১৪ ডিসেম্বর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুলেল শুভেচ্ছান্তে ঐ বক্তব্য প্রদান করেছে আমাদের পাড় মাতাল আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। বিচার হয়েছে, ফাঁসি হয়েছে, বিদেশে পলাতকদেরও দেশে এনে ফাঁসি দেয়া হবে। কেউ ছাড়া পাবে না। (মনের কথা) ভারতীয় ব্ল্যাককেট কমান্ডো দিয়ে এদেশের মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিরোধী দলীয়দেরও বিচার করা হবে।
৯৫ ভাগ মুসলমানদের দেশের সংবিধান থেকে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ বাক্যটিই তুলে দেয়া হয়েছে। ৫৭ জন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হত্যা করেও সেনাবাহিনীর পূর্ণ আনুগত্যতা এবং সহযোগিতা উপভোগ করছে আমাদের নেত্রী। আশরাফের মনে প্রশ্ন, এখনও কেন এদেশের মানুষ বুঝতে পারছে না যে, শেখ হাসিনা যা চায় সবই করতে পারে?
যদিও ঘোষণা দেয়া বাকি তথাপিও শেখ হাসিনা যে এ দেশের অঘোষিত সৃষ্টিকর্তার মত ক্ষমতাশালী, এই বিষয়টাতো অন্তত জনসাধারণের বুঝা উচিত? এত বড় পুলিশ বাহিনী এবং এত বড় বিজিবি, র্যাব যার কথা পাখির মত গুলি ছুড়তে পারে, একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে পর্যন্ত যে গ্রেফতার করে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আসতে পারে, তার ক্ষমতার হাত কত লম্বা তা যারা বুঝতে পারে না তাদের জন্য আফসুস।
তবে মাতাল আশরাফের জন্য সংবাদ হচ্ছে, নেত্রীতো অঘোষিত, ইতিহাসের পাতায় স্বঘোষিত সৃষ্টিকর্তারাও বর্তমানে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রজ্বলিত জাহান্নামের মেহমান, মৃত্যু পূর্বে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ না পেলে আপনার নেত্রী এবং আপনিও ঐ মেহমানখানায় অবস্থান করার প্রস্তুতি হিসাবে ‘ওয়ান ওয়ে টিকেট টু দা হেল’ কিনে ফেলতে পারেন, ওখানে গেলে, ফিরে আসার টিকেটের আর প্রয়োজন হয় না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিপিড়িত জনগণের দোয়া কবুল করুন। আমীন!