somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তানন্দের মুক্তা মনি

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



চল যাই আনন্দ বাজারে
রচনায়ঃ- গফুর শাহ
ফেসবুকঃ- abdul815@gmail.com

মুক্তানন্দের মুক্তা মনি



--পরিনতি--
যতই সস্তা আর ফালতু বিষয়ে নিজেকে জড়াবে, ততই সস্তা আর ফালতু হবে।
--লিঙ্গ--
নারী তো সামান্য নয়, নারী এক অসামান্য নদী। পুরুষ সাবধানে নাও না বাইলে, অকালে প্রান হারাবি।
--রোগ--
জীবন প্রতি মুহুর্তে পরিপুর্ন প্রেমোময় স্বর্গীয় সমুজ্জোল। তারপরও তুমি জীবনের মানে খুজে বেড়ালে, তুমি অসুস্থ্য।
--পৌরষ--
অদম্য চিতার দিকে- সমস্ত জগত, বিস্ময়ে হতবাক।

--আসল--
প্রকৃত নিয়ন্ত্রন- নিয়ন্ত্রনহীনতায়। প্রকৃত চেতনা- অচেতনায়। প্রকৃত বুঝ- অবুঝে। প্রকৃত দৃষ্টি- অদেখায়।

--স্বর্গ--
মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকেন- প্রানেশ্বরী। কোন কারন ছাড়াই তারে ভালবাসবে। ছোট্র শিশুর মত তার সাথে হাস্যরসে মেতে থাকবে, তবে দুনিয়াতেই স্বর্গ লাভ করবে।
--পাপ--
প্রতিক্রিয়াশীলতা মহাপাপ । যে যেমন আচরন করবে তার সাথে তেমন আচরন করবেনা । কেউ ঘৃনা করলে তাকে বেশী বেশী ভালোবাসবে। কেউ বদ্ধ আচরন করলেও তার সাথে মুক্ত আচরন করবে।
--কর্ম--
মুক্তানন্দে ভর দিয়ে প্রেমানন্দে উড়ে বেড়ানো ছাড়া , আমার আর কোন কাজ নেই ।
--দৃষ্টি--
প্রকট দৃষ্টিতে জগতকে দেখবে না , জগতকে দেখবে মায়াচ্ছন্ন ঘোলাটে দৃষ্টিতে , দেখবে সব স্ব্গীয় আনন্দময় ।
--সান্নিধ্য--
তোমারে যে অবজ্ঞা অবহেলা করে , তার থেকে সর্বদা দূরে থাকবে ।
তোমারে যে মায়া করে তার সাথে সারাদিন মাতবে ।
--পজিটিভ--
মানুষ দেখে- “কাক” ময়লা উচ্ছিষ্ট খাচ্ছে । অথচ জগতে ময়লা উচ্ছিষ্ট বলে কিছু নেই , সবই প্রভুর দেয়া অমৃত ভান্ডার ।
--নয়ন সুখ--
মায়াচ্ছন্ন দৃষ্টির কাছে- বস্তু , “নান্দনিক অবস্তু”তে পরিনত হয় , নয়নে সুখ আনে ।
--জীবন--
সুস্থির বয়ে যাওয়াই জীবন । থে্মে থাকা কিংবা অস্থির ছুটে চলা জীবন না , সেটি মরন ।
--মন্ত্র--
“খাও দাও ফূর্তি করো, দুনিয়াটা মস্ত বড়”- এই হোক জীবনের মূল মন্ত্র ।
--সমাজ--
মানব সমাজের বেশীর ভাগ বিষয়ই অনর্থক এবং ফালতু । তাই সবকিছু দেখতে নেই , শুনতে নেই , বুঝতে নেই । শিশুর মত বোকা সোকা থাকা ভালো ।
--আহবান--
এসো প্রেম চৈতন্যের মুক্তানন্দে বিলীন হই ।

--ধর্ম কর্ম--
নিজ হাতে মানব সেবার চেয়ে সেরা কোন কর্ম নেই , ধর্ম নেই । যে কর্মে কোন স্বার্থ নেই , লাভ লোকশান নেই- সেটিই তো প্রকৃত ধর্ম ।
--শুরু শেষ--
চৈতন্যে শুরু , প্রেমানন্দে শেষ । যার চৈতন্য নেই , তার না আছে শুরু আর না আছে শেষ । সে যে বেচে থেকেও মৃত ।
--উচ্চস্তর--
উপস্থিত বুদ্ধি তখনই আসে , সতস্ফুর্ত আনন্দ অনুভুতি তখনই পাওয়া যায়, যখন “মন”- প্রেম চৈতন্যে একাকার ।
--স্বরূপ--
আমিই মুক্তানন্দ । আমি- প্রেম চৈতন্য , মহাশক্তি , পরমগুরু , অবস্তু , আনন্দ আশ্রম।
--সেরা--
“মানুষ” স্বয়ং ঈশ্বরের সবচেয়ে প্রিয়তম । তাই মানুষকে যা দিবে তার দ্বিগুন ফেরত পাবে । তৃপ্তি কিংবা বিরক্তি যাই দাও না কেন , তার দ্বিগুন ফেরত পাবে।

--বিদ্রোহ--
প্রভুভক্ত শুয়োরের জীবনের চেয়ে অদম্য সিংহের মৃত্যু হাজার গুনে শ্রেয়।
--মানুষ--
হে মন, হে প্রেম চৈতন্য!
মানুষই স্বর্গ। মানুষের হাসি কান্না সমস্ত প্রকাশ- শিশুসুলোভ স্বর্গীয়। মানুষের রোম থেকে রোম, অনুপরমানু, ঘামে ঘ্রানে সমগ্র অস্তিত্ব- ঐশ্বরিক। মন তুমি মানুষের মায়ায় হারিয়ে যাও, মানুষের ভক্তিতে নিশ্চিহ্ন হও।
--নির্দেশ--
"মন" তুমি কোন কিছুই ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ো না, কোন কিছুই তোমার না, সবই এক প্রেমিশ্বরের। তুমি তো ফাকা শুন্য কিছুই না, তুমি শুধু তার আনন্দ সাগরে বিলিন হও।
--প্রতিফলন--
যে নিজের দেহকে অবজ্ঞা অবহেলা অসম্মান করে, সে জগতেরও অবহেলা অসম্মানের পাত্রে পরিনত হয়।
--প্রতিবাদ--
বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি তোমার মৃত্যুও হয়, সেটি হবে সিংহের মৃত্যু। আর মেনে নিলে তোনার জীবন হবে শুকরের জীবন।



