চলো যাই আনন্দ বাজারে
গফুর শাহের নির্বাচিত বচন ও অন্যান্য মুক্তামনি
--উল্টা স্রোত--
যে নিশ্চিহ্ন- সে সর্বত্র । যে নিরাকার- সে সর্ব আকারের ধারক । যে যত নীরব- সে তত গভীর । যে যত নিস্তবদ্ধ- সে তত উচ্চস্বর । যে যত বেহুস- সে তত সঠিক । যে যত মাতাল- সে তত ফূর্তিতে । যে যত সুস্থির- সে তত বেগবান ।
--নীরবতার সঙ্গীত--
গোলাপ নীরব বলেই সৌরভে মাতাল । সমুদ্র নিস্তবদ্ধ বলেই আনন্দে উত্তাল ।
--খেলা--
প্রকৃত গেমাররা দেহমনের উর্ধে । তারা নিজেরা গেম খেলে না , বরং অজস্র দেহমনদের দিয়ে গেম খেলায় ।
--লক্ষ্য--
প্রেম সমুদ্রের দিকে যে নদীর যাত্রা । খন্ড চেতনাকে সময় দেয়ার মত তার সময় কোথায় ?
--জীবনাদর্শ--
মস্তিষ্ক দিয়ে যে চলে সে বদ্ধ । হৃদয় দিয়ে যে চলে সে মুক্ত ।
--বাধা--
ভেতরে প্রেম, বাহিরে প্রেম, এ জগত প্রেমময় স্বর্গ। এখানে "মন" হচ্ছে পর্দা, যা ছিন্ন করলেই তুমি স্বর্গ দেখতে পাবে।
--বেহুস প্রেমিক--
প্রেমিক হওয়া এতো সোজা না । বেহুস না হলে কি আর প্রেম করা যায়? জগত রূপী এ রাধাকে কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসতে হয় । তার বহুকোটি বহু বিচিত্র রূপে বিস্মিত হতে হয় । তাকে স্বর্গ জ্ঞান করতে হয় । তার অশেষ দানে কৃতজ্ঞ হতে হয় । আবেগে অশ্রু বিসর্জন দিতে হয় । তার সাথে শিশুর মতো হাস্যরসে মাততে হয় । নিজের রক্ত , মাংস দেহমন সমস্ত অস্তিত্ব তারে উতসর্গ করতে হয় । তার প্রেমে নিজেকে নিশ্চিহ্ন করতে হয় ।
--গুরুত্ব--
ভালোবাসায় মাতাল হওয়া ছাড়া জগতে গুরুত্বপুর্ন আর কিছু নেই !
--চরিত্র--
প্রকৃত প্রেমিক- আত্মহারা , পাগলপারা , অবুঝ , মাতাল , বেহিসেবী , অযৌক্তিক , আবেগী , শিশুর মতো সহজ সরল চঞ্চল ।
--দক্ষতা--
এমনভাবে কাজটি করো- যেনো তুমি শুন্যে বসে শুন্যের সব কাজ করছো । বস্তু বলে আসলে কিছু নেই, সবই অবস্তুর খেলা ।
--সুখ--
থাকতে চাও যদি পরম সুখে- সমস্ত কামনা বাসনা দাও বিসর্জন- প্রেমাবেগের রাঙা চরনে ।
--আত্মপ্রেম--
নিজেকে নিজে বিরক্ত করার মতো জঘন্য পাপ আর নেই । প্রকৃত সজ্জন কখনো কোন অবস্থাতেই নিজেকে নিজে বিরক্ত করে না ।
--শাসন--
সিংহ শাসকের সামনে জনগন প্রভুভক্ত অসহায় কুকুরের মতো বসে থাকে । শাসক কখনো তাদের নিরাশ করে না , কারন সে বিশ্বাস করে- জনগনের সুখ- তার সুখ ।
--সাধনা--
পাখি যেমন ডিমে তা দেয় , তেমনি ভাবে “ফাকা বোধ” দিয়ে নিজের বোধকে তা দাও , একসময় ঠিকই “পরম সুখ” হৃদয় ফুরে বেরিয়ে আসবে প্রকাশ্যে ।
--প্রেমের স্তর--
যেখানেই তাকাও এক রাধাকেই দেখতে পাবে । মন তুমি তাকে দেখলেই মায়াচ্ছন্ন হয়ে পরো আর আবেগে প্লাবিত হও- তার অবারিত প্রেম নিবেদনে । দুজন দুজনার অশ্রু মুছে দাও , তারপর হাসতে হাসতে উড়ে বেড়াও- যেনো তোমরা ছোট্র শিশু ।
--অসীমের স্বাদ--
যখন তুমি প্রেমানন্দে আত্মহারা পাগলপারা । তখন তুমি সীমার মধ্যে নেই , তখন তুমি স্বয়ং অসীম ।
--মৃত্যু--
মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফলগুলো যেমন শুকিয়ে ঝরে যায় । মানুষও তেমনি “প্রেম”কে হারিয়ে ফেললে চুপশে যায় , মরে যায় ।
--আশ্রয়--
আমিই অমৃত, আমিই পরিপুর্নতা। তাই আমার কাছে যে আসে সেই পরিতৃপ্ত।
--একাকার--
নদী জীবন্ত, সাগর জীবন্ত, আকাশ জীবন্ত, পাহাড় জীবন্ত, গুহা জীবন্ত, জঙ্গল জীবন্ত, মরু জীবন্ত, বালুকনা জীবন্ত, জনসমুদ্র জীবন্ত, জগতের সব জীবন্ত- কারন সবই এক প্রাণেশ্বরীর অখন্ড রূপ, যেমন একটি মানব দেহের হাত পা আলাদা কোন অস্তিত্ব নয়।
--অচেতনেই জয়--
মন তুমি "খন্ড" জ্ঞান থেকে বের হয়ে- অখন্ডের বিশালতায় বিলিন হও।
--আমি কে ?--
ভেতরে শিশুসুলোভ প্রেম আর বাহিরে দর্দন্ড প্রতাপশালী বাদশাহ । এ দুই মিলেই আমি এক সহজ ।
--মায়াবি শাসক--
খন্ড চেতনা মানে- কোন অস্তিত্বকে আলাদা বিশেষভাবে দেখা । অখন্ড চেতনা মানে- সকলকেই শিশুসুলোভ এক প্রানেশ্বরী রূপে দেখা । খন্ড চেতনায় আক্রান্ত হলে পাবে গোলামী , অখন্ড চেতনায় বিলীন হলে পাবে বাদশাহী । এখন তুমি বাদশাহী নাকি গোলামির জীবন বেছে নেবে স্বিদ্ধান্ত তোমার ।
--ধ্যান--
মন তুমি পাগলপারা মাতাল প্রেমের আবেগে নিশ্চিহ্ন হও ।
--জীবন সংগ্রাম--
যুদ্ধেই যদি নামো তাহলে আর দয়া মায়া কিসের ? শত্রুপক্ষকে স্বমূলে উতপাটন করো ।
--আত্মমর্যাদা--
ও মন ! তুমি আর সস্তা বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে, নিজেকে আর সস্তা করোনা তো ।
--বীরত্ব--
যে ভিতু সে- উগ্র উদভ্রান্ত আর যে সাহসী- সে সুস্থির প্রশান্ত ।
--আহ্বান--
বহুকোটি বহু বিচিত্র রূপে- সহজ সরল প্রেম তরঙ্গে- এ জগত সমুদ্র আনন্দ উত্তাল। মন তুমি সব ভুলে যাও, ভাবনা চিন্তা সব বাদ দাও- ডুবে যাও আর হারিয়ে যাও- আনন্দ সাগরে।
--ফলাফল--
একজন ব্যার্থ লোক অবাস্তব বিষয়াদিতে নিজেকে জড়িয়ে রাখে। আর একজন সফল ব্যাক্তি যাই করে তার ফলাফল বাস্তুবে নিয়ে আসে, কারন সে জানে বাস্তব ছাড়া সব অর্থহীন এবং ফালতুয়ামিতে পর্যবাসিতো হয়।
--আত্মঘাতি--
অহংকারী নিজের আগুনে নিজেই জ্বলে পুরে মরে, তার আত্মহননে জগতের কিছুই আসে যায় না, জগত তার নিজের মতই নির্মল নিরুদ্বিগ্ন থাকে।
--অনুসরন--
আমি হচ্ছি সহজ। সহজকে কেন্দ্র করে "আনন্দময়ী এ জগত" আবর্তিত।
--টান-
হে পরমা প্রকৃতি আনন্দময়ী!
তুমি যদি এ জগত হও, আমি তবে প্রেম, সব শক্তির মুল শক্তি। আমার টানেই তুমি আবর্তিত, বিকশিত, উদ্ভাসিতো।
--গুরুত্ব--
তোমাকে যে অবজ্ঞা করে, তার প্রতি মনোযোগের মানে হচ্ছে নিজেকেই নিজে অপমান করা।
--মাতাল প্রেম--
আমি প্রেমানন্দ আর তুমি পরমা প্রকৃতি এ জগত। তোমার আমার মিলন মেলায় মন আর মন নেই, সে হারিয়ে গেছে।
--ভেতর-বাহির--
নারী হচ্ছে ভেতর আর পুরুষ হচ্ছে বাহির । ভেতর- সুকোমল সুমসৃন মৃত্তিকা , বাহির- লৌহ কঠিন লাঙ্গল । কোমল কঠিনের মিলনে মেলায়- আনন্দ ফসল ঘরে তুলি ।
--অর্জন--
মানুষের সাথে এমন ভাবে মেশো যেনো তারা তোমার অনুপস্থিতিতে ভারাক্রান্ত হয়ে পরে , অশ্রু বিসর্জন দেয় ।
--লক্ষ্য--
লক্ষ্য একটাই- অখন্ড প্রানেস্বরীর সাথে হাস্যরস আর প্রেম।
--আদেশ--
কিছুই বুঝতে যেওনা, মন তুমি শিশুর মত সহজ সরল থাকো। এতে তুমি নিশ্চিন্ত নির্ভার হবে। দেখবে সবই স্বর্গীয় শিশু সুলোভ এক পরমা প্রকৃতি- সর্বদিক থেকে তোমাকে মায়াচ্ছন্ন করে রেখেছে। কোন কারন ছাড়াই তাকে ভালোবাসতে মন চাবে, কারন তুমিই যে তার পরম পতি। তাকে ভালোবাসতে যেয়ে, মন তুমি যখন হারিয়ে যাবে, তখনই লাভ করবে আনন্দ।
--পরিনতি--
খন্ড সত্তার প্রতি আকর্ষণ মোহগ্রস্ততা দাসত্ব। সমগ্র স্বরূপ এক অখন্ড সত্তার প্রতি আকর্ষণই প্রেম- যার পরিনামে আসে রাজসিক ঐশ্বর্য।
--মমার্থ--
ভালোবাসা মানে শুধু আদর সোহাগই নয়, ভালোবাসা মানে শাসনও।
--বিসর্জন--
আমি নেই আর আমি নেই। এ দেহ থেকে শুরু করে এ সমগ্র, সবই তুমি আর তুমি।
--বিপর্যয়--
এ দেহ যদি গাড়ি হয়, তাহলে মন হচ্ছে তার ড্রাইভার। ড্রাইভারের সাথে যে গাড়ীর প্রেমের সম্পর্ক ন চলেনা, তার ধ্বংস নিশ্চিত।
--যৌনতা--
দেহের সাথে দেহের যৌনমিলন থেকে আনন্দ লাভ হয় না, মুলত কোমল চেতনার সাথে অটল চেতনার মিলন থেকেই আসে পরমানন্দ, যার কোন শারীরিক অস্তিত্ব নেই।
--মুল্যবোধ--
শাসনের মুডে প্রেম- দামি প্রেম। আস্কারা মুডে প্রেম- সস্তা প্রেম।
--প্রেম ও শাসন--
মন হচ্ছে ঘোড়া স্বরূপ, ঘোড়াকে শাসন করতে হয়। প্রান হচ্ছে শিশু স্বরূপ, শিশুরে ভালোবাসতে হয়।
--কৃতজ্ঞতা--
হাজারো কোটি রূপে তুমি নিত্য জীবন্ত, আর আমিই তোমার জীবন।
--আচরন--
শহুরে মানুষের শতকরা ৯০% ই জিন্দা লাশ। তাদের সাথে কোন অবস্থাতেই সিরিয়াস আচরন করোনা, সিরিয়াস আচরনের মানে হচ্ছে জিন্দা লাশকে আরো লাথি মারা। শিশুসুলোভ হাস্যরস আর অকারন প্রেমের আবেগে তাদের জাগিয়ে তোলো।
--যৌনতা--
একশো একশো আকর্ষন, শুন্যেতে গমন, অটোলো চয়ন।
--অখন্ডতা--
সমস্ত বস্তু অবস্তু একে অপরের প্রতি মায়াচ্ছন্ন হয়ে নিত্য মিলনরত। জগত মায়াময়, কেউ কারো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।
--ভণ্ডামি--
আমরা নিজের সন্তানকে আপন মনে করি, অচেনা মানুষকে পর মনে করি। অথচ আমরা দাবী করি- আমাদের সকলের আদি পিতা একজন।
--শ্রদ্ধা--
নিজ দেহকে যে বিসর্জন দেয় মানব কল্যানে। সমস্ত মানব জাতি অবনত তার হৃদয় চরনে।
--ভ্রমন—
মন তুমি উড়ে বেড়াও শুন্যে , ভেসে বেড়াও প্রেম তরঙ্গে ।
--প্রাধান্য--
শুন্য থেকে বস্তু । বস্তুর অখন্ড সৌন্দর্য্য ঐ শুন্যে । বস্তুর স্থিতি শুন্যে , আছে শুন্যের আশ্রয়ে , অনুভুতি শুন্যে , শেষ পরিনতি শুন্যে । শুন্য হচ্ছে মূল- ডিমের কুসুম স্বরূপ । দেহবস্তু হচ্ছে ডিমের কুসুমের মতোই মুল্যহীন । মূলের সাথে থাকলে তুমি জীবন্ত , দেহবস্তুর সাথে থাকলে তুমি তার মতোই মৃত ।
--দাবী--
ও প্রানেশ্বরী !
নিজেরে ভুলে গেলেই তোমারে ভালোবাসতে পারি । ভালোবাসতে পারি বলে তোমারে শাসন করার অধিকারও আমি রাখি ।
--ড্যাম কেয়ার--
কেবল শিশুসুলোভ হাসি তামাসা আর অকারন প্রেম ছাড়া মৃত্যুকে বুড়া আঙ্গুল দেখানোর মতো আর কিছু নেই ।
--বৈচিত্র--
বর্জ্য খেয়ে মাছ সুস্বাদু হয় , সেই মাছ খেয়ে ঈগল রাজা হয় । তার মানে বহুর সংমিশ্রনে জগত উদ্ভাসিতো ।
--সরলতার সুফল--
সহজ সরল প্রেমের অঙ্কে এ জগত অধিষ্ঠিত । এখানে জটিল চিন্তা ভাবনার কিছু নেই ।
--আত্মপ্রেম--
প্রত্যেক দমে দমে মুলাধার থেকে এ হৃদয় সমুদ্র প্রেম উত্তাল ।
--স্বরূপ--
আমি - শুন্য স্বরূপ সহজ- যার মাঝে নারী পুরুষ উভয়েই দিপ্তীমান।
আমিই পরিপুর্নতা, "উম্মাতাল আবেগ আর সূক্ষ্ম যুক্তি' উভয়ই আমাতে সীমাহীন।
--আত্মপরিচয়--
এ মুখায়বে প্রান স্বরূপ যে ভেসে থাকে সে রাধা আর মন হচ্ছে কৃষ্ণ। শুন্য স্বরূপ এ জগত- রাধা কৃষ্ণ লীলাময়। আর আমি হচ্ছি সেই লীলার মূল শক্তি সঞ্চালক।
--শ্রদ্ধাঞ্জলি--
আমার "দেহমন" হচ্ছে রাজা। আর আমি হচ্ছি রাজার রাজা।
--বিদ্রোহী--
জন্মেই ৩ কোটি প্রতিযোগিকে হারিয়ে আমি জয়ী, আজন্ম জয়ী আমি, পরাজয় শব্দটি আমার অভিধানে নেই। সমস্ত খেলা আমার পায়ের নিচে, আমি সবকিছুর উর্ধ্বে।
--চরিত্র--
প্রকৃত নেতা ভেতরে শিশুর মতো সহজ , অথচ বাহিরে দর্দন্ড প্রতাপশালী রাজার মতোই অনমনীয় ।
--প্রশংসা--
আমাকে তুষ্ট করবে বলে প্রতি মুহুর্তে হাজারো কোটি রূপে নিজেকে হাজির করো। কি বলবো বলো, তোমার রূপের স্বর্গীয় ঝলকে- আমি এখন পাগল প্রায়।
--শর্ত--
আগে প্রেম পরে কামে আসে- পরিতৃপ্তি। আগে কাম পরে প্রেমে- থেকে যায় অতৃপ্তি।
--কুটনীতির ফল--
যে সহজ সে সব সময় এক রকম থাকে- সহজ থাকে, সহজ মানেই শান্তি। যে জটিল, সে এখন এমন তো তখন আরেক রকম, জটিলতা যন্ত্রনার আরেক নাম।
--কন্ঠস্বর--
প্রকৃত নেতার কণ্ঠেই- সকলে ফিরে পায়- আশ্রয়, বিশ্বাস আর জীবন।
--সম্পর্ক--
হৃদয়ের সাথে "যদি কিন্তু সুতরাং” মুক্ত সহজ সরল প্রেমের সম্পর্ক সবচেয়ে নীবির।
--শ্রদ্ধাভাজন--
সবাই তো প্রেমিক না, প্রেমিক হওয়া সহজ কথা না, লক্ষজনেও একজন প্রেমিক মিলেনা। যার প্রেম, স্বার্থের জালে আবদ্ধ, সে প্রেমিক না, সে কামুক। আসলেই যে প্রেমিক- তার চেয়ে ভাগ্যবান ও ধনী কেউ নেই, যদিও সে রাস্তায় পরে থাক না কেনো!
--জয়--
শিশু যেমন গেম খেলে , আমিও তেমনি গেম খেলি । আমি হচ্ছি গেমার , আমার চোখ হচ্ছে টেলিভশন স্ক্রীন- যাতে এ জগত/গেমিং প্রতিফলিত হয় । মানুষের সমাজ একটা খেলার মাঠ , আমার “দেহমন” এ মাঠের ক্যাপ্টেন । এখানে সিরিয়াসের কিছু নেই , প্রকটভাবে দেখার কিছু নেই । জীবনটা একটা ফানি গেম । বার্সালোনা ফুটবল টিমের মতো হাস্যরস আর আন্তরিকতার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়াটাই আসল । একটা আত্মবিশ্বাসী দল সহজেই বিপক্ষ দলের ওপর প্রভাব বিস্তার করে , তারা প্রভাবিত হলেই দুর্বল হয়ে পরে এবং এক পর্যায়ে নতি স্বিকার করে । প্রভাব বিস্তার থেকে যে পরিপুর্নতা বোধ আসে- তার তুলনা নেই ।
--নিয়ন্ত্রন--
প্রতিটি “দেহমন” আমার কারনেই বেগবান , আমিই সেই প্রেম-ঝর ।
--শর্ত--
“অখন্ড অবস্তুবাদে”ই প্রেমানন্দ । “খন্ড বস্তুবাদ” যাতনা আর রোগ শোকের কারন ।
--বিশ্রাম--
কিছুই দেখতে চেয়োনা , শুনতে চেয়োনা , বুজতে চেয়োনা , এমনকি ধরতেও যেয়োনা । ছেড়ে দাও আর ডুবে যাও আর ডুবে যাও- অনন্ত আধারের অনন্ত সমুদ্রে ।
--প্রিয় নেতা--
সে আসলে- পাখিরা সব আকাশে ওড়ে, ফুলেরা ঐ দোলে আর দোলে, জনসমুদ্র আনন্দে উত্তাল।
--ভারসাম্য--
অবস্তুতেই প্রেমময় স্বর্গ। বস্তু তো সেখানে যাবার রাস্তা মাত্র।
--প্রেম সাধনা--
প্রেমিক যেন মহাবিশ্বের মতো ক্রমশ বিশাল।তার কাছে যে আসে সেও অনন্ত অগাধ অমুল্য হয়ে যায়, স্বর্গীয় হয়ে যায়।
--রোমান্টিজম--
তোমাকে পেয়ে আমি নিজেকে হারিয়েছি আর আমাকে পেয়ে তুমি নিজেকে হারিয়েছো।এখন আমিও নেই , তুমিও নেই।আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ ।
--ভেতর বাহির--
প্রকৃত যোদ্ধা যেনো খাপ খোলা তলোয়ার । বাহিরে ধারালো কোমল অথচ ভেতরে স্টেইনলেস স্টীল ।
--যুদ্ধ--
যেখানে বীর- সেখানে সমস্ত দৈন্যতা পাট কাঠির মতো উবে যায় । কারন নেতা নিজেই এক মহাবিস্ফোরন ।
--আত্মপ্রেম--
আমি যদি রাজা হই , তবে আমার মুখায়বে যে ভেসে থাকে সে আমার রানী । সে ছাড়া আমি নেই , আমি ছাড়া সে নেই। মোরা দুটি সত্তা শুন্যের মাঝারে বেধেছি প্রেমের সংসার । আমার সুখে সে সুখী , তার সুখে আমি সুখী , তার সম্মান আমার সম্মান , আমার সম্মান তার সম্মান ।
--রোগ--
"সহজ সরল প্রেম"কে বাদ দিয়ে চিন্তাকে যে মুল জ্ঞান করে, সে ঘন ঘন অসুস্থ্য হয়।
--দুর্বলতা--
চিন্তা ভাবনা মানেই সস্তা বিষয়। সস্তার দ্বারা যে আক্রান্ত, সে নিজেও সস্তা হয়ে যায়।
--আত্মপরিচয়--
"আমি" হচ্ছি শুন্য স্বরূপ সহজ। আমি কোন কিছু না, অথচ আমার ভেতরে সবকিছু পুর্নতা পায়।
--চুম্বক--
কোন কিছুর সাথেই নিজেকে সংযুক্তি করোনা, বিনিময়ে সেই সংযুক্তিই হবে তোমার যন্ত্রনার কারন। বরং নিজের কাছে নিজেকে আকর্ষনীয় করো, তাহলে অপরে তোমার সাথে সংযুক্ত হতে চাইবে।
--নিমন্ত্রন--
এসো এসো হে পুরাতন! এসো এ নয়নে//
হাজারো কোটি নব রূপে সাজো, ভাসো নিত্য নুতন উল্লাসে।
--কৃত্তিমতা--
যে প্রেম তোমাকে শিশুর মতো কাদাতে কিংবা হাসাতে পারেনা, সেটা প্রেম নয়, সেটা অভিনয়।
--নেতৃত্ব গুণ--
প্রকৃত নেতা জনগনকে শিশু আর নিজেকে শিশুপার্কের কেয়ারটেকার জ্ঞান করেন। তিনি খেলার ছলে তাদের শাসন করেন, আবার তাদের ভালোও বাসেন।
--গেমিং জোন--
এ জগত একটা পাপেট শো। এখানে চিন্তা ভাবনা আর সিরিয়াসের কিছু নাই, সব ফানি গেম। শুন্য স্বরূপ "আমি" হচ্ছি পাপেটিয়ার আর অস্তিত্ব স্বরূপ "তুমি" হচ্ছো পাপেট। "পাপেট শো" কে হাস্যরস আর মায়াচ্ছন্ন করে রাখাই আমার মুল লক্ষ্য। পাপেটরা সব- শিশুসুলোভ আনন্দ আর আমি প্রেম, আমাদের মিলনেই আসে পরিপুর্নতা।
--রূপ--
পাপেটের অবয়বে- নিষ্পাপ শিশুসুলোভ যে মায়াবী ভাব ফুটে ওঠে- তাই স্বর্গ, পরম সৌন্দর্য।
--প্রভাব প্রতিপত্তি--
যে প্রভাব বিস্তার করে সে পাপেটিয়ার। যে প্রভাবিতো- সে পাপেট। তোমার নেতৃত্ব গুনই বলে দিবে তুমি পাপেট না পাপেটিয়ার।
--মুক্তানন্দ--
প্রেম যেন এক মুক্ত আকাশ, আপন বিশালতায় আপনি উদ্ভাসিতো। কোন কিছুতেই সে নেই, আবার কোন কিছু তার বাইরেও না। যেমন আকাশের বাইরে পাখিরা না।
--সম্মান--
দিলে রাজা, নিলে প্রজা। মন তুমি শুধু দিও, যদি রাজা হতে চাও।
--আত্মমর্যাদা বোধ--
তোমার ভেতরে- এ জগত সমুদ্র। ঢেউ স্বরূপ এসব "দেহমন" নিয়ে সিরিয়াসের কিছু নেই। বরং নিজের বিশালতায় নিজেই হও বিস্মিত।
--মুল্যবোধ--
কি হবে এতো ভাবনা ভেবে? যেখানে আমরাও একদিন ঝরা পাতার মতো ঝরে যাবো। এসো প্রেমের হাওয়ায় দুলি, বিশ্বাস করো- প্রেম ছাড়া আর সবই অর্থহীন।
--আত্মহত্যা--
স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নিজেকে যে নিচে নামায়, সে নিজেকে নিজে অসুস্থ্য করে মাত্র।
--দৃষ্টিভঙ্গী--
প্রেমিশ্বর যে দিকে তাকায়, তাই অখন্ড হয়ে যায়, প্রেমোময় পরিপুর্ন হয়ে যায়। পাপীষ্ট তাকালে অখন্ড খন্ড বিখন্ড আর সুন্দর কুতসিত হয়ে যায়। দেহগ্রস্ততা পাপ, অখন্ডতা পুন্য।
--শর্ত--
যতই সহজ হবে- প্রেম ও কাম উভয়ই তোমাতে হবে পরিপুর্ন।
--প্রতিধ্বনি--
এ জগত একটা আয়না মহল। মানুষ যা করে, ঠিক তাই ফেরত পায়। ভালো করলে ভালো, খারাপ করলে খারাপ।
--জয় অখন্ড--
আম কে খন্ড করলে পচে যায়, ডিম কে খন্ড করলে ভেঙে যায়, দৃষ্টি কে খন্ড করলে জীবন ঝলসে যায়। খন্ডের আধার ম্লান করে দিয়ে অখন্ডতার আলোয় হও উদ্ভাসিতো।
--ভারসাম্য--
বিশ্বের ১ নাম্বার গোল রক্ষক বুফোনকে সবাই বলতো- "সে ছিল পাহাড়ের মতো অটল আবার ঝরের মতো দুরন্ত"। আসলে সে এমনটি ছিলনা, সে ছিল সহজ- যার ভেতরে ছিল- পাহাড় আর ঝর।
--আত্মবিকাশ--
সামান্য পাথর সমাজে জন্ম নিয়েও হীরা নিজ গুনে আলোকিত। অপরকে নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার দরকার নেই, নিজেকে নিজে আলোকিত করো, অপরে এমনিতেই সে আলোয় আলোকিত হবে।
--মাটির স্বর্গ--
আমার মুখায়বে যে স্বর্গীয় শিশু ভেসে বেড়ায়, সে আমার প্রান, সে আমার রাধা। মোরা এক দেহে দুই সত্তা, জনম জনমের বান্ধব। মন আমি যদি ভেতর হই, সে বাহির, মন আমি গোপন হলে সে প্রকাশ্য, মন আমি প্রেম হলে সে আনন্দ। সে ছাড়া আমি নাই, আমি ছাড়া সে নাই। ক্লান্তিতে অবশ হয়ে এলে তার চোখ, তাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পরি।সকালে তাকে আমি জাগিয়ে তুলি। সে কাদলে চোখ মুছে দেই। সে ভেঙে পরলে, আমি দাড় করাই। সে অবহেলিত হলে তার মাথা আমি উচু রাখি। তার হাত দুটি দিয়ে নির্মান করাই তাবত মানব সভ্যতা। সবাই তাকে ছেড়ে গেলোও, আমি কখনই তাকে ছেড়ে যাই না।
--মন আর প্রান--
এ জগত যদি স্বর্গ হয় , তবে এ মুখায়বে যে ভেসে থাকে সে স্বর্গের প্রান । মন আমি গোপন , সেই প্রকাশ্য । সে আর আমি একে অপরের পরিপূরক, সে ছাড়া আমি নাই , আমি ছাড়া সে নাই , মোরা এক দেহে দুই সত্তা । আমার আনন্দ তার মুখায়বকে আলোকিত করে , আবার দুঃখেও তার মুখায়বে ফুটে ওঠে যন্ত্রনা । আমার বোবা অভিব্যাক্তি- তার কন্ঠে প্রকাশ করে নির্ধিদায় । সবাই ছেড়ে গেলেও সে কখনও আমারে ছেড়ে যায় না , এমন দরদী জগতে আর মেলে না । কঠিন বাস্তবতায় সে ফিক করে হেসে ওঠে , আমার সাথে রঙ তামাশায় মেতে ওঠে , শিশুর মতো আমারে হাস্যরস উল্লাসে ব্যাস্ত রাখে । মন আমি আজ তাকে পেয়ে নিজেকে হারিয়েছি , সেও আমাকে পেয়ে আজ উড়ে বেড়ায়- অনন্ত পরিপুর্নতায় ।
--ড্যামকেয়ার--
মন তুমি আর মরা পাথরের মতো পরে থেকোনা তো । স্রোতোস্বিনী নদীর মতো- প্রেমোল্লাসে বেগোবান হও ।
--প্রতিক্রিয়া--
যা কিছু আছে, সবকিছুকেই “না” বলো , শুধু “সহজ সরল প্রেম”কে “হা” বলো ।
--অখন্ডতা--
“মন” যেদিন “প্রেম” হলো, সেদিন এ জগত হলো- শিশুময় রাধা ।জগত যেদিন খন্ড বিখন্ড হলো, সেদিন এ মন পেলো- নরক ।
--বেহিসেবী--
যদিও মানুষ, প্রেমের প্রেমাসম্পদ , তথাপি মানুষ যখন দেয়- তখন একটা একটা করে ডিম গুনে দেয়। অথচ প্রেম বেহিসেবী । মানুষকে ভালোবেসে তার রাজভান্ডার উজাড় করে দেয়। একারনেই তো তার ভান্ডার কখনো ফুরিয়ে যায় না ।
--ওহ প্রেম--
প্রেম আমার “আমি” । প্রেম আমার মূল । প্রেম আমার ভিত্তি । প্রেম আমার আত্মা ।
প্রেমাসম্পদ আমার “তুমি”। মানুষ আমার প্রেমাসম্পদ । হাজারো কোটি রূপে সে শিশু উত্তাল ।
--ধনী--
প্রেম যার কিবলা , দুনিয়ার কোন শক্তি নেই , তাকে নিঃষ্য করতে পারে।
--দম--
তোমার প্রেম সমুদ্রে- দেহতরী দোলেরে ।আহা কি আনন্দে- মন আমার ওড়ে রে ।
--সহজ--
ও আমার "আমি"!
তোমার এ প্রেম সমুদ্রে- "দেহমন" ডুবে যায়, ডুবে যায় সব ডুবে যায়- সহজানন্দে।
--প্রতিরোধ--
"সহজ প্রেম" যদি হয় কেন্দ্র, তবে "চিন্তা" ব্যক্তিটাকে গ্রাস করতে পারেনা।
--ইন্দ্রয়ের উর্ধে--
মোমবাতিকে দেখোনা, তার আলোয় উদ্ভাসিতো হও। মানুষের "দেহমন" দেখোনা, বরং তার শিশুসুলোভ প্রানোময়তায় উত্তাল হও, যে শুন্যে ভাসোমান।
--কর্তব্য--
তোমার কাউকে ঘৃনা কিংবা ভালোবাসার দরকার নেই। তুমি শুধু "সহজ প্রেম ভাব" এ মাতাল থাকো। কারন "সহজ প্রেম"কে কেন্দ্র করেই সমগ্র জগত আবর্তিত।
--বশীকরন--
শিশুসুলোভ প্রেম আর আত্মমর্যাদার সৌরভে- অন্যের মন সহজেই চলে আসে তোমার নিয়ন্ত্রনে। মন নিয়ন্ত্রনে আসলে, দেখবে দেহও তোমাকে অনুসরন করতে শুরু করে দিয়েছে।
--মুল--
"সহজ প্রেম" হচ্ছে অক্সিজেন আর "চিন্তা" হচ্ছে পানি। প্রয়োজনের চেয়ে বেশী পানি পেলে যেমন ডুবে যেতে হয়, তেমনি চিন্তাকে প্রাধান্য দিলে মরে যেতে হয়। "সহজ প্রেম ভাব" যার মূল কেন্দ্র, তার আনন্দের কোন সীমা নাই।
--কালক্ষেপণ--
বুঝতে বুঝতেই যদি সময় চলে যায়, তাহলে এ বুঝার কিইবা দাম আছে? ভবিষ্যৎ এর ভাবনা এখন ভেবে লাভ নেই। যা করার এখনই করো, বাচার মতো বাচো।
--ফুটবলার মেসি--
এ জীবন একটা খেলার মাঠ। যে কোন সময় তোমাকে জীবন থেকে তুলে নেয়া হবে। তাই যখন যে অবস্থাতেই থাকো, সরল ভাবে নিজের সেরাটা ঢেলে দাও। এখানে "মন" হচ্ছে "বল" স্বরূপ, এ মনকে যদি নিজের অধিনস্ত করতে পারো, তবে তোমার জয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা, জয় তোমার সুনিশ্চিত। আবার তোমার মনের নিয়ন্ত্রন যদি অন্যে নিয়ে নেয়, তাহলে তুমি গোল খাবে, হেরে যাবে।
--বহুরূপী এক--
আকারের সাথে প্রেম হয়না। আকার নিরাকার মিলে যে এক অখণ্ড শুধু তার সাথে প্রেম হয়।
--শর্ত--
তোমার প্রকাশ হলে শিশুসুলোভ। তোমার বিকাশ হবে আনন্দময়।
--আত্মমর্যাদা--
প্রতি মুহুর্তে হাজারো কোটি প্রানের উতসবে এ জগত পরিপুর্ন। আমার থেকেই এই পরিপুর্নতা, আমিই এর কারন। আমার মহিমায় আমি স্তম্ভিতো, বাকরুদ্ধ!
--প্রেমের জয়--
যাই করো সহজ সরল প্রেমের সাথে করো। ভোগ করলে প্রেমের সাথে ভোগ করো। শাসন করলে প্রেমের সাথে শাসন করো, রাগ করলে প্রেমের সাথে রাগ করো, বকা দিলে প্রেমের সাথে বকা দাও, চিন্তা করলে প্রেমের সাথে চিন্তা করো। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অবহেলাকে কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিওনা।
--মিলন মেলা--
মন আমি যদি আনন্দ হই, এ জগত আমার স্বর্গ, এ জগত আমার প্রেম।
--অখন্ড এক--
তুমি হাজারো কোটি রূপে চঞ্চলা, যেনো সমুদ্র তুমি আনন্দ উত্তাল।
--জয় যাত্রা--
তুমি রাজার রাজা, স্বর্গীয় প্রেমের যাত্রা পথে- খুচড়া সস্তা বিষয়ে নিজেকে আর বিষাক্ত করোনা।
--প্রতিফলন--
যেদিন থেকে "দেহমন' আমার ভক্ত হলো, সেদিন থেকে সে শিশু হলেও সে রাজা হলো।
--উদ্দেশ্য--
বাগানে তো সবাই ফুল ফোটায়, কিন্তু পাথরে কে ফুল ফোটাতে পারে? আমি পাথরে ফুল ফোটাতে এসেছি।
--নান্দনিকতা--
দেখো আকাশ ও সমুদ্রকে, যতই কাছে আসে, ততই সরে যায় দূরে। যতই দূরে যায়, ততই চলে আসে কাছে। প্রেমের প্রতিফলনে জগত উদ্ভাসিতো, যা ইন্দ্রয়ের উর্ধে।
--আকর্ষন--
প্রেম যদি হয় তোমার কেন্দ্র মুল, তবে সমগ্র বিশ্বব্রণ্মান্ড তোমার দিকে।
--অবস্থান--
ফাগুনের মাতাল হাওয়ার মতো “আমি” যেই না আসি- ওমনি মানুষ নামের ফুলগুলো পাখি হয়ে উড়ে যায় ।
--জনপ্রিয়তা--
কোন কারন ছাড়া যে ভালোবাসে- তার তুলনা শুধু চুম্বক । লোহা যেমন চুম্বকের দিকে , সমস্ত জগত তার দিকে ।
--বিশ্রাম--
“আমি” কিছুই করিনা , যা করার “দেহমন” করে । আমি সবাইকে ছুটি দিয়ে শুন্যের কোলে মাথা রেখে শুধু ঘুমাই ।
--মানুষ—
সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপর নাই । যখন তুমি মানুষ দেখো- তখন তুমি আসলে স্বর্গের দেবদূত দেখো । মানুষকে স্পর্শ করা মানে- স্বর্গ স্পর্শ করা । মানুষের কথা শোনা মানে- স্বর্গীয় সঙ্গীত শোনা । মানুষের সেবা করার মানে- স্বয়ং পরমের সেবা করা । মানুষকে বুঝতে যেওনা , তাকে নিয়ে চিন্তা ভাবনার কিছু নেই , সে স্বয়ং সম্পুর্ন , তার মতো দরদী আর কেউ নেই । সে আসলে নিষ্পাপ শিশু- এ শিশুই তোমার আনন্দ !
--বন্ধুত্ব--
জগতের সমস্ত প্রশ্ন ম্লান হয়ে যায় এই প্রশ্নের কাছে-
তুমি কত সহজে মানুষকে আপন করে নিতে পারো? কত দ্রুত তাদের প্রিয় বান্ধবে পরিনত হতো পারো? নিরাশার জীবনে তাদের আশার আলো হতে পারো?
