাও সেই বেহিসেবি বেহেস্ত
তোমার ছোট এই পৃথিবীটাকেও ছাড়িয়ে যাও
আর খুজে পাও প্রভুর রাজষিক সেই দুনিয়া
*
প্রেমের পরষে তীতা হয়ে যায় মিঠা
প্রেমের পরষে তামা হয়ে যায় সোনা
প্রেমের পরষে ময়লা হয়ে যায় পরিষ্কার
প্রেমের পরষে যন্ত্রনা হয়ে যায় আরোগ্য
প্রেমের পরষে মরনও বেচে যায়
প্রেমের পরষে বাদশা হয়ে যায় গোলাম
জ্ঞানে প্রেম বেড়ে ওঠে
বেহায়া হয়েও অন্ততঃ কেউ এমন রাজষিক শক্তিতে জায়গা করে নিতে পেরেছে ?
*
“প্রেম” আমাদের আত্মা কে ওপরে উঠিয়ে নেয়- কোন মই ছাড়াই
*
আমিতো তোমারি প্রেম সমুদ্রে বেচে থাকি
*
একবার যদি তোমার স্বার্থপর সত্তাকে বশীভূত করতে পারো
তোমার সমস্ত আধার হয়ে যাবে আলো ।
*
"তোমার কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোর কোন দরকার নাই। নিজের ভিতরে ভ্রমন করো। মনের মনি-মুক্তার কোঠায় প্রবেশ করো এবং নিজের আত্মার স্বর্গীয় আলোতে স্নান করো।"
*
এ জগত সংসার এক রসের ভান্ডার
হও রসিক আর পান করো সাবধানে ।
…………………………
…………..
মানুষের মহিমাই ধরা পড়েছে জালাল খার গানের বিভিন্ন চরণে। কয়েকটি দৃষ্টান্ত এ-রকম,-
৬. থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন
হায়রে পান করো রে পাগলা মন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা ।।
দিন গেলে দিন আর পাবেনা
ভাটা যদি লয় যৈবন ।
আসমানে জমিনে যে প্রেম অনন্তকাল ধরিয়া।
তাই তো তারে মেঘ বাদলে রাখে শান্ত করিয়া।
তা না হলে হলে হুলে। (হায়রে) শোভিত না (খোদার) এই ভুবন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন ।
পাহাড়ে সাই ঘুরে যে প্রেম ফাটাইয়াছে এক সাথে।
তাই তো পানি বাস্প হইয়া উঠে গিয়া তার মাঝে।
দেখছ নি তাই মন ভাবিয়া। হইতেছে কত পরেশন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন
খোদার প্রেমে জংগলবাসী মনি ঋষি আওলিয়া (আওলিয়া…)।
সারা জনম কাটায় তারা গাছতলাতে বসিয়া
পাইলো কী ধন কইলো না রে
পাইলো কী ধন কইলো না তাই (সদাই) কান্দেরে জালালের মন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন।।
………………
প্রিয় কবি সাহিত্যিকদের থেকে চয়নকৃত চুম্বক অংশঃ
--পাতার মুকুটপরা নিঃস্ব মানুষ--
আমি প্রকৃত নিঃস্ব মানুষের মতো
মরতে চেয়েছি
পাহাড়ের ঘর অরণ্যে
একদল মানুষ ওদের স্নিগ্ধ মেয়েদের নিয়ে এলো
ওরা গাইলো
ঝরনাধারার মতো নাচলো
আমাকে ক্রীতদাসত্বের গ্লানি
বিষয়ে বললো
বিমানের তেল ফুরিয়ে যাওয়ার পর
তার প্রয়োজনীয়তার কথা বললো
একটা ফুটফুটে মেয়ে
তারা প্রকৃত নিঃস্ব ও সৎমানুষের মতো
বাঁচতে বলে
আমার মাথায়
পাতার মুকুট
পরিয়ে দিলো
সকালে ওই মুকুট দেখে যারা খুব হাসলো
ওদের আমার খারাপ মনে হলেও
একটি অদৃশ্য ভালোবাসা
আমাকে শান্ত রেখেছিল…
-হাফিয রশীদ খান
………
হিসেব
_____- তসলিমা নাসরিন
কত টুকু ভালোবাসা দিলে,
ক তোড়া গোলাপ দিলে,
কতটুকু সময়, কতটা সমুদ্র দিলে,
কটি নির্ঘুম রাত দিলে, কফোঁটা জল দিলে চোখের –
সব যেদিন ভীষণ আবেগে শোনাচ্ছিলে আমাকে,
বোঝাতে চাইছিলে আমাকে খুব ভালোবাসো,
আমি বুঝে নিলাম-
তুমি আমাকে এখন আর একটুও ভালোবাসোনা।
ভালোবাসা ফুরোলেই মানুষ হিসেব কষতে বসে, তুমিও বসেছো।
ভালোবাসা ততদিনই ভালোবাসা
যতদিন এটি অন্ধ থাকে, বধির থাকে,
যতদিন এটি বেহিসেবি থাকে।
…………
মনে থাকবে?