--দৃষ্টি--
যদিও মন মদনের দৃষ্টিতে সব পুরাতন হয়ে যায়, অথচ প্রেমের দৃষ্টিতে পুরাতন বলে কেউ নেই, সকলেই তার কাছে নিত্য নুতন।
--মর্যাদা--
খন্ড খন্ড জগত ধুলায় গড়া গড়ি খায়, অথচ অখন্ড জগত শুন্যে প্রেমোময়।

--অদেখা স্বর্গ--
মন- ভক্ত স্বরূপ । চৈতন্য- গুরু স্বরূপ । “মন” প্রেম নিবেদক , “চৈতন্য” প্রেমাসম্পদ । চৈতন্য জগত স্বর্গীয় জগত । এটি মন আর বস্তু জগতের মধ্যব্তী শুন্যের মাঝারে মেলেছে সংসার । মূলত মন আর বস্তু জগতের মিলনকারী এ এক আলোকজ্জোল শক্তি । খন্ড খন্ড বস্তু জগতের অখন্ড রূপে প্রকাশ ঘটানোই এর ধর্ম , যেমন খন্ড খন্ড পাপড়ী অখন্ড ফুল রূপে প্রকাশিত । বহু রূপে সে নিজেরে প্রকাশিত করে চলেছে , পুরাতন বলে তার কাছে কিছু নেই , সে যে নিত্য নুতন । মন তুমি তার নিত্য নুতন রূপে মায়াচ্ছন্ন হবে , আনন্দে উদ্ভাসিত হবে ।
--প্রবাহ--
"চৈতন্য" যেন শিশুর বাধ ভাঙা হাসি, সে হাসিতে বিচ্ছিন্ন গোমড়া মুখোরাও ভেসে যায়।
--আশ্রয়--
খন্ড খন্ড অস্তিত্ব গুলো, চৈতন্যের প্রভাবে অখন্ড স্বর্গীয় হয়ে উঠে, মায়াচ্ছন্ন হয়ে ওঠে, যা শুধু চৈতন্যে বিদ্যমান থাকে।
--লেনদেন--
হাত পা কিংবা মুখের সাথে কথা হয় না, কথা হয়- অখন্ড মানুষের সাথে, যে চৈতন্যে বিদ্যমান।
--বাস্তবতা--
অনেক সময় আত্মবিশ্বাসের বলে মিথ্যাও প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় আর সত্য ধুলাতে হেলায় পরে থাকে।
--সিন্ডিকেট--
সংঘবদ্ধ আত্মবিশ্বাসীরা টাকা আয়ের রাস্তাটা সহজ করে।
--শক্তি--
"চৈতন্য" না বাহির না ভেতর। "চৈতন্য" এ দুই এর মিলনকারী এক অদম্য শক্তি।
--বাস্তবতা--
সত্য ন্যায়ে জয়, মিথ্যা অন্যায়ে ক্ষয়।
--লালসা--
অর্থ যদি তোমার মানোসিকতা নিয়ন্ত্রন করে, বুঝতে হবে তুমি অতি দুর্বল, সামান্য কাগজের নিয়ন্ত্রনে আছো।
--বোকা--
প্রানী কুলের মধ্যে মানুষই সবচেয়ে দুর্ভাগা প্রানী যে বোকার মত তার জীবনের বোঝা কাধে নিয়েছে, অথচ অন্য প্রানীরা তাদের দায়িত্ব প্রভুর কাধে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুড়ে বেড়ায়।
--প্রাকৃতিক--
প্রানীরা ব্যাক্তি অহংকার থেকে মুক্ত, তারা সরল প্রকৃতির ডাকে সরল ভাবে সারা দেয়, এক্ষেত্রে তারা কোন রকম চিন্তা ভাবনার আশ্রয় নেয় না। মানুষের সমস্যা হলো, সে তার নিজের চিন্তার খপ্পরে পরে, নিজেকে প্রাকৃতিক সরলতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।


--স্বরূপ--
"মন"টা ফাকা জানালা আর চৈতন্য সে জানালা দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুরফুরে মাতাল হাওয়া।




--উলটা--
"চৈতন্য" এক মায়া জাল, যে জালে আটকা পরলে, বন্দি না হয়ে বরং মুক্ত হওয়া যায়।
--স্বরূপ--
মাথা যেন আমার ফাকা জানালা, "মাতাল হাওয়া" বয়ে যাই, আমি বয়ে যাই।

--ভোগবাদ--
ও মন! আমটির অস্তিত্বে না, বরং তুমি তার সুস্বাদে হারিয়ে যাও- যা অস্তিত্বহীন । তেমনি করে “দেহমন” এ নয় , বরং তার উর্ধে - প্রেমানন্দে হারিয়ে যাও- যা অস্তিত্বহীন ।
--স্বরূপ--
ধ্যানের জগতে সব বাদ দিতে দিতে যখন আর কিছুই থাকেনা , সেই “কিছুই না অনাবিল” অবস্থাটাই তুমি।
--স্বর্গ--
প্রেম চৈতন্য আর মানুষের মিলন থেকে যে পরমানন্দের উদয় ঘটে তাই ঈশ্বর অনুভুতি।
--বন্দীত্ব--
যখন তুমি ভয়,সন্দেহ,চিন্তা, লালসার প্রতি মনোযোগি হয়ে, মানোসিক ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পরো, তার মানে হচ্ছে তুমি চৈতন্যের অনাবিল মুক্তাবস্থাকে অবজ্ঞা করছো।

--ধ্যান--
ধ্যানের জগতে তুমি যা করো সবই ফালতু, যদি না "কিছুই না" অনাবিলে নিজেকে হারাতে পারো।
--ভ্রমন--
মাথা আমার যায় উড়ে যায়- ফাগুনের মাতাল হাওয়ায়, ভেসে যায় সব, উবে যায়- শুন্যে মিলায়।
--বিশ্বাস--
শুধু বিশ্বাসের বলে তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারো, তাই নিজের কাছে নিজে হও- পরম বিশ্বাসভাজন।
--প্রকাশ--
ধামা চাপা গোপন কোন কিছুই ভালোনা। "দিলখোলা খোলামেলা প্রকাশিত" যে কোন কিছুরেই করো সম্মান, কারন সব “এক অনাবিলের”ই প্রকাশ।
--সময়--
অকৃতজ্ঞের সাথে ১ সেকেন্ড সময় কাটালে,তা তোমাকে অসম্মানিত করার জন্য যথেষ্ট, কারন অকৃতজ্ঞ সর্বদা তোমাকে অপমান করার রাস্তা খুজে। মানব সমাজে অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ, তাই কোলাহল থেকে নির্জন বাস অতি উত্তম।
--প্রশ্ন--
আধ্যাতিকতা প্রেম আর জ্ঞানের এক চমৎকার ভারসাম্য। জ্ঞানের রাজ্যে এসব প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরী- অখন্ড মানব প্রকৃতি, দেহতত্ত্ব, মন, প্রান, জগত, আত্মা বা চৈতন্য, আত্মজ্ঞান বা আমি কি, তুমি কে, গুরু কে, শিষ্য কে, শুন্য কি, বস্তু কি?
--জীবন জগত--
জগতের এ প্রান চাঞ্চাল্যই- চৈতন্য, যা ডিমের কুসুম স্বরূপ। আর এ বস্তু জগত ডিমের খোলস স্বরূপ।
--প্রাধান্য--
সহজটা আগে করবে, জটিলটা পরে করবে কিংবা না করবে।
--উজাড়--
"মন" আমি ছোট্র একটা প্রজাপতির মতো- মুক্তানন্দের মাতাল হাওয়ায় উড়ে যাই, শুন্যে মিলাই।
--ভ্রমন--
এ জগত যেন স্বর্গের শিশুপার্ক । এখানে বিস্ময়ে আমি হতবাক হয়ে যাই, ছোট্র একটা শিশুর মত মায়াবী আবেশে উড়ে বেড়াই ।

--জীবন মরন--
এক পলকের এ জীবনে – বোঝা বুঝি , চিন্তা ভাবনার কিছু নাই , শুধু শিশুর মত পরম বিস্ময়ে জগতকে করো উপভোগ, আর একদিন ঝরা পাতার মতো ঝরে হারিয়ে যাও ।
--দারিদ্রতা--
পরনির্ভরশীলতা, পরনিন্দা, পরচর্চা যার স্বভাব, তার দ্বারা আর যাই হোক উন্নতি সম্ভব না, সম্ভব না, সম্ভব না।


--মূল--
জগতের সবকিছুর শেকড় মাটিতে। শুধু মানুষের শেকড় আসমানে শুন্যে।
--স্বাস্থ্য--
ও দয়াল! তোমারই এ দেহখানি, সুস্থ্য সবল প্রানবন্ত রাখো, এহি মোর প্রার্থনা।
--ভাষা--
শিশু সরলতায়- ভাষা নি:শব্দ, অথচ সরলতার চেয়ে সেরা কোন ভাষা নেই।
--সুস্থিরতা--
যতই করিবে তারা, ততই বলিবে দাড়া।
--গতি--
বৈচিত্রময় গতিই জীবন, গতিই উন্নতি, গতিই প্রেম, গতিই আনন্দ, গতিতে জয়। স্থবিরতায় ধ্বংস।
--সীমাবদ্ধতা--
মুরগী দিয়া যেমন হাল চাষ করা যায় না , মাছ যেমন আকাশে উড়েনা , তেমনি মানুষের সীমাবদ্ধতাকে সম্মান করতে হয় ।

--স্বর্গ--
কত তুচ্ছ বিষয়ে জড়িয়ে মানুষ নিজের মহামূল্যবান জীবন নষ্ট করে ফেলে ।অথচ “কিছুই না”র সাধনা করলে সে তার জীবনকে স্বর্গে পরিনত করতে পারতো ।
--অর্জন--
জীবনের অর্জন হচ্ছে- তুমি মারা গেলে মানুষ এই ভেবে কাদবে- “আর কে আমারে শিশুর মত হাসাবে ? কে আমার বুকের খাচা আলগা করে নীলাকাশে উড়াবে?
--ডাক--
বিভিন্ন নামে মানুষকে ডাকা হয় , মজার বিষয় হচ্ছে- তা আসলে একজনকেই ডাকা হয় । তাই তো স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন- “বহু রূপে সম্মুক্ষে তোমার , ছাড়ি কোথা খুজিছো ঈশ্বর ?
--মৃত্যু--
এমন কিছুই নেই যা মৃত্যু গ্রাস করে না , শুধু “শিশুর নির্মল হাসি” ছাড়া ।
--শাস্তি--
যে মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অবজ্ঞা অবহেলা করে- সে একটা বিষাক্ত কাটায় পরিনত হয় , তাকে উপরে ফেলাতেই জগতের কল্যান ।
--কর্মফল--
মানুষের সাথে অবজ্ঞা সমালোচনা মুলক আচরন করলে, বিনিময়ে প্রকৃতি এর প্রতিশোধ নেন এবং তোমাকে অসুস্থ্য করেন।
--প্রভাব--
পাগলামি নাটকীয়তায় অন্যের মন প্রভাবিত হয়।
--কর্ম--
"মন"কে উপসনালয়ের মত পুত পবিত্র ফাকা রাখতে হয়, যা কিছু করার মনের বাইরে করতে হয়, আর না হলে পাব্লিক টয়লেটের করুন পরিনতি ভোগ করতে হবে।
--ক্ষুধা--
ক্ষুদার্থ বাঘের কাছে তোমার নীতি আদর্শ ফলাতে এসো না, বলা যায় না, তুমিও তার খাবারে পরিনত হয়ে যেতে পারো।
--পরনির্ভরশীলতা--
পুঁজিবাদী সমাজে উতপাদন বিপনন ব্যবস্থার বাইরে যারা আছেন, তাদের পরগাছা হয়ে বেচে থাকতে হয়।
--উর্বরতা--
তোমার নিজের নারী, তোমার নিজের জমি- যেখানে পাবে শুধু আনন্দ ফসল। পরের নারী, পরের জমি, যেখান থেকে কিছুই পাবেনা।


--শিকার--
যার মন ক্ষনে ভালো ক্ষনে খারাপ , সে মনের শিকারে পরিনত হয়েছে ।
--সম্মানিত--
এ জগত স্বর্গ হলেও, মানুষ- এ স্বর্গের শীর্ষ চূড়া ।
--মূল--
শিশুসুলোভ প্রেমানন্দ সব কিছু ।
Childsidh Happiness is everything.

