গ্রীষ্মের জীভ ঝুলে পড়া প্রখর দাবদাহে
বাগানের জামরুল গাছের ছায়া চুম্বন করে দুই বাড়ির উঠোন।
সোঁদামাটির ঘ্রাণ, বর্ষার বৃষ্টি ধোয়া শীতল বাতাস
খুশির বার্তা বহন করে দুই বাড়ির জানলায়।
শিউলি শরতের কুসুম প্রস্তাব পাঠায় , ঝরায় পুষ্পবৃষ্টি
এক বাড়ির গাছ স্পর্শ করে পাশের বাড়ির ছাদ।
সৃষ্টির মাহেন্দ্রক্ষন হেমন্তে-
একই ক্ষেতের আউস ভরা হয় দুই বাড়ির সোনার গোলায় ।
হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে, দুই বাড়ি মুখরিত হয় সার্বজনিক শস্যোৎসবে।
শীতের নির্জনতা কাটিয়ে আসে পৌষ সংক্রান্তি ,
সোনালী রোদ ছুয়ে উত্তরীয় বাতাস শীত ছড়িয়ে দেয় দুই বাড়ির আনাচে কানাচে।
ঋতুরাজ বসন্তে -
কোকিলের কুহুতান, শিমুল,পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার মনবাহারি সাজে
দুইবাড়ি অলৌকিক স্পর্শে গেয়ে উঠে- " আজি দখিন দুয়ার খোল" ।
প্রকৃতি পারে, মানুষ পারে না নিজেকে উন্মোচন করতে ।
কখনো দৃষ্টিপাত হলেও দুই বাড়ির কেউই পারে পারে না -
নিজেদের সংকির্ণতা ভেঙে জিজ্ঞাসা করতে "ভালো আছো " ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৪