'সিলিকন ইন্ডিয়া'র প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে রেমিটেন্স সরবরাহকারী পঞ্চম শীর্ষ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ! তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেপাল, ওমান, কাতার, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, ইতালী ও মালয়শিয়া। অর্থ্যাৎ পনেরটি দেশের মধ্যে সাতটি দেশই মুসলিম দেশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী শুধু বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় পাঁচ লক্ষ এবং এই নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মাধ্যমে ৩ হাজার ৭১৬ মিলিয়ন ডলার ভারতে পাঠায়। তাহলে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো পরিমানটা হিসেবে আনলে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের অনেক নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং কোন প্রকার ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই আমাদের দেশের পোষাক শিল্প, এনজিও এবং সুতা কাপড় শিল্পে উচ্চ বেতনে কাজ করছে! যেখানে আমাদের লক্ষ লক্ষ বেকার জনগোষ্টীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সরকার অপারগতা প্রকাশ করে চলেছে, সেখানে কী করে ভারতের নাগরিকদের জন্য এদেশের শ্রম বাজারকে এভাবে উন্মুক্ত করে দেয়?
অথচ বাংলাদেশের নাগরিকরা যখন ভারতে কোনো প্রয়োজনে যায় তখন যালিম ও সন্ত্রাসী বিএসএফ তাদের খুন করে লাশ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে! আর তারা অবৈধভাবে এখানে এসে জামাই আদরে থেকে কামাই করে নিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা!
আমরা দেশবাসী আওয়ামীলীগ সরকারের হিন্দু প্রীতি থেকে সরে আসার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি, অন্যথায় জামাত প্রীতির জন্য যেভাবে বি.এন.পি’কে কাফফারা দিতে হয়েছে এবং হচ্ছে! ঠিক একইভাবে তাদেরকেও হিন্দুদের জন্য কঠিন কাফফারা দিতে হবে। তাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। যদিও ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আওয়ামী সরকারের ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারনই হলো মাত্রাতিরিক্ত হিন্দু তোষণ!