____-আরণ্যক বসু
পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিক
আমরা তখন প্রেমে পড়বো
মনে থাকবে?
বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবে
শীতলপাটি বিছিয়ে দেব;
সন্ধে হলে বসবো দু'জন।
একটা দুটো খসবে তারা
হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল
গড়াবে,
কান্ত কবির গান গাইবে
তখন আমি চুপটি ক'রে দুচোখ ভ'রে থাকবো
চেয়ে...
মনে থাকবে?
এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব
এই জন্মের চুলের গন্ধ পরের জন্মে থাকে যেন
এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে
যেন
মনে থাকবে?
আমি হবো উড়নচন্ডি
এবং খানিক উস্কোখুস্কো
এই জন্মের পারিপাট্য সবার আগে ঘুচিয়ে দেব
তুমি কাঁদলে গভীর সুখে
এক নিমেষে সবটুকু জল শুষে নেব
মনে থাকবে?
পরের জন্মে কবি হবো
তোমায় নিয়ে হাজারখানেক গান বাঁধবো।
তোমার অমন ওষ্ঠ নিয়ে
নাকছাবি আর নূপুর নিয়ে
গান বানিয়ে__
মেলায় মেলায় বাউল হয়ে ঘুরে বেড়াবো...
মনে থাকবে?
আর যা কিছু হই বা না হই
পরের জন্মে তিতাস হবো
দোল মঞ্চের আবীর হবো
শিউলিতলার দুর্বো হবো
শরৎকালের আকাশ দেখার__
অনন্তনীল সকাল হবো;
এসব কিছু হই বা না হই
তোমার প্রথম পুরুষ হবো
মনে থাকবে?
পরের জন্মে তুমিও হবে
নীল পাহাড়ের পাগলা-ঝোরা
গাঁয়ের পোষাক ছুড়ে ফেলে
তৃপ্ত আমার অবগাহন।
সারা শরীর ভ'রে তোমার হীরকচূর্ণ ভালোবাসা।
তোমার জলধারা আমার অহংকারকে ছিনিয়ে নিল।
আমার অনেক কথা ছিল
এ জন্মে তা যায়না বলা
বুকে অনেক শব্দ ছিল__
সাজিয়ে গুছিয়ে তবুও ঠিক
কাব্য করে বলা গেল না!
এ জন্ম তো কেটেই গেল অসম্ভবের অসঙ্গতে
পরের জন্মে মানুষ হবো
তোমার ভালোবাসা পেলে
মানুষ হবোই__ মিলিয়ে নিও!
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...
বলতে ভীষণ লজ্জা করছে
ভীষণ ভীষণ লজ্জা করছে
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...
মনে থাকবে?
…………
ঈশ্বর বন্দনায় ব্যাস্ত মানুষগুলোর
ঈশ্বর থাকে সাত আসমানে;
আমার ঈশ্বর এইখানে
যেখানে তুমি আমি জড়িয়ে আছি
গভীর আলিঙ্গনে !
-আঞ্জুমান রোজী
…………………
……………..
দৈনন্দিন বেচে থাকার সংগ্রামে অযথাই উদ্বিগ্ন দুশ্চিন্তার নাটক চলে বিরতীহীন । এই অর্থহীন বিদ্ধংশী আচরন চলতে থাকে ঠিক ঐ শিশুর মত-যে সৈকতে বালুর প্রাসাদ গড়ে আবার তা ঢেউ এ ভেসে গেলে হতাশ হয়ে পরে।
~ H.H. Dilgo Khyentse Rinpoche
………….
