গত বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ হয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে কেনা চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক MBT-2000. ৪৪টি ট্যাংক কেনা হয়েছে যার মোট মূল্য ১,২০১ কোটি টাকা । এগুলো অত্যাধুনিক ৪র্থ প্রজন্মের ট্যাংক, যদিও Wikipedia বলছে এগুলো ৩য় প্রজন্মের ট্যাংক।সেখানে ৪র্থ প্রজন্মের ট্যাংক বলা হয়েছে আরও উন্নত ট্যাংক যেমন M1A2 Abrams কে।
এতে আছে ১২৫ মিলি মিটার ব্যাসের ক্রোম প্লেটিং করা কামান যেটি সম্পূর্ণ অটোমেটিকভাবে লোড হয়।এটির স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় সবসময় ২৪ রাউন্ড গুলি প্রস্তুত থাকে এবং গুলি করারত অবস্থায় প্রতি মিনিটে ৮ রাউন্ড করে গুলি লোড করতে পারে। ট্যাঙ্ক কম্যান্ডার এর জন্যে রয়েছে উচ্চ প্রযুক্তির প্যারানোমা ভিত্তিক পর্দা, যার ফলে আশেপাশের ৩৬০ডিগ্রি পর্যন্ত দেখা যায়। এতে স্বয়ংক্রিয় টার্গেট ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে গতিশীল কোন টার্গেটকেও আঘাতহানতে সক্ষম। এর কার্যকরী রেঞ্জ ২০০ হতে ৭০০০ মিটার পর্যন্ত।কুয়াশা, তুষার কিম্বা রাতের অন্ধকারে আঘাত হানার জন্যে এতে আছে নাইট ভিসন এবং দ্বি-মাত্রিক থার্মাল ইমেজ প্রযুক্তি। এই সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০০ হতে ৯৯৯০মি. পর্যন্ত দেখা যায়। সাধারণ সড়কে এর সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার, ওজন ৪৮ হাজার কিলোগ্রাম,যা বাংলাদেশের প্রকৃতির জন্য উপযোগী। এই ট্যাংকে রয়েছে বিস্ফোরক প্রতিরোধক কম্পোজিট আর্মার যেটি যেকোন ধরনের আক্রমণ ছাড়াও কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল প্রভৃতি আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে।আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এটি পানিতেও চলতে পারে।
বাংলাদেশের ট্যাংকসমূহ খুব উন্নত ছিল না।এরকম উন্নত কিছু ট্যাংক বাংলাদেশের দরকার ছিল।কিন্তু মাএ ৪৪টি ট্যাংক দিয়ে বেশি লাভ হবে না।আমাদের সেনাবাহিনী এখন অনেক দহ্ম এবং বড় বাহিনী।তাদের আরো ট্যাংক প্রয়োজন।আমার মতে আমাদের এখন VT-1A এর প্রতি নজর দেওয়া উচিত,এটা MBT-2000 এর উন্নত ভার্সন।যা আরো বেশি অশ্বহ্মমতা সম্পন্ন এবং বাংলাদশের ভূমিরূপের জন্য উপযোগী।বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহারী এলাকার জন্য VT-1A একটি উপযোগী ট্যাংক।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