আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ অথবা দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পোষা কিংবা ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না ইত্যাদি। এই যে বচনগুলো উল্লেখ্য করলাম। এখানে কলা একটি বিশেষ ফল যাকে উদ্ধৃত করে খনা এত বেশি সংখ্যক বচন রচনা করেছেন।
তাছাড়া ফল সমূহের মধ্য কলার মতো এত নিরপেক্ষ এবং সহজ-সরল ফল জগতে বড়ই বিরল। অর্থাৎ স্বাদে, ঘ্রাণে সকল অবস্থায়ই এটা আদর্শ মানের। কোন প্রকার উগ্রতা নেই। দামে, মানে এবং স্বাদে সকল দিক থেকেই কলার সমকক্ষতা অন্য কোন ফল অর্জন করতে পারে নাই। উদাহরণ দিচ্ছি: ধরুন আপনি ক্ষুধার্ত। এক্ষেত্রে আপনার ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য কলা হতে পারে প্রথম উপযুক্ত। অথবা আপনার অর্থের স্বল্পতা আছে কিন্তু আপনি ক্ষুধার্ত। এক্ষেত্রেও ক্ষুধা নিরাময়ের জন্য কলা হতে পারে অন্যতম পছন্দ।
ফলের মধ্যে কলার দামই বোধকরি সবচেয়ে সস্তা। দাম এতই কম যে হালিতে বিক্রি হয়। আর এক পিছ সাগর কলা খেয়ে সহজেই ক্ষুধা নিবারণ করা যায়। অথচ এক পিছ সাগর কলা কেনার সামর্থ্য কার না আছে?
কলার চাষাবাদ খুবই সহজ। আপনার যদি এক টুকরো জমি থাকে এবং আপনি যদি পরিকল্পিত চাষাবাদ নাও করেন। দেখবেন বিনা চাষে জমির এক কোনায় একটি কলা গাছ জন্মে আছে।
এই যে কলা নিয়ে এতো এতো বললাম এবার তার কারণ বলছি। এই মহান বস্তুর প্রতি ওদের কুনজর পড়েছে। কেমনতর কুনজর তা এবার বলছি। আপনি অতি সহজে খেয়েপরে জীবন ধারণ করবেন তা ওরা হতে দিতে চায় না। ওদের লক্ষ্য আপনাকে ধ্বংস করা। এবং ওরা অনেকগুলো টার্গেট নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে কলা অন্যতম। কলা এখানে Just Test Case। এতদিন ধরে জেনে এসেছি হিট-মেথড দ্বারা কলা পাকানো হয়। অথচ এখন কলা পাকানো হচ্ছে কেমিক্যাল প্রয়োগ করে। এই কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো কলা খেলে মানুষের স্বাস্থ্যর কি ক্ষতি হয় না? আমরা যারা কলা আহারকারী আমরা কি এটা জানি না? তবে কেন এমনতর হচ্ছে? বিষয়টি এমন নয়তো যে যিনি অন্যায় করছেন অথবা যিনি অন্যায়ের শিকার হচ্ছেন উভয়ই উভয়কে ছাড় দিচ্ছেন। কেমিক্যাল প্রয়োগ করে কলা পাকানো এবং বুঝে-শুনেও সেই পাকানো কলা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা এখানে একটি উপলক্ষ মাত্র।
এবার আমার কথা বলছি। যেখানে অন্যায় দেখেছি সেটাই বর্জন বা বয়কট করেছি। কোন রকম সংঘাতে যাই নি আবার আপোষও করিনি। আমি অন্য এক রকম পন্থা অবলম্বন করেছি। যাকে বলা হয় মধ্যপন্থা বা সুবিধাবাদীটা এবং মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে বিকল্প কোন না কোন পথ দেখাতেন। পাশ কাঁটিয়ে চলতে পারতাম। জীবন অতিবাহিত করতে পারতাম। কিন্তু এবার কোন ছলাকলা নয়। কলা এখানে অন্য কিছু!