ঘরের কাঠে ঘুনে খায়
কাঠ আনিতে বনে যায় ।
-খনার বচন
………
"সন্ধ্যা হয়—চারিদিকে"
----জীবনানন্দ দাশ
সন্ধ্যা হয়—চারিদিকে শান্ত নীরবতা ;
খড় মুখে নিয়ে এক শালিখ
যেতেছে উড়ে চুপে ;
গোরুর গাড়িটি যায় মেঠো পথ
বেয়ে ধীরে ধীরে;
আঙিনা ভরিয়া আছে সোনালি খড়ের ঘন স্তূপে ;
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে;
পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;
পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু'জনার মনে ;
আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে
আকাশে আকাশে।
[কাব্যগ্রন্থ :রূপসী বাংলা]
----0----
---০---
ইংরেজ কবি জন ডানের মৃত্যু নিয়ে একটি কবিতা - ‘ডেথ্, বি নট প্রাউড’।
"একটা ছোট্ট ঘুমের পর যখন আমরা চিরকালের জন্য জাগবো / মৃত্যু, তুমি তখন থাকবে না; তুমিই তখন মারা যাবে।"
---0---
জ্ঞান দেহকে ভালবাসে তেমনি দেহ জ্ঞানকে রক্ষা করে। ইহাই ভালবাসার বর্তমান।
- হযরত ফকির শাহ্ সুলতান জালালী
---0---
সুকান্ত ভট্টাচার্য » ছাড়পত্র (কাব্যগ্রন্থ)
দেশলাই কাঠি
আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি
এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি নাঃ
তবু জেনো
মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ-
বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস;
আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি।
মনে আছে সেদিন হুলস্থূল বেধেছিল?
ঘরের কোণে জ্বলে উঠেছিল আগুন-
আমাকে অবজ্ঞাভরে না-নিভিয়ে ছুঁড়ে ফেলায়!
কত ঘরকে দিয়েছি পুড়িয়ে,
কত প্রাসাদকে করেছি দূলিসাৎ
আমি একাই- ছোট্ট একটা দেশলাই কাঠি।
এমনি বহু নগর, বহু রাজ্যকে দিতে পারি ছারখার করে
তবুও অবজ্ঞা করবে আমাদের?
মনে নেই? এই সেদিন-
আমরা সবাই জ্বলে উঠেছিলাম একই বাক্সে;
চমকে উঠেছিলে-
আমরা শুনেছিলাম তোমাদের বিবর্ণ মুখের আর্তনাদ।
আমাদের কী অসীম শক্তি
তা তো অনুভব করেছ বারংবার;
তবু কেন বোঝো না,
আমরা বন্দী থাকবো না তোমাদের পকেটে পকেটে,
আমরা বেরিয়ে পড়ব, আমরা ছড়িয়ে পড়ব
শহরে, গঞ্জে , গ্রামে- দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
আমরা বার বার জ্বলি, নিতান্ত অবহেলায়
তা তো তোমরা জানোই!
কিন্তু তোমরা তো জানো না:
কবে আমরা জ্বলে উঠব-
সবাই শেষবারের মতো!
---০---
মন যার স্থির নয়
তার মন বাহিরের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়
এ মন পরম সুখ পায় না ।
-(মহা অবতার বাবাজী)
--কথা বলা--
গোলাপের মত নিস্তব্ধ হও
কথা বলো তার মত সৌরভের ভাষায় ।
-(লাহিরি মহাশয়া)
---০---
Mohammad Shah Azizur Rahman-
নূর জ্যোতি নূর জল
করে নূর টলমল
আঁখি হল ছলছল
দেখে নূরের ঝলক ॥
--০--
মাটো বাসো জাপানিজ জেন গুরুর হাইকুঃ-
এমন কিছু নেই যা ফুল নয়
এমন কোন ভাবনা নেই যা চাঁদ নয় ।
*
প্রকৃতির সাথে একাত্ম হও
তোমার আসল স্বভাবে মিশে যাও
মনে ধারন করো- প্রকৃতির সহজ স্বভাব
যেমনটি পাহাড়, নদী, ঘাস কিংবা ফুল ধারন করে ।
*
নীরবতাকে ভাঙার মানোসিক তৎপরতাই এক গোপন সন্ত্রাস ।
*
বৈকালিক বাতাসঃ
জল পরিবেষ্টিত
বকের পায়ে ।
*
