
আজ ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এই দিনকে সামনে রেখে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার জন্য বিএসএফ'র অতিরিক্ত বলপ্রয়োগই দায়ী বলে বৃহস্পতিবার ৮১ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে মত প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এ বিষয়ে তারা যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে তার শিরোনাম "Trigger Happy" Excessive Use of Force by Indian troops at Bangladeshi border ('অস্ত্রকাতর': বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ)।

নির্যাতনের শিকার, প্রত্যক্ষদর্শী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং বিএসএফ-বিডিআর সদস্যসহ প্রায় একশ জনেরও বেশি ব্যক্তির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর নির্বিচার বলপ্রয়োগ, আটক, নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ড চালানোর বহু ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা মনে করে হত্যা এবং অন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) বিচার হওয়া উচিৎ। এইচআরডব্লিউ'র দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, "হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পেয়ে যেতে না দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচার করতে ভারত সরকারের প্রতি বারংবার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।"

তিনি আরো বলেন, "যে কোনো সন্দেহভাজনকেই গুলি করার নির্দেশ দেওয়ার মতো ঘটনায় মনে হয় যে, সীমান্ত রক্ষা বাহিনী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।"

তিনি প্রশ্ন করেন, "বিএসএফ বলে আসছে, তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালিয়ে থাকে। তাহলে এইসব হত্যাকাণ্ডের জন্য কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে কি না তা প্রকাশ করতে তারা নারাজ কেন?"
নিজেদের তদন্ত করা বেশ কিছু ঘটনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে এইচআরডব্লিউ'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের শিকাররা নিরীহ নাগরিক। এমনকি এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। অবৈধপথে পশু ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী এবং সন্ত্রাসী চক্রের লোকজনও সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের শিকার।
তবে আত্মীয়স্বজনদের দেখতে কিংবা বাজারঘাট করতে সীমান্ত পার হওয়া দুদেশের নাগরিক বা সীমান্ত এলাকায় চাষাবাদকারী এলাকাবাসীও আটক, নির্যাতন এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার বলেও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, নিজের নাগরিকদের জীবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। 'অবৈধ সীমান্ত ব্যবসায় লিপ্তরা' ঘটনার শিকার হলেও বাংলাদেশের উচিৎ সীমান্তে সংযম প্রদর্শনে ভারত সরকারের প্রতি জোরেশোরে আহ্বান জানানো।

হায়রে বাংলাদেশ সরকার! তারা তো ভারত তোষনেই ব্যস্ত। আমরা মরি তাতে সরকারের কি আসে যায়? তাই আসুন বিএসএফ এর ট্রিগারকে খুশি করতে আমরা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দেই।