--মানুষ ভজো--
মানুষ ছাড়া আমি মৃত, মানুষরে পেলে- এ নিষ্প্রান দেহে ফিরে পাই প্রান ।
--শ্রদ্ধা--
মানব অস্তিত্বে প্রতিটি অনুপরমানু স্বর্গীয় ঐশ্বর্য্য মন্ডিত ।
--কর্ম--
"আমি" মুক্তানন্দ, আমি কিছুই করিনা, যা করার "মন" করে, সে যে আমার বিশ্বস্ত কর্মী।
--মিলন--
যৌনতায় পুরুষ তুমি নিশ্চিহ্ন। নারী পুর্ন স্বর্গ।
--জয় অখন্ড--
খন্ডে খন্ডে অপুর্নতা। খন্ড অখন্ডে পরিপুর্নতা। খন্ড আর অখন্ড একে অপরের পরিপুরক, যেমন পাপড়ি আর ফুল- একে অপরের পরিপুরক।
--স্বরূপ--
“মন” ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া আক্রান্ত । কিন্তু আমি “মন” না , আমি মনের উর্ধে । না আমি কারো মুখাপেক্ষি , আর না কেউ আমার মুখাপেক্ষি । আমি স্বয়ং সম্পুর্ন স্বাধীন মুক্তানন্দ ।
--কর্ম--
মন তুমি শুন্যতারে পুর্ন করো , রঙের উৎসবে ।

--প্রতিফল--
অর্থহীন সস্তা চিন্তা ভাবনা, অর্থহীন সস্তা জীবন উপহার দেয়।
--আত্মনির্ভরশীলতা--
নিজেকে নিজে উপভোগ করার মানে হচ্ছে- তুমি শক্তিমান হয়ে উঠছো।
--মুল্যবোধ--
দুনিয়ার মূল্য- ভোগে। মনের মূল্য- আত্মভক্তিতে। মানুষের মুল্য- হাস্যরস আর প্রেমে। সমাজের মুল্য- সেবায়। "আমি"র মুল্য- মুক্তানন্দে।
--জীবন--
মানুষে মানুষে হাস্যরস সম্পর্ক ছাড়া এ জীবনের সব অর্থহীন ফালতু।
--ভোগ--
দুনিয়াটা চিংড়িমাছের মত সদা চঞ্চল। তুমি দুনিয়াকে ভোগ করো ভাল কথা, সাধু সাবধান! দুনিয়া যেন তোমাকে ভোগ করতে না পারে।


--মন--
প্রকৃত সাধকের মনটা একটা সিনেমার পর্দার মত সাদা মাটা শুন্য ফাকা শীতল- যার ভেতরে কিছু নেই, "কাম প্রেম চিন্তা ভাবনা অনুভব অনুভুতি জগত" যা কিছু ঘটার পর্দার ওপরে ঘটে চলেছে আর সে থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে । সাধারন মানুষের মনটা পানির মত- সে সবকিছুর সাথে নিজেকে গুলিয়ে ফেলে দূষিত করে ফেলছে।
--যুদ্ধ--
মনের অনুসারী হতে গিয়ে যে মনের চামচা হয়ে গেছে, তার মনে শুধু ঘৃনা আর ঘৃনা, তার মাঝে কোন প্রেম নেই। সে বিষাক্ত ক্যানসার জীবানু হয়ে গেছে, যাকে উপরে ফেললে- শান্তি আর শান্তি।
--সহজীয়া--
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গোলরক্ষক বুফোন ছিলেন- "শুন্য স্বরূপ সহজ", যা তাকে দান করেছিল ঈগলের ক্ষিপ্রতার সাথে সাথে পাহাড়ের অটলতা।
--অবাস্তব--
সমস্ত অস্তিত্ব এক সত্তাময়, এখানে "মন" বা "আমিত্ব" তো ছায়া মাত্র, যার কোন অস্তিত্ব নেই, ভিত্তি নেই। ছায়াকে যেমন গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই, "মন"ও ছায়ার মত গুরুত্বহীন ।
--স্বাধীনতা--
প্রকৃত নেতা এক মুক্ত প্রান। কে কি মনে করলো, কে কি বললো এসব নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে সে নিজের স্বাধীনতা নষ্ট করেনা। এমনকি স্বাধীনতার জন্য সে নিজের দেহ ত্যাগ করতেও প্রস্তুত।
--সমাজ পতি--
মানুষ চড়ানো চাট্রি খানি কথা না,যে মানুষ চড়াতে জানে সে অশিক্ষিত হলেও সমাজে সম্মানিত। কারন মানুষ "শিশু সুলোভ ড্যাম ক্যায়ারের ভক্ত আর ভদ্র লোকের জম"।
--শয়তান--
লোক দেখানো দান দক্ষিনা ধর্ম কর্ম যা করতেছো- সবই "আমি' রূপি শয়তানকে খুশি করার উদ্দেশ্যে, অথচ "আমিত্ব" ত্যাগ না করলে সব পন্ড শ্রম, সব বৃথা।


--অদম্য--
“কিছুই না” থেকে আমি আগত , তাই এমন কিছুই নাই , যা আমি পারি না ।

--দমে দমে--
এ দেহখানি যেন জীবন নামের বৃক্ষের একটা পাতা , প্রেমের হাওয়ায় দোলে আর দোলেরে ।
আহা কি আনন্দে ! মনটা আমার ওড়েরে… ।

--ভিত্তি--
জটিল বলতে কিছু নাই, সব সহজের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
--মন্ত্র--
all is well, all is well, সব ভালো সব ভালো। খাও দাও ফূর্তি কর, দুনিয়াটা মস্ত বড়।
--মরন সুখ--
বর্তমানে হারিয়ে গেলে অস্থায়ী সুখ পাবে। চীরকালের জন্য হারিয়ে গেলে স্থায়ী সুখ পাবে।