চাদের আলো পশ্চিমে সরে যায়
ফুলের ছায়া পুবে হামাগুড়ি দেয় ।
*
চড়ুই গান গাইছে
(কারন) ওর ছোট্র মুখটি খোলা ।
*
বসন্ত শুকিয়ে গেলে
শুকনো পাতারা ঝরে পরে
পাথরেরা এখানে সেখানে ।
*
সাদা সাদা নাশপাতি ফুল ফুটেছে
আর জোৎস্নার আলোয়
এক যুবতী প্রেম পত্র পড়ছে ।
*
জমিতে চাষ চলছিল
যে মানুষটি রাস্তা খুজছিল
সে হারিয়ে গেলো ।
--০—
যে বাশরী ফাকা নয়
তার থেকে বেরোয় না প্রেম সুর ।
-“জেন প্রবাদ”
--০—
তুমি সম্পুর্ন কামনা শুন্য হলেই কেবল দেখতে পাবে এ জগতে স্বর্গ ।
-“বাবা ত্রৈলাঙ্গা স্বামী”
--০—
নিজেকে জানা হচ্ছে নিজেকে ভুলে যাওয়া
নিজেকে ভুলে যাওয়া মানে হচ্ছে , সব কিছুর দ্বারা সচেতন থাকা ।
-“ডোজেন” জেন গুরু
--০—
বিচ্ছিন্নতা বিভ্রান্তি থেকে জেগে উঠার জন্যেই আমরা এখানে ।
-“টিচ নাথ হান” জেন গুরু
--০—
তোমার হৃদয়ে এক চুম্বক আছে, যে শুধু আসল বন্ধুকে আকর্ষন করে । এ চুম্বক নির্স্বার্থ , সে শুধু অপরের কল্যান ভাবে । যখন তুমি শিখবে কিভাবে অপরের জন্যে বাচতে হয় , তারাও তখন তোমার জন্যে বাচবে ।
-গুরু“পরমহাসনা ইয়োগা আনন্দ”
--০—
জেন গুরু “ইয়োসা বুসোন” এর হাইকুঃ-
ঘাসেরা কুয়াশা আচ্ছন্ন
জলেরা নীরব
এক প্রসন্ন বিকেল ।
*
খোলো তোমার (হৃদয়ের) জানালা
মেঘ আর আকাশকে
তোমার ঘরে প্রবেশ করতে দাও ।
*
আমি ফুলেদের কাছে আসলাম
তাদের ভেতরে ঘুমিয়ে পরলাম
এটাই ছিল আমার অবকাশ যাপন ।
*
প্রতিটা কাটায় এক ফোটা সাদা শিশির ।
*
বসন্তের বৃষ্টিতে-
পুকুর আর নদী একাকার হয়ে যায় ।
--0--
Miraz Hossain:-
যারা Biology পড়েছেন তারা জানেন , বিশেষ সময় একজন পুরুষ একবারে ২০০-৩০০ মিলিয়ন স্পার্ম নির্গত করেন। এই ৩০০ মিলিয়ন স্পার্মই Ovum এর দিকে ছুটতে ছুটতে সেখানে পৌছায় মাত্র ৩০০-৫০০ পিস !
মাত্র ৩০০ - ৫০০ স্পার্মই Ovum এর কাছে যেতে পারে, আর বাকিরা এই "ছুটে চলার" দৌড়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বিলিন হয়ে যায়।
এই ৩০০-৫০০ স্পার্ম যেগুলা ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে এদের মধ্যে মাত্র ১ টাই ডিম্বানুকে উর্বর করে। আর যে একটা স্পার্ম ডিম্বানুকে উর্বর করে সেই একটাই আপনি বা আমি।
আপনি কখনও কি একবারের জন্যও এইভাবে চিন্তা করেছেন যে , আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন তখন আপনার চোখ , হাত , পা , মাথা কিছুই ছিলনা ! ইনফেক্ট আপনি ছিলেন অর্ধেক। তবুও আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন , তখন আপনার কোন সার্টিফিকেট ছিল না , কিন্তু তবু আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন কোন শিক্ষা ছাড়া দৌড়াচ্ছিলেন , কারো সাহায্য ছাড়াই দৌড়াচ্ছিলেন , ষ্টার্টিং ট্র্যাতকে বাঁশি দেয়ার কেউ ছিল না , তবু আপনি ঠিক সময়ে দৌড় দিয়েছিলেন ও জিতেছিলেন সেই প্রতিযোগিতা।
অথচ , আজ আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে যান। পরাজয় মেনে নেন । অথচ , এখন আপনার সার্টিফিকেট আছে, প্লান করার মানুষ আছে , সাহায্য করার হাত আছে , তবুও আশা হারিয়ে ফেলেন।
যেখানে আপনি আপনার জীবনের প্রথম দিনেই হার মানেন নাই , সেখানে আপনি এখন কেন হার মানবেন ?
