আমাদের প্রধানতমঃ মৌলিক চাহিদা খাদ্য। খাদ্য বিহীন জীবন আপাততঃ অসম্ভব। অতএব খাদ্য নির্বাচনে আমাদের সবচেয়ে বেশী কৌশলী হওয়া উচিত। হ্যাঁ। আমরা দোষারোপ করি খাদ্যের উচ্চ মূল্যকে। গুরুত্ব দেই রসাল জীহ্বাকে। মেনে চলি স্বাদের অপরিহার্যতা। এক্ষেত্রে পুষ্টির পরিচয় আমাদের নিকট অপরিচেয়। আমরা আপোষ করি কিছু প্রচলিত প্রথার সাথে যদিও সেটা অবৈজ্ঞানিক। কিন্তু আমাদের ভাবা উচিত আমাদের জীবন ধারনের জন্য দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালরির অর্থাৎ শক্তির পরিমান নিয়ে। কোন খাদ্যে কি পরিমান পুষ্টি আছে তা নিয়ে? এবং আমার জন্য খাদ্যের কোন উপাদান কি পরিমান দরকার তা নিয়ে। এবার আসুন খাদ্য নির্বাচন নিয়ে ছক কষি। ছকের প্রথম কলামে আমার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের পরিমান সাজাই, মধ্য কলামে বিভিন্ন খাদ্যে লুক্কায়িত পুষ্টির পরিমান সাজাই, তৃতীয় কলামে উক্ত খাদ্য সমূহের বাজার দর রাখি। এবার আমার সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করি। সমন্বয় ঘটাই আমার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির পরিমাণ, আমার পছন্দনীয় খাদ্য, খাদ্যের মূল্য এবং আমার আর্থিক সামর্থ্য। এবার চুড়ান্তভাবে পুষ্টি অনুপাতে খাদ্য নির্বাচন করি। আশা করছি আমরা অবশ্যই ঠকবো না। স্বর্নের দাম দিয়ে অন্ততঃ পিতল কিনবো না। ২৫০ গ্রাম ধনেপাতার দাম দিয়ে ১ হালী ডিম কেন কিনব না? আমরা পিঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ভাবব না। ভাবব মূল্য অনুপাতে এর পুষ্টি গুন নিয়ে। হ্যাঁ রসাল জিহ্বার কথা অবশ্যই মনে রাখব। এবং ভোজন রসের জন্য অবশ্যই চেষ্টা করব। তবে সেটা সামর্থ্য অনুযায়ী করবো এবং বিবেকবোধকে সাথে নিয়ে করবো। এটা সপ্তাহে অথবা মাসে অথবা বছরের যেকোন দিন হতে পারে এবং জীবনের একটি উপভোগ্য সময় হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