মানবতা বিরোধী ট্রাইবুনালের কার্যক্রম নিয়ে জামাতিদের ব্যাপক অপপ্রচারের কারনে এই দেশের কিছু সহজ সরল মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছিল এটা ঠিক। সেই সাথে বিভ্রান্ত হয়েছিল পশ্চিমা দেশের মানুষ জনও বিশেষ করে যারা এই দেশে রাজাকারদের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানে না।
কিন্তু সেই সমস্ত বিভ্রান্তি দুর করতে এগিয়ে এসেছে পাকিস্থান আর তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। প্রথমে পাকিস্থান নিজামীকে তাদের পরিক্ষীত বন্ধু বলে পরিচয় করিয়ে তার জন্য ব্যাপক কান্না কাটি করে প্রমান করে দিয়েছে নিজামীরা এই দেশের কত বড় শত্রু ছিল। তারা আরও বুঝিয়ে দিয়েছে নিজামীরা পাকিস্তানের সংবিধান ও আইন সমুন্নত রাখার জন্য কতটা নিবেদিত ছিল সেই সময়।
তাতে এই দেশের সাধারন শিক্ষিত মানুষের ট্রাইবুনাল নিয়ে প্রায় সমস্ত বিভ্রান্তি দুর হয়ে গেছে সেই সাথে এই বিচারের প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা স্পস্ট হয়ে গেছে। তার প্রমান এই সামু ব্লগেই দারুন ভাবে দেখা যাচ্ছে। লক্ষ করুন ইদানিং কিন্তু ছাগুরা নিজামীর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র দাবি করে আর খুব একটা পোষ্ট দেয় না। কারন তারা বুঝে গেছে পাকিস্থানের এই মহা কান্না কাটির পর সাধারন মানুষ কে আর ধোকা দেয়া যাবে না।
অন্য দিকে এরদোগানের মত কুলাঙ্গারের হম্বি তম্বিতে পশ্চিমা বিশ্বের মানুষও অনেকটা বুঝে ফেলেছে এরদোগানের বন্ধু নিজামীরা কত বড় শয়তান ছিল। তার প্রমান আপনারা পাবেন এই নিউজটার কমেন্ট আর কমেন্টের লাইক সংখ্যা দেখে।
কমেন্টকারীদের অন্তত ৯৮% ই নিজামীর মত রেপিস্ট মার্ডারার কে ফাঁসিতে ঝুলানো যথাযথ মনে করেছে আর সেই সাথে ভন্ড এরদোগানকে সাক্ষাত দ্বিমুখী শয়তানের সাথে তুলনা করেছে।
অনেকে আবার ধর্মের নাম দিয়ে এই সকল হত্যাকারী ধর্ষকের বিচার করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছে যা আগের রাজাকারদের ফাঁসির সময় আমি খুব একটা লক্ষ করিনি।
আগে যখন অন্য রাজাকারদের ফাঁসি হয়েছে তখন বিশ্ব মিডিয়া হিউম্যান রাইট ওয়াচের মতামত কে গুরুত্ব দিয়ে নিউজ করেছে তাই তখন সেই সব নিউজ আর বিশেষ করে নিউজের এগেনেস্টে মানুষের কমেন্টগুলা রাজাকারদেরই ফেভার করেছে।
সো, জামাতি ছাগুরা তোরাই চিন্তা করে দেখ বুমেরাং খাইবি না নিবি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৪