---০---
কিছু হবার চেষ্টা করোনা । নিজেকে কোন কিছুতে পরিনত করতে যেয়ো না । হতে যেয়ো না ধ্যানি কিংবা নির্বান মহাপুরুষ। যখন তুমি বসে থাকো , তখন “বসে থাকা”কে বসে থাকতে দাও , যখন হাটো , “হাটা”কে এগিয়ে যেতে দাও । কিছুই ধরে থাকতে যেয়ো না , প্রতিরোধ করতে যেয়ো না কিছুই ।
-Aj ahn chah
--০--
একটা প্রশান্ত নিস্তবদ্ধ মন , তোমার সব চাহিদার ঘটায় অবসান , এ অবস্থায় যাই ঘটে সবই সঠিক , সবই পরিপুর্ন।
- Nisargadatta
---০---
যে নিজেকে ভালোবাসেনা , তাকে কেউ ভালোবাসেনা
যে নিজেকে বিশ্বাস করেনা , তাকে কেউ বিশ্বাস করেনা
যে নিজেকে জয় দিতে পারেনা , তাকে কেউ জয় এনে দিতে পারেনা
যে নিজেকে মুক্তি দেয় না , তাকে কেউ মুক্তি দিতে পারেনা
যে নিজেকে আনন্দ দেয় না , তাকে কেউ সুখ দেয় না ।
-“রোমান্টিক কবি আবুল বাশার”
---০---
বৃষ্টিতে সবাই ভেজে , অথচ অল্প কয়েকজনই বৃষ্টিকে অনুভব করতে পারে ।
-বব মার্লি
---0---
শুন্য মনে দূর্গ গড়ে
করছো তুমি যুদ্ধ,
যুদ্ধ শেষে “আমি” ছেড়ে
হলে তুমি সিদ্ধ।
*
“আমি বনাম আমিত্ব”
কোন কাজে “আমি করছি” বা “আমার দ্বারা এটা সংগঠিত হচ্ছে” এই ভাব থাকাই আমিত্ব বা অহং। আমরাই অবচেতন ভাবে নিশ্বাস নিচ্ছি, হৃদপিন্ড পাম্প করছি, পাকস্থলিতে খাদ্য হজম করছি। কিন্তু এখানে “আমি করছি” এই ভাব নেই, তাই এগুলো কাজের প্রতি আমাদের কোন আসক্তি,অহংকার নেই। আমিত্ব মানুষকে অভাবী করে তোলে।
-Junayed Ikbal
অলসরা দেহ দ্বারা ব্যবহৃত হয় আর কর্মঠরা দেহকে ব্যবহার করে।
-Junyed Iqbal
যে কোন প্রকার চাওয়াই মনকে অপূর্ণ করে, কিন্তু একটা চাওয়া আছে যা মনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে। তা হল, অপরকে পরিপূর্ণ করতে চাওয়া। যে পরিপূর্ণ, সে কখনো পরিপূর্ণ হতে চায় না। সে পরিপূর্ণতা বিতরণ করে।
-“Junayed Ikbal”
আমি আছি , আমার দ্বারা এটা হয়েছে , আমি এটা করছি ।- এটাই আমিত্ব । -“Junayed Ikbal”
---0---
বহুরুপে সম্মুখে ছাড়ি-
কোথা খুঁজেছো ঈশ্বর?
জীবে প্রেম করে যেই জন,
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
-“স্বামী বিবেকানন্দ”
---0---
নিজের স্বভাব অনুযায়ী অন্যের সাথে আচরণ করো অন্যের স্বভাব অনুযায়ী নয়, যাই হোকনা কেন তাদের কথায় কাজে যতই কষ্ট পাওনা কেন।
-“অশো”
---0---
আপনি কখনই ভাববেন না যে আপনার অনেক বয়স হয়ে গেছে। ছোট্ট বেলার সেই শিশুটির মতই নিজেকে বিবেচনা করুন। ভাবুন আপনি কাল্পনিক জগতের ডানাযুক্ত সেই ছোট্ট শিশুটি যে দিগন্ত জুড়ে দৌড়ে বেড়াতে পারে, অকারণে যতসব ইচ্ছা নিমেষেই পূরণ করতে পারে। এভাবেই নিজের মনে যখন যা আসে তাই পূরণ করার চেষ্টা করুন।-“Miraz Hossain”
--0—
যখন তুমি নিজে নতুন , তখন সবই নতুন । পুরাতন তুমি , কোন নতুনই দেখতে পাবেনা ।
*
যদি সে খারাপ হয় , তাহলে তুমি অতি অবশ্যই ভালো নও ।
*
যখনই তুমি নুতন , তখনই তুমি পরম আনন্দ । হও নুতন ।
-“ইমোর্টাল ট্রাষ্ট”
অন্যের জীবন করোনা যাপন , নিজেকে তিলে তিলে মেরে ফেলো না । তোমার নিজের সত্তা কখনোই মরেনা , তোমার নিজের হও এবং অমরত্ব লাভ করো ।-“Immortal Trust”
তোমার কারো দরকার নেই , শুধু তোমার নিজেকে নিজের দরকার আছে , যা এরই মধ্যে তোমার আছে অথচ তুমি জানো না , তাই তো তুমি গরীব । যা ঐ গরীবদের মতো যারা জানে না ।-Immortal Trust
---0---
নিঃশোঙ্ক অদম্য চিত্তের চেয়ে বড় কিছু নেই । -“কর্নেল তাহের”।
---0---
কতটা নির্দয় হই,
অবুঝ শিশুর মত প্রত্যহ আদায় করি
২১৬০০টি নিষ্কাম চুম্বন তোমার।
একটুও বিরাম নেই, থামাথামি নেই,
চলছে তো চলছেই।
আর কত দিবে হে প্রাণেশ্বরী আমার!!