--মরন--
"চিন্তা" নামের ফাসি কাষ্টে- হা হুতাশ করতে করতে পাপী যায় মারা।
--পরিচালনা--
মাতাল প্রেমিকের হৃদয় তালুতে জগত ঘোরে।
--বোঝা--
এতো বড় রেলগাড়ি চলে যায়, অথচ রেল লাইন থেকে যায়- নীরব নিস্তব্ধ সহজ সরল শীতল।
--মানুষ--
মানুষ তো কোন প্রানী নয়, "মানুষ" বিরাট বিশাল ব্যাপার। এক একটা মানুষ, এক একটা দেশের মত- যেখানে আমি অবাক শিশুর মত ভ্রমন করি।


--ব্যাক্তিত্ব--
মানুষের ব্যাক্তিত্ব পাখির মতো উড়ে উড়ে কত শত হাজারো রূপে নিজেরে প্রকাশ করে । আমি শিশুর মত, এ মানব সমাজ- পাখির রাজ্যে হারিয়ে যাই, তাদের কিচির মিচির কন্ঠ শুনে আনন্দে হাত তালি দিয়ে উঠি ।


--বিরল--
মানুষ অনন্য , মানব অস্তিত্বের প্রতিটি অনু পরমানু স্বর্গীয় ।
--সম্মান--
প্রত্যেক পদে পদে কিংবা বিপদে মানুষই সবার আগে এগিয়ে আসে , তাই মানুষের সম্মান সবার ওপরে , সে যেই হোক ।
--টান--
মানুষ সে যেই হোক তার উপস্থিতি আমার ভালো লাগে , মানুষটা চলে গেলে কেমন একা একা বিষন্ন লাগে ।
--প্রতিফলন--
যে নিজেরে ভালো জানে , সে সবাইরে ভালো জানে , সবাই তারে ভালো জানে ।
নিজেরে যে নিজে বিরক্ত করে , সবাইরে সে বিরক্ত করে , সবাই তারে বিরক্ত করে ।
--রূপ--
মানুষ সে যেই হোক বড় মনোমুগদ্ধকর, মানুষরে দেখলেই আমার হৃদয়ে বয়ে যায়- আনন্দ হিল্লোল।

--গুরু--
অচেতন মস্তিষ্ক, চৈতন্যময় হৃদয়।


--উন্নতি--
প্রেমরসিক ব্যাক্তিত্বের অধিকারী যিনি, দ্রুত উন্নতি করেন তিনি।


--হিসাব--
হাসি মুখ = সুখি জীবন।


--হাল্কা--
রাগ ক্ষোভ মান অভিমান ভেতরে কিছুই রাখবেনা, সব বাহিরে প্রকাশ করে দিবে আর নিজেকে রাখবে হাল্কা।


--কৃতজ্ঞতাবোধ--
তোমার আজকের এ অবস্থার কারন মানুষ, মানুষ ছাড়া তুমি এত দূর আসতে পারতেনা, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষই তোমার পাশে থাকে, তাই মানুষের প্রতি হও কৃতজ্ঞ।


--ব্যার্থ--
তোমার কর্ম জীবনে যে বাধা স্বরূপ, তার জন্য ১ সেকেন্ডো নষ্ট করোনা, যে সময়টি তুমি তার জন্য ব্যয় করবে, সেই অল্প সময় যথেষ্ট তোমার ধ্বংসের জন্য।


--গুরুত্ব--
মানুষের দেহ মোমবাতি স্বরূপ, তার "মুখায়বের শিশুসুলোভ সরলতা" আলো স্বরূপ। সে আলোয় বিলিন হও।


--স্বরূপ--
তোমার ভেতর থেকে যে তোমার মুড নিয়ন্ত্রন করে- সেটিই তুমি, তুমিই পরম শক্তি।

--পাপ পুন্য--
মানুষ স্বয়ং পরম সত্তা । তারে মর্যাদা দিলে পুন্য হয় , তারে অবজ্ঞা অবহেলা করলে হয় পাপ ।

--মৈত্রি--
মানুষে মানুষে স্বর্গ মেলে , যত মানুষ তত আনন্দ ।


--টেনশন--
দুদিনের এ দুনিয়ায় জীবন নিয়ে খুব পেরেশান ? কি লাভ এত পেরেশান হয়ে ? যেখানে- “মানুষ নামের ফুল” সকালে ফুটে রাতেই ঝরে যায় ।
--মুক্তি--
শিশুরা “দেহজ্ঞান” শুন্য , খোলা মেলা ফাকা বলে- তারা মুক্ত ।


--দেহজ্ঞান--
দেহখানি তোমার দাও ছেড়ে দাও , নিজেকে উড়িয়ে দাও , যেমন ফাগুনের মাতাল হাওয়া নিজেকে বিলিয়ে দেয় ।
--মর্যাদা--
মানুষ স্বয়ং “প্রেমে”র প্রেমাসম্পদ , তার হাজারো কোটি বছরের সাধনার ফল- এই মানব অস্তিত্ব ।
--বিশালতা--
সামান্য বিষয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরছো? অথচ সারা বিশ্বজাহান তোমার জন্য, উপহার স্বরূপ সৃষ্টি করা হয়েছ ।
--ঈশ্বর--
সমস্ত সৃষ্টি জগত মানুষকে খুশি রাখতে নিত্য নুতন হাজারো কোটি রূপে সাঝছে! মানুষের তুলনা নেই, সে যেভাবেই আসুক সেভাবেই সেরা, কারন সেই যে ঈশ্বরের মূর্ত প্রকাশ ! তাই কখনো কোন অবস্থাতে মানুষকে অমর্যাদা করোনা, সে যেই হোক না কেন, সে স্বয়ং ঈশ্বর!
--স্বর্গ--
মানুষের সাথে হাস্য রস ফুর্তিতে মেতে থাকা মানে- স্বয়ং ঈশ্বরের সাথে ফুর্তিতে থাকা।



--প্রশংসা--
প্রেমই ঈশ্বর , ঈশ্বরই প্রেম । প্রেম তুমি এসেছো বলে নিষ্প্রান দেহে প্রান জেগেছে । তাই তুমিই জীবন । যেখানে তুমি সেখানে প্রানোচ্ছাস , সেখানে জীবনের উতসব , সেখানেই স্বর্গ ।
--নিবেদন--
ও প্রেম! তোমার নিত্য নতুন হাজারো কোটি রূপের ঝলকে- আমি আর আমি নেই, সেই কবেই হারিয়ে গেছি, এখন শুধু ফুরফুরে হাওয়া হয়ে তোমায় চুমু দিয়ে যাই- মাতাল আবেশে ।
--কর্মঠ--
যে তার কর্মরে ভালোবাসে , তারে সকলে ভালোবাসে ।