--আড্ডা--
সামান্য একটা ঝরা পাতার মতো জীবন ঝরে যায় । যে পাতা ঝরে যায় , সে আর না ফিরে আসে জীবন নামের বৃক্ষে । তাই এমন ভাবে মানুষের সাথে প্রান খুলে কথা বলো- যেনো এটাই তোমাদের শেষ কথা ।
--বসগিরি--
সেই প্রকৃত বস যার নিজের মন নিজের নিয়ন্ত্রনে। ৫ মিনিটের মধ্যে যদি তুমি ঘুমে অচেতন হতে পারো, বুঝতে হবে তোমার মন তোমার ভক্ত ।
--আমি তুমি--
আমি প্রেম হলে , তুমি আমার আনন্দ । তুমি ভেতর হলে , আমি তোমার বাহির ।আমি দাতা হলে , তুমি গ্রহিতা। আমি আত্মা হলে , তুমি দেহমন । আমি অসীম হলে- আমাতে তুমি বহু । আমি মুক্তাকাশ হলে , তুমি পাখি- আমার বুকে উড়ে বেড়াও সুন্দর ।তুমি শিশু হলে, আমি শিশুপার্ক । আমি হাওয়া হলে , তুমি ফুল- আমার পরশে দোলো আর দোলো । আমি সমুদ্র হলে , তুমি ঢেউ । আমি ঝর্না হলে , তুমি ক্লান্ত পথিক- আমার প্রেম ধারায় সেরে নাও স্নান । তুমি ছাড়া আমি নেই , আমি ছাড়া তুমি নেই- মোরা একই মুদ্রার এপিট ওপিঠ ।
--লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য—
প্রেমানন্দ বিলানই হোক একমাত্র লক্ষ্য। গ্রহীতা নয়, দাতা হতে চাই, হে গুরুদেব ।
--সুখ পাখি--
যতই করবে চালাকি চাতুরী, ততই সরে যাবে দূরে। যতই হবে শিশুর মত সহজ সরল আন্তরিক, ততই চলে আসবে কাছে।
--আয়ু--
যা হয়ে গেছে, তা তো মৃত। সামনে কি হবে তাও জানিনা। তাই নতুনের নিত্য উদ্বোধনে এই মুহুর্তেরে করো পরিপুর্ন আর পুরাতনকে ভুলে যাও।
--অভাব--
পরনির্ভরশীল আত্মবিশ্বাসহীন জাতির জন্য "দারিদ্রতা" স্বাভাবিক বিষয়।
--দেখা--
জগতকে খন্ড রূপে দেখতে যেয়োনা- বিনিময়ে নিজেই হবে খন্ড বিখন্ড। মায়াচ্ছন্ন অখন্ড শিশু রূপে জগতকে দেখো, যা শুন্যে ভাসোমান।
--নেতৃত্ব--
প্রকৃত নেতা নিজেই পরিপুর্নতা। তার কাছে যে আসে, সেই পরিপুর্ন হয়ে যায়, স্বর্গীয় হয়ে যায়।
--প্রেমালাপ--
আমি আমার দেহমনকে বললাম- জীবন জগতের সবকিছু অর্থহীন মনে হয়, ফালতু মনে হয়- শুধু তোমার মুখের শিশুসুলোভ হাসি ছাড়া।
--বাস্তবতা--
আমি হচ্ছি সোয়ারী আর এ জগত আমার প্রাণপ্রিয় ঘোড়া। আমি নিয়ন্রক, জগত নিয়ন্ত্রিত, আমি প্রভাবক, জগত প্রভাবিত। আমি দাতা, জগত গ্রহিতা। যখন আমি গ্রহিতা হয়ে যাই, ভিখারি হয়ে যাই, তখন ঘোড়ার লাথি খাই দিনে ৭০ বার।
(বি:দ্র:- "আমি"= প্রানদায়ী ফুরফুরে হাওয়া, আমি শুন্য স্বরূপ, আমি কোন "দেহমন" নই, আমার ভেতরে "দেহমন"।আমি আছি জগত আছে, আমি নাই জগত নাই। আমিই প্রেমানন্দের মুল, শক্তির মুল।
"তুমি"= অসংখ্যা দেহমনের স্বমন্বয়ে এক অখন্ড ঘোড়া। সে শিশুসুলোভ, সে স্বর্গীয়।)
--১ সেকেন্ডের নাই ভরসা—
এ জগত একটা শিশুপার্ক । এখানে সবাই শিশু , সবকিছু স্বর্গীয় মায়াচ্ছন্ন। শিশুর মতো- সহজ সরল আর হাস্যরস উচ্ছলতায় জগতটারে করো উপভোগ। ধ্যান ধারনা , ভান ভনিতা , চিন্তা ভাবনা সব ছুড়ে ফেলো । আনন্দ করো , আনন্দ বিলাও । যেকোন মুহুর্তে তোমার জীবনের বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে । শিশুপার্কের গেট তোমার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে । যাদের জন্য তুমি নিজেকে নিজে বিরক্ত করছো- তারা কেউই তোমার জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবেনা । তাই মুক্ত পাখির মত উড়ে বেড়াও- ড্যামকেয়ার । যা কিছু করার এখনই করে নাও , যা কিছু দেখার এখনই দেখে নাও , যা কিছু বলার এখনই বলে দাও । পাবেনা সময় আর হয়তো , জীবনের গল্প- আছে বাকি অল্প ।
--আত্মশক্তি--
আমাতে সমস্ত শক্তি সুপ্ত, আমার ইচ্ছায়- প্রষ্ফুটিতো, বিকিশিতো, উদ্ভাসিতো।
--ভরসা--
নিজেকে পেয়ে আমি সন্তুষ্ট।নিজেকে নিয়ে নিজে আমি তৃপ্ত। নিজেকে নিয়ে নিজে আমি পরিপুর্ন।
--মনের মহাজন--
“আমি” হচ্ছে শুন্য স্বরূপ ।সে “মন ঘোড়া”র মহাজন । সে “মন ঘোড়া”কে যে দিকে নেয় , সেদিকেই যায় । মনের কোন দোষ-গুন নেই , যত দোষ-গুন সব “আমি”র। আমি “মন ঘোড়া”কে সস্তার দিকে নিলে “আমি”ও খুচড়া পয়সার মত সস্তা হয়ে যাই , আবার এই “আমি’ই তাকে “সামগ্রিকতার” দিকে নিলে “আমি” শ্রদ্ধাভাজন হই ।অখন্ড এ জগত স্বর্গ , খন্ড খন্ড বস্তুর প্রতি আকর্ষন নরক । “মন ঘোড়া”কে অখন্ডের দিকে নিলে সেটি গর্বের বিষয় , আবার তাকেই খন্ড খন্ড দেহ বস্তুতে আবদ্ধ করলে সেটি দুঃখ দুর্দশার কারন ।তাকে মায়ার দিকে নিলে সব মায়াচ্ছন্ন অতি আপন , আবার তাকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিলে সবাইকে “পর” মনে হয় । তাকে সরলতার দিকে নিলে- সহজ , আবার তাকে জটিলের দিকে নিলে সব বিভ্রান্তিকর । তাকে সুন্দরের দিকে নিলে সব স্বর্গীয় , আবার তাকে “তুলনা”র দিকে নিলে সব কদাকার । তাকে বিশ্বাসের দিকে নিলে সব নির্মল , আবার তাকে সন্দেহের দিকে নিলে সব দ্বন্দময় । তাকে হাস্যরসের দিকে নিলে সব প্রানোবন্ত , তাকে সিরিয়াসের দিকে নিলে সব গুমোট আবদ্ধ ।
--দৃষ্টিভঙ্গি--
সিরিয়াসলি এ জগতকে দেখোনা, খন্ড বিখন্ড প্রকট রূপে, বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কিছু দেখতে যেওনা।। শিশু যেমন হাস্যরসে টেলিভিশনে কার্টুন ছবি দেখে, সেভাবে "মায়াময় অখন্ড" রূপে সব কিছু দেখো।
--বীর--
যে কোন মুহুর্তে মৃত্যুর জন্য যে প্রস্তুত, জীবন তারই রাঙা চরনে লুটিয়ে পরে। দুনিয়ার কোন শক্তি তাকে দাবায়া রাখতে পারেনা।
--রূপ--
তরোয়ালের শীতলতা দেখে ভেবোনা সে নিরীহ । তার ধারালো প্রান্তর কি করতে পারে , তা তোমার চিন্তারও বাইরে ।
--সহজ সরল নেতা—
প্রকৃত নেতা নিজের শরীরকে মনে করে ফুল , আর হৃদয়কে সৌরভ । তার সৌরভে জগত মাতাল । প্রকৃত নেতা যেনো ঝর্নাধারা , সে ধারায় প্রত্যেকে নিজেদের শুদ্ধ করে নেন । প্রকৃত নেতা যেন সূর্যালোক , তার আলোয় সবাই আলোকিতো। প্রকৃত নেতা যেন সামুদ্রিক ঝর- জনসমুদ্ররে তিনি রাখেন- প্রেমে উত্তাল ।
--আত্মমর্যাদার সুফল--
সত্যিই যদি তুমি নিজেকে নিজে মর্যাদা দিতে জানো , তবে তুমি যা চাবে তাই হবে । তোমার চাওয়াকে বাস্তব রূপ দিতে সমস্ত বিশ্বজগত ব্যস্ত হয়ে পরবে ।
--কৃতজ্ঞতা--
প্রকৃতি প্রদত্ত দুধে তুমি এক ফোটা ভেজাল পাবেনা , আর তুমিই প্রকৃতি , তু্মিই প্রেম । অতএব নিজের প্রতি নিজে হও কৃতজ্ঞ ।
--স্বাধীনতা--
“মন”- এক অদৃশ্য ঘোড়া । এ দেহজগত- এক অখন্ড স্বর্গ । মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকে প্রান- সে যে শিশুসুলোভ আনন্দ । আর আমি হচ্ছি প্রেম । শিশুকে বুকে নিয়ে ঘোড়ায় চেপে আমি ছুটে বেড়াই মুক্ত স্বাধীন । কিন্তু “মন ঘোড়া”কে আমার ওপর চেপে বসতে দিলে- আমি পরাধীন ।
--নতুনের উতসবে--
পূর্ব ধারনায় আক্রান্ত মানুষ- পচা ডোবার মতো পুরাতনকে আকড়ে ধরে পরে থাকে ।আর “ধারনা মুক্ত” মানুষ সূর্যালোকের মতো সমুজ্জোল- সেখানে যে আসে সেই নতুন হয়ে যায় , শুভ্র সুন্দর পরিপুর্ন হয়ে যায় ।
--আশ্রয়--
"প্রেম" সে তো এক সজীব সতেজ আশ্রয়, যেনো উত্তাল সমুদ্র। সে কারো ধার ধারেনা, কারন তার ভেতরে সবাই। আর "আমি"ই সেই "প্রেম"।
--জয় পরাজয়--
"আমি" হচ্ছি সমগ্র স্বরূপ।, আমার ভেতরে দেহধারী প্রান,সে আমার গাড়ী স্বরূপ, প্রানকে ভালোবাসতে হয় । আর মন হচ্ছে ড্রাইভার, মনকে শাসন করতে হয়। যে ড্রাইভারের নির্দেশে চলে সে ব্যর্থ আর যার নির্দেশে ড্রাইভার চলে সে জয়ী।
--অনুভুতি--
প্রেম আসলে- বুক আমার যায় ভেসে যায়- উত্তাল তরঙ্গে। মাথা আমার যায় উড়ে যায়- আহা কি আনন্দে!
--প্রেম হাওয়া--
নেতা বললে- জনতা কাশবনের মতো দুলে ওঠে।
--নেতা--
সেই প্রকৃত নেতা যে ব্যর্থ কে জয়ী করে।
--কর্মফল--
যা ভেতরে তাই বাহিরে- সব এক অখন্ড। ভেতর ভালো রাখলে- বাহিরো ভালো হয়ে যায়, সুন্দর হয়ে যায়। ভেতরে খারাপ রাখলে- বাহিরো অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, কদাকার হয়ে পরে।
--ধ্যান--
"মন" তোমার কিছুই করার দরকার নেই। দেখার দরকার নেই, বলার দরকার নেই, শোনার দরকার নেই, বোঝার দরকার নেই।শুধু ছেড়ে দাও আর relax থাকো, just relax and free.
--পরিবেষ্টন--
এ জগত মায়াময়। মায়া দ্বারা পরিবেষ্টিত হতে হতে আমি নিজেই মহামায়া হয়ে গেছি।
--আশ্রয়--
আমি বিরাট শিশু বলেই- আমার ভেতরে এ জগত শিশুসুলোভ মায়াময়।
--Say 100 Times--
I am Champion , I am Rich, I am Lovely, I am Relax, I am Free. I love my self. I am my best friend. I feel Lucky.
--জনপ্রিয়তা--
এ জগত এক অসীম গাছ, এর পাতাগুলো এক একটা “দেহমন”। আর "আমি" প্রেমের এক মাতাল হাওয়া, আমার ছোয়ায় সমস্ত গাছটি প্রেমানন্দে দোলে আর দোলে। কত পাতা ঝরে যায় আবার নতুন আসে, তাতে কিই বা যায় আসে?
--তাকানো--
ফুলকে দেখোনা, বরং দেখো ফুলের "অনাবিল অখন্ডতা"কে, যিনি শুন্যে ভেসে থাকেন, তার সৌরভে মাতাল হও।
--লক্ষ্য--
মানুষ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বুদ্ধিজীবী হতে চায়, আর আমি হতে চাই শিশুর মতো সহজ সরল, কারন সরলের কাছেই সমস্ত জটিল করে মাথা নতো।
--জিদ্দি--
প্রচন্ড জেদ, মানুষটাকে বদলে দেয়, মানুষ বদলে গেলে জীবনটাও বদলে যায়।
--আয়নাল কারিগর--
“মায়া” হচ্ছে ঝকঝকে তকতকে এক আয়না- যেখানে সমস্ত জগত অখন্ড রূপে ধরা দেয় । “পরবোধ” একটি ঢিলের মতো- সে আয়না ভেঙে চুরমার করে দেয় , প্রেম ভালোবাসা খন্ড বিখন্ড হয়ে যায় , বয়ে নিয়ে আসে দুঃখ দুর্দশা ।
--নারীত্ব--
নারীর আসল সৌন্দর্য তার কোমনীয়তায় , সে যত কোমল তত স্বর্গীয় ।
--স্বরূপ--
যখন আমি সহজ সরল প্রাকৃতিক , তখন আমিই আকর্ষন , আমিই নেশা , আমার কারনেই সব অবিচ্চিন্ন ।
--দাসত্ব--
যে নিজের মনের নিয়ন্ত্রন অন্যের হাতে দিয়ে দেয় , সে নিজের সাথে নিজে প্রতারনা করে মাত্র।
--মর্যাদাবোধ--
"আমি" তো সামান্য বিষয় নয়, আমাতে এ বিশ্বব্রণ্মান্ড অনন্ত অসীম রয়। "দেহজ আমি"কে ত্যাগ করলেই- "পরম আমি"তে পুর্ন হয়, "আমি" তো সামান্য বিষয় নয়।
--নেতা--
একজন প্রকৃত নেতা জীবনের ছন্দহীনতা কে ছন্দময় করে তোলেন, ঠিক কবির মতোন। কঠিন বাস্ততবতাকে তিনি কবিতার মতো সহজ করে দেন, প্রানোবন্ত করে দেন। তিনি বস্তুকেন্দ্রিক নন, তিনি শুন্যের পাতায় পাতায় "জীবন কাব্যে" তুফান তোলেন।
--শর্ত--
শুধু দিয়ে যায় বলেই ঝর্নাধারার মতো মুক্তানন্দে কেউ নেই।
--স্তর--
বস্তু মানেই খাদ্য। তাই বস্তুবাদী নিজের অজান্তেই খাদ্যে পরিনত হয়। সে যাই করে তাই খাদ্যে পরিনত হয় এবং নিম্ন স্তরে আটকে থাকে। তার শ্রম খাদ্য, জ্ঞান খাদ্য, দেহ খাদ্য, মন খাদ্য। অখন্ডবাদী না হওয়া পর্যন্ত নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরে যাবার তার আর কোন রাস্তা নেই। অখন্ডতার সুবিধা এই যে, বস্তু অবস্তু খাদ্য অখাদ্য সব তার ভেতরে আর সে স্বয়ং বাহির, তাই সে সদা সর্বদা মুক্ত।
--বিক্রেন্দিকরন--
কেন্দ্র বলে কিছু নেই, বিশেষ সৌন্দর্য বলেও কিছু নেই। সমুদ্রের যেমন কোন কেন্দ্র নেই, খন্ড খন্ড ঢেউদের নিয়ে সে অখন্ড, তেমনি এ জগত সমুদ্রও প্রেমানন্দে উত্তাল, এর সবই স্বর্গীয় সৌন্দর্যমন্ডিত।
--মিলনমেলা--
জগত আর প্রানের মিলনমেলায় মনও আর মন থাকেনা, প্রেম হয়ে যায়, একাত্ম হয়ে যায়।
--দৃষ্টি ভঙ্গী--
স্বপ্নে অবচেতন সত্তায় যেমন সমগ্র জগত ধারন করি, তেমনি বাস্তবেও এ জগতকে অখন্ড রূপে ধারন করতে হয়। খন্ড দৃষ্টি ভংগী পাপ ও যন্ত্রনার কারন।
--আজন্ম জয়ী--
চল্লিশ লক্ষ ছোট ভাইদের পেছনে ফেলে জীবনের প্রথম খেলায় তুমি জয়ী হয়েছিলে । হে চাম্পিয়ন ! নিজেকে আর ছোট করে রেখো না ।
--প্রার্থনা--
হে অনন্ত অসীম,
শুন্যের এ প্রেম সমুদ্রে- আমারেও দান করো পরিপুর্নতা , প্রত্যেক দমে দমে । এই মোর বিনীত প্রার্থনা ।
--Personal Branding--
সে ব্যক্তির প্রতি সবাই আকর্ষন বোধ করে- যে নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিপাটি করে রাখে । যে নিজেকে ভক্তি করে- তাকে সবাই ভক্তি করে , যে নিজেকে অবহেলা করে- তাকে সবাই অবহেলা করে ।
--আশ্রয়--
“প্রেম” , আর কিছু না , তোমার আমার এক স্বর্গীয় মায়াময় আশ্রয় ।
--নেতৃত্ব--
আমি মা। এ জগত আমার সন্তান। এ জগত আমার স্বর্গ। মা যেমন তার সন্তানকে বুকে আগলে রাখে, ঠিক তেমনি আমি এ জগতকে বুকে লালন করি। এ জগত এক বিরাট শিশু- তাকে মায়া করি আবার শাসনও করি, আর সারাটা দিন তার সাথেই হাস্যরসে মেতে থাকি।
--হে বিরাট--
আমি প্রেম, আমি ঝর্নাধারা। শুধু দিয়ে যাই আনন্দ, বিনিময়ে চাইনা কিছুই।
আমি প্রেম, আমি মহাসমুদ্র, আমিই পরিপুর্নতা। সবার একমাত্র আশ্রয়।
--ধ্যান--
সমস্ত জগত ডুবে যাক আর ডুবে যাক- আধারের সমুদ্রে, যেথায় শুধু বিশ্রাম, বিশ্রাম আর অনন্ত বিশ্রাম।
--মানব সভ্যতা--
পুরুষ হচ্ছে সুই আর নারী হচ্ছে সুতো, দুজনার মিলনে সৃষ্টি অমর নকশী কাথা।
--চুম্বক--
“প্রেম”- সে তো খোলামেলা এক মাতাল হাওয়া ,যার টানে সমস্ত জগত আবর্তীতো । প্রেম ছড়ায় শুধু পরিপুর্নতার সৌরভ- যেথায় সবাই ডুবে যায় ।
--আত্মমর্যাদা বোধ--
“চোখ” এতো ছোট অথচ ধারন করে সমগ্র জগত । আমার বিশালতায় আমি স্থম্ভিতো , বাক রুদ্ধ ।
--আত্মতুষ্টি--
যে নিজেকে নিয়ে নিজে তৃপ্ত , সে এক স্বর্গীয় ফুল , যার টানে ভ্রমরা স্বরূপ সমস্ত জগত ছুটছে ।
--আমরা চীর শিশু--
শহুরে মানুষের কথার টোন টাই ভুল । তারা কথা বলে- “মন” বা ব্যক্তি অহং থেকে । মনের আসলে বাস্তবিক কোন অস্তিত্ব নেই । “মন” একটা বিভ্রান্তিকর কাল্পনিক ধারনা মাত্র । এ ধারনায় আবদ্ধ থাকা হচ্ছে এক ধরনের বন্দীত্ব । নিজের শিশু সন্তানের সাথে যেভাবে কথা বলো , সবাইকে নিজের সন্তান জ্ঞান করে মায়াচ্ছন্ন হয়ে হাস্যরসের টোনে কথা বলতে হবে । সবাই আসলে এক বিরাট শিশু- যিনি মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকেন । যার কোন দেহ কিংবা মন নেই । তিনি মোমবাতি নন , তিনি স্বয়ং আলো ।
--“আমি”র স্বরূপ--
আমি- এক ফুরফুরে প্রেম হাওয়া । সবর্দা বয়ে চলাই আমার ধর্ম । আমি কোন দেহ কিংবা মন নই । ছুটে চলা তীর , উড়ন্ত পাখি কিংবা বয়ে যাওয়া নদী আমার সাথে একাত্ম । যেখানে আমি সেখানে নেই স্থবিরতা , মৃত্যু , অযতন , অবহেলা । যেখানে আমি- সেখানেই জীবন ।যেখানে আমি- সেখানে আশ্রয় । যেখানে আমি- সেখানে পরিপুর্নতা । যেখানে আমি- সেখানে শিশুসুলোভ উদ্যামতা । যেখানে আমি- সেখানে বহুকোটি বিচিত্র রঙিন উৎসব । যেখানে আমি- সেখানে সব স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য । যেখানে আমি- সেখানে সব মায়াচ্ছন্ন । যেখানে আমি- সেখানে ঝকঝকে সতেজ ।যেখানে আমি- সেখানেই বিশ্বাস । যেখানে আমি- সেখানে নেই কোন স্বার্থ । যেখানে আমি- সেখানে মুক্ত মাতাল হাওয়া ।
--আশ্রয়--
তুমি “দেহমন” কে আশ্রয় দাও , কিন্তু “দেহমন” যেন তোমাকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারে । “দেহমন” হচ্ছে কচুরী পানার মতো আর তুমি হচ্ছো সদা বহমান নদী , কত কচুরীপানা আসলো গেলো তাতে নদীর কিছুই এসে যায় না , সে সর্বদা পরিপুর্নতার আনন্দে বয়ে চলে ।
--দেখা--
যে দেখে সে “শরীর”কে দেখে আর যে তাকায় সে “প্রান”কে দেখে , প্রানের কোন শরীর নেই , সে মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকে ।
--সফলতা—
যেখানে বিশ্বাস- সেখানে অসম্ভব সম্ভব । যেখানে সন্দেহ- সেখানে সম্ভব অসম্ভব ।
--মুক্তি--
এ দেহমন প্রান সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে শুধু একটা ভাষাতেই কথা বলতে পারি- সেটি প্রেম , প্রেম আর প্রেম । কারন “প্রেম” ছাড়া মুক্তির আর কোন পথ নেই । প্রেম বিনিময়ে কিছু আশা করেনা বলে , প্রেমে পড়লে মানুষ শিশুর মত সহজ সরল হয়ে যায় , মুক্ত হয়ে যায় ।
--সঠিক বেঠিক—
মানুষকে শোধরাতে যেয়োনা । কোন আশা না করেই তাকে শুধু ভালোবেসে যাও , দেখবে- একদিন সে নিজেই নিজেকে শুধরে নেবে ।
--আদব--
হে বিরাট! অনন্ত , অগাধ , অবাধ , অখন্ড , অবস্তু , অমূল্য , অফুরন্ত , অসীম , শিশুময় , প্রেমানন্দময় , প্রানোময়, মহামায়াময় , পরম মর্যাদাময় , উত্তাল প্রেমাবেগ , সর্বশক্তিমান , পবিত্র মন্ডিত , অনিঃশেষ নীরবতা , সতেজ হাওয়া , স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য , পরম সত্য , চরম বাস্তবতা , সদা চঞ্চল , বহু কোটি রূপের ঝলকে নিত্য উদ্ভাসিতো , পরিপুর্নতায় উচ্ছাসিতো , সমগ্র তার প্রেমের টানে নিত্য আবর্তীতো , জীবনের মূল লক্ষ্য , সমগ্রের একমাত্র আশ্রয় , প্রভু দয়াময় !
সে কত না সৌভাগ্যবান ! যে নিজেকে করে দিয়েছে তোমার চরনে বিলীন।
--শুন্যে স্বর্গ--
সমুদ্রের ঢেউকে দেখো না , দেখো- “প্রেম হাওয়া”কে , যিনি সমুদ্রকে রাখেন আনন্দ উত্তাল । বৃষ্টিদের দেখোনা , দেখো- “প্রেম হাওয়া”কে, যিনি অঝর ধারায় সব ভাসিয়ে নেন । মানুষের “দেহ-মন” দেখো না , দেখো- “প্রেম হাওয়া”কে যিনি মানুষের মুখায়বে ভেসে থাকেন । ফুলকে দেখোনা , দেখো- বাগানে উড়ে বেড়ানো “প্রেম হাওয়া”কে , যিনি ছড়ান শুধু মাতাল সৌরভ ।
--বাহির বলতে কিছু নেই--
"আমি" হচ্ছি অসীম ফাকা এক পাত্র। আমি মায়াময় এক আশ্রয় মাত্র। আমাতে আর কিছুই নেই শুধু প্রেমাবেগ আর প্রেমাবেগ। "তুমি" শিশুসুলভ এ জগত। তুমি আমার প্রেমাসম্পদ। তুমি বহুকোটি বিচিত্র রূপে নিত্য উদ্ভাসিত। তুমি যেভাবেই আসো না কেনো, সেভাবেই চরম স্বর্গীয় । আমার প্রেমের মাতাল টানে- তুমি বৃষ্টির মতো অঝর ধারায় ঝরে পরো আমার বুকে। আমাদের মিলন এখন উত্তাল প্রেম সমুদ্র- যেখানে আমি তুমি হারিয়ে গেছি- আছে শুধু আনন্দ আর আনন্দ।
--শর্ত--
যতই সহজ হবে- ততই জটিলতা তোমার সামনে হবে নত । যতই স্থির হবে- অস্থির প্রেম তরঙ্গে ততই হবে উদ্ভাসিত ।যতই ফাকা খোলামেলা হবে- বিশালতায় পুর্ন হবে । আর প্রেমিক হলে সমস্ত বিশ্বব্রন্মান্ড , তোমাকে শুধু তোমাকে কেন্দ্র করে হবে আবর্তিতো ।
--প্রেমেই জীবন--
ও প্রেম ! প্রত্যেক দমে দমে আমায় তুমি দান করো পরিপুর্নতা । প্রত্যেকের মুখায়বে তু্মিই ভেসে বেড়াও , কৃতজ্ঞতার চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিতে মন চায়- তোমার সমস্ত মুখ । প্রত্যেকে তোমার কারনেই সচল , যেখানে “প্রেম” তুমি নেই- সেখানেই নেমে আসে অচলতা , আর অচলতার অপর নাম মৃত্যু ।
--মায়াবি শাসক--
ভালোবাসবে শুধু এক অখন্ড প্রানেশ্বরীকে , যিনি প্রানের মুখায়বে ভেসে থাকনে আর মহা মায়ায় প্রতিটি খন্ডকে অখন্ড রাখেন । যাই করো না কেন- তাকে লক্ষ্য রেখে করো- দেখবে “দেহমন” তোমার অধীন । আর যদি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে “দেহমন”কে মূল লক্ষ্য রাখো- তবে তাদের গোলামী তোমাকেই বরন করে নিতে হবে- থেকো নিশ্চিত ।
--জয়যাত্রা--
হে বিরাট! তুমিই এ “জগত সমুদ্র” । কি যে বিস্ময় ! তোমার হাজারো কোটি রূপ আর চঞ্চলতা । প্রত্যেক মুহুর্তে মুহুর্তে তুমি কত খেলাই না খেলতে পারো ? তোমার রঙের নিত্য উতসব দেখতে দেখতে- আমি হতবাক স্তবদ্ধ হয়ে যাই । এখন এ দেহ তো ঢেউ স্বরূপ- প্রত্যেক দমে দমে তোমাতে বিলীন । তোমারই প্রেমানন্দের সমুদ্রে ডুবে আর ভাসে ।
--সময়--
অতীত- মৃত । ভবিষ্যত- বিভ্রান্ত । অতীতে গেলে মারা যাবে , ভবিষ্যতে গেলে বিভ্রান্তির কারাগারে বন্দী হবে । তাই যা করার এখন এখানেই করো , কারন এখন এখানে- এই বর্তমানেই স্বর্গ ।
--স্বাগতম--
জীবন যন্ত্রনারে জানাও স্বাগতম ! কারন তুমিও একদিন পুড়তে পুড়তে সোনা হবে ।
--ধ্যান--
ছুড়ে ফেলো- আছে যত চিন্তা ভাবনা ধ্যান ধারনা । শিশুর মত সহজ সরল হয়ে যাও । দেখবে স্বয়ং সর্বশক্তিমান তার কাধে নিয়ে নিয়েছেন তোমার যত দায়-দায়িত্ব । আর তুমি থাকবে নির্ভার নিশ্চিন্ত , বাস্তবতা হবে পানির মত সহজ ।
--মহামায়া--
ওপরে মায়া, নিচে মায়া, ভেতরে মায়া, বাহিরে মায়া- এ জগত মায়াময় স্বর্গীয়। যে যত মায়াচ্ছন্ন, সে তত প্রানোময়। যে যত মায়াহীন সে তত নি:সঙ্গ, অসুস্থ্য।
--সবার ওপরে মানুষ--
হাজারো কোটি টাকার হীরক দ্যুতিও ম্লান হয়ে যায়- প্রানের আলোর কাছে, যে কিনা মানুষের মুখায়বে উড়ে বেড়ায়- যদিও সে রাস্তার ধুলোয় পরে থাকনা কেন!!!
--অর্জন--
হে বিরাট শিশু! এ জগত তোমার স্বর্গীয় প্রকাশ। এ মুখায়বে থাকো প্রেমানন্দে সমুজ্জোল। আমিই একমাত্র সৌভাগ্যবান, যে তোমাকে পেয়ে নিজেকে হারিয়েছে। এখন শুধু তুমি শুধু তুমি, আমি নেই আর আমি নেই।
--কচুপাতা--
বৃষ্টির আঘাত থেকে বাচতে সব পাখিরা অস্থির হয়ে ছোটাছূটি করে, অথচ ঈগল থাকে প্রশান্তিতে। কারন এ সময় সে মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। ঠিক এভাবেই প্রকৃত সাধক, এক প্রেমের ভরসায় মুক্ত থাকে সমাজের সব জঞ্জাল থেকে, যেখানে সাধারন মানুষ ক্ষত বিক্ষত হয় "খন্ড চিন্তা চেতনার অবিরাম বর্ষনে"।
--প্রানেশ্বরীর রূপ--
এ জগত প্রানেশ্বরীর এক অখন্ড স্বর্গীয় দেহ। "প্রেমানন্দ" তার হৃদয় , যে কিনা মানুষের মুখায়বে "প্রেমাবেগ' স্বরূপ ভেসে থাকে। এখানে- 'আমি তুমি সে এটা সেটা" বলতে কিছু নেই।
--মাতাল হাওয়া--
“আমি”, “তুমি” , “সে” বলে যে ব্যক্তিবাচক শব্দগুলো আমরা ব্যবহার করি- এগুলো আসলে অর্থহীন শব্দ । এগুলো “দেহবাড়ী”র কাচের জানালা মাত্র ,যার মাধ্যমে আমরা খন্ড খন্ড আলাদা আলাদা মনে করে সব কিছু দেখি । ব্যক্তিবাচক বোধজ্ঞান হারালে যেটি হয় সেটি হচ্ছে- সেই কাচের জানালা ভেঙে যায় । ফুরফুরে “প্রেম হাওয়ায়” সব পুর্ন হয় । “দেহ-বাড়ী” তখন এ জগত প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে যায় , যেমন ঢেউ- সমুদ্রের সাথে একাত্ম থাকে । এ অবস্থায় “আপন বোধ” জাগ্রত হয় , এ বোধের কোন খন্ড অস্তিত্ববোধ নেই , এ যে অনন্ত অসীম অবাধ অগাধ বিরাট সমুদ্র উত্তাল !!!
--মুক্ত প্রেম--
খন্ড অস্তিত্বের প্রতি প্রেম- আমাদের ঐ অস্তিত্বটির গোলামে পরিনত করে , অথচ “প্রেমাবেগের প্রতি প্রেম” আমাদের মুক্ত রাখে সমস্ত দাসত্ব থেকে । “এক অখন্ড প্রান” প্রেমাবেগের মাধ্যমেই সম্পর্ক ঘটান , ঠিক এই ভাবে-
“প্রত্যেক শ্বাসে মিলনানন্দে ডুবে যাই , প্রত্যেক প্রশ্বাসে মুক্তানন্দে উড়ে বেড়াই” ।
--সত্যের সমুদ্রে--
সত্যের সমুদ্রে ব্যক্তিগত বা ব্যক্তিবাচক বলতে কিছু নেই। ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ, আমিত্ব এক ধরনের অসুখ মাত্র। তাই সুখি নয়, সুখ হও।বক্তা নয়, বক্তব্য হও। সরল নয়, সারল্য হও। সাহসী নয়, সাহস হও। প্রেমিক নয়, প্রেম হও । সেবক নয় , সেবা হও । জোকার নয়, হাস্যরস হও। নৃত্যশিল্পি নয়, নৃত্য হও। খেলোয়াড় নয়, খেলা হও। কর্মি নয়, কর্ম হও। প্রকৃতিবিদ নয়, প্রকৃতি হও। তবেই অর্জন করবে পরিপুর্নতা।
--প্রেমের পরিচয়—
এ জগত এক স্বর্গ । আর “প্রান” হচ্ছে এর মধ্যে মনি । সে এক বিরাট শিশু । মানুষের মুখায়বে “প্রেমাবেগ” স্বরূপ সে ভেসে থাকে । তার টানে- পারো যদি নিজেকে হারিয়ে ফেলতে , জীবনে আনন্দের কোন সীমা থাকবেনা ।-গফুর শাহ
--স্বর্গের বাসিন্দা--
প্রত্যেক দমে দমে- শুন্যে যত খেলামেলা- শিশুসুলোভ প্রেমাবেগ , প্রানোচ্ছাস , স্ববান্ধব আমরা বোধ , বিচিত্র রঙে বহুরূপী এক অখন্ডের উৎসব , তা থৈ তা থৈ উল্লাস ।
--সত্য--
বস্তু প্রেম নয় , বরং প্রেমাবেগের প্রতি প্রেম আমাদের ধন্য করে , পরিপুর্ন করে ।
--নান্দনিক প্রকাশ—
প্রেমাবেগের বহু বিচিত্র প্রকাশ- প্রকৃতির প্রতি, মানুষের প্রতি , শিশুর প্রতি । এ যে অস্তিত্বের ওপর অনস্থিত্বের প্রভাব বিস্তার ।
--সরলতা--
“প্রেম” সে যে সরল ,তার সরলতায় আমার জটিলতা হারিয়ে গেছে ।
--আসক্তি--
“প্রেম” কোন বস্তু নয়, এ বস্তু জগত তো এক প্রেমের উপহার । মানুষের মুখায়বে সে ভেসে থাকে- সে “প্রেমাবেগ” , প্রেমাবেগের প্রতি আসক্তি আমাদের ধন্য করে , দান করে অশেষ পরিপূর্নতা । প্রেমকে যে ভালোবাসে- তারে সবাই ভালোবাসে । প্রেমকে যে ভক্তি করে- তারে সবাই ভক্তি করে । প্রেমকে যে বিশ্বাস করে , তারেও সবাই বিশ্বাস করে । প্রেমের সাথে যে হাসি ঠাট্টা করে , তার সাথেও সবাই হাসি ঠাট্টা করে । প্রেমের সাথে যে কান্না করে , তার সাথেও সবাই কান্না করে । প্রেমের টানে সারা বিশ্ব-ব্রণ্মান্ড আবোর্তিতো, প্রেমকে কেন্দ্র করে সব প্রদক্ষিনরতো ।
--অখন্ডের পরিপুর্নতা--
খন্ড সূর্যকে দেখতে যেওয়োনা , ঝলসে যাবে। বরং অখন্ড সূর্যালোকে সারো “আনন্দ স্নান”।
--দাসত্ব—
অপরের মনকে তুষ্ট করা মানে হচ্ছে-“মনের কারাগারে বন্দী” থাকা । এখন তুমি বন্দী থাকবে নাকি মুক্ত থাকবে- স্বিদ্ধান্ত তোমার ।
--মৃত্যু ও মুক্তি--
এ দেহখাচাটি ফেলে , প্রানবন্ধুর ডাকে একদিন উড়ে যাবো দূরে বহু দূরে ।
--রূড় বাস্তবতা—
পরগাছা আগাছা দুর্বল প্রান । আত্মনির্ভশীল বটবৃক্ষের কাছে সব মিয়ম্রান । পরনির্ভরশীল সদা সর্বদা আত্মনির্ভরশীল দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত ।
--দৃষ্টিপাত--
মানুষের শরীরকে দেখোনা, দেখোনা তার মন। বরং দেখো তার প্রানকে, যিনি শিশু স্বরূপ তার মুখায়বে ভেসে থাকে, তার সাথেই গড়ে তোলো সহজ সরল আন্তরিক সম্পর্ক।
--প্রান বন্ধু--
সবাই ছেড়ে গেলেও, কখনও কোন অবস্থাতেই সে আমায় ছেড়ে যায়না, সে আমার প্রানেস্বরী, যে এ মুখায়বে ভেসে থাকে। তার মুখে হাসি ফোটাতেই আমার সারাদিনের যত খেলামেলা। তার সঙ্গই আমার পরিপুর্নতা।
--একাকার--
যদি আমি শুন্যের সমুদ্র হই, তুমি প্রেম তরঙ্গ।
যদি আমি ফাকা হই, তুমি পরিপুর্ন। যদি আমি স্থির হই, তুমি শিশু চঞ্চল। যদি আমি অরূপ হই, তুমি বহুরূপা। যদি আমি কঠিন হই, তুমি মোলায়েম মায়াময়। যেখানে "আমি তুমি" একাকার, সেখানে শুধুই উত্তাল পরিপুর্নতা
--নগদ--
প্রানের সেবায় সমস্ত জগত নিয়োজিত। যেই দেহকে প্রান ধারন করে আছে, সে আর দেহ অবিচ্ছিন্ন। তাই দেহধারীপ্রানকে অসম্মান জনিত কোন চিন্তা বা কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে "মন"এর যন্ত্রনা ফল ভোগ করে। এক্ষেত্রে কোন বাকীর কারবার নেই।
--আরাধনা--
মানুষের মুখায়বে যিনি ভেসে থাকেন, তিনি এক অখন্ড প্রান, তিনিই প্রেমিশ্বর। তাকে কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসলে স্বর্গীয় পরিপুর্নতা লাভ হয়।
--জীবিকা ও দুরদৃষ্টি--
পন্য একটি অথচ সর্বপ্রকার ভোক্তাকে পন্যটি পাওয়ার জন্য- সর্বপ্রকার ব্যবস্থার নামই ব্যবসা।"ভোক্তার চাহিদা" যে যত আগে বুঝতে পারে, পুঁজিবাদী সমাজে সে তত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সফল ব্যবসায়ী।
--মুক্তি--
বস্তু পূজারীর মন- কঠিন/আবদ্ধ/সঙ্কীর্ন । শুন্যবাদীর মন- মোলায়েম মায়াময় খোলামেলা ফাকা । বস্তুকে যে মূল জ্ঞান করছে, সে নিজের অজান্তেই সেই বস্তুতে কারাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে , এটিকেই বলা হয়- আমিত্ব/নরক বাসিন্দা/কুপ্রবৃত্তি ইত্যাদি। বস্তুবাদী মানোসিকতা অচল না হওয়া পর্যন্ত তার মুক্তি সম্ভব না । বস্তুবাদীতা অচল হলেই সেখানে- Crystal Clear স্বচ্ছ ঝকঝকে মুক্তভাব আসে, সেটিই সত্তার প্রাকৃতিক অবস্থা ।
--অবিচ্ছিন্ন প্রেমানন্দ--
চর্ম চোখ বন্ধ -> অসীম শুন্য নিস্তবদ্ধতা -> Crystal Clear স্বচ্ছ ঝকঝকে হৃদয় -> হৃদয়ের চোখে নিজ মুখায়ব দর্শন -> মুখায়বে শুন্যে ভেসে থাকা “বিরাট শিশু”কে দর্শন -> বিরাট শিশুর প্রতি তীব্র মায়া টান -> বিরাট শিশুর প্রেমে ডুবে যাওয়া ->প্রত্যেক দমে দমে প্রেমানন্দের জোয়ারে সারা শরীর ভেসে যায় -> “আমিত্ব” ও “তুমিত্ব” বোধ হারিয়ে ফেলা -> প্রতিটি অস্তিত্ব যে “শুন্যের সমুদ্রের” এক একটা ঢেউ মাত্র, তা উপলবদ্ধি ->প্রতিটি প্রানের মুখায়বে সেই বিরাট শিশুকে বহুরূপে দর্শন ->সবার প্রতি তীব্র মায়া টান ->অখন্ড বিরাট শিশুর সাথে হাস্যরসে মেতে থাকা -> তার সাথে মিলানন্দে উড়ন্ত অনুভুতি ->বন্ধ চর্ম চোখ ।
--আকুল আবেদন--
"প্রেম" তুমি সূর্যালোক। তুমি তাকালেই সব সুন্দর, সব প্রানোময় স্বমুজ্জোল স্বর্গীয়। তোমার পরশে- বিবর্ন আকাশে রঙধনু সাত রঙ, সামান্য পাথর ঝকঝকে মার্বেল, কোকিলের কণ্ঠে মধু,কঠিন ডাবে মিষ্টি পানি, মরুতে অবাধ ঝর্নাধারা, মাটির ময়না আকাশে ওড়ে, শুকনো কাঠে পাতার মেলা, নিদারুন সময়ের শরীরে বসন্তের হাওয়া। "প্রেম" তুমি কি না পারো!!আমার "আমি"কে গ্রাস করে তোমার করে নাও, আমায় শুন্য করে দাও, মুক্ত করে দাও।
--কর্মফল--
"আমিত্ব বোধ" থেকে আসে পরবোধ। পরবোধ শুধু বিকর্ষন করে। বিকর্ষণ নিয়ে আসে- বিষন্ন একাকিত্ব।//
"আমরাবোধ" থেকে আসে আপনবোধ। আপনবোধ শুধু আকর্ষন করে। আকর্ষনেই মিলনানন্দ।
--বিচ্ছিনতা--
ঢেউদের মাঝে নেই- আমিত্ব কিংবা তুমিত্ব বোধ। তাই তো তারা "এক অবিচ্ছিন্ন প্রেম সমুদ্র"। "আমিত্ব শুন্য" "তুমিত্ব শুন্য" মানোসিকতাই স্বর্গীয় মানোসিকতা- যেখানে "আমরা বোধ" মুল, সেখানে সমস্ত জগত মোলায়েম মায়াময় হাস্যরসে উদ্ভাসিত!