সেদিনকার ঘটনার বিবরণ দিচ্ছি। পাকা কলা কিনতে বের হয়েছি শহরে। নগরীর উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছি কিন্তু গাছ পাকা কলা পাচ্ছিলাম না। যতজন কলা ব্যবসায়ীর কাছে গেলাম সবারই উত্তর আমরা কলা আড়ৎদার থেকে কিনে এনেছি। তারা কলা পাকায়। কিভাবে পাকিয়েছে সেটা তাদেরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন। ওরাই ভাল বলতে পারবে।
ঐদিনই আমার পরিচিত এক ফল ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে কলার আড়ত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য যোগাড় করলাম।
সপ্তাহে দুইদিন ভোরবেলা জমজমাট কলার হাট বসে। এবং জানলাম নৌকা দিয়ে দূরদূরান্ত থেকে কাঁচা কলার চালান আসে। পরে আড়ৎদার-গন এই কাঁচা কলা পাকিয়ে শহরের খুচরা ফল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। আমার পরিচিতি উক্ত ব্যক্তির কাছেই জানতে পারলাম যে কলা পাকাতে এখন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এতে নাকি ঝামেলা এবং খরচ দুটিই কম হয়। আমি তাকে প্রশাসনের কথা জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু কোন স্পষ্ট জবাব পেলাম না।
এবার মনে খটকা লাগলো একটি বিষয়ে। এই যে, এত এত কলা পুরো শহরজুড়ে বিক্রি হচ্ছে তার সবই যদি কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়, তাহলে শহরের বাসিন্দারা, তারা কি স্বেচ্ছায় জেনে বুঝে এই অন্যায়ের শিকার হচ্ছেন? নাকি তারা কেউ জানছেন না যে, কলা পাকাতে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যাবহার করা হয়। ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ঐদিনই বিকেল বেলা ফলের পাইকারি আড়তখানায় গেলাম।
প্রবহমান নদীর সাথেই ফলের বিশাল আড়ত ও পাইকারি বাজার। একবারে শহরের মধ্যখানে। রেলস্টেশন ও আদালত পাড়ার মাঝখান সংলগ্ন। হঠাৎ দেখলে মনে হবে কলার আড়ত কে শহরের অফিস বিল্ডিং গুলো চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে পাহারা দিচ্ছে। সারিবদ্ধ ভাবে দুই পাশে টিনের ঘর। মাঝ দিয়ে গলি রাস্তা। পায়ে হেঁটে অথবা রিকশা বা ভ্যানগাড়ি ইত্যাদি চলাচল করতে পারবে। রাস্তা দিয়ে হাঁটছি এবং দুই পাঁশে দেখছি। ঘরগুলোর মেঝেতে স্তূপ করে কাঁচা কলার ছড়ি রাখা আছে। এবং আড়তের লোকজন কলার ছড়ির উপরে বোতল থেকে কিছু একটা স্প্রে করছে। এবার মনে খুব কৌতূহল জাগল। একটি আড়তের সামনে দাঁড়িয়ে একজন লোককে জিজ্ঞাসা করলাম:
ভাই। কলা’য় এটা কি দিচ্ছেন?
লোকটি নিরুত্তাপ কণ্ঠে উত্তর দিল: মেডিসিন দিচ্ছি। যদি না দেই তাহলে কলা পাকবে কিভাবে?
এবার আমি পাশের আর একটি আড়তে গেলাম। সেকি! একই রকম দৃশ্য! এরপর যতগুলো কলার আড়ত এ গেলাম, দেখলাম সব কয়টাতেই একই রকম ব্যবস্থা বিদ্যমান। আড়তের কর্মচারীরা কাঁচা কলার স্তূপের উপর কেমিক্যাল ছেটাচ্ছে। কেউ বালতি অথবা কেউ স্প্রে মেশিন ব্যবহার করছে।
এবার অন্য এক আড়তের কর্মচারীকে প্রশ্ন করলাম: কলা কি গাছে পাঁকে না?
উনি বলল: আজকে মেডিসিন দিলেই আগামীকাল সকালে সব কাঁচা কলা পাকবে।
এবার ছবি তোলা শুরু করলাম। আমি মোবাইল ফোন দিয়ে কলায় কেমিক্যাল স্প্রে করার ছবি তুলছি। অন্যদিকে কলার আড়তের কর্মচারীরা সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। আমাকে ওরা পাত্তাই দিচ্ছে না। আমি যে ছবি তুলছি সেদিকে কারো কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। অর্থাৎ ওদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে কেমিক্যাল দিয়ে কলা পাকানো একটি চিরচারিত পথ এবং একমাত্র উপায়। অতএব আমার ছবি তোলাতে ওদের কিছুই যায় আসে না। ছবি তোলা শেষ হলে ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করব? কার কাছে গিয়ে অভিযোগ করব? কি বিষয়ে অভিযোগ করব? কেমিক্যাল অর্থাৎ মেডিসিন দিয়ে কলা পাকানো ওদের কাছে যে কোন অপরাধই নয়? নাকি অপরাধ তার খোলস পাল্টিয়েছে? নয়তো অপরাধী তার বোধশক্তি হারিয়েছে?