-“ Dulal Mohanto”
---0---
ঐখানে সারাদিন উঁচু ঝাউবন খেলা করে
হলুদে সবুজ নীল রঙ তার বুকে
পাখি মেঘ রৌদ্রের;
তবু আজও হৃদয়ের গভীর অসুখে
মানবেরা পড়ে আছে কেন!
আজ অন্ধ শতাব্দীর শতছিদ্রতার
ভিতর আলোর খোঁজে যদি চলে যায়
তবুও শাশ্বত হয়ে থাকে অন্ধকার।...জীবনানন্দ দাশ
---0---
প্রেম আগুনে জ্বলে পুরে মরার মাঝে যে কি সুখ লুকিয় থাকে.
তা শুধু পতঙ্গই জানে......
আপন মনে পুড়ছে সদাই প্রেম আগুনে...
-“মানিক শিমুল”
---0---
দয়া ধর্মই আসল ধর্ম । আর নিজেকে দয়ার মধ্যে দিয়েই সে ধর্মের কর সূচনা ।
-“বুদ্ধ”
---0---
তোমার চোখ এতো লাল কেন
--নির্মলেন্দু গুণ
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।
আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : 'তোমার চোখ এতো লাল কেন ?'
---0---
--আমি ঝর্নাধারা , তুমি আমার জল--
By Zeynep Hatun
(15th Century)
English version by Murat Yagan
আমি ঝর্নাধারা , তুমি আমার জল-
আমি তোমার থেকে তোমাতে হই প্রবাহিত ।
আমি চোখ , তুমি আমার আলো-
আমি তোমার থেকে তোমাকে দেখে যাই ।
না তুমি শুধু আমার ডান আর না আমার বাম-
তুমি আমার পা এবং বাহুও।
আমি পথিক , তুমি আমার পথ-
আমি তোমার থেকে তোমাতে এগিয়ে যাই ।
-- from "Women in Sufism: A Hidden Treasure - Writings and Stories of Mystics Poets, Scholars and Saints," Edited by Camille Adams Helminski
---0---
কাম প্রেম প্রণয়
14 hrs •
আত্নার সান্নিধ্যে না পৌছাইলে...
সমস্ত শরির কখনই জার্গত
হয়না ...
নৃত্যমগ্ন হয়ে যেতে হয় আত্নার চরম সান্নিধ্যে ..
এবং সেখানে মিলে সমাধির প্রথম ঝলক।
যা বিদুৎ বেগে জাগরন ঘটাই আত্নার অন্তরালে।
সেথাই ভ্রমন করো প্রেমাস্পদে।
দুটি দেহের ব্যাবধান যেন না থাকে।
শুধু রেখ দুটি শক্তির একটি প্রবাহ ...!
তুমি নেই আমি নেই ...শুধু ঋনাত্ব এবং ধনাত্বকের।
মৃদু প্রবাহে অনন্তে মিলন। ইহাই পুলকে মাধুর্যহ্।
() মানিক শিমুল।
শৃঙ্গারকলার মধ্য দিয়েই ..
গভির হতে গভিরে প্রবেশ করতে হয়।
প্রণয় সম্পর্ক গভিরে চরম মাত্রায় পৌছাই
শৃঙ্গার হতে ...! যার একটি চরম পুলক ঘটে বিদুৎ গতি বেগে ..! কিন্ত প্রেমাবেশ রেখে যায় অনন্ত ব্যাপি।
() মানিক শিমুল
কাম প্রেম প্রণয়
3 mins •
সুনীল নয়নে পড়িলে নয়ন...