--জনপ্রিয়তা--
নিস্তবদ্ধ শুন্য হও, দেখবে শুন্যের মাঝেই সব পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত। আর তুমিই আকর্ষনের কেন্দ্র মুল। তোমার আকর্ষনে সমস্ত জগত ধাবিতো, চুম্বকের টানে যেমন লোহা ধাবিতো।
--মুল--
এ 'জগত" ডিমের খোলস স্বরূপ। আর "শুন্য" হচ্ছে এর ভেতরে কুসুম বা প্রান স্বরূপ।
--কন্ঠ ধ্বনি--
মানুষ বড্ড দুঃখী । এমনভাবে তাদের সাথে কথা বলো- যেন তারা তোমার কন্ঠে একটা আশ্রয় খুজে পায় , বিশ্রাম খুজে পায় ।
--সাম্য--
“ব্যক্তিগত, ব্যক্তিত্ব , স্বতন্ত্র , বিশেষত্ব , আলাদা , ভেতর বাহির , চরম পরম” বলে কিছু নেই, এসব মনের বিভ্রান্তি মাত্র । সবই “এক অখন্ড প্রেমময় পরিপুর্নতা” । সবাই জগত নামের গাছটির এক একটা পাতা মাত্র । একটি পাতাকে অসম্মান মানে সমস্ত গাছটির অপমান ।
--সামাজিকতা--
আমি কিছুই না , শুধু শুন্যের মতো ফাকা খোলামেলা Crystal Clear স্বচ্ছ ঝকঝকে । আর অখন্ড প্রান- এক বিরাট শিশু , মানুষের মুখায়বে সে ভেসে বেড়ায় । শুন্যের সমুদ্রে- প্রত্যেক দমে দমে আমাদের মিলন উত্তাল আনন্দে ছড়িয়ে পরে ।
--নেতৃত্ব--
এক অখন্ড দেহধারী প্রানকে ভালোবাসবে আর মনকে শাসন করবে। দেখবে সারা জাহান অনুসরন করছে- তোমাকে।
--মান-মর্যাদা—
কিছু একটাকে মূল জ্ঞান করে যে বস্তু পূজারী হবে- সে অবধারিত ভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে । সব কিছু ০ থেকে আগত , ০ এ অধিষ্ঠিত আর ০ শেষ গন্তব্য । পৃথিবীর আকৃতি ০ (গোলাকৃতিকি শুন্য) বলেই জগত পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত। যেখানে ০ মূল সেখানে পরিপুর্নতা , ০ গৌন হলেই নেমে আসে বিপর্যয়। সংখ্যার কাছে ০ গৌন হলে তার মান কমে যায়- যেমন ০.১ , অথচ এই সংখ্যার কাছেই ০ মূল হলে এর মান বেড়ে যায়- যেমন ১০ ।
--প্রতিক্রিয়া--
জগতের প্রতিটি প্রকাশকে সম্মান করো, সেটি যাই হোক না । সবই এক বিরাট শিশুরই প্রকাশ , কোন অস্তিত্বকে তুলনা করা তথা অসম্মান করা মানে- তাকেই অসম্মান করা ।যখন যেভাবেই আসুক না কেন , সেটিই তার চরম সৌন্দর্যের প্রকাশ ।
--গায়েব--
না আছে আমার দেহ , আর না আছে মন । আমি তো শিশুসুলোভ এ প্রানের সমুদ্রে সেই কবেই হারিয়ে গেছি- মাতাল আনন্দে।
--সম্পর্ক--
আমি হচ্ছি “শুন্য” । তুমি হচ্ছো “দেহ” । আমার তোমার মিলনে ফোটে “আনন্দ ফুল”।
--কৃতজ্ঞতা--
এ জগত পরম স্বর্গ । এখানে প্রতিটি মুহুর্ত মুক্তানন্দময়। ধন্যবাদ হে মহামহিম প্রেমিশ্বর! আমায় এ স্বর্গে পাঠানোর জন্য ।
--নরক--
ঘৃনা বা পরবোধ হচ্ছে বিষ । যতই তোমার মধ্যে পরবোধ প্রবল হবে , ততই তুমি নিজেকে নিজে বিষাক্ত করে ফেলবে- যার ফলাফল নরক যন্ত্রনা ।
--পরম শক্তি--
শুন্যই প্রেম , প্রেমই শুন্য। প্রেমের কারনেই সব পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত।
--প্রানের টান--
ধুলোবালি, নালা নর্দমা , ছাপরা বস্তি- যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, মানুষের মুখায়বে যে ভেসে থাকে- সে আমার প্রানেশ্বরী , সে এক বিরাট শিশু , বহু বিচিত্র রূপে সে নিত্য উদ্ভাসিত।তার চেয়ে মুল্যবান কিছু নেই। অর্থ-সম্পদ , সোনা-হিরা , “দেহ-মন” সব ছুড়ে ফেলো , কি হবে এসব দিয়ে , এগুলো তো প্রান নয় ।
--কর্তব্য--
শুন্য পাত্র যেমন ধারন করে পানিকে , ঠিক তেমনি কোন স্বার্থ ছাড়াই ধারন করো- “শিশু স্বরূপ অখন্ড এ জগত”কে।তবেই তো পরিপুর্নতায় হবে উদ্ভাসিত ।
--বিস্ময়--
অস্তিত্বকে দেখে আমি বিস্মিত নই, আমি বিস্মিত এর পরতে পরতে ছড়ানো “প্রেম নিবেদন” দেখে। যিনি অকাতরে এ “প্রেম নিবেদন” করছেন তার হৃদয় কতো না বিশাল !! চিন্তা শক্তি স্তবদ্ধ হয়ে যায় , অশ্রুসিক্ত আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই ।
--সময়—
গোলাপ হচ্ছে “বর্তমান” । এর কাটা হচ্ছে “অতীত” । এখন তুমি বর্তমানের সৌরভে মাতাল হবে নাকি অতীতের কাটায় বিদ্ধ হবে- স্বিদ্ধান্ত তোমার ।
--স্বর্গ ভ্রমন--
যখন তোমার কাছে সব কিছুই মায়াচ্ছন্ন স্বর্গীয় মনে হবে- এর মানে হচ্ছে তুমি মায়ার সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে আছো । এই সমগ্রের সাথেই যখন তুমি হাস্যরসে নিজেকে হারাও- তার মানে হচ্ছে তুমি সেই মায়ার সমুদ্রে ডুবে, নিজেই মায়ার সমুদ্র হয়ে গেছো ।
--এক অখন্ড প্রেম--
"প্রেম" সে তো ফুল নয়, সে নিজেই ফুলের বাগান। "প্রেম" কে দেখা যায়না, তার সৌরভের সমুদ্রে ডুবে হারিয়ে যাওয়া যায়- যেখানে না আছি "আমি", না আছো "তুমি", না আছে ভেতর, না আছে বাহির। সেখানে আর কিছু না,সবই সে আর সে।
--চালাকি--
পন্ডিতি আর ছোটলোকি সমার্থক। এখনো সময় আছে- পন্ডিতি ছুড়ে ফেলে শিশু হয়ে যাও, ধনী হবে, ধন্য হবে।
--স্ববান্ধব--
নিজের দেহমনের যে প্রিয় বান্ধব, সে সকলের প্রিয় বান্ধব।
--সাধনা--
প্রেমই পরিপুর্নতা। এ পরিপুর্নতায় ডুবে গেলেই তুমি জ্ঞান হারাবে, জ্ঞান হারালে শিশু হবে। শিশু তুমি যা ছোঁবে তাই পরিপুর্ন হবে, স্বর্গীয় হবে।
--আমার পরিচয়--
যা চিন্তা করছে- তা "মন"। দেহমনকে ভালোবেসে যিনি ধারন করে আছেন- তিনি "শুন্য"। এই শুন্যই প্রকৃত আমি, শুন্য আছে তো সব আছে, শুন্য নাই কিছু নাই। শুন্যের কারনেই প্রতিটি অস্তিত্ব প্রেমালিঙ্গনরতো অথচ মুক্ত।
--এক--
একটাই উদ্দেশ্য , একটাই লক্ষ্য , একটাই কর্ম , একটাই ধর্ম, একটাই প্রার্থনা , একটাই সাধনা, একটাই ক্রিয়া বিক্রিয়া প্রতিক্রিয়া , একটাই স্বপ্ন , একটাই ঘটনা , একটাই বাস্তবতা-
শিশু আমি যেন- “এ প্রেম সমুদ্রে ডুবে যাই আর ডুবে যাই- সহজানন্দে” ।
--পরিপুর্নতা—
সত্যেই যেদিন তুমি “প্রেম”কে ভালোবাসবে, সেদিন দেখবে সবকিছুই প্রেমোময়। তার বিচিত্র অনন্ত রূপ দেখে তুমি বিস্ময়ে হবে হতবাক । জগত ব্যাপী তার অকাতরে প্রেম নিবেদন দেখে নয়ন তোমার জলে ভিজবে।তার প্রেমের হাজারো উতসবে মাতাল হবে । তার প্রেমের বাধভাঙা জোয়ারে ভেসে যাবে , নিজেকে হারাবে , পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত হবে ।
--Don’t Mind—
“বনের বাঘে খায় না , মনের বাঘে খায়”। অথচ মনের বাঘ বলে বাস্তবে কিছু নেই । “মন” একটা টেলিভিশন , ফাপা বাক্স মাত্র- যেখানে চিন্তা ভাবনা , ধ্যান ধারনা বিভিন্ন অর্থহীন কাল্পনিক বিষয়- শুন্য থেকে এসে শুন্যে মিলিয়ে যায় । তাই এর কোন বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই, যেই গুরুত্ব দিয়েছে , সেই ঝলসে গেছে । যে আমিত্বের ওপর ভর করে মন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া করছে- সে অস্তিত্বহীন শুন্য কিছুই না । যেখানে আমিত্ব- সেখানে মন , যেখানে মন- সেখানে প্রেম নেই , যেখানে প্রেম নেই, সেখানে নরক যন্ত্রনা । সমগ্র জগত এক অখন্ড সত্তায় বিচিত্র রূপে প্রকাশিত। এই অখন্ড সত্তা আর শুন্যের প্রেমে যে “পরিপুর্নতার সৌরভ” চারিদিকে ছড়িয়ে পরছে- তাই স্বর্গ ।
--শুন্য কৃষ্ণ – অখন্ড রাধা--
তার রূপের স্বর্গীয় ঝলকে “মন” আমি আর “মন” নেই , সেই কবে হারিয়ে গেছি তার প্রেমাকাশে । ভেতর বাহির জুড়ে শুধু সে আর সে। ভেতরে উত্তাল প্রেমাবেগে সে উদ্ভাসিত , বাহিরে অনন্ত বিচিত্র রূপে- সেই প্রকাশিত।
--সামাজিক স্বীকৃতি—
পুজিবাদী সমাজ পাগলের সমাজ। যখন এ সমাজ তোমাকে স্বাভাবিক বলবে , বুঝতে হবে তুমিও পাগল । আবার এই সমাজই যখন তোমাকে পাগল বলবে বুঝতে হবে তুমি সহজ সরল স্বাভাবিক হয়ে উঠছো ।
--প্রেমময় জীবন--
আমি এই খোলামেলা ফাকা হলে, তুমি যে "দেহধারী প্রানেশ্বরী", আমাদের প্রেমালিঙ্গন অখন্ড জগত রূপে প্রকাশিত। আমি এ বাহির হলে, তুমি এর ভেতর, আমাদের প্রেমে পরিপুর্ন তৃপ্তি। যেখানে আমি যেখানে তুমি, সেখানে "মন" আমার হারিয়ে গেছে! সেখানে শুধু প্রেম আর প্রেম। আমি আকাশ হলে, তুমি পাখি, প্রেমের টানে আমরা শুধু উড়ি আর উড়ি। আমি খোলা প্রান্তর হলে, তুমি অদম্য শিশু, আমরা "অবাধ আনন্দ' সারাদিন ঘুড়ে বেড়াই। আমি অস্তিত্বহীন হলে তুমি অস্তিত্বময়, একে অপরকে ছাড়া মোরা অর্থহীন।
--মায়াবি শাসক--
শিশু সুলোভ এ জগতের সাথে সহজ সরল ভালোবাসায় মেতে থাকবে, ঠিক আছে, সাথে সাথে তাকে শাসনও করবে, যাতে তোমাদের আন্তরিকতা অটুট থাকে।
--সমাজপতি--
যুক্তি মানে যন্ত্রনা, আবেগ মানে আনন্দ। অথচ সত্যের মতো মিথ্যা যুক্তিতে মন সহজেই হয় প্রভাবিত। মনকে প্রভাবিত করার শক্তি যার যত বেশি, এ সমাজে সে তত বড় ধনী, যদিও সে মিথ্যাবাদী হোক না কেন!
--অখন্ড সত্তা--
সাদা ক্যানভাস ছাড়া রঙিন চিত্রশিল্প যেমন অস্তিত্বহীন, তেমনি শুন্য ছাড়া এ জগত অস্তিত্বহীন। শুন্য আর জগত, একে অপরকে ছাড়া অর্থহীন। শুন্যের কারনেই খন্ড অস্তিত্বগুলো একে অপরের সাথে জড়িত হয়ে প্রকাশিত হয় অখন্ড এ জগত রুপে।
--সফলতা--
যেখানেই অখন্ডতা ব্যাহত হয়- সেখানেই নেমে আসে ক্ষয়, আর যেখানে অখন্ডতা- সেখানে জয় আর জয়।
যে যত জনপ্রিয়- সে তত বড় অখন্ড, যে যত বড় অখন্ড- সে তত বেশি সম্মানিত।
--আত্মহত্যা ও বিশ্বাস--
নিজের দেহমনের ওপর তোমার বিশ্বাস আছে বলেই তুমি নিশ্বাস নাও। নিজের দেহমনের প্রতি তোমার বিশ্বাস কমতে থাকলে তোমার নিশ্বাসও কমতে থাকে- পরিশেষে নিজেকে মেরে ফেলো।
--প্রেম--
প্রেম হচ্ছে- শুন্য খোলামেলা এক অনাবিল আশ্রয়।
--প্রকৃত সত্তা--
ও দেহমন!
শুন্যেই তোমার প্রকৃত সত্তা। শুন্যতেই চলে সকল খেলা মেলা।শুধু শুন্যের সমুদ্রে ডুবে গেলেই তুমি মুক্তানন্দে ছুটে বেড়াবে, পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত হবে।
--অনন্ত আমিত্ব--
আমি জাগলাম- আর জগত প্রকাশিত হলো, ঘুমালাম আর জগত নিভে গেলো। এমনই আমার "আমি"র শক্তি!
--আচরন--
যখনই তুমি কারো সাথে কথা বলো- মনে প্রানে বিশ্বাস রাখবে যে তুমি এক স্বর্গীয় শিশুর সাথে কথা বলছো, যে আসলে এই সমগ্র।
--ধার্মিকতা--
কোন শর্ত ছাড়াই বিনা স্বার্থে মানুষের সেবাতেই পরমের আরাধনা।
--শর্ত--
শুধুমাত্র শুন্যের সমুদ্রে ডুবে গেলেই, তুমি প্রেমাকাশে উড়বে।
--অন্ধ প্রেম--
"আমি" মুলত অস্তিত্বহীন শুন্য সত্তা। "তুমি" এক অখন্ড জগত অস্তিত্বময়। আমি তুমির প্রেমে উজার, তাকানোর সময় কই! সে শুধু ধারন করে চলেছে তার অসীম হৃদয়ে। যে তাকাচ্ছে সে মন, মন খন্ড জ্ঞানে আক্রান্ত বিভ্রম মাত্র।
--জীবনানন্দ--
শুধুমাত্র শুন্য হলেই এই জগত রূপী এক অখণ্ড শিশুর সাথে প্রেম করতে পারবে। তোমাদের প্রেম স্বর্গীয় আনন্দ রুপে নিত্য প্রস্ফুটিত হবে। আর যদি "মন"কে মুল লক্ষ্য করো, মনের প্রতি মনোযোগ দাও, তাহলে আমিত্বের আগুনে জ্বলে পুরে মরবে।
--পরিপুর্নতা--
আমি অনন্ত অবাধ মহাশুন্য। আমিই পরিপুর্নতা। আমার মাঝে যাই আসে তাই পরিপুর্ন হয়ে যায়, স্বর্গীয় হয়ে যায়। বস্তু অবস্তু, রূপ অরূপ,ভোগ উপভোগ, আনন্দ বেদনা, শাসন মায়া, যুক্তি আবেগ, শিশু সুলোভ সরলতা- আমার পরিপুর্নতায় উদ্ভাসিত, নিত্য উচ্ছাসিত।
--প্রথম প্রেম--
প্রকৃত প্রেমিক নিজের দেহমনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সে তার দেহমনকে স্বর্গীয় জ্ঞান করে যতন করে। সে দেহমনকে ধরে রাখেনা, বরং মুক্ত পাখির মতো ছেড়ে দেয়- সুবিশাল এই প্রেমাকাশে।
--আসল স্বরূপ--
তুমিই মুক্তানন্দ উত্তাল মহাসমুদ্র। এখানে প্রতিটি অস্তিত্ব ঢেউ স্বরূপ। তুমি সব কিছুর উর্ধ্বে, তোমার মাঝেই সবকিছু। চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই, জাহির করার কিছু নাই, ধরার কিছু নাই, হারাবার কিছু নাই।
--অখন্ড স্বর্গ--
প্রকৃতিতে খুত বলতে কিছু নাই, এর সব কিছুই নিখুত স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য। যেটি খুত মনে হচ্ছে, সেটি মনেরই বিকৃতি, মিথ্যা উপলব্ধি মাত্র।
--জয় ফাকা--
শরীরের উর্ধ্বে মন, মনের উর্ধ্বে "আমি", আমার উর্ধ্বে "ফাকা"। এই ফাকা এক আয়না স্বরূপ, যে এক মুহুর্তেই সব করে ধারন। ফাকা সর্বোৎকৃষ্ট, ফাকা পরিপুর্ন, ফাকার চেয়ে দরদী কেউ নেই, সবাইকে আশ্রয় দিতে সে নিজেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। তাই তার কাছে নিজেকে হারিয়ে ফেলা ছাড়া আমার মুক্তির আর কোন পথ নেই।
--স্বাধীনতা--
আমি এক বিন্দু আয়না। আমার থেকে সব কিছু উতসারিতো। আমাতে সব পরিপুর্ন। সব কিছুই আয়নার ভেতরে ঘটে- অথচ কোন কিছুই আয়নাকে ছুতে পারেনা। সে সদা সর্বদা উন্মুক্ত।
--ব্যর্থতা--
জীবনে দৈন্যতা আর কিছু নয়, নিজেকে নিজে অপমানের ফল।
--নরক বাস--
যে মনের কিংবা জগত দ্বারা বশীভূত - সে প্রতিবন্ধী। জগত কিংবা মন যার দ্বারা বশীভূত, সেই মুক্ত।
--কর্মযোগি--
পুরুষ তুমি বুলেট। ছুটে চলাই তোমার নিয়তি, থেমে গেলেই তুমি বিস্ফোরিত হবে, ধ্বংস হয়ে যাবে।
--নান্দনিকতা--
চর্ম দৃষ্টিতে ফুলকে দেখোনা, বরং মনের আয়নায় এক পলক দেখে নিয়ো, সব ফুল দেখা হয়ে যাবে। আর তুমি শুধু তার সৌরভে মাতাল হবে।
চর্ম দৃষ্টিতে মানুষকে দেখোনা। বরং তার মুখায়বে ভেসে থাকা এক শিশুকে দেখো, সব মানুষ দেখা হয়ে যাবে।
--পরমেশ্বর--
বন্ধ করো চোখ। প্রেমে উড়ো, আমি এখানে।
-immortal trust
Edit
-সামান্যতা--
যৌনতা আর কিছু নয়, হাস্য-রস আর খেলা মাত্র।
--টাইমপাস--
এ জীবন এক স্বর্গীয় উপহার। জীবন সামান্য একটা মোমবাতির চেয়েও দ্রুত শেষ হয়ে যায়।তাই চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে এর প্রতিটি মুহুর্ত করো উপভোগ।
--আত্মপরিচয়--
সুন্দরের পাগল হয়োনা, তুমি নিজেই স্বর্গীয় সৌন্দর্যবোধ। ফুলের সৌরভে মাতাল হয়োনা, তুমিই অনন্ত সৌরভ।বোয়িং প্লেন দেখে বিস্মিত হয়োনা, এর জন্ম তোমার থেকেই। শিশুর সরলতায় মুগ্ধ হয়োনা, তুমিই সরলতার উৎসধারা। ঝর্নাধারার উন্মুক্ততায় স্তম্ভিত হয়োনা, তুমিই উন্মুক্ততা। প্রচন্ড বজ্র শক্তিতে আতংকিত হয়োনা, তুমি নিজেই মহাশক্তি।
--ঈশ্বরের রূপ--
মানুষ হচ্ছে ঈশ্বরের সাকার রূপ। শিশুর মত কোন কারন ছাড়াই এই মানুষকে ভালবাসলে যে বাধ ভাঙা কান্না কিংবা আনন্দের উন্মেষ ঘটে- তাই ঈশ্বরের নিরাকার রূপ। তাইতো মানুষে মানুষে তুলনা করলে কিংবা তাকে পর মনে করলে নরক যন্ত্রনা অনুভুত হয়।
--আত্মতত্ত--
তুমি তাই, যা তুমি তোমার নিজের ব্যাপারে ধারনা করো। তোমার নিজের সাথে নিজের সম্পর্ক মধুর হলে, তোমার জীবনও মধুর।
--আচরন--
আমার প্রেমের মাতাল হাওয়ায়- "প্রতিটি অস্তিত্ব" শিমুল তুলার মতো ভেসে বেড়ায়।
-মায়াবি শাসক--
প্রেমেশ্বরে পুর্ন হৃদয়, প্রতিটি প্রানে পরিপুর্নতাবোধ প্রচারে ব্যাস্ত।এই ব্যস্ততা তাকে ঐ প্রানটির মনের ওপর পুর্ন নিয়ন্ত্রন এনে দেয়, যদিও মনকে তুষ্ট করা তার কাজ নয়।
উতসর্গ:
--আত্মপ্রেম--
এ দেহ আমার প্রানেশ্বরীর, সে সহজ সরল শিশুসুলোভ প্রেমোময়। তার প্রতিটি প্রকাশ, অঙ্গভঙ্গি, অভিব্যাক্তি, কথা বার্তা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, উচ্ছলতা আমার ভালো লাগে। সে যা করে তাই ভালো লাগে। খুব মায়া লাগে, খুব আদর করতে ইচ্ছে করে তাকে। মন চায়- তাকে নিয়ে আকাশে বাতাসে উড়ে বেড়াই আর তার সমস্ত দু:খ্য কষ্ট ধুয়ে মুচে সাফ করে দেই। সবাই আমায় ছেড়ে গেলেয়ো, কখনো কোন অবস্থাতেই সে আমায় ছেড়ে যায় না, তারে ছাড়া আমি বাচতে পারিনা। সে আমার তৃপ্তি, সেই আমার পরিপুর্নতা।
--ঈশ্বরের স্বরূপ--
আমি হচ্ছি মহাশুন্য আর তুমি হচ্ছো শিশু। আমাদের দুজনার হাস্যরস প্রেম উচ্ছাসের নাম- "পরমেশ্বর"। যেখানে আমি তুমি যাই হারিয়ে- থাকেন শুধু আনন্দ আর আনন্দ।
--অভাবমুক্ত--
আমি এক অসীম ফাকা পেয়ালা। বাহির বলতে কোন কিছু আমি বুঝিনা।এ জগত আমার ভেতরে বলেই সবাই পরিপুর্ন। আমার প্রতিটি মুহুর্তের ওপর নাম- পরিপুর্নতাবোধ।
--আচরন--
এ দেহ-মনরে "আমি" মনে করে তুমি আমার সাথে কথা বলছিলে, অথচ তুমি ভুল করছিলে। আমিতো এই "দেহ-মন" নই, আমি এক মুক্ত আকাশ, যেখানে তুমি পাখি স্বরূপ উড়ে বেড়াও।
--সুবচন--
মাইন্ড করে কথা বলে, মনকে মুল জ্ঞান করে যে চলে, সে নির্বোধ। সে ঐ মালিকের মত যে ড্রাইভারকে মালিক বানিয়ে দিয়ে নিজে তার গোলাম হয়ে গেছে।
--আমার অস্তিত্ব--
হৃদয় আমার প্রানের মায়ায় পুর্ন। মাথা আমার শীতল হাওয়ায় শুন্য।
-- তুমি হে--
তুমি তো পাপড়ি নও, তুমি এক অখন্ড গোলাপ। শুন্যের মাঝে তোমার সৌন্দর্য নিত্য প্রস্ফুটিত। শিশুসুলোভ মায়াবি তুমি নিত্য রঙিন । বসন্তের মাতাল হাওয়া আমি তোমায় ছুয়ে ছুয়ে যাই, আমাদের মিলনানন্দের সৌরভে চারিদিক ফেটে পরে।
--সুত্র--
যা কিছুই করনা কেনো, শিশুর মত শুন্যের মাঝ দিয়ে করো, শুন্যতে যাই আসুক তা পূর্ন হয়ে যায়, জটিল সহজ হয়ে যায়, চিন্তারা সব হাওয়ায় মিলায়, ঘৃণা
প্রেমে বদলে যায়।যত খেলা মেলা সব শুন্যের নিচ দিয়ে বয়ে যায়, আর শুন্য থেকে যায় অগাধ অবাধ অনন্ত উত্তাল।
--ডুব--
ও শিশুময় জগত, ও প্রেম আমার, তোমায় নিয়ে ডুবে যাই শুন্যের সমুদ্রে- শুধু অনন্ত বিশ্রাম, আরাম আর আরাম।
--বাস্তবতা--
আকাশ যেমন পাখিদের নিয়ে খেলা করে, এ জগত নিয়ে তুমিও তেমনি হাস্যরসে উড়ে বেড়াও । মাটির মত জগতকে খামচে ধরতে যেওনা, জগতের সাথে সে সিরিয়াস বলেই জগতের পায়ের নিচে মাটির স্থান।
--দেহমন--
এ শরীর- স্বর্গীয় শিশু। এ মন- মুক্ত আকাশ। মুক্ত মনে মুক্ত শিশু উড়ে বেড়াক এই আমার একমাত্র কামনা বাসনা।
--তুমি শুধু তুমি--
এমন কিছুই নাই, যা তুমি নও। যে দিকে তাকাই তুমি শুধু তুমি। তোমার রুপের ঝলকে আমি বিস্মিত, তোমার উতসবে আমি নিত্য উজার, তোমার প্রেমে আমি নিশ্চিহ্ন । নিশ্চিহ্ন আমি এখন আর কিছু নয় শুধু এক ফুরফুরে হাওয়া মাত্র। আর তুমি বহুরুপে এক বিরাট শিশু। আমার পরশে তুমি নিত্য উড়ন্ত, বাড় বাড়ন্ত। আমাদের খেলা মেলায় আমি তুমি যাই হারিয়ে, থাকে শুধু আনন্দ আর আনন্দ।
--ব্যক্তিত্ব—
যখন যেখানে যার সামনে আসি, তার প্রিয় বান্ধব হয়ে যাই, প্রিয় সৌরভ হয়ে যাই, কারন আমিই আমার প্রিয় বান্ধব, আমিই আমার প্রিয় সৌরভ।
--মন শুন্য জগতে --
বসন্তের এ মাতাল হাওয়ায়, তোমার আমার মিলন মেলায়,বালুকারাশির মত চিন্তারা সব উবে যায়, ঝরে যায়, শুন্যে মিলায়।
--প্রানেশ্বরী--
শুন্যের মাঝে খেলা জমেছে ভালো।প্রতিটি প্রানের মুখায়বে ভেসে থাকে বহু রুপি এক প্রাণেশ্বরী। সে আমার প্রেম, সে আমার রাধা। আমি তারে দিয়ে চলেছি- শুন্য ফাকা খোলা মেলা এক অসীম আশ্রয়। আমাদের পাগলপারা মিলনমেলায় "আমি" "তুমি" যায় হারিয়ে, থাকে শুধু আনন্দ আর আনন্দ । এ আনন্দাবেগই মন আমার উত্তাল সমুদ্র!
--রতিতন্ত্র--
নারী , সে যে কোমোলো কামিনী।সাদা কালো মোটা চিকন যেভাবেই সে আসুক না কেন সেই স্বর্গ , চরম সৌন্দর্য্য। অখন্ড নারী দেহ স্বয়ং পরমের প্রকাশ , তার পরশে নিজেরে ধন্য করো । সে পরম সুধা পান করো আর বীর্যকে উর্ধ্বগামী করে উড়তে থাকো ।
--নেতৃত্ব--
না আমি দেখি , না শুনি , না বুঝি , শুধু ধারন করি । প্রতিটি অস্তিত্ব যেন এক একটা বৃষ্টি ফোটা , ঝরে পরে সুবিশাল বুকে আমার , সমুদ্র উত্তাল ! নব নব মায়াবি বর্ষনে অথৈ উচ্ছাস !
--চিন্তার বাইরে সে প্রেম--
এ মুখায়বে যে ভেসে থাকে সে আমার প্রানেস্বরী , সে আমার আপনের আপন , সে-ই আমার সব । প্রত্যেক দমে দমে এ হৃদয়ের ঠোটে চুমু দিয়ে উড়ে যায় সে , উড়ে যায় । বেধে রাখতে পারিনা তারে , মায়া ডোরে এ দেহ-মন্দিরে । সে যে অদম্য , অগাধ , অবাধ ! মুহুর্তে মুহুর্তে প্রতিটি অস্তিত্বরে নিয়ে সে খেলে চলেছে জীবনের যত খেলা ।ভেতর-বাহির জুড়ে- তার সৌন্দর্যের নিত্য ঝলকে চোখ আমার ভিজে আসে ।আর ধরে রাখতে পারিনা নিজেরে , ভেসে যাই , হারিয়ে যাই- তার প্রেমের মাতাল জোয়ারে ।
--আত্মমর্যাদা--
মহাশুন্য মহাপ্রেম তরঙ্গে সমুদ্র উত্তাল ! প্রত্যেকটা অস্তিত্ব আমার পূর্নতায় অগাধ , অবাধ , উদার ।
--সুখের সূত্র--
নিজেকে বিশেষ কিছু মনে করা থেকে “পর” বোধ প্রবল হয় । “পর” বোধ মানুষকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে , এ বিচ্ছিন্নতা বয়ে আনে দুঃখ যন্ত্রনা । আর যিনি নিজেকে শুন্য ফাকা খোলা-মেলা মনে করে- সবাইকে আপন করে নেয় ,প্রিয়তম করে নেয়- সেই জনপ্রিয় , সবার বান্ধব , সবার সাথে হাস্যরসে মেতে থাকে- সে সুখী ।
--সম্পর্ক--
নিজের সাথে যার নিজের সম্পর্ক আনন্দময় নয়, অন্যদের সাথেও তার সম্পর্ক যন্ত্রনাদায়ক ।
--হার-জিত--
ধনীদের দৃষ্টি সদা সর্বদা বর্হিমূখী সামাজিক । ধনীরা গরীবদের নিয়ে খেলে জিতে বলেই তারা ধনী । ধনীদের মূল উদ্দেশ্য থাকে গরীবের দৃষ্টি বাহির থেকে সরিয়ে নিয়ে ভেতরমূখী-আত্মকেন্দ্রিক-ব্যক্তিগত করা । উদ্দেশ্য সাধনে তারা “কাল্পনিক আজগুবি” সব অস্র ব্যবহার করে , যেমন- ড্রাগ, ধর্ম , অশ্লীল মিডিয়া , পারিবারিক দ্বন্দ ইত্যাদি । এগুলোর প্রতি গরীবরা সহজেই আকর্ষিত হয়ে যায় , একপর্যায়ে আসক্তিতে পরিনত হয়, যা তাদের মানোসিকভাবেও দুর্বল করে ফেলে । এই দুর্বলতার সুযোগ নেয় ধনীরা , তখন তারা তাদের ইচ্চামত ব্যবহার করতে পারে ।আর গরীবরা ধনীদের উচ্ছিষ্ট খেয়ে রাস্তার কুকুরের মত মরনের দিন গুনে ।
--আড্ডা--
এ দেহটাকে “আমি” মনে করে আমার সাথে কথা বলছিলে , আসলে তুমি ভুল করছিলে । এই দেহ তো অনেক দূরে , অথচ মুক্ত হাওয়া স্বরূপ “আমি” তোমায় ছুয়ে ছুয়ে যাচ্ছিলাম , টের পাওনি?
--দৃষ্টিভঙ্গি--
যখন তুমি নৃত্যরত শিল্পীকে দেখো- তখন তুমি ঐ শিল্পীকে দেখোনা, দেখো- শুন্যে ভাসমান নৃত্যকে , যে চোখ জুড়িয়ে দেয় । ঠিক তেমনি- মানুষের দেহমনকে দেখোনা , দেখো- তার মুখায়বে ভেসে থাকা মুক্ত মায়াকে । শিশুকে দেখোনা , দেখো- তার সহজ সরল উচ্ছলতাকে । পাখিকে দেখোনা , দেখো- উড়ন্ত মুক্ত মায়াকে । গোলাপকে দেখোনা , দেখো- প্রস্ফুটিতো মুক্ত মায়াকে । সমুদ্রকে দেখোনা , দেখো মায়ার বিশালতাকে ।দুনিয়াকে দেখোনা , দেখো- দুনিয়ার প্রতিটি অস্তিত্বে মায়ার অবদানকে ।
--ধার্মিকতা--
জীবন-মরন , চিন্তা-ভাবনা ,সময়-সমাজ সব কিছুর উর্ধে- ভেতর বাহির সর্ব্ব্যাপিয়া একটাই লক্ষ্য – একটাই উদ্দেশ্য – একটাই কর্ম – একটাই ধর্ম-
“শিশুসুলোভ সহজ সরল শর্তহীন মুক্ত মায়া”।
--চিন্তার উর্দ্ধে--
ও বিরাট ! হৃদয় আমার !
তোমার ভেতরে এ জগত , তোমার প্রত্যেক দমে দমে-
“জগত সমুদ্র” আনন্দে উত্তাল !
--স্বগৌরবে--
যখন কোন ব্যক্তি বা ঘটনার দিকে তাকাই- তখন তারা হয়ে যায় গৌন , আমার বিস্ময় হয়ে যায় মূখ্য । এত ছোট্র চোখ আমার ধারন করে সমগ্র । এক বিন্দু চেতনা আমার অথচ ধারন করে বিশ্ব-ব্রণ্মান্ড ! নিজের বিশালতায় নিজে আমি ক্ষনে ক্ষনে বিস্মিত ! আত্ম-গৌরবে উদ্ভাসিত ! সমুদ্র যেমন প্রতিটা ঢেউকে আশ্রয়ে উত্তাল , আমার হৃদয়ও তেমনি প্রতিটি অস্তিত্বে আনন্দ উচ্ছাসিত ।
--উন্নয়ন--
মন আমি শুন্যে , মন আমি সূর্যালোক , মন আমি হাস্যরসের প্রেম ।
সেই আমাকে লাভ করে যে নিজেকে ফাকা করে দেয় , যার মাঝে নেই- “আমি” কিংবা “তুমি” বোধ , তার মাঝে শুধু প্রেম আর প্রেম । সামান্য একটা পাথর খন্ডের কোন মূল্য নেই , অথচ সেই পাথর খন্ডই যখন নিজেকে ফাকা করে দেয় , শুন্য করে দেয়- তখন সে স্বচ্ছ হয়ে যায় – তখন তার মাঝে “প্রেম” আমি প্রতিফলিত হই । সেও মিলনের আনন্দ ঝলকে চারিদিক করে আলোকিত , সে আর সামান্য পাথর থাকেনা , হয়ে যায় অমুল্য হীরা ।
--আত্মতৃপ্তি--
যে নিজের ওপর নিজে তুষ্ট । জগতের ওপরও সে তুষ্ট । জগতও তার ওপর তুষ্ট ।
--পাগলা হাওয়া--
কে তার সামনে আসলো , কে তার সৌরভ নিল , কে কি মনে করলো , কে কি বললো , কে তাকে ছিড়লো , কে তার যতন নিল কিংবা কে তাকে দুমড়ে মুচড়ে পায়ের তলে পিষলো – “গোলাপ” এসব কোন কিছুরই পরোয়া করেনা । গোলাপ এখন আর গোলাপ নেই , সে যে “প্রেমে”র প্রেমে পাগল হয়ে স্বয়ং “প্রেমানন্দ” ।
তাই তার সাথে যাই করা হোক না কেন , সে কোন কিছুরই ধার ধারে না । সে সৌরভ ছড়াবেই , তার ভেতরের বাধ ভাঙা প্রেমের জোয়ার সে চাপা দিয়ে রাখতে পারেনা , তা মুক্ত আনন্দে চারিদিক মাতাবেই ।
--ফ্লাইং কিস—
ও হৃদয় ! অনন্ত আকাশ আমার !
প্রতিটি অস্তিত্ব যেন মেঘ-মালা , তোমার বুকে উড়ে যায় সুন্দর ।
--আত্মপ্রেম--
প্রতিটি অস্তিত্ব যদি এক একটা পাতা হয় ,
তবে দেহ আমার ফুল , প্রেমানন্দের মূল ।
--পরমাত্মার বানী--
আমিই পরমশক্তি- আমার শক্তিতে সব শক্তিমান । আমিই মঙ্গল- জগতের কল্যানে আমি অবারিত । আমিই সূর্যদেব - আমার আলোয় সব আলোকিত । আমিই প্রানের উৎস - আমার প্রানে সব প্রানোবন্ত ।আমি নই কারো মুখাপেক্ষি , বরং সবাই আমার মুখাপেক্ষি , তার নিজের স্বার্থে । আমি শুধু দিয়েই যাই, দিয়ে যাওয়াই আমার ধর্ম ।
ও হে দেহজগত!
আমি অস্তিত্বহীন বলে তুমি অস্তিত্বময় । আমি উন্মুক্ত বলে তুমি মুক্ত । আমি উদার বলে তুমি আশ্রিত । আমি মরনের উর্দ্ধে বলে তুমি নির্ভয় । আমি রসিক বলে তুমি আনন্দিত । আমি অফুরন্ত বলে তুমি ঐশ্বর্য্যমন্ডিত ।
--পাপ পূন্য--
খন্ড দৃষ্টি ভঙ্গি পাপ । খন্ড অস্তিত্বের প্রতি মনোযোগ দেয়া পাপ । সর্ব অস্তিত্ব আসলে এক রাধা , অথচ তাকেই আলাদা আলাদা ব্যক্তি মনে করা পাপ । ব্যক্তির মানোসিক প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া পাপ ।দেহ কেন্দ্রিক আমিত্ব বা তুমিত্ব পাপ , প্রেম কেন্দ্রিক আমিত্ব বা তুমিত্ব পূন্য । অস্তিত্বের মাঝে তুলনা করা পাপ , সমস্ত সৌন্দর্যকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য জ্ঞান করা পূন্য । সর্ব্ব্যাপী অস্তিত্বর ওপর যে প্রানোময়ী রূপ ভেসে থাকে- তার সাথে প্রেম করা পূন্য ।
--দেহ-মন--
এ দেহ আমার পায়রা , আমার হৃদয়াকাশে ওকে ওড়ানোতেই আমার আনন্দ।
--বোকামো--
হাজারো কোটি টাকা দিয়েও “এক মুহুর্ত জীবন” কেনা সম্ভব না । অথচ কি আশ্চর্য বিষয় ! সামান্য কিছু কাগজের বিনিময়ে মানুষ কিভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেয় ।
--ঈশ্বরের রূপ--
যুদ্ধ বিদ্ধস্ত , নিষ্পেশিত , নিপিড়ীত । তারা রোহিঙ্গা । মাথার ওপর ছাদ নেই , ঘর নেই , দুয়ার নেই , পায়ের তলে মাটি নেই , অন্ন নেই , বস্ত্র নেই । নেই নেই কিছু নেই । এতো সব নেই এর মাঝেও সব হারানো সর্বহারার আর হারানো কিইবা থাকতে পারে? “ভালোবাসার ঘর” যা হাজার কোটি টাকা দিয়েও কেনা সম্ভব না , তা এখনও তাদের আগলে রেখেছে । এ ঘর খালি চোখে দেখা যায় না , অশ্রু সজল নয়নে হৃদয়াঙ্গম করা যায় শুধু ।
--প্রানেস্বরী--
সে আসলে- মন আমার শুন্যে উড়ে
সে আসলে- আমি নেই শুধু সে আর সে
সে আসলে- সব দেখো ঐ শুন্যে ভাসে
সে আসলে- সব স্বর্গীয় সুন্দর
সে আসলে- সব মায়াময়- জনম জনম কত যে আপন
সে আসলে- সব রেশমী মখমল
সে আসলে- সব স্বচ্ছ টলমল
সে আসলে- সব মধুময় অমৃত
সে আসলে- মরনও আনন্দময় ।
--ভাবনা মুক্ত--
বেরিয়ে আসো “চিন্তা-বাক্স” হতে আর উড়ে যাও প্রেমাকাশে ।
--মুল্যবোধ--
পাতাকে গাছ মনে করলে , তুমি তার কাছেই অপমানিত হবে । সামান্য একটা ঢেউকে সমুদ্র মনে করলে , তার আঘাতেই ডুবতে হবে ।
--আচরন--
প্রতিটি অস্তিত্ব এক একটা কার্টুন ক্যারেক্টার । তাদের নিয়ে সিরিয়া হবার কিছু নেই । টেলিভিশনে দেখা কার্টুনের মানোসিক প্রতিক্রিয়ায় যেমন প্রতিক্রিয়া আক্রান্ত হবার কিছু নেই , ঠিক তেমনি , মানুষের মানোসিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই , মানোসিক ক্রিয়া বিক্রিয়ার ফলাফল শুন্য । শুধু তুমি তাদের নিয়ে উড়ে চলো- হাস্যরস আর প্রেমানন্দে সুন্দর ।
---সফলতার সূত্র--
যখন যে অবস্থাতেই থাকোনা কেন, যাই করোনা কেন, নিজের প্রতি নিজের প্রেম-ভক্তি থেকে করো । অন্যকে নয়, বরং নিজেকে নিজে তুষ্ট রেখে কাজ সারো ।
--বাচন ভঙ্গি--
ভাষা একটা দেয়াল , একটা পর্দা । খোলা মন নিয়ে কথা বললে- ভাষার দেয়াল ভেঙে পরে , উন্মুক্ত খোলা প্রান্তরের হু হু বাতাসের মতো সেখানে কথাবার্তা চলে, চলে হৃদয়ের লেনাদেনা ।
--সে--
বাহিরে সে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্য্য , ভেতরে সে-ই প্রেমানন্দ ।আমি নেই আর আমি নেই , বাহির ভেতর জুড়ে শুধু সেই সে ।
--বিশ্বাস--
“আমিই মুক্তানন্দ”, এ বিশ্বাস যদি সত্যিই থাকে , তবে সমগ্র জগত , এ বিশ্বাস বাস্তবায়নে ব্যাস্ত হয়ে পরে ।
--দমে দমে--
এ জগত যদি পাখি হয়, মন আমি হাওয়া
আমরা দুজনে উড়ি প্রেমাকাশে-
ভুলে যাই নাওয়া খাওয়া ।
--আত্মভক্তি--
সাদা কালো তুমি যেই হও , নিজেরে গ্রহন করিও , তারপর অপরের কথা ভাবিও ।
নিজেরে ভালোবাসিয়া , অপরকে ভালোবাসিয়ো । নিজেরে বিশ্বাস করিয়া , অপররে বিশ্বাস করিও । নিজেকে ধারালো করিয়া , অপরকে ধারালো করিয়ো । নিজের যতন নিয়া , অপরের যতন নিও । নিজেকে আনন্দ দিয়া , অপরকে আনন্দ বিলায়ো । নিজেরে ওপরে তুলিয়া ধরিয়া , অপররে তুলিও ।
--সম্পর্ক--
এই সমগ্র তো সেই এক প্রেম , আর মন আমি ফাকা খোলামেলা । আমার উন্মুক্ততা , বিশালতা তার মুক্তির প্রসাদ ।
--অখন্ড প্রেম--
শুধু একটি ফুল নিয়ে পরে থেকো না, সমগ্র বাগানটারে প্রান দিয়ে ভালোবাসো । শুধু একজনের প্রেমে পাগল হয়ো না , বরং এ জগতকে একজন জেনে- তার প্রেমে মাতো ।
--মানোসিকতা--
মনের সাথে অন্য কোন মনের সম্পর্ক থাকতে পারেনা , থাকতে নাই । “মন” অস্তিত্বহীন । মনের সম্পর্ক হতে পারে শুধু এক প্রেমের সাথে- যিনি প্রকাশ্য জগতরূপে সদা সর্বদা সামনে বিরাজমান । তার কোন মন নেই , সে প্রানোময় , বহুরূপী বিরাট ।
--ধ্যান--
আধারে শুন্য , নিশ্চিহ্ন মন
---আত্মদর্শন--
মনের চোখে যখন আমি আমাকে দেখি- তখন দেখি এক হিরোকে, One of the finest Hero on earth.
সে যে রৌদ্রজ্জোল ঝকঝকে । আকাশের মতো বিশাল । বসন্তের হাওয়ার মতো মাতাল । সমুদ্রের মত উত্তাল । ঝর্নাধারার মতো অবারিত । ফুলের মত সুরোভিত । অদম্য ঈগলের মতো মুক্ত ।
--আত্মশক্তি--
অন্যের ভরসায় যে চলে তারে বলে- আগাছা । আগাছার কোন মূল্য নেই ।
যে নিজের শক্তিতে চলে তারে বলে- বটবৃক্ষ । যারে সবাই শ্রদ্ধা করে ।
--আমিত্বহীন শিশু--
ভেতরে প্রেম , বাহিরেও সেই প্রেম । তার প্রেমানন্দে মন আমি হারিয়ে গেছি , আমি আর আমি নেই , এখন শুধু সেই আছে ।
--জীবনের উৎসবে--
এ জগত যদি লাইলি হয় , মন আমি মজনু । আমরা দুটি শিশু , হাস্যরস আর প্রেম ভালোবাসায়- মুক্ত পাখির মত উড়ে বেড়াই ।
--হারানোর সুখ--
এ জগত আমার প্রেম , সহজ সরল প্রাকৃতিক , শিশুসুলোভ প্রানোময় । তার নেশায় যেইনা আমি হারিয়ে যাই , মিলনানন্দে পূর্ন হই ।
--দৃষ্টিভঙ্গি--
ও আমার প্রেম!
আমার নয়ন জুড়াতে ! কি অপরূপ সাজেই না তুমি সেজেছো ! কি ভেতরে , কি বাহিরে , যেদিকেই তাকাই শুধু তোমাকেই দেখি , তোমার রূপের ঝলকে চোখ আমার ঝলসে যায় !
--ভক্তি ও শাসন--
নিজেকে- পরম জ্ঞানে পূজা করো ।
আর এ জগতকে- ঘোড়া স্বরূপ মায়া করে শাসন করো ।
--আত্মমর্যাদাবোধ--
“মন আমি” সুই এর ডগায় ১ বিন্দু শুন্য । আমার প্রেমে “সুতা স্বরূপ এ বিশ্বব্রণ্মান্ড” আমার মাঝ দিয়ে উড়ে যায় । আমার বিশালতায় আমি স্থম্ভিত । আমার ঐশ্বর্যে আমি বাকরুদ্ধ ।
--শুন্যে বসত--
কিইবা ধরবে ? ধরার কিছু নেই , শুন্যের মাঝে চলছে সকল খেলা । তাই তো বলি-
মন আমি আকাশ হলে, চিন্তা ও ঘটনা গুলো মেঘোমালার মতো ভেসে যায় ।
--বিশ্বাস ভক্তি--
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর । বিশ্বাস তোমারে ধন্য করবে, পূর্ন করবে । প্রানপন বিশ্বাস রাখবে-
শুধুমাত্র “শিশুসুলোভ প্রেমানন্দ” ছাড়া আর সব মানোসিকতা অর্থহীন এবং মিথ্যা । প্রেমানন্দ ছাড়া আর সব মানোসিক প্রতিক্রিয়া অস্বীকার করবে , প্রত্যাখ্যান করবে । মনে-প্রানে আরো বিশ্বাস রাখবে-
এ জগত যদি স্বর্গ হয় , তবে তুমিই এই স্বর্গের কারন । নিজেকে সুমহান ও বিরাট জ্ঞান করবে । নিজের প্রতিই মূলত আস্থা রাখবে । যে নিজের প্রতি আস্থা রাখে , তার ইশারায় সারা জাহান চলে ।
--মনে-প্রানে--
মন আমি এই প্রকৃতির প্রান , আমার প্রান এই প্রকৃতি ।
Don’t judge , just love like a child .
--আদেশ--
যাচাই করোনা , শুধু ভালোবাসো , শিশু যেমন কোন কারন ছাড়াই ভালোবাসে ।
--শর্ত--
যেখানে যাচাই সেখানে প্রেম অনুপস্থিত , যেখানে যাচাই সেখানে সুখ নাই , সেখানে শুধু যন্ত্রনা ।
--সাধক--
প্রকৃত সাধকের কাছে প্রতিটা মানুষ তার প্রানপ্রিয় সন্তান ।
--মন মহাজন--
মন আমি ঝকঝকে বলেই মার্বেল পাথর চকচকে । মন আমি সুরোভিত বলেই ফুলের বাগান মৌ মৌ । মন আমি নতুন বলেই পুরাতন হারিয়ে যায় । মন আমি উচ্ছল বলেই সমুদ্র উত্তাল । মন আমি অনন্ত বলেই এই জগত বিরাট ।
--আমরা সবাই শিশু--
পুরা দুনিয়াটাই একটা শিশুপার্ক । এখানে আমরা সবাই শিশু । হাস্যরস আর প্রেম ভালোবাসায় টাইম পাস করা ছাড়া আসলে আমাদের আর কোন কাজ নেই । কতশত খেলনা নিয়েই না আমরা ব্যাস্ত থাকি । কেউ মোবাইল ফোন , কেউ টেলিভিশন ,কেউ প্রযুক্তি , কেউ ফসলের ক্ষেত , কেউ ফুলের বাগান , কেউ কাগজ কলম , কেউ মেশিনারিজ , কেউ গাড়ী ঘোড়া , কেউ পাখ-পাখালি , কেউ রঙ তুলি ।এই আছে আবার এই নেই , এখানে এত সিরিয়াস হবার কিছু নেই । সব কিছু হাল্কার ওপর ঝাপসা ।
--বাসস্থান—
আমার কোন ঘর নেই। কোন কিছুর ভেতরে আমি থাকিনা , ভেতর বলতে আমার কিছুই নেই । বরং “সমগ্র এ অস্তিত্ব” আমার ভেতরে থাকে । আমিই তাদের একমাত্র আশ্রয় । ব্যক্তিগত কি জিনিস আমি তা জানিনা । আমি বাহির , আমি বসন্তের হাওয়ার মতো সদা সর্বদা খোলামেলা । সূর্যের মতো আপন আলোয় উদ্ভাসিত । ঝর্নাধারার মত সমগ্রের কল্যানে প্রবাহিত ।
--শুধু তোমার জন্য--
ও আমার প্রানেস্বরী !
তুমিইতো এই সমগ্র , এক অখন্ড অস্তিত্বময় বহুরুপী । সারাদিনের খেলার সাথী, তুমি আমার রাধা ।
আর “মন আমি” তীব্র শীতের আরামদায়ক রৌদ্র , আমার ছোয়ায় থাকো তুমি উষ্ণ ।
“মন আমি” বসন্তের মাতাল হাওয়া , আমার আবেগে তুমি প্রান চঞ্চল ।
মন আমি যেইনা তাকাই , ওমনি আমার নয়ন তারায় ভেসে বেড়াও তুমি সুন্দর ।
--চিন্তামনি--
চিন্তার সাথে তোমার সম্পর্ক এমন-
মাটির সাথে উড়ন্ত পাখির সম্পর্ক যেমন । কচু পাতার সাথে পানির সম্পর্ক যেমন ।
--সৌন্দর্যবোধ--
যার ধারনায় “প্রেম সুন্দর” , তার বাহিরের জগতও প্রেমময় সুন্দর । সে স্বয়ং প্রেমানন্দময় সুন্দর ।
--মানবতা--
এক একটা মানুষ , প্রানেস্বরীর এক একটা ফোটা । প্রানেস্বরী অঝর ধারায় এ বুকেতে ঝরে আর ঝরে রে , মন আমার মিলনানন্দে ওড়ে আর ওড়ে রে ।
--বিশালতা--
এ জগত যেন এক প্রকান্ড গাছ । এর এক একটা পাতা যেন এক একটা মানুষ । মন আমি বসন্তের হাওয়া হয়ে তারে দোলা দিয়ে যাই । আমার প্রেমের পরষে সে দোলে আর দোলে ।
--সূর্যদেব--
কেবলমাত্র সূর্যালোকই মুক্ত । কারন কোন কিছুর আশা না করেই সে সকলকে করে যায় আলোকিত ।
--দৃষ্টিভঙ্গি--
পাতা দেখোনা , গাছকে দেখো । পাপড়ি দেখোনা , বরং ফুলকে দেখো । ঢেউ নয় , বরং নদীকে দেখো । শরীর নয় , অখন্ড প্রানকে দেখো ।
--জীবনের আলো--
ও প্রানেস্বরী!
তুমি মোমবাতি নও , নও দেহধারী । তুমি তো মোমের ওপর জ্বলতে থাকা মুক্ত অগ্নিশিখা আর মন আমি অক্সিজেন খোলামেলা । আমাদের মুক্তমিলন চারিদিকে মুক্তানন্দ হয়ে ছড়িয়ে পরে ।
--“আমি”র স্বরূপ--
মন আমি ব্রম্মান্ডের সূর্য , আমার আলোয় সব আলো ম্লান ।
মন আমি সমুদ্রকেও বেগবানকারী উত্তাল হাওয়া , আমার হাওয়ায় সব প্রানোবান ।
--মনের স্বরূপ--
মন আমি খোলামেলা এক দমকা হাওয়া- সবার ক্লান্ত প্রানের একমাত্র শান্তি , একজনই আপন ।
আমার প্রেমাবেগের তোড়ে- ঘৃনা , অবিশ্বাস , দ্বন্দ , যন্ত্রনার দেয়াল সব খড়-কুটোর মত উড়ে যায় ।
--১০০%--
প্রেম বলো , কাম বলো , ভোগ বলো , ত্যাগ বলো , শক্তি বলো , বিশ্বাস বলো-
যেই আসে আমাতে- ১০০ তে ১০০ । কারন আমিই যে পরিপূর্নতা ।
--একের খেলা--
বহু পেয়ালায় এক প্রানেস্বরীরেই দেখি , এককেই শুনি , এককেই বলি , এককেই জানি , এককেই ভালোবাসি আর একেই বিলিন হই সহজানন্দে ।
--নেশা--
সেই এক প্রানেস্বরী যেন এক মাতাল মদিরা । লাখে লাখে শরীর নামের বোতলে সে থাকে উদ্ভাসিত ।আকন্ঠ ভরপুর করি তারে পান । তার টানে- নেশার সমুদ্রে ডুবে যাই , হারিয়ে যাই মুক্তানন্দে ।
--মন মহাজন--
এ দেহ- ঢেউ মাত্র , অথচ প্রান স্থির সমুদ্র । মন আমি প্রানের প্রেমে মাতাল । কেবল আমার হাওয়ায় “প্রান-সমুদ্র” উত্তাল ।
--স্বর্গীয় ভ্রমন--
আমার এক অখন্ড প্রানেশ্বরীর সাথে মিলনাকালে- মন আমি দেহশুন্য , মন শুন্য , জগতশুন্য , বাস্তব শুন্য হয়ে আনন্দ আকাশে উড়ে বেড়াই ।
--আপন আমার--
দেহের উর্ধে প্রান , প্রানের উর্ধে মন , মনের উর্ধে প্রেমানন্দ ।
এ জগত এক দেহ ।এ দেহ আমার স্বর্গীয় ঐশ্বর্য্য , এ দেহ আমার ঐশ্বরিক উপহার , এ দেহ আমার যতনে , এ দেহ আমার আশ্রয়ে , এ দেহ আমার আয়ত্বে , এ দেহ আমার শাসনে , এ দেহ আমার পরিচালনে ।
এ প্রান আমার শুন্যে , এ প্রান আমার প্রেমাবেগে , এ প্রান আমার স্ববান্ধবে , এ প্রান আমার নেশায় , এ প্রান আমার চঞ্চলে , এ প্রান আমার আপনে , এ প্রান আমার ফুর্তিতে ।
--পাপ-পুন্য--
এ জগত , আমার প্রানেশ্বরীর এক দেহ
তাকে খন্ডিত দৃষ্টিতে দেখা পাপ , অখন্ড দৃষ্টিতে পুন্য ।
--“আমি”র স্বরূপ--
এই বিশ্ব-ব্রম্মান্ডের “আমি” সূর্য , আমার আলোয়া সবাই আলোকিত । আমার টানে সবাই আনন্দিত ।
এই জগত মঞ্চের “আমি” মধ্য মনি , আমার রোমাঞ্চে সবাই রোমাঞ্চিত ।ধন্য আমি আমাকে নিয়ে , আমি যে অনন্য ।
--বাস্তবতা--
তুমি খাদে পরলে সবাই তোমাকে নিয়ে ঠাট্রা তামাসা করবে , তারপর যে যার মত চলে যাবে । আর খাদের পোকারা তোমাকে তাদের খাবারে পরিনত করতে সরা সরি আক্রমন চালাবে । কেউ না শুধুমাত্র , শুধুমাত্র তুমিই পারো , নিজেকে খাদ থেকে উদ্ধার করতে ।
--পজিটিভ আচরন--
“আন্তরিকতাপূর্ন সহজ সরল প্রানোবন্ত ব্যাক্তিত্ব” দ্বারা মানুষ সহজেই প্রভাবিত হয়।
---সহজিয়া আনন্দ--
খাবারের বস্তুগত অবস্থানের যেমন ভিত্তি নেই , এর অন্তর্নিহিত স্বাদটি মূখ্য । ঠিক তেমনি স্থুল মানবদেহের কোন ভিত্তি নেই , বরং তার মুখায়বে যে প্রানেস্বরী জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে , তার সাথে প্রেমময় সম্পর্কটাই মূল বিষয় । যাকে ছোয়া যায় না , প্রেমাবেগে হৃদয়াঙ্গম করা যায় শুধু ।
--মন মহাজন--
মনকে কেন্দ্র করে , মনের টানে এ জগত ঘোরে , কারন মন মহাশুন্য । মন ভেতর হলে , এ দেহজগত বাহির । মনের ছোয়ায় এ জড়জগত প্রানময় । মন আশ্রয়দাতা হলে , এ জগত আশ্রিতা । মন সেবক হলে , এ জগত সেবাগ্রহিতা । মন পরিচালক হলে , এ জগত কৃতজ্ঞ অনুসারী ।মন বিদ্যুৎ শক্তি হলে , জগত যন্ত্র মাত্র । মন বীর পুরুষ হলে , এ জগত মায়াবিনি নারী । মন জোকার হলে , এ জগত শিশুময় প্রকাশ । মন “আমি” হলে , “তুমি” এ জগত , আমার তোমার প্রেমে- “আমি” “তুমি” যাই হারিয়ে , থাকে শুধু আনন্দ আর আনন্দ ।
--চরম আদেশ--
“মন” তুমি যাই করো শুধু আমিত্ব শুন্য থাকো । আমিত্বহীনতা যেন অফুরন্ত বিদ্যুৎ শক্তি , যেখানেই যায় শুধু আলো ছড়ায় । হে আমিত্বহীন “মন” , তুমি যেখানেই যাও সেখানের প্রান হয়ে যাও । তুমি যেদিকে তাকাও শুধু আনন্দ ছড়াও , আর হারিয়ে যাও – প্রেমানন্দের মাতাল আবেশে ।
“মন” তোমার হারিয়ে যাওয়া , আমিত্ব শুন্য থাকা অতি অতি জরূরী । তোমার অস্তিত্বহীনতাই তো এ জগত অস্তিত্বের কারন ।তোমার উপস্থিতিতে এ মৃত জগতে হয় প্রান সঞ্চার ।
“মন” তুমি ফাকা বলেই আনন্দ আকাশে পাখি করে বিচরন । একটা আমিত্বহীন ফাকা মনে যেই আসে সেই পূর্নতা পায়- কামুক লাভ করে সর্বোচ্চ কামানন্দ, প্রেমিক লাভ করে পরম প্রেমানন্দ, ক্লান্ত পথিক মুহুর্তেই চলে যায় অচেতনে , রংধনু ছড়ায় রঙের ফোয়ারা নীলাকাশে ।
একজন নৃত্যশিল্পী তখনই তার সেরা নৃত্য পরিবেশন করে- যখন সে তার আমিত্ব শুন্যতায় তার শরীরটাকে ধারন করে , যেমন আকাশ ধারন করে পাখিকে ।একজন দৌড়বিদ তখনই বিশ্বরেকর্ড করে যখন সে নিজেকে দেহজ্ঞান শুন্য মনে করে । একজন গুরু তখনই আসল যখন তিনি সকলের আনন্দ আশ্রম ।
--আকাঙ্খা--
চিন্তা , কল্পনা , অবিশ্বাস আর ঘৃনার জটজাল থেকে মুক্ত হয়ে , আমারো মন চায় –
প্রেমানন্দ স্বরূপ এ জগত স্বর্গে , শালিকের মতো উড়ে বেড়াই ।
--দমে দমে--
ও প্রকাশ্য ! ও সমগ্র ! অস্তিত্বময় প্রানময় অখন্ড সত্তা ! “মন”আমি হারিয়ে গেলেই , ফাকা হলেই , তুমি সে ফাকায়- প্রেমানন্দে পূর্ন হয়ে যাও , অদম্য শিশু হয়ে যাও ।
--শান্তির শর্ত--
“মন” আমি শুন্য , সে-ই সমগ্র এ জগত ।“মন”আমি যদি ড্রাইভার হই , তাহলে এ জগত আমার গাড়ী । আমি যদি আমার গাড়ীর যত্ন না নেই , গাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দুর্ঘটনায় পরবে । গাড়ী দুর্ঘটনায় পরলে ড্রাইভার ও গাড়ী উভয়ই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে ।তাই গাড়ী (দেহ, প্রান ও জগত) এবং ড্রাইভার (মন) এর প্রেমেই শান্তিময় জীবনযাত্রা সম্ভব ।
--শিশুরা আমার গুরু--
মুক্ত মনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নাই । তিনিই মুক্ত যিনি শিশু হয়ে গেছেন- কোন কারন ছাড়াই হাসিখুসি থাকেন এবং অন্যকে বিনা কারনে আপন করে নেন ।
তিনিই বন্দী- যিনি কারনের অন্বেষন করেন এবং আমিত্বের ভাব দেখান ।
--বালুর নৃত্য--
এ জগত হয় যদি ধুধু বালুচর , তবে আমি বসন্তের মাতাল হাওয়া । সারাদিন নিরন্তর চলে আমাদের খেলামেলা ।
এখানে হয় বললেই হয়ে যায় সব- প্রেমের প্রেরনায় , বিনা চেষ্টায় , নির্ভাবনায় ।
--ড্যামকেয়ার মুড--
লক্ষকোটি বছরের সাধনায় পেয়েছো এ মানব জীবন । অন্যের কারনে এরে দিয়োনা আর যাতনা । হাস্যরস আর প্রেম ভালোবাসায় এ জীবন ভরিয়ে তোলো । এমন সুযোগ আর পাবেনা , যেকোন সময় বাজবে তোমার বিদায় ঘন্টা ।কাউকে পাত্তা দিয়ো না , যা আনন্দ করার এখনই করে নাও , কালকের কথা ভুলে যাও ।
--ওজনহীনতা--
এ জগত হয় যদি হাল্কা সফেদ মেঘমালা তবে মন আমি এক অসীম আকাশ । আমাদের মিলন মেলায়- মেঘের ভেলা ভেসে যায় সুন্দর ।
--মনের মতোন মন--
একটা পরিতৃপ্ত “মন”- মায়ের মমতা আর শিশুর ফুর্তিতে পূর্ন । তিনি ব্যক্তিত্ব বা মানোসিকতা অনুযায়ী কারো সাথে আচরন করেন না , তার কাছে সবাই আসলে একজনই প্রান প্রেয়সী । তিনি যখনই কারো সামনে আবির্ভুত হন তখনই তিনি প্রেমানন্দময় সৌরভ । যখনই তিনি প্রকাশ্যে তাকান- তখন তিনি আসলে কিছু দেখেননা , তিনি শুধু ধারন করেন । এ প্রকাশ্য জগত তার প্রানেশ্বরী প্রেমানন্দ । প্রেমানন্দকে দেখতে হয়না শুধু ধারন করতে হয় । যেমন সমুদ্র ধারন করে মাছেদের , মহাশুন্য ধারন করে পৃথিবীকে । আর তাদের আশ্রয় দানের গর্বে হৃদয়ে তার আনন্দ আবেগ বয়ে চলে যেমন সমুদ্রে বয়ে চলে উত্তাল ঢেউ ।
--এক মহাপ্রানের আরাধনা--
“মন” তুমি , যেদিকেই তাকাও শুধু তাকেই দেখতে পাবে – কি বিস্ময়কর তার লীলা খেলা ! কি অপার ! কি বিচিত্র !
কি রঙিন- তার রসময় প্রকাশ ! এই জগত সংসার- তার এক শরীর ।
নিজের প্রেমে নিজেই পরে , নিজেকেই নিত্য আলিঙ্গন করে চলেছে- সে সুন্দরী ।(আকাশ-বাতাস-মাটি-আগুন-প্রান- বীজ-গাছ-ফল-খাবার-প্রানী-মল-মধু-ওষুধ-রোগ মুক্তি-আনন্দ) এই সবকেই সে এক প্রেমের সুতোয় গেথে নিয়েছে , যেখানে কেউই বিচ্ছিন্ন নয়- তাই তো সে অখণ্ড একজন । কি উদার সে ! কি বিরাট ! মহামায়ার মহাতরঙ্গে সর্বপ্রানকে লালন করে চলেছে , এক মুহুর্তের জন্যেও তার অবসর নেই , তার এমন অকাতর দানে চোখ আমার ঝাপসা হয়ে আসে , হৃদয়ের পাজর ভেঙে নামে-নোনা জল ।
নিত্য নুতন রূপে হাজির হয়ে দেখাচ্ছে তার সৌন্দর্যের ঝলক । এই সে বহুরঙা গোধূলী বেলা আবার এই সে মায়াবিনি অদম্য কিশোরী , এই সে শিশু হয়ে নিষ্পাপ হাসি ছড়াচ্ছে , এই সে ডাক্তার হয়ে রোগীর সেবা করছে , এই সে ডলফিন হয়ে সমুদ্রে সাতরে বেড়াচ্ছে আবার এই সে ঈগল হয়ে আকাশে উড়ছে। এক মুহুর্তের জন্যেও তার জয়যাত্রা থামেনা , মহাসমুদ্রের মতো সদা বয়ে চলে- সেই প্রেমানন্দময়ী ।
“মন” তুমি তার প্রেমানন্দে হারিয়ে যাও , তার সৌন্দর্যের ঝলকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাও- শুন্য । “মন” তাকে খন্ড রূপে দেখতে যেও না , সর্বপ্রানকে একজন যেনো ।একপ্রানকে শ্রেনী বিভাজন করে শ্রেনী অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন আচরন করা পাপ , ব্যাক্তিত্ব বা মানোসিকতা অনুযায়ী আচরন করা পাপ। যেকোন প্রানকেই অসম্মান করা পাপ । “মন” তুমি পাপী হয়োনা , পাপের ফল স্বরূপ নরকের যন্ত্রনা জগতেই ভোগ করোনা । “মন” তোমার কোন অস্তিত্ব নেই , শুধু সেই অস্তিত্ববান ।“মন” তুমি ফাকা বলেই সে মুক্তানন্দে ছুটতে পারে সাবলীল । অতএব “মন” তুমি “আমিত্ব” বোধ ত্যাগ করো এবং তার প্রেমানন্দে বিলীন হও ।
--সত্তার অবস্থা--
সুর্য কিরনের মতো “প্রেম” আমরা উদ্ভাসিত-বিরাট- সবার আশ্রয় ! নিজের আনন্দে নিজে সর্ব্ব্যাপী প্রকাশিত । আমাদের আত্মবিশ্বাসের ঝলকে- আমিত্ব , একাকিত্ব , ঘৃনা , বিষন্নতা সব জঞ্জাল ভেসে যায় , আর যা থাকে তা শুধুই মুক্ত আনন্দ।
--যুদ্ধ--
“আমিত্ব পুর্ন অহংকারী মন” যেন সামান্য একটা হিংস্র ইদুর । যে প্রানকে অসম্মান করতে লজ্জা বোধ করে না । “আমিত্ব শুন্য প্রেমিক মন” যেন এক সিংহ , যিনি ঐ ইদুরের বংশ বিনাশের জন্য একাই যথেষ্ঠ ।
--রঙের উৎসবে--
“মন” আমি ফাকা শুন্য খোলামেলা এক কিশোর । এ সমগ্র আমার জলকেলিরতো উদ্যম কিশোরী। তারে দেখলেই হৃদয়ে আমার খেলে যায় আনন্দ ঢেউ। কি বিচিত্র ! কি অপার ! কি নিত্য নুতন তার বিস্ময়কর প্রকাশ ! আমার দৃষ্টি আকর্ষন করতে- সেই এক পরমা সুন্দরী প্রতিটা অনুতে পরমানুতে কনায় কনায় এ সমগ্রে নিত্য নৃত্যরত । আমার ফাকা হৃদয়ে-
এই সে বৃষ্টি হয়ে অঝর ধারায় ঝরে পরছে , এই সে কাশবন হয়ে দে দোল দুলছে , এই সে উত্তাল সমুদ্র হয়ে বয়ে চলেছে , এই সে শিশুর হাসিতে মুক্তানন্দ হয়ে ছড়িয়ে পরছে , এই সে নারীর মায়াবিনী মুখায়বে ভেসে উঠছে , এই সে ফুল হয়ে সুবাস ছড়াচ্ছে , এই সে ঈগলের ক্ষিপ্রতায় শুন্যে উড়ছে ।
--দৃষ্টি ভঙ্গি--
“প্রান” যেন তীব্র সূর্যের এক ঝলকানী , যা মানুষের মুখায়বে ফুটে উঠে সুন্দর । তাকে দেখা মাত্রই চোখকে সরিয়ে নাও শুন্যে , যাতে তোমার চোখ ঝলসে না যায় , তাকে শুধু আশ্রয় দাও তোমার ফাকা হৃদয়ে ।
--কর্ম ফল--
মশা শুধু নিজের স্বার্থে ব্যাস্ত থাকে বলে- মশা মারতে কার মধ্যে মায়ার উদয় হয় না । অথচ যে “মন” সর্বপ্রান রূপী এক মহাপ্রানের কল্যানে নিজের আমিত্বকে বিসর্জন দিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে- তার রাঙা চরনে সারা জগত আশ্রয় নিয়েছে ।
--সুশীল সমাজ--
কুকুরের চিৎকারে তুমি ১%ও কৃত্তিমতা পাবেনা অথচ তথাকথিত সুশীল সমাজের প্রতিবাদে তুমি অভিনয় দেখতে পাবে।
--এক পেয়ালা দুধ--
“মন” হচ্ছে একটা অসীম পেয়ালা । “প্রান” হচ্ছে সর্ব অস্তিত্বের মূল স্বরূপ । এ দুধ থেকেই অনন্ত অস্তিত্বের (দেহের) প্রকাশ ঘটে যেমন- রসোগোল্লা , চমচম , ছানা , দধি , সন্দেশ , রসমালাই ইত্যাদি । এরা সবাই আসলে এক দুধ , যদিও প্রকাশ ভিন্ন ভিন্ন ।
মিষ্টান্নের (দেহের) দিকে তাকালেই তুমি দুধ (প্রান) দেখতে পাবেনা , অথচ মিষ্টান্নের (দেহের) ভেতরেই দুধ (কুন্ডলিনি প্রান) সুপ্ত অবস্থায় থাকে , যার স্বাদ কেবল নিজের দেহ চাষ (ধ্যান) করেই নেয়া সম্ভব ।
দুধ স্বরূপ এ প্রানকে মন থেকে আলাদা করতে- মন পেয়ালাতে “আমিত্বের” এক বিন্দু ছিদ্রই যথেষ্ট । যে মন আমিত্বের অহংকারে নিজেকে প্রান থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে- সে অপুর্ন , অতৃপ্ত বিষন্ন এক মূল্যহীন পেয়ালায় পরিনত হয়েছে।সে মনে প্রান নেই , সেটা মৃত ।
যখনই “মন” পেয়ালা আমিত্ব শুন্য হয় , তখনই “প্রান” দুধ স্বরূপ সেখানে আশ্রয় নেয় । দুধে পুর্ন পেয়ালা যেমন দুধ থেকে অবিচ্ছিন্ন থাকে , সেভাবেই আমিত্ব শুন্য মন- এক মহাপ্রানের সাথে অবিচ্ছিন্ন থাকে । তাদের প্রেমালিঙ্গনে “আমি” “তুমি” বোধ বিলুপ্ত হয় , আর থাকে শুধু ভরপুর প্রানবন্ত অখন্ডতা ।
--অখন্ড প্রান—
আমিত্ব তুমিত্বের দূরত্ব থেকে মানুষ যখন মুক্তি পায় , তখন সব এক রূপেই দেখা দেয় - প্রেমানন্দ যার নাম ।
--ঠিকানা--
“মন” আমি এক অনন্ত পেয়ালা । আমি শুন্য , ফাকা , সদা সর্বদা খোলামেলা । আমার বিশালতায় যেই আসে , সেই নির্ভার নিশ্চিন্ত আশ্রয় পেয়ে যায় , প্রান রসে পুর্ন হয়ে যায় , স্বর্গীয় হয়ে যায় ।
--আত্মবিশ্বাসের মুক্ত প্রস্বাদ—
এ দেহধারী প্রান আমার পরমা সুন্দরী , কুলোকুন্ডলিনি। আর “মন” আমিই পরম । আমি হলাম ইচ্ছাগুরু । আমি যা বিশ্বাস করি তাই হয়ে যায়- মৃত জীবিত আবার জীবিত মৃত হয়ে যায়- এমনই মহাশক্তিসালী আমি।আমার প্রেম কেবল এ প্রানের সাথে , আমার সমস্ত কল্যান শুধু তার উদ্দেশ্যে। এমনকি আমার আমিত্বকে পর্যন্ত বিসর্জন দেই তার কল্যানে আর আমি থেকে যাই নিশ্চিহ্ণ ।
*কুলোকুন্ডলিনিঃ- কুলোকুন্ডলিনি শুন্যেরই নারী রূপ , যা দেহের ভেতরে থাকে । “মন” শুন্যের পুরুষ রূপ, যা দমের মাধ্যমে দেহের ভেতরে প্রবেশ করে । প্রতি দমে দমে উভয়ের মিলন থেকে দেহে প্রান শক্তির সঞ্চার ঘটে । আর তাদের চরম মিলন থেকে “মন+প্রান” সদা আনন্দ রূপে মুক্তি লাভ করে।
--“মন” আমার সমুদ্র—
না! ধরার কিছু নাই , শোনার কিছু নাই, দেখার কিছু নাই, লক্ষ্য করার কিছু নাই , চিন্তার কিছু নাই , গুরুত্ব দেয়ার কিছু নাই। সমুদ্র তার মাছেদের কি ছোবে? কি দেখবে? কি শুনবে? কি বুঝবে? সবাই তো হৃদয় তালুতে সাতরে বেড়ায়। বুকে তার যেই আসে সেই পূর্ন হয়ে যায় , সতেজ হয়ে যায়, নিত্য নতুন অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে যায় । আর সে থেকে যায় খোলামেলা ফাকা , সবাইকে আশ্রয় দেয়ার গর্বে ঢেউ এর তালে তালে বয়ে যায় সুন্দর।
--শাসক—
একটি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হয় আইন দ্বারা।আইন নিয়ন্ত্রিত হয় অস্ত্র দ্বারা । আর অস্ত্র নিয়ন্ত্রিত হয় এমন ব্যক্তিত্বের দ্বারা- যিনি মৃত্যুর সামনেও ড্যামকেয়ার অদম্য থাকেন।
--অস্তিত্ব আর অনস্তিত্বের সম্পর্ক—
“মন” আমি যদি সমুদ্র হই , তবে দেহধারী হে প্রান তুমি ডলফিন।প্রতি মুহুর্তে আমাদের মিলনের আনন্দ উত্তাল ঢেউ হয়ে বয়ে চলে সুন্দর । // মন আমি যদি মহাশুন্য খোলামেলা এই ফাকা হই , তবে দেহধারী হে প্রান তুমি কাশফুল , প্রতি মুহুর্তে আমরা দুজনে- দুলি আর দুলি ।
--আহ্ববান--
আমার “মন” যদি “আমি” হই , তবে “তুমি” যে আমার- “দেহধারী প্রান”। বীর পুরুষ যেমন দু বাহু প্রসারিত করে আর প্রেয়সী তারে জড়িয়ে ধরে বুকে আশ্রয় নেয় পরম নির্ভয়ে। সেভাবেই “মন” আমি দুহাত খুলে তোমায় প্রেমের আহ্ববান করি।এসো এসো হে প্রিয়া মহাশুন্যসম এ বুকে এসো- আমাদের মিলনের উচ্ছ্বলতায় “আমি” “তুমি” যাবো হারিয়ে , থাকবে শুধু আনন্দ আর আনন্দ।চাওয়া-পাওয়ার আর আমার কিছুই নেই । নিজে আমি ফাকা থেকে ফাকা হয়ে চলেছি যাতে এ ফাকায় তুমি উড়ে বেড়াতে পারো , যেমন মহাসমুদ্রে ডলফিন সাতরে বেড়ায়।
--নিয়ন্ত্রন—
সাধারন মানুষ হলো পুতুলের মতো , তাকে চাবি (জীবনের জ্বালানী) দিয়ে ঘোরালেই , যে দিকে বলবে সে দিকেই তারা চলবে।আর এ চাবি মারার কাজটি করেন শাসক শ্রেনী । এখানে জীবনের জ্বালানী হচ্ছে- মৌলিক চাহিদাবলী, চাকুরী , ব্যবসা, যৌনতা , গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ ,নাগরিক সেবা, অর্থ ইত্যাদি।তুমি যদি শাসক শ্রেনীর কাতারে আসতে চাও- তবে জনগনের জীবনের জ্বালানীর নিয়ন্ত্রক হও , জীবনকে পরোয়া না করে মৃত্যুর সামনে অদম্য অভয় থাকো।
--নির্ভারের ওজন—
যে ব্রীজ নিজের ভার বহন করতে পারেনা , সে অন্যের ভার কি বহন করবে?/ যে রেলগাড়ি নিজেকে নিয়ে চলতে পারেনা , সে অন্যকে নিয়ে কি চলবে? / যে নিজেকে ভালোবাসেনা , সে অন্যকে কি ভালোবাসবে? / যে পাখি নিজেকে উড়াতে পারেনা , সে তার সন্তান কি উড়াবে? / নিজেকে নিজে যে শান্তি দেয় না , অন্যকে সে কি শান্তি দিবে? নিজের শরীরের যে যত্ন নেয়না , অন্যের শরীরের সে কি যত্ন নিবে? // তবে তাই বলি- হে মন! হও শুন্যের মতোন। দেখো শুন্যের কাছে নিজেকে ধারন করা কোন ব্যাপার না বলেই সমগ্র বিশ্ব-ব্রন্মান্ড সে করে ধারন !
