বিশেষ মতিবেদক
দুর্নীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় ‘হাওয়া ভবন’ পুরস্কারে ভুষিত হলেন সদ্য বিদায়ী রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আজ এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নেতা মওদুদ আহমদ।
পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে মওদুদ আহমদ বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দীর্ঘ সত্তর বছর রাজনীতি করেছেন। কিন্তু এই সত্তর বছর তিনি লাইনে আসার সুযোগ পাননি। এতদিন পর সুযোগ পেয়ে তিনি লাইনে এসেছেন।
মওদুদ বলেন, সবাই নোবেল পদক নিয়ে হইচই করে। স্কুল কলেজে পাঠ্য পদার্থ রসায়ন নিয়ে নোবেল দেওয়া হয়। ওগুলির কোন বেল নাই। ওগুলি পায় শাজাহান তপনের মত লোক। আমরা রাজনীতি করি। আমাদের লাইন আলাদা। কিন্তু আমাদের কোন স্বিকৃতী নাই। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমরা চুরি করি। আমার বাড়িতে এখনও রিলিফের এক বান্ডিল টিন পড়ে আছে। ঘুষ হিসাবে অর্ধ বোতল বিদেশী মদ্য গ্রহন করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছিল। কিন্তু সকল বাধা তুচ্ছ করে আমি আবারও লাইনে চলে এসেছি। আর থামাথামি নাই।
তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, দুর্নীতি একটি কঠিন কাজ। কঠর অধ্যাবসায় প্রয়োজন। পুলিশ, আর্মী, বিরোধী দল, বিদেশী কুটনীতিক, আই এস আই, এইসব সামলান লাগে। এখন আবার তার সাথে যোগ হয়েছে গাড়ি চালকের উপর খবরদারি। এতসব সামলানর পর আমরা দুই চার কুটি টেকাটুকা মারতে পারি। অথচ আমাদের কেউ মুল্যায়ন করে না। এভাবে চলতে পারে না।
মওদুদ বলেন, আমাদের কঠিন কাজের স্বিকৃতী হিসাবেই ‘হাওয়া ভবন’ পুরস্কার চালু করা হয়েছে। এখন থেকে আমরা দেশের বড় বড় দুর্নীতিবীদকে ‘হাওয়া ভবন’ পুরস্কার দিব।
তিনি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে আমরা ‘গ শাখা’য় পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্নীতি করে ধরা পড়ে পদত্যেগ করলে ‘গ শাখা’য় ব্রোনজ পদক দেয়া হবে। দুর্নীতি করে ধরা পড়ার পরও পদত্যেগ না করে গদিতে বসে থাকলে ‘খ শাখা’য় রোপ্য পদক এবং দুর্নীতি করে ধরা পড়ার পর লনডন বা বেংককে চলে যেতে পারলে ‘ক শাখা’য় স্বর্ন পদক দেয়া হবে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পুরস্কার গ্রহন করে বলেন, আমাকে পুরস্কারের নিয়ম কানুন আগে জানান হলে আমি লনডন চলে যাইতাম। স্বর্ন পদক পাইতাম। কিন্তু আমার বন্ধু মওদুদ আহমদ আমাকে বিস্তারিত না জানানর কারনে আমাকে এইবার ব্রোনজ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। জানি না জীবনে আবার কবে ‘হাওয়া ভবন’ পুরস্কারের সুযোগ পাব।
মওদুদ আহমদ বলেন, একবারে না পারিলে দেখ শতবার। আমি বংগবন্ধুর আমল থেকে লাইনে আছি।
তিনি বলেন, হাল ছেড় না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড় জোরে।
-------------দৈনিক মতিকণ্ঠ

আলোচিত ব্লগ
বিচারের জায়গা না পেলে মানুষ প্রেত হয়ে ওঠে
(সামাজিক অবিচার, রাষ্ট্রীয় অনুপস্থিতি এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড কাঠামোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কীভাবে হারিয়ে যায়।)
মানুষ যখন বারবার অবিচারের শিকার হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
=একদিন এসো সন্ধ্যে ফুরোলেই=
ভালোবাসা ছড়ানো পাতায় পাতায়, সবুজাভ স্নিগ্ধ প্রহর আমার
এখানে উঁকি দিলেই মুগ্ধতারা চুয়ে পড়ে টুপটাপ;
ধূসর রঙ প্রজাপতিরাও এখানে রঙিন ডানায় উড়ে,
কেবল অনুভূতির দোর দিতে হয় খুলে, চোখগুলো রাখতে হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কোনো চকচকে ল্যাব বা বিলাসবহুল ফ্যাক্টরিতে জন্মায়নি
১: গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D) দলের অক্লান্ত পরিশ্রম।
২: বাইসাইকেলে চেপে কাজে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী সু চিশৌ।
৩: প্রথম উড্ডয়নের পর কেঁদে... ...বাকিটুকু পড়ুন
Bangladesh bans ousted PM's Awami League under terrorism law
হায়রে এরেই বলে কর্মফল। ১৭ টা বছর গুম , খুনের মাধ্যমে এক ভয়ের রাজ্য তৈরী করে কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের বাকশক্তি। চোখ, কান, মুখ থাকতেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
দিন গেলে আর দিন আসে না ভাটা যদি লয় যৌবন
এমন কোনো ইস্যু আছে, যা নিয়ে জাতি পুরোপুরি একমত? ৫০%ও একমত এমন কোনো বিষয় চোখে পড়ে না। একপক্ষ রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনেপ্রাণে ধারণ করে, আরেক পক্ষ বদলাতে চায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন