রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, রেলের কাল বিড়াল ধরা পড়েছে।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবী করেন।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, তিন মাসের মাথায় আমি রেলওয়ের কাল বিড়ালটিকে শনাক্ত করেছি। এই কাজে আমার সাংবাদিক বন্ধুরা আমাকে সহযোগীতা করেছেন।
তিনি বলেন, আমার এপিএসের গাড়ি চালক আজম খানই সেই কাল বিড়াল।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, আমি সুদীর্ঘ ৭০ বছর ধরে রাজনীতি করি। কখনও আমার কোন সহকারী টাকাসহ ধরা পড়েনি। অথচ কাল বিড়াল আজমের কারনে আমার এপিএস ফারুক ও রেলওয়ের মহা বেবস্থাপক ইউছুফ আলী মৃধা, দুইজনই ৭০ লক্ষ টাকাসহ ধরা পড়েছে।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এ বেপারে রেবের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, কাল বিড়ালকে শায়েস্তা করতে পারবে কাল রেব।
এ বেপারে মন্ত্রীর বরখাস্ত এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা একটি বস্তায় ৭০ লক্ষ টাকা নিয়ে সারের বাসায় যাচ্ছিলাম। আমার সংগে ছিলেন রেলওয়ের মহা বেবস্থাপক ইউছুফ আলী মৃধা ও রেলওয়ে পুলিশের কমানডেনট এনামুল হক। আমরা টাকার বস্তা গাড়িতে তুলার পর গাড়ি চালক আজম খান আচমকা আমাদের সহ গাড়িটি বিজিবির পিলখানা সদর দপ্তরে ঢুকায়। সে আমাদের তিনজনের কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। তারপর আমাদের তিনজনের পেনট খুলে ফেলে। তারপর আমাদের তিনজনের পুটু মারে। ঐ সময় সে আমাদের ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, হু ইজ ইওর ডেডি?
ইউছুফ আলী মৃধার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রেলওয়েতে নিয়োগ নিয়ে টেকাটুকা কামাই করি। আপনারা একে ঘুষ বলেন কেন জানি না। কত কাজ করতে হয় নিয়োগ নিয়ে। সরকার বেতন দিতে পারে না। তাই মানুষের কাছ থেকে টেকাটুকা নিতে হয়। এই টেকাটুকা আমি একা খাই না। দশজনকে ভাগ দিতে হয়। রাতের বেলা মন্ত্রী সারের এপিএস ফারুক আমাকে ফোন দিয়ে বলল, টেকাটুকা বস্তায় ভরেন, সারের বাসায় দিয়ে আসি। আমি টেকাটুকা বস্তায় ভরলাম। গাড়িতে উঠলাম। তারপর কি হল জানতে এপিএস সাহেবের সাথে যোগাযোগ করুন।
রেলওয়ের কমানডেন্ট এনামুল হক বলেন, মন্ত্রীর এপিএস আর জিএম দুইটাই অভিশাপ। এই দুই খানকির পুলা টেকাটুকা চালাচালি করে, সেটা পাহারা দিতে গিয়ে গাড়ি চালকের হাতে পুটু মারা খাইলাম আমি। তাও যদি টেকার ভাগ পাইতাম।
গাড়ি চালক আজম খান অজ্ঞাত স্থান থেকে মতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করে বলেন, কেমন পুটু মেরে দিলাম সব কয়টার? এরপর থেকে সব মন্ত্রী সব এপিএস সাবধানে থাকবেন। গাড়ি চালাই দেখে আনডার এশটিমেট করবেন না। টেকাটুকার বখরা ঠিক মত না দিলে আমরা গাড়ি চালকেরা সবার পুটু মেরে দিব।
এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান মুন্নী সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মন্ত্রীর কাছে টেকাটুকা নিয়ে যাওয়ার খবর আজম খান আমাকে মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়ে জানায়। আমি সাথে সাথে গিয়ে তার বক্তব্য ধারন করি। মন্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলি, সার, আমাকে ৩৫ লক্ষ টেকা না দিলে কিন্তু নিউজ অন এয়ারে চলে যাবে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, অন্যরা পাচ বচ্ছরে যে টেকাটুকা কামাই করে, আমাকে তা দুই বচ্ছরে কামাই করতে হবে। তাই আপাতত ভাগ দিতে পারব না। আপনি বাকির খাতায় টাকাটা লিখে রাখেন, পরে দেখা যাবে। আমি তখন বলি, সার এই লাইনে বাকির নাম ফাকি। আপনি লাইনে আসুন। খেলার সাথে রাজনীতি মিশাবেন না। জবাবে মন্ত্রী বলেন, গোল কর না গোল কর না খোকন ঘুমায় খাটে।
কারওয়ানবাজারের সর্দার মতিচুর রহমান বলেন, একা একা খেতে চাও, দরজা বন্ধ করে খাও।
সূত্র:মতিকণ্ঠ
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১৩