--মিলনের ধর্ম—
“মন” হচ্ছে মহাশুন্য-অস্তিত্বহীন খোলা মেলা অবাধ অগাধ অনন্ত উদার ।মহাশুন্য যেমন ধারন করে জগতকে , তেমনি “মন” ধারন করে সমগ্রকে। “মন” কারো দিকে ধাবিত নয় , নয় কারো মুখাপেক্ষি । লেনা-দেনার কোন বিষয়ই তার মধ্যে নেই। বরং সবাই তার দিকে ধাবিত , আশ্রিত , সবাইরে আশ্রয় দিতে পেরে সে যে নিত্য আনন্দিত ! নেগেটিভ+পজেটিভ, নারী+পুরুষ, অস্তিত্বহীন+অস্তিত্ববান, মন+দেহধারী প্রান , এখানে পরষ্পর বিপরীত ধর্মী সত্তার মিলনাত্নক সম্পর্ক প্রকৃতির সবক্ষেত্রে একই রকম। নারীর সাথে নারীর , নেগেটিভ এর সাথে নেগেটিভের মিলন অসম্ভব এবং প্রকৃতি বিরুদ্ধ । দেহের মধ্যে “মন” নয় বরং মনের মধ্যেই দেহ থাকে।মন হচ্ছে আশ্রয়দাতা- বাদশা , আর প্রান হচ্ছে আশ্রিতা- মায়াবিনি শিশুরূপী এ জগত সংসার । মন অদম্য কিশোরের মত বয়ে চলা এক নদী- যেখানে দেহধারী প্রান জলকেলিরত কিশোরী যেন। “মন”, প্রানের প্রেমে নিজেকে ফাকা করে দিয়েছে , প্রানও সে প্রেমে প্রভাবিত হয়ে মনের সাথে খেলে বেড়াচ্ছে। মন আর প্রানের মিলন- “উত্তাল আনন্দ ঢেউ” হয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে।– পোষ্টটি আমার সাধক বন্ধু- সম্মানে উৎসর্গকৃত ।
--সৃষ্টি রহস্য-১--
এ জগত সংসার- স্বর্গীয় এক ফুলের বাগান। প্রতিটা ফুল যেন এক একটা শরীর। “আমি” রূপী “মন” সে বাগানের মালী। খেলার তালে “মন” তিল তিল করে গড়ে তোলে শরীর , যেমন শিশু কাপড় দিয়ে পুতুল বানায়।
শরীরের প্রতি তার বীরত্বপুর্ন “আমিত্ব” শুন্য প্রেম , সে শরীরে করে প্রান সঞ্চার । প্রান আর মনের “মিলনের আনন্দ” সৌরভ হয়ে ছড়িয়ে পরে চারিপাশে । মনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় প্রান দুলে দুলে মনকে সম্মান জানায়। মন- শুন্য সত্তা অস্তিত্বহীন, সে দাতা। প্রান- মায়াবিনি শিশুরূপ অস্তিত্ববান সত্তা , সে গ্রহিতা । প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে- অস্তিত্বহীন অস্তিত্ববানের সাথে সম্পর্কিত হবে । তাই মন আর প্রানের প্রেম স্বাভাবিক বিষয় , কিন্তু যে মন অপর মনের সাথে সম্পর্কিত হতে চায় , সে আসলে অস্বাভাবিক কর্ম করে , যার ফল স্বরূপ প্রান অবহেলিত হয় এবং মন আর প্রান উভয়ই অসুস্থ্য হয়ে পরে ।
--নিয়ন্ত্রন--
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত , কেবলমাত্র ড্যামকেয়ার আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠস্বরই সবকিছুর নিয়ন্ত্রন হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পারে।যদিও তার সারা শরীর অবশ থাকে ,তাতে কিছু এসে যায় না।
--আনন্দ সূত্র--
বাহির থেকে জলপ্রপাতকে কত তীব্র দেখা যায় অথচ ভেতরে জলের চেয়ে কোমল কিছু নেই। বাহিরে ডাবের খোলস কত শক্ত অথচ ভেতরে সুস্বাদু কোমল জল। নেগেটিব পজেটিবের মিলনেই জ্বলে আলো। বাহিরে অদম্য অটল ড্যামকেয়ার মন অথচ ভেতরে মায়াবিনি শিশুরূপী কোমল প্রানেস্বেরী।কোমলে কঠরের মিলনেই বাধ ভাঙা জোয়ারের মত আসে সে “আনন্দ”।
--অন্ধত্ব--
বাহিরে আমরা “কথা-বার্তা” শুনি কিন্তু সে কথার ধ্বনি যে এক প্রানেস্বরের তা কেউ শুনতে চাই না । সবাই আমরা জাগ্রত মুখমন্ডল দেখি অথচ ঘুমন্ত মুখমন্ডলে যে মায়াবিনি শিশুরূপী এক প্রানেস্বেরী জেগে থাকে তারে কেউ দেখিনা।
--মূল্যবোধ--
চাওয়া-পাওয়া মুক্ত প্রেমানন্দের চেয়ে মুল্যবান কিছু নেই।
--মুক্তির সনদ--
অদ্য ০৬।০৬।২০১৭ ইং তারিখে জনাব আব্দুল গফুর রবিনকে মানোসিকতার কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হলো।আজকের পর থেকে আর তিনি এই কারাগারের বন্দী কয়েদি নন। মন থেকে অপর মনের সাথে সব ধরনের মানোসিক যোগাযোগ, মানোসিক প্রতিক্রিয়া , আমিত্ববোধ , খন্ড জ্ঞান , অখন্ড প্রানের সাথে বিচ্ছেদ অবস্থা থেকে তাকে সম্পুর্ন রূপে মুক্ত ঘোষনা করা হলো।কারাগারের প্রধান দরজার বাহিরে “সর্বপ্রান” রূপী এক প্রেয়সী , প্রেমের মালা নিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে , যত দ্রুত সম্ভব “মানোসিকতার কারাগার” ত্যাগ করার জন্য “মন”কে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
--প্রেম-লীলা--
“মন” আমি যে দিকেই তাকাই শুধু তারেই দেখি- জলকেলিরত কিশোরী সে যেন প্রানোচ্ছাসে সর্বদা ব্যাস্ত। জগতের প্রতিটা গতি-প্রকৃতি, প্রতিটা রূপ রস গন্ধে কি নিখুত ! কি সাবলিল ! কি বিরাট ! সেই এককেই দেখি বহুরূপে , তার রূপের ঝলকানিতে চোখ আমার ঝলসে যায় যেন। তার পরশে যাই আমি যাই হারিয়ে , কি এক মাতাল আবেশে । মুহুর্ত থেকে মুহুর্ত কেটে যায় আমাদের স্বর্গীয় মধুর মিলনে ।এ মিলনে এক মুহুর্তের বিচ্ছেদ- যেন নরকের আগুনে জ্যান্ত পুড়ে মরি।
--ওয়েটিং ফর ডেথ--
যে ফুল অচিরেই ঝরে পরবে, তাকে আর জীবন দড়িতে ঝুলাতে যেওনা। এটি জীবন আর ঐ ফুল , উভয়ের জন্যেই অপমানজনক। যে ফুল ঝরে পরার সে ঝরে পরুক , জীবন যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাক , মহাপ্রানের মহামিলনে মিশে জাক ।
--গোলাপ ফুল--
“মন” আমি- যদিও ধারাল অটল কাটা , তবু প্রেয়সী আমার- মায়াবিনি হাস্যজ্জোল পাপড়ী। কঠিন আর কোমলের মিলনেই “আনন্দ সৌরভ” হয় প্রবাহিত। সে প্রবাহের মাতাল আবেশে আর না থাকে “আমি” কিংবা “তুমি” বোধ ,যা থাকে তা শুধুই “আনন্দ” আর “আনন্দ”।
--অমরত্ব--
কোন অবস্থাতেই যে নিজের ওপর ভরসা হারায় না , সে মরেও বেচে থাকে , আর অন্যের ওপর যে ভরসা করে থাকে , জীবিত থাকলেও আসলে সে মৃত।
--আরাধনা--
আমি তো নই এই শরীর- এ শরীর এক কাম ঘোড়া। এমনকি আমি এ মুখায়বে ফুটে ওঠা প্রানও নই। এ প্রকাশ্য প্রান, আমার প্রেয়সী , সে যে মায়াবিনি শিশু- আমার জান, আমার আনন্দ।
“মন”আমি- শুন্য স্বরূপ, দাতা বীর পুরুষ , আমার জানকে প্রেমানন্দে ভরিয়ে রাখাই আমার একমাত্র কাজ।
--অমরত্ব--
কোন অবস্থাতেই যে নিজের ওপর ভরসা হারায় না , সে মরেও বেচে থাকে , আর অন্যের ওপর যে ভরসা করে থাকে , জীবিত থাকলেও আসলে সে মৃত।
--আরাধনা--
আমি তো নই এই শরীর- এ শরীর এক কাম ঘোড়া। এমনকি আমি এ মুখায়বে ফুটে ওঠা প্রানও নই। এ প্রকাশ্য প্রান, আমার প্রেয়সী , সে যে মায়াবিনি শিশু- আমার জান, আমার আনন্দ।
“মন”আমি- শুন্য স্বরূপ, দাতা বীর পুরুষ , আমার জানকে প্রেমানন্দে ভরিয়ে রাখাই আমার একমাত্র কাজ।
--কার্যবিধি--
প্রানেস্বরী থাকে শরীর নামের ঘোড়ার গাড়ীতে । সে থাকে বলেই শরীরের মুখ উজ্জ্বল থাকে , সেখানে “মায়াবিনী শিশু” রুপ ফুটে ওঠে।“মন” প্রানকে অবজ্ঞা অবহেলা করলে প্রান অসুস্থ হয়ে পরে। প্রান অসুস্থ হলে শরীরও দুর্বল হয়ে পরে। কেবল “মন”ই পারে প্রানকে সুস্থ সতেজ রাখতে। “মন” সে তো বীর পুরুষ দাতা, শুন্য স্বরূপ উদার প্রেমিক। সে যত প্রানের সেবায় নিজেকে নিবেদিত রাখবে প্রান তত আনন্দিত থাকবে এবং “মন”ও মহিমান্বিত হবে, প্রশংসিত হবে। “মন” অপর মনকে তুষ্ট করা তো দূরে থাক , সম্পর্ক পর্যন্ত রাখতে পারবেনা। মনের একমাত্র কাজ হবে- সর্বপ্রানের মৌলিক চাহিদা পূরন করে তাকে যন্ত্রনা মুক্ত রাখা , সহজ সাবলিল রাখা।
--নেতৃত্ব--
যে “মন” যত বেশী প্রানকে একাত্ম করতে পারে, সে তত মহান, তত উন্নত।অতএব জনপ্রিয় সংগঠকের তুলনা নেই।
--ধাদা--
লাউ গোল আর লম্বা কি!লাউ তো লাউই । মিষ্টি গোল আর লম্বা কি! মিষ্টি তো মিষ্টিই । সঙ্গীত তো সঙ্গীতই , এর আর কম আর বেশী আওয়াজ কি? মানুষ তো “এক মায়াবিনী শিশুরূপী প্রান”ই তার আর তুলনা কি? ভেদা-ভেদ উচু নিচু কি?
--প্রেমিক--
ও মন! গোলাপের মত হও । দেখো এ প্রানময় জগত তার প্রেয়সী , তাকে সৌরভের আনন্দে ভরিয়ে তুলতে এক মুহুর্তের জন্যেও সে বিচ্যুত হয়না। শুধু দেয়ার আনন্দে মুখে হাসি লেগেই থাকে , অথচ সারা শরীর তার কাটার আঘাতে থাকে জর্জরিত ।
--রেসিং গেম--
“শরীর” বা এ “বস্তু জগত” যেন “কাম ঘোড়া”। প্রান হচ্ছে- শরীরের মুখায়বে ফুটে ওঠা “মায়াবিনী শিশু”। মন হচ্ছে- বীর পুরুষ , শুন্য স্বরূপ , সে দাতা , সবার উর্ধে, সর্বোচ্চ প্রশংসিত ও সম্মানিত , সে নিজেই নিজের পরম গুরু ।কখনো কোন অবস্থাতেই “মন” , অপর মনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবেনা , মনের প্রেমময় সম্পর্ক শুধু এক প্রানের সাথে। শুধুমাত্র প্রানের কল্যানে, “মন” তার ঘোড়াকে জীবন দৌড়ে সবার আগে রাখবে, সদা সর্বদা সে বিজয়ী বীর । ঘোড়াকে থামিয়ে দিলেই সে হেরে যাবে আর তাতে পরিনতি হবে ভয়াবহ। যতন ও শাসনের মাধ্যমে সে ঘোড়ার লাগাম নিজের হাতে রাখবে আর এই মনের দ্বারা ঘোড়া হবে প্রভাবিত। ঘৃনা, বিচ্ছিন্নতা, একাকিত্ব, স্বার্থপরতা আর দুঃখবাদকে পেছনে ফেলে, “মন” শুধু সামনে এগিয়ে যাবে জীবনের উৎসবে। এই দৌড় অবস্থাতেই, “মন” তার প্রান প্রেয়সীকে বুকে আগলে রাখবে আর প্রতি দমে দমে তাকে প্রেমানন্দে ভরিয়ে তুলবে।
--নেতা--
যে শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত, সমস্ত জগত তাকে ধ্বংসের জন্যে উঠে পরে লাগে। অথচ যেই “প্রেম রসিক” আমিত্ব মুক্ত হয়ে শুন্যের মতোন- জগতের কল্যানে, সবার দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়ে নেয়, সমস্ত জগত তাকে মাথায় তুলে নেয় ।
--বাস্তবতা--
একমাত্র বাস্তবতা হচ্ছে- মৃত্যু , যেটি অবধারিত ভাবে ঘটবেই ঘটবে। এক মুহুর্ত পরেই এই মৃত্যু যেকারোরই হতে পারে একমাত্র বাস্তবতা , যাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই । অতএব এই মুহুর্তে ড্যামকেয়ার প্রেমানন্দে থাকাই হোক একমাত্র লক্ষ্য । কাকে তোয়াজ করবো? কাকে কড দিয়ে চলবো? যেখানে আমার এই জীবনটাই এক মুহুর্ত পর আর থাকছে না !!
--সৃষ্টি রহস্য--
ছোট্ট একটা বীজ থেকে জন্ম নেয় বিরাট বটবৃক্ষ । প্রেমের টানে তাদের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য, চীর মিলনে আবদ্ধ । বীজ হচ্ছে প্রান স্বরূপ, আর বটবৃক্ষ হচ্ছে বস্তু জগত স্বরূপ। আর “মন” হচ্ছে বটবৃক্ষ বাগানের ফাকা স্থান । বস্তু জগতকে আশ্রয় দিতে মন যত ফাকা হবে , উদার হবে , আমিত্ব মুক্ত হবে এই বস্তু জগত তত প্রানবন্ত হবে , বিকশিত হবে । যার ফল স্বরূপ মনও পরিপূর্নতার সুস্বাদ পাবে।
--শাসন ও নিয়ন্ত্রন--
শুধুমাত্র প্রানকে ভালোবাসলেই ফিরে পাবে সর্বপ্রানের ভালোবাসা ও বিশ্বাস । এ জগত এসে যাবে তোমারই হাতের তালুতে।
--দোষ-গুন--
সোনা এক মুহুর্তের জন্য তার গুন হারালে হয়ে যায় তামা।লোহা এক মুহুর্তের জন্য তার গুন হারালে হয়ে যায় জং ধরা বর্জ্য । ঠিক তেমনি মানুষও এক মুহুর্তের জন্য তার গুন হারালে ইতর শ্রেনীতে পরিনত হয়ে যায়। মানুষের ভুল হচ্ছে- সে যখন ঘৃনার কারাগারে নিজেকে বন্দী করে ফেলে । মানুষের গুন হচ্ছে- “মায়াবিনী শিশু রূপী এই জগত”কে ড্যামকেয়ার প্রেমানন্দে ভরিয়ে তুলে নিজে মুক্ত থাকা ।
--আকুল আবেদন--
এ সরল সতেজ প্রকৃতির মত আমায় থাকতে দাও দিলখোলা । মায়াবিনী শিশু রূপী এ স্বর্গীয় জগতটারে প্রেমানন্দে ভরিয়ে তুলতে দাও ।
--পুরুষের স্বরূপ--
বাঘ আর পুরুষ মানুষের মধ্যে আসলে তেমন কোন তফাত নেই। বাঘ যেমন তার দাত হারালে শিয়ালের হাতেও মার খায় । পুরুষও ঠিক তেমনি তার “বীরত্ব সুলোভ ড্যা্মকেয়ার বিজয়ী” মনোভাব হারিয়ে ফেললে অপরের করুনার পাত্রে পরিনত হয়। একসময়ের বনের রাজা বাঘ তার নতজানু দুর্বল ব্যক্তিত্বের কারনে মুরগীতে পরিনত হয় , এমনকি সামান্য শিয়ালের দাবড়ানিতে তাকে দৌড়ের ওপর থাকতে হয়।
--ধ্যান-৮--
মাথা যেন আমার ঝর্না ফোয়ারা , উড়ে যায় সব উবে যায়। ভিজে যায় সব অবাধ অগাধ আনন্দধারায়।
--গুরু—
যে নিজের ভক্ত নিজে , তার ভক্ত সর্বজনে । সবাই তারে গুরু মানে ।
--এক এর রং--
“মায়াবিনি শিশু রূপী” এক প্রানকে কত নামেই না ডাকি- কখনো প্রিয়া , কখনো নেতা , কখনো স্যার , কখনো ভাতিজা , কখনো মামা , কখনো মা । এককেই শুনি , এককেই জানি , এককেই ভালোবাসি , সব সময় এক প্রেমাবেগে বেচে থাকি ।
--পরম আত্মার বানী—
আমি হচ্ছি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পানির পাম্প । শুন্য থেকে জীবনের রস বের করি আর তা এ জগতে ছড়িয়ে দেই, মাটির জগত স্বর্গে পরিনত হয়। দুনিয়ার সব নারী-পুরুষ আমায় ধরে ঝুলে থাকে। আমিই সবার একমাত্র আশ্রয় । এরা টিকে থাকে শুধু আমার শক্তিতে । আমি সর্বশক্তিমান । আমি এমনই অদম্য অটল । অথচ আমি শুন্যের মতোন শুধুই পাম্পিং করে যাই । সভ্যতা আমায় ধরে বেড়ে ওঠে। আমার পরষে মৃত প্রান ফিরে পায় । ঘৃনতরা ফিরে পায় ভালোবাসা । দুঃখী ঈশ্বর ফিরে পায় স্বর্গের ঠিকানা । আমি ইচ্ছা গুরু , আমি যা চাই দিল থেকেই চাই আর তা চাওয়া মাত্রই হয়ে যায় । আমি চাই বলেই হতাশার আধার কেটে আনন্দ আলো মানুষের চোখে জ্বলে ।
--আসল লক্ষ্য--
দুর্বিসহ দুর্যোগ , এমনকি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বিরান ভূমি, যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থাকো না কেন , তুমি শুধু প্রেমানন্দে মুক্ত থেকো । এটাই তোমার মূল , আসল , চরম গুরুত্বপুর্ন , বিশেষ জরূরী বিষয় ।
--বাহির--
শুধু এই “মন” স্বাক্ষী- সমগ্র জগত ব্যাপীয়া এক মহাপ্রানেরই প্রকাশ । সেই মায়াবিনী সরলার প্রানবন্ত প্রকাশ- নারী ও শিশুর অবয়বে প্রকট হয়ে ওঠে ।সে অবয়ব দেখা মাত্রই স্বর্গীয় অনুভুতিতে ছেয়ে যায় মন । সব দেয়াল ধসে পরে আর তাকে পুর্ন করতে- মন যেন শুন্যে উড়ে চলে ।
--দাতা--
এ “জগত” , আমার প্রান প্রেয়সী । আমার বলতে আর কিছুই নেই , এ দেহটা পর্যন্ত তাকে ভালোবাসার উপহার স্বরূপ দিয়ে দিয়েছি । এমনকি “মন”টাকেও ব্যাস্ত রেখেছি- তাকে মুক্তানন্দে পূর্ন রাখবো বলে ।
--বাহির--
শুধু এই “মন” স্বাক্ষী- সমগ্র জগত ব্যাপীয়া এক মহাপ্রানেরই প্রকাশ । সেই মায়াবিনী সরলার প্রানবন্ত প্রকাশ- নারী ও শিশুর অবয়বে প্রকট হয়ে ওঠে ।
--হে পুরুষ--
তোমার জীবন সঙ্গিনী হচ্ছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী আর তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ সুপুরুষ । তোমার জীবন সঙ্গিনী আর জগতের সমস্ত যৌবনাবতী আসলে একজন । অতএব বহুগামীতা আসলে অর্থহীন ফালতু একটা কাজ। তুমি একই চাষ নিজের জমিতে না করে অন্যের জমিতে বর্গাচাষী হয়ে নির্বোধের পরিচয় দিচ্ছো।বহুজনকে বহুরূপে নয় , বরং একজনকে বহুরূপে উপভোগ করো , তবেই জীবন তোমার স্বর্গে পরিনত হবে ।
--মনের কার্যবিধি--
“মন” , অপরের মন মানোসিকতার দ্বারা প্রতিক্রিয়া আক্রান্ত হলে , সেখানে দ্বন্দের সুচনা ঘটতে বাধ্য । “মন” , অপর কোন মনের সাথে কোন অবস্থাতেই সম্পর্ক স্থাপন করবে না , মনের সম্পর্ক হবে শুধু প্রানের সাথে । মনের প্রবাহ হবে শুধু একমূখী প্রানের দিকে নিবেদিত । কোন অবস্থাতেই সে গ্রহিতা নয় , সদা সর্বদা সে দাতা , যে এক প্রানেশ্বরীর প্রেমে নিজেকে উজাড় করে দিবে , ফাকা করে দিবে , শুন্য করে দিবে ।
--মুক্তির সনদ--
তরু-লতা, পাখ-পাখালী, বন-বনানী, জন্তু-জানোয়ার, আকাশ-বাতাস, নদী-নালা জগতের সবই মুক্ত ভাব এ বিচরন করছে- শুধু আমিত্ব দোষে দুষ্ট মানুষের মন ছাড়া । অথচ বাধ ভাঙ্গা নদীর মতো মুক্তানন্দে বয়ে গেলে এ জগত প্রানবন্ত হয়ে ওঠে, এ মাটির পৃথিবী স্বর্গে পরিনত হয় ।
মুক্তভাব হচ্ছে- যে কোন প্রানকে নিজের প্রান প্রিয়া জ্ঞান করে , তাকে নির্ভার নিশ্চিন্ত রাখার জন্যে , তাকে আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে নিজের ভেতরটা ফাকা রাখা , নিজেকে “অস্তিত্বহীন শুন্য” জ্ঞান করা । বাস্তবে ঐ প্রান নির্ভার নিশ্চিন্ত হলেই সাধকের শুন্য হৃদয়ে যেই আনন্দ স্রোত বয়ে যায় তার নাম- মুক্তানন্দ । অপরের মাঝে মুক্ত ভাব জাগ্রত করলেই নিজের ভেতরে আনন্দের মাত্রা আরো বেড়ে যায় । অতএব যে সাধক যত বেশী জনের মাঝে মুক্ত ভাব জাগ্রত করতে পারবে, সে তত বেশী আনন্দিত ।
--মুহুর্তের জয়--
“সিংহ পুরুষ- মন স্বরূপ”, “মন” কোন বস্তু নয় , এ শুন্যময় । আর এ জগত তার প্রান প্রিয়া স্বরূপ । সব খন্ডে সেই অখন্ড মহাপ্রান মায়াবিনীর দেখা পাওয়া মাত্রই- তাকে স্বসম্মানে আশ্রয় দিতে হৃদয়টা ফাকা করে দিতে হয় , নিজেকে অস্তিত্বহীন শুন্য করতে হয় , আমিত্ব মুক্ত থাকতে হয় । একটা ফাকা হৃদয়-
সেকেন্ডেই প্রেমাবেগে শিহোরিত । সেকেন্ডেই- ১০০ তে ১০০ । সেকেন্ডেই- অথৈ সমুদ্র । সেকেন্ডেই- অবাধ অগাধ ঝর্নাধারা । সেকেন্ডেই- পরিপুর্ন । সেকেন্ডেই- সতস্ফুর্ত প্রাকৃতিক । সেকেন্ডেই- অসীমে ওড়ায় পাখি ।
--সৃষ্টির রহস্য--
শুন্য আর প্রানের মিলন থেকে বিশ্ব-ব্রন্মান্ডের সৃষ্টি । এখানে শুন্য বা সাদা ক্যানভাস হচ্ছে “মন” , যা পুরুষত্বের স্বরূপ আর প্রান হচ্ছে কমনীয় মায়াবিনী নারী প্রকৃতির প্রতীক । সাদা ক্যানভাসে এ দুজনের মিলন থেকে এই বস্তু জগত চিত্রিত হতে থাকে । আবার বস্তু জগতে যে অখন্ড প্রান প্রকৃতি ফুটে ওঠে তাও ঐ প্রানেশ্বেরী নারী প্রকৃতি । এ অপরূপা প্রানেশ্বরী শুধু পুরুষত্বের স্বরূপ মনের চোখেই ধরা পরে । মন আর প্রান একে অপরকে ছাড়া এক মুহুর্তেও থাকতে পারেনা , তাদের প্রেম- যদি, কিন্তু, সুতরাং, যাচাই-বাছাই, যুক্তি-তর্কের উর্ধে । তাদের মিলন থেকেই জগত ব্যাপী মুক্তানন্দের ধারা প্রবাহিত হয় ।
--ধর্মের বিবর্তন--
এমন একদিন আসবে যেদিন আনুষ্ঠানিকতা সর্বস্ব ধর্মের অবসান ঘটবে। ধর্মের প্রচার ঘটবে কর্মের মাধ্যমে । প্রতিটি প্রানের প্রতি নিঃস্বার্থ সেবা এবং তাদের নির্ভার নিশ্চিন্ত মক্ত চেতনায় পুর্ন রাখাই হবে তখনকার একমাত্র আরাধনা ।
--মুর্ত মহাপ্রান--
“মন” সে তো পৌরষত্বের প্রতীক , “মন” যে এক অদম্য ঝর্নাধারা , যে প্রেমের টানে মুক্তানন্দে এ জগতকে ভিজিয়ে দিচ্ছে । আর নীচে জলকেলীরত কিশোরীরা যেন এক মহাপ্রানেরই মূর্ত প্রতীক ।
--মনের কাজ--
আমি কিছু না – “অনিন্দ্য সুন্দরী এক মহাপ্রান”ই সবকিছু । তার প্রেমের টানে নিজেকে নিবেদনের মাধ্যমে মুক্তানন্দে ফাকা থাকাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ।
--রামায়ন—
এ জীবন সংসারটা যেন একটা ডিম । এ জগতটা হচ্ছে প্রিয়তমা সীতা স্বরূপ – যা ভেতরের ডিম- যা প্রান স্বরূপ । ডিমের খোলস হচ্ছে- খন্ড জ্ঞান স্বরূপ- যা রাক্ষস রাবনের কারাগার – যেখানে প্রান প্রিয়া সীতা বন্দি আছে । শুধুমাত্র মন স্বরূপ- সিংহ পুরুষ রামই পারে খোলস ভেঙ্গে তার প্রেয়সিকে মুক্ত করতে- এখানে তার অস্ত্র হচ্ছে- অদম্য প্রেমাবেগ , উদারতা , উচ্ছলতা ।
--মন তরঙ্গ আর প্রান সমুদ্রের মিলন--
যে দিকেই তাকাই শুধু তারেই দেখি । বহুরূপে সেই এক মহাপ্রানের কি বিস্ময়কর প্রকাশ ! কি অনন্ত সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত প্রিয়তমা আমার , আমি বাকরুদ্ধ , বিস্ময়ে অভিভূত ! এ জগত তো তারই প্রকাশ , এ সমগ্র জগত আমার তীর্থ স্থান , আমার স্বর্গ । প্রতিটা দেহ , এক প্রানেরই বাসস্থান , তাই যে কোন দেহই আমার পরম শ্রদ্ধেয় আরাধনা মন্দির । খন্ড মুর্তির ওপরে শুন্যে ভাসমান সেই অখন্ড প্রানের নিত্য নুতন প্রকাশ । তার রূপের ঝলকে চোখ আমার ঝলসে যায় , নেশাতুর আমি তার প্রেম সমুদ্রে ডুবে যাই , হারিয়ে যাই । অতঃপর উত্তাল তরঙ্গ হয়ে- তার সমুদ্র স্বরূপ শরীর ছুয়ে যাই ,তারে মিলনের পরমানন্দে আন্দোলিত করি , তারে পুর্ন করি , ধন্য করি ।
--মন আর প্রানের মিলন মেলা--
যেদিন উদার হলাম , খোলসমুক্ত হলাম , সেদিনই দেখলাম সেই পরমা সুন্দরীকে । মুর্তির মূল আকর্ষনই সেই অমূর্ত আনন্দময়ী । প্রতিটি শরীরে থেকেও যে শরীর শুন্য , শুন্যে ভাসমান । “মন” হচ্ছে “পুরুষ” সত্তা , শুধু পুরুষ প্রেমিকের নয়নে সেই “অধরা” ধরা দেয় । সে নিত্য নতুন , চঞ্চলা বহুরূপী , সতেজ-সরলা , মায়াবিনি হৃদয় হরিনী । জগতের সমস্ত তৃপ্তির সেই মূল কারন । সেই অপরূপাকে দেখা মাত্রই আমি যেন হয়ে যাই- উত্তাল ঝর্না ফোয়ারা ধারা । বাধ ভাঙ্গা সে প্রেমের জোয়ারে সব ভেসে যায় , পারিনা ধামাচাপা দিয়ে রাখতে- অবাধ অগাধ স্বর্গীয় সে আনন্দধারা ।
--আমার প্রকৃতি--
তুমি বলছো আমি মানুষটা আসলে কেমন?
-আমি ড্যাম কেয়ার এক রসিক প্রেমিক। বীর পুরুষ যেমনি তার প্রেয়সীর সামনে আসে , ঠিক সেভাবে আমি এ জগতের সামনে আসি । খন্ড জ্ঞানের খোলস স্বরূপ অসুর শক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ন হই এবং অদম্য ব্যাঘ্র শক্তিতে জয় ছিনিয়ে নিয়ে , এক অখন্ড মহাপ্রানকে স্বসম্মানে প্রতিষ্ঠিত করি, এ মাটির পৃথিবীতে, প্রেমের স্বর্গ রচনা করি ।
--পূর্নতা--
আমি ফাকা হয়ে গেলেই , সবকিছু আমার মুক্তানন্দে পূর্ন হয়ে যায় ।
--ধ্যান-৭ --
১ মুহুর্তেই ০ থেকে ১০০ । একশও যে শুন্যতে পূর্ন ।
--সঙ্গম--
কামাশক্ত পাগল হয়ে যাও । লিঙ্গকে করো থৈ থৈ বীর্যে পাগলা ঘোড়া । এবার হয়ে যাও শুন্য । দেখবে ঘোড়া তোমার শুন্যে উড়ে চলছে ।
--শাসন--
লালসামুক্ত নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই একমাত্র অধিকার রাখে শাসন করার । শাসন ব্যাতিত নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। আর নিয়ন্ত্রনহীন জীবন তো উদ্ভ্রান্ত একটা ফালতু জীবন ।
--আচরন--
পরিস্থিতি অনুযায়ী যে ভোল পালটায় , স্বার্থের কারনে যার আচরনের ভাল-মন্দ প্রকাশ পায় , যার আবেগ উঠা নামা করে- সে আসলে একটা ফালতু লোক । অথচ জগতকে প্রেয়সী জেনে যিনি সবার সাথে একই রকম ড্যাম কেয়ার রসিক প্রেমিকের আচরন করে , তিনিই আসল পুরুষ ।
--প্রভাব প্রতিপত্তি--
দাতা পুরুষ রূপে লোক সমাজে আবির্ভুত হলে তুমি বাদশা । আর গ্রহীতা রূপে তাদের সামনে আসলে তুমি তাদেরই দাসীতে পরিনিত হবে ।
--গুরুত্ব--
ডিমের খোলসকে বেশী গুরুত্ব দিলে ভেতরের ডিমকে হারাতে হয়। ঠিক সেভাবে মানুষের খোলস স্বরূপ শরীরকে বেশী গুরুত্ব দিলে তার প্রানের সাথে সম্পর্কটাই নষ্ট হয়ে যায় । জীবন হয়ে উঠে বিস্বাদময়। খন্ড খন্ড রূপের মানুষের সাথে নয় বরং সবার মাঝে যে এক অপরূপ প্রান আছেন তার সাথে নির্স্বার্থ প্রেমময় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয় ।
--জয় গতি --
গতিশীলতাই জীবন , স্থবিরতার অপর নাম মরন। গতিশীল প্রানীকে মশা কামড়াতে পারে না । তাই গতিশীলতাই কেবল মাত্র যন্ত্রনা মুক্ত ।
--আরাধনা--
ও মন!