--মাত্রা জ্ঞান--
এক কে বহুমাত্রায় আবিষ্কার করবে, বহুকে একে না । শিশুর মতো শুধু একদিকে চলবে- এতে যে কাজটি করছো- সেটি ভালো লাগবে এবং কাজটির নান্দনিকতা উপভোগ করতে পারবে । বাঘ যখন হরিনকে টার্গেট করে , তখন সামনে মহিষ পরলেও সে কিন্তু সেদিকে নজর দেয় না , সে তার মূল লক্ষ থেকে বিচ্যুত হয় না । তুমি কাউকে ভালোবাসলে তাকে মনে প্রানে শুধু ভালোই বাসবে- কখনো কোন অবস্থাতেই তাকে অবজ্ঞা অবহেলা করবেনা । এমনটি করলে তুমিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে । কারো পক্ষ নিলে , এক বিন্দু পরিমানো তার বিপক্ষে আসবে না , তাতে যায় জান যাবে- এতে তুমিই উচ্চাসনে থাকবে । যদি কাউকে পরিত্যাগ করতেই হয়, তাহলে তাকে ১০০% পরিত্যাগ করবে, কোন অবস্থাতেই তাকে আর গ্রহন করবেনা । গাড়ী চালানোর সময় ১ সেকেন্ডের জন্যেও তোমার মন অন্য চিন্তায় বিক্ষিপ্ত হলে, অবধারিত ভাবে দুর্ঘটনায় পরবে , তাই প্রেমের সাথে গাড়ী চালাও এবং যাত্রাটি উপভোগ করো । ভোগ করলে পুর্ন বন্যতায় ভোগ করবে- সেখানে কোন সাধুত্ব দেখাতে যেওনা । কাউকে দিলে মন প্রান উজার করে দিবে , সেখানে কোন হিসেব করো না ।
--বিশালতা--
একদিন এক বেলা ভাত খাবার দুশ্চিন্তায় যে কাতর ছিল- আজ সে রাইস মিলের মালিক । নিজের ক্ষুদ্রতায় নিজেই আজ সে লজ্জিত ।


--সমন্বয়--
আমি শুন্য হলে তুমি পুর্ন , আমি কিছুই না হলে তুমি এ জগত , আমি অস্তিত্বহীন হলে তুমি অস্তিত্ব । তুমি ছাড়া আমি নাই , আমি ছাড়া তুমি নাই । মোরা জনম জনমের বান্ধব , শুন্যের মাঝারে মেলেছি মায়ার সংসার ।
--ইচ্ছাধারী--
সত্যি যদি তুমি শিশুর মতো খোলা মেলা ফাকা হও , তাহলে তুমি যাই করবে- তাই মায়াময় হবে , যা ইচ্ছা করবে- তাই বাস্তবায়িত হবে ।

--টান--
প্রেয়সী , সে যে দেবী ! নিত্য নতুন , মহামুল্য , মায়ার সাগর , মোলায়েম মখমল , মাতাল আকর্ষন ।
তারে দেখলে জ্ঞান হারাই । তারে স্পর্শ করলে- স্বর্গ স্পর্শ করি ।
--আরাধনা--
ও মানবেশ্বরী!
প্রত্যেক দমে দমে, তোমায় পেয়ে, এ হৃদয় সমুদ্র আনন্দ উত্তাল ।
--মানোসিকতা--
শিশুরা "মন শুন্য" অথচ প্রান প্রাচুর্যে পুর্ন!
--পরম দর্শন--
চীর শিশু, চীর সবুজ পরমেশ্বর- মানবের মুখায়বে সদা দিপ্তমান ।

--চীরনিদ্রা--
একদিন আমিও ঝরা ফুলের মতো ঝরে গেলে , মোমবাতির শেষ আলো দপ করে নিভে গেলে, জগতের কিইবা আসে যায় ?
--আত্মঘাতি--
যতই সস্তা বিষয়ে নিজেকে জড়াবে- ততই সস্তা হবে ।
--আত্মস্বরূপ--
আমি ফাগুনের হাওয়া এক অনন্ত অসীম । মানুষকে শিমুল তুলার মত উড়িয়ে নেয়াতেই আমার আনন্দ ।

--যৌনতা--
যৌনতা এক বিস্ময়কর খেলা । যৌনতা একটা যাদু , যে যাদুর স্পর্শে বাস্তবতা উবে যায় । রূপকথার রসের রাজ্যের উদয় ঘটে , যে রাজ্যে শুধু আনন্দ আর আনন্দ ।
--ত্যাগ আর ভোগ--
কোন কারন ছাড়াই নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে ভালোবাসবে, সে যেই হোক । সে চীর শিশু , সে স্বর্গীয় , সে প্রেমাসম্পদ । স্বার্থবাজ হবে- জগতের সাথে । এ জগত এক রসের ভান্ডার , অদম্য শিশুর মতো একে ভোগ করবে । এতে ফিরে পাবে ভোগ আর ত্যাগের মধ্যে ভারসাম্য ।

--মানেবশ্বরী--
মানুষ তো এক স্বর্গীয় ফুল । এ ফুল আমার প্রেম , এ ফুল আমার আনন্দ । তার বহুকোটি বহু বিচিত্র রঙে সৌরভে আজ আমি মাতাল বেহুস ।

--প্রেম কামনা--
কাম আর প্রেম একে অপরের পরিপুরক। প্রেম থেকে আকর্ষন, আকর্ষনই কাম, কাম থেকে আনন্দ।


--স্বর্গ নরক--
দেহ মন প্রান আত্মা জগত একে অপরের সাথে অবিচ্ছিন্ন, তাদের প্রেম এ মাটির পৃথিবীতে নিয়ে আসে স্বর্গ। 'চিন্তা ভাবনা' তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলে- ফলাফল নরক যন্ত্রনা।


