মোটর গাড়ির লাইসেন্স ইত্যাদি যাচাই করা তাদের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত, তারা এজন্য আমাদের জনগণের কাছ থেকে রাজস্ব নিচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত। তারা সরকারের কাজে সহায়তা করবে। তারা পূর্ণাঙ্গ ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তারা বলে আমাদের জনবল নাই। জনবল নিয়োগ করার মতো প্রয়োজনীয় অর্থ নাই। যুক্তির খাতিরে ধরে নিচ্ছি আপনি সঠিক। কিন্তু আপনি কি দেশপ্রেমিক? আপনি কি চৌকশ কর্মী? বিবেচনা করুন? আজকে সাধারণ কোমলমতি ছাত্ররা, স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা আমাদের কে পথ দেখাচ্ছে। ওরা মোটরগাড়ির লাইসেন্স চেক করছে। হোক না কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ ওরা এই কাজে নেমেছে। ওরা সম্পূর্ণ সেচ্ছাসেবী হয়ে এ কাজ করছে। এটা এক ধরনের সহযোগিতা। সরকারকে সহযোগিতা। প্রশাসনকে সহযোগিতা। কিন্তু ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে অগোছালো ভাবে। অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে। আমাদের প্রশাসনের উচিত বিষয়টিকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা। তাহলে তো লোকবলের স্বল্পতার কারণ থাকত না। এবং এজন্য তো স্কাউট আছে, বিএনসিসি আছে, রোটারি ক্লাব আছে, লায়নস ক্লাব আছে। নেই শুধু উদ্যোগ, নেই কোন প্রেম। আমার মাতৃভূমির প্রতি প্রেম। আমার প্রিয় মা। আমি তোমাকে ভালবাসি। আমরা যদি চাইতাম তবে এই যে আজকে ছাত্ররা যে ধরনের সহযোগিতা করছে তাকে পূর্বেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারতাম। এবং এ ধরনের অনেক কাজই করতে পারতাম। কিন্তু যেকোন কারণেই হোক পারি নাই। অথচ এটা আমাদের প্রশাসনের সাধ্যর মধ্যে ছিল এবং আছে। ভেবে দেখুন আমরা সাধারণ জনতাই ১৯৭১ এ অসাধ্য সাধান করে ছিলাম। একটি প্রাতিষ্ঠানিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করে ছিলাম। আমরা পেরেছিলাম। কারণ আমাদের মহান নেতা দক্ষ ছিলেন। কৌশলী সংগঠক ছিলেন। আমার জাতির জনক পরিশ্রমী ছিলেন। তিনিই তো আমাদের অন্তরে দেশপ্রেমের মন্ত্র জাগিয়ে তুলেছিলেন। অতএব আর কোন অজুহাত নয়। এবার আমাদেরকে দেশপ্রেমিক হতে হবে। তবেই আবার মিলবে মুক্তি। এ মুক্তি হবে অর্থনৈতিক মুক্তি। আমরা পাব সুখ। আমরা সবাই হব সুখী । শুধু মাত্র একজন অসুখী হবে। ও আর কেউ নয়। ও হচ্ছে আমার আপনার সকলের শত্রু, মহা শত্রু শয়তান। আর এ শয়তানের রূপ তিনটি হতে পারে। অদক্ষতা, অলসতা এবং অসততা। আসুন যুদ্ধ করি শয়তানের বিরুদ্ধে। আমরা সফল হবই। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হউন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০