জাতিসংঘ পাকিস্তানের মালালার সাহসিকতাকে সম্মান দিয়ে "মালালা দিবস" ঘোষণা করেছে। সে নারী শিক্ষার জন্য আওয়াজ তুলেছে, তালেবানের গুলি খেয়েছে, মৃত্যুর সাথেও লড়াই করেছে। ঠিক এরকমই একজন আমাদের দেশেও একজন ছিল। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত... তিনি লড়েছিলেন ততকালীন সমাজের সাথে! যে সমাজ, সমাজের মানুষ ছিল তালেবানদের চেয়েও হিংস্র। কিন্তু তবুও তিনি নিরন্তর লিখে গেছেন!! ভগিনীদের জাগানোর চেষ্টার কমতিও ছিল না তার! আজ যখন মালালা স্বীকৃতি পেল তখন খারাপ লাগছে তার জন্য। "সুলতানার স্বপ্ন" যে আজো স্বপ্ন রয়ে গেছে!! আমাদের রোকেয়া সাখাওয়াত হয়ত যুগের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে! স্যাটেলাইট আর প্রিন্ট মিডিয়ার অতল গহ্বরে...
আচ্ছা আমাদের কি কারো মনে আছে আজ ১০ নভেম্বর... শহীদ নুর হোসেন দিবস!! গনতন্ত্রের জন্য জীবন দেওয়া এই মানুষটার জন্যেও জাতিসংঘের কোন মাথাব্যথা নেই!! হবে কিভাবে আমরা তো পা চাটি না! অথবা হয়ত আমরা বাঙ্গালী বলেই!! স্পষ্টভাবে বললে বাংলাদেশী বলেই!!
আরো কষ্ট হচ্ছে আরেকটা কথা মনে করে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি জাতিসংঘের কাছে পেয়েছিলাম ৪৬ বছর পর!! ভাষার জন্য রক্ত দিয়েও ৪৬ বছর পর স্বীকৃতি!! সেখানে মালালা কটা দিনের ব্যবধানে!! আমি বলছি না তাকে স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘ ভুল করেছে!! স্বীকৃতি তার পাওনা! কিন্তু আমাদের বেলায় কেন এত দেরী?? অবহেলিত কেন আমরা সবসময়??
তাই আমি বলছি আমরা বাংলাদেশী হয়ে ভুল করেছি!! আমাদের রোকেয়া সাখাওয়াত, নুর হোসেনরা বাংলাদেশী হয়ে ভুল করেছে! রফিক,শফিক,জব্বাররা বাংলাদেশী হয়ে ভুল করেছে!! এত ভুল তবুও গর্ব করে বলতে পারি বীরেরা বাংলাদেশী কিংবা বাঙ্গালী হয়েই জন্মায়!! জানি বীরেরা স্বীকৃতির জন্য কাজ করে না!! তাই চাই, শতাব্দীর পর শতাব্দী যেন এই ভুল অব্যাহত থাকে!!