নির্বান লাভের কোন শর্ত নাই,তবে কিছু ছোট্ট ব্যাপার জানা থাকলে সুবিধে হইতে পারে।
প্রথম টা হইলো প্যারামুক্ত। বুদ্ধের প্রচুর সময় লেগেছে এটা জানতে যে জগতে দুঃখ আছে। যেইখানে মানুষ, সেইখানেই যন্ত্রনা, সমস্যা, তা থেকে তাকে পালাইতে হইছে। এযুগে পালায় আপনে যাবেন কই ? হিমালয়ের উপরে যায়াও দেখবেন একগাদা পর্বতারোহী বসে পার্টি করতেছে। তো , কোনভাবে নিজেকে এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া লাগবে,যেইখানে প্যাড়া আপনাকে স্পর্শ করে না। কিভাবে সম্ভব ?
জ্ঞ্যানের মাধ্যমে। একটা কোলাহল পুর্ন যায়গায় যেয়ে দারান। নিজেকে ৩ টা প্রশ্ন করেন।
১। আমি এই মহাসমুদ্রে কি ?
২। আমি এইখানে না থাকলে কি হবে ?
৩। আমি এইখানে থাকলেই বা কি হবে ?
একগাদা উত্তর আসতে পারে। তবে যখন আপনার মনে হবে "আমি কিছুই না, এবং আমি না থাকলেও কিছু হবে না" তখন আস্তে ধীরে প্যারা কমে আসবে। আপনি কোন অবস্থাতেই একটা মৌলিক উপাদান না, এবং কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নিলেও কিছু যায় আসবে না, যেটা যেভাবে হবার, সেভাবে হবেই। তো, হোয়াই সো সিরিয়াস মেট ?
২য় টা হতে পারে অভাব মুক্তি। ব্যাপার টা ওশোর কথা শুনলে পরিষ্কার হতে পারে। পড়তে হবে, মানুষ হইতে হবে, টাকা আয় করতে হবে। পরিবার চালাইতে হবে। সামনের মাসে বাড়িভাড়া দিতে হবে, পকেটে টাকা নাই। টাকা আয় করতে কিছু করতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি চিন্তামুক্তি। আপনি কিছু না করলেও আগামী এক যুগ দিব্যি চলে যাবে অবস্থায় না পৌছানো পর্যন্ত এগুলোর চিন্তা থেকেই বের হতে পারবেন না, আপনি কিভাবে জ্ঞ্যানের সাধনা করবেন ? পয়েন্ট টা সোজা, বি রিচ। ফিজিক্যালী, মেন্টালী, ইকোনমিক্যালী, আত্বিক সব ভাবেই ধনী হতেই হবে। না হবার আগ পর্যন্ত সেই চেষ্টাই করা জরুরী , নাহলে জ্ঞ্যান অর্জনের ঠেলায় না খেয়ে মারা যাইতে হবে। ওশো বলেন Religion is the ultimate Luxury. কথা টা সত্য।
লিখতে লিখতে আমার ই হাসি আসতেছে। কথাগুলো এত সোজা না, আমি চাইলেও এত সহজে লিখতে পারবো না। যা বললাম পুরাটাই হয়তো বাকোয়াজ। হয়তো আপনি বুঝবেন, হয়তো আপনি বুঝবেন না। এবং তাতেও কিছুই যায় আসবে না। যেটা যেমন, সেটা সেভাবেই চলতে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