প্রেমাস্পদ প্রদিপ জ্বলিলে মন ..
নৃত্য রংগ প্রভু সংগোপন ...
হৃদ আকাশে প্রিয়সির আস্ফালন।
প্রনয়ে মজোরে প্রিয়সির প্রেমাস্পদে ...
স্বরূপে রুপ করিতে দর্শন।
() মানিক শিমুল
---0---
তোমার হাসি দিয়ে এই দুনিয়ায় পরিবর্তন আনো , এই দুনিয়া যেন তোমার হাসিতে পরিবর্তন আনতে না পারে ।
-“বুদ্ধ”
---0---
পরিপূর্ন ভালোবাসা আগুনের মত , যাকে কোন খাচাই বন্দী রাখতে পারেনা ।
-“এনামুল হক”
---0---
তাদের নোঙরায় পা দিয়ে কখনো কোন অবস্থাতেই আমার মনে বিচরন করতে দিবো না ।
-মহাত্মা গান্ধী
---0---
ঘৃনাবাদীরা!
জ্বালানীর জন্য ধন্যবাদ । ঘৃনা দিয়ে আমি আমার প্রেমের আগুন জ্বালাই ।
-নেট
--0--
মুখ খোলার আগে , তোমার হৃদয় খোলো ।
-বুদ্ধ
---0---
---0---
শেষ পর্যন্ত তারা তোমাকে যাচাই করবে , করুক , তাতে কিছুই আসে যায় না । তুমি স্বাধীন । তুমি শুধু নিজেকে নিজে তুষ্ট রাখো । এটাই তোমার মূল কাজ ।
-“বুদ্ধ”
---0---
যতই সহজ সরল হবে ততই জীবন হবে জটিলতামুক্ত আর আনন্দে পরিপূর্ন হবে হৃদয় তোমার ।
-পরমেস্বর ইয়োগানন্দ
---0---
“ভয়” আধারের পথ । ভয় থেকে আসে রাগ । রাগ থেকে আসে ঘৃনা । ঘৃনা থেকে আসে যন্ত্রনা ।
-ইয়োদা
---০---
ধর্ম সাধনা হচ্ছে নিজেকে নিয়ে সাধনা , নিজেকে নিয়ে সাধনা হচ্ছে নিজের দেহমনকে ভুলে যাওয়া , যে নিজেকে ভুলে গেছে- তার প্রেমে সমস্ত জগত ধাবিতো।
*
তুমি তোমার প্রিয় সন্তানকে মনে ধারন করো , ঠিক সেভাবে ধারন করো সমস্ত জগতকে ।
-“জেন গুরু ডোজেন”
---০---
আমার গন্তব্য দূরে নয়, আমার গন্তব্য এখন এখানে , পথ দিয়ে আমি গন্তব্যে যাই না বরং এই পথই আমার গন্তব্য ।
--স্বামী নিসর্গ মহারাজ
--০--
পরমের আগমন আমারই মাঝে আসে যখন আমিটা আর আমার মাঝে থাকে না।
-বাবা আমির খসরু
--০—
“শরীর” হিমালয়ের মতো , “মন” আকাশের মতো আর “হৃদয়” সমুদ্রের মতো ।
-“ডজেন”
--০--
চর্ম চোখ বন্ধ করার দরকার নেই। মনের চোখ বন্ধ করো- সব ঠিক হয়ে যাবে। এ জগত তোমার বাইরে না।
--রামানা মহা ঋষি
---০---
মানুষ ভবিষ্যতের জন্য উদবিগ্ন থাকে, আবার ভবিষ্যতে এসে ঐ অতীতের জন্যই হা হুতাশ করে! আর বর্তমানকে করে অবহেলা, মানুষ কতো বোকা।
-ইবনে রুশদ
--০--
আগে তোমার নিজের হও।
-জ্যাক মা
--০--
আদবে আওলিয়া, বেয়াদ্দবে দেওলিয়া।
-সংগ্রহীত
--০--
আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ জীবন নব নব।
-রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর
--০--
পানির মত হও , নিরাকার অথচ সবার কাজে লাগে ।
--ব্রুস লী
--০—
জগতে তুমি কারো বন্ধু হতে চেয়োনা , বরং তুমি শুধু নিজে নিজের বন্ধু হও । তুমি বিজয়ি হলে- দেখবে সবাই তোমার বন্ধু হবার জন্য ঘুর ঘুর করছে ।
*
এক মন এক লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাও , তোমাকে কেউ হারাতে পারবে না ।
-চেঙ্গিস খান ।
--০—
যে ভালোবাসতে জানে সে আস্তিক , যে ভালোবাসতে জানেনা সে নাস্তিক ।
ড এমদাদুল হক
--০—
এখনই নিজেকে নিজে ইঞ্জয় না করলে কখন করবে ?