--বাস্তবতা--
জগতের যত নীতিশাস্ত্র , ত্যাগী বচন , ধর্ম , বিজ্ঞান , প্রেম ও সেবা মূলক কর্মকান্ড দেখা যায়- তা মূলত মানুষের ভোগকে আরো নিরাপদ রাখার স্বার্থে বেশী বেশী করে প্রচারিত । মানুষ বহুরূপী , সে ত্যাগীর ছদ্মবেশ নিলে , তার “ভোগ্য বস্তু”টি সহজে পেয়ে যায় । অথচ ভোগীর বেশ নিলে বস্তুটি তার কপালে জোটে না ।
--সাধকের খাদ্য--
নিজ দেহের প্রানকে , যে মন ভোগ করে , তার বাহিরের কোন ভোগ্যবস্তুর দরকার পরে না । সে স্বয়ং মুক্তানন্দ ।
--শিশু মন--
শিশুরা শুন্য নামের বাহনে চড়ে থাকে বলে- তারা যা দেখে তাই স্বর্গীয় , যা করে তাই পরিপুর্ন ।



--হে পুরুষ--
তোমার জীবন সঙ্গিনী হচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী আর তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ সুপুরুষ । তোমার জীবন সঙ্গিনী আর জগতের সমস্ত যৌবনাবতী আসলে একজন । অতএব বহুগামীতা আসলে অর্থহীন ফালতু একটা কাজ। তুমি একই চাষ নিজের জমিতে না করে অন্যের জমিতে বর্গাচাষী হয়ে নির্বোধের পরিচয় দিচ্ছো।বহুজনকে বহুরূপে নয় , বরং একজনকে বহুরূপে উপভোগ করো , তবেই জীবন তোমার স্বর্গে পরিনত হবে ।
--শেষ বিদায়--

এক পলকের এ জীবন
বাচতে দাও প্রান ভরে ।

এ গানই , জীবনের শেষ গান
গাইতে দাও প্রান খুলে ।

এ ভালোবাসাই , শেষ ভালোবাসা
ভুল-ত্রুটি সব ভুলতে দাও ।

এ আনন্দ , শেষ আনন্দ
প্রান আনন্দে মাততে দাও ।

এ খেলা , জীবনের শেষ খেলা
সেরা খেলাটা খেলতে দাও ।

এ বিদায়, শেষ বিদায়
আরেকটু কাছে থাকতে দাও ।

এ উচ্ছাস , জীবনের শেষ উচ্ছাস
হাসতে হাসতে অশ্রু নামে ।

এ শোক , জীবনের শেষ শোক
কান্নার জোয়ারে সব ভাসে ।

এ দেখাই শেষ দেখা
যেমন আকাশ দেখে- পাখি উৎসব ।

এ কথাই শেষ কথা
কথার মায়ায় জড়িয়ে ধরি ।

এ ভ্রমন , আমাদের শেষ ভ্রমন
ফুরফুরে হাওয়ায় উড়ি আর উড়ি ।

এ কাজই জীবনের শেষ কাজ
পরতে পরতে ছড়াই সুন্দর ।

এ বিশ্বাসই জীবনের শেষ বিশ্বাস
বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই ।

এ ঘুমই জীবনের শেষ ঘুম
নিশ্চিহ্ন আমি আধারে মিলাই ।

এই তো চায়ে শেষ চুমুক
প্রান ভরে নেই অমৃত স্বাদ ।
একটু পরেই আসবে মরন , উড়বে আমার পরান পাখি
ভাঙবে খাচা সকল বাধ ।


--সরলতা--
যতই সহজ হবে- ততই শান্তি পাবে ।
Be simple- Get Happiness

-জীবন মন্ত্র--
ভালোবাসি- কোন আশা না করে
খাই- প্রান ভরে
কাজটা করি- ভালোবেসে
ঘুমাই- আরামে

--যৌনতা--
যৌনতা দেহ নির্ভর নয়, যৌনতা ব্যক্তিত্ব নির্ভর, যেখানে নারী ব্যক্তিত্বের সাথে পুরুষ ব্যক্তিত্বের মিলন ঘটে, যেখানে কমল ও কঠর চেতনা- একে ওপরকে উপভোগ করে।

--১০০%--

প্রেম বলো , কাম বলো , ভোগ বলো , ত্যাগ বলো , শক্তি বলো , বিশ্বাস বলো-
যেই আসে আমাতে- ১০০ তে ১০০ । কারন আমিই যে পরিপূর্নতা ।

--১ সেকেন্ডের নাই ভরসা—
এ জগত একটা শিশুপার্ক । এখানে সবাই শিশু , সবকিছু স্বর্গীয় মায়াচ্ছন্ন। শিশুর মতো- সহজ সরল আর হাস্যরস উচ্ছলতায় জগতটারে করো উপভোগ। ধ্যান ধারনা , ভান ভনিতা , চিন্তা ভাবনা সব ছুড়ে ফেলো । আনন্দ করো , আনন্দ বিলাও । যেকোন মুহুর্তে তোমার জীবনের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে । শিশুপার্কের গেট তোমার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে । যাদের জন্য তুমি নিজেকে নিজে বিরক্ত করছো- তারা কেউই তোমার জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবেনা । তাই মুক্ত পাখির মত উড়ে বেড়াও- ড্যামকেয়ার । যা কিছু করার এখনই করে নাও , যা কিছু দেখার এখনই দেখে নাও , যা কিছু বলার এখনই বলে দাও । পাবেনা সময় আর হয়তো , জীবনের গল্প- আছে বাকি অল্প ।