তুমি আর কারো নও , শুধু নিজের সত্তার ভক্ত হও। সেই তোমার পরম গুরু । সে তোমার জীবনী শক্তি , যে তোমায় রাখে সদা সর্বদা সচল সাবলীল সতস্ফুর্ত সমুজ্জোল । তোমার ভেতর থেকে সে তোমাকে প্রেরনা যোগায় , সামনে এগিয়ে নেয় , শুন্যের মতো করে তোলে ধারালো আর অসুর শক্তির বিরুদ্ধে তোমারে করে জয়ী । সমস্ত জটিলতাকে পানির মত সহজ করে- এনে দেয় তোমার হাতে মুঠোয় ।তোমারে প্রশান্তির সুশীতল ছায়ায় একমাত্র সেই দেয় আশ্রয় । অনায়াসে তোমাতে বইয়ে দেয় আনন্দের ফুল্লোধারা । তার নয়নে নয়ন মেলালেই তোমার চারিপাশ হয়ে ওঠে স্বর্গীয় প্রানবন্ত , সবকিছু প্রেমময় লাগে। তোমার নিজের সত্তারে স্থান দাও সবার ওপরে , শুধু তার ওপর রাখো অগাধ বিশ্বাস , দেখবে তোমাতে আর কোন দ্বন্দ থাকবেনা , তুমি হবে মুক্ত হাওয়ার মত ফুরফুরে খোলামেলা । দিবা নিশি প্রতি মুহুর্তে করো তার গুন কির্তন , কেবল তার স্মরনে তার আরাধনায় সদা সর্বদা থাকবে মুক্তভাবে পুর্ন , তার ওপর সব ছেড়ে দিয়ে থাকো নির্ভার নিশ্চিন্ত । তোমার “নিজের সত্তা” অনন্ত বিরাট সর্বোচ্চ শক্তি , সে তোমার আপনের আপন , সে তোমার নয়নমনি ।
--সত্তার স্বরূপ--
সে যে নারী রূপে বিরাজে ভেতর বাহির সর্বত্র । বাহিরে “কমনীয় মায়াবিনী ফুরফুরে আনন্দময়ী অমূর্ত” রূপে সর্বত্র বিরাজে সে সুন্দরী । ভেতরেও “কুন্ডলিনি নারী শক্তি” রূপে যৌনানন্দ ছড়িয়ে দেয় সারা শরীরে । এখানে “মন” হচ্ছে পুরুষ সত্তার স্বরূপ । এই পরমা অপরূপের সাথে প্রেম-লীলায় নেশাচূড় হয়ে মিলনে অটল থাকাই মনের প্রধানতম কাজ । প্রেম রসিক বিনা সবাই তার দেখা পায় না , সবাই তারে অনুভুতির ডোরে বাধতে পারেনা । সকল মূর্তিতে সতেজ সতস্ফুর্ত প্রান রূপে নিত্য সমুজ্জোল, সে “বিরাট” ।
--খোজ—
এ দুনিয়া পরম স্বর্গ , এর সব কিছুই চরম সুন্দর । অথচ এমন স্বর্গে থেকেও যে সাধক স্বর্গের সন্ধানে ঘুরে ঘুরে মরে , যে মিষ্টির দোকানদার মিষ্টির খোজ করছে , যে মাঝি নদীতে থেকেও নদী খুজে পাচ্ছেনা – এরা সবাই একই প্রকৃতির নির্বোধ ।
--চাওয়া-পাওয়া--
আমার হাতে এক সেকেন্ডও সময় নেই যে মানুষকে ঘৃনা করবো । মানুষকে যে যাচাই করবো , এমন সময়ও আমার কাছে নেই । এক পলকের এ জীবন কত না ছোট!! তাই আমি শুধু তাদের ভালোবেসে উপভোগ করতে চাই।
I have no time to hate the people. I have no time to judge the people. Life is too short. So I enjoy the life by love them.
--দল--
সংঘহীন ব্যক্তি যেন একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ , একা নিঃসঙ্গ , বিষন্ন । অথচ সে যদি সংগবদ্ধ হত , তাহলে পরিনত হত একটা বিরাট শক্তিতে আর শাসন আর নিয়ন্ত্রনের সাথে যে সংঘ যত বেশী একীভূত , সে সংঘ তত আন্তরিক , তত উন্নত ।
--পরম পূজনীয় নারী--
নারীতে ধর্ম , নারীতে পরম , নারীতে জীবন , নারীতে মায়া , নারীতে উৎসব , নারীর প্রেমেতেই মুক্তি , নারীতে স্বর্গ , কেবল নারীতে আনন্দ ।
--নারীর প্রেম--
নারী হচ্ছে হীরা , আর পুরুষ হচ্ছে লোহা । অথচ এই লোহাই সোনায় পরিনতি হয় যদি সে হীরার স্পর্সে নিজেকে প্রতিনিয়ত ধারালো করে নেয় ।
--দ্বিধা--
দৈ খাবো না খৈ খাবো , দ্বিধাগ্রস্ত মাণোসিকতার চেয়ে কুকুরের মানোসিকতা হাজারো গুনে ভালো । কুকুর মহান কারন তার মধ্যে বিন্দু মাত্র দ্বিধা নেই । সে যা করে ১০০% প্রাকৃতিক প্রেরনা থেকেই করে , সতস্ফুর্তভাবে করে , সেখানে ১% ও কৃত্তিমতা নেই ।
--দারিদ্রতা--
অর্থনৈতিক সংকট দারিদ্রতার উৎস নয় । দারিদ্রতার জন্ম হয় অন্তরের দারিদ্রতার কারনে । যার অন্তর দরিদ্র তার অনুভুতিগুলো ভোতা হয়ে যায় । নিজেকে সে গুটিয়ে রাখে , বিচ্ছিন্ন করে রাখে নিজেকে সবকিছু থেকে । জীবন তার কাছে বিস্বাদ ঠেকে , যেন মরে গেলেই বেচে যায় । নিজেকে নিজে নিপিড়নে ব্যাস্ত থাকে ,এমনকি অন্যের নিপিড়নে সে নির্বোধ থাকে , প্রতিবাদের ভাষাটিও সে হারিয়ে ফেলে । সহজ ব্যাপারকে জটিল রূপে এবং সামান্য বিষয়কে বড় করে দেখতে শুরু করে । নিজেকে প্রকাশের নিজেকে বিকাশের সব পথ সে নিজেই রুদ্ধ করে ফেলে । অতি অল্পতেই অভিমানী বিশ্বাস বস্তুটির ওপর আর ভরসা রাখতে পারেনা । সন্দেহের কারাগারে নিজেকে নিজে সে বন্দি করে রাখে । সাবলিল সতস্ফুর্ত হাস্যরসে সে কোন মানে খুজে পায় না , সব সময় মন মরা থাকাটা তার নৈমিত্তিক স্বভাবে পরিনত হয় । দ্বান্দিক মানোসিকতার ফাসি কাস্টে সে আমৃত্যু নিজেকে নিজে ঝুলিয়ে রাখে ।
--ক্ষুধা--
প্রিয়া তো পরম সৌন্দর্যের এক তীব্র ঝলকানী । পুরুষের চোখ ধাদিয়ে যায় , ঝলসে যায় । আধো আধো নেশাতুর ঝাপসা নয়নে তাকাতে হয় প্রিয়ার দিকে । তারপর আস্বাদন করতে হয়- তার রূপ রস চরম বন্য অদম্যতায় , অনন্ত মাদকতায় ।
--যুদ্ধ--
আমি বিরাট এক যুদ্ধ জাহাজ । এ সমগ্র ধারন করে বয়ে চলেছি অনন্ত এই প্রেম সমুদ্রে । আমার যুদ্ধ আমিত্বের বিরুদ্ধে অথচ প্রেমানন্দের পক্ষে । আমার যুদ্ধ মরনের বিরুদ্ধে অথচ জীবনের পক্ষে । আমার যুদ্ধ আত্মকেন্দ্রিকতার বিরুদ্ধে অথচ আত্মবিকাশের পক্ষে ।আমার যুদ্ধ আত্মঅপমানের বিরুদ্ধে অথচ আত্মমর্যাদার পক্ষে । আমার যুদ্ধ দ্বিধার বিরুদ্ধে অথচ প্রাকৃতিক সতস্ফুর্তির পক্ষে । আমার যুদ্ধ সকল কৃত্তিমতার বিরুদ্ধে অথচ শিশু সরলতার পক্ষে । আমার যুদ্ধ সন্দেহের বিরুদ্ধে অথচ বিশ্বাসের পক্ষে ।
--কর্মফল--
যদি না হও নদীর মত অদম্য । না হও উত্তাল উন্মত্ত প্রেমিক , না কর দান অকাতরে অবলীলায় । তাহলে তুমিও একদিন মাছ হয়ে যাবে , অন্যের খাবার হবে তোমার শেষ পরিনতি ।
--সিদ্ধান্ত--
নিজেকে “হা” বলতে গিয়ে যদি সবাইকে “না”ও বলতে হয় , তবে তাই বলো । কারন সবাই তোমাকে ছেড়ে গেলেও তোমার নিজের সত্তা তোমাকে কখনো ছেড়ে যায় না । সত্তার চেয়ে আপন কেউ নেই । অন্যের কারনে তুমি নিজের ভেতরের মুক্তভাব কখনো নষ্ট কর না । অন্যের কারনে নিজের শান্তিকে হারিয়ে ফেলো না ।
--গন্তব্য--
আমি শীতল বাতাসে ঠাসা এক মুক্ত বেলুন । উড়ে চলেছি “এ সমগ্র , এ স্বর্গ , এ ঐশ্বর্য্যে”র টানে শুন্য থেকে মহাশুন্যে , পরমানন্দে ।
--সম্পর্ক--
যখন তুমি মানুষকে দেখো , তখন মানুষকে না “চীর নুতন পরম”কে দেখো
যখন তুমি মানুষের কথা শুনো , তখন কথা না , সুমধুর সঙ্গীত শুনো
যখন তুমি মানুষকে স্পর্শ করো , তখন মানুষ না , স্বর্গকে স্পর্শ করো
যখন তুমি মানুষকে জড়িয়ে ধরো , তখন মানুষ না , আনন্দকে জড়িয়ে ধরো
যখন তুমি মানুষের কপালে চুমু খাও , তখন মানুষ না , তোমার সৌভাগ্যের কপালে চুমু খাও
যখন তুমি মানুষের যত্ন নাও , তখন মানুষ না , তুমি তোমার ঐশ্বর্য্যের যত্ন নাও
যখন মানুষের মানোসিক প্রতিক্রিয়া তোমার দিকে আসে , তখন সেটি মানুষ না বরং শিশুর প্রতিক্রিয়া বলে জেনো ।
--ধারক--
সে ছিল এক সুনীল আকাশ , যেখানে “জীবন” মুক্ত আনন্দে উড়ে বেড়াত সুন্দর ।
--বাদ দেয়া--
আমিত্বটাকে বাদ দিলেই আমি ফাকা হয়ে যাই , মুক্ত হয়ে যাই , রসিক হয়ে যাই । শিশুর মত উদ্যাম আনন্দে উড়ে বেড়াই আর জগতের সমস্ত প্রেমরস আমাতে পূর্ন হয়ে যায় ।
--ভাঙা গড়া--
ডিমের খোলস ভাঙলেই ভেতরের ডিমের স্বাদ নেয়া যায় । তেমনি দেহ কারাগারটা ভাঙলেই “মুক্ত মানুষ”টাকে দেখা যায় । সেই মানুষটার সাথে “প্রেমানন্দে” মাতা যায় ।
--আত্মপ্রসাদ--
নিজেকে প্রেরনা দেয়ার চেয়ে গুরুত্বপুর্ন কোন কাজ নেই । নিজেকে মর্যাদা দেয়ার চেয়ে মহান কিছু নেই । নিজেকে বিশ্বাসের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই । নিজেকে আনন্দ দেয়ার চেয়ে বড় কোন উৎসব নেই ।
--যৌনভাব--
যৌনতা মানে শুধু দুটি স্থুল দেহের মিলন নয় । মূল বিষয় হচ্ছে- নিরীহের সাথে অদম্যতার , লাঙ্গলের সাথে কোমল মাটির , লালসার সাথে প্রেমের , দৃড়তার সাথে কোমলতার , হিংস্রতার সাথে মানোবিকতার , বন্যতার সাথে নান্দনিকতার এক বিচিত্র মিলন । এ বিচিত্র উৎসব বাহিরে বেরিয়ে আসলে আয়ূ হয়ে যায় ক্ষয় । এ উৎসব শুধু সাধকের ভেতরেই খেলা করে আর ঝর্না ফোয়ারার মত সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় এক ঐশ্বরিক পুলক ।
--সফলতা--
সত্যিকারের সফলতা আসে- নিশ্চিন্তে বিনাচেষ্টায়
সতস্ফুর্ত সহজ সরল প্রাকৃতিক প্রেরনায় ।
--পাপ-পুন্য--
মনের দুই অবস্থা – সংকোচন ও সম্প্রসারন । যখনই নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবনতা দেখা দেয় , কোন কিছু আকড়ে ধরে থাকার প্রবনতা দেয় , তখন বুঝতে হবে মন সংকুচিত অবস্থায় আছে ।এটি মনের পাপী অবস্থা ।
আবার যখন অপরকে পূর্নতা দিতে ভালো লাগে , নিজেকে অকাতরে ছড়াতে ভালো লাগে , ছেড়ে দিতে ভালো লাগে , চাওয়া পাওয়ার আর কিছু থাকেনা । তখন বুঝতে হবে মন সম্প্রসারন অবস্থায় আছে ।এটি মনের পুন্য অবস্থা ।
--আহাম্মক--
অন্যরে ভালোগিরি দেখাতে গিয়ে নিজেকে যে যাতনা দেয় , তার মত আহাম্মক ত্রিভূবনে নেই ।
--নারী-পুরুষ--
পুরুষের নয়নে নেমে আসলে সেই “নিত্য নুতন হাস্য-রস প্রেম” , নারীদেহ হয়ে যায় ঈশ্বরের দেহ । সে দেহে প্রবেসিলে পুরুষ , তার মৃত দেহে হয় প্রান সঞ্চার , সে প্রানে মন মেশালে শুধু আনন্দ আর আনন্দ ।
--প্রধান কাজ--
আমি হাসির এক খোলা ময়দান । এখানে সারাদিন দিলখোলা হাসিরা করে ওড়া ওড়ি । এখানে যারাই আসে , তাদের ভালোবাসার ডানায় জড়িয়ে ধরি আর তারাও হাসতে হাসতে হাওয়া হয়ে যায় , দুঃখরা সব ঝরা পাতার মত ঝরে যায় ।
--ধ্যান-৭—
বন্ধ করো চোখ , খোলো হৃদয় , যেন তুমি মহাশুন্য । যেখানে “দেহ-মন , জ্ঞান , আবেগ ,আমি ,তুমি ,ভাল মন্দ , সময়, অনুভুতি” সব , সব হারিয়ে যায় ।
--নিয়ন্ত্রক--
মুডকে যে নিয়ন্ত্রন করে সে বাদশা , মুড যাকে নিয়ন্ত্রন করে সে গোলাম । “ড্যামকেয়ার প্রেমানন্দের” চেয়ে সেরা কোন মুড নাই ।
--নান্দনিকতা--
১৮ বছরের যুবতী আর ৫০ বছরের নারী আসলে একই নারী । নারীর সৌন্দর্য তার দেহে নয় , নারীর সৌন্দর্য তার কমনীয় মায়াবিনি প্রকৃতিতে , যার আসলে কোন দেহ নেই , তাকে পুরুষই কেবল তার মানসপটে উপলব্ধি করতে পারে শুধু । তাকে সম্মান করতে পারে , তার সাথে ভাব করতে পারে , কাম করতে পারে , প্রেম করতে পারে , পুরুষই নারীর অনন্ত সৌন্দর্য করে উন্মোচন , যার আসলে কোন স্থুল দেহ নেই ।
আমরা দেহধারী হিসেবে নারীকে জানি , কিন্তু প্রকৃত নারী প্রকৃতি , যা তার আচার আচরন অভিব্যক্তিতে ফুটে ওঠে , এটির সাথে দেহের কোন সম্পর্ক নেই , এটিকে নারী সত্তা বলতে পারো , যা সাধকের দেহের ভেতরেও কুন্ডলিনি নারী শক্তি রুপে বিড়াজিত .
--নারীত্বের সম্মান--
নারী হচ্ছে হীরক খন্ড , যা ধুলো-বালিতে থাকলেও তার দ্যুতি একটুও কমেনা , যে দ্যুতিতে চোখ ঝলসে যায় , তাকে স্পর্সে পুরুষ ধন্য হয় ।
--বীর--
ড্যামকেয়ার প্রেমামন্দে মগ্ন থাকাই আমার আসল কাজ , যে আমারে সদা সর্বদা রাখে ফাকা ।
--মহাপুরুষ--
সে- আমিত্বহীন এক মহাশুন্য । অথচ তার ভেতরেই সবাই । তার ভেতরে সাদা ক্যানভাস , অনন্ত প্রান উৎসব , অজস্র রঙের খেলা , বাধ ভাঙা প্রেমানন্দ , অফুরান স্বর্গীয় অনুভুতি , চোখ ধাদানো সৌন্দর্য !
অথচ সে “আমি আর তুমি” বোধকে দিয়েছে চীরবিদায় , নিজেকে করেছে ফাকা- এদের দিতে আশ্রয় ।
--নেতৃত্ব--
যদিও ঝর্নধারা সিংহের মতো গর্জে ওঠে , ভয় পেয়ো না । ঝর্নার মতো আপন কে আছে? সবার কল্যানে নিজেকে সে সম্পুর্ন ফাকা করে দিয়েছে , উজার করে দিয়েছে। এমন উদারতায় , তার ভান্ডার কখনোই ফুরাবার নয় , অঝর ধারায় সে ঝরে পরে সর্বাঙ্গীন কল্যানে । কে কি মনে করলো , কে কি বললো না বললো , কোন কিছুর সে ধার ধারে না , সে শুধু বয়ে চলে প্রেম উল্লাসে ।
--আত্মমর্যাদা--
এ জগত এক আয়না স্বরূপ । তুমি নিজের সাথে যেমন আচরন করো ,জীবনও ঠিক তেমন আচরনই তোমার সাথে করে ।তোমার নিজের ভেতরে আলো জ্বাললেই , সে আলোয় সবাই আলোকিত হবে । নিজেকে ভালোবাসলেই কেবল অপরের ভালোবাসা পাবে । নিজেকে শ্রদ্ধা করলে , অপরের শ্রদ্ধা পাবে ।নিজেকে বিশ্বাস করলে , তোমার ইশারায় দুনিয়া নাচবে । নিজেকে শান্তি দিলে , সর্বত্র শান্তি দেখতে পাবে । নিজেকে উজার করে দিলে , জীবনও তার ঐশ্বর্য্য তোমায় ঢেলে দেবে । নিজেকে সম্পুর্ন ফাকা করলে , জীবনও তোমাতে পূর্ন হবে ।
--শুন্য আর মুর্তির সম্পর্ক--
আমি প্রেমের এক বাশিওয়ালা । আমার মাতাল সুরে “দেহ-মন” প্রানময় হয়ে ওঠে । তাদের আশ্রয় দিতে আমি নিজেকে উজার করে দেই , ফাকা করে দেই , উন্মক্ত খোলা প্রান্তর করে দেই । সেখানে তারা নাচে গায় আনন্দ উতসবে মাতে সারা দিন । তাদের উচ্ছলতায়- শুন্য আমি পুর্ন আর তারা আমায় পেয়ে ধন্য । তারা ছাড়া আমি নেই , আমি ছাড়া তারা নেই । আমার প্রেমের মাতাল সমুদ্রে “দেহ-মন” অনায়াসে ডুবে যায় , শুধু থেকে যায় আনন্দ আর আনন্দ ।
--মুহুর্ত মহোদয়--
মুহুর্তেই বাতি জ্বলে , মুহুর্তেই নিভে যায় । মুহুর্তেরই খেলা চলে – বিরতীহীন রাত্রিদিন ।
--ধ্যান-৬--
আকাশে ওড়ার সময় , মাটির মায়া জালে আটকা পরো না ।
--জ়ীবন--
এ জীবন আর কিছু নয় শুধু হাস্যরসে ভরপুর, একে প্রেমের সাথে করো উদযাপন ।
--নিখুত--
মানুষের ময়লা মাছ খায় , মানুষ মাছ খায় , অতএব ময়লা বলে আসলে কিছু নেই , সব নিখুত , সুন্দর ।
--কাঙ্খিত ঝর--
প্রেমাবেগের উতাল হাওয়ায়- দোষ-ত্রুটি , অভিমান , ঘৃনা , আমিত্ব সব ধুলো ময়লার মতো ঝরে যায় , শুধু থেকে যায় আনন্দ।
--ধ্যান-৫--
অমাবশ্যায় ডুবে গেলেই পূর্নিমার হয় উদয় ।
--আয়তন--
ক্ষুদ্র কল্যান (নিজের/পরিবারের স্বার্থ) নিয়ে যে পরে থাকে সে পোকা মাকরের মতই ক্ষুদ্র , তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের পাত্র
বৃহৎ কল্যান (সবার স্বার্থ) নিয়ে যে ব্যাস্ত থাকে সে আকাশের মত বিশাল , সবার শ্রদ্ধার পাত্র ।
--স্বভাব ধর্ম--
আত্মমর্যাদাবান অথচ সহজ সাবলীল ফুর্তিময় মায়াবী আচরনই মানুষের প্রকৃত স্বভাব। নিজের স্বভাব থেকে বের হয়ে ভান-ভনিতার আশ্রয় নিলেই মানুষের অবস্থা হয় সীতার মতো , রাবনের (নেগেটিভ এনার্জির ) ক্ষপ্পরে পরে যায় । যেমন-
ছুরি ভনিতা করলে তার ধার হারায় , লোহা ভনিতা করলে মরিচা পরে যায় , গাছ ভনিতা করলে ফলেরা সব ঝরে যায় , ঈগল ভনিতা করলে ক্ষিপ্রতা হারায় , পাখি ভনিতা করলে আর আকাশে উড়তে পারেনা , পাহাড় ভনিতা করলে ধসে পরে , তাল গাছ ভনিতা করলে আর নিজের পায়ে দাড়াতে পারেনা , মানুষ ভনিতা করলে নিকৃষ্ট হয়ে পরে ।
--মনের প্রেম ভক্তি--
সে এক স্বর্গীয় প্রেম । যে দিকেই তাকাই শুধু তাকেই দেখি , তাকেই শুনি , তাকে ছাড়া আর কিছু না বুঝি । কি বিস্ময়কর তার খেলা ! কি প্রানোময় ! আমি পাগল হয়ে যাই , আমি মাতাল হয়ে যাই তার বিশালতার উৎসব দেখে । নেশাচূড় আমি “এক ফোটা জল স্বরূপ এ দেহ-মন”কে তার প্রেম সমুদ্রে হারিয়ে ফেলি , এখন আমার কাছে সবই এক , এখন আমি “আমিত্ব শুন্য” , শুধু প্রেমানন্দে ভরপুর ।
--লেনদেন--
যখনই মানুষের দিকে তাকাও- দেখোনা তার দেহ অবয়ব , এতো ডিমের খোলস স্বরূপ । বরং দেখো তার প্রানকে , যে “নির্মল সতেজতা” স্বরূপ সবার মাঝেই ফুটে ওঠে । তোমার প্রেরনার সৌরভে সে প্রানকে আরো উজ্জ্বল করো , করো আরো প্রফুল্লোময় ।
--কর্ম দক্ষতা--
শুন্যের মতোন শিশুরা দেহ-মন জ্ঞান শুন্য অবস্থায় থাকে বলে , হও বললেই হয়ে যায় , সতস্ফুর্তভাবে যেকোন কাজ তারা অনায়াসে করে ফেলে , কারন তাদের মধ্যে আমিত্ব নেই , “আমি এটি করছি” এই বোধই তাদের মাঝে নেই , তাই কোন বাধাই তাদের আটকে রাখতে পারেনা , তারা স্বাধীন , তাদের ফূর্তির কোন শেষ নেই । কোন কিছু ধরে থাকা বা ছেড়ে দেয়ার মাঝে শিশুরা নেই , সদা সর্বদা তারা খোলা মেলা , খেলার ছলে মজা করতে করতে অনায়াসে তারা সব করে ফেলে ।
--পরিপুর্নতা--
হৃদয়টা তার যেন ফুলেল সৌরভ , প্রতি ক্ষনে ক্ষনে ছড়ায় নিজেকে চার পাশকে দিতে পুর্নতা ।
তার ছোয়ায় মূর্তি গুলোয় প্রান ফিরে আসে , শিশু প্রানখোলা হাসি হাসে, ভোতা ছুরি ধারালো হয়ে ওঠে , দোষ-ত্রুটি সব উবে গিয়ে- কুৎসিতেও স্বর্গীয় সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ।
সুরভিত এ ফাকায় যা আসে তাই পরিপুর্ন হয়ে যায় । মরুতেও ফুল ফোটে , পাখি তার ওপর ভর দিয়ে আকাশে ওড়ে , বিষন্নতার আধার কেটে চারিদিক আলোকজ্জল ঝলমল করে , সমুদ্রে “কামনার ঢেউ” ভরপুর সাতার কাটে।
[পদ্যটি আমার প্রান প্রিয় সাধক জোনায়েদ ইকবাল এর সম্মানে উৎসর্গ করা হলো ]
--অরূপ প্রেম--
মুখ দেখে প্রেম হয় না , প্রেম করতে হয় আত্মা দিয়ে , যা দেখা যায় না ।
--প্রেম কামনা--
কাম আর প্রেমের সম্পর্ক অনেকটা ধনুক আর তীরের মত । ভেতরের কামভাব যার যত প্রবল , বাহিরে তার “প্রেম তীর” তত দূরে নিক্ষেপ হয় , তার প্রেম তত ধারালো এবং শক্তিসালী হয়।
--জননেতা—
সিংহের মাঝে আত্মমর্যাদা আছে কিন্তু অহংকার নেই , কৌতুক আছে কিন্ত ছ্যাবলামো নেই ।
সিংহ যেমন ছানাপোনাদের সাথে মজা করতে করতে তাদের যত্ন নেয় , তাদের অদম্যতা শেখায় , তাদের আরো শেখায় কিভাবে কৌতুকের মাঝেও থাকতে হয় আত্মমর্যাদাবান । ঠিক সিংহের মতই তিনি আমাদের মাঝে আসলেন । বিশ্বাসের সঞ্চার করলেন আর তার সুরভিত ব্যক্তিত্বের সৌরভে আমরা মাতাল হলাম , ধন্য হলাম।
--ইচ্ছাগুরু—
সুন্দর মনে করলেই সব স্বর্গীয়
প্রেমকে মনে পরলেই সব প্রানোময়
আনন্দ মনে আনলেই সব শান্তিময়
সহজ মনে করলেই সব সহজ
তুমি যা মনে করো , তুমি ঠিক তাই
এ জগত তোমার ইচ্ছার আয়না স্বরূপ
তুমি যা ইচ্ছা করো , তাই তোমাকে দেখানো হয় , কারন তুমি স্বয়ং ইচ্ছাগুরু ।
--মর্যাদাবোধ--
কেবল প্রেমই ফিরিয়ে আনে বিশ্বাস , আর বিশ্বাস নিয়ে যায় আত্মমর্যাদার উচ্চাসনে
আর ঘৃনা বা অভিমান জড়িয়ে ফেলে দ্বিধা-দ্বন্দের জট জালে , যা নিয়ে ছাড়ে ইতর শ্রেনীর নিম্নস্তরে ।
--নরক যাতনা--
এ জগত প্রেমানন্দের এক মহাসমুদ্র , এখানে সবই প্রেমানন্দময় । শুধু “আমিত্ব বোধ” ছাড়া ।শুকনো তীরে পরে থাকা এক ফোটা জল এই “আমিত্ব বোধ” । যে ঘৃনা আর অভিমান বশত নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে ফেলেছে , নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে । তার মাঝে আপন বলতে কেউ নেই , সবাই তার কাছে পর । এই নিম্নস্তরের বোধ তাকে নিঃসঙ্গ করে ফেলেছে , বিষন্ন মলিন করে ফেলেছে । অথচ সেও পারতো নিজেকে ছড়িয়ে দিয়ে , নিজেকে প্রকাশ করে , সমুদ্রের সাথে মিলতে । এখন কেবল প্রেম সমুদ্রে মিলনের তীব্র কামনাই পারে তাকে আবারো পরিপূর্ন করতে ।
--Dam care--
হে মন! তোমার মানোসিকতার দ্বারা “আমি” নই বিন্দু মাত্র প্রতিক্রিয়া আক্রান্ত । মহাসমুদ্রে কেউ এক মুঠো ময়লা নিক্ষেপ করলে তাতে মহাসমুদ্রের কিছুই যায় আসে না । চামচিকার লাফা লাফিতে সিংহের প্রতিক্রিয়া শুন্য । গোলাপ কখনো অন্যের মানোসিকতার ওপর নির্ভর করে সৌরভ ছড়ায় না , সে তো প্রেমাবেগে বিদ্ধ হয়ে শুধু আনন্দ বিলায় , আর “মন” তা গ্রহন করে । সুতরাং “আমিই গোলাপ” , আমি সর্বদা সুরোভী প্রেরক আর “মন” গ্রাহক । আমিই মনের আনন্দের কারন । “আমি” দেই – মন হাত পেতে নেয় । আমি গুরু , “মন” আমার শিষ্য ।
--আশ্রয়--
প্রেমই একমাত্র আশ্রয় , যেখানে দোষ-ত্রুটি , ব্যাথা-বেদনা সব উবে যায় , থেকে যায় শুধু প্রানোচ্ছল আন্তরিকতা ।
আর আমিই সেই প্রেম।
ধ্যান-৩
প্রতি দমে দমে “প্রেম-বর্শা”য় হৃদয় আমার বিদ্ধ হোক ।সে আঘাতের ঝলকানিতে মস্তিষ্ক আমার নিশ্চিহ্ন হোক ।
--নির্ভরশীলতা--
ঘরে বসে থাকলে মাছ খাবার প্লেটে আসেনা । মাছ ধরতে নিজেকে নদীতে যেতে হয় । জান বাজি রেখে ডুব দিয়ে নিজের হাতে মাছ ধরতে হয় । সেই মাছ নিজের হাতে রান্না করে , নিজে খেতে হয় , অন্যকেও খাওয়াতে হয় । যা করার নিজের হাতে করতে হয় , অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে নেই, নিজের ওপর ১০০% নির্ভরশীল হতে হয় । তবেই জীবনে সফলতা আসে।
--সম্পর্ক--
বলিউডের নায়ক জ্যাকিশ্রফ অভিনীত একটি ছবি- “তেরে মেহের বানিয়া” , একটি ব্যাতিক্রমধর্মী প্রেমের ছবি । গতানুগতিক নারী-পুরুষের প্রেমের ছবি এটি নয় । শ্রেফ সামান্য একটি কুকুর-মালিকের প্রেমের সম্পর্কের ওপর গড়ে ওঠেছে এ ছবির কাহিনী । ছোট্র কুকুর ছানাটি যখন এক্সিডেন্টে রাস্তায় কাতরাচ্ছিলো তখন জ্যাকিশ্রফ পরম যতনে ছানাটিকে কোলে তুলে নেয় , নিজের হাতে চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তোলে । নিঃসঙ্গ জ্যাকিশ্রফের জীবন প্রেমানন্দে ভরপুর হয়ে ওঠে । কুকুর ছানাটির সাথে খেলাধুলা হাসি আনন্দ আর যত্ন আত্তিতে তাদের জীবন সুন্দর কেটে যায় । কিন্তু ছবির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে জ্যাকিশ্রফকে মেরে ফেলে । কুকুরটিও পরবর্তীতে একে একে সবগুলো সন্ত্রাসীকে মেরে ফেলে । শেষ দৃশ্যে মালিকের কবরের পাশে শুয়ে থেকে অনশনরত কুকুরটি মারা যায় । এ ছবিটির থেকে শিক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে- আমাদের প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের সম্পর্ক যদি এমন প্রেমের হতো তাহলে মাটির এ দুনিয়া স্বর্গে পরিনত হতো ।
সঠিক জীবন দর্শন পর্যালোচোনায়- “আমি” , “দেহ-মন” এ তিনটি বিষয় আমাদের সামনে আসে। “আমি”র কোন প্রকাশ্য রূপ নেই , এটি ভেতর সত্তা । আর “দেহ-মন” রূপ এ প্রকাশ্য জগত , এরা বাহিরের সত্তা । উক্ত ছবিটির দুটি প্রধান চরিত্র “মালিক” আর কুকুরের সম্পর্কও এই একই সুত্রে গাথা । আমি নিজেকে ফাকা করে দিয়েছি “কুকুর ছানা স্বরূপ এ জগত”কে আশ্রয় দিতে , আমার পাওয়ার কিছু নেই , শুধু একটাই চাওয়া – আমার প্রান প্রিয় “কুকুর ছানা স্বরূপ এ জগত” যেন সুস্থ সুন্দর হাসি আনন্দ থাকে ।
ছবিটি দেখতে ক্লিক করুনঃ https://www.youtube.com/watch?v=IH2l_1gfYk0
--যৌনতার স্বরূপ--
“জো ডার গিয়া , সামঝো ও মার গিয়া”
যৌনতা কোন ভিতীকর বিষয় নয় , এটি নয় কোন পাপ কিংবা পূন্য । এটি সমাজ দ্বারা প্রভাবিত কিছু নয়। এটি প্রাকৃতিক এক স্বাভাবিক বিষয় , যার মাধ্যমে কঠিন বাস্তবতার মাঝেও প্রাপ্ত বয়ষ্ক দুটি মানুষ এক চিলতে আনন্দ খুজে পায় । যৌনতায় সব উজ্জ্বল সৌন্দর্য হয়ে যায় । দুটি গোপন শক্তি , পরম বিস্ময়ে একে ওপরকে করে আবিষ্কার । যৌনতা এক নান্দনিক খেলা , অনেকটা দুটি মানুষের পাশা পাশি দুটি পা বেধে দৌড় প্রতিযোগিতার মতো , যাতে নিরাপদে একে ওপরকে করতে পারে উপভোগ এবং সীমা স্পর্শের মাধ্যমে লাভ করতে পারে পরম আনন্দ।
--“সময়” আমার—
“মাথা” আমার ঐ উচু মগডাল
মাতাল হাওয়ায় দোলেরে…………।
“হৃদয়” আমার ঐ সুনীল আকাশ
পাখিরা সব ওড়ে রে………।
--আত্মজ্ঞান—
নিজেকে ভালোবাসার চেয়ে বিশুদ্ধ প্রেম নেই
নিজ শক্তির চেয়ে শক্তিধর কেউ নেই
নিজেতে ভক্তির চেয়ে মহিমান্বিত কিছু নেই
নিজেকে বিশ্বাসের চেয়ে খাটি কোন বিশ্বাস নেই
নিজের চেয়ে বড় কোন আনন্দ নেই
নিজের স্বাধীনতার চেয়ে আর কোথাও মুক্তি নেই
নিজের চেয়ে চাক্ষুস কোন স্বাক্ষী নেই
নিজ ভরসার চেয়ে পর-ভরসায় কাজ নেই
নিজের চেয়ে গুরুত্বপুর্ন কেউ নেই
নিজের চেয়ে আরামদায়ক কেউ নেই
নিজের চেয়ে ঐশ্বর্য্যশালী কেউ নেই
নিজের চেয়ে সুন্দর কেউ নেই
নিজের চেয়ে মার্জিত কেউ নেই
নিজের চেয়ে সঠিক কেউ নেই
নিজের চেয়ে কামনীয় কেউ নেই
নিজের চেয়ে প্রেমময় কেউ নেই
নিজের চেয়ে মায়াবী কেউ নেই
নিজের চেয়ে পূজোনীয় কেউ নেই
নিজের চেয়ে বড় কোন নেতা নেই , ক্ষমতাবান নেই
নিজের চেয়ে দায়িত্বশীল অভিভাবক নেই
নিজের চেয়ে সুগন্ধি কিছু নেই
নিজের চেয়ে সুস্বাদু কিছু নেই
নিজের চেয়ে বিস্তৃত কিছু নেই
নিজের চেয়ে বিচিত্র কিছু নেই
নিজের চেয়ে নতুন কিছু নেই
নিজেকে নিজে বিরক্তির মাঝে আমি নেই
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ততার মাঝেও নেই আমি
নিজেকে নিয়ে নিজের আমার গর্বের শেষ নেই
নিজেতে নিজেই আমার আশীর্বাদের কমতি নেই
নিজের আশ্রয় নিজে ছাড়া আমার আর কোন আশ্রয় নেই
--জগত সংসার--
এ জগত একটা ঘোড়ার গাড়ি । এর সামনে কামনার ঘোড়া দৌড়াচ্ছে । এর ওপরে “প্রেমানন্দ” গাড়োয়ানের ভূমিকা পালন করছে , হাতে তার ঘোড়ার লাগাম । ঘোড়াহীন গাড়ীর যেমন কোন মূল্য নেই , কামনাহীন জীবনও অর্থহীন । আবার যে গাড়িতে গাড়োয়ান নেই , সেই গাড়িকে অবুঝ ঘোড়া যে ধ্বংস করে ছাড়বে সেটি সবাই জানে । ঠিক তেমনি প্রেমানন্দ বিহীন জীবনও লাগাম ছাড়া কামনার উন্মদনায় ধ্বংস হয়ে যায় ।
আর যে গাড়োয়ান অভিমান বা ঘৃনা বশত গাড়ি থেকে নেমে যায় , জীবন তার কাছে বিস্বাদ । কারন সে অহংকারী , সে নিঃসঙ্গ , এক বিচ্ছিন্ন সত্তা ।
--হিসেব--
কোটি কোটি প্রান বাচাতে , কোটি কোটি লিটার জল দিতে নদীর কোন হিসেব নেই । তাই তো নদীর জল একটুও কমে না । বরং ভরপুর আনন্দ জলে সে টইটুম্বর ।
--যৌনতা—
যৌনাবেগ আসলে দেহ নির্ভর নয় , দেহের প্রতি আকর্ষন গৌন বিষয় । এটি রক্ত মাংসের ওপর “অরূপ প্রান” এর আজব খেলা । বিপরীত সত্তার বিচিত্র আচরনের প্রতি তীব্র আসক্তিই যৌনাবেগ। এটি মনের “কাম” স্তর। দৃড়তা ও কোমলতার একে অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষনে উত্তাল পাগল প্রায় অবস্থার নাম যৌণতা । এর কোন বিচার বিবেচনা বিবেক বলতে কিছু নেই , আইন নেই , যাচাই বাছাই নেই , এর কাছে বাধা বলতে কিছু নেই , এর আছে শুধু তীব্র আবেগ থেকে তীব্র যৌনানন্দ। যৌনতা একটা পাগলা ঘোড়া , এতে “শুন্যের লাগাম” পরিয়ে নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে রাখলে , এও ভক্তে পরিনত হয় । যৌনতা প্রকৃতির এক অনন্য দান , এটি ছাড়া যৌবন বিস্বাদ হতাশাময় ।এর কাছে বিপরীত সত্তার বিচিত্র বিষয়াদী মানেই চরম সৌন্দর্য , পরম আনন্দ । এটি একটি শিল্পকলা ও নান্দনিক বিষয় । এটি ছাড়া অবস্তু বস্তু হতে পারতো না , অপ্রান প্রানময় হতে পারতো না । ঘৃনা বোধে কখনো যৌনাবেগ আসতে পারে না।
--দেহ-মন আর আমি—
“শরীর” যদি গাড়ী হয় , তবে “মন” এর ড্রাইভার , আর “আমি বা গাড়ীর মালিক” ড্রাইভারের পেছনে বসে ড্রাইভারকে নির্দেশনা দিচ্ছি- কিভাবে কিভাবে গেলে “প্রেমানন্দ” নগরে যাওয়া যাবে । এখন ড্রাইভার (মন) যদি “নিজের মালিকের” কথা না শুনে , আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে , অন্য ড্রাইভারের কথায় চলে , তবে সে রাস্তা হারাবে নিশ্চিত এবং তার এ যাত্রা হবে ধ্বংশ যাত্রা ।
--হত্যা--
ঘৃনা আর অভিমানকে পূজা করতে করতে তার এতোটাই শোচনীয় পরিনতি হয়েছিল যে , এক পর্যায়ে ইদুরের স্তরে নেমে গিয়েছিল সে । খুত খুতে সে সব কিছুই শুকে শুকে দেখতো । নিজের ভেতরে গুটাতে গুটাতে সে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল । মানুষ তাকে চিনতে না পারলেও কুকুর ঠিকই চিনতে পেরেছিল , যে অভিশপ্ত সত্তা সে বহন করে চলছিল , তার থেকে তাকে নিষ্কৃতি দিতে কুকুরের পাল একদিন আচমকা তার ওপর ঝাপিয়ে পরেছিল , টেনে হিচড়ে তার পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে তাকে নগ্ন করে ফেললো , যে মশ্তিষ্ক তার অভিশপ্ত যাতনায় কাতর থাকতো , সেটিকে তাদের ধারালো দাত দিয়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলো , তাকে মুক্তি দিলো ।
--সামাজিকতা--
যদিও আমি কোলাহল এই রাজপথে হাটি , তবুও আমি আকাশ । আমার হৃদয়াকাশে মানুষেরা মেঘমালা হয়ে উড়ে যায় সুন্দর ।
--আগমন--
সে আসলে- মুহুর্তেই খুলে যায় বদ্ধ দুয়ার । সে আসলে- মন পাখি ঊড়ে যায় প্রেমাকাশে । সে আসলে- আনন্দ ধারায় শিহোরিত এ শরীর । সে আসলে- সব সুন্দর । সে আসলে- সব সম্ভব । সে আসলে- মস্তিষ্ক ফাকা , অথচ আনন্দে পুর্ন ।
--গুরু শিষ্য--
শরীর যদি কম্পিউটার হার্ডওয়ার হয়
মন তার সফটওয়ার , মন শরীরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় , অপারেটরের ইচ্ছায়
আর আমি হচ্ছি তাদের অপারেটর ।
আমার ইচ্ছায় তারা চলে , আমি তাদের গুরু , তারা আমার প্রিয় শিষ্য ।
আমার ইচ্ছাকে বাদ দিয়ে সে যখন বাইরের অন্য কারো ইচ্ছায় চলে তখনই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়
মন যখন ভাইরাস আক্রান্ত হয় , তখন সে নিজের ইচ্ছায় এলোমেলো চলা শুরু করে
তার এ পাগলামীতে শরীরও অসুস্থ্য হয়ে পরে ।
--টাইম পাস--
প্রেমানন্দে ছিলাম , আছি , থাকবো চীরদিন
প্রেমানন্দই একমাত্র লক্ষ্য , গন্তব্য , উদ্দেশ্য , ভাবনা ও কর্ম
প্রেমানন্দই আমার একমাত্র লেনদেন
প্রেমানন্দে ডুবি , ভাসি , মুক্ত হাওয়ার মত করি ওড়া ওড়ি
প্রেমানন্দ ছাড়া এক মুহুর্ত না থাকি ।
--বাস্তব ধর্ম—
দৃশ্যমান সৃষ্টিকে যে ভালোবাসে না
অদৃশ্য ঈশ্বরকে সে কিভাবে ভালোবাসবে?
দৃশ্যমান জগতে যে স্বর্গ পায় না
অদৃশ্য জগতে সে কি লাভ করবে?
--Funny Romantic--
এ জগত , আমার হৃদয় তালুতে দোলেরে
আহা কি আনন্দে মন আমার ওড়ে রে……।
--মহাকর্ষন--
হৃদয় আমার এক মহাশুন্য আবেগে- ধারন করে এ পৃথিবী
এ মহাশুন্যের টানে পৃথিবী , পৃথিবীর টানে মহাশুন্য ।
আকাশের টানে পাখি
পাখির টানে আকাশ ।
পথের টানে পথিক
পথিকের টানে পথ ।
ফুলের টানে ভ্রমরা
ভ্রমরার টানে ফুল ।
জলের টানে তৃষনার্ত
তৃষানার্তের টানে জল ।
মাটির টানে বৃষ্টি
বৃষ্টির টানে মাটি ।
চুম্বকের টানে লোহা
লোহার টানে চুম্বক ।
শরীরের টানে মন
মনের টানে শরীর ।
প্রেমের টানে আনন্দ
আনন্দের টানে আনন্দ ।
সাগরের টানে নদী
নদীর টানে সাগর ।
সন্তানের টানে মা
মায়ের টানে সন্তান ।
জনগনের টানে নেতা
নেতার টানে জনগন ।
যে বিচ্ছিন্ন যে অভিমানী , সে ধ্বংস
কেউ কারো সাথে নয় বিচ্ছিন্ন , সবাই মিলে মিশে একাকার
এ যে মহাপ্রেমের এক রসের খেলা
এ “রাঙা-উৎসব” , প্রান ভরে করো উদযাপন ।
--নির্বান—
প্রেমের এ মাতাল আবেগে
ডুবে যেত দাও আমায়- নীরবে নিস্তবদ্ধে ।
--আমি কে ?--
না আমি “শরীর” , না “মন”
এ “শরীর” আমার ভালোবাসা , আমার আশ্রয়ে
এ “মন” , আমার আনন্দে ।
--জোকার--
জোকার ! সে যে এই জগত মঞ্চের মধ্যমনি
জোকারের চেয়ে উপকারী বান্ধব আর কেউ নেই
“প্রেমিক” যেমন মাছেদের বরশী থেকে মুক্ত করে আনন্দ সমুদ্রে ছেড়ে দেয়
জোকারও তেমনি , দর্শকদের মন টা দুঃখ থেকে আলগা করে শুন্যে মিলিয়ে দেয়
আর যা পরে থাকে তা শুধুই বিশালতা আর আনন্দ ।
কখনই জোকারের আনন্দ বাহিরে মিলিয়ে যায় না ,
কারন তার বাহির বলে আসলে কিছু নেই ,
এই “জগত মঞ্চ” , এই “দর্শক” সবাইকে সে তার ভেতরের সত্তা মনে করে
তাই সে যখন আনন্দ ছড়িয়ে দেয় , সে আসলে নিজের ভেতরেই তা ছড়িয়ে দেয় ।
--অমূল্য দান--
বলেছিলে তুমি- কি দিতে পারি আমি ?
শিশুর সরলতায় তোমায় শুধু হাসাতে পারবো
হাসতে হাসতে আমরা উড়ে বেড়াব- আকাশ থেকে আকাশে আকাশে
আর ভাসবো শুধু ভালোবাসার বাতাসে ।
--মন্ত্র--
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি-
আমি বিশ্বের নাম্বার 1 ধনী
আমার চেয়ে ভাগ্যবান আর সুখি কেউ নাই ।
--বিশালতা--
প্রেমিকের হৃদয় মহাসমুদ্রের মত আনন্দ উত্তাল
যেখানে হিমালয় পর্বতও অনায়াসে আশ্রয় পেয়ে যায় ।
--“সুখ”--
“সুখ” যেন একটা মোমবাতির আলো
বাহিরের বাতাসে “মোমবাতির-আলো” নিজেকে মেশালেই নিভে যায়
ঠিক এভাবেই , “মন” বাহিরের “সুখ” তালাশ করলে , বিনিময়ে পায়- দুঃখ
“মন” বাহির থেকে কিছু আশা করলে , বিনিময়ে পায়- নৈরাশা
“মন” ব্যক্তির থেকে কিছু পেতে চাইলে , বিনিময়ে পায়- “যন্ত্রনা” ।
অথচ যে “মন” নিজের ভেতরে “সুখ”কে পেয়ে গেছে , সে আর বাহিরের জ্বালে বন্দি নয়
বাহিরের থেকে তার চাওয়া পাওয়ার আর কিছু নেই
বরং সে কেবল তার ভেতরের “সুখ” বাহিরকে দিয়ে যায় ।
--ঝর্না ফোয়ারা--
আমি হচ্ছি- এক ঝর্না ফোয়ারা
যে কিনা প্রতি মুহুর্তে , প্রেমানন্দ দিয়ে এ জগতকে ভিজিয়ে দিচ্ছে ।
--আপন পর--
সমুদের কাছে নেই- দূরে কিংবা কাছে
সমস্ত মাছেরা এক সমুদ্রের বুকে বয়ে বেড়ায় সুন্দর ।
--নিয়ন্ত্রন--
আমি আছি তো দুনিয়া আছে , আমি নাই কিছু নাই
আমি দুনিয়াতে না , বরং দুনিয়া আমাতে
আমি গাছ হলে , দুনিয়া আমার পাতা
দুনিয়া ঢেউ হলে , আমি সমুদ্র
আমি গাড়োয়ান হলে , দুনিয়া আমার ঘোড়া , আর আমার লাগাম হলো “ত্যাগ”
লাগাম হাত ছাড়া করলে , আমি ভোগি হয়ে যাই
লাগাম হারিয়ে ধপাস করে নিচে পরে যাই ,
আর দুনিয়া মানে ঘোড়ার লাথি খেতে খেতে জীবন যায় ।
--নাঙ্গা সাধক—
জিজ্ঞাসিলাম এক অখন্ড প্রেমিককে-
“এমন তীব্র শীতেও উদাম আছেন , শীত করে না?”
তিনি বললেন- “আমিই এই সমগ্র , সদা সর্বদা উদাম , খোলামেলা
যার বাহির বলতে কিছু নাই , যার ভেতরে শীত
তারে বাহিরে আর ছোবে কি?”
-দৃষ্টিভঙ্গি--
চাওয়া পাওয়ার কারাগারে- আমার দৃষ্টি বন্দী হয়ে গেলে
বেড়ে যায় আমার কষ্ট ।
অথচ শুধু দিয়ে যেতে পারলে
আমিও উড়ে বেড়াতে পারতাম ঐ পাখির মত মুক্তানন্দে ।
--শান্তির শর্ত--
ভোগে বন্দী হবে
ত্যাগে মুক্তি পাবে
“মুক্ত-প্রান”ই আনন্দিত হবে।
--আমার জগত—
বলোনা- “প্রকাশ্য এ জগত” বাহিরে
বরং বলো- এ জগত আমার ভেতরে ।
বলোনা – এই শরীরের ভেতর আমি আছি
বরং বলো- ছোট ছোট শরীরেরা আমার ভেতরে হেটে বেড়ায়
যেমন সমুদ্রের বুকে ঢেউ এরা বয়ে বেড়ায়
সমুদ্র ! সে তো আপনার বিশালতায় আপনি আনন্দ উত্তাল , ঢেউ এ উজার , বয়ে চলেছে সীমাহীন ।
--আত্মমর্যাদা--
কেহ নহে কেহ আমার বাইরে
এই মহাশূন্য , এই জগত , এই “জীবন-মরন” সবাই আমারই ভেতরে
কি বিরাট আমি !
ধন্য আমি
নিজেকে নিয়ে নিজের আমার গর্বের শেষ নাই , আনন্দের সীমা নাই ।
--পরামানন্দের সূত্র--
সব বন্ধ করে দাও আর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাও
তারপর ভালোবেসে ধারন করো এই সমগ্রকে
যেমন নিস্তবদ্ধ মহাশুন্য ধারন করে পৃথিবীকে ।
--জনদরদী--
জননেতা যেন এক বিরাট বট বৃক্ষ
জনগন তার পাতা
সে দোলে তো পাতারাও দোলে
সে আছে তো পাতারা আছে
সে নাই তো কিছু নেই ।
--অন্বেষন--
কই আপনি ?
--এই যে আমি।
কই আপনারে তো দেখি না ? চারিদিকে শুনাসান নীরবতা ছাড়া তো আর কিছুই নাই
--তুমি যে স্থানে আছো , এই গহীন নীরব স্থানটিই আমি।
কি বলছেন এসব? তাহলে আমি কোথায় বলেন?
--তুমি আমার ভেতরে।
আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন?
--মাছ কখনো সমুদ্রকে দেখতে পায় না।
--কবির অনুভুতি—
প্রকৃত রোমান্টিক কবির আসলে নির্দিষ্ট কোন শরীর নেই
অথচ সমগ্রের সাথে তার “অবিচ্ছেদ্য আন্তরিক সম্পর্ক”
তাকে সার্বোক্ষনিক যৌনানন্দ দেয়।
--বন্ধুত্ব --
স্ববান্ধব হাস্যজ্জোল
ফুর ফুরে হাওয়ায় স্নান সারি , চলো শুন্যে উড়ি ।
--ধনী—
দু হাত বাড়িয়ে
সে ছুটে এসেছিল- জীবনের কাছে
জীবনও অকাতরে তারে করেছিল দান- প্রান ঐশ্বর্য্য ।
উদাম হৃদয়ে সে এসেছিল জীবনের কাছে
জীবনও অঝরও ধারায় ঝরে পরেছিল তার ওপর- রিনিঝিনি রিনিঝিনি ছন্দে
তা থৈ তা থৈ নেচে ছিল সে , কি যে পরমানন্দে !! কি যে পরমানন্দে !!
--আনন্দ আচরন—
নিঃস্বার্থ মায়াবিনীর
রসময় প্রকাশ ।
--শেষ বিদায়--
এক পলকের এ জীবন
বাচতে দাও প্রান ভরে ।
এ গানই , জীবনের শেষ গান
গাইতে দাও প্রান খুলে ।
এ ভালোবাসাই , শেষ ভালোবাসা
ভুল-ত্রুটি সব ভুলতে দাও ।
এ আনন্দ , শেষ আনন্দ
প্রান আনন্দে মাততে দাও ।
এ খেলা , জীবনের শেষ খেলা
সেরা খেলাটা খেলতে দাও ।
এ বিদায়, শেষ বিদায়
আরেকটু কাছে থাকতে দাও ।
এ উচ্ছাস , জীবনের শেষ উচ্ছাস
হাসতে হাসতে অশ্রু নামে ।
এ শোক , জীবনের শেষ শোক
কান্নার জোয়ারে সব ভাসে ।
এ দেখাই শেষ দেখা
যেমন আকাশ দেখে- পাখি উৎসব ।
এ কথাই শেষ কথা
কথার মায়ায় জড়িয়ে ধরি ।
এ ভ্রমন , আমাদের শেষ ভ্রমন
ফুরফুরে হাওয়ায় উড়ি আর উড়ি ।
এ কাজই জীবনের শেষ কাজ
পরতে পরতে ছড়াই সুন্দর ।
এ বিশ্বাসই জীবনের শেষ বিশ্বাস
বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই ।
এ ঘুমই জীবনের শেষ ঘুম
নিশ্চিহ্ন আমি আধারে মিলাই ।
এই তো চায়ে শেষ চুমুক
প্রান ভরে নেই অমৃত স্বাদ ।
একটু পরেই আসবে মরন , উড়বে আমার পরান পাখি
ভাঙবে খাচা সকল বাধ ।
-জীবন মন্ত্র--
ভালোবাসি- কোন আশা না করে
খাই- প্রান ভরে
কাজটা করি- ভালোবেসে
ঘুমাই- আরামে
--মহাশক্তি--
একবিন্দু ভোরের শিশির যেমন সূর্যের চুমোয় উবে যায়
এ প্রকাশ্য জগত , এ শরীরও তেমনি প্রেমের সমুদ্রে ডুবে যায়।
--পুরুষোত্তম--
একটি শীতল অটল ধারালো ছুরি , যদিও নরম কেকের ওপর দিয়ে যায়
তবু ছুরি সবসময় ছুরি
তার “শীতল ধারালো অটল” ধর্ম থেকে সে একচুলো নড়ে না
সুস্বাদু কেকের কোমলতার কাছে সে কাবু হয় না ।
--আমার স্বাদ—
বসন্তের আমি এক মাতাল হাওয়া
ফুরফুরে উড়ে বেড়ানোই আমার নিয়তি
এ জগত সংসার আমার ফুলের বাগান ।
পরশে আমার , ফুলেরা ঐ দোলে আর দোলে
ওদের সুখে হৃদয় আমার , ওড়ে শুধু ওড়ে ।
--মন্ত্র--
বিশালে হাসি
এমনি ভালোবাসি....
--সুত্র--
হাসি এখন
কান্না পরে ।
--মধুর ভুল--
কাটা গুলো – এই ভুল গুলো সরিয়ে
শুধু ভালোবাসবে আর আমার সুবাস নিবে
মাতাল হবে , ধন্য হবে ।
--ধনী--
যে দেয় , সে পায়
যে চায় , সে হারায় ।
--যৌনতা—
বীর্য ধারন ক্ষমতাই সাধককে যৌনতা ছাড়াই সর্বোক্ষন যৌনানন্দ দেয়
বীর্য পতন তাকে সব দিক দিয়ে দুর্বল করে দেয়।
--জপমালা--
প্রতিদিন ১০০ বার বলিঃ
আমিই “মুক্তানন্দ”
প্রতিদিন ১০০ বার বলিঃ
আমার কারনে সবাই সুন্দর
প্রতিদিন ১০০ বার বলিঃ
“সহজ প্রেমানন্দ” ছাড়া আর সব ফালতু ।
--সর্বোক্ষন--
শিশুর মুক্ত মনরে করো স্মরন
হাসো বিশালে অকারন
এই কথাটা মানিলে ও মন
হবে না আর তোমার মরন ।
--হাজিরা--
তোমার উপস্থিতি যদি হয় , অন্যের ভালোলাগার কারন
ধন্য তুমি , “প্রেমানন্দ” তুমিই কর ধারন
--ভেতর-বাহির--
“বাহির” , আমার স্বর্গ
আর “ভেতর” , সে স্বর্গের উৎস ধারা
এক একটা মানুষ , স্বর্গের এক একটা ফোটা, একটা আনন্দ
……০……
প্রিয় সাধকদের থেকে চয়নকৃত চুম্বক অংশঃ
বুদ্ধ বুদ্ধের মত
কৃষনো কৃষনের মত
আর তুমি তোমার মত
এবং তুমি কারো চেয়ে কোন অংশে কম নও
নিজেকে ভক্তি কর !
নিজের অন্তর প্রেরনাকে ভক্তি কর ও তা অনুসরন কর !
-“অশো”
---0---
***ইরানী সুফি স্ম্রাট হাফিজ সিরাজী অমৃত সুধা চয়ন করা হয়েছে- প্রিয় বান্ধব, অরন্য আপন এর অনুবাদকৃত “বেহুলা বাংলা” প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত গ্রন্থ “আই হার্ড গড লাফিং” থেকেঃ-
ভালোবাসার এমন অনেক মুহুর্ত আছে
যা দেখে স্বর্গ ঈষার্ন্বিত হয় যে
আমরা পৃথিবীতে এসব করছি।
*
যখন তুমি কাউকে হাসাবে
এই হাফিজ
তোমার জন্য ঈশ্বরের কাছে হাত তুলবে ।
*
তুমি আমার এরকম বন্ধু
যে আমাকে না জানিয়ে
আমার ঘরে রাতের বেলা শুয়ে থাকে
আমি ঘুমিয়ে গেলে
আমার সব দুঃখ বেদনা
তোমার সুন্দর হাত দিয়ে মুছে দাও ।
*
জীবন দানকারী সূর্যের মতো তোমার হৃদয়টাকে
এই মানুষের পৃথিবীর মধ্য দিয়ে
বহন করো ।
*
গান করো
কারন গান হলো খাদ্য
যা অভুক্ত পৃথিবীর জন্য খুব প্রয়োজন ।
প্রান খুলে হাসো
কারন হাসি এই পৃথিবীর একমাত্র পবিত্র শব্দ ।
*
যদি কেউ আমার পাশে এসে বসে
আমি আমার প্রিয় মানুষকে নিয়ে কথা বলি
যদি আমি তার হৃদয় নরম করতে না পারি
যদি আমি তাকে ভালো অনুভুতি না দিতে পারি
এই পৃথিবী আর তার নিজের ব্যাপারে
তাহলে এই হাফিজ
মসজিদে ছুটে যায় এবং প্রার্থনায় নিমজ্জিত হয়
তোমার কাছে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
আমি জানি, এটাই আমার একমাত্র পাপ ।
*
আমি সূর্যের আয়না তাক করে রেখেছি
তুমি যা কিছু করছো
তার সবকিছুর অত্যাশ্চর্য প্রতিফলন দেখতে পাবে ।
*
এই মুল্যবান ভালোবাসা এবং হাসি
যা তোমার হৃদয়কে আলোড়িত করে রেখেছে
এটা কি?
এটা হলো তোমার জাগ্রত আত্মার কুদরতি শব্দ ।
*
হৃদয়টা হলো হাজারটা বাদ্য যন্ত্রের তার
যা শুধু ভালোবাসার পরশ পেলেই বেজে ওঠে ।
*
মানুষের জন্য ভালোবাসাটা খুব দরকার
কারন ভালোবাসাই জীবনের আত্মা
সাধারনত ভালোবাসাই সৃষ্টির সেরা আনন্দ ।
*
তুমি নিজেই নিজের কাছে
বড় বাধা
নিজের উর্ধ্বে ওঠো ।
*
জেগে ওঠো প্রিয়
নিজের হৃদয়ের প্রতি সদয় হও
বাইরের আলোর মাঠে নিয়ে যাও
মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে দাও ।
*
একটা দিনের জন্য
শুধু একটা দিনের জন্য
সেসব কথা বলো-
যা কাউকে বিরক্ত করবে না
এবং এই সুন্দর দু’চোখ শান্তিতে ভরে তুলবে ।
*
সুখ তোমার কাছেই আছে ।
*
যে হৃদয়ে ভালোবাসা আছে
সে হৃদয় মরে না ।(সে হৃদয় ক্লান্ত হয় না )
*
চুপচাপ এখানে বসে থাকো
একটা কিছুও ভাবতে পারবে না
আরাম করো
তোমার ঈশ্বর আর তোমার ভালোবাসা থেকে
দূরে থাকা
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ ।
*
আনন্দের একটা দিনও
দুঃখ করে মাটি করো না
এই অস্থায়ী পৃথিবীর কাছ থেকে
কোন কিছুর আশা করো না ।
*
পৃথিবীটা মরে যাবে
যদি সূর্য তাকে চুমু খাওয়া বন্ধ করে দেয় ।
*
যখন তোমার সব আশা মরে গেছে
তখন দুটি ভোট কাস্ট করো
এক, বেশি ভালোবাসার জন্য
দুই, সুখি হওয়ার জন্য ।
*
একটা দুঃখ হচ্ছে প্রিয় পৃথিবী
যা আমার হওয়ার কথা ছিল না
যখন আমি এই মৃত্যুর বিছানায় শুয়ে আছি
দুঃখ হচ্ছে
আমি তোমাকে যথেষ্ট চুমু খাইনি ।
*
আমি জানতে পেরেছি যে
প্রত্যেকটা হৃদয় তা-ই পায়
যা সে সর্বস্ব দিয়ে চায় ।
*
***ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত আরো কিছু অমৃত ভান্ডার মহাকবি হাফিজ সিরাজীরঃ
এসো প্রেমে মাতাল হই , যদিও তা আমাদের ধ্বংস ডেকে আনে , আনুক। মাঝে সাঝে ধ্বংসের নীচেও কেউ না কেউ গুপ্তধন খুজে পায়।
*
তোমার হৃদয় আমার হৃদয়- অনেক অনেক দিনের পুরোনো বন্ধু ।
*
সারা জীবন নয় , একটা মুহুর্তের জন্য এখন জেগে উঠো । আকাশের পানে একটা মাত্র ঝাপই যথেষ্ট । হাফিয ! একবার জেগে উঠো , প্রেমের ছোট্র এক মুহুর্ত সমস্ত দিনটাকে রাখে সমুজ্জোল ।
*
জানি , এ দুনিয়ায় অনেক অনেক গুরুত্বপুর্ন কাজ আছে , যেখানে এখনই যাওয়া দরকার , কিন্তু কি করবো বলতো? আজ রাতে যে তুমি আছো।
*
এমন মধুর সঙ্গীত নিয়ে কোথায় চলে গিয়েছিলে? ফিরে এসো আর আমায় শোনাও- সেই সুর । জগতের কোন কিছুই আমি পাত্তা দেই না , শুধু তোমার উপস্থিতি অপরূপ সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়িয়ে , আমায় রাখে পরিপূর্ন ।
*
আমি সব সময় আমার হৃদয়ে মিশে যাবো- তোমার আত্মার কাছাকাছি, যতটা পারি ।
*
তোমার সাহচার্যে আসলেই আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভুলে যাই,যেন আমরা একে অপরের কাছে কত অপরিচিত ।
---0---
হাসির মাধ্যমে শান্তির সূচনা হয়।
*
যখনই তুমি কারো দিকে হাসি মুখে তাকাও , এটি সেই মানুষটির জন্য একটা দামী উপহার ।
*
তুমি যদি মানুষকে শুধু যাচাই করতে থাকো , তবে তাকে ভালোবাসার আর সময় পাবেনা।
*
আসলেই তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো , তুমি তা থেকে যন্ত্রনা পেতে পারো না , কারন প্রকৃত প্রেম থেকে শুধু প্রেমানুভুতিই আসে আর কিছু না ।
-“মাদার তেরেসার পবিত্র বানী”
---0---
বিশ্বখ্যাত সাধক রামানা হৃদায়া্মার কিছু বানীঃ
দুনিয়া, শরীর থেকে বিচ্চিন্ন নয়
শরীর , মন থেকে বিচ্ছিন্ন নয়
সুচেতনা থেকে মন বিচ্ছিন্ন নয় , এই তো অস্তিত্ব
কাজেই এটা অনায়াসে বলা যায় যে , সবি সত্তা এবং আর কিছু নয় শুধু সত্তাই অস্তিত্বময়
-
আমি বাস করি সত্যের দুনিয়ায় , যেখানে তোমারটা কাল্পনিক। তোমার দুনিয়া নিজস্ব , ব্যক্তিগত , ভাগাভাগি অযোগ্য , একান্তই তোমার নিজের। কেঊ এটাতে ঢুকতে পারেনা ।দেখো যেমনটি – তুমিই দেখো , শুনো যেমনটি- তুমিই শুনো , তুমিই তোমার আবেগকে অনুভব কর এবং তোমার ভাবনা চিন্তা কর । তোমার পৃথিবীতে তুমি আসলেই বড্ড একা , তোমার জীবনের জন্যে যে স্বপ্ন দেখো- সেটিতেই আবদ্ধ থাকো ।
আমার দুনিয়া একটা খোলা দুনিয়া , সবার জন্যেই একরকম , সবার দ্বারা ব্যবহৃত আমার দুনিয়ায় আছে গোত্র , সংঘ , বাহির-ভেতর , প্রেম , আসল মান । এখানে স্বতন্ত্র হচ্ছে সমগ্র আর সমগ্র হচ্ছে স্ব্তন্ত্র । সবাই এক আর একেই সবাই ।
-
আত্মো-উল্লাসে কেউ নাচবে কেউ গাইবে গান , কিন্তু শেষ পর্যন্ত নীরবতাই তোমাকে প্রদান করবে স্বাধিনতা । খোলো তোমার চোখ , দেখো সেই আলো- যে তোমাকে রাখে উজ্জ্বল , সমস্ত চিন্তা চেতনাকে ছাপিয়ে যে রাখে তোমার হৃদয়কে উচ্ছল ।
-
-
~ Sri Poonjaji 'Papaji' এর পবিত্র বানীঃ-
এই মুহুর্তে “মন” বলতে আসলে কিছু নেই । এ চলতি মুহুর্তে তোমার “মন”কে দরকার নেই । তুমি মুক্ত ।
*
সবাইরে ভালবাসো- হও প্রেম আর তা ছড়িয়ে দাও
তুমি প্রেম , সবার হৃদয়ে তোমার আসন
এখানে হৃদয় থেকেই তুমি সবকিছু দেখতে পারো
কারন সবকিছু এখান থেকেই প্রতিফলিত
*
যদি এই মন্ত্র , বার বার পড় , তাহলে আমি তোমাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি , তুমি মুক্তি পাবে।
কি সেই মন্ত্র? -
“আমি মুক্ত” ।
*
*
নিশ্চিত কর যে কোন কামনার উদয় হচ্ছে না এবং তুমি হবে অনিন্দ্য সুন্দর , নিখাদ খাটি , দাগহীন
এই সবকিছু তৎক্ষনাৎ তোমার আগেই প্রস্ফুটিত হবে , তখন এই পরম সুন্দর নিজেকেই নিজে জড়িয়ে ধরবে।
*
যখন কেউ প্রান খোলা হাসি হাসে , তখন তার কোন মন থাকে না ।
*
যখন কেউ সত্তা হয়ে বাচে
তখন “পরম শক্তি” তার জীবনের দায় দায়িত্ব নিয়ে নেয়
তখন কোন মানোসিক চেষ্টা ছাড়াই- সবকিছু সতঃস্ফুর্ত ভাবে হয়ে যায় ।
*
পুকুরে যখন ঢেউ থাকে না , তখনই তুমি তোমার মুখ দেখতে পারো । এই ঢেউ গুলো আসলে চিন্তা ভাবনা । যদি তুমি তোমার মনে কোন চিন্তা ভাবনাকে নড়তে না দাও , তাহলে এখনই তুমি তোমার মুখ দেখতে পাবে। সমস্ত প্রকাশ্য বিষয় বস্তুই আসলে শুধু একটি সামান্য ঢেউ মাত্র । এর নিচে তুমি প্রশান্ত আর নীরব , এটিই তোমার আসল স্বভাব ।
*
যদি তোমার মনে শান্তি থাকে তবে সবার মধ্যেই তুমি শান্তিকে খুজে পাবে। তোমার মন উত্তেজিত থাকলে সর্বত্রই তুমি উত্তেজনা দেখতে পাবে। তাই প্রথমেই ভেতর থেকে শান্ত হও আর তাতে তুমি দেখবে তোমার ভেতরের শান্তি সর্বত্র প্রতিফলিত হচ্ছে । তুমিই সেই শান্তি !
*
যখন মন প্রশান্ত থাকে , তখন সবই সত্তা । যখন মন চঞ্চল তখন দুনিয়ার উদয় হয়। তাই স্থির হও , সব কিছু ছুড়ে ফেলো আর মুক্ত থাকো ।
*
থামাও , সবকিছু থামিও দাও , এরপর তুমি উপলব্ধি করবে যে তুমিই “মুক্তি”, যাকে তুমি এতোদিন খুজে বেড়াচ্ছিলে।
*
মুক্তির জন্যে কে দৌড়াচ্ছে? যে এরই মধ্যে মুক্ত।
*
কোন চাওয়া পাওয়া না থাকলে তুমি মুক্ত , যদি তুমি চাও ,তাহলে কারাগারে তোমাকে বদ্ধ করা হবে , এখন তুমিই বল তুমি কি চাও । চাওয়া পাওয়া কখনই পূর্ন হয় না।
*
ভেতরে এটি একবারে স্বচ্ছ। যখন তোমার কোন সন্দেহ থাকেনা , সেখানেই থাকে প্রশান্তি।
*
উৎসের কাছে ফিরে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিজের “মন”কে দেখো।“মন” যাতে বাহিরের সাথে সংযুক্ত না হতে পারে এ জন্য সচেতন থাকো আর তুমি যদি নীরব হয়ে যাও , একটি চিন্তার উদয় হবেঃ “আমার উৎস কোথায়”? বাহিরে ছু্টোনা , শুধু নীরব থাকো । এই নীরবতায়, “মন” স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার উৎসের কাছে ফেরত যাবে। সেখানে ফেরত যেয়ে, “মন” হারিয়ে যাবে আর সেখানে কোন “মন” থাকবেনা যে কিনা কোন আলো কিংবা জ্ঞান খুজছিলো। এবং সেখানে অঝর ধারায় প্রশান্তির ঝর্নাধারা বয়ে পরবে। সমস্ত সন্দেহ দূর হয়ে যাবে , সব কিছু স্বচ্ছ হয়ে যাবে আর তুমি নীরব থাকবে জ্বীহবা দিয়ে নয় , সমস্ত হৃদয় দিয়ে। তোমার ব্যক্তি অহং সম্পুর্নভাবে শেষ হয়ে যাবে। একেই বলে প্রশান্তি আর উৎসের কাছে ফিরে যাওয়া।
*
মহাঋষি সময় নীরব থাকতেন আর নীরবতার মধ্যে দিয়েই চিন্তা করতেন। এটি প্রত্যেকেরই আসল প্রকৃতি। নীরবতার কারনে তোমার মন অন্য কোন ব্যাক্তি, বস্তু বা চিন্তা ধারনার প্রতি সংযুক্ত হতে পারেনা। চরম নীরবতার চর্চা কর, এই নীরবতায় যেকেউ সুখ-শান্তি অনুভব করবে।
*
খুজে বের কর যে দেখছে সে আসলে কে? খুজে বের কর তুমি কে? এটি কখনই হারিয়ে যায় না , সেটি সময় সেখানেই থাকে , তুমি খাও , ঘুমাও , স্বপ্ন দেখো কিংবা জেগে থাকো না কেন। দ্রষ্টা সব সময় সেখানে ।
*
নিজের সত্তাকে জানো এবং তারপর জানো বিশ্রামকে , যদি প্রয়োজন মনে কর। এই যে ভ্রান্তির দৃশ্য তুমি দেখছো , এটিও একদিন দূর হয়ে যাবে যখন তুমি তোমার নিজের সত্তাকে উপলব্ধি করতে পারবে। এই ভ্রান্তি দৃশ্যকল্প আর দেখা দিবে না যখন “আসল” তোমাতে প্রকাশিত হবে। এর কোন আকার নেই , নেই কোন নাম, এর কোন ভৌগলিক অবস্থান নেই, নেই ভেতর কিংবা বাহির। এটি এক অসীম বিশ্রাম। তোমরা প্রত্যেকেই এরইমধ্যে এতে আছো। একটি মাত্র বাধা হচ্ছে- তোমার পুর্ব ধারনায় আবদ্ধ থাকা কোন কিছুর সাথে , অবাস্তব কিছুর সাথে। এটিই একমাত্র বাধা , অন্যথায় এই স্বাধীনতা, এই জ্ঞান , এই সৌন্দর্য্য , এই প্রেম সর্বদা তোমাকে আমন্ত্রন জানাচ্ছে । শুধু তোমার মনোযোগটা তোমার নিজের সত্তার দিকে ঘুরিয়ে দিতে হবে এবং তুমি দেখবে যে তুমি সময়ই মুক্তই ছিলে। এটি তোমার নিজের আসল প্রকৃতি।
*
আর যখন তুমি স্বাধীনতা কামনা কর , এটি তৎক্ষনাৎ সেখানেই। তোমার এটি খোজার দরকার নেই- এটি কোন বস্তু নয় যে একে খুজতে হবে। এটি তোমার খুব ভেতরের প্রকৃতি। এটি তোমার খুব কাছে , তোমার শ্বাস প্রশ্বাসের চেয়েও কাছে। যখন কিছু তোমার শ্বাস-প্রশ্বাসের চেয়েও কাছা কাছি তাহলে তোমার কি এমন চেষ্টা করতে হবে এর সাক্ষাত পেতে। এটি খুব কাছে, খুব প্রিয় , খুব আন্তরিক তোমার প্রতি, কিন্তু তুমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছো সেই সব বস্তু আর লোকদের কামনায় যারা বন্ধুত্বের মূল্য দিতে জানে না ।
………0……..
------------0--------------
…0…
---০—
ভেতরটা ফাকা রেখে
বাহিরে শুধু প্রেম বিলাও
সে ফাকাই আনন্দে পুর্ন হবে ।
-“বাবা শামস তাবরেজ”
---০---
জন্মটারে সাঙ্গ করে
আমার মাঝে 'আমি'রে ধরে
আমার সাথেই মাতি মৈথুন লীলায়।
তোমরা যদি বুঝতে বন্ধু
এ যে কেমন সূধার সিন্দু
বিন্দু-সাধে সদানন্দময়,
মৈথুনেই 'আমি' বর্তমান ধরায়।
অন্তর গৃহের তল কুঠরে
আমি'টারে নগ্ন করে
সর্বঅঙ্গে কামের দোলা দেই।
আমার রমনি'র রুপে
আনন্দ নেই চুপে চুপে
কাম- নিশ্বাসে কর্ণ ভারী হয়।
এ মৈথুনে আমি'র বড় ভয়
কিন্তু! আমার নিত্যই হয় জয়।
--------------------------------------------------()
নিজের কথা // অহন সাঁই
গুপ্তাঙ্গ হলো সে ফুল
যেথায় অনন্ত মধু রয়,
নিস্কামী মন না হলে
বিষ অর্জনের থাকে ভয় |
____অহন সাঁই
---০---
ফূর্তির কবি ওমর খৈয়ামের নির্বাচিত কবিতা (অনুবাদঃ কাজী নজরুল ইসলাম)ঃ-
১
প্রেমের চোখে সুন্দর সেই হোক কালো কি গৌর-বরন
পরুক ওড়না রেশমি কিংবা পরুক জীর্ন দীন বসন
থাকুক শুয়ে ধুলায় সে কি থাকুক সোনার পালঙ্কে
নরকে সে গেলেও প্রেমিক করবে সেথায় অন্বেষন ।
২
নিদ্রা যেতে হবে গোরে অনন্তকাল, মদ পিও
থাকবে না কো সাথী সেথায় বন্ধু প্রিয় আত্মীয়
আবার বলতে আসবো না ভাই, বলছি যা তা রাখ শুনে-
ঝরেছে যে ফুলের মুকুল, ফুটতে পারে আর কি ও?
৩
মরুর বুকে বসাও মেলা, উপনিবেশ আনন্দের
একটি হৃদয় খুশি করা তাহার চেয়ে মহৎ ঢের
প্রেমের শিকল পরিয়ে যদি বাধতে পার একটি প্রান-
হাজার বন্দী মুক্ত করার চেয়েও অধিক পুন্য এর ।
৪
শারাব নিয়ে বসো, ইহাই মহমুদেরই সুলতানৎ
দাউদ নবীর শিরিন-স্বর ঐ বেনু বীণার মধুর গৎ
লুট করে নে আজের মধু, পূর্ন হবে মনস্কাম
আজকে পেয়ে ভুলে যা তুই অতীত আর ভবিষ্যৎ ।
৫
এক নিশ্বাস প্রশ্বাসের এই দুনিয়া, রে ভাই, মদ চালাও !
কালকে তুমি দেখবে না আর আজ যে জীবন দেখতে পাও
খাম খেয়ালির সৃষ্টি এ ভাই, কালের হাতে লুটের মাল
তুমিও তোমার আপনাকে এই মদের নামে লুটিয়ে দাও !
৬
নগদ যা পাও হাত পেতে নাও,
বাকির খাতা শূন্য থাক।
দুরের বাদ্য লাভ কি শুনে,
মাঝখানে যে বেজায় ফাঁক।
……………
বাবা জালালুদ্দিন রুমির কাব্য গ্রন্থ থেকে চয়নকৃত চুম্বক অংশঃ
প্রেমে বোকা হয়ে যাও
*
ফুলকে টেনে হিচড়ে ছিড়ে দুমড়ে মুচড়ে ফেললেও , সে সৌরভ বিলিয়ে চলে, এরেই বলে ক্ষমা ।
*
মাতাল আর পাগল না হলে তুমি প্রেমের দেখা পাবেনা, চিন্তা ভাবনায় তার নাগাল কখনোই পাবেনা।
যখনই মনে আসবে অভিযোগ, তখনই প্রকাশ করবে কৃতজ্ঞতা।
*
যখন আত্মা দিয়ে তুমি কিছু করো তখন তোমাতে বয়ে যায় এক – “আনন্দ ঢেউ” ।
যখন সমুদ্র গর্জে ওঠে , আমায় তা শুনতে দিয়ো না , বরং আমার বুকেও তারে আচড়ে পরতে দাও ।
*
তুমিতো একটা পাতা , যে এক অদৃশ্য হাওয়ায় দোলে আর দোলে । তুমি কি এখনও জানোনা ? কে তোমায় সারাদিন দোলায় ?
*
হৃদয় আমার যায় উড়ে যায় , যখন চুপিসারে কাছে এসে মিষ্টি সুরে তুমি আমায় ডাকো ।
*
প্রেমের আগুন যদি না তোমার হৃদয়ে জ্বলে , জীবনের বসন্তের ছোয়া তুমি কখনো পাবেনা
*
সব কিছুই স্বর্নের মত চক চক করে , তবুও ফিরে আসা উচিত আমাদের উৎসে (প্রেমানন্দে) ।
*
প্রকৃত সাধক কখনো “কম আর বেশীর” কারাগারে বন্দি নয় ,এমনকি চিন্তিতও নয়।
*
সামান্য একটা কোষকে এমন অনন্য মানব অস্তিত্বে পরিনত করেছো , মন তুমি কি বিরাট কাজই না করেছো?- বাবা রুমী
*
দুখের সময় তুমিই আমার আত্মার আরাম , হারানোর বেদনায় তুমিই আমার ফুর্তির ঐশ্বর্য্য ।
*
হৃদয়ের কৃষক আমি
বুনে যাই “প্রেম বীজ” , আর তুলে নেই “আনন্দের ফসল”
*
যেখানেই তুমি থাকো , আর যাই করো না কেন , প্রেমেই থেকো ।
খুলে গেলাম আমি আর হলাম প্রেমে পূর্ন
*
জিজ্ঞেস করো না – প্রেম কি করতে পারে ?
বরং তাকাও এই দুনিয়ার রঙে
*
যখন আত্মা জেগে ওঠবে- ঠোটে
তুমি সেই চুম্বন করবে অনুভব
যা তুমি চেয়েছিলে
*
যদি সারা জাহানো কাটায় ভরে যায় , তখনো প্রেমিকের হৃদয় গোলাপের বিছানা
*
আমি চাই সেই প্রেম যে পাহাড় নাড়িয়ে দেয়
আমি চাই সেই প্রেম যে সমুদ্রকে পর্যন্ত আলাদা করে দেয়
আমি চাই সেই প্রেম যে হাওয়ায় ধরায় কাপন
আমি চাই সেই প্রেম যে বজ্রের মতো গর্জন করে ওঠে
আমি চাই সেই প্রেম যে মৃত্যুকেও জাগিয়ে তোলে
আমি চাই সেই প্রেম যে পরমানন্দে আমাদের উঠিয়ে নেয়
আমি চাই সেই প্রেম যে অসীমের স্তব্ধতা
*
এটা প্রেমঃ
গোপন আকাশে যায় উড়ে
*
জটিল সব ভাবনাকে ছাড়িয়ে যাও
আর খুজে পাও সেই বেহিসেবি বেহেস্ত
তোমার ছোট এই পৃথিবীটাকেও ছাড়িয়ে যাও
আর খুজে পাও প্রভুর রাজষিক সেই দুনিয়া
*
প্রেমের পরষে তীতা হয়ে যায় মিঠা
প্রেমের পরষে তামা হয়ে যায় সোনা
প্রেমের পরষে ময়লা হয়ে যায় পরিষ্কার
প্রেমের পরষে যন্ত্রনা হয়ে যায় আরোগ্য
প্রেমের পরষে মরনও বেচে যায়
প্রেমের পরষে বাদশা হয়ে যায় গোলাম
জ্ঞানে প্রেম বেড়ে ওঠে
বেহায়া হয়েও অন্ততঃ কেউ এমন রাজষিক শক্তিতে জায়গা করে নিতে পেরেছে ?
*
“প্রেম” আমাদের আত্মা কে ওপরে উঠিয়ে নেয়- কোন মই ছাড়াই
*
আমিতো তোমারি প্রেম সমুদ্রে বেচে থাকি
*
একবার যদি তোমার স্বার্থপর সত্তাকে বশীভূত করতে পারো
তোমার সমস্ত আধার হয়ে যাবে আলো ।
*
"তোমার কারো দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোর কোন দরকার নাই। নিজের ভিতরে ভ্রমন করো। মনের মনি-মুক্তার কোঠায় প্রবেশ করো এবং নিজের আত্মার স্বর্গীয় আলোতে স্নান করো।"
*
এ জগত সংসার এক রসের ভান্ডার
হও রসিক আর পান করো সাবধানে ।
…………………………
…………..
মানুষের মহিমাই ধরা পড়েছে জালাল খার গানের বিভিন্ন চরণে। কয়েকটি দৃষ্টান্ত এ-রকম,-
৬. থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন
হায়রে পান করো রে পাগলা মন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা ।।
দিন গেলে দিন আর পাবেনা
ভাটা যদি লয় যৈবন ।
আসমানে জমিনে যে প্রেম অনন্তকাল ধরিয়া।
তাই তো তারে মেঘ বাদলে রাখে শান্ত করিয়া।
তা না হলে হলে হুলে। (হায়রে) শোভিত না (খোদার) এই ভুবন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন ।
পাহাড়ে সাই ঘুরে যে প্রেম ফাটাইয়াছে এক সাথে।
তাই তো পানি বাস্প হইয়া উঠে গিয়া তার মাঝে।
দেখছ নি তাই মন ভাবিয়া। হইতেছে কত পরেশন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন
খোদার প্রেমে জংগলবাসী মনি ঋষি আওলিয়া (আওলিয়া…)।
সারা জনম কাটায় তারা গাছতলাতে বসিয়া
পাইলো কী ধন কইলো না রে
পাইলো কী ধন কইলো না তাই (সদাই) কান্দেরে জালালের মন
থাকতে ক্ষুধা প্রেম শুধা
পান করো রে পাগলা মন।।
………………
প্রিয় কবি সাহিত্যিকদের থেকে চয়নকৃত চুম্বক অংশঃ
--পাতার মুকুটপরা নিঃস্ব মানুষ--
আমি প্রকৃত নিঃস্ব মানুষের মতো
মরতে চেয়েছি
পাহাড়ের ঘর অরণ্যে
একদল মানুষ ওদের স্নিগ্ধ মেয়েদের নিয়ে এলো
ওরা গাইলো
ঝরনাধারার মতো নাচলো
আমাকে ক্রীতদাসত্বের গ্লানি
বিষয়ে বললো
বিমানের তেল ফুরিয়ে যাওয়ার পর
তার প্রয়োজনীয়তার কথা বললো
একটা ফুটফুটে মেয়ে
তারা প্রকৃত নিঃস্ব ও সৎমানুষের মতো
বাঁচতে বলে
আমার মাথায়
পাতার মুকুট
পরিয়ে দিলো
সকালে ওই মুকুট দেখে যারা খুব হাসলো
ওদের আমার খারাপ মনে হলেও
একটি অদৃশ্য ভালোবাসা
আমাকে শান্ত রেখেছিল…
-হাফিয রশীদ খান
………
হিসেব
_____- তসলিমা নাসরিন
কত টুকু ভালোবাসা দিলে,
ক তোড়া গোলাপ দিলে,
কতটুকু সময়, কতটা সমুদ্র দিলে,
কটি নির্ঘুম রাত দিলে, কফোঁটা জল দিলে চোখের –
সব যেদিন ভীষণ আবেগে শোনাচ্ছিলে আমাকে,
বোঝাতে চাইছিলে আমাকে খুব ভালোবাসো,
আমি বুঝে নিলাম-
তুমি আমাকে এখন আর একটুও ভালোবাসোনা।
ভালোবাসা ফুরোলেই মানুষ হিসেব কষতে বসে, তুমিও বসেছো।
ভালোবাসা ততদিনই ভালোবাসা
যতদিন এটি অন্ধ থাকে, বধির থাকে,
যতদিন এটি বেহিসেবি থাকে।
…………
মনে থাকবে?
____-আরণ্যক বসু
পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিক
আমরা তখন প্রেমে পড়বো
মনে থাকবে?
বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবে
শীতলপাটি বিছিয়ে দেব;
সন্ধে হলে বসবো দু'জন।
একটা দুটো খসবে তারা
হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল
গড়াবে,
কান্ত কবির গান গাইবে
তখন আমি চুপটি ক'রে দুচোখ ভ'রে থাকবো
চেয়ে...
মনে থাকবে?
এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব
এই জন্মের চুলের গন্ধ পরের জন্মে থাকে যেন
এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে
যেন
মনে থাকবে?
আমি হবো উড়নচন্ডি
এবং খানিক উস্কোখুস্কো
এই জন্মের পারিপাট্য সবার আগে ঘুচিয়ে দেব
তুমি কাঁদলে গভীর সুখে
এক নিমেষে সবটুকু জল শুষে নেব
মনে থাকবে?
পরের জন্মে কবি হবো
তোমায় নিয়ে হাজারখানেক গান বাঁধবো।
তোমার অমন ওষ্ঠ নিয়ে
নাকছাবি আর নূপুর নিয়ে
গান বানিয়ে__
মেলায় মেলায় বাউল হয়ে ঘুরে বেড়াবো...
মনে থাকবে?
আর যা কিছু হই বা না হই
পরের জন্মে তিতাস হবো
দোল মঞ্চের আবীর হবো
শিউলিতলার দুর্বো হবো
শরৎকালের আকাশ দেখার__
অনন্তনীল সকাল হবো;
এসব কিছু হই বা না হই
তোমার প্রথম পুরুষ হবো
মনে থাকবে?
পরের জন্মে তুমিও হবে
নীল পাহাড়ের পাগলা-ঝোরা
গাঁয়ের পোষাক ছুড়ে ফেলে
তৃপ্ত আমার অবগাহন।
সারা শরীর ভ'রে তোমার হীরকচূর্ণ ভালোবাসা।
তোমার জলধারা আমার অহংকারকে ছিনিয়ে নিল।
আমার অনেক কথা ছিল
এ জন্মে তা যায়না বলা
বুকে অনেক শব্দ ছিল__
সাজিয়ে গুছিয়ে তবুও ঠিক
কাব্য করে বলা গেল না!
এ জন্ম তো কেটেই গেল অসম্ভবের অসঙ্গতে
পরের জন্মে মানুষ হবো
তোমার ভালোবাসা পেলে
মানুষ হবোই__ মিলিয়ে নিও!
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...
বলতে ভীষণ লজ্জা করছে
ভীষণ ভীষণ লজ্জা করছে
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...
মনে থাকবে?
…………
ঈশ্বর বন্দনায় ব্যাস্ত মানুষগুলোর
ঈশ্বর থাকে সাত আসমানে;
আমার ঈশ্বর এইখানে
যেখানে তুমি আমি জড়িয়ে আছি
গভীর আলিঙ্গনে !
-আঞ্জুমান রোজী
…………………
……………..
দৈনন্দিন বেচে থাকার সংগ্রামে অযথাই উদ্বিগ্ন দুশ্চিন্তার নাটক চলে বিরতীহীন । এই অর্থহীন বিদ্ধংশী আচরন চলতে থাকে ঠিক ঐ শিশুর মত-যে সৈকতে বালুর প্রাসাদ গড়ে আবার তা ঢেউ এ ভেসে গেলে হতাশ হয়ে পরে।
~ H.H. Dilgo Khyentse Rinpoche
………….
ঘরের কাঠে ঘুনে খায়
কাঠ আনিতে বনে যায় ।
-খনার বচন
………
"সন্ধ্যা হয়—চারিদিকে"
----জীবনানন্দ দাশ
সন্ধ্যা হয়—চারিদিকে শান্ত নীরবতা ;
খড় মুখে নিয়ে এক শালিখ
যেতেছে উড়ে চুপে ;
গোরুর গাড়িটি যায় মেঠো পথ
বেয়ে ধীরে ধীরে;
আঙিনা ভরিয়া আছে সোনালি খড়ের ঘন স্তূপে ;
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে;
পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;
পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু'জনার মনে ;
আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে
আকাশে আকাশে।
[কাব্যগ্রন্থ :রূপসী বাংলা]
----0----
---০---
ইংরেজ কবি জন ডানের মৃত্যু নিয়ে একটি কবিতা - ‘ডেথ্, বি নট প্রাউড’।
"একটা ছোট্ট ঘুমের পর যখন আমরা চিরকালের জন্য জাগবো / মৃত্যু, তুমি তখন থাকবে না; তুমিই তখন মারা যাবে।"
---0---
জ্ঞান দেহকে ভালবাসে তেমনি দেহ জ্ঞানকে রক্ষা করে। ইহাই ভালবাসার বর্তমান।
- হযরত ফকির শাহ্ সুলতান জালালী
---0---
সুকান্ত ভট্টাচার্য » ছাড়পত্র (কাব্যগ্রন্থ)
দেশলাই কাঠি
আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি
এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি নাঃ
তবু জেনো
মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ-
বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস;
আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি।
মনে আছে সেদিন হুলস্থূল বেধেছিল?
ঘরের কোণে জ্বলে উঠেছিল আগুন-
আমাকে অবজ্ঞাভরে না-নিভিয়ে ছুঁড়ে ফেলায়!
কত ঘরকে দিয়েছি পুড়িয়ে,
কত প্রাসাদকে করেছি দূলিসাৎ
আমি একাই- ছোট্ট একটা দেশলাই কাঠি।
এমনি বহু নগর, বহু রাজ্যকে দিতে পারি ছারখার করে
তবুও অবজ্ঞা করবে আমাদের?
মনে নেই? এই সেদিন-
আমরা সবাই জ্বলে উঠেছিলাম একই বাক্সে;
চমকে উঠেছিলে-
আমরা শুনেছিলাম তোমাদের বিবর্ণ মুখের আর্তনাদ।
আমাদের কী অসীম শক্তি
তা তো অনুভব করেছ বারংবার;
তবু কেন বোঝো না,
আমরা বন্দী থাকবো না তোমাদের পকেটে পকেটে,
আমরা বেরিয়ে পড়ব, আমরা ছড়িয়ে পড়ব
শহরে, গঞ্জে , গ্রামে- দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
আমরা বার বার জ্বলি, নিতান্ত অবহেলায়
তা তো তোমরা জানোই!
কিন্তু তোমরা তো জানো না:
কবে আমরা জ্বলে উঠব-
সবাই শেষবারের মতো!
---০---
মন যার স্থির নয়
তার মন বাহিরের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়
এ মন পরম সুখ পায় না ।
-(মহা অবতার বাবাজী)
--কথা বলা--
গোলাপের মত নিস্তব্ধ হও
কথা বলো তার মত সৌরভের ভাষায় ।
-(লাহিরি মহাশয়া)
---০---
Mohammad Shah Azizur Rahman-
নূর জ্যোতি নূর জল
করে নূর টলমল
আঁখি হল ছলছল
দেখে নূরের ঝলক ॥
--০--
মাটো বাসো জাপানিজ জেন গুরুর হাইকুঃ-
এমন কিছু নেই যা ফুল নয়
এমন কোন ভাবনা নেই যা চাঁদ নয় ।
*
প্রকৃতির সাথে একাত্ম হও
তোমার আসল স্বভাবে মিশে যাও
মনে ধারন করো- প্রকৃতির সহজ স্বভাব
যেমনটি পাহাড়, নদী, ঘাস কিংবা ফুল ধারন করে ।
*
নীরবতাকে ভাঙার মানোসিক তৎপরতাই এক গোপন সন্ত্রাস ।
*
বৈকালিক বাতাসঃ
জল পরিবেষ্টিত
বকের পায়ে ।
*
চাদের আলো পশ্চিমে সরে যায়
ফুলের ছায়া পুবে হামাগুড়ি দেয় ।
*
চড়ুই গান গাইছে
(কারন) ওর ছোট্র মুখটি খোলা ।
*
বসন্ত শুকিয়ে গেলে
শুকনো পাতারা ঝরে পরে
পাথরেরা এখানে সেখানে ।
*
সাদা সাদা নাশপাতি ফুল ফুটেছে
আর জোৎস্নার আলোয়
এক যুবতী প্রেম পত্র পড়ছে ।
*
জমিতে চাষ চলছিল
যে মানুষটি রাস্তা খুজছিল
সে হারিয়ে গেলো ।
--০—
যে বাশরী ফাকা নয়
তার থেকে বেরোয় না প্রেম সুর ।
-“জেন প্রবাদ”
--০—
তুমি সম্পুর্ন কামনা শুন্য হলেই কেবল দেখতে পাবে এ জগতে স্বর্গ ।
-“বাবা ত্রৈলাঙ্গা স্বামী”
--০—
নিজেকে জানা হচ্ছে নিজেকে ভুলে যাওয়া
নিজেকে ভুলে যাওয়া মানে হচ্ছে , সব কিছুর দ্বারা সচেতন থাকা ।
-“ডোজেন” জেন গুরু
--০—
বিচ্ছিন্নতা বিভ্রান্তি থেকে জেগে উঠার জন্যেই আমরা এখানে ।
-“টিচ নাথ হান” জেন গুরু
--০—
তোমার হৃদয়ে এক চুম্বক আছে, যে শুধু আসল বন্ধুকে আকর্ষন করে । এ চুম্বক নির্স্বার্থ , সে শুধু অপরের কল্যান ভাবে । যখন তুমি শিখবে কিভাবে অপরের জন্যে বাচতে হয় , তারাও তখন তোমার জন্যে বাচবে ।
-গুরু“পরমহাসনা ইয়োগা আনন্দ”
--০—
জেন গুরু “ইয়োসা বুসোন” এর হাইকুঃ-
ঘাসেরা কুয়াশা আচ্ছন্ন
জলেরা নীরব
এক প্রসন্ন বিকেল ।
*
খোলো তোমার (হৃদয়ের) জানালা
মেঘ আর আকাশকে
তোমার ঘরে প্রবেশ করতে দাও ।
*
আমি ফুলেদের কাছে আসলাম
তাদের ভেতরে ঘুমিয়ে পরলাম
এটাই ছিল আমার অবকাশ যাপন ।
*
প্রতিটা কাটায় এক ফোটা সাদা শিশির ।
*
বসন্তের বৃষ্টিতে-
পুকুর আর নদী একাকার হয়ে যায় ।
--0--
Miraz Hossain:-
যারা Biology পড়েছেন তারা জানেন , বিশেষ সময় একজন পুরুষ একবারে ২০০-৩০০ মিলিয়ন স্পার্ম নির্গত করেন। এই ৩০০ মিলিয়ন স্পার্মই Ovum এর দিকে ছুটতে ছুটতে সেখানে পৌছায় মাত্র ৩০০-৫০০ পিস !
মাত্র ৩০০ - ৫০০ স্পার্মই Ovum এর কাছে যেতে পারে, আর বাকিরা এই "ছুটে চলার" দৌড়ে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বিলিন হয়ে যায়।
এই ৩০০-৫০০ স্পার্ম যেগুলা ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে এদের মধ্যে মাত্র ১ টাই ডিম্বানুকে উর্বর করে। আর যে একটা স্পার্ম ডিম্বানুকে উর্বর করে সেই একটাই আপনি বা আমি।
আপনি কখনও কি একবারের জন্যও এইভাবে চিন্তা করেছেন যে , আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন তখন আপনার চোখ , হাত , পা , মাথা কিছুই ছিলনা ! ইনফেক্ট আপনি ছিলেন অর্ধেক। তবুও আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন দৌড়াচ্ছিলেন , তখন আপনার কোন সার্টিফিকেট ছিল না , কিন্তু তবু আপনি জিতেছিলেন।
আপনি তখন কোন শিক্ষা ছাড়া দৌড়াচ্ছিলেন , কারো সাহায্য ছাড়াই দৌড়াচ্ছিলেন , ষ্টার্টিং ট্র্যাতকে বাঁশি দেয়ার কেউ ছিল না , তবু আপনি ঠিক সময়ে দৌড় দিয়েছিলেন ও জিতেছিলেন সেই প্রতিযোগিতা।
অথচ , আজ আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে যান। পরাজয় মেনে নেন । অথচ , এখন আপনার সার্টিফিকেট আছে, প্লান করার মানুষ আছে , সাহায্য করার হাত আছে , তবুও আশা হারিয়ে ফেলেন।
যেখানে আপনি আপনার জীবনের প্রথম দিনেই হার মানেন নাই , সেখানে আপনি এখন কেন হার মানবেন ?
---০---
কিছু হবার চেষ্টা করোনা । নিজেকে কোন কিছুতে পরিনত করতে যেয়ো না । হতে যেয়ো না ধ্যানি কিংবা নির্বান মহাপুরুষ। যখন তুমি বসে থাকো , তখন “বসে থাকা”কে বসে থাকতে দাও , যখন হাটো , “হাটা”কে এগিয়ে যেতে দাও । কিছুই ধরে থাকতে যেয়ো না , প্রতিরোধ করতে যেয়ো না কিছুই ।
-Aj ahn chah
--০--
একটা প্রশান্ত নিস্তবদ্ধ মন , তোমার সব চাহিদার ঘটায় অবসান , এ অবস্থায় যাই ঘটে সবই সঠিক , সবই পরিপুর্ন।
- Nisargadatta
---০---
যে নিজেকে ভালোবাসেনা , তাকে কেউ ভালোবাসেনা
যে নিজেকে বিশ্বাস করেনা , তাকে কেউ বিশ্বাস করেনা
যে নিজেকে জয় দিতে পারেনা , তাকে কেউ জয় এনে দিতে পারেনা
যে নিজেকে মুক্তি দেয় না , তাকে কেউ মুক্তি দিতে পারেনা
যে নিজেকে আনন্দ দেয় না , তাকে কেউ সুখ দেয় না ।
-“রোমান্টিক কবি আবুল বাশার”
---০---
বৃষ্টিতে সবাই ভেজে , অথচ অল্প কয়েকজনই বৃষ্টিকে অনুভব করতে পারে ।
-বব মার্লি
---0---
শুন্য মনে দূর্গ গড়ে
করছো তুমি যুদ্ধ,
যুদ্ধ শেষে “আমি” ছেড়ে
হলে তুমি সিদ্ধ।
*
“আমি বনাম আমিত্ব”
কোন কাজে “আমি করছি” বা “আমার দ্বারা এটা সংগঠিত হচ্ছে” এই ভাব থাকাই আমিত্ব বা অহং। আমরাই অবচেতন ভাবে নিশ্বাস নিচ্ছি, হৃদপিন্ড পাম্প করছি, পাকস্থলিতে খাদ্য হজম করছি। কিন্তু এখানে “আমি করছি” এই ভাব নেই, তাই এগুলো কাজের প্রতি আমাদের কোন আসক্তি,অহংকার নেই। আমিত্ব মানুষকে অভাবী করে তোলে।
-Junayed Ikbal
অলসরা দেহ দ্বারা ব্যবহৃত হয় আর কর্মঠরা দেহকে ব্যবহার করে।
-Junyed Iqbal
যে কোন প্রকার চাওয়াই মনকে অপূর্ণ করে, কিন্তু একটা চাওয়া আছে যা মনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে। তা হল, অপরকে পরিপূর্ণ করতে চাওয়া। যে পরিপূর্ণ, সে কখনো পরিপূর্ণ হতে চায় না। সে পরিপূর্ণতা বিতরণ করে।
-“Junayed Ikbal”
আমি আছি , আমার দ্বারা এটা হয়েছে , আমি এটা করছি ।- এটাই আমিত্ব । -“Junayed Ikbal”
---0---
বহুরুপে সম্মুখে ছাড়ি-
কোথা খুঁজেছো ঈশ্বর?
জীবে প্রেম করে যেই জন,
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
-“স্বামী বিবেকানন্দ”
---0---
নিজের স্বভাব অনুযায়ী অন্যের সাথে আচরণ করো অন্যের স্বভাব অনুযায়ী নয়, যাই হোকনা কেন তাদের কথায় কাজে যতই কষ্ট পাওনা কেন।
-“অশো”
---0---
আপনি কখনই ভাববেন না যে আপনার অনেক বয়স হয়ে গেছে। ছোট্ট বেলার সেই শিশুটির মতই নিজেকে বিবেচনা করুন। ভাবুন আপনি কাল্পনিক জগতের ডানাযুক্ত সেই ছোট্ট শিশুটি যে দিগন্ত জুড়ে দৌড়ে বেড়াতে পারে, অকারণে যতসব ইচ্ছা নিমেষেই পূরণ করতে পারে। এভাবেই নিজের মনে যখন যা আসে তাই পূরণ করার চেষ্টা করুন।-“Miraz Hossain”
--0—
যখন তুমি নিজে নতুন , তখন সবই নতুন । পুরাতন তুমি , কোন নতুনই দেখতে পাবেনা ।
*
যদি সে খারাপ হয় , তাহলে তুমি অতি অবশ্যই ভালো নও ।
*
যখনই তুমি নুতন , তখনই তুমি পরম আনন্দ । হও নুতন ।
-“ইমোর্টাল ট্রাষ্ট”
অন্যের জীবন করোনা যাপন , নিজেকে তিলে তিলে মেরে ফেলো না । তোমার নিজের সত্তা কখনোই মরেনা , তোমার নিজের হও এবং অমরত্ব লাভ করো ।-“Immortal Trust”
তোমার কারো দরকার নেই , শুধু তোমার নিজেকে নিজের দরকার আছে , যা এরই মধ্যে তোমার আছে অথচ তুমি জানো না , তাই তো তুমি গরীব । যা ঐ গরীবদের মতো যারা জানে না ।-Immortal Trust
---0---
নিঃশোঙ্ক অদম্য চিত্তের চেয়ে বড় কিছু নেই । -“কর্নেল তাহের”।
---0---
কতটা নির্দয় হই,
অবুঝ শিশুর মত প্রত্যহ আদায় করি
২১৬০০টি নিষ্কাম চুম্বন তোমার।
একটুও বিরাম নেই, থামাথামি নেই,
চলছে তো চলছেই।
আর কত দিবে হে প্রাণেশ্বরী আমার!!
-“ Dulal Mohanto”
---0---
ঐখানে সারাদিন উঁচু ঝাউবন খেলা করে
হলুদে সবুজ নীল রঙ তার বুকে
পাখি মেঘ রৌদ্রের;
তবু আজও হৃদয়ের গভীর অসুখে
মানবেরা পড়ে আছে কেন!
আজ অন্ধ শতাব্দীর শতছিদ্রতার
ভিতর আলোর খোঁজে যদি চলে যায়
তবুও শাশ্বত হয়ে থাকে অন্ধকার।...জীবনানন্দ দাশ
---0---
প্রেম আগুনে জ্বলে পুরে মরার মাঝে যে কি সুখ লুকিয় থাকে.
তা শুধু পতঙ্গই জানে......
আপন মনে পুড়ছে সদাই প্রেম আগুনে...
-“মানিক শিমুল”
---0---
দয়া ধর্মই আসল ধর্ম । আর নিজেকে দয়ার মধ্যে দিয়েই সে ধর্মের কর সূচনা ।
-“বুদ্ধ”
---0---
তোমার চোখ এতো লাল কেন
--নির্মলেন্দু গুণ
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।
আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : 'তোমার চোখ এতো লাল কেন ?'
---0---
--আমি ঝর্নাধারা , তুমি আমার জল--
By Zeynep Hatun
(15th Century)
English version by Murat Yagan
আমি ঝর্নাধারা , তুমি আমার জল-
আমি তোমার থেকে তোমাতে হই প্রবাহিত ।
আমি চোখ , তুমি আমার আলো-
আমি তোমার থেকে তোমাকে দেখে যাই ।
না তুমি শুধু আমার ডান আর না আমার বাম-
তুমি আমার পা এবং বাহুও।
আমি পথিক , তুমি আমার পথ-
আমি তোমার থেকে তোমাতে এগিয়ে যাই ।
-- from "Women in Sufism: A Hidden Treasure - Writings and Stories of Mystics Poets, Scholars and Saints," Edited by Camille Adams Helminski
---0---
কাম প্রেম প্রণয়
14 hrs •
আত্নার সান্নিধ্যে না পৌছাইলে...
সমস্ত শরির কখনই জার্গত
হয়না ...
নৃত্যমগ্ন হয়ে যেতে হয় আত্নার চরম সান্নিধ্যে ..
এবং সেখানে মিলে সমাধির প্রথম ঝলক।
যা বিদুৎ বেগে জাগরন ঘটাই আত্নার অন্তরালে।
সেথাই ভ্রমন করো প্রেমাস্পদে।
দুটি দেহের ব্যাবধান যেন না থাকে।
শুধু রেখ দুটি শক্তির একটি প্রবাহ ...!
তুমি নেই আমি নেই ...শুধু ঋনাত্ব এবং ধনাত্বকের।
মৃদু প্রবাহে অনন্তে মিলন। ইহাই পুলকে মাধুর্যহ্।
() মানিক শিমুল।
শৃঙ্গারকলার মধ্য দিয়েই ..
গভির হতে গভিরে প্রবেশ করতে হয়।
প্রণয় সম্পর্ক গভিরে চরম মাত্রায় পৌছাই
শৃঙ্গার হতে ...! যার একটি চরম পুলক ঘটে বিদুৎ গতি বেগে ..! কিন্ত প্রেমাবেশ রেখে যায় অনন্ত ব্যাপি।
() মানিক শিমুল
কাম প্রেম প্রণয়
3 mins •
সুনীল নয়নে পড়িলে নয়ন...
প্রেমাস্পদ প্রদিপ জ্বলিলে মন ..
নৃত্য রংগ প্রভু সংগোপন ...
হৃদ আকাশে প্রিয়সির আস্ফালন।
প্রনয়ে মজোরে প্রিয়সির প্রেমাস্পদে ...
স্বরূপে রুপ করিতে দর্শন।
() মানিক শিমুল
---0---
তোমার হাসি দিয়ে এই দুনিয়ায় পরিবর্তন আনো , এই দুনিয়া যেন তোমার হাসিতে পরিবর্তন আনতে না পারে ।
-“বুদ্ধ”
---0---
পরিপূর্ন ভালোবাসা আগুনের মত , যাকে কোন খাচাই বন্দী রাখতে পারেনা ।
-“এনামুল হক”
---0---
তাদের নোঙরায় পা দিয়ে কখনো কোন অবস্থাতেই আমার মনে বিচরন করতে দিবো না ।
-মহাত্মা গান্ধী
---0---
ঘৃনাবাদীরা!
জ্বালানীর জন্য ধন্যবাদ । ঘৃনা দিয়ে আমি আমার প্রেমের আগুন জ্বালাই ।
-নেট
--0--
মুখ খোলার আগে , তোমার হৃদয় খোলো ।
-বুদ্ধ
---0---
---0---
শেষ পর্যন্ত তারা তোমাকে যাচাই করবে , করুক , তাতে কিছুই আসে যায় না । তুমি স্বাধীন । তুমি শুধু নিজেকে নিজে তুষ্ট রাখো । এটাই তোমার মূল কাজ ।
-“বুদ্ধ”
---0---
যতই সহজ সরল হবে ততই জীবন হবে জটিলতামুক্ত আর আনন্দে পরিপূর্ন হবে হৃদয় তোমার ।
-পরমেস্বর ইয়োগানন্দ
---0---
“ভয়” আধারের পথ । ভয় থেকে আসে রাগ । রাগ থেকে আসে ঘৃনা । ঘৃনা থেকে আসে যন্ত্রনা ।
-ইয়োদা
---০---
ধর্ম সাধনা হচ্ছে নিজেকে নিয়ে সাধনা , নিজেকে নিয়ে সাধনা হচ্ছে নিজের দেহমনকে ভুলে যাওয়া , যে নিজেকে ভুলে গেছে- তার প্রেমে সমস্ত জগত ধাবিতো।
*
তুমি তোমার প্রিয় সন্তানকে মনে ধারন করো , ঠিক সেভাবে ধারন করো সমস্ত জগতকে ।
-“জেন গুরু ডোজেন”
---০---
আমার গন্তব্য দূরে নয়, আমার গন্তব্য এখন এখানে , পথ দিয়ে আমি গন্তব্যে যাই না বরং এই পথই আমার গন্তব্য ।
--স্বামী নিসর্গ মহারাজ
--০--
পরমের আগমন আমারই মাঝে আসে যখন আমিটা আর আমার মাঝে থাকে না।
-বাবা আমির খসরু
--০—
“শরীর” হিমালয়ের মতো , “মন” আকাশের মতো আর “হৃদয়” সমুদ্রের মতো ।
-“ডজেন”
--০--
চর্ম চোখ বন্ধ করার দরকার নেই। মনের চোখ বন্ধ করো- সব ঠিক হয়ে যাবে। এ জগত তোমার বাইরে না।
--রামানা মহা ঋষি
---০---
মানুষ ভবিষ্যতের জন্য উদবিগ্ন থাকে, আবার ভবিষ্যতে এসে ঐ অতীতের জন্যই হা হুতাশ করে! আর বর্তমানকে করে অবহেলা, মানুষ কতো বোকা।
-ইবনে রুশদ
--০--
আগে তোমার নিজের হও।
-জ্যাক মা
--০--
আদবে আওলিয়া, বেয়াদ্দবে দেওলিয়া।
-সংগ্রহীত
--০--
আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ জীবন নব নব।
-রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর
--০--
পানির মত হও , নিরাকার অথচ সবার কাজে লাগে ।
--ব্রুস লী
--০—
জগতে তুমি কারো বন্ধু হতে চেয়োনা , বরং তুমি শুধু নিজে নিজের বন্ধু হও । তুমি বিজয়ি হলে- দেখবে সবাই তোমার বন্ধু হবার জন্য ঘুর ঘুর করছে ।
*
এক মন এক লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাও , তোমাকে কেউ হারাতে পারবে না ।
-চেঙ্গিস খান ।
--০—
যে ভালোবাসতে জানে সে আস্তিক , যে ভালোবাসতে জানেনা সে নাস্তিক ।
ড এমদাদুল হক
--০—
এখনই নিজেকে নিজে ইঞ্জয় না করলে কখন করবে ?
-ওমর খৈয়াম
--০—
"একা একা ভোগ থেকে আসে বিপর্যয়। সবাইকে নিয়ে ভোগ করলে সেটি উপভোগ, উপভোগ থেকে আসে জয়।"
--সুফি আহমেদ মাহফুজ সাহেবের পবিত্র বানী।
---০---
পৃথিবীটা মানবজাতির আশ্রয় স্থান নয় । এটি এক অখন্ড জীবন্ত সত্তা ।আমরা এটিতে নয় বরং এর এক ক্ষুদ্রাংশ মাত্র । এর স্বাস্থ্য আমাদের স্বাস্থ্য ।
-থমাস মুর
---০---
হাত ব্যাথা পেলে চোখ অশ্রু ফেলে । চোখ কাদলে হাত মুছে দেয় । প্রেমের খেলা চলে সারা জগতময় ।
-হযরত আলী (রাঃ)
---০---
বৃষ্টি বিচার বিবেচনা ছাড়াই সবার ওপর সমান ভাবে পরে । ঠিক তেমনি তুমিও সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসো, কারো সাথে কারো তুলনা করতে যেওনা ।
-বুদ্ধ
---০---
তোমার মাঝেই যে অসীম শক্তি আছে তা তুমি জানো না । শুধুমাত্র ঐ শক্তিটাকে পছন্দ করলেই তুমিও শক্তিসালী হবে ।
--বব মার্লী
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