-ওমর খৈয়াম
--০—
"একা একা ভোগ থেকে আসে বিপর্যয়। সবাইকে নিয়ে ভোগ করলে সেটি উপভোগ, উপভোগ থেকে আসে জয়।"
--সুফি আহমেদ মাহফুজ সাহেবের পবিত্র বানী।
---০---
পৃথিবীটা মানবজাতির আশ্রয় স্থান নয় । এটি এক অখন্ড জীবন্ত সত্তা ।আমরা এটিতে নয় বরং এর এক ক্ষুদ্রাংশ মাত্র । এর স্বাস্থ্য আমাদের স্বাস্থ্য ।
-থমাস মুর
---০---
হাত ব্যাথা পেলে চোখ অশ্রু ফেলে । চোখ কাদলে হাত মুছে দেয় । প্রেমের খেলা চলে সারা জগতময় ।
-হযরত আলী (রাঃ)
---০---
বৃষ্টি বিচার বিবেচনা ছাড়াই সবার ওপর সমান ভাবে পরে । ঠিক তেমনি তুমিও সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসো, কারো সাথে কারো তুলনা করতে যেওনা ।
-বুদ্ধ
---০---
তোমার মাঝেই যে অসীম শক্তি আছে তা তুমি জানো না । শুধুমাত্র ঐ শক্তিটাকে পছন্দ করলেই তুমিও শক্তিসালী হবে ।
--বব মার্লী
---0---
" যদি নিজে প্রভু হয়ে মনকে অধীনে আনতে পারিস তবেই জন্ম, মৃত্যু, শোক, দুঃখ প্রভৃতি হতে মুক্ত হতে পারবি।"
_ বাবা জোহর আলী শাহান্ শাহ
---0---
সুফি আহমেদ মাহফুজ
যা সহজ করে তাকেই ধারণ করা উচিৎ, জটিলকে ধারণ করতে যেয়ে আত্মকলহ সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই করা হয়ে ওঠে না। নির্বাণ তখন ফানুসের মতো দূর হতে দূরে মিলিয়ে যেতে থাকে।
---0---
আমারে সকল ক্ষুদ্রতা থেকে বাচাও প্রভু উদার
হে প্রভু শেখাও, নীচতার চেয়ে নীচ পাপ নাহি আর ।
-কাজী নজরুল ইসলাম , মুনাজাত
---০---
অসুখী বোধ- শুধু একটা চিন্তা মাত্র ।
-মুজি
---০---
চরম বোঝা পরা হয় সেখানে- যেখানে কোন বোঝা পরাই নেই ।
-নিসর্গ মহারাজ
---০---
কৃপনতা হচ্ছে সকল দোষের মা স্বরূপ।
-হযরত আলী (রা)
---০---
জ্বীহবা দিয়ে কথা বললে- তা কানের পাশ দিয়ে চলে যায়, অথচ হৃদয় দিয়ে কথা বললে- তা হৃদয় ছুয়ে যায়।
-শামস তাব্রিজ (র)
---০---
যুক্তিতে মিলেনা মুক্তি । তখনই মিলিবে মুক্তি যখন বিশ্বাসের চরনে দিবি ভক্তি ।
-ভন্ড সাধক
---০---
ছোট খাটো বিষয়ে যে একটুতেই উত্তেজিত হয়ে পরে- সে ছোট মনের অধীকারী । তোমার মনকে সমুদ্রে পরিনত করো ।
--লামা গুরু
---0---
তোমারে খুঁজিতে গিয়ে
আমারে পাইয়াছি
আমাতে নিমগ্ন হইয়া-
তোমারে দেখিয়াছি।
_ অহন
---0---
তোমার বন্ধ আখির অন্ধকারের ঠিক পেছনেই “পরমেশ্বর” সমুজ্জোল ।
-পরমেশ্বর ইয়োগানন্দ
---0---
তোমার আত্মায় এক শিশু বাস করে। শক্ত করে তার হাত ধরো, সে শিশুর কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
-পাওলো কোহেলহো
---0---
আমি সরাবি চলেছি পথে /সরে দাড়াও যত সুফিগণ/লাগিবে গন্ধ হইবে মন্দ/সরে দাড়াও যত সুফিগন।
-ফেসবুক
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