ডিজিটাল মিডিয়ার সংগীত জগতে এম পি থ্রী একটি জনপ্রিয় নাম। MP3 বিশেষ ধরনের কমপ্রেস ফাইল ফরমাট। ইন্টারনেটে বিশেষ করে গান ডাউনলোড আপলোড করার সুবিধার্থে এই ফাইল ফরমাটটি বেশী ব্যাবহার হয়। মিউজিক ফাইলকে সহজে ও অল্প সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ার মধ্যে আদান-প্রদানের সুবিধার্থে MP3 ফাইল ফরমাটের সৃষ্টি।
অডিও সিডির avi ফাইল হল আন্কমপ্রেসড্ হাই-রেজুলেশন ফাইল ফরমাট। এই ফরমাটে প্রতি সেকেন্ডের শব্দকে ৪৪১০০ স্যাম্পলে ভাগ করা হয়। প্রতিটি স্যাম্পল ২ বাইট। স্টেরিও সিস্টেমে বাম ও ডান পাশের স্পিকারের জন্য আলাদাভাবে স্যাম্পল নেওয়া হয়। হিসাব করলে দেখা যায় এধরনের ফরমাটে তিন মিনিটের একটি মিউজিকের সাইজ হয় প্রায় ৩২ মেগাবাইট, যা ইন্টারনেটের জন্য মোটেই সুবিধাজনক নয়।
মানুষের শ্রবনশক্তির কিছু বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে MP3 ফাইল তৈরির প্রোগ্রাম (আলগরিদম) বানানো হয়েছে।
১। একজন স্বাভাবিক মানুষ যেসব শব্দ শুনতে পায় তার ফ্রিকোয়েন্সী ২০ থেকে ২০০০০ হার্জের মধ্যে।
২। একসাথে যখন বিভিন্ন ধরনের শব্দ হয় তখন আমরা কিছু শব্দ অন্যান্য শব্দের চেয়ে ভালো শুনি।
৩। নিম্নমাত্রার শব্দের পাশাপাশি যখন উচ্চমাত্রার শব্দ হয় তখন আমরা শুধু উচ্চমাত্রার শব্দটি শুনতে পায়।
MP3 ফাইল তৈরির প্রোগ্রামে ২০ থেকে ২০০০০ হার্জের মধ্যে যেসব শব্দ তা রেখে বাকীগুলো বাদ দেওয়া হয়। নিম্নমাত্রার শব্দসহ যেসব শব্দ আমরা শুনতে পায় না তাও বাদ দেওয়া হয়। তারপর যেসব শব্দ অবশিষ্ট থাকে সেগুলোকে কমপ্রেস করা হয়। এভাবে বিভিন্ন প্রসেসের পর ৩২ মেগাবাইটের একটি গানের সাইজ হয়ে যায় ৩ মেগাবাইট। উল্লেখ্য, এসব প্রসেসের ফলে সাউন্ড কোয়ালিটির কিছুটা ক্ষতি হয় তবে তা খুবই সামান্য। আন্কমপ্রেসড্ হাই-রেজুলেশন AVI ফাইলকে MP3 ফরমাটে কনভার্ট করার বিভিন্ন প্রোগ্রাম ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। MP3 ফাইলকেও AVI ফাইলে কনভার্ট করা যায় তবে অরজিন্যাল ফাইলের সাউন্ড কোয়ালিটি ফিরে আসবে না। MPEG audio Layer−3 এর শব্দ সংক্ষেপ MP3।