ওবামা জনসাধারণের কাছ থেকে সয়ংক্রিয় এয়ার রাইফেল জমা নিয়ে নেয়ার জন্য আদেশ দিলে আমেরিকার অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তারা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার্থে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করবে না বলে প্রেসিডেন্টকে জানিয়ে দেয়। তারা সরকারী ইউনিফর্মধারী পুলিশ কর্মকর্তা, দেশের জনগণের ভাল/মন্দ এবং সংবিধান তাদের কাছে অনেক বেশি মূল্যবান প্রেসিডেন্টর অন্যায় আদেশ পালন করার চেয়ে।
এদিকে বাংলাদেশী পুলিশ, বিরোধী দলীয় গণতান্ত্রিক মিছিলে বৃষ্টির মতো গুলি চালায়। হরতাল আহ্বান করলে রাজপথে বিরোধী দলের মিছিল করাতো দূরের কথা, ঘরে বসে থাকলেও ভূয়া মামলা খেতে হয়, জেলে যেতে হয়। আর যদি জেলের বাইরে থাকতে হয় তবে করতে হয় আন্ডারগ্রাউন্ড গণতান্ত্রিক রাজনীতি।
পুলিশের হওয়ার কথা জনগণের বন্ধু কিন্তু বাংলাদেশের মত তৃতীয় শ্রেণীর বিশ্বে ওরা হচ্ছে সরকারী দলের বন্ধু আর জনগণের শত্রু।
প্রথম বিশ্বের নেতারা আমাদেরকে মস্কারী করে বলে তৃতীয় বিশ্ব, আসলে তারা জানে, বিশ্বাস করে এবং নিজেদের মধ্যে বলাবলিও করে যে, আমরা তৃতীয় শ্রেণীর বিশ্ব।
আমাদের পুলিশ, প্রতিরক্ষা বাহিনী, বেসামরিক আমলা, গোয়েন্দা বাহিনী এমনকি রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ সব তৃতীয় শ্রেণীর। আর একারণেই আমেরিকার পুলিশের শেরিফরা (আমাদের এসপি সমতুল্য) সরাসরি ওবামার অন্যায় আদেশ অমান্য করছে জনস্বার্থ রক্ষার্থে।
আর এদিকে আমাদের তৃতীয় শ্রেণীর পুলিশ বাহিনী জনসাধারণের উপর বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ করছে ক্ষমতাশীন দলের স্বার্থ রক্ষার্থে।
আমাদের প্রশ্ন, কবে আমরা পৃথিবীতে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হবো? কবে আমাদের পুলিশ বাহিনী প্রথম বিশ্বের পুলিশ বাহিনীর মতো আচরণ করবে? আর রাজনৈতিক নেতৃবিন্দের আচরণ?
তা ঠিক করার জন্য চলুন সকলে মিলে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করি। এ গনতান্ত্রিক জ্বালা আর প্রানে শয় না। হয় ওদেরকে হিদায়েত করুন, আর যদি তাদের হিদায়েত নছিবে না থাকে তবে ফেরাউন, নমরুদের মতো ধ্বংস করে দিন। (আমীন)