--অবুঝ মন--
গাড়ি নির্মাতাকে নিয়ে মাথা খাটিয়ে লাভ নাই, গাড়িটাকে নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানোতেই আনন্দ ।
ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে মাথা ঘামানো সৃষ্টির সাজে না , জীবনটা শিশুর মতো উপভোগ করে যেতে হয় ।
--অধীনস্ত--
জগতটা মনের অধীন আর মন আমার অধীন । কারন আমিই “মুক্তানন্দ” ।জগতকে ভোগ করছে- মন , মনকে ভোগ করছে- আনন্দ । আমিই আনন্দ । জগতকে নিয়ন্ত্রন করছে মন , মনকে নিয়ন্ত্রন করছে- আনন্দ । আমিই আনন্দ ।
--স্তর--
“জগত”, মনের চোখে পরার জন্য নিজেকে নিত্য নতুন সাজে সাজাচ্ছে । “মন”, আনন্দ পাবার জন্য আমাতে নিজেকে বিসর্জন দিচ্ছে ।কারন “আমিই” তার আনন্দ।
--ভোগী--
নিঃস্বার্থ প্রেম বলে আসলে কি কিছু আছে? মানুষ তার আদরের ধনের যত্ন নেয়- কারন সে ভালো থাকলে তার নয়ন জুড়াবে , তার নয়ন জুড়ালে তার মনও জুড়াবে ।সুতরাং এটিও ভোগবাদ , জগত জুড়ে ভোগেরই জয় জয়কার , তবে ভোগটা প্রেমের সাথে করলেই সুন্দর হয় ।
--অবস্তুবাদে ভোগ--
মন তুমি ভোগ্য বস্তুতে নয়, ভোগের আনন্দ সাগরে ডুবে যাও , হারিয়ে যাও । ভোগ্য বস্তুতো সেই আনন্দ সাগরে যাওয়ার বাহন মাত্র ।
--সরল মায়া--
চিন্তা ভাবনা , বোঝা বুঝির কিছু নাই । শিশু যেমন যা দেখে তাই তার ভালো লাগে , মায়া লাগে , সেভাবে তুমিও মায়ার সাথে জীবনটা উপভোগ করো ।

--মহাকর্ষন--
হৃদয় আমার এক মহাশুন্য আবেগে- ধারন করে এ পৃথিবী
এ মহাশুন্যের টানে পৃথিবী , পৃথিবীর টানে মহাশুন্য ।
আকাশের টানে পাখি
পাখির টানে আকাশ ।
পথের টানে পথিক
পথিকের টানে পথ ।
ফুলের টানে ভ্রমরা
ভ্রমরার টানে ফুল ।
জলের টানে তৃষনার্ত
তৃষানার্তের টানে জল ।
মাটির টানে বৃষ্টি
বৃষ্টির টানে মাটি ।
চুম্বকের টানে লোহা
লোহার টানে চুম্বক ।
শরীরের টানে মন
মনের টানে শরীর ।
প্রেমের টানে আনন্দ
আনন্দের টানে আনন্দ ।
সাগরের টানে নদী
নদীর টানে সাগর ।
সন্তানের টানে মা
মায়ের টানে সন্তান ।
জনগনের টানে নেতা
নেতার টানে জনগন ।
যে বিচ্ছিন্ন যে অভিমানী , সে ধ্বংস
কেউ কারো সাথে নয় বিচ্ছিন্ন , সবাই মিলে মিশে একাকার
এ যে মহাপ্রেমের এক রসের খেলা
এ “রাঙা-উৎসব” , প্রান ভরে করো উদযাপন ।
--বাস্তবতা--
এ জগত শিশুসুলোভ ঘোড়া আর তুমি তাতে মহাপরাক্রমশালী সাওয়ারী । তুমি প্রেমের সাথে জগতকে বশীভূত করতে পারলে- এ জগত তোমার ভক্ত হবে । বশীভূত করতে না পারলে- জগতের লাথি খেয়ে জীবন যাবে ।


--আমার ঘর--
ভেতর বলতে আমার কিছু নাই ।
এ বাহির আমার প্রান , এ বাহির আমার শিশু আনন্দ , এ বাহির আমার প্রেম , এ বাহির আমার স্বর্গ , এ বাহির আমার সব , এ বাহির আমার পরিপুর্নতা , এ বাহির- আমার চৈতন্যে ।




--দেখা--
এমনভাবে জগতকে দেখো- যেনো তুমি টেলিভিশন স্ক্রিনে বিখ্যাত কোন সিনেমা দেখছো ।

--শক্তিমান--
প্রেম শক্তি , কাম শক্তি কিংবা নেতৃত্ব শক্তি দিয়ে- তুমি যদি অপর প্রানের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারো- তাহলে সেই প্রানটি ক্ষুদ্র হলেও তোমার ওপর প্রভাব বিস্তার করবে এবং সে তোমাকে গ্রাস করে টিকে থাকতে চাইবে ।


--একমাত্রা--
হাস্যরস আর শিশুসুলোভ প্রেমাবেগ ছাড়া আর সব অর্থহীন ফালতু .

--বাস্তবতা--
এ জগত একটা শিশুপার্ক । এখানে সবাই শিশু । প্রত্যেকে কোন না কোন খেলনা নিয়ে খেলছে । এখানে সিরিয়াসের কিছু নাই, বোঝাপরারও কিছু নাই ।

--বাস্তবতা--
আকাশ যেমন পাখিদের নিয়ে খেলা করে, এ জগত নিয়ে তুমিও তেমনি হাস্যরসে উড়ে বেড়াও । মাটির মত জগতকে খামচে ধরতে যেওনা, জগতের সাথে সে সিরিয়াস বলেই জগতের পায়ের নিচে মাটির স্থান।





সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
৭০৯ বার পঠিত ৮০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের কিছু নাগরিক উভয় দেশের মানচিত্র মুছে দিতে আগ্রহী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:০১



ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশের কিছু নাগরিক উভয় দেশের মানচিত্র মুছে দিতে আগ্রহী। পাকিস্তান+ভারত= পাকিস্তান অথবা ভারত+পাকিস্তান=ভারত- এ ধরনের ইচ্ছা কিছু লোকের। তবে যে পক্ষের ইচ্ছাই পূরণ হোক তারা আমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সে দূরে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:১৫

সে দূরে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

সে দূরে, দূরে আছে সে
হঠাৎ ইচ্ছে হলো পেতে।
মনমতো কতকিছুই নজরে পড়ে
দিন যায়, যায় তারে ভেবে।
ছোঁয়া যায় না, ধরা যায় না
কেবল খেয়ালে আসে, অন্যমনা।
উৎসাহ না পেয়ে, পেয়ে, শেষ
একটু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা নিয়ে ছোট্ট দুটি কথা।

লিখেছেন অন্তর্জাল পরিব্রাজক, ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১১:৪৩


আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ হল। অনেক আলোচনা সমালোচনা চারিদিকে। থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু কথা আছে যেগুলো এড়ানো যায়না। আফটার অল,অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত ঠিক এদেশের আমজনতার ম্যাণ্ডেট... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯


(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)

মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১২ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬





হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×