একপর্যায়ে আড়তের অন্য এক কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করলাম: এভাবে মেডিসিন দিয়ে পাকানো কলা খেলে মানুষের শরীরের কোন ক্ষতি হবে না?
এবার উক্ত কর্মচারী কিছুটা বিরক্ত হয়েই আমাকে বলল: মেডিসিন ছাড়া কলা পাকানো যায় না। তা না হলে এত গাছ পাকা কলা কিভাবে সাপ্লাই দিব।
এখন যেন আমি আর মুখে কোন কথা ভাষা খুঁজে পেলাম না। নিজেকে অনেকটা অসহায় বোধ করলাম। অবশেষে কোন রকম উপায়ন্তর না দেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলাম।
ফলের আড়তের পার্শেই প্রবহমান এক সময়ের খরস্রোতা নদী। নদী আমার বড়ই লক্ষ্মী। সব দেখছে। সব শুনছে। কিন্তু বড়ই নীরবে বয়ে চলছে। নদীর তীরের কিছু অংশ বাঁধানো আছে। প্রাতরাশ ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ চমৎকার ব্যবস্থা করা আছে। নগর কর্তৃপক্ষের এইদিকে খুবই নজর। সারিবদ্ধ করে সাজানো ঢালাই করা পাতান বেঞ্চ। বেঞ্চের মাঝেমাঝেই কিছুদূর পরপর নারিকেল গাছ দাঁড়িয়ে। বেঞ্চের সাথেই একবারে লাগোয়া ফুলের গাছের সমারোহ। এবং ফুল গাছের যে নিয়মিত যত্ন নেওয়া হয় তার নজির দেখলাম একটু পরেই। ওদিকে তৃঞ্চার্ত পথিকের জন্য মিষ্টি পানির সুব্যবস্থা করে দেওয়া আছে। অর্থাৎ সব কিছু পরিপাটী করে গোছান।
আমি নদীর তীর ধরে বাঁধান পথে হাঁটছি আর নদী দেখছি। হাঁটতে হাঁটতে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে এসে পড়লাম। এখানেই একাটি নারিকেল গাছের ছায়ায় বেঞ্চের উপর বসে আজকের আড়তের পুরো ঘটনা নিয়ে ভাবতে লাগলাম। ক্ষুধার তাড়নায় সহসাই ভাবনায় ছেদ পড়ল। অথচ আমার সামনেই কয়েকটি টং দোকান ঘর। চা-বিস্কুট বিক্রি করছে। দোকানের সম্মুখে হলুদ হলুদ পাকা কলার ফানা সারিবদ্ধ ভাবে রশিতে ঝুলছে। কিন্তু জ্ঞাত অবস্থায় এই কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো কলা খেতে মন সায় দিল না। এবার আমার ভিতর থেকে তাগাদা এলো কিছু একটা করার। কলার আড়তের দুষ্ট কর্মচারীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করলাম। ভাবলাম মহান আল্লাহর অনুগ্রহে এই সমস্ত দুষ্করদের বিরুদ্ধে কিছু একটা করার সামর্থ্য আছে আমার। ঘটনার আমি প্রত্যক্ষদর্শী। আমি বা আমরা চেষ্টা করলেই এই অপরাধীদেরকে প্রতিহত করতে পারি। তবে কেন নয়? এবার নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম? তবে কি আমিই সেই অক্ষম? সব কিছু বুঝে শুনে আমি অপরাধীর জিম্মায় নিজেকে সোপর্দ করছি এবং বিষাক্ত খাদ্য মুখে তুলে নিচ্ছি। আমার সাধ্য থাকা সত্ত্বেও, আমি আমার বেঁচে থাকার বিশুদ্ধ খাদ্য যোগাড় করতে পারছি না। এবার নিজেকে সত্যিই অক্ষম মনে হল?
নিজেই নিজেকে প্রশ্নের সম্মুখীন করলাম: স্বচক্ষে দেখে নিজের জন্য এই বিষযুক্ত ফল গ্রহণ করব নাকি সরাসরি বিষ খেয়ে নিজেই নিজেকে হত্যা করব? পরক্ষনেই অন্তরাত্মা আমাকে পথ দেখাল। ভাবলাম বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কাউকে জানাই। যেহেতু সাক্ষ্য আমি নিজেই এবং কেমিক্যাল প্রয়োগের প্রমাণ আমার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণ করা আছে অতএব এই খাদ্য ভেজাল কারীদের বিরুদ্ধে আমি লড়তেই পারি। এখন আমার দায়িত্ব যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চেষ্টা করে যাওয়া এবং ধৈর্য ধারণ করা। ভাবছি বিষয়টিতে যেহেতু সমাজের সবার স্বার্থ জড়িত সেহেতু সবার কাছ থেকেই উপযুক্ত সাড়া পাব। অন্তত: সচেতন জনসমাজের লোকজন জেনে শুনে কোন ভাবেই এই সমস্ত বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় ভাবছি। তখনই মনে পড়ল আমার এক সরকারি অফিসার বন্ধুর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে কেমন হয়? আমারই বাল্যকালের বন্ধু। এখন সরকারের বড় মাপের কর্মকর্তা। এবার আমি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লাম। এবং সোজা চলে গেলাম ওর অফিস বিল্ডিঙে। কলার আড়তের সাথেই পাঁচতলা ওর অফিস বিল্ডিং। বলতে গেলে ওর অফিসের জানালায় দাঁড়ালে নিচে কলার আড়তে দৃষ্টি পরতে বাধ্য।
ওর অফিস রুমে যেতেই দেখি বন্ধু নাস্তা শুরু করতে যাচ্ছিলেন। নাস্তার প্লেটে সবুজ ও হলদেটে আভার সাগর কলা।
তখনই ওকে বললাম: এই কলা কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো। এটা বিষাক্ত। এটা খাওয়া ঠিক হবে না। আমি তোমার কাছে এব্যাপারেই একটু পরামর্শের জন্য এসেছি।
দোস্ত প্রথমত চমকে উঠলেন। পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিলেন। এবার ওর অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পেল চরম বিরক্তি।
বলল: এটা এমন কি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যে তুমি এতটা সিরিয়াস হলে? যারা এই কলা খাচ্ছে তারা জেনে শুনেই খাচ্ছে।
ওর কথা শুনে এবার আমি আশ্চর্য হলাম।
বললাম: আমি স্বচক্ষে দেখেশুনে আমার নিজের জীবন স্বাস্থ্য নিয়ে এমনতর অবহেলা করতে পারি না। নিজের স্বাস্থ্য ঘনিষ্ঠ বিষয় জড়িত এমনতর ক্ষেত্রে কর্তব্য পালন করা আমাদের অবশ্য দায়িত্ব হওয়া উচিত।
যোগ করলাম: কলা পাকাতে কেমিক্যালের ব্যবহার করা এখন এক প্রকার রীতিতে পরিণত হয়েছে। এবার আমার নিকট থাকা ছবি ও ভিডিও ক্লিপ ওকে দেখালাম।
বন্ধু দায়সারা ভাবে আমাকে বলল: তুমি লিখিত অভিযোগ দাও। দেখি কি করা যায়?
এবার আমি বললাম: হ্যাঁ! আমি অবশ্যই লিখিত অভিযোগ দিব। তবুও এই গুটি কয়েক আড়তের কর্মচারীর হাতে আমার জীবন-স্বাস্থ্যর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছেড়ে দিব না। আমরা তো ইচ্ছে করলেই ওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি। কোনভাবেই এই কজন অসৎ কর্মচারীর হাতে আমাদের জন মানুষের অতি প্রিয় বস্তুকে দূষিত হতে দিতে পারি না। ইত্যাদি আরো কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয় আলাপ করে বন্ধুর ওখান থেকে প্রস্থান করলাম।
এর বেশ কিছুদিন পরে আবার সেই আড়তে গেলাম। এবং দেখলাম! সেই একই দৃশ্য। একই ভণ্ডামি।
এবং বন্ধুর ওখানে গেলে ও আমাকে বলল: বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যেহেতু জনস্বাস্থ্যর সাথে বিষয়টি জড়িত সেজন্য বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করা হয়।
তখন আমি বলেছিলাম: আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কিন্তু খুবই ধীরে। ধীরে। অনেকটা এই লক্ষ্মী নদীটির স্রোতের মতো। এক সময়ের খরস্রোতা কিন্তু বর্তমানে মৃতপ্রায়!
তবে এখনও সময় আছে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার। এবং নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করার।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২৮