মোখলেস যখন টেবিলে সক্রোশে চাপড় মেরে বলল, “আমরা অবশ্যই স্বাধীন” তখন টেবিলটা প্রায় একরকম উলটে গেল। ধরাধরি করে টেবিল ওঠানোর সময় তার গার্লফ্রেন্ড ফোন দিয়ে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করল, সে উঠে চিপায় গিয়ে কথা বলা শুরু করল।
যাই হোক ওদিকে আবার কম্যুনিস্ট শাওন বিড়িতে মজে ছিল। ডানপন্থী মফিজ তার দিকে ইংগিত করে গরম গলায় বলে, “কম্যুনিজমের মায়রে বাপ”!
শাওন বলে, “কম্যুনিজমের দোষ কি? মানুষ এখনও এদেশে রাস্তায় শুয়ে ঘুমায়, এটা স্বাধীনতা কেমনে হয়?”
মফিজ বলে, “আরে ঐ ব্যাটা রাস্তার উপর ঘুমাচ্ছে এটাই তো স্বাধীনতা, যার যেখানে খুশি ঘুমাবে”।
শাওন বেহায়া টাইপের একটু, আবার জিজ্ঞেস করে, ”যে সে রেপড হচ্ছে এটা কেমন স্বাধীনতা?”
মফিজ শাওনের হাত থেকে বিড়ি নিয়ে বলে, “আরে! যার যাকে খুশি রেপ করছে এটাই তো স্বাধীনতা।“
পাশ থেকে আবার কবি বন্ধু গালিদাস কবিতা কপচায় দিল-
‘টি.এস.সি খেলব তবে চুমু চুমু খেলা,
ভাসবে একদিন অবশ্যই স্বাধীনতার ভেলা।‘
মফিজ বিড়িতে মজে গেছে, বলে “কেয়া বাত! কেয়া বাত!”
পাশ থেকে আবার মালখোর বন্ধু সামনে দিয়ে এক রূপসী হেঁটে যাবার সময় চিল্লায় উঠে বলে,”মালকে মাল বলার মধ্যেই স্বাধীনতা”।
মফিজ বিড়িতে আরেকটা সুখটান দিয়ে বলে, “আলবৎ! আলবৎ!”
কম্যুনিস্ট মানুষজনের ঘাড়ের রগ ত্যাড়া হয়, সে মফিজকে ঠাস করে থাপ্পড় মেরে বলে, “এটাই স্বাধীনতা”।
ফেসবুকিস্ট ইফতি আবার লাফ দিয়ে বলে, “তুই ওরে থাপ্পড় মারলি কেন? আমি এক্ষনই ফেসবুকে ইভেন্ট খুলব, এটাই স্বাধীনতা”। গালিদাস চান্সে একটা প্যারোডি ছাড়ে-
“সাবাশ বাংলাদেশ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়,
জ্বলে পুড়ে ছারখার তবু ইভেন্ট না খুললেই নয়।“
ততক্ষণে মোখলেসের আবার গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলা শেষ, সে তখন চিপা থেকে ফিরে এসে টেবিলে আরেকটা প্রবল প্রতাপ চাপড় দিয়ে বলে, “আমরা অবশ্যই স্বাধীন”। এবার টেবিলটা প্রায় নয় পুরোই উল্টিয়ে পড